গাঁটের পয়সা খরচ করে অপমানিত হলেন গায়িকা নেহা

গাঁটের পয়সা খরচ করে অপমানিত হলেন গায়িকা নেহা ঝলমলে মঞ্চে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন ভারতীয় সংগীতশিল্পী নেহা কাক্কর। কাঁদতে কাঁদতে কথা বলে চলেছেন এই গায়িকা। তারপরও দর্শক সাড়ি থেকে ভেসে আসছে— ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। মূলত, দর্শকদের এমন আচরণের কারণে কাঁদতে শুরু করেন নেহা। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন দর্শকরা। নেহার কান্না দেখে আরো কড়া ভাষায় মন্তব্য করতে থাকেন দর্শকরা। ভেসে আসতে থাকে ‘নাটক করবেন না, এটা রিয়েলিটি শো না।’ প্রিয় ভক্তদের এমন অপমানজনক ব্যবহার নেহাকে আরো বেশি কষ্ট দেয়। তবু মঞ্চ ছাড়েননি এই গায়িকা। এনডিটিভি জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে নেহার একটি কনসার্ট ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ ঘণ্টা পর মঞ্চে উঠেন তিনি। ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে দর্শকরা নেহাকে অপমান করেন। এ ঘটনার একদিন পর নেহা পেছনের গল্প সবার সামনে তুলে ধরেন। অস্ট্রেলিয়া ট্যুর নিয়ে নেহা তার ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ একটি পোস্ট দিয়েছেন। তার মূল সারমর্ম হলো— গাঁটের পয়সা খরচ করে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে অপমানিত হয়েছেন এই তারকা গায়িকা। নেহা কাক্কর বলেন, “সবাই শুধু দেখলেন আমি তিন ঘণ্টা দেরি করেছি। কিন্তু এর পেছনে আসল কারণ কী তা কেউ জিজ্ঞাসা করলেন না! আমি এতকিছু বলতাম না। যেহেতু আমার নামে অনেক কথা উঠছে, তাই আসল ঘটনা সবার সামনে নিয়ে আসা উচিত।” নেহা কাক্করকে তার পারিশ্রমিক দেননি আয়োজকরা। পরে নেহার স্বামী এই অর্থ প্রদান করেন। এ বিষয়ে নেহা বলেন, “আপনারা কি জানেন, আমি মেলবোর্নে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অনুষ্ঠান করে এসেছি? অনুষ্ঠানের কর্মকর্তারা আমার এবং আমার সহকারীদের পারিশ্রমিক না দিয়েই চলে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাদের খাবারদাবার, হোটেলে থাকার ব্যবস্থাও তারা করেননি। আমার হাজব্যান্ড এবং আমার সহকারীরা ব্যান্ডের বাকি সদস্যদের পারিশ্রমিক প্রদান করেছেন।” ঘটনার ব্যাখ্যা করে নেহা বলেন, “আপনারা কি জানেন, সাউন্ড ভেন্ডারকে পারিশ্রমিক না দেওয়ায় তারা কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এজন্য সাউন্ড চেক করতে ঘণ্টাখানেক সময় লেগে যায়। আমরা এটাও জানতাম না, কনসার্ট আদৌ হবে কিনা, আমাদের ফোন রিসিভ করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন আয়োজকরা। ওই সময়ে আমরা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।” কেবল ভক্তদের কথা চিন্তা করে অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন নেহা। তা জানিয়ে এই গায়িকা বলেন, “এত জটিলতার পরও আমি কোনোরকম বিশ্রাম না নিয়েই স্টেজে যাই এবং পারফর্ম করেছি। আমার মাথায় শুধু একটা কথাই ঘুরছিল, আমার দর্শকরা আমার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে রয়েছেন। এত অপমানের মধ্যে যারা নেহার সমস্যা উপলদ্ধি করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছেন, আমার জন্য অপেক্ষা করেছেন, আমার গানের সঙ্গে নেচেছেন। আমার সমস্যা যারা বুঝেছেলেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।”
ঐশ্বরিয়ার গাড়িতে বাসের ধাক্কা, কেমন আছেন অভিনেত্রী

