বিব্রতকর পরিস্থিতে দীপিকার পাশে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা

বিব্রতকর পরিস্থিতে দীপিকার পাশে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন রণবীর কাপুরের প্রেমে মজেছিলেন— সে কথা কারও অজানা নয়। ভালোবেসে নায়কের নামে নিজের শরীরে ট্যাটু করিয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুইজনের পথ দুই দিকে বেঁকে যায়। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন দীপিকা। একই নামের আরেক নায়কের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দীপিকার। প্রথম প্রেমের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণেই হয়তো এই নতুন প্রেমের গল্প গোপন রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ‘কফি উইথ করণ’ শোতে এসে বিপদে পড়ের দীপিকা। তাদের প্রেমের কথা অন স্ক্রিন প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন আলোচিত-সমালোচিত উপস্থাপক করণ জোহর। ‘রামলীলা’ সিনেমায় দীপিকা-রণবীর সিং জুটির রসায়ন দর্শকদের মাত করে দিয়েছিল। একই সিনেমায় আইটেম গানে পারফর্ম করেছিলেন বলিউডের আরেক অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। করণ জোহরের শোতে দীপিকা আর প্রিয়াঙ্কা একই সঙ্গে হাজির হওয়ায়— করণ জোহরের বিব্রতকর প্রশ্নের জবাব দিতে হয়নি দীপিকার। করণ জোহর নিজের শো-তে সরাসরি দীপিকাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘রণবীর সিংয়ের সঙ্গে প্রেম চলছে?’ দীপিকাকে কিছু বলতে না দিয়েই প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, ‘দীপিকার জীবনের ৯০ শতাংশই মানুষ জানে। বাকি ১০ শতাংশ সে যদি গোপন রাখতে চায়, তাহলে ক্ষতি কী?’ সঙ্গে সঙ্গে দীপিকার চোখে মুখে মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রিয়াঙ্কা প্রমাণ করেছিলেন, সুযোগ থাকলে মানুষকে বিপত্তিকর অবস্থা থেকে বাঁচানো উচিত। করণ জোহরও প্রশ্নটি দ্বিতীয়বার করেননি ওই শোতে।
৩ দিনে ‘স্ত্রী টু’ সিনেমার আয় ২৬২ কোটি টাকা

৩ দিনে ‘স্ত্রী টু’ সিনেমার আয় ২৬২ কোটি টাকা বলিউড অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর অভিনীত সিনেমা ‘স্ত্রী টু’। অমর কৌশিক পরিচালিত এ সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন রাজকুমার রাও। কমেডি-হরর ঘরানার এ সিনেমা গত ১৫ আগস্ট মুক্তি পেয়েছে। বিশ্বের প্র্রায় ৩ হাজার পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ‘স্ত্রী টু’। মুক্তির প্রথম দিনে প্রেক্ষাগৃহে বাজিমাত করেছে সিনেমাটি। চলতি বছরে বেশ কটি হিন্দি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার মধ্যে এটি এখন শীর্ষে অবস্থান করছে। এ তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে রয়েছে— ‘কল্কি’ (২১ কোটি রুপি), ‘ফাইটার’ (২০.৫ কোটি রুপি)। স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, মুক্তির ৩ দিনে শুধু ভারতে ‘স্ত্রী টু’ আয় করেছে ১৬৩ কোটি রুপি (গ্রস)। বিদেশে আয় করেছে ২৫ কোটি রুপি। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটি মোট আয় করেছে ১৮৮ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৬২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বেশি)। কেবল বক্স অফিসে নয়, দর্শক-সমালোচকরাও সিনেমাটি দেখে প্রশংসা করছেন। রোটেন টমেটোসের তথ্য অনুসারে, ৯ জন সমালোচকের মধ্যে ৭৮ শতাংশ ইতিবাচক রিভিউ দিয়েছেন। দশের মধ্যে সিনেমাটির রেটিং দিয়েছেন ৬.৫। শ্রদ্ধা-রাজকুমার ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— পঙ্কজ ত্রিপাঠি, অভিষেক ব্যানার্জি, মুশতাক খান প্রমুখ। তা ছাড়াও সিনেমাটিতে বেশ কজন তারকা ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ তালিকায় রয়েছেন অক্ষয় কুমার, তামান্না ভাটিয়া, বরুণ ধাওয়ান প্রমুখ। ৭৮.১৯ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত হয়েছে ‘স্ত্রী টু’। এটি প্রযোজনা করেছেন দিনেশ ভিজান ও জ্যোতি দেশপান্ডে।
গাজায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা প্রায় ২ লাখ: ল্যানসেট

গাজায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা প্রায় ২ লাখ: ল্যানসেট ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ৯ মাস ধরে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই ৯ মাসে ইসরায়েলি হামলায় ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা সাময়িকী ল্যানসেটের দাবি, গাজায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা প্রায় ২ লাখ। খবর আল জাজিরার। ল্যানসেটে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, দাপ্তরিকভাবে নিহতের যে সংখ্যা প্রচার করা হচ্ছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ধ্বংস ভবনগুলোর নিচে চাপা পড়া এবং খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মৃতদের হিসাবে ধরা হয়নি। তাদের হিসাবে ধরলে নিহতের সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি হবে। ল্যানসেটের প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, আধুনিক যুগের যুদ্ধ-সংঘাতে গুলি বা গোলার আঘাতে যত মানুষ সরাসরি নিহত হন, পরোক্ষভাবে নিহত হন তারচেয়ে তিনগুণ বা ১৫ গুণ বেশি মানুষ। একটি সাধারণ স্বীকৃত সিদ্ধান্ত হলো— প্রতি একজন সরাসরি নিহতের সঙ্গে পরোক্ষ নিহতের সংখ্যা থাকে অন্তত চারজন। আমরা এই হিসাবই এখানে প্রয়োগ করেছি। প্রবন্ধে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় খাদ্য সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা। ফলে যারা সরাসরি গুলি বা গোলার আঘাতে নিহত হন, তাদের তুলনায় খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মৃতের সংখ্যা বেশি থাকে। গাজায় গত ৯ মাসে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে, তাতে এই মুহূর্তে যদি যুদ্ধ বন্ধও হয়, তাহলেও আরও বেশ কিছুদিন গাজায় মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত থাকবে। ল্যানসেটের তথ্যমতে, গাজার মোট জনসংখ্যা ২৩ লাখ। গত ৯ মাসে ইসরায়েলি অভিযানে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির মোট জনসংখ্যার অন্তত ৮ শতাংশ নিহত হয়েছে।
কত টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে ‘কল্কি’ সিনেমার ‘অদ্ভুত’ গাড়িটি?

কত টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে ‘কল্কি’ সিনেমার ‘অদ্ভুত’ গাড়িটি? দক্ষিণী সিনেমার তারকা অভিনেতা প্রভাস। তার অভিনীত বহুল আলোচিত তেলেগু সিনেমা ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’। নাগ অশ্বিন পরিচালিত এ সিনেমায় তার সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন— অমিতাভ বচ্চন, কমল হাসান, দীপিকা পাড়ুকোন, দিশা পাটানির মতো শিল্পীরা। করোনা সংকটসহ নানা কারণে পিছিয়ে যায় ৬০০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমার মুক্তি। সব বাধা পেরিয়ে গত ২৭ জুন বিশ্বের ৫ হাজার ৬০০ পর্দায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে এটি। তিন দিনে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটি আয় করেছে ৩৭৬ কোটি টাকার বেশি। সিনেমাটিতে বিশেষভাবে তৈরি একটি গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি সিনেমার একটি চরিত্র। গাড়িটির নাম রাখা হয়েছে ‘বুজ্জি’। এ চরিত্রের কণ্ঠ দিয়েছেন অভিনেত্রী কীর্তি সুরেশ। সিনেমার দৃশ্যে গাড়িটি প্রভাসকে ড্রাইভ করতে দেখা যায়। এরই মধ্যে ‘অদ্ভুত’ গাড়িটি বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। কিন্তু কত টাকা ব্যয়ে, কীভাবে তৈরি হয়েছে এই গাড়ি? টাইমস অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, ‘বুজ্জি’ গাড়ি যৌথভাবে ডিজাইন এবং নির্মাণ করেছে মাহিন্দ্রা রিসার্চ ভ্যালি ও জয়েম অটোমোটিভস। গাড়িটির দৈর্ঘ্য ৬ মিটারের বেশি, যা ভারতীয় মিনিবাসের সমান। এর প্রস্থ ৩ মিটারের বেশি, উচ্চতা ২ মিটারের বেশি। এর ওজন প্রায় ৬ টন। ইলেকট্রিক এ গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার। জয়েম অটোমোটিভসের এমডি জে আনন্দ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, “বুজ্জি’ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বেশি)। অনেক সুপার গাড়ির চেয়ে এটি সস্তা। ‘প্রজেক্ট কে বা কল্কি’ সৃজনশীল কাজটি করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে জয়েম টিমকে। কিন্তু এটি বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা হয়নি।”কয়েক দিন আগে হায়দরাবাদে ‘বুজ্জি’ গাড়ির প্রদর্শন করা হয়। পর্যায়ক্রমে সারা ভারতে গাড়িটি ভ্রমণ করবে। ‘বুজ্জি’ যেহেতু সিনেমার একটি চরিত্র, তাই প্রচারের অংশ হিসেবে সারা ভারত ভ্রমণ করবে বলেও জানিয়েছেন নির্মাতা নাগ অশ্বিন। হিন্দি ও তেলেগু ভাষায় মুক্তি পেয়েছে ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমা। পাশাপাশি তামিল, মালায়ালাম, কন্নড়, ইংরেজি ভাষায় ডাবিং করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এটি। মুক্তির প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা ভারতীয় সিনেমার তালিকায় ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ তৃতীয়। প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘ট্রিপল আর’ ও ‘বাহুবলি টু’। তারকা বহুল ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন— ব্রহ্মানন্দম, রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রমুখ। সিনেমাটির ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এ তালিকায় রয়েছেন— দক্ষিণের প্রখ্যাত নির্মাতা এস এস রাজামৌলি, বিজয় দেবরকোন্ডা, ম্রুণাল ঠাকুর, দুলকার সালমান, রাম গোপাল ভার্মা, মালবিকা প্রমুখ।
বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে প্রভাস-দীপিকার ‘কল্কি’

মুক্তি পেয়ে গেল বছরের অন্যতম প্রত্যাশিত ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি।’ সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্রটি নিয়ে ভক্তদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। মুক্তির প্রথম দিনেই যার ছাপ দেখা গেছে ভারতীয় বক্স অফিসে। প্রথম দিনই রেকর্ড ব্রেকিং আয় করল প্রভাস এবং দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত কল্কি। গত বৃহস্পতিবার বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে কল্কি। আর মুক্তির প্রথমদিনে ভারতীয় বক্স অফিসে ৯৫ কোটি রুপি আয় করে ফেলেছে সিনেমাটি। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৮০ কোটি আয় করে নতুন ইতিহাস গড়ল কল্কি। বাণিজ্য ওয়েবসাইট স্যাকনিল্কের রিপোর্ট অনুসারে, কল্কি ২৮৯৮ এডি ভারতীয় বক্স অফিসে ৯৫ কোটি রুপির মতো আয় করেছে প্রথম দিন।