আজকাল দম্পতিরা প্রতি মাসে ডিভোর্স লেটার পাঠায়: আশা ভোঁসলে

আজকাল দম্পতিরা প্রতি মাসে ডিভোর্স লেটার পাঠায়: আশা ভোঁসলে উপ-মহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে। ৯১ বছর বয়সী এই শিল্পীকে এখনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়। কয়েক দিন আগে আধ্যাত্মিক নেতা রবি শঙ্করের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠানে যোগ দেন আশা ভোঁসলে। এ আলাপচারিতায় বর্তমান প্রজন্মের প্রেম পড়া, প্রেম ভাঙা এবং বিবাহবিচ্ছেদের কারণ আশা ভোঁসলের কাছে জানতে চান রবি শঙ্কর। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ব্যক্তিগত জীবন টেনে আনেন এই গায়িকা। আশা ভোঁসলে জানান, স্বামী আরডি বর্মনের সঙ্গে তার সমস্যা হতো। এ নিয়ে বিরক্তও হতেন। কিন্তু খুব বেশি হলে রাগ করে মায়ের কাছে চলে যেতেন। তবে কখনো ডিভোর্সের চিন্তাও তার মাথায় আসেনি। এ সময় রবি শঙ্করকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আশা ভোঁসলে বলেন, আজকাল শুনতে পাই, দম্পতিরা প্রতি মাসে ডিভোর্স লেটার পাঠায়। গুরুদেব, এমনটা কেন ঘটছে? এ প্রশ্নের জবাবে রবি শঙ্কর বলেন, আপনি গান গেয়ে সবাইকে আনন্দ দিচ্ছেন। সৃষ্টিকর্তার ওপরে আপনার বিশ্বাস আছে, কষ্ট সহ্য করা এবং সমস্যার মোকাবিলা করার শক্তিও আপনার আছে। কিন্তু আজকালের মানুষজনের কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা নেই বললেই চলে। ’ বর্তমান প্রজন্ম দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নেয় বলে মন্তব্য করেন আশা ভোঁসলে। তার মতে, আমি আমার জীবনের অধিকাংশ বছর এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়েছি, অনেক মানুষকে দেখেছি। এখনকার প্রজন্মের মতো এত দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নিতে আগে দেখিনি। আমার মনে হয়, তারা পরস্পরের প্রতি দ্রুত ভালোবাসা অনুভব করে এবং তারা দ্রুত বিরক্ত হয়ে যায়। সম্ভবত, এ কারণে বিবাহবিচ্ছেদের হার বেড়েছে। আশা ভোঁসলের এ বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করে রবি শঙ্কর। তিনি বলেন, আজকাল আকর্ষণ ভালোবাসাকে ছাড়িয়ে গেছে। বড় বোন লতা মঙ্গেশকরের সেক্রেটারি গণপতরাও ভোঁসলেকে প্রথম বিয়ে করেন আশা ভোঁসলে। তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর আর গণপতের বয়স ছিল ৩১ বছর। ১৯৬০ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। ১৯৮০ সালে গায়ক আরডি বর্মনকে বিয়ে করেন আশা। ১৯৯৪ সালে মারা যান আশা ভোঁসলের দ্বিতীয় স্বামী আরডি বর্মন।

পরনে ২৩ ফুট লম্বা শাড়ি, ৬ ঘণ্টা ওয়াশরুমে যাননি আলিয়া

পরনে ২৩ ফুট লম্বা শাড়ি, ৬ ঘণ্টা ওয়াশরুমে যাননি আলিয়া বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। অভিনয় গুণে অনেক আগেই নিজের জাত চিনিয়েছেন মহেশ কন্যা। ভারতের কাঁটাতার পেরিয়ে ছড়িয়েছে তার খ্যাতি। অভিনয়ের প্রতি যেমন যত্নশীল, তেমনি ফ্যাশনেও সচেতন এই নায়িকা। চলতি বছরের মে মাসে বিশ্বের অন্যতম বড় ফ্যাশন ইভেন্ট মেট গালাতে শাড়ি পরে হাজির হয়ে নজর কাড়েন আলিয়া। মেট গালায় তোলা বেশ কিছু ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন আলিয়া ভাট। তাতে দেখা যায়, ফ্লোরা শাড়ি পরেছেন আলিয়া। এ শাড়ির লম্বা একটি আঁচল পড়ে আছে ফ্লোরে। শরীর থেকে যেন ঠিকরে পড়ছে রূপের দ্যুতি! এই শাড়ির আঁচলের দৈর্ঘ্য ২৩ ফুট। মেট গালার সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে বিস্ময়কর তথ্য জানালেন আলিয়া ভাট। সম্প্রতি ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এর দ্বিতীয় সিজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন আলিয়া ভাট। মূলত, তার পরবর্তী সিনেমা ‘জিগরা’-এর প্রচারের অংশ হিসেবে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় সিনেমাটির টিমের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মেট গালার অভিজ্ঞতা জানান আলিয়া ভাট। এ অনুষ্ঠানে সঞ্চালক কপিল শর্মা মেট গালার ছবি প্রদর্শন করেন। এক পর্যায়ে আলিয়ার ছবি সামনে আসে। ওই সময়ে অভিনেত্রী অর্চনা পূরন সিং জানতে চান, এ ধরনের পোশাক পরে মানুষ কীভাবে ওয়াশরুমে যান? এ প্রশ্নের উত্তরে আলিয়া ভাট বলেন, ‘আপনি না! এ পোশাক পরার পর ৬ ঘণ্টা আমি ওয়াশরুমে যাইনি।’এর আগে ইন্ডিয়া টুডে জানায়, আনাইতা শ্রফ আদজানিয়ার স্টাইলে শাড়িটি তৈরি করেন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখার্জি। এ শাড়িতে রয়েছে ২৩ ফুট লম্বা এমব্রয়ডারি করা আঁচল। শাড়িটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সিল্ক ফ্লস, গ্লাস বিডিং, রত্নপাথর, গোলাপী-সবুজ রঙের ফুল, পুঁতির ট্যাসেল। এসবই হাতের কাজ। শাড়িটির অন্যতম আকর্ষণ সামনের দিকে থাকা রাফলড প্লিট। ১৬৫ জন কর্মী ১ হাজার ৯৬৫ ঘণ্টায় শাড়িটি তৈরি করেন। ‘জিগরা’ সিনেমা ধর্মা প্রোডাকশনের সঙ্গে যৌথভাবে প্রযোজনা করছেন আলিয়া ভাট। অ্যাকশন ঘরানার এ সিনেমা পরিচালনা করেছেন ভাষণ বালা। আগামী ১১ অক্টোবর সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। তা ছাড়া ‘আলফা’নামে একটি সিনেমার কাজ আলিয়ার হাতে রয়েছে। তথ্যসূত্র: দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল

আত্মীয়-স্বজনরা বলতে নষ্ট হয়ে যাবে, বিয়ে হবে না তৃপ্তির

আত্মীয়-স্বজনরা বলতে নষ্ট হয়ে যাবে, বিয়ে হবে না তৃপ্তির কয়েক বছর আগে বলিউডে পা রাখেন অভিনেত্রী তৃপ্তি দিমরি। কিন্তু তার শুরুটা মধুর ছিল না। কারণ তার অভিনীত চলচ্চিত্র যেমন ব্যর্থ হচ্ছিল, তেমনি ছিল পরিবার-আত্মীয়-স্বজন ও সমাজের মানুষের টিপ্পনি। তাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্যও করেছেন পরিচিতদের কেউ কেউ। সবকিছু পেছনে ফেলে বলিউডে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন এই নায়িকা। কয়েক দিন আগে ক্যাটরিনা কাইফের ব্র্যান্ড কে বিউটির ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তৃপ্তি। এ আলাপচারিতায় অভিনয় ক্যারিয়ারের সংগ্রামের গল্প বলেন তিনি। তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও সমাজের মানুষের নেতিবাচক মন্তব্য প্রকাশ করেন তৃপ্তি। ১৯৯৪ জন্মগ্রহণ করেন তৃপ্তি। বেড়ে উঠেছেন দিল্লিতে। সেখান থেকে মুম্বাইয়ে পাড়ি জমানোর স্মৃতিচারণ করে তৃপ্তি দিমরি বলেন, ‘আমি উত্তরখন্ড থেকে এসেছি। কিন্তু আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা দিল্লিতে। সুতরাং আমার বাবা-মাও দিল্লিতে থাকেন। আমি যখন মুম্বাইয়ে শিফট হই, ওই সময়টা কঠিন ছিল। কাছের মানুষেরা বলতে অভিনেত্রী হলে বিয়ে হবে না তৃপ্তির। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনি জানেন যে, এই অঙ্গনে প্রতিদিন বাইরে যেতে হয়, ৫০-৬০ জন মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়। এই সমাজের মানুষ এবং আমার পরিবারের সদস্যরাও বাবা-মাকে খারাপ কথা বলতেন। তারা বলতেন— ‘মেয়েকে কেন এই পেশায় পাঠালে? মেয়ে নষ্ট হয়ে যাবে; সে খারাপ মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করবে। সে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাকে কেউ বিয়ে করবে না।’ ক্যারিয়ারের এক পর্যায়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন তৃপ্তি। তা জানিয়ে তিনি বলেন, “এক পর্যায়ে আমি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আপনি জানেন, যখন আপনার হাতে কোনো কাজ থাকবে না, তখন আশাহত হবেন। কিন্তু আমি জানতাম, আমি বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যেতে পারব না এবং তাদের বলতে পারব না, ‘আমি এটা করতে পারিনি।” ২০১৭ সালে ‘মম’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তৃপ্তি। এটি পরিচালনা করেন গিরিশ কোহলি। একই বছর মুক্তি পায় তৃপ্তি অভিনীত ‘পোস্টার বয়’ সিনেমা। শ্রেয়াস পরিচালিত এ সিনেমা মুক্তির পর বক্স অফিসে চূড়ান্ত ভরাডুবি হয়। ২০১৮ সালে পরিচালক ইমতিয়াজ আলীর ‘লায়লা মজনু’ সিনেমায় অভিনয় করেন তৃপ্তি। কিন্তু তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় সিনেমাও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এক বছরের বিরতি নিয়ে ২০২০ সালে ‘বুলবুল’ সিনেমায় অভিনয় করেন তৃপ্তি দিমরি। এটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায়। এর মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন এই অভিনেত্রী। এটি পরিচালনা করেন অনভিতা দত্ত। এরপর ফের এক বছরের বিরতি নিয়ে তৃপ্তি দিমরি অভিনয় করেন ‘কলা’ সিনেমায়। অনভিতা দত্ত পরিচালিত ‘কলা’ সিনেমায় কলকাতার এক তরুণী গায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন তৃপ্তি। গায়িকা হলেও সংগীতকে তিনি ঘৃণা করেন। এতে অন্য রূপে দেখা যায় তাকে। তৃপ্তি অভিনীত ‘অ্যানিমেল’ সিনেমা মুক্তির পর বদলে যায় দৃশ্যপট। গত ১ ডিসেম্বর মুক্তি পায় এটি। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন রণবীর কাপুর। সিনেমাটি মুক্তির পরই ফাঁস হয় তৃপ্তি-রণবীর কাপুরের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ক্লিপ। এ দৃশ্যে তৃপ্তিকে প্রায় নগ্ন অবস্থায় দেখা যায়; যা নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর হইচই পড়ে গেছে। এরপর তৃপ্তিকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

বিরল অসুখে ভুগছেন রণবীরপত্নী আলিয়া

বিরল অসুখে ভুগছেন রণবীরপত্নী আলিয়া বলিউডের অনন্য অভিনেত্রী হিসেবে ইতোমধ্যে বেশ শক্ত জায়গা তৈরি করেছেন আলিয়া ভাট। সম্প্রতি জানা গেলো এক বিরল অসুখে ভুগছেন প্রতিভাময়ী এ অভিনেত্রী। আর বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন আলিয়া।এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি নিজের এক গুরুতর অসুখের কথা প্রকাশ করেছেন আলিয়া ভাট। ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিসঅর্ডার’ নামের এ অসুখটিতে অভিনেত্রী নাকি ছোট থেকেই ভুগছেন।  এই অসুখের উপসর্গ কেমন, এবং কীভাবে তাকে ভুগতে হয়, সে বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন আলিয়া। তিনি বললেন, ‘এমন কিছু কাজ আছে যা আপনার মনে হবে আপনি সেটা দ্রুত শেষ করতে পারবেন। আমার এডিডি আছে। তাই কোনো কাজে খুব বেশি সময় দিয়ে উঠতে পারি না। ফলে এমন কাজ করতে হয়, যা দ্রুত করা যায়।’ এই অসুখের কারণে বিয়ের দিনও আলিয়া তার মেকআপ আর্টিস্টকে কড়া ভাষায় কথা বলেছিলেন বলেও জানান। আলিয়া ভাট বলেন, ‘আমার বিয়ের দিন, আমার মেকআপ আর্টিস্ট পুনীত (বি সাইনি) এর বলেছিলেন, আলিয়া, এবার তোমার আমাকে দুই ঘন্টা সময় দিতেই হবে। আমি ওকে বলি, আপনি  তাহলে কাজটাই হারাবেন। কারণ, আমার বিয়ের দিন, আমি আপনাকে কখনও দুই ঘন্টা দেব না কারণ আমি আমার বিয়েটা উপভোগ করতে চাই।’ আলিয়া ২০২২-এর এপ্রিলে রণবীর কাপুরকে বিয়ে করেন। আলিয়া ভাটকে আগামীতে দেখা যাবে ভাসান বালা পরিচালিত ‘জিগরা’ সিনেমায়।

১৭ কোটি টাকা লাভে বাংলো বিক্রি করলেন কঙ্গনা

১৭ কোটি টাকা লাভে বাংলো বিক্রি করলেন কঙ্গনা বলিউডের বিতর্কিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রাণৌত তার মুম্বাইয়ের বাংলো বিক্রি করে দিলেন। বান্দ্রার পালি হিলের বাংলোটি বিক্রি করে মোটা অঙ্কের অর্থ লাভ করলেন এই অভিনেত্রী। কঙ্গনার বাংলো বিক্রির কাগজপত্র টাইমস অব ইন্ডিয়া হাতে পেয়েছে। এসব কাগজপত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ৩ হাজার ৭৫ স্কয়ার ফুটের বাংলোটি ৩২ কোটি রুপিতে বিক্রি করেছেন কঙ্গনা রাণৌত। এ বাংলাতে ৫৬৫ স্কয়ার ফুটের গাড়ি পার্কিং সুবিধাও রয়েছে।  ২০১৭ সালের ২০ কোটি রুপিতে বাংলোটি কিনেছিলেন কঙ্গনা। গত ৫ সেপ্টেম্বর ৩২ কোটি রুপিতে এটি বিক্রি করেন এটি। সাত বছরের ব্যবধানে এ বাংলো বিক্রি করে ১২ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ কোটি ৮ লাখ টাকার বেশি) লাভবান হলেন কঙ্গনা। ভারতের জমি কেনাবেচার ওয়েবসাইট কোড এস্টেটের বরাত দিয়ে বলিউড হাঙ্গামা জানিয়েছিল, কঙ্গনার প্লটটির সাইজ ২৮৫ মিটার। বাংলোর ভবন তৈরি করা হয়েছে ৩ হাজার ৪২ স্কয়ার ফুটের ওপরে। নান্দনিকভাবে তৈরি করা হয়েছে দু’তলা বাড়িটি। এ বাংলোর ফার্স্ট ফ্লোরে ১২৫০ স্কয়ার ফুটের সাউন্ড প্রুফ এডিটিং রুম তৈরি করেছিলেন কঙ্গনা। মানে তার মণিকর্ণিকা ফিল্মস এ বাংলোতে অবস্থিত।  কয়েক মাস আগে ভারতে অনুষ্ঠিত হয় লোকসভা নির্বাচন। এতে বিজেপির টিকিট নিয়ে হিমাচলের মান্ডি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কঙ্গনা। শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়ার জন্য রওনা হন। চন্ডিগড় এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর পর কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারেন কনস্টেবল কুলবিন্দর। এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। কঙ্গনা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘তেজাস’। গত বছরের ২৭ অক্টোবর মুক্তি পায় এটি। ৭০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়ে। বক্স অফিসে আয় করে মাত্র সাড়ে ৫ কোটি রুপি। ‘ইমার্জেন্সি’ ও নাম ঠিক না হওয়া একটি সিনেমার কাজ এখন কঙ্গনার হাতে রয়েছে। ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমায় ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। এটি পরিচালনাও করছেন তিনি। নানা জটিলতার পর সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছেন এই অভিনেত্রী।

দেবের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করছেন না ফারিণ

দেবের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করছেন না ফারিণ কলকাতার সুপারস্টার দেবের বিপরীতে ‘প্রতীক্ষা’ নামের সিনেমায় কাজ করার কথা ছিল দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের। তবে এবার জানা গেল, নির্মাতা অভিজিৎ সেনের সিনেমাটিতে কাজ করছেন না ঢাকার এই অভিনেত্রী। আগামী নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে কলকাতা ও যুক্তরাজ্যে শুটিং শুরুর কথা ছিল সিনেমাটির। তবে এর আগেই নানা অনিশ্চয়তার কারণেই সিনেমাটি থেকে সেরে এসেছেন ফারিণ।   এই অভিনেত্রীর কথায়, সিনেমার প্রযোজকের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আলাপ করার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপাতত সিনেমাটিও হচ্ছে না। এ বিষয়ে ফারিণ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বাংলাদেশ থেকে ভারতের ভিসা জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভিসা পেতে সময় লাগছে। নির্ধারিত নভেম্বর মাসে শুটিং শুরু করা না গেলে সমস্যা। কারণ, ওই সময় শুটিং শুরু করা না গেলে দেব ও মিঠুন চক্রবর্তীর শিডিউল পাওয়া যাবে না। কিন্তু সঠিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভিসা পাওয়াও অনিশ্চিত। এসব কারণে সিনেমাটিতে কাজ করা হচ্ছে না। এদিকে ফারিণ জানান, সিনেমাটির কাজ বাতিল করার কারণে ওই একই শিডিউলে নতুন একটি ওটিটির কাজ হাতে নিয়েছেন। তিনি বলেন, সিনেমাটির কারণে অনেক কাজই ছাড়তে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিনেমাটি করছি না। ওই শিডিউলে নতুন একটি ওটিটির কাজ হাতে নিয়েছি। এটিও একটি বড় বাজেটের কাজ। এর আগে ‘পাত্রী চাই’ নামে কলকাতার আরেকটি সিনেমাতে কাজের কথা ছিল ফারিণের। সেটিও গত বছর বাতিল হয়েছে।

সালমানের পাঁজরের দুটো হাড় ভেঙে গেছে

সালমানের পাঁজরের দুটো হাড় ভেঙে গেছে গত কয়েক দিন ধরে খবর উড়ছে, অসুস্থ বলিউড অভিনেতা সালমান খান। তবে বিষয়টি নিয়ে নীরব ছিলেন তিনি। অবশেষে অসুস্থতার কথা স্বীকার করে সালমান খান জানালেন, তার পাঁজরের হাড় ভেঙে গেছে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অসুস্থ থাকলেও ‘বিগ বস ১৮’-এর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন সালমান খান। সেখানে সালমান খান বলেন— ‘আমার পাঁজরের দুটো হাড় ভেঙে গেছে।’ সালমান খানের পরবর্তী সিনেমা ‘সিকান্দার’। মুম্বাইয়ে সিনেমাটির শুটিং চলছে। এর শুটিং করতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন বলে পিঙ্কভিলার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।  পরিচালক এ আর মুরুগাদোস নির্মাণ করছেন ‘সিকান্দার’ সিনেমা। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন সালমান খান। আর তার বিপরীতে অভিনয় করছেন রাশমিকা মান্দানা। মুম্বাইয়ের শুটিং শিডিউল শেষে পুরো টিম চলে যাবে হায়দরাবাদে। এটি প্রযোজনা করবেন সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। এর আগে নাদিয়াদওয়ালা গ্র্যান্ডসন এন্টারটেইনমেন্টের ইনস্টাগ্রাম পেজে সিনেমাটির ঘোষণা দেওয়া হয়। তাতে সালমান খান ও রাশমিকার ছবি পোস্ট করে লেখা হয়— ‘২০২৫ সালের ঈদে মুক্তি পাবে।’

আমি লজ্জিত, আহত, কম্পিত: ঋতুপর্ণা

আমি লজ্জিত, আহত, কম্পিত: ঋতুপর্ণা কলকাতার নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় ‘রাত দখল’ কর্মসূচি। অন্য সবার মতো তাতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শ্যামবাজারে যাওয়ার পরই তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তাকে উদ্দেশ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা; তার গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে। এবার নীরবতা ভাঙলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, ‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিহত চিকিৎসক-পড়ুয়ার জন্য সুবিচার চেয়ে ৪ সেপ্টেম্বর শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ের প্রতিবাদী জমায়েতে উপস্থিত হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এত মানুষের প্রতিবাদ বৃথা যাবে না। আমিও সুবিচারের আশায় রয়েছি। জমায়েতে যোগ দিয়ে মোমবাতি জ্বালাই। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই চিত্র বদলে গেল। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লাম। আমার উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। চারপাশ থেকে উলুধ্বনি এবং শঙ্খ বাজিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়। এতেও কিছু মনে করেছি, এমন নয়। কিন্তু তারপর গাড়িতে জুতা ছোড়া হয়। তখন আমি দরজা খুলে বলি আপনারা এমন করবেন না। আপনাদের সঙ্গে কথা বলতেই এসেছি, বসতে এসেছি। কিন্তু কেউ কোনো কথাই শুনলেন না। আসলে আমার মনে হয়, কিছু মানুষ প্রতিবাদের কথা মাথায় না রেখে, হুজুগে চলে গিয়েছিলেন।’ গতকাল মারাও যেতে পারতেন— এ আশঙ্কা প্রকাশ করে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, ‘বুঝতে পারছি, সকলেই ক্ষুব্ধ। তবে, কলকাতার প্রতিবাদী চেহারার মধ্যে এই চেহারাটা দেখে আমি লজ্জিত, আহত, কম্পিত। বুধবার রাতে আমার প্রাণটাও চলে যেতে পারত। আমি একজন অরাজনৈতিক, নিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে, একজন নারী হিসেবে অন্য নারীর পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিরাট সংখ্যক মত্ত এই ঘটনা ঘটায়। আচমকাই একটা জনস্রোত ধাক্কা দিতে শুরু করে। এত চিৎকার হচ্ছিল যে, কারো কোনো কথা শুনতে পাচ্ছিলাম না। আমি তো কাল কোনো তারকা হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে গিয়েছিলাম। যেখানে ঘটনাটা ঘটল, সেখানে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মাও এসেছিলেন। ভেবেছিলাম, উনাদের সঙ্গে একবার দেখা করব। বলতাম, উনাদের লড়াইয়ের সঙ্গে আমিও রয়েছি। কিন্তু তা হলো কই!’ এতকিছু ঘটে গেলেও এই প্রতিবাদ থেকে সরে যাবেন না ঋতুপর্ণা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তবে এই ঘটনার পর আমি থেমে যাব, এমন নয়। আমার মনের মধ্যে প্রতিবাদ থাকবে। আমিও একইভাবে সুবিচার চাইব। সেটা থামবে না।’ অপমানিত হলেও তা নিয়ে আক্ষেপ নেই ঋতুপর্ণার। তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি যে এমন হতে পারে, আমি ভাবিনি। এ তো আমার চেনা কলকাতা। আবেগের, প্রতিবাদের জনসমুদ্র। কিন্তু, বাড়ি ফিরে দেখি গাড়িতে শুধুই আঙুলের ছাপ। শুধু হাত দিয়ে মেরে মেরেই তুবড়ে দিয়েছে গাড়িটা। সত্যি বলছি, আমার তাতে কোনো আক্ষেপ নেই। কিন্তু আমার মনে হয়, যারা এটা করলেন তারা নিজেরাও জানেন না কী করছেন! সবাই চিৎকার করছিলেন, তারাও চিৎকার করেছেন। একটা বর্বরতার সাক্ষী থাকলাম। ওই রাতে আমি একা তো নই, সোহম-শোলাঙ্কিরাও ছিল। গান গাইছিল ওরা। আমি ওদের সঙ্গে মিশে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এমন কিছুর সাক্ষী হব, ভাবতে পারছি না।’ ঋতুপর্ণা জানেন না কেন তার সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হয়েছে। তা জানিয়েছে তিনি বলেন, ‘বুঝতে পারলাম না কেন এই আক্রোশ। আমি তো রাজনৈতিক ব্যক্তি নই। আমি এই শহরের সকলের সঙ্গে রাত জাগতে গিয়েছিলাম। ওই ভিড়ের মাঝে আমাকে ‘চটিচাটা’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। এমন অসভ্যতা। আসলে যারা এটা করলেন তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য আন্দোলন নয়। একজন তারকাকে হেনস্তা করা। কাউকে পাচ্ছেন না, সামনে ঋতুপর্ণা ছিল ব্যস, ঝাঁপিয়ে পড়লেন। আমাকে অনেকেই বলেছিলেন জমায়েতে শামিল না হতে। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম মানুষ হিসেবে সঙ্গে থাকব। এমন নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটল, এখনও ঘোর কাটছে না।’ হামলাকারীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমি প্রশ্ন করতে চাই, আমার সমবেদনা জানানো কি অন্যায়? একটি মেয়ের হয়ে তারা আন্দোলন করছেন আর অন্য একজন নারীকেই হেনস্তার শিকার হতে হলো! আসলে হয়তো এই মানসিকতা আমাদের বর্বরতার দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।’

মুক্তির আগেই ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার আয় ৩৮৫ কোটি টাকা

মুক্তির আগেই ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার আয় ৩৮৫ কোটি টাকা সুকুমার পরিচালিত বহুল আলোচিত সিনেমা ‘পুষ্পা’। ২০২১ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুক্তি পায় তেলেগু ভাষার এ সিনেমা। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন আল্লু অর্জুন ও রাশমিকা মান্দানা। সিনেমাটির গল্প, আইটেম গান ঝড় তুলেছিল ভক্তদের মনে; মুক্তির পর দাপিয়ে বেড়ায় বক্স অফিস। এখন নির্মিত হচ্ছে ‘পুষ্পা’ সিনেমার দ্বিতীয় পার্ট। প্রথম পার্টের মতো দ্বিতীয় পার্টে জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন আল্লু অর্জুন-রাশমিকা। ‘পুষ্পা’ সিনেমায় এসপি ভানুয়ার সিং শেখওয়াত চরিত্রে অভিনয় করেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ফাহাদ ফাসিল। ন্যাড়া মাথার এই আইপিএস অফিসারের পারফরম্যান্স মুগ্ধ করে দর্শকদের। ‘পুষ্পা টু’ সিনেমায়ও একই চরিত্রে দেখা যাবে ফাহাদ ফাসিলকে। ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার কাজ নানা কারণে পিছিয়েছে। কখনো আল্লু অর্জুনের শিডিউল সংকট, কখনো ফাহাদ ফাসিলের শিডিউল সংকট। গুঞ্জন শোনা গেছে, পরিচালক সুকুমার-আল্লু অর্জুন-ফাহাদ ফাসিলের দ্বন্দ্বের কথাও। এ কারণে আটকে ছিল শুটিং, বার বার পিছিয়েছে সিনেমাটির মুক্তি। হতাশ হয়েছেন ‘পুষ্পা’ ভক্তরাও। সব সংকট কাটিয়ে চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। মুক্তির আগেই মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করলো রবি শঙ্কর প্রযোজিত এই সিনেমা।  আকাশবানীর বরাত দিয়ে স্যাকনিল্ক ডটকম জানিয়েছে, তেলেগু সুপারস্টার আল্লু অর্জুনের অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার ওটিটি স্ট্রিমিং সত্ত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি করেছেন নির্মাতারা। নেটফ্লিক্স সমস্ত ভাষার সত্ত্ব কিনে নিয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর ওটিটিতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এজন্য নেটফ্লিক্সকে গুনতে হয়েছে ২৭০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৮৫ কোটি ৯ লাখ টাকার বেশি)। এটিকে সব ভাষার ভারতীয় চলচ্চিত্রের মধ্যে সবচেয়ে বড় একক স্ট্রিমিং চুক্তি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথমটির চেয়ে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমা আরো বেশি চমকপ্রদ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন নির্মাতারা। বাজেটও রয়েছে প্রথম সিনেমার তুলনায় দ্বিগুণ। ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমার বাজেট ছিল ১৯৩ কোটি রুপি। এবার বাজেট ৪০০ কোটি রুপি। চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা মনে করছেন— ‘পুষ্পা টু’ বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলবে।

উত্তাল কলকাতা: তোপের মুখে কাঞ্চন মল্লিক

উত্তাল কলকাতা: তোপের মুখে কাঞ্চন মল্লিক গত মাসের শুরুর দিকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এরপর থেকে উত্তাল কলকতা। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজপথে নেমেছেন অভিনয়শিল্পীরাও। চিকিৎসকরা বিক্ষোভ করছেন, কর্মবিরতি পালন করছেন। কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তৃণমূলের বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক বলেন— ‘সরকারি বেতন-বোনাস নেবেন তো?’ আর এতেই ক্ষুব্ধ কাঞ্চনের সহশিল্পী ও সাধারণ মানুষ। অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন কাঞ্চন মল্লিক। ব্যক্তিগত জীবনেও তাদের মাঝে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। তারপরও কাঞ্চনের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সুদীপ্তা চক্রবর্তী তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে বন্ধুত্ব ছিন্ন করার ঘোষণা দেন। এতে সুদীপ্তা লেখেন, ‘এক সময়ের বন্ধু/ সহকর্মী কাঞ্চন মল্লিক তোকে ত্যাগ দিলাম। অনুপ্রেরণার লকারে চোখ, কান, মাথা, মনুষ্যত্ব, বিবেক, বুদ্ধি, বিবেচনা, শিক্ষা সব ঢুকিয়ে রেখে চাবিটা হারিয়ে ফেলেছিস মনে হয়। চাবিটা খুঁজে পেলে খবর দিস বন্ধু। তখন আবার কথা হবে, আড্ডা হবে।’ বন্ধুত্বে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সুদীপ্তা লেখেন, ‘কথাগুলো ফোন করে বা মেসেজ করেও বলতে পারতাম হয়তো, যদি তোর বলা কথাগুলো ফোনেই শুনতাম। তুই যেহেতু নিউজ মিডিয়াকে বললি, তাই আমিও তাই সোশ্যাল মিডিয়াতেই লিখলাম।’ অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন, যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এ অভিনেতা লেখেন, ‘ঘাঁটা মল্লিক, চাটা মল্লিক, ফাটা মল্লিক, টা টা মল্লিক।’ ঋত্বিকের এমন ব্যঙ্গাত্মক পোস্টের সঙ্গে নেটিজেনদের বড় অংশ সহমত পোষণ করেছেন। শর্মিলা লেখেন, ‘এরা বর্জ্যও চেটে নিতে পারে।’ প্রিয়াঙ্কা দাস লেখেন, ‘সত্যি চাটতে চাটতে বাংলাও ভুলে গেছে সব। অনুদান আর বেতনের তুলনা টানছে।’ প্রশান্ত মন্ডল লেখেন, ‘মাদারবোর্ড মল্লিক।’ অন্যদিকে সোশাল মিডিয়া পোস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তী। তিনি লেখেন ‘ছি! কাঞ্চন মল্লিক ছি!’ এ পোস্টেও নেটিজেনরা সহমত প্রকাশ করেছেন। দেবজিৎ লেখেন, ‘ও (কাঞ্চন) ভেবেছে মাইনে দেয় মমতা ব্যানার্জির বাবার টাকা থেকে।’ অভি সরকার লেখেন, ‘চাটা মল্লিক ছি!’ অঞ্জনা রায় লেখেন, ‘নির্লজ্জ।’ এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে। এ পরিস্থিতিতে নিজের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছেন কাঞ্চন মল্লিক। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, ‘আমি শুধু এটুকুই বলেছিলাম, চিকিৎসকেরা তো বেতন পান। মুমূর্ষু রোগীরা কি পরিষেবা পাবেন না? আমি আন্দোলন করছি বলে যদি কাজ না করি, আমাকে কি আমার প্রযোজক টাকা দেবেন? পেশাদার হিসেবে আমাকে পরিষেবা দিতেই হবে। তিনি চিকিৎসক হতে পারেন, আমার মতো অভিনেতা বা সাংবাদিকও হতে পারেন।’ সুদীপ্তা বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন, তা জানেন কাঞ্চন। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এই কমেডিয়ান বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কী আর বলব! সুদীপ্তার মনে হয়েছে, বলেছেন। যে যার ব্যক্তিগত মত জানাচ্ছেন। আমিও আমার ব্যক্তিগত মতই প্রকাশ করেছিলাম।’ কাঞ্চনের যে প্রশ্ন নিয়ে তোলপাড় চলছে, সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন কর্মবিরতিতে থাকা একজন জুনিয়র ডাক্তার। অরুণাংশু পাল বলেন, ‘আমরা যারা কর্মবিরতি করছি, তারা সবাই জুনিয়র ডাক্তার। আমরা সরকারের কাছ থেকে বেতন পাই না, স্টাইপেন্ড পাই। বোনাস-প্রফিডেন্ট ফান্ড কিছুই নাই।’