ঐশ্বরিয়ার গাড়িতে বাসের ধাক্কা, কেমন আছেন অভিনেত্রী বলিউড তারকা ঐশ্বরিয়া রাই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। জানা গেছে, বুধবার (২৬ মার্চ) অভিনেত্রীর গাড়িতে পিছন থেকে একটি বাস এসে জোরে ধাক্কা দেয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আপাতত জানা না গেলেও যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা গেল দুর্ঘটনার কারণে মুম্বাইয়ের রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঐশ্বরিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা ঘটনাস্থলে নেমেছেন। বলিউড সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আকস্মিকতায় কিছু হতভম্ব হলেও ঐশ্বরিয়া সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। অভিনেত্রী কোনোরকম আঘাত পেয়েছেন বলেও জানা যায়নি। মুম্বাইয়ের খ্যাতিমান ফটো সাংবাদিক বারিন্দর চাওলার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের পোস্ট থেকেই দুর্ঘটনাস্থলের ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেখানেই দেখা গেল, মুম্বাইয়ের ব্যস্ত রাস্তায় আচমকাই একটি লাল বাস এসে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের গাড়ির পিছনে ধাক্কা দেয়া। সঙ্গে সঙ্গে তার দেহরক্ষীরা গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। গাড়ির পিছনের অংশে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা সেটা দেখার পাশাপাশি বাসের চালকের সঙ্গেও কড়াভাবে কথা বলতে দেখা যায় তাদের। এরপরই ঐশ্বরিয়ার গাড়ি সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। এদিকে বলিউডের সুপারস্টার নায়িকার গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, খবর ছড়াতেই কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায় বলিউড এলাকার সেই সড়ক। একের পর এক গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। যার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। যদিও ওই বাস চালকের বিরুদ্ধে কোনোরকম পদক্ষেপ করা হয়েছে কিনা, সেই খবর এখনো জানা যায়নি। এ প্রসঙ্গে কোনোরকম প্রতিক্রিয়া দেননি অভিনেত্রী কিংবা বচ্চন পরিবারের কোনো সদস্য।
আলিয়ার সঙ্গে কেন রোমান্স করতে চান না ইমরান হাশমি?

আলিয়ার সঙ্গে কেন রোমান্স করতে চান না ইমরান হাশমি? অনুরাগ বসু নির্মিত বহুল আলোচিত বলিউড সিনেমা ‘মার্ডার’। মহেশ ভাট প্রযোজিত এ সিনেমা ২০০৪ সালে মুক্তি পায়। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন মল্লিকা শেরাওয়াত ও ইমরান হাশমি। সিনেমাটিতে তাদের রোমান্স, ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। মূলত, এরপরই বলিউডে ‘সিরিয়াল কিসার’ হিসেবে পরিচিতি পান ইমরান হাশমি। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। জুটি বেঁধেছেন অনেক নায়িকার সঙ্গে। আলিয়া ভাটের সঙ্গেও রোমান্সের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ইমরান হাশমিকে। তবে তা প্রত্যাখান করেন এই তারকা অভিনেতা। ২০১৬ সালে আলিয়া ভাটের বিপরীতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় ইমরান হাশমিকে। এক সাক্ষাৎকারে এই প্রস্তাব ফেরানোর কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি। ইমরান হাশমি বলেছিলেন, “আমি ভাই হিসেবে তার সঙ্গে কাজ করতে পারি, অন্য কোনো কিছু আমাকে পীড়া দেবে। আমি আমার কাজিনের সঙ্গে রোমান্স করতে পারি না। আমার মনে হয় না এমনটা কেউ করেছে, এটা অস্বস্তিকর।” ব্যক্তিগত জীবনে ইমরান হাশমি ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আলিয়া ভাট হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করেন। এসব সমীকরণ মিলিয়ে কেউ কখনো ভাবতেই পারেননি আলিয়া ভাট-ইমরান হাশমি সম্পর্কে চাচাত ভাই-বোন। আলিয়া ভাট-ইমরান হাশমির সম্পর্কের যোগসূত্র কোথায়? টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানায়, ইমরান হাশমির দাদি মেহেরবানু মোহাম্মদ আলী (পূর্ণিমা দাস ভার্মা নামে জনপ্রিয় ছিলেন)। বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ ভাট ও মুকেশ ভাটের মা শিরিন মোহাম্মদ আলীর বোন মেহেরবানু। শিরিন-মেহেরবানুর মা ছিলেন লখনৌর বাসিন্দা এবং তিনি একজন মুসলিম ছিলেন। আর তাদের বাবা ছিলেন তামিল ব্রাহ্মণ রাম শেষাদ্রি আয়াঙ্গার। আলিয়া ভাট মহেশ ভাটের কন্যা। মহেশ ভাট ইমরান হাশমির কাকা আর আলিয়া তার চাচাত বোন। মেহেরবানু প্রথমে ইমরান হাশমির দাদা সৈয়দ শওকত হাশমিকে বিয়ে করেন। কিন্তু এ বিয়ে ভেঙে যায়। পরে প্রযোজক-পরিচালক ভগবান দাস ভার্মার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মেহেরবানু বা পূর্ণিমা দাস বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী ছিলেন। দাদির পথ অনুসরণ করে অভিনয়ে পা রাখেন ইমরান হাশমি। ইমরান হাশমি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘টাইগার থ্রি’। ‘টাইগার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির এ সিনেমা ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায়। এতে আইএসআই-এর প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেলের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান তিনি। বর্তমানে ইমরান হাশমির হাতে তেলেগু ভাষার ‘ওজি’ সিনেমার কাজ রয়েছে। সুজিত পরিচালিত এ সিনেমায় আরো অভিনয় করছেন— পবন কল্যাণ, প্রকাশ রাজ, অর্জুন দাস প্রমুখ। ২৫০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে অ্যাকশনার ঘরানার এই সিনেমা। তা ছাড়াও তেলেগু ভাষার ‘জি-টু’, ‘গ্রাউন্ড জিরো’, ‘আওয়ারাপান টু’ সিনেমার কাজও ইমরান হাশমির হাতে রয়েছে।
কোন হিট সিনেমায় মেকআপ ছাড়া অভিনয় করেন ঐশ্বরিয়া?

কোন হিট সিনেমায় মেকআপ ছাড়া অভিনয় করেন ঐশ্বরিয়া? নব্বই দশকের অন্তিমকালে বলিউডে পা রাখেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। প্রায় তিন দশকের ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি তার রূপের দ্যুতিতে মুগ্ধ ভক্তরা। সিনেমার পাত্র-পাত্রীদের চরিত্র অনুযায়ী সাজাতে সাধারণত মেকআপ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সুভাষ ঘাই পরিচালিত একটি সিনেমায় মেকআপ ছাড়াই অভিনয় করেন ঐশ্বরিয়া রাই। টিভি রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলে হাজির হয়ে এ তথ্য জানান নির্মাতা। সুভাষ ঘাইয়ের বক্তব্যের ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সুভাষ ঘাই বলেন, “সীমিত মেকআপ ব্যবহারের জন্য আমি আমার নায়িকাদের সবসময়ই অনুরোধ করেছি। কারণ এতে করে সত্যিকারের আবেগ প্রকাশিত হয়। ‘তাল’ সিনেমার ‘কাহি আগ লাগে লাগ যায়ে’ গানের শুটিংয়ে প্রথমবার মেকআপ নেন ঐশ্বরিয়া রাই। চরিত্রটির জন্য ঐশ্বরিয়াকে যখন নির্বাচন করি, তখন সরল, নিষ্পাপ একটি মেয়ের জীবন চিত্রিত করতে চেয়েছিলাম, যে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর।” ‘তাল’ সিনেমায় ঐশ্বরিয়ার মেকআপের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় মেকআপ আর্টিস্ট মিকি কন্ট্রাক্টরকে। এ তথ্য উল্লেখ করে পরিচালক সুভাষ ঘাই বলেন, “আমি তাকে (মিকি কন্ট্রাক্টর) বলেছিলাম, ‘তুমি যত টাকা চাও আমি দেব। কিন্তু আমার অনুরোধ, ঐশ্বরিয়াকে মেকআপ দেবে না।’ মিকি একজন পেশাদার মেকআপ আর্টিস্ট হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে আমার বক্তব্য বুঝতে পারে এবং বলেছিল, ‘এটি আরো কঠিন কাজ।” মিউজিক্যাল-রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার ‘তাল’ সিনেমায় মেকআপ ছাড়াই অভিনয় করেন ঐশ্বরিয়া রাই। বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেন— অনিল কাপুর, অক্ষয় খান্না, অমরিশ পুরি, অলক নাথ, সুষমা শেঠ প্রমুখ। ১৯৯৯ সালের ১৩ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। ১৫ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা বক্স অফিসে আয় করে ৫১ কোটি ১৬ লাখ রুপির বেশি।
আমি পাগলের মতো কেঁদেছিলাম: ঐশ্বরিয়া

আমি পাগলের মতো কেঁদেছিলাম: ঐশ্বরিয়া ১৯৯৭ সালে তামিল সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন ঐশ্বরিয়া। একই বছর বলিউডে যাত্রা শুরু করেন। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় ও প্রশংসিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। বলিউডের প্রথম সারির সব নায়কের সঙ্গে কাজ করেছেন ঐশ্বরিয়া। কাজের সুবাদে একাধিক নায়কের সঙ্গে সম্পর্কেও জড়ান এই প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। কখনো কখনো অন্যের প্রেম ভাঙার অভিযোগও উঠে তার বিরুদ্ধে। এমন এক ঘটনা ঘটেছিল অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার সঙ্গে। তারপর পাগলের মতো কেঁদেছিলেন ঐশ্বরিয়া। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় মনীষা কৈরালা অভিনীত ‘বোম্বে’ সিনেমা। এতে তার অভিনয় দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। রাজীব মুলচান্ডানির সঙ্গে মনীষা কৈরালার প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পেছনের নারী ঐশ্বরিয়া। এ খবর জানার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এই অভিনেত্রী। বেশ আগে শোটাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান ঐশ্বরিয়া। ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ তারকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন বলেন, “আমি তামিল ভাষার ‘বোম্বে’ সিনেমা দেখে এটিকে অসাধারণ মনে হয়েছিল। ১ এপ্রিল বোম্বে পৌঁছাই। কাকতালীয়ভাবে রাজীব আমাকে ফোন করেন। ‘বোম্বে’ সিনেমায় মনীষা কতটা দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন, তা আমি চিৎকার করে বলছিলাম। মনীষাকে অভিনন্দন জানাতে তাকে ফুলের তোড়া পাঠাতে চাই— এ কথাও রাজীবকে বলি।” পরের ঘটনা বর্ণনা করে ঐশ্বরিয়া রাই বলেন, “তারপর রাজীব আমাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘তুমি কি খবরের কাগজ পড়েছো? মনীষা অভিযোগ করেছে, সে একটি প্রেমপত্র খুঁজে পেয়েছে, যা আমি তোমাকে (ঐশ্বরিয়া) লেখেছি।’ এটি আমাকে ভীষণভাবে আহত করে।” একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে ঐশ্বরিয়া রাই বলেন, “যদি এই প্রতিবেদনের কোনো সত্যতা থাকে, তাহলে ১৯৯৪ সালের জুলাই মাসে কেন বের হয়নি? কয়েক মাসের মধ্যে এই কারণে যদি রাজীবের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়, তাহলে পুরো নয় মাস ধরে এটি নিয়ে কেন চিন্তা করছিলেন? তারপর কেন এটি প্রকাশ্যে আনলেন?” এ ঘটনার পর পাগলের মতো কেঁদেছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “মনীষার এই ঘটনা আমার উপরে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। আমি পাগলের মতো কেঁদেছিলাম। যা কিছু ঘটেছিল তার জন্য সত্যিই খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। এতকিছু বলার পর সে (মনীষা) বারবার বলে, ‘তার উদ্ধৃতি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’ সেই বিচ্ছেদের পর তার (মনীষা) অসংখ্য সম্পর্কের খবর প্রকাশ করে মিডিয়া।”
বলিউডের ‘টাইগার বুড়ো’ হয়ে গেছেন

বলিউডের ‘টাইগার বুড়ো’ হয়ে গেছেন গাড়িতে বসে আছেন সালমান খান। তার দুই কানে দুল। গাল যেন ভেঙে গেছে। মুখের দাড়িতেও পাক ধরেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবিতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর সালমান খানকে এমন লুকে দেখে নানারকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। বলা যায়, আলোচনার ঝড় বইছে। কিষাণ নামে একজন লেখেন, “আমার শৈশবের নায়ক এখন বৃদ্ধ।” আরেকজন লেখেন, “আমাদের বলিউডের টাইগার বুড়ো হয়ে গেছেন।” মকবুল লেখেন, “মেকআপ ছাড়া সালমানের এটাই আসল লুক।” কেউ কেউ বলছেন, “সালমান খান তো দাদাজি হয়ে গিয়েছেন।” আগামী ডিসেম্বরে ষাট বছরে পা দেবেন সালমান খান। তাই অনেকে বলছেন, “৬০ বছরে পা রাখবেন সালমান খান। আর সেই ছাপই চোখেমুখে পড়েছে। যদিও সেই অনুযায়ী আমির বা শাহরুখের বয়স কম বোঝা যায়।” হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সালমান খানের পরবর্তী সিনেমা ‘সিকান্দার’। এ সিনেমার শেষ দৃশ্যের শুটিংয়ের পর এমন লুকে ক্যামেরাবন্দি হন সালমান। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে; যা নিয়ে চর্চা চলছে অন্তর্জালে। ‘সিকান্দার’ সিনেমায় ৩০ বছরের ছোট ‘পুষ্পা’ তারকা রাশমিকা মান্দানার সঙ্গে রোমান্স করতে দেখা যাবে সালমান খানকে। এটি পরিচালনা করছেন এ আর মুরুগাদোস। ঈদুল ফিতরে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা রয়েছে।
বিমান দুর্ঘটনায় নায়িকার মৃত্যু, ২২ বছর পর নায়কের নামে অভিযোগ

বিমান দুর্ঘটনায় নায়িকার মৃত্যু, ২২ বছর পর নায়কের নামে অভিযোগ ভারতের দক্ষিণী সুন্দরী সৌন্দর্যর মৃত্যুরহস্যে চাঞ্চল্যকর মোড় নিয়েছে। বিমান দুর্ঘটনায় অভিনেত্রী সৌন্দর্যের খুঁজে পাওয়া যায়নি দেহের অবশিষ্টাংশও। এমন মৃত্যুর ২২ বছর পার হয়ে যাওয়ার পর এবার নাম জড়াল বিখ্যাত অভিনেতার। অন্ধ্রপ্রদেশের খাম্মাম জেলায় মোহন বাবুর নামে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। আর তাতে দাবি করা হয়েছে, অভিনেত্রী সৌন্দর্যর মৃত্যুর সঙ্গে যোগ রয়েছে এই অভিনেতার। সৌন্দর্যর মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়, তাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। খুনের নেপথ্য কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে মোহনবাবুর সঙ্গে সৌন্দর্যের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদকে। ২০০৪ সালের ১৭ এপ্রিল বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। ওই বিমান দুর্ঘটনায় অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডিও মারা যান। প্রাণ যায় সৌন্দর্যের ভাইয়েরও। ৩১ বছর বয়সে প্রাইভেট বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তার। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তেলুগু দেশম পার্টির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে করিমনগর যাচ্ছিলেন সৌন্দর্য। সেই সময়ই ভেঙে পড়ে বিমান। এমনকী সেই সময় অভিনেত্রী নাকি অন্তঃসত্ত্বাও ছিলেন। তবে এই দুর্ঘটনার পর অভিনেত্রীর পরিবার তার দেহ পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। মৃত্যুর আগে সবে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন সৌন্দর্য। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে বিয়েও করেছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে সফ্টওয়্যার এগজিকিউটিভ শ্রীধরকে বিয়ে করেন সৌন্দর্য। ২২ বছর পর দক্ষিণী সৌন্দর্যর মৃত্যুর জন্য কাঠগড়ায় তেলুগু সুপারস্টার মোহনবাবু। একব্যক্তি স্থানীয় থানায় পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন, কন্নড় অভিনেত্রী সৌন্দর্যর মৃত্যুর নেপথ্যে মোহনবাবুর ষড়যন্ত্র রয়েছে। অভিযোগকারী ব্যক্তির দাবি, সৌন্দর্য হায়দরাবাদের জলপল্লি এলাকায় ৬ একর জমি কিনেছিলেন। ওই জমি নিয়ে তার এবং মোহনবাবুর মধ্যে অনেকদিন ধরে গোলমাল চলছিল। জমি বিক্রি করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। এমনকী তা মানতে নারাজ ছিলেন অভিনেত্রীর ভাই অমরনাথও। অভিযোগ, অবৈধভাবে ওই জমি দখল করেন মোহনবাবু। প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে কন্নড় ভাষার ‘রাজধি রাজা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সৌন্দর্য। এরপর তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, হিন্দি ভাষার অনেক সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৯৯ সালে ‘সূর্যবংশম’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। এতে অমিতাভের বিপরীতে অভিনয় করেন সৌন্দর্য।
আমার আবেদন এখন আরও বেশি: কারিনা

আমার আবেদন এখন আরও বেশি: কারিনা বলিউডের নায়িকা কারিনা কাপুর খান। ৪৫ ছুঁইছুঁই বয়সে নাকি ২৫-৩০ বছরে তিনি যেমন ছিলেন তার থেকে আরও বেশি ভালো আছেন। সম্প্রতি করিনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল প্রাক্তন প্রেমিক শহীদ কাপুরের। অনুষ্ঠান মঞ্চে পরস্পর কথা বলেছেন, হাসাহাসি করেছেন। এমনকি জড়িয়েও ধরেছেন একে অপরকে। বেশ কয়েক বছরের সম্পর্ক তাদের ভেঙে গিয়েছিল ২০০৭ সালে ‘জব উই মেট’ সিনেমার পর। হিসাব বলছে তখন করিনার ২৭ বছর বয়স। ২০১২ সালে তিনি বিয়ে করেন সাইফ আলি খানকে। আর এবার করিনা বললেন, তখন আমি যেমন ছিলাম, এখন তার চেয়ে বেশি সুখী। সম্প্রতি হলিউড অভিনেত্রী জিলিয়ন অ্যান্ডারসনের সঙ্গে এক একান্ত কথোপকথনে পাওয়া যায় কারিনাকে। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে তারকাদের ‘কসমেটিক সার্জারি’র প্রসঙ্গ। জিলিয়ন দাবি করেন, চলচ্চিত্র জগৎ তাদের বাধ্য করছে এ ধরনের কৃত্রিম পদ্ধতি অবলম্বন করতে। তিনি বলেন, এমন বহু অভিনয় শিল্পীকেই দেখা যাবে যারা কোনও নির্দিষ্ট বয়সে নিজেদের চেহারাকে বেঁধে ফেলতে চেয়েছেন। তার জন্য আবার নানা রকম কথাও শুনতে হয়েছে। এ বিষয়েই কারিনা বলেন, আমার মনে হয় এটা ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। আমি তো ওই বলিরেখাগুলো দেখতেই ভালোবাসি। আমার মনে হয় এতে আমাকে আরও আবেদনময়ী দেখতে লাগে। আমি তো এই মধ্য চল্লিশে এসে আরও বেশি সুখী মনে করি নিজেকে, অন্তত ২০-৩০ বছরে যেমন ছিলাম, তার চেয়ে। এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে মেনে নিতে চাই। এখনও অতটা বয়স হয়ে যায়নি, আর আমি এখনও দুনিয়া কাঁপাতে পারি। গেল বছর কারিনাকে দেখা গেছে ‘বাকিংহাম মার্ডারস’ এবং ‘সিংহম আগেন’ সিনেমায়। এরপর তাকে দেখা যাবে মেঘনা গুলজারের সিনেমাতে। সিনেমার নাম এখনও ঠিক হয়নি। এদিকে কারিনা নিজেই জানিয়েছেন, বড় ব্যানারের দক্ষিণী সিনেমাতে কাজ করতে যাচ্ছেন তিনি।
শাহরুখ-সালমানের আয়ু নিয়ে জ্যোতিষীর বিস্ফোরক মন্তব্য

শাহরুখ-সালমানের আয়ু নিয়ে জ্যোতিষীর বিস্ফোরক মন্তব্য বলিউডের দাপুটে দুই তারকা শাহরুখ খান ও সালমান খান। দুজনের বয়সই এখন ৫৯। তারপরও তাদের সিনেমার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন ভক্ত-অনুরাগীরা। হঠাৎ এই দুই তারকার ক্যারিয়ার ও আয়ু নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভারতীয় জ্যোতিষী সুশীল কুমার সিং। কয়েক দিন আগে সিদ্ধার্থ কানানকে সাক্ষাৎকার দেন জ্যোতিষী সুশীল কুমার সিং। এ আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “শাহরুখ খানের সময় ভালো যাচ্ছে, ২০২৭ পর্যন্ত তার সময় ভালো কাটবে। কিন্তু সালমানের সময়টা ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। ২০২৫, ২০২৬, ২০২৭— এই তিন বছরই তার খারাপ যাবে।” শাহরুখ-সালমানের আয়ু নিয়ে মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন সুশীল কুমার সিং। তার ভাষায়— “দুজনের মধ্যে একটা মিল রয়েছে; একই বছরে মারা যাবেন সালমান খান ও শাহরুখ খান। ৬৭ বছর বয়সে তাদের মৃত্যু হবে। সালমান খান খুব দ্রুত গুরুতর রোগে আক্রান্ত হবেন, যে রোগের নাম উল্লেখ করছি না।” ১৯৬৫ সালের ২ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন শাহরুখ খান। বর্তমানে তার বয়স ৫৯ বছর ৪ মাস। অন্যদিকে, ১৯৬৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন সালমান খান। তার বর্তমান বয়স ৫৯ বছর ২ মাস। অর্থাৎ শাহরুখের চেয়ে ২ মাসের ছোট সালমান। তবে ব্যক্তিগত জীবনে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তাদের। দীর্ঘ ৪ বছর পর ২০২৩ সালে রাজকীয়ভাবে বড় পর্দায় ফিরেন শাহরুখ খান। একই বছর তিনটি ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা উপহার দেন তিনি। এগুলো হলো— ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ ও ‘ডাঙ্কি’। এরপর শাহরুখের আর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। যার ফলে, প্রিয় তারকার নতুন সিনেমার জন্য মুখিয়ে আছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। তার অভিনীত ‘কিং’ সিনেমা চলতি বছরে মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক দিন ধরে হিট সিনেমা নেই সালমানের ঝুলিতে। বর্তমানে ‘সিকান্দার’ সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন রাশমিকা মান্দানা। ঈদুল ফিতরে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা রয়েছে।
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে গ্রেপ্তার

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে গ্রেপ্তার ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তেকে ম্যানিলা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর মঙ্গলবার (১১ মার্চ) তিনি ম্যানিলা বিমানবন্দরে পৌঁছালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রেসিডেন্ট অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের। ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে তার কঠোর বক্তব্যের জন্য পরিচিত। কিছুদিন আগেই তিনি হংকংয়ে যান। সেখান থেকে আজ মঙ্গলবার ফিলিপাইনে ফেরেন তিনি। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। দুতের্তে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ডাভাওয়ের মেয়র এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকার সময় মাদকবিরোধী যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, এই যুদ্ধে হাজার হাজার ফিলিপিনোকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিউনিকেশন অফিস জানিয়েছে, ইন্টারপোল দুতের্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অফিসিয়াল কপি পেয়েছে ম্যানিলা। গতকাল সোমবার হংকংয়ে থাকাকালীন সময়েই দুতের্তে আভাস পেয়েছিলেন যে, তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল খুব শিগগির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। তিনি সম্ভাব্য গ্রেপ্তারের জন্য প্রস্তুত বলেও জানিয়েছিলেন। ফিলিপাইনের আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারণার জন্য সোমবার হংকংয়ে একটি সমাবেশ করেন দুতের্তে। তিনি তার নৃশংস মাদকবিরোধী অভিযানকে ন্যায্যতা প্রদান করে সমাবেশে বলেন, “ধরে নিচ্ছি, (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে যাওয়ার) খবরটি সত্য। কিন্তু আমি কেন এটা করলাম? নিজের জন্য? আমার পরিবারের জন্য? তোমার, তোমার সন্তানদের জন্য এবং আমাদের জাতির জন্য।” “যদি এটা সত্যিই আমার জীবনের ভাগ্য হয়, তাহলে ঠিক আছে, আমি এটা মেনে নেব। তারা আমাকে গ্রেপ্তার করতে পারে, কারারুদ্ধ করতে পারে।” “আমার অপরাধ কী? আমি আমার সময়ে শান্তি এবং ফিলিপাইনের জনগণের শান্তিপূর্ণ জীবনের জন্য সবকিছু করেছি।” তিনি হংকংয়ের সাউথর্ন স্টেডিয়ামে সমাবেশে বলেন উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন। সেখানে তিনি তার মেয়ে ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতের্তেকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের কার্যালয় গতকাল সোমবার জানিয়েছিল যে, ইন্টারপোলের কাছ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা পাওয়া যায়নি। তবে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ইঙ্গিত দেয়, এরকম কিছু হলে দুতের্তেকে হস্তান্তর করা যেতে পারে। প্রেসিডেন্টের কমিউনিকেশন্স আন্ডারসেক্রেটারি ক্লেয়ার কাস্ত্রো সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “ইন্টারপোলের অনুরোধের কারণে গ্রেপ্তারের পরোয়ানা জারি করার প্রয়োজন হলে আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আইন যা নির্দেশ করে তা অনুসরণ করতে প্রস্তুত।”দুতের্তে মাদকের বিরুদ্ধে তার নির্মম অভিযানের বিষয়ে গত বছর কংগ্রেসের শুনানির সময় বলেছিলেন, তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) মামলাকে ভয় পান না এবং তদন্তে ‘তাড়াতাড়ি’ করতে বলেছিলেন। ২০১৯ সালে আইসিসি যখন দুতের্তের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তদন্ত শুরু করে, তখন তিনি একতরফাভাবে আইসিসির প্রতিষ্ঠাতা চুক্তি থেকে ফিলিপাইনকে প্রত্যাহার করে নেন। ওই সময়ে মানবাধিকারকর্মীরা এই কাজকে তার বিরুদ্ধে আনিত গণহত্যার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে উত্থাপন করে। এছাড়া ২০২১ সালে দুতের্তের প্রশাসন আন্তর্জাতি অপরাধ আদালতের তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করার উদ্যোগ নেন। তখন তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন, ফিলিপাইনের আদালতই এ বিষয়ে তদন্ত করছে। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে আইসিসির আপিল বিভাগ দুতের্তের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ পুনরায় তদন্ত শুরু করা যেতে পারে বলে রায় দেন এবং দুতের্তের প্রশাসনের আবেদন খারিজ করে দেন। ফিলিপােইনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসেন। দুতের্তের সঙ্গে তার ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক বিরোধ তৈরি হয়েছিল। এর ফলে তার প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল, যদি আইসিসি ইন্টারপোলের মাধ্যমে দুতের্তেকে গ্রেপ্তার করতে রেড নোটিশ পাঠায় তাহলে তারা সহযোগিতা করবে।