ক্যালিফোর্নিয়ায় ট্রাম্পের সেনা মোতায়েন বেআইনি ঘোষণা

ক্যালিফোর্নিয়ায় ট্রাম্পের সেনা মোতায়েন বেআইনি ঘোষণা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড ও নৌবাহিনীর মেরিন সদস্য মোতায়েন করে ফেডারেল আইন ভঙ্গ করেছেন বলে রায় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বিচারক। সান ফ্রান্সিসকোর আদালতের এই রায়ে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনা ব্যবহার করতে পারবে না। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গ্রেপ্তার, তল্লাশি, জেরা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ বা তথ্যদাতার ভূমিকায় সেনারা কাজ করতে পারবে না। তবে ফেডারেল ভবন ও সম্পদ রক্ষায় সেনা ব্যবহার করা যাবে। রায়টি মূলত পোসি কোমিটাটাস অ্যাক্ট নামে শত বছরেরও পুরোনো এক আইনকে ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এ আইনে বলা আছে, বিদ্রোহ বা গৃহযুদ্ধ ছাড়া সেনাদের দিয়ে বেসামরিক আইন প্রয়োগ করা যাবে না। আদালত জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ হলেও তা বিদ্রোহে রূপ নেয়নি এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম ছিল। বিচারক চার্লস ব্রেয়ার রায়ে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন সীমাহীনভাবে সেনা ব্যবহারের ব্যাখ্যা দিয়েছে, যা আইনটির উদ্দেশ্যকেই ব্যর্থ করে দিত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্ট চাইলে ইনসারেকশন অ্যাক্ট (Insurrection Act—বিদ্রোহ দমনের জন্য বিশেষ আইন) ব্যবহার করতে পারতেন, কিন্তু ট্রাম্প তা করেননি। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম আদালতে মামলা করেছিলেন। রায়ের পর তিনি বলেন, আদালত প্রমাণ করেছে, আমাদের রাস্তায় সেনা নামানো বেআইনি। তিনি আদালতে আবেদন করেছেন যেন লস অ্যাঞ্জেলেসে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত সেনা রাখার ট্রাম্পের আদেশও বাতিল করা হয়।
সীমান্ত পেরিয়ে চীনে কিম জং উন

সীমান্ত পেরিয়ে চীনে কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন চীনের রাজধানী বেইজিং পৌঁছেছেন। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘ভিক্টরি ডে’ সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে তিনি বিশেষ সাঁজোয়া ট্রেনে চীন সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। এই তথ্য জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা। কুচকাওয়াজে কিম জং উন ছাড়াও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং অন্যান্য বিশ্বনেতারা উপস্থিত থাকবেন। এটি কিমের প্রথম কোনো বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক সভায় অংশগ্রহণ। এটি ১৯৫৯ সালের পর প্রথমবারের মতো যে, কোনো উত্তর কোরীয় নেতা চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছেন। কিম ছাড়াও মিয়ানমার, ইরান, কিউবাসহ ২৬টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এই কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছেন।
শুল্ক না থাকলে যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে: ট্রাম্প

শুল্ক না থাকলে যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে: ট্রাম্প শুল্ক ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে’বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ক্ষমতাও তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ট্রাম্প। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত রায় দেন, ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপ করা বেশিরভাগ শুল্ক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তার কয়েকদিন পরে রবিবার তিনি এমন মন্তব্য করেন। নিজের ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প আদালতের রায়কে আক্রমণ করে বলেন, “একটি র্যাডিকাল লেