চাঁপাইনবাবগঞ্জে চালককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চালককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪, খন্ডিত অটোরিক্সা উদ্ধার সদর উপজেলায় অটোরিক্সা কেড়ে নিতে তরুণ চালককে নেশাগ্রস্থ করে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত দু’জন এবং ওই অটোরিক্সার খন্ডাংশ কিনে নেবার দায়ে দুই ভাঙ্গাড়ী ব্যবসায়ীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিলিং মিশনে সরসরি অংশ নেয়া দু’জন হচ্ছে- রাজশাহীর তানোর থানার কলমা গ্রামের একরামুল হকের ছেলে রকি ও রাজশাহীর মতিহার থানার কাজলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জনি। ভাঙ্গাড়ী ব্যবসায়ী দু’জন হচ্ছে- তানোরের হাতিশাহিলপাড়া গ্রামের মৃত ফয়জুদ্দিন মন্ডলের ছেলে জুয়েল ও নওগাঁর মান্দা থানার চৌবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সানোয়ার হোসেন। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় পুলিশ সুপার রেজাউল করিম নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং-এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, গত শনিবার সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর রাতে হত্যা মামলা হবার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ অভিযানে হত্যা রহস্য উদঘাটন, জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং কেড়ে নেয়া অটোরিক্সার খন্ডিত অংশ, খন্ডিত অংশ বিক্রির ৩৯ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সুপার আরও বলেন,গত শনিবার সকালে সদর উপজেলার আতাহার নয়ানগর এলাকায় সরকারি সার গোডাউনের নিকট চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আমনুরাগামী আঞ্চলিক সড়ক পাশের একটি সরিষা ক্ষেত থেকে অটোরিক্সা চালক শ্রী পলাশের (১৭) প্রায় অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সদর উপজেলার সুন্দরপুর কালিনগর গোদাইটোলা গ্রামের শ্রী লাকফরের ছেলে। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার অটোরিক্সা ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায় নি। এ ঘটনায় ওইদিন অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে হত্যা মামলা করে তার বাবা। এর আগে পলাশ গত ১২ ফেব্রুয়ারী সকালে বাড়ি থেকে অটোরক্সিা নিয়ে প্রতিদিনের ন্যয় ভাড়ার জন্য বের হবার পর ওইদিন সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ হয়। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে, মামলার পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সদর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে যাত্রীবেশে হত্যায় অংশ নেয়া রকি ও জনিকে তাদের শ্মশুরবাড়ি সদর উপজেলার মহারাজপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যে ভাঙ্গাড়ী ব্যাবসায়ী জুয়েলকে রাজশাহীর তালন্দ বাজারের সমাসপুর মোড়ের নীরব ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ হতে ও অপর ব্যবসায়ী সানোয়ারকে নওগাঁর নিয়ামতপুর থানার নাকোল মোড়ের এনএস ট্রেডার্স নামের ভাঙ্গাড়ী দোকান হতে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যায় জড়িত দু’জনকে জিজ্ঞসাাবাদে জানা যায়, তারা নিহত পলাশকে কিছুদিন থেকে চিনত। তাদের মধ্যে কিছুটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও ছিল। গত শনিবার তারা নাচোল থেকে পলাশের অটো ভাড়া নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের উদ্দেশ্য যাত্রা করে। পথে তারা একত্রে মদ পান করে। এরপর পলাশকে ওই রাতেই হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে অটো নিয়ে পালিয়ে যায়। আজ দুপুরে হত্যায় জড়িত রকি ও জনিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণের জন্য এবং ব্যবসায়ী দু’জনকে চোরাই মাল কেনার দায়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে ও অন্য আর কেউ অপরাধে জড়িত কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন দিনের নারী উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন

নারী উদ্যোক্তাদের প্রধান অন্তরায় পুঁজির অভাব নারী উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল বলেছেন, নারী উদ্যোক্তাদের প্রধান অন্তরায় হচ্ছে পুঁজির অভাব। তাদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। আমাদের যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের প্রচণ্ড অনীহা রয়েছে নারীদের ঋণ দিতে। রবিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে তিন দিনের নারী উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন- বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিটি ব্যাংককে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়, কোন খাতে কত শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে হবে। কিন্তু তারা তা করে না। নারীদের বেলায় তাদের প্রচণ্ড অনীহা। অথচ এনজিওগুলো বিশেষ করে গ্রামীণ ব্যাংক প্রমাণ করেছে, নারীদের যে ঋণ দেয়া হয় সেই ঋণ শোধ হয়। অন্যদিকে আমরা অত্যন্ত আগ্রহী বড় বড় করপোরেটদের ঋণ দিতে। যারা বিদেশে টাকা পাচার করে দেয়। আমার আপনার টাকা নিয়ে তারা ব্যবসার নামে ফূর্তি করে, তারা টাকা ফেরত দেয় না, তারা হয় ঋণ খেলাপি। তাদেরকে ধরাও যায় না। কারণ তাদের সঙ্গে অনেকেই জড়িত থাকে। ধরতে গেলে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তখন তাকে আরো ঋণ দেয়া হয়। ব্যাংকগুলোর উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বলেন- আপনারা ৫০ হাজার টাকা আমাদের নারী উদ্যোক্তাদের দিয়ে দেখেন, তারা টাকা ফেরত দেয় কিনা দেখেন। তাদের টাকা দিলে সেই টাকা মার যাবে না। তিনি বলেন, নারীদের এখনো অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। প্রধান অতিথি বলেন- তিন দিনের এই মেলায় একদিন সেমিনার থাকলে ভালো হতো, সেই সেমিনারে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ব্যাংকের একটি সমন্বয় ঘটানো যেত। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার চতুর্থ শিল্প বিল্পবের সঙ্গে নিজের খাপ খাওয়ানোর জন্য নারীসহ সকলকে তৈরি হওয়ার আহ্বান জানান। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাকিব হাসান তরফদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- পুলিশ সুপার রেজাউল করিম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বিপ্লব কুমার মজুমদার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খানশুর। চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জাতীয় মহিলা সংস্থার ‘তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্প’ এই মেলার আয়োজন করেছে। মেলায় প্রায় ৬৬টি স্টলে নারী উদ্যোক্তারা তাদের নানান ধরনের পণ্যসামগ্রী বিক্রি শুরু করেছেন। তিন দিনের মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের নানান ধরনের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস পোশাক, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী নকশিকাঁথাসহ নানান বৈচিত্র্যের হস্তশিল্প, প্রসাধনী, নানান ধরনের খাবার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে নারী উদ্যোক্তা মেলা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে নারী উদ্যোক্তা মেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আগামীকাল রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে তিনদিনের নারী উদ্যোক্তা মেলা। ‘তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্প’র আওতায় এই মেলার আয়োজন করেছে জাতীয় মহিলা সংস্থা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামীকাল বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। শনিবার দুপুরে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে পুরাতন স্টেডিয়ামের পূর্ব-পশ্চিমের দেয়াল ঘেঁষে স্টল সাজানোর কাজ চলছে। মেলায় প্রায় ৬৬টি স্টলে নারী উদ্যোক্তারা তাদের নানান ধরনের পণ্য সামগ্রি বিক্রয় করবেন বলে জানা গেছে। তিনদিনের মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের নানান ধরনের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস পোশাক, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী নকশিকাঁথাসহ নানান বৈচিত্র্যের হস্তশিল্প, প্রসাধনি, নানান ধরনের খাবারসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রি বিক্রয় করা হবে। এদিকে মেলা সুষ্ঠুভাবে করার জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬১ কৃষককে কৃষি ঋণ দিল ৩৫টি ব্যাংক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬১ কৃষককে কৃষি ঋণ দিল ৩৫টি ব্যাংক ‘এসো দেশ বদলাই-পৃথিবী বদলাই’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে স্থাপিত মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে এই ঋণ বিতরণ করেন রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, বাজশাহী সার্কেলের মহাব্যবস্থাপক সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজশাহীর উপপরিচালক মো. রবিউল ইসলাম। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাকিব হাসান তরফদার, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)’র ডিজিএম শওকত শহিদুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি’র অঞ্চল প্রধান মো. রফিকুল ইসলামসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি ঋণ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির চাঁপাইনবাবগঞ্জ জোনাল অফিসের মো. নাজির হাসান। অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে ৩৫টি ব্যাংক ৬১ জন কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার কৃষি ঋণ প্রদান করে। জেলা প্রশাসন ও লিড ব্যাংক হিসেবে অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি চাঁপাইনবাবগঞ্জ এই ঋণ বিতরণের আয়োজন করে।

সোনামসজিদে বিজিবি-বিএসএফ এর সৌজন্য সাক্ষাৎ

সোনামসজিদে বিজিবি-বিএসএফ এর সৌজন্য সাক্ষাৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ বিওপিতে বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার ও বিএসএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজিবির ৫৯ মহানন্দা ব্যাটালিয়নের বাস্তবায়নে মঙ্গলবার এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সৌজন্য সাক্ষাতে সীমান্ত সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে চলমান সুসম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। এছাড়া সীমান্তে আকস্মিক যে কোনো সমস্যা সংশ্লিষ্ট কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানে একমত পোষণ করা হয়। সৌজন্য সাক্ষাৎে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেনÑ রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম জাহিদুর রহমান। বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেনÑ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল শ্রী মানিন্দ্র প্রতাপ সিং পাওয়ার। এছাড়াও বিজিবির রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার এবং বিএসএফের মালদা সেক্টর কমান্ডারসহ উভয় দেশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ পরিবাকে দেয়া হলো ২৫ লাখ টাকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ পরিবাকে দেয়া হলো ২৫ লাখ টাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ পরিচালিত ট্রাস্টি বোর্ড থেকে মঞ্জুরিকৃত ২৫ লাখ টাকার প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে এই অনুদান দেয়া হয়। রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অনুদানের চেকগুলো বিতরণ করা হয়। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আবুল কালাম সাহিদ, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল মান্নান, বিআরটিএ-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. শাহজামান, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আব্দুল ওদুদসহ অন্যরা। নিহতদের মধ্যে ২০২৪ সালের ১৫ মে জেলার নাচোল উপজেলার জোবদুল হকের ছেলে আতাউর রহমান, ৩০ মে সদর উপজেলার সুলতান আলীর ছেলে রেজাউল্লাহ, ১৪ জুন নাচোল উপজেলার আব্দুল মতিনের ছেলে জাহিদ হাসান, ২৮ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার আফসার আলীর ছেলে শাহজাহান আলী এবং ১ অক্টোবর গোমস্তাপুর উপজেলার আইনাল হকের ছেলে নূর আমিন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। নিহত হবার পর পরিবারগুলো বিআরটিএ কর্তৃক পরিচালত ট্রাস্টি বোর্ডে ক্ষতিপুর দাবি করে আবেদন করলে এই ৫ জনের পরিবারের অনুকূলে ৫ লাখ টাকা করে মঞ্জুর করা হয়। রবিবার জেলা প্রশাসন ও জেলা বিআরটিএ এই চেকগুলো বিতরণের আয়োজন করে।

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ অনুষ্ঠিত

ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ লংমার্চ কর্মসূচি ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ অনুষ্ঠিত ফেলানিসহ সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর গুলিতে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা, ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও ফারাক্কার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সামাজিক জেয়াফতের আয়োজন করা হয়। রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সরকারি মডেল হাই স্কুল মাঠে এ উপলক্ষে জেয়াফতের আয়োজনের পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভারও আয়োজন করা হয়। ‘বাংলাদেশ জনগনে’র ব্যানারে আয়োজিত সভায় ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সেই সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন সীমান্তে ভারতের আগ্রাসী ভূমিকা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় হস্তক্ষেপের চেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়ে সভায় বক্তব্য দেয়া হয়। এ সময় ভারত ও ফ্যাসিস্টবিরোধী বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে হাই স্কুল মাঠ মুখরিত করে তোলেন অংশগ্রহণকারীরা। শেষে মডেল হাই স্কুল মাঠ থেকে কিরণগঞ্জ বর্ডার অভিমুখে একটি লংমার্চ শুরু হলে পৌর এলাকার পাইলিং মোড়ে বিজিবি ও পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেখানেই দুটি গরু জবাই করে ভারত ও ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগান দেন তারা। ভারত এদেশে আর দাদাগিরি করতে পারবে না বলেও হুশিয়ারি দেয়া হয়। ‘বাংলাদেশের জনগণ’ সংগঠনের প্রতিনিধি ওয়ারেছুল ইসলাম নাসির বলেন, ফারাক্কার ন্যায্য পানির হিস্যা এবং ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে সীমান্তের নাগরিকদের সচেতন, সজাগ ও উদ্বুদ্ধ করতেই এই লংমার্চের আয়োজন করা হয়েছে। সীমান্তের সকল নাগরিকদের সচেতন করা হচ্ছে। আমরা পুরো দেশের নাগরিকরা সীমান্তবাসীর সাথে রয়েছি। পাশাপাশি সীমান্তে সকল ধরনের আগ্রাসন ও হত্যা বন্ধের হুশিয়ারি দেন তিনি। ‘বাংলাদেশের জনগণে’র মুখপাত্র আবু মোস্তাফিজ বলেন, ১৯৭১ সাল থেকে ভারত বাংলাদেশকে শোষণ করে এসেছে। সীমান্তে বড়ভাইয়ের মতো আচরণ করেছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতের সাথে জিরো লাইনে ভারতকে বেড়া নির্মাণের অনুমতি দিয়ে দেশকে ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আর এসব মেনে নেয়া হবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ যেভাবে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে কাস্তে হাতে বিএসএফকে প্রতিহত করেছে, ঠিক একইভাবে দেশের সকল মানুষকে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠতে হবে। স্থানীয় কলেজ শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, দেশের জন্য যারা কাজ করছে, ভারতের অন্যায়ের প্রতিবাদে যারা সোচ্চার হয়েছে তাদের উৎসাহ দিতেই তিনি এ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। এর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ লংমার্চে যোগ দেন এবং সবাইকে সোচ্চার হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান।

নিরাপদ সবজি উৎপাদনে ‘গ্যাপ’ অনুসরণ : কৃষক প্রশিক্ষণ শেষে মাঠ দিবস

নিরাপদ সবজি উৎপাদনে ‘গ্যাপ’ অনুসরণ : কৃষক প্রশিক্ষণ শেষে মাঠ দিবস চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাঠ দিবস ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) এর আওতায় বাস্তবায়িত মৌসুমব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ (টিওটি) কোর্সের (গ্যাপ, আইপিএম, আইসিএম, আইপিএনএস) এই মাঠ দিবস ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কৃষিতে গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকর্টিস (গ্যাপ) অনুশিলনের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদনের ওপর চার মাস মেয়াদি কৃষকদের প্রশিক্ষণ শেষে মাঠ দিবসের আয়োজন করে প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেশন ইউনিট খামারবাড়ি ঢাকার সহযোগী সংস্থা ‘পার্টনার’। শনিবার বিকেলে কল্যাণপুর হটিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক একেএম মঞ্জুর মাওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠদিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা শামীম ইকবাল, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুনাইন বিন জামান, পার্টনার-এর সিনিয়র মনিটরিং অফিসার অশোক কুমার রায়সহ অন্যরা। মাঠদিবসের আলোচনায় বক্তরা বলেন, গ্যাপ অনুশীলনের মাধ্যমে উৎপাদিত সবজি বিদেশে রপ্তানির ফলে একদিকে যেমন বৈদেশিক মূদ্র অর্জন করা সম্ভব হবে অন্যদিকে তেমনি কৃষক তার পণ্যের উচ্চ মূল্য পাবেন। এছাড়া দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ সবজি সরবরাহ নিশ্চিত করাও সম্ভব হবে। এসময় গ্যাপ কার্যক্রমের আওতায় ৮টি প্রদর্শনী প্লট তৈরি করা হয়।৭৫ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

জেলা মিল মালিক ও আতপ ধান চাউল ব্যবসায় সমিতির সভাপতি হারুণ সম্পাদক বাবু

জেলা মিল মালিক ও আতপ ধান চাউল ব্যবসায় সমিতির সভাপতি হারুণ সম্পাদক বাবু চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মিল মালিক ও আতপ ধান চাউল ব্যবসায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ২০২৪-২৫ মেয়াদে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হয়।  শনিবার স্থানীয় সন্ধ্যা কমিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় পূর্বের কমিটিই বহাল রাখা হয়। কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি পদে মো. হারুণ অর রশিদ, সিনিয়র সহসভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. শামসুদ্দিন, সহসভাপতি পদে মুখলেসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক পদে মসিউল করিম বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আলহাজ¦ মফিজ উদ্দিন, সহসাধারণ সম্পাদক সম্পাদক পদে আমিনুল ইসলাম নির্বাচিত হন। এছাড়া কার্যানির্বাহী কমিটির ১১ জন সদস্য পদে নির্বাচিত হন। তারা হলেন-আব্দুর রাজ্জাক, সারোয়ার হোসেন, ফারুক আহমেদ, আশরাফুল হক, রেজাউল করিম, আব্দুল মান্নান, শফিকুল ইসলাম, ওমর ফারুক, ইব্রাহিম আলী বাবলু, বোরহান উদ্দিন সেন্টু, শামীম হোসেন।

চার প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে বিদায় সংবর্ধনা দিল বাপসা

চার প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে বিদায় সংবর্ধনা দিল বাপসা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের ৪জন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমিতি (বাপসা), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা। শনিবার সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এক অনুষ্ঠানে তাদেরকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংগঠনটির জেলা সভাপতি মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন, বাপসা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও পারবর্তীপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মুকুল হোসেন, ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সেরাজুল ইসলাম, রানীহাটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রেজাউর রহমান, ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি পাল, বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর, ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আকবর আলী, গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রাকিবুল করিমসহ অন্যরা। সম্প্রতি শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহা. আব্দুল খালেক, উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ, বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহা. মুনসুর রহমান, বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন অবসরে গেছেন।