বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা

বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই বাজেট ঘোষণা করেন ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর মো. আল আমীন। ঘোষিত বাজেটে রাজস্ব ও উন্নয়ন মিলিয়ে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার টাকা। আর সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ টাকা। উদ্বৃত্ত দেখানো হয়েছে ৮০ হাজার ২০০ টাকা। বাজেটে ভৌত অবকাঠামো ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, শিক্ষা খাতে ৪ দশমিক ০২ শতাংশ, স্বাস্থ্য ও পয়ঃনিষ্কাশনে ৩ দশমিক ২২ শতাংশ, দারিদ্র্য হ্রাসে ২৫ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং নারী, শিশু ও যুব উন্নয়নে ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ ব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ। অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, বাজেট একটি অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া। এতে জনগণের মতামত ও চাহিদার প্রতিফলন ঘটানো হয়। তাই উন্মুক্ত বাজেট সভার মাধ্যমে আমরা ইউনিয়নবাসীর সামনে পরিষদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করি। আপনাদের প্রশ্ন, মতামত ও পরামর্শ আমাদের কাজের গতি বাড়ায় এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। বাজেট উপস্থাপনের পর আয়োজিত মুক্ত আলোচনায় স্থানীয় জনসাধারণ অংশ নেন। এ সময় বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। সভায় চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ বলেন, এই বাজেট আমাদের এলাকার সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। আপনাদের সহযোগিতা ও কর পরিশোধের মাধ্যমেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব। আমরা চাই, বারঘরিয়া ইউনিয়ন একটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত হোক। রাস্তা, ড্রেন, সুপেয় পানি, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ব্যবস্থা ও কর্মসংস্থানে আমরা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই কাজে সবার অংশগ্রহণ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ, তাসিকুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, কালু উদ্দিন, সবুজ মিয়া, সবর আলী, নাসিম আলী, সেমাজুল ইসলাম, সুলেখা বেগম, নাসরিন বেগম পপি, রেবেকা বেগম ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পা-ব কুমার সিংহসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

নাচোলে প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সেমিনার

নাচোলে প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সেমিনার   নাচোলে ‘বাংলাদেশের প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পেইজ)’ প্রকল্পের অবহিতকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা পরিষদের মিনি কন্সফারেন্স রুমে উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের আয়োজনে ও বাস্তবায়নে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সোহেল রানার সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিভাগীয় সমাজসেবা সহকারী পরিচালক আবু তাহের। আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুলতানা রাজিয়া, সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক রিজিয়া খাতুন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক উম্মে কুলসুম। এছাড়াও সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দুলাল হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মৃণাল কান্তি সরকার, নাচোল থানার এসআই আলমগীর হোসেন, সমাজ সেবা অফিসের অফিস সহকারী আরিফুল ইসলামসহ সমাজ সেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি ও প্রান্তিক পেশাজীবী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, ১৫০টি উপজেলায় ১০ ক্যাটাগরিতে প্রান্তিক পেশাজীবির কামার, কুমার, নাপিত, শতরঞ্জি, মুচি, নকশী কাঁথা, লোকজ শিল্পী, বাঁশ বেত, লোকযন্ত্র ও কাঁসা পণ্য প্রস্তুতকারী পেশাজীবীদের জীবন মান উন্নয়নে (২য় পেইজে) কাজ চলমান রয়েছে সেমিনারে জানানো হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেলথ ওয়াচের আঞ্চলিক পরামর্শ সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেলথ ওয়াচের আঞ্চলিক পরামর্শ সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বাস্থ্য জনবল সম্পর্কিত আঞ্চলিক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম শাহাব উদ্দিন। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোরশেদ আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফোকাল পার্সন ও প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ। পাওয়ার পয়েন্ট প্রজেন্টেশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের কনসালটেন্ট নুরুন্নবী তালুকদার। এসময় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবদুস সামাদ, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সুলতানা পাপিয়া, ডা. রাকিবুল ইসলাম, ডা. ইনজামামুল হক, ডা. সাইকি ওদুদ, নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল উদ্দিনসহ শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও নাচোল উপজেলার মেডিকেল অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের সহযোগিতায় এই আঞ্চলিক সভার আয়োজন করে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারী সংগঠক,সমাজসেবী এবং সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব গৌরি চন্দ সিতু’র মৃত্যুতে স্মরণসভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারী সংগঠক, সমাজসেবী এবং সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব গৌরি চন্দ সিতু’র মৃত্যুতে স্মরণসভা   চাঁপাইনবাবঞ্জের প্রিয়মুখ, নারী সংগঠক, সমাজকর্মী এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গণের প্রাণ গৌরী চন্দ সিতু’র মৃত্যুতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জেলা শহরের কল্যাণী মহিলা সংসদের মর্জিনা হক মিলনায়তনে জেলা গার্ল গাইড এসোসিসয়েশন, ইনার হুইল ক্লাব, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা এবং কল্যাণী মহিলা সংসদ যৌথভাবে এই সভা আয়োজন করে। গৌরী চন্দ সিতু’র বড়বোন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কবিতা চন্দের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা গার্ল গাইড এসোসিসয়েশন সম্পাদক রোকসানা আহমদ, নবাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিক্ষক হাসিনুর রহমান, ইনার হুইল ক্লাবের জেলা সভাপতি ফারুকা বেগম, মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ তাজকেরা নাজনীন, কল্যাণী মহিলা সংসদের সদস্য ডা.সালমা আঞ্জুমান বানুসহ অনেকে। বক্তারা গৌরী চন্দ সিতুকে সমাজের পথ প্রদর্শক, অনুসরণীয় এবং অনুকরনীয় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তাঁর অকাল প্রয়াণ সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আলোচনা করার সময় অনেক বক্তা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তাঁরা বলেন, বহু প্রতিষ্ঠানে জড়িত থেকে আজীবন কাজ করে গেছেন সিতু। সভায় তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয় এবং অত্মার মুক্তি কামলায় প্রার্থণা করা হয়। উল্লেখ্য গত ৩০ এপ্রিল শহরের নিজ বাসভবনে অসুস্থ হয়ে মারা যান গৌরী চন্দ সিতু। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, দুই ছেলে সহ বহু গূণগ্রাহী রেখে ঘেছেন। তাঁর মৃত্যুতে এর আগে শোকসভা করেছে সনাক এবং নারী সংগঠন জাগো নারী বহ্নিশিখা।

ভোলাহাটে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ভোলাহাটে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ ভোলাহাট উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুর” হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মডেল মসজিদ মিলনায়তনে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনির”জ্জামান। এতে প্রশিক্ষক ছিলেন, অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাসিম উদ্দিন ও গ্রাম আদালতের উপজেলা সমন্বয়কারি সন্ধ্যা রানীসহ অন্যরা। প্রশিক্ষণে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা আরো কার্যকর করার জন্য সংশি¬ষ্টদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়।

শিবগঞ্জে বজ্রপাতে নিহতের পরিবারদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান

শিবগঞ্জে বজ্রপাতে নিহতের পরিবারদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান শিবগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত দুই পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নিহত দুই পরিবারের সদস্যদের মাঝে এই নগদ ৫০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী। এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ছত্রাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী ছবি, নয়ালাভাঙা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রায়হান আলী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আকবর হোসেনসহ অন্যরা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে বজ্রপাতে তিনটি গরুসহ রাখাল ও শ্রমিক নিহত হন। নিহতরা হলেন- উপজেলার নয়ালাভাঙা ইউনিয়নের উপর সুন্দরপুর গ্রামের বিশারত আলীর ছেলে তাসবুর আলী ও ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের হঠাৎপাড়া গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন। এ সময় তাসবুর আলীর তিনটি গরুও মারা যায়।

শিবগঞ্জে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময়

শিবগঞ্জে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় শিবগঞ্জে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক র‌্যালি, মতবিনিময় সভা, বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে শিবগঞ্জ পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহার আলী। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসহাক আলী, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তি শাহিন আকতার, জনস্বাস্থ্যের সহকারী প্রকৌশলী সুজয় কর্মকার ও উপজেলা দুর্নীতি কমিটির সদস্য একেএস রোকনসহ অন্যরা। পরে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় রানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় শিবগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদালয় দল। শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ তুলে দেয়া হয়। এর আগে পৌর চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়।

চীনে আম রপ্তানি শুরু ২৮ মে

চীনে আম রপ্তানি শুরু ২৮ মে  চাঁপাইনবাবগঞ্জে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম রপ্তানিকারক ও আম ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন। জেলা চেম্বার ভবনে মঙ্গলবার দুপুরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন- আগামী ২৮ মে থেকে চীনে আম রপ্তানি শুরু হবে। এবছর ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন আম রপ্তানি করতে যাচ্ছি। এজন্য কিছু চ্যালেঞ্জও আছে। যেমন, আম পরিশোধনের জন্য হটওয়ার্টার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট লাগবে, সে জায়গা থেকে আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০টি হটওয়াটার প্লান্ট দিব, বাকি আপনারা ম্যানেজ করবেন। আম পরীক্ষার জন্য একটি কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র দরকার। সে জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বা রাজশাহীতে কোয়ারেন্টাইন ফ্যাসিলিটিজের ব্যবস্থা করা হবে। প্রসেসিং বা প্যাকেজিংটাও হবে। পাশাপাশি রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে কার্গোবিমানে কম খরচে আম পরিবহন করা যায় কিনা, সে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ২৫ থেকে ২৬ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হচ্ছে। ফ্রেশ আমের পাশাপাশি আমকে প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং প্রসেসিংয়ের বিরাট সম্ভাবনা আছে। এ কাজে উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে নতুন নতুন পদ্ধতি বের করতে হবে। আমাদের তরফে যা যা সহযোগিতা দরকার তা আমরা করব। পুঁজির বিনিয়োগের ব্যাপারে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করব। তাছাড়া কৃষিভিত্তিক ইপিজেড স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করব। আম বোর্ড করার ব্যাপারেও আলোচনা করব। চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য দেনÑ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক মোহাম্মদ শাহজালাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইকতেখারুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি খায়রুল ইসলাম, সহসভাপতি আখতারুল ইসলাম রিমন। আমচাষিদের মধ্যে বক্তব্য দেনÑ বরেন্দ্র কৃষি উদ্যোগের মুনজের আলম মানিক, আহসান হাবিব, ইসমাইল খান শামীমসহ অন্যরা। আব্দুল ওয়াহেদ তার বক্তব্যে আমনুরায় কৃষিভিত্তিক ইপিজেড করার জন্য তার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। মানিক তার বক্তব্যে জানান, ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মালদায় আম উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে কৃষি অফিসের হিসাবমতে, প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টন আম হয়। তবে এ হিসাব আরো বেশি হবে। প্রায় ৯ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়। এর মধ্যে বাজারজাত করতে পারি সাড়ে ৪ লাখ টন। বাকি আম কোনো না কোনোভাবে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যদি ফ্রেশ আমের পাশাপাশি আমজাত পণ্য তৈরি করতে পারি তাহলে ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন হবে। আহসান হাবিব তার বক্তব্যে আমের বাইপ্রডাক্টের ভ্যালু প্রায় ৬ হাজার কোটি হবে। তিনি আম বোর্ড, আম গবেষণা কেন্দ্র, আম নিয়ে নীতিমালা, আমবাগানে সেচের জন্য সোলার প্যানেল স্থাপন, কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানান। আম উৎপাদন ও রপ্তানির বিদ্যমান অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শনের লক্ষে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সফর করেন।  মঙ্গলবার সকালে তিনি শিবগঞ্জে রপ্তানিযোগ্য দুটি আমবাগান পরিদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি হরিনগরে সিল্ক কারখানা ও শো-রুম পরিদর্শন করেন। পরে স্থানীয় উৎপাদকবৃন্দের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তথ্য আহরণ ও এসব প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার সমাপনী

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার সমাপনী ‘জ্ঞান বিজ্ঞানে করব জয়, সেরা হবো বিশ্বময়’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলা শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী এই মেলা শেষ হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঞ্চে সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সালমা আক্তার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন- নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল আওয়াল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ইকতেখারুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার রুবিনা আনিস। সমাপনী দিনে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসনেয়াতুন নেসা। আলোচনা শেষে বিজয়ী শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দুই দিনব্যাপী মেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলার ৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও উদ্ভাবকরা অংশ নিয়েছেন। যেখানে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্ভাবিত ধারণা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন জ্ঞান বিজ্ঞানে করবো জয়, সেরা হবো বিশ্বময়’ শ্লোগানে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ, ৯ম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, ৯ম বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা এবং বিজ্ঞান বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মঞ্চে এসব কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি ) সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) এ.এন.এম. ওয়াসিম ফিরোজ, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি ডাঃ সাইকী ওদুদ, জেলা শিক্ষা অফিসার রুবিনা আনিস। জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সামাদ তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞানমনস্ক করে তুলতে হলে তাদেরকে পরিবেশ দিতে হবে। আমাদের দেশের বিভিন্ন বিজ্ঞানী নাসাসহ বিভিন্ন জায়গায় নেতৃত্ব দিচ্ছে এ ভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর শিক্ষার্থীদের বেড়ে উঠতে হবে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে যেসব প্রতিভা আছে আমরা যেন সেসব প্রতিভার বিস্ফোরণ ঘটাতে পারি। শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী সবাইকে একত্রে কাজ করে আমাদের সুন্দর বাংলাদেশকে আরো সুন্দর করতে হবে। দুই দিন ব্যাপী মেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলার ৩৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও উদ্ভাবকরা অংশ নিয়েছেন। যেখানে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্ভাবিত ধারণা নিয়ে হাজির হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন আমিনুল হক আবির ও আশরাফুল ইসলাম।