শিবগঞ্জে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মতবিনিময়

শিবগঞ্জে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মতবিনিময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভার প্রশাসক ও শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজাহার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনায় অংশ নেন— শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল উদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী হারুণ অর রশিদ, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম তোফাজ্জল হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল বাতেনসহ অন্যরা। সভায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার এবং জ্বর হলে হাসপাতালে আসার জন্য উপজেলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এবার শিবগঞ্জেও ডেঙ্গুর হানা : চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন আক্রান্ত ৫০

এবার শিবগঞ্জেও ডেঙ্গুর হানা : চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন আক্রান্ত ৫০ চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর ও গোমস্তাপুরের পর এবার শিবগঞ্জেও ডেঙ্গু দেখা দিয়েছে। অধিক বর্ষা ও রাস্তাঘাট, ড্রেন, খাল, ডোবা অপরিষ্কার থাকায় নীরবে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটছে। গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন করে আরো ৫০ জনের দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জনকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ২৫ জনের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ১১ জন মহিলা ও ৫ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া বহির্বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ২২ জন রোগী। তারা হাসপাতালে ভর্তি হননি। অন্যদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ২ জন এবং গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ১ জন রোগী। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। জেলা হাসপাতালের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, পূর্বের মোট ভর্তি রোগী ছিলেন ৫৩ জন। তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ৩০ জন মহিলা ও ৬ জন শিশু রোগী ছিলেন। একই সময়ে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২১ জনকে। এই ২১ জনের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ, ৭ জন মহিলা রয়েছেন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৫৭ জন। এই ৫৭ জনের মধ্যে ১২ পুরুষ ও ৩৪ জন মহিলা এবং ৯ জন শিশু রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৬৯৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৯০ জন।
বাবুডাইংয়ে কাব স্কাউট প্যাক মিটিং

বাবুডাইংয়ে কাব স্কাউট প্যাক মিটিং রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় কাব ইন স্কাউটিং এর আওতায় প্রথমবারের মতো কাব স্কাউট প্যাক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়। এতে ১৫ জন কাব বালক ও ২৬ জন কাব বালিকা অংশ নেয়। ঘণ্টাব্যাপী প্যাক মিটিংয়ের মাধ্যমে কাব শিক্ষার্থীদের মহাবৃত্ত তৈরি, গ্র্যান্ড ইয়েল প্রদান, স্কাউট সালাম, স্কাউট পতাকা উত্তোলন ও নামানো, প্রার্থনা সংগীত এবং প্যাক মিটিং কিভাবে পরিচালনা করতে হয় তা হাতে কলমে শেখানো হয়। এছাড়াও প্যাক মিটিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী স্কাউটিং এর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে কাবদের ধারণা প্রদান করা হয়। কাব শিশুরা এই অনুষ্ঠানটিতে অত্যান্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে মনোযোগ সহকারে প্রতিটি সেশনে অংশ নেয়। উল্লেখ্য বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাব ইন স্কাউটিং কার্যক্রম চালু করতে হবে। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে বাংলাদেশ স্কাউটস, রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালনায় পাঁচদিন ব্যাপী ৬৯৯তম কাব স্কাউট ইউনিট লিডার বেসিক কোর্স সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে বাবুডাইং আলোর পাঠশালার সিনিয়র শিক্ষক সাঈদ মাহমুদ ও কম্পিউটার অপারেটর মেহদী হাসান প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। মূলত তাদের পরিলানায় এই প্যাক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষ স্কাউট পতাকা নামানোর মধ্যদিয়ে আজকের প্যাক মিটিং সমাপ্ত হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রকাশ্যে প্রান্তিক গ্রাহকদের দেয়া হলো ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ঋণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রকাশ্যে প্রান্তিক গ্রাহকদের দেয়া হলো ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকদের মধ্যে প্রকাশ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ১০ টাকা, ৫০ টাকা ও ১০০ টাকার হিসাবধারী প্রান্তিক, ভূমিহীন কৃষক, নিম্নআয়ের পেশাজীবী, স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য গঠিত ৭৫০ কোটি টাকার আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় প্রকাশ্যে এই ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার ব্যাংক এশিয়া লিড ব্যাংক হিসেবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জেলায় কার্যক্রম পরিচালনারত অন্যান্য তফসিলি ব্যাংক এতে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অংশগ্রহণ করে। নবাবগঞ্জ ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন— বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন— বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রূপ রতন পাইন এবং পরিচালক মো. ইকবাল মহসীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন— ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এএনএম মাহফুজ। সূচনা বক্তব্য দেন— ব্যাংক এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিনুর রশিদ। অনুষ্ঠানে ২২১ জন গ্রাহকের মধ্যে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে ব্যাংক এশিয়া ১১৬ জন গ্রাহকদের মধ্যে ৬৯ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করে। বাকি ঋণের টাকা অন্য ব্যাংকগুলো বিতরণ করে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন— সহজ শর্তে স্বল্প সুদে এ ঋণ প্রাপ্তির মাধ্যমে প্রান্তিক উদ্যোক্তাগণ নিজেদের ব্যবসায় নতুন পুঁজি বিনিয়োগ কিংবা নতুন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন, যা তাদের জীবনমানের টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রকাশ্যে এ ধরণের ঋণ বিতরণ কর্মসূচি স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ এবং উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে, যা তাদেরকে ব্যাংকিং খাতের প্রতি আগ্রহী ও আস্থাশীল করে তুলবে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান গ্রাহকদের বলেন— মাত্র ৭ শতাংশ সুদে কোনো জামানত ছাড়াই এই ঋণ দেয়া হচ্ছে। আপনারা সময়মতো ঋণ পরিশোধ করবেন এবং পুনরায় ঋণ নিবেন। ভালো গ্রাহক সৃষ্টির জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নাচোলে জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন

নাচোলে জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা-২০২৫। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নীলুফা সরকার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম। এবারের জাতীয় ফল মেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— ‘দেশী ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউএনও বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষকে পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। বর্তমানে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ফলের চাহিদা যেখানে ২০০ গ্রাম, সেখানে আমরা খাচ্ছি মাত্র ৫৫-৬০ গ্রাম। এই ব্যবধান কমাতে ফলের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি জনগণকে ফল খাওয়ায় অভ্যস্ত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, চালের উৎপাদনে আমরা যেমন বিপ্লব করেছি, তেমনি ফল উৎপাদনেও বিপ্লব ঘটাতে চাই। দেশী ফল যাতে বিলুপ্ত না হয়, সে জন্য এর জার্মপ্লাজম সংরক্ষণের কাজও চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং ফল উৎপাদনে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রশংসা করেন। দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ধরনের দেশী ফল ও ফল চাষ প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি রাসায়নিকমুক্ত ফল ক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।
তিন দিনব্যাপী ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষিপ্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

তিন দিনব্যাপী ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষিপ্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষিপ্রযুক্তি মেলা শুরু হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে তিন দিনের এই মেলার উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি। বুধবার বিকেলে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আঞ্জুমান সুলতানা, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুনাইন বিন জামান, কৃষি সম্প্রসাণ অফিসার আনিসুল হক মাহমুদসহ অন্যরা। এবারের মেলায় আম, কাঁঠালসহ দেশীয় বিভন্ন ধরনের ফল, বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষের চারা, নতুন নতুন কৃষিপ্রযুক্তির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, আমজাত পণ্য, মধুসহ কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন পণ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। আগামী শুক্রবার শেষ হবে এই মেলা।
নেপালের রাষ্ট্রদূত হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সন্তান শফিকুর রহমান

নেপালের রাষ্ট্রদূত হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সন্তান শফিকুর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতী সন্তান ও পেশাদার কূটনীতিক শফিকুর রহমানকে বাংলাদেশ সরকার প্রতিবেশী দেশ নেপালে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। গত ২৩ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে নেপালের রাষ্ট্রপতির কাছে রাষ্ট্রদূত হিসেবে শফিকুর রহমান পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভাধীন দ্বারিয়াপুর গ্রামের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হাবিবুর রহমান এবং জোবাইদা বেগমের ৫ সন্তানের মধ্যে শফিকুর রহমান তৃতীয়। ছেলেদের মধ্যে কনিষ্ঠ। তার মা এলাকায় একজন গুণী, পরোপকারী ও সমাজসেবী নারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শফিকুর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে এসএসসি পাস করেন। রাজশাহী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকসহ ১৯৯৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক এবং ১৯৯৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মেধাবী শফিকুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে প্রতিটি স্তরে প্রথম স্থান (উচ্চতর দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রথম) অধিকার করেন। পেশাগত জীবনেও তিনি উচ্চতর ডিগ্রি লাভে জাপান সরকারের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নেও বিশেষ কৃতিত্ব দেখান। জাপানের নিগাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-২০১২ শিক্ষাবর্ষে সকল অনুষদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে শ্রেষ্ঠ গ্র্যাজুয়েট এবং ওই শিক্ষাবর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভ্যালেডিক্টোরিয়ান নির্বাচিত হন। এই কারণে সকল ছাত্রছাত্রীর পক্ষে ভ্যালেডিক্টোরিয়ান স্পিচ দেয়ার প্রদানের বিরল সম্মান লাভ করেন। ২১তম বিসিএসের পররাষ্ট্র ক্যাডারে নির্বাচিত হয়ে ২০০৩ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন শফিকুর রহমান। নেপালে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পদায়নের আগে তিনি দীর্ঘদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনসহ পশ্চিম এশিয়া তথা মধ্যপ্রাচ্য অনুবিভাগে মহাপরিচালক (যুগ্মসচিব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কর্মক্ষেত্রে তিনি অস্ট্রেলিয়া, ইউকে, নরওয়ে ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশে পেশাগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এছাড়া কর্মজীবনে পেশাগত দায়িত্ব পালনে তিনি বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন সৌদি আরব, মিশর (কায়রো)সহ ঢাকাস্থ সাত জাতিভুক্ত সহযোগিতা সংস্থা বিমসটেক সচিবালয়ের প্রথম পরিচালক (বাংলাদেশ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শফিকুর রহমান পারিবারিক জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। নিজ এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত থাকার ক্ষেত্রে তার বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। এছাড়া ২০২১ সাল হতে মা-বাবার স্মরণে এইচজে ফাউন্ডেশন নামে একটি সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা, নতুন আক্রান্ত ৫৩ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা, নতুন আক্রান্ত ৫৩ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে গতকাল সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন করে আরো ৫৫ জনের দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪১ জনকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ৪১ জনের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ, ১৪ জন মহিলা ও ৩ জন শিশু রয়েছেন। বাকি ১৪ জন বহির্বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে ভর্তি হননি। জেলা হাসপাতালের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ বলা হয়েছে, পূর্বের মোট ভর্তি রোগী ছিলেন ৩৮ জন। তাদের মধ্যে ৭ পুরুষ, ২৭ জন মহিলা ও ৪ জন শিশু ছিলেন। একই সময়ে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২৪ জনকে। এই ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১১ জন মহিলা রয়েছেন। অন্যদিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ২ জনরে মধ্যে ১ জন পুরুষ, ১ জন শিশু রোগী রয়েছেন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৫৩ জন। তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ৩০ জন মহিলা ও ৬ জন শিশু রোগী রয়েছেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৯৮৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। এদের মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭৩ জনে। এছাড়া বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৭৭ জন।
গোমস্তাপুরে কৃষি কর্মকর্তাকে বিদায় সংবর্ধনা

গোমস্তাপুরে কৃষি কর্মকর্তাকে বিদায় সংবর্ধনা গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকারকে পদোন্নতি জনিত বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে তার সহকর্মীরা। আজ বিকেলে কৃষি প্রশিক্ষন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক। বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা শুভ ভৌমিক ও জেসমিন আক্তার লাবনী, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, আব্দুর রাকিব,মমিনুল ইসলাম, ইব্রাহিম খলিলসহ গণমাধ্যম কর্মীরা।
গোমস্তাপুরে ব্যস্ত সময় পার করলেন জেলা প্রশাসক

গোমস্তাপুরে ব্যস্ত সময় পার করলেন জেলা প্রশাসক গোমস্তাপুরে ব্যস্ত সময় পার করলেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। আজ সকালে প্রথমে তিনি উপজেলা চত্বরে দেশীয় ফল মেলা, গার্ডেন টিলারের উদ্বোধন, কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্য সবজি বীজ ও কৃষি উপকরণ এবং হত দরিদ্রের মধ্যে টেউটিন বিতরণ করেন। পরে তিনি উপজেলা সভাকক্ষে পার্টনার কংগ্রেস কর্মশালায় অংশ নেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ আয়োজিত প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশনফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) এর আওয়াত দিনব্যাপী এই পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নত জাত সম্প্রসারণ, কৃষি পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাতকরণ, খাদ্যের গুণগত মান উন্নয়ন এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. ইয়াছিন আলী। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। অন্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সী, গোমস্তাপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান তারেক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শুভ ভৌমিক ও জেসমিন আক্তার লাবনীসহ জুনিয়র মনিটরিং অফিসার ড.জহুরুল ইসলাম। এছাড়া বিকেলে তিনি রহনপুর ও আলিনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেছেন।