লিগ্যাল এইড বাদী-বিবাদীকে সমান গুরুত্ব দেয় : প্যানেল আইনজীবীদের জেলা ও দায়রা জজ

লিগ্যাল এইড বাদী-বিবাদীকে সমান গুরুত্ব দেয় : প্যানেল আইনজীবীদের জেলা ও দায়রা জজ আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার (লিগ্যাল এইড) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান। এই সময় তিনি প্যানেল আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন- লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে যারা বিচারপ্রার্থী হবেন, তারা যেন মামলার দীর্ঘসূত্রতার শিকার না হন। তারা যেন সঠিক সময়ে বিচারটা পান, সে জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন- জেলখানা কোনো সুখের জায়গা নয়। সেখানে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন থাকে না। জেলখানা কষ্টের জায়গা। কাজেই জেলখানা থেকে মামলা পরিচালনার জন্য কেউ লিগ্যাল এইড অফিসে আবেদন করলে তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে মিজানুর রহমান বলেন- আপনারা আপোস-মীমাংসাযোগ্য অনেক মামলা পরিচালনা করেন, যেসব মামলা আপোস-মীমাংসা করতে ব্যর্থ হবেন, সেগুলোকে লিগ্যাল এইড কমিটিতে পাঠাবেন। কেননা লিগ্যাল এইড উভয়ের জন্যই সমান গুরুত্ব দেবে। সরকারের আইনগত সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জকে আমরা একটি মডেল জেলা হিসেবে দেখতে পাবো বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভায় আলোচনা করেন- ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু তালেব। সভা পরিচালনা করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার এবং সিনিয়র সহকারী জজ বেগম রুখশানা খানম। সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম, জেল সুপার শরিফুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সোলায়মান বিশু ও সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক পিন্টু, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল ওদুদ, সরকারি কৌঁসুলি মোসাদ্দেক হোসেন কাজল, জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট আফসার আলী, অ্যাডভোকেট লাইলা চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদসহ অন্যরা। এসময় লাইট হাউসের আইন সহায়তা অ্যাক্টিভিটি প্রকল্পের কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন, প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির সহকারী ব্যবস্থাপক পঙ্কজ কুমার পাল এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ কমিটির অন্য সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার এবং সিনিয়র সহকারী জজ বেগম রুখশানা খানম সভায় জানান, গত ৩০ অক্টোবর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত মামলার জন্য ১৪টি আবেদন পাওয়া যায়। তার মধ্যে ২টি দেওয়ানি, ৭টি ফৌজদারি, ৫টি পারিবারিক আবেদন। এছাড়া একই সময়ের মধ্যে আপোস-মীমাংসার জন্য ২০টি আবেদন পাওয়া যায়। তার মধ্যে ৪টি দেওয়ানি, ১টি ফৌজদারি ও ১৫টি পারিবারিক বিষয় রয়েছে। একই সময়ে ১৯টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আর সফলভাবে ১১টি আবেদন মীমাংসা করা হয়েছে এবং বিফল হয়েছে ৮টি আবেদন। ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এছাড়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আপোস-মীমাংসার জন্য মোট ২৫টি আবেদন পাওয়া যায়। তার মধ্যে ৮টি ফৌজদারি, ৩টি দেওয়ানি ও ১৪টি পারিবারিক আবেদন। এসব আবেদনের মধ্যে আপোস-মীমাংসার মাধ্যমে ১০টি আবেদন সফলভাবে নিষ্পত্তি করা হয় এবং ১২টি আবেদন বিফল/নথিজাত করা হয়।
নাচোলে নতুন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

নাচোলে নতুন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতাধীন ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট এন্টারপ্রিনিউরশিপ ফর ইয়ুথ-লেড বিজনেস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার উপজেলা পরিষদ মিনি কনফারেন্স রুমে ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক মোমেনা খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায়, সে বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে বলেন, ট্রেনিংগুলো নিয়ে কাজে লাগাতে হবে, তাহলেই আমরা দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারব। এসডিপি (প্রমিস) জেলা ব্যবস্থাপক আছিয়া খাতুন আশনার সঞ্চালনায় এসডিপি প্রোগ্রামের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এসডিপির জেলা ব্যবস্থাপক রেশমা খাতুন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ব্র্যাক এসডিপির জেলা ব্যবস্থাপক রেশমা খাতুন, এসডিপি (প্রমিস) অ্যাসোসিয়েট অফিসার মোহসারুন নেসা। সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান, নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম, সমাজসেবা অফিসার সোহেল রানা, সমবায় অফিসার আনিসুর রহমান, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম, ব্র্যাক নাচোল এলাকা ব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান, নেজামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুদ্দিন, নাচোল শিল্প বণিক সমিতির আহ্বায়ক আসগার আলী, ব্র্যাকের কর্মকর্তা কর্মচারী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
নাচোলে গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের স্মরণ

নাচোলে গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের স্মরণ জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে নাচোলে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা প্রশাসনের মিনি কনফারেন্স রুমে নাচোল উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার। স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন- নাচোল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ওবাইদুর রহমান, নেজামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল হক, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, নেজামপুর আলিম মাদ্রাসর অধ্যক্ষ মাহাবুবুর রহমান, নাচোল সরকারি কলেজের প্রভাষক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম, নাচোল খ.ম. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক একেএম জিলানী ও আবুল হোসেন। স্মরণসভায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, ইমাম, সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। শুরুতেই নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরে স্মরণসভায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহত মেহেদীর আব্বার হাতে নগদ অর্থ ও উপহারসামগ্রী তুলে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ঢাকার মিরপুরে আহত হন নাচোল উপজেলার শিংরইল গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মেহেদী হাসান। তিনি এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মেহেদী ঢাকায় লেখাপড়া করেন।
নাচোলে ১৫ সদস্যকে মাছচাষের উপকরণ বিতরণ

নাচোলে ১৫ সদস্যকে মাছচাষের উপকরণ বিতরণ নাচোলে দেশী শিং, মাগুর, কার্প মিশ্র চাষ, কার্প ফ্যাটেনিং, পোনা চাষে উদ্যোক্তা তৈরির প্রদর্শনীর জন্য আরো ১৫ জন সদস্যকে মাছচাষ বিষয়ক উপকরণ দিয়েছে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। আজ নাচোল উপজেলার ফতেপুরে প্রয়াসের ইউনিট-১১তে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়। উপকরণের মধ্যে ছিল চুন, রোটেনন, ঝাঁকি জাল, বøু নেট, ইউরিয়া, টিএসপি, জিআই তার, মাচা জালসহ সবজি বীজ, সাইনবোর্ড ও রেকর্ড বুক। পাশাপাশি সদস্যদের মৎস্যচাষ বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শও দেয়া হয়। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় (মৎস্য খাত) এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, ফতেপুর ইউনিটের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন, হিসাবরক্ষক মিজানুর রহমান, প্রয়াস হসপিটালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুল মমিনসহ অন্যরা। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফের সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের স্মরণ করবে জেলা প্রশাসন

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের স্মরণ করবে জেলা প্রশাসন সারাদেশে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের স্মরণের উদ্যোগ নিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসন। নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে আগামী ৩০ নভেম্বর বেলা ১১টায় জেলাশহরের শহীদ সাটু অডিটোরিয়ামে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। আজ সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই বিষেয় অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দীন, স্থানীয় সরকার চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাকিব হাসান তরফদার, অতিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইকতেখারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরুজ্জামান, নবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক আবু ফরহাদ আহমাদ, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক উম্মে কুলসুম, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল মান্নান, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক গোলাম মোস্তফা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার আহ্বায়ক আবদুর রাহিম, মুখ্য সংগঠক মোতাসিন, মুখপাত্র রুমি খাতুন, সদস্য সচিব সাব্বির আহমেদসহ অন্যরা। সভায় আগামী ৩০ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় শহীদ সাটু হলে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে স্মরণসভা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১২ জন আহত এবং একজন নিহত হন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন, মানব পাচার ও যৌতুক প্রতিরোধে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রাধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ গোলাম মোস্তফা সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত হয়ে ক্বেরাত পাঠ করেন, মাওলানা ওয়ালিদ হাসান, মুনাজাত করেন তোফাজ্জুল হোসেন। এছাড়াও আলোচনা সভায় বিভিন্ন মসজিদের মাওলানা, মাদ্রসার শিক্ষকবৃন্দ- সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন, মানব পাচার ও যৌতুক প্রতিরোধে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ করণীয় সম্পর্কে প্রধান অতিথি আব্দুস সামাদ বিস্তারিত আলোচনা করেন ও করণীয় বিষয়ে তুলে ধরেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে যাজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেপ্তার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে যাজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেপ্তার সদর উপজেলার দেবিনগর পাড়ালটোলা গ্রাম থেকে ২০০৯ সালে ঢাকার তেঁজগাও থানায় দায়েরকৃত মাদক মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী জিয়ারুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেন মন্ডলের ছেলে। রায়ের সময় থেকে তিনি দিনমজুর বেশে পালিয়ে ছিলেন। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। আজ দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রইস উদ্দিন বলেন, ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) ধারায় দায়েরকৃত মামলায় ঢাকার সিনিয়র দায়রা জজ আদালত নং-৫ জিয়ারুলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে।
চেম্বারের নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ায় লুনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে প্রয়াস

চেম্বারের নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ায় লুনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে প্রয়াস জেলায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ব্যবসায়ী রাইহানুল ইসলাম লুনা নির্বাচিত হওয়া ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। আজ সকালে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এবং রেডিও মহানন্দার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিব হোসেন মিস্ত্রিপাড়ায় তার নিজস্ব অফিসে গিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, প্রয়াসের পরিচালক (মানব সম্পদ ও প্রশাসন) ও রেডিও মহানন্দার স্টেশন ম্যানেজার আলেয়া ফেরদৌস, যুগ্ম পরিচালক নাসের উদ্দিন, কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক (হিসাবরক্ষণ) তানভির আহমেদ রিয়াদ ও রেডিও মহানন্দার টেকনিক্যাল অফিসার রেজাউল করিম। উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে হারুন-আনোয়ার-তরিকুল মোল্লা প্যানেল থেকে একমাত্র রাইহানুল ইসলাম লুনা নির্বাচিত হয়েছেন।
দিবস পালনে চাঁদা বা অনুদান নেয়া যাবে না : জেলা প্রশাসক

দিবস পালনে চাঁদা বা অনুদান নেয়া যাবে না : জেলা প্রশাসক চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন, সরকারি বরাদ্দের মধ্যে থেকেই ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন করতে হবে। এটি সরকারি নির্দেশনা। কাজেই দিবস পালনের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো চাঁদা বা অনুদান নেয়া যাবে না। রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এসব কথা জানান। জেলা প্রশাসক আরো জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবার বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজ থাকবে না। কাজেই এবার কুচকাওয়াজের জন্য শিক্ষর্থীদের প্রস্তুত করার দরকার নেই। তবে বিজয় দিবসে ৩ বার তপোধ্বনি, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, পতাক উত্তোলন, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহতসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন, বাদ জোহর দোয়া মাহফিল, পুরাতন স্টেডিয়ামে দুই দিনের বিজয় মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হবে। এছাড়া সভায় ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের শাহাদাত বার্ষিকীও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় স্থানীয় সরকার চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ও সরকারের উপসচিব দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. এসএম মাহমুদুর রহমানসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনারের শপথ নিলেন নাচোলের কৃতী সন্তান আবুল ফজল

নির্বাচন কমিশনারের শপথ নিলেন নাচোলের কৃতী সন্তান আবুল ফজল প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনার রবিবার শপথ নিয়েছেন। তাদেরকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। চার নির্বাচন কমিশনারের (ইসি) একজন হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কৃতী সন্তান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এদিকে আবুল ফজল নির্বাচন কমিশনার হওয়ায় এলাকাবাসী আনন্দে ভাসছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে নাচোল পৌর এলাকার মাস্টারপাড়া মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। নাচোলে ১৯৮৩ সালে স্কুল ও ১৯৮৫ সালে কলেজজীবন শেষে ১৮তম বিএমএ লংকোর্সে তিনি ক্যাডেট হিসেবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৮৮ সালের জুনে কমিশন লাভ করেন এবং সর্ববিষয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ ক্যাডেট হিসেবে সোর্ড অব অনার লাভ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পেশাগত জীবনে এবং প্রশিক্ষণে আবুল ফজল অসামান্য উৎকর্ষ লাভ করেন। তিনি আর্মি স্টাফ কোর্সে প্রথম হওয়ার পাশাপাশি মাস্টার্স ইন ডিফেন্স স্টাডিজে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ফলশ্রুতিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় স্টাফ কোর্স করার যোগ্যতা লাভ করেন। সেখানে দক্ষতার সাথে ইউএস আর্মি কমান্ড অ্যান্ড জেনারেল স্টাফ কোর্স সম্পন্ন করার পাশাপাশি মাস্টার্স ইন মিলিটারি আর্টস অ্যান্ড সাইন্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ভারতের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ইন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিষয়ে ডিসটিংসনসহ প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সেও সর্বোচ্চ মান প্রদর্শন করেন। তিনের অধিক সামরিক প্রশিক্ষণে প্রথম স্থান অধিকার করায় তিনি এসইউপি বা সেনা উৎকর্ষ পদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি দুইবার তার কমান্ড দক্ষতার জন্য সেনাবাহিনী প্রধানের প্রশংসা লাভ করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে পিএইচডি রিসার্চ ফেলো। দীর্ঘ ৩৪ বছর ৭ মাসের কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে কমান্ড পর্যায়ে পদাতিক ব্যাটালিয়ান এবং ব্রিগেড কমান্ড, কম্যান্ডান্ট আর্মি সিকিউরিটি ইউনিট অন্যতম। স্টাফ অফিসার হিসেবে তিনি জিএসও-৩ (অপারেশন), ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড, জিএসও-২ সামরিক অপারেশন পরিদপ্তর এবং কর্নেল জেনারেল স্টাফ ডিজিএফআইয়ে দায়িত্ব পালন করেন। প্রশিক্ষক হিসেবে তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ এবং স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস’র রণকৌশল শাখায় কর্মরত ছিলেন। আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডক্ট্রিন কমান্ডের ট্রেনিং ডিভিশনের প্রধান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিদেশে যেসব ট্রেনিং কোর্সে অংশগ্রহণ করেছেন তার মধ্যে রয়েছে- মিড ক্যারিয়ার কোর্স (পাকিস্তান), ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি কমান্ড অ্যান্ড জেনারেল স্টাফ অফিসার কোর্স (যুক্তরাষ্ট্র), হাইয়ার ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট কোর্স (ভারত) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স ডিরেক্টরস কোর্স (ইউকে)। তিনি জাতিসংঘ মিশনে ১৯৯৪-৯৫ সময়ে সোমালিয়ায় এবং ২০০৩-০৪ সময়ে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফজল ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুর; ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, মিরপুর; ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি কমান্ড অ্যান্ড জেনারেল স্টাফ কলেজ, যুক্তরাষ্ট্র এবং কলেজ অব ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট, ভারত’র অ্যালামনাই। সর্বশেষে তিনি পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং একইসাথে ইরানের তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসে সামরিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।