চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিয়েকে লালকার্ড প্রদর্শন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিয়েকে লালকার্ড প্রদর্শন চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিশু সুরক্ষা ও শিশুর অধিকার বিষয়ক সংবেদনশীল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এবং বেসরকারি খাতের ফোরামগুলোর সাথে আজ বিকেলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই সভার আয়োজন করে ওয়ার্ল্ডভিশন বাংলাদেশের স্ট্রেংদেনিং সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্প। ইউনিসেফের সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ‘চলো আমরা করি প্রতিবাদ, সহিংসতা বন্ধে তুলি রেডকার্ড’Ñ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প সহায়তাকারী আব্দুর রহিম। আলোচনায় অংশ নেন, বালুগ্রাম আদর্শ কলেজের প্রভাষক আলহাজ্জ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলম, গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ওয়ার্ড সদস্য তাশেম আলী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সদর উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার আব্দুল অদুদ, শিবগঞ্জ উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামসহ অন্যরা। প্রশিক্ষনটি সমন্বয় করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের এসএসবি প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার উত্তম মন্ডল। সভায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, শিক্ষক, অভিভাবক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, যুবক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। সবশেষে অংশগ্রহণকারীরা বাল্যবিয়েকে লালকার্ড প্রদর্শন করেন। এছাড়াও হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ উপলক্ষে আগামীকাল থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বিভাগ ছাড়া, দেশের অন্যান্য বিভাগে ১৮ কার্যদিবসের মধ্যে, জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধক ১ ডোজ টিকাগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে জনসম্পৃক্তকরণ সভার আয়োজন করে ওয়ার্ল্ড ভিশন।

গোমস্তাপুরে ধ্বংস করা হয়েছে পৌনে ২ লাখ টাকার অবৈধ জাল

গোমস্তাপুরে ধ্বংস করা হয়েছে পৌনে ২ লাখ টাকার অবৈধ জাল চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে পৌনে দুই লাখ টাকার অবৈধ জাল ধ্বংস করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে পুনর্ভবা নদীতে অবৈধ জাল অপসারণে অভিযান চালিয়ে জালগুলো আটক করে। অভিযানে ১৫টি চায়না দুয়ারি জাল ও ১টি সুতি জাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত জালগুলো রহনপুরস্থ বুড়িতলা ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা উপস্থিত হয়ে পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গোমস্তাপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাজু চৌধুরী, ভোলাহাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওয়ালিউল ইসলাম, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. নাসিরউদ্দিন, বিজিবির রহনপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মুনসেদ আলী, গোমস্তাপুর থানার উপপরিদর্শক মো. কালামসহ অন্যরা। গোমস্তাপুর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজু চৌধুরী বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর বুধবার পুনর্ভবা নদীতে অবৈধ জাল অপসারণে অভিযান চালায়। অভিযানে ১৫টি চায়না দুয়ারি জাল ও ১টি সুতি জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য পৌনে দুই লাখ টাকা। এই অভিযানে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সহযোগিতা নেয়া হয়। পরে জব্দকৃত জালগুলো বুড়িতলা ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নিশাত আনজুম অনন্যার নির্দেশনায় পুড়িয়ে ফেলা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইঁদুর দমন অভিযান শুরু

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইঁদুর দমন অভিযান শুরু ‘ছাত্র শিক্ষক কৃষক ভাই, ইঁদুর দমনে সহযোগিতা চাই’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইঁদুর দমন অভিযান শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে এ উপলক্ষে র‌্যালি বের হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে ইঁদুর মেরে দমন অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। আলোচনা সভায় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় বাংলাদেশে ইঁদুর সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার সরকার, উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান, ইঁদুর নিধনে বিশেষ অবদান রাখায় রাজশাহী অঞ্চল থেকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত কৃষক মতি টুডু। সভায় জানানো হয়, ইঁদুর বহুমাত্রিক সমস্যা সৃষ্টি করে। ফসল নষ্ট করে, খাবার নষ্ট করে, ইলেকট্রিক তার পর্যন্ত কেটে দেয়, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফুটো করে বিপর্যয় সৃষ্টি করে। এককথায় ইঁদুর মাঠঘাট, ঘারবাড়ি সবখানেই ক্ষতি করে। ইঁদুর মানুষের কল্যাণ করে না, ক্ষতি করে। তাই ইঁদুর নিধন জরুরি। ইঁদুর যে পরিমাণ ভক্ষণ করে তার দশগুণ কেটে নষ্ট করে। আমাদের দেশে যে ইঁদুরগুলো দেখা যায়, সেগুলোর মধ্যে বাদামি ইঁদুর, গেছো ইঁদুর, বাতি বা সেলই ইঁদুর, মাঠের কালো ইঁদুর, কালো বড় ইঁদুর, মাঠের নেংটি ইঁদুর, নরম পশমযুক্ত ইঁদুর এবং প্যাসিফিক ইঁদুর উল্লেখযোগ্য। ইঁদুর দ্রুত বংশবিস্তারকারী প্রাণী। এরা যে কোনো পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়ে দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে। উপযুক্ত এবং অনুকূল পরিবেশে একজোড়া প্রাপ্তবয়স্ক ইঁদুর বছরে প্রায় ২০০০টি বংশধর সৃষ্টি করতে পারে। এরা সন্তান জন্ম দেয়ার দুই দিনের মাথায় আবারো গর্ভধারণ করতে পারে। গর্ভধারণকাল ১৮-২২ দিন। ইঁদুর বছরে ৬ থেকে ৮ বার বাচ্চা দেয়। প্রতিবারে ৪ থেকে ১২টি বাচ্চা দিতে পারে। তিন মাসের মধ্যে বাচ্চা বড় হয়ে আবার প্রজননে সক্ষম হয়ে উঠে । ইঁদুরের সামনের দাঁত জন্ম থেকেই বাড়তে থাকে; ইঁদুর সাধারণত ৫ থেকে ১০ ভাগ ফসলের ক্ষতি করে; ইঁদুর যা খায় তার চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি ক্ষতি করে; একটি ইঁদুর বছরে ৫০ কেজি গোলাজাত শস্য নষ্ট করে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত আরো ৪ হাসপাতালে ভর্তি ৮ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত আরো ৪ হাসপাতালে ভর্তি ৮ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন করে আরো ৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর জেলায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১২৭ জনে। সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ জানান, নতুন করে আরো ৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ২ জন ও নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন শনাক্ত হয়। বর্তমানে ভর্তি আছে ৮ জন রোগী। তাদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা রয়েছে। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৪ জন, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন ও নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন রয়েছে। অন্যদিকে সুস্থ হওয়ায় ১ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ।

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে এইচপিভি টিকা দেয়া

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে এইচপিভি টিকা দেয়া বাংলাদেশে প্রতিবছর জরায়ুমুখ ক্যান্সারে প্রতি এক লাখে গড়ে আক্রান্ত হয় ১১ জন নারী আর মারা যায় প্রায় ৫ হাজার জন। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানান চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ। তিনি বলেন, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসটি প্রাকৃতিকভাবেই পুরুষ ও নারী উভয়েই বহন করে। আক্রান্ত হয় মেয়েরা। সমকামী যারা, তারাও আক্রান্ত হয়। আমাদের দেশে বাল্যবিয়ের কারণে অল্পবয়সী মেয়েরাই বেশি আক্রান্ত হয়। ভবিষ্যতে যেন জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আর কোনো নারী আক্রান্ত না হয়, সেজন্য আগামীকাল ২৪ অক্টোবর  থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বিভাগ ছাড়া দেশের অন্যান্য বিভাগে ১৮ কার্যদিবসের মধ্যে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধক ১ ডোজ টিকা প্রদান করা হবে। সিভিল সার্জন জানান, এজন্য ১ হাজার ৫৫৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ম-৯ম শ্রেণীর ৮৬ হাজার ৮৯৪ জন ছাত্রী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় না এমন ১০-১৪ বছর বয়সী ২ হাজার ৭৯৭ জন কিশোরীকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদেরকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। নিজেরা কিংবা কোনো কম্পিউটারের দোকানে গিয়েও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। সিভিল সার্জন বলেন, আগামী বছর থেকে শুধু ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীদেরই এই টিকা দেয়া হবে। এরপর আর জরায়ুমুখ ক্যান্সারে কোনো নালী আক্রান্ত হবে না। তিনি বলেন, এই রোগটি অনেক আগেই বাসা বাঁধলেও এর প্রকাশ পায় ১৫-২০ বছর পরে। কাজেই হেলাফেলা না করে সরকারি টিকা গ্রহণে নির্দিষ্ট বয়সের মেয়েদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি জানান, এই টিকা বাইরে থেকেও ক্রয় করে দেয়া যাবে, তবে দাম পড়বে ৬ হাজার টাকার উপর। সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভিলেন্স ইমুলাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা হক, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মোছা. রেশমা খাতুন, ডা. শাহনাজ খাতুন। এসময় সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা চৌধুরী আব্দুল্লাহ আস শামস তিলক ও জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা শামশুন নাহারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধে দেয়া হবে মাসব্যাপী টিকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধে দেয়া হবে মাসব্যাপী টিকা চাঁপাইনবাবগঞ্জে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ উপলক্ষে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় সিভিল সার্জন অফিস এই সভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। সিভিল সার্জন এস এম মাহমুদুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক উপসচিব দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ। সভায় মহিলাদের জরায়ু ক্যান্সার, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) ও টিকাদান কর্মসূচি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা হক। সভায় জানানো হয়, আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১৮ কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণী এবং হাই স্কুল ও মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধক ১ ডোজ টিকা প্রদান করা হবে। এজন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদেরকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এছাড়া একই বয়সের যেসব মেয়েরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় না, তাদেরকে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেয়া হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, রাজশাহী বিভাগে ৯৫ ভাগ মেয়েকে এই টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৯ ভাগ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইতোমধ্যে ১২ ভাগ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অভিভাবক, শিক্ষক, ইমামসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মাদ্রাসাগুলোয় একটু সমস্যা হতে পারে। কাজেই মাদ্রাসা শিক্ষকদের এই টিকার গুরুত্বটি ভালোভাবে বোঝাতে হবে। এই কর্মসূচিটি সফল করতেই হবে।

ব্যবসায়ীদের সৎভাবে ব্যবসা পরিচালনার আহ্বান জেলা টাস্কফোর্স কমিটি

ব্যবসায়ীদের সৎভাবে ব্যবসা পরিচালনার আহ্বান জেলা টাস্কফোর্স কমিটির চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য নির্ধারণ সম্পর্কিত টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীর। এসময় তিনি বলেন, আপনারা খেয়াল রাখবেন, কোনো ব্যবসায়ী যেন কোনো পণ্য অতিরিক্ত মজুত করে না রাখে। আপনারা জানেন, এখন পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী মাঠে অবস্থান করছে। আপনারা সঠিক তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন, যাতে কেউ অতিরিক্ত কোনো কিছু মজুত করে না রাখে। যারা ব্যবসায়ী আছেন তাদের বলব, আপনারা সৎভাবে ব্যবসা পরিচালনা করুন। কেউ যদি এই ব্যবসা বেআইনিভাবে পরিচালনা করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের বছরে যে পরিমাণ পেঁয়াজের দরকার হয় তার চেয়ে অনেক বেশি দেশে উৎপাদন হয়; কিন্তু সংরক্ষণ করতে না পারার জন্য অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। এখন এটাকে কিভাবে সংরক্ষণ করা যায়, তার চেষ্টা করছি। আমরা ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করছি, যাতে করে প্রত্যেক জেলাতে একটা করে কোল্ডস্টোরেজ করতে পারি। আমরা যদি আধুনিকমানের কোল্ডস্টোরেজ করতে পারি, তাহলে আগামীতে পেঁয়াজসহ অন্যান্য ফসল সংরক্ষণ করতে পারব। এর জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীর আরো বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের অ্যাপ্রোচ একরকম, জনপ্রতিনিধিদের একরকম এবং যারা উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে অর্থাৎ এনজিওদের অ্যাপ্রোচ আরেকরকম। সুতরাং এই তিন অ্যাপ্রোচকে একসাথে কাজে লাগিয়ে প্রান্তিক মানুষকে সেবা দিতে হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাকিব হাসান তরফদার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কে, এম, কাওছার হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মীর আল মনসুর শোয়াইবসহ অন্যরা। পরে একই স্থানে জেলা এনজিও বিষয়ক সমন্বয় কমিটির সভা ও জেলা ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বিষয়ক ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভার আয়োজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন।    

শিবগঞ্জে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গাজীপুরে গ্রেপ্তার

শিবগঞ্জেযাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গাজীপুরে গ্রেপ্তার শিবগঞ্জ থানায় ২০১৮ সালে দায়ের একটি মাদক (হেরোইন) মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মফিজ উদ্দিন মুস্তাফিজকে গাজীপুর মাহনগরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলায় কিছুদিন হাজতবাসের পর জামিন লাভ করে গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভুক্ত মুস্তাফিজ সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ড বেশে ৬ বছর যাবৎ পলাতক ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতেই তার সাজা ঘোষনা করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আরও ৬টি মামলা রয়েছে। তিনি শিবগঞ্জের আজমতপুর বাগিচাপাড়া গ্রামের মৃত হাসান আলী হুয়েনের ছেলে। শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেন বলেন, গতকাল বিকেলে গোপন তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। আজ দুপুরে তাকে নাটোরের বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরও একটি সহ দু’টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ৮ হাজার মিটার জব্দ জাল 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ৮ হাজার মিটার জব্দ জাল গত ১৩ অক্টোবর থেকে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনণ মৌসুমে চলমান মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪ এ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীতে মৎস দপ্তরের অভিযানে ৮ হাজার মিটার নিষিদ্ধ জাল জব্দ হয়েছে। এসব জালের দূল্য প্রায় আড়াইলক্ষ টাকা। তবে সোমবার(২১অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলা অভিযানে কোন জেলে আটক হয় নি। জব্দ হয়েছে ১৫ কেজি ইলিশ মাছ যা লক্ষীপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস বিভাগ। সিনিয়র উপজেলা মৎস অফিসার ড. আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধু দুপুরে খাবার বিরতি দিয়ে নৌকা নিয়ে বোগলাউড়ি,সাহেবের ঘাট, মনোহরপুর, দশরমিয়া, পাকাচর ও রামনাথপুর এলাকায় নদীতে অভিযান চালানো হয়। পরে রাতে জব্দ জাল পাকা ঘাটে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। অভিযানে মৎস দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী,আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। এ ধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান ড.আবু বক্কর।

শিবগঞ্জে অবৈধ ৩টি ইটভাটা উচ্ছেদ আরো ২টি উচ্ছেদের দাবি

শিবগঞ্জে অবৈধ ৩টি ইটভাটা উচ্ছেদ আরো ২টি উচ্ছেদের দাবি শিবগঞ্জ উপজেলার উপর কয়লাদিয়াড় এলাকায় তিনটি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। আরো দুটি ইটভাকে ভেঙে ফেলার দাবিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম ও প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তাদেরকে রাস্তায় আটকে দেয় স্থানীয় জনতা। সোমবার দুপুর ২টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার উপর কয়লাদিয়াড় এলাকায় অভিযানে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এলাকাবাসী রাস্তায় বসে আন্দোলন করতে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডাকা হয় সেনাবাহিনীকে। জানা গেছে, বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের উপর কয়লাদিয়াড় গ্রামে অবস্থিত শ্রী জগন্নাথ ও তার সহযোগীদের সনি-১ এবং পরে দুপুর ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে কাউসার আলীর স্মার্ট এবং শ্রী জগন্নাথ ও তার সহযোগীদের সনি-২ নামে তিনটি ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হয়। দুপুরে অভিযান শেষ করে ফিরে আসার সময় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ঘিরে ধরে স্থানীয়রা। এ সময় তারা আরো ২টি ইটভাটাও অবৈধ দাবি করে সেগুলোও উচ্ছেদে বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করে এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। স্থানীয় বাসিন্দা তাসাউর রহমান বলেন, আমাদের এলাকায় মোট ৫টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটা প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণ করে আসছে। আমরা প্রশাসনকে একাধিকবার ব্যবস্থা নিতে বললেও কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। আজকে  সোমবার জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেট এখানে এসে তিনটি ভাটা ভেঙে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় এলাকাবাসী তাদের গাড়ি গতিরোধ করে। অপর বিক্ষোভকারী শহিদুল ইসলাম জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর মানববন্ধনে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়ার সময় ইউএনও মহোদয় অবৈধ ইটভাটাগুলো উচ্ছেদের কথা বলেছিলেন। কিন্তু এতদিন তা করা হয়নি। গ্রামে এসব ভাটা হওয়ায় বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে এ এলাকার মানুষ। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম বলেন, এখানে মোট ৫টি ইটভাটা থাকলেও কাগজপত্র রয়েছে দুটির। বাকি তিনটি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, এলাকাবাসীর দাবি ওই দুটি ইটভাটাও ভেঙে দিতে হবে। কিন্তু তাদের কাগজপত্র থাকায় আমরা তা করতে পারি না। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। আমিনুল ইসলাম আরো বলেন, জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আমবাগান, ফসলি জমিতে গজিয়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। এসব ভাটা পর্যায়ক্রমে ভেঙে দেওয়া হবে। যে তিনটি ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, তারা কেউ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। অভিযানে সহযোগিতা করে বিজিবি, পুলিশ ও আর্মড পুলিশের কয়েকটি টিম। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ বলেন, এলাকাবাসী যে দুটি ইটভাটা ভেঙে দেওয়ার কথা বলছেন, তাদের লাইসেন্স রয়েছে। এজন্য তাদের ইটভাটাগুলো ভেঙে দেওয়া হয়নি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবরুদ্ধ করার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্থানীয়দের বোঝানো হয় যে, ওই ২টি ইটভাটার কাগজপত্র যাচাই করে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সেগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। তাদের আশ্বস্ত করার পর স্থানীয়রা অবরোধ তুলে নিলে নিজ কার্যালয়ে ফিরে আসেন নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলামসহ অন্যরা। জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ছানুয়ার হোসেন বলেন, সারাদেশে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের অভিযান চলমান রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় শিবগঞ্জ উপজেলায় তিনটি ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণ করে আসছিল এসব ইটভাটা। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মাসব্যাপী ওই এলাকায় অবস্থিত ৫টি ইটভাটা উচ্ছেদের দাবিতে আন্দোলন করে স্থানীয়রা। পরে আবারো চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে এসব ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আফতাবুজ্জামান-আল-ইমরানকে এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে স্মারকলিপি দেন তারা।