এর মধ্যে ৬১ কোটি ৫০ লাখ টাকা আয় করেছে কেবল তেলুগু ভার্সন থেকেই। হিন্দি ভার্সনে এই সিনেমাটি প্রায় ২৪ কোটি রুপি আয় করেছে। জওয়ানের রেকর্ড ভেঙে (৬৫ কোটি) কল্কি এখন প্রথমদিনে সর্বাধিক আয়কৃত ভারতীয় সিনেমা। সেই সঙ্গে প্রথমদিনে ভারতে গ্রস কালেকশনের দিক থেকে ‘কেজিএফ ২’-এর রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে সিনেমাটি। ‘কেজিএফ ২’ ভারতে ১০৫ কোটি গ্রস কালেকশন করেছিল যেখানে কল্কি ১১০ কোটি রুপির বেশি তুলে নিয়েছে। তবে শুধু বক্স অফিসই নয়, দর্শকদের কাছ থেকেও দারুণ প্রশংসা পাচ্ছে নাগ অশ্বিনের সিনেমাটি। সমালোচকরাও দিচ্ছেন বাহবা। সিনেমার ভিএফএক্স ও চিত্রনাট্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। সায়েন্স ফিকশন ও মিথলজির দারুণ সংমিশ্রন ঘটিয়েছেন নির্মাতা নাগ আশ্বিন, এমনটাই মন্তব্য সবার মুখে মুখে। ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ পরিচালনা করেছেন নাগ অশ্বিন। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, অমিতাভ বচ্চন, কমল হাসান, দিশা পাটানি, প্রমুখ। এছাড়াও বিশেষ ক্যামিও দিয়েছেন বিজয় দেবেরকোন্ডা, দুলকার সালমান ও ¤্রুনাল ঠাকুরের মতো তারকা।
চরিত্রের জন্য খোলামেলা দৃশ্যেও আপত্তি নেই মিমির

শুরুটা মডেলিং দিয়ে হলেও এখন অভিনয়েই ব্যস্ত অনিন্দিতা মিমি। আসছে ঈদেও একাধিক নাটকে দেখা যাবে ‘গার্লস স্কোয়াড’ দিয়ে পরিচিতি পাওয়া এই অভিনেত্রীকে। ‘গার্লস স্কোয়াড’ দিয়ে অভিনয় শুরু। শুরুর দিকে ভীষণ নার্ভাস ছিলেন তিনি। বলেন, ভয়ের চোটে প্রথম দৃশ্যটি ওকে করতে আমাকে ১৮টি শট দিতে হয়েছিল! সহশিল্পী ছিলেন সেমন্তী সৌমি। তার সঙ্গে আমার আগে থেকেই আমার পরিচয় ছিল। ফলে তিনি আমাকে ভীষণ সহযোগীতা করেছিলেন। এজন্য খুব একটা মানসিক চাপ নিতে হয়নি। এইখানে অনেক প্রতিযোগিতা, প্রথম কাজ পেতে তাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে বলে জানান মিমি। বললেন, নাটকের অঙ্গনে জায়গা করে নেওয়া অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। কারণ আমাদের এখানে মেধাবী ছেলে-মেয়ের কমতি নেই। সেই অনুযায়ী কাজের সুযোগ খুব কম। তাই নিজেকে যতোক্ষণ না কেউ প্রমাণ করতে পারছে, ততোক্ষণ তার দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না। কাজ পাওয়া ভীষণ শক্ত, কম্পিটিশন অনেক বেশি। আমার ক্ষেত্রেও প্রথম কাজটা পাওয়া ছিল অনেক চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু একটি ভালো কাজে সুযোগ পেয়েছিলাম বলে তারপর থেকে বেশ মসৃণভাবে কাজ করছি। তবে আরও ভালো কাজের সুযোগ চাই। কেবল তো শুরু। মিমি আরও বলেন, আমি হারিয়ে যেতে চাই না। অভিনয় নিয়ে আমার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। গড়পড়তা যা পাচ্ছি তাই করছি না। বেছে বেছে ভালো মানের কাজগুলোই করছি। সিনেমায় ভালো ভালো চরিত্রে কাজ করতে চাই। এজন্য যত পরিশ্রম করতে হয় করবো। চরিত্রের প্রয়োজনে খোলামেলা হতেও আপত্তি নেই তার। মিমির ভাষ্যে, কোন চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য যদি আমাকে খোলামেলা দৃশ্যও করতে হয় তাতে আমার কোন ‘না’ নেই। কারিনা কাপুরের ‘হিরোইন’-এর মতো চরিত্র পেলে জান, প্রাণ দিয়ে কাজ করতাম। দেশীয় অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে মিমির পছন্দের তালিকায় রয়েছে শাবানা, শাবনূর, মৌসুমী, অপূর্ব, নিশো, শাকিব খান, আরিফিন শুভ, সিয়াম আহমেদ, নুসরাত ফারিয়া ও মেহজাবীন চৌধুরী। পছন্দের নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, শিহাব শাহীন আর মিজানুর রহমান আরিয়ান।