দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রমসময় নির্ধারণসহ বিভিন্ন দাবিতে হোটেল শ্রমিকদের মানববন্ধন

দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রমসময় নির্ধারণসহ বিভিন্ন দাবিতে হোটেল শ্রমিকদের মানববন্ধন দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রমসময় নির্ধারণসহ হোটেল রেস্তরাঁ শ্রমিকদের রাষ্ট্র প্রদত্ত ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হোটেল শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়নের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করেন হোটেল শ্রমিকরা। সংগঠনটির সভাপতি রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে হোটেল শ্রমিকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন, সংগঠনটির উপদেষ্টা ও জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইদুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এবং দাবিসমূহ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক দেলুয়ার হেসেন সবুজ, জেলা শাখার সহসভাপতি ইব্রাহিম খলিল, সংগঠনটির পৌর শাখার সভাপতি এনায়েতুল্লাহসহ অন্যরা। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, হোটেল শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও ছবিসহ পরিচয়পত্র প্রদান, সার্ভিস বহি সংরক্ষণ করা, শ্রমিক রেজিস্টার সংরক্ষণ, মহিলা শ্রমিকদের প্রসুতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান, বিশ্রাম বা আহারের জন্য বিরতি, সাপতাহিক ছুটি, মহিলা শ্রমিকদের সীমিত কর্মঘণ্টা ইত্যাদি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হজ যাত্রীদের দুদিনের প্রশিক্ষণ শুরু

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হজ যাত্রীদের দুদিনের প্রশিক্ষণ শুরু চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গমনেচ্ছু হজযাত্রীদের হজ বিষয়ক দুদিনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন সরকারের যুগ্ম সচিব ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন ইসলামি ব্যাংক পিএলসি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার এসএভিপি আবু সাঈদ আব্দুল্লাহ, রাহবারে হারামাইন ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসসের স্বত্বাধিকারী ও হাব প্রতিনিধি আবুল হোসাইন, জোড়গাছি বায়তুল আতিক জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মাতিনসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক গোলাম মোস্তফা। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয় এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে জানানো হয় এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে এক হাজার একশ আটাশ জন হজযত্রী হজব্রপালনে সৌদি আরব যাবেন। তার মধ্যে ৪২ জন সরকারিভাবে এবং এক হাজার ৮৬ জন। আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজযাত্রীরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যাত্রা শুরু করবেন বলে জানানো হয়।

নাচোলে বর্ণিল আয়োজনে পালিত হলো বর্ষবরণ

নাচোলে বর্ণিল আয়োজনে পালিত হলো বর্ষবরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নববর্ষ ১৪৩২ বর্ষবরণ উৎসব পালিত হয়েছে। উপজেলা ৎফাঘষ চত্বরে সকাল ৮ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণিল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তাভাত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় উপজেলা চত্বর থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিয়া সুলতানার নেতৃত্বে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় অং নেন, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা এবং নানা বয়সী মানুষ। শোভাযাত্রায় মুখোশ, মাছধরা জাল, গরুর গাড়ি, লাঙ্গল, নিয়ে তুলে ধরা হয়েছে গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতি নির্ভর মানুষের সংগ্রামের রূপ ফুটে উঠে। হলুদ, লাল, সবুজ ও কমলা রঙের পোশাকে সাজেন সবাই। নারীদের মাথায় ফুলের মালা, হাতে রঙিন চুড়ি এবং শিশুদের মুখে উচ্ছ্বাস সব মিলিয়ে ছিলো প্রাণবন্ত পরিবেশ। শোভাযাত্রাটি উপজেলা চত্বর থেকে শুরু করে পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় উপজেলা চত্বরে শেষ হয়। সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা শেষে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে সংগীত পরিবেশন করা হয়। এতে উপস্থিত দর্শকরা আনোন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। অপরদিকে নাচোল সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, খুরশেদ মোল্লা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, মুন্সী হযরত আলী উচ্চ বিদ্যালয়, এশিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ, বেগম মহসিন ফাজিল মাদ্রাসা তারা নিজ উদ্যোগে নিজ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ষবরণ উৎসব পালন করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নানা আয়োজনে বর্ষবরণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নানা আয়োজনে বর্ষবরণ পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুন উদ্দীপনায় পথচলার নির্মল আনন্দে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরণ করা হচ্ছে বাংলা সন ১৪৩২কে। পুরাতন গ্লানি মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে নতুর বছরকে বরণ করা হচ্ছে। বর্ষবরণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনসহ শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলা প্রশাসন, সরকারি দপ্তর ও বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, এনজিও নানান কর্মসূচির আয়োজন করে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার পহেলা বৈশাখ সকাল সাড়ে ৮টায় ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণিল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঞ্চে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় নজর কাড়ে ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি, মাথাল মাথায় ও কাস্তে হাতে কৃষক, মাছ ধরার জাল, কলসি কাঁকে গৃহবধূ, গায়ে হলুদ. পাল্কিসহ আবহমান বাংলার কৃষকের নানা উপকরণ। সেই সঙ্গে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ঢাকঢোল, নানা রকমের প্রতিকৃতি, অংশগ্রহণকারীদের নানান রংয়ের বাহারী পোশাক আর কুলায় লেখা শুভ নববর্ষ ইত্যাদি। শোভাযাত্রা শেষে মঞ্চের সামনে বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী লোকজ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঞ্চে শুরু হয় দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। গাওয়া হয় এসোহে বৈশাখ এসো এসো গানটিসহ বৈশাখী গান। অনুষ্ঠানে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি, প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিল্পী গোষ্ঠী সংগীত পরিবেশন করে। মঞ্চের সামনে বসা দর্শকদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বিতরণ করে নানান ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়িদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. শাহাব উদ্দিন, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুন, প্রয়াস মানিবক উন্নয়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির বর্ষবরণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির বর্ষবরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাঁকমকপূর্ণ পরিবেশে নতুন বছরকে বরণ করেছে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। এ উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। সোমবার সাকলে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের বেলেপুকুর থেকে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন, প্রয়াসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রয়াসের পরিচালক ও রেডিও মহানন্দার স্টেশন ম্যানেজার আলেয়া ফেরদৌস, পরিচালক পঙ্কজ কুমার সরকার, যুগ্ম পরিচালক নাসের উদ্দিন, সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবুল খায়ের খান, সহকারী পরিচালক মু. তাকিউর রহমান, কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ, ফিরোজ আলম, শাহাদাৎ হোসেন, আবুল কালাম আজাদসহ প্রয়াস, রেডিও মহানন্দা, প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউট, প্রয়াস হাসপিটালসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মকর্তাসহ অন্যরা। বর্ষবরণ আনন্দা শোভাযাত্রা শেষে গ্রিন ভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রয়াসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে শান্তি থাকলে রাষ্ট্রীয় জায়গায় শান্তি বজায় থাকবে- এই প্রত্যাশা আমাদের। আগামীর দিনগুলো যদি আমরা সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করতে পারি, অতীতের দিনগুলো বিশ্লেষণ করতে পারি তাহলে আমাদের পথচলাটা আমরা খুঁজে পাবো। তিনি আরো বলেন, আমরা খুব স্বল্প সময়ে আজকের আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছি। গত ৪ বছরে রোজা, করোনার পর এবছর সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ নিয়ে প্রয়াসের সবচেয়ে বড় আয়োজন। এজন্য কমিটি করে দিয়েছিলাম যারা খাবার, সাজ ও বিচারক কমিটিতে ছিলেন। সবথেকে বড় বিপদ বিচারক হওয়া, বিশেষ করে চিন্তা হয় কাউকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হলো কিনা এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। হাসিব হোসেন বলেন, এই সবকিছুর পরেও কবির ভাষায় বলতে চাই, মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা। আমাদের যত গ্লানি ছিলো এই অগ্নিস্নানের মধ্য দিয়ে তা দূরীভূত করবো। আমরা নিজেদের মধ্যে যদি সবাই ভালো থাকি তাহলে সবাই ভালো থাকবো। নিজেদের মধ্যে দুই একজন খারাপ থাকি তাহলেও কিন্তু সেটা ভালো নয়। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করাটা আমাদের মানবিক দায়িত্ব বা মানুষ হিসেবে দায়িত্ব। আরেকটি কথা, মানুষ কখনো পিছনে হাঁটতে পারে না। মানুষ সবসময় সামনে হাঁটে। সবাই একে অপরের সাথে মিলে এই নববর্ষে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, আগামী দিনকে যত গ্লানি যত জরা আছে তা অগ্নিস্নানে সুন্দর হয়ে উঠুক-আমি এই প্রত্যাশা করি। আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে যেমন খুশি তেমন সাজোতে মোট ২২ জনকে উপহার প্রদান করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিশু সুরক্ষা ও সংহিসতা প্রতিরোধে ৩ দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিশু সুরক্ষা ও সংহিসতা প্রতিরোধে ৩ দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিশুর সুরক্ষা, সংহিসতা প্রতিরোধ ও মোকাবিলার জন্যে বিশেষ কৌশল হিসেবে ধর্মীয় নেতাদের মতামত ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক ১০-১২ এপ্রিল পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে, এসএসবিসি প্রকল্পের সহায়তায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এই কর্মসূচির আয়োজন করে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় ধর্মীয় নেতারা। অনুষ্ঠানে ইমাম আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালিত হয়। প্রশিক্ষণে ধর্মীয় নেতাদের বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন, কারণ ও প্রতিরোধ, বন্ধে অভিভাবক ও ধর্মীয় নেতাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা করেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার নারী ও শিশু কর্মকর্তা রোকসি খানম, নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা মুফতী মো. আবদুল হানিফ কাদের ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার আতাউর রহমান এবং সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক উত্তম মন্ডল, আবদুর রহিমসহ অন্যান্যরা। প্রশিক্ষণে বক্তারা বাল্যবিয়ে ও শিশুর প্রতি সংহিসতা বন্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম আরো জোরদার করার আহ্বান জানান। এই সময়ে ধর্মীয় নেতাদের বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন, কারণ ও প্রতিরোধ, বন্ধে অভিভাবক ও ধর্মীয় নেতাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা ও মতামত গ্রহণ করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ২০ জন ইমাম ও পুরোহিত অংশগ্রহণ করেন এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ গ্রাম ও ওয়ার্ডকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী’কে খুনের দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী’কে খুনের দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী ও ৩ সন্তানের জননী রোখসানা বেগমকে পারিবারিক কলহের জেরে গলাটিপে শ^াসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী জনি ইকবালকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে তাঁকে দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ছয়মাস কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। আজ বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ মিজানুর রহমান একমাত্র আসামী জনির উপস্থিতিতে আদেশ প্রদান করেন। দন্ডিত জনি শিবগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ঘোনটোলা গ্রামের এসাহাক মন্ডলের ছেলে। নিহত রোখসানা শিবগঞ্জের কমলাকান্তপুর গড়েপাড়া গ্রামের এসরাইল হোসেনের মেয়ে। মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায় এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ২০১৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে পিতার বাড়িতে স্বামীসহ ঘুমোতে যাবার পর খুন হন রোখসানা। পরদিন সকালে শোবার ঘর হতে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তাঁর স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। এ ঘটনায় ওইদিন শিবগঞ্জ থানায় জনিকে একমাত্র আসামী করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহতের পিতা। পরে ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর জনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জনি পেশায় ট্রাক চালক এবং রোখসানার দ্বিতীয় স্বামী চিলেন। ৩ সন্তানসহ তালাক হবার পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে রোখসানাকে বিয়ে করেন জনি। তবে তাঁদের সংসারে কলহ, মরাধর লেগেই থাকত। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর জনিকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এবং শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন পরিদর্শক(তদন্ত) সেলিম রেজা। ১৫ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানী শেষে আদালত জনিকে দোষি সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. সাইফুল ইসলাম রেজা।

শিবগঞ্জে বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানের ২৭০তম জন্ম বার্ষিকী পালন

শিবগঞ্জে বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানের ২৭০তম জন্ম বার্ষিকী পালন শিবগঞ্জে হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের আবিষ্কারক বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানের ২৭০তম জন্ম বার্ষিকী পালন ও হোমিওপ্যাথি দিবস উপলক্ষে চার শতাধিক অসহায়, দুস্থ রােগীর মাঝে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষধ বিতরণ করা হয়েছে। আজ সকালে কানসাট সাইফুদ্দিন মেমোরিয়াল ফাজিল মাদ্রাসা চত্বরে হোমিও চিকিৎসক কল্যান সমিতির উদ্যোগে সমিতির সভাপতি ডা: জান মুহাম্মদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা: শামিম উদ্দীন বুলেট, সদস্য ডা: ইসাহাক আলী, ডা: নাসির উদ্দীন এবং ডা: আজিজুল হকসহ অন্যান্যরা। উল্লেখ্য, হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের আবিষ্কারক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান জার্মানির একজন বিখ্যাত চিকিৎসক ছিলেন, তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার আবিষ্কারক। হ্যানিম্যান ১৮০৫ সালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চালু করেন।১৭৫৫ সনে ১০ এপ্রিল জার্মানীর অন্তর্গত স্যাকস্যানী প্রদেশের মিশন নগরীর পটুয়ার ঘরে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।১৮৪৩ সালে প্যারিসেই মৃত্যুবরণ করেন।

গোমস্তাপুরে মরনোত্তর দাবির চেক বিতরণ

গোমস্তাপুরে মরনোত্তর দাবির চেক বিতরণ গোমস্তাপুরে জীবন বীমা কর্পোরেশনের ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭০০ টাকার মরণোত্তর দাবির চেক বিতরণ করা হয়েছে। আজ সকালে জীবন বীমা কর্পোরেশনের রহনপুর শাখা কার্যালয়ে এই দাবির চেক বিতরণ করা হয়। জীবন বীমা কর্পোরেশনের রাজশাহী রিজিয়ন অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার ইনচার্জ আনারুল হক মরণোত্তর দাবির চেক মৃত নারীর স্বামী মোহাম্মদ আলী পান্নার কাছে তুলে দেন। রহনপুর শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রহনপুর শাখার ডিএম ইনচার্জ ফরহাদ আলী। এ সময় বক্তব্য দেন রহনপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, রহনপুর পূর্ণভবা মহানন্দা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ইমতিয়াজ মাসরুর, জীবন বীমা কর্পোরেশনের রাজশাহী রিজিয়ন অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (উন্নয়ন) মনিমুল ইসলাম,রহনপুর শাখার সাবেক ইনচার্জ মুজিবুর রহমানসহ অন্যরা। উল্লখ্য, গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ আলী পান্নার স্ত্রী বীমাগ্রাহক নাসরিন বেগম ৫ টি প্রিমিয়ার দিয়ে মারা যান। এরই প্রেক্ষিতে জীবন বীমা কর্পোরেশন নমিনি তার স্বামীকে ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৭০০ টাকার চেক আজ তুলে দেওয়া হয়।

সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৫৪০ কৃষকের মধ্যে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরনের উদ্বোধন

সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৫৪০ কৃষকের মধ্যে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরনের উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ৬ হাজার ৫৪০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে উফশী আউশ ধান ও মুগ বীজ বিতরণের উদ্বোধন করা হয়েছে। কৃিষ সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে খরিফ-১ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উচ্চ ফলনশীল (উফশী) আউশ ধান ও গ্রীষ্মকালীন মুগ ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৫শ জন কৃষককে উফশী আউশের ৫ কেজি করে বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ৪০ জন কৃষককে ৫ কেজি করে গ্রীষ্মকালীন মুগ বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ৫ কেজি করে এমওপি সার দেয়া হচ্ছে। আজ সকালে সদর উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে উপজেলা কৃষি অফিস আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিতরণের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুন। এসময় সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুনাইন বিন জামান, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার কাঞ্চন কুমার দাস, অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজার আব্দুল আলিম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আনিসুল হক মাহমুদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুন কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন-প্রণোদনার বীজ ও সার সঠিকভাবে কাজে লাগাবেন। মনে রাখতে হবে আমাদের খাদ্য চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকার বিনামূল্যে আপনাদের এই প্রণোদনা দিচ্ছেন। পাশাপাশি আপনাদের সন্তানদের লেখাপড়া শেখাবেন, তারা যেন মাদকের ছোবল থেকে দূরে থাকে সেদিকে নজর রাখবেন, কন্যাসন্তানদের বাল্য বিয়ে দেবেন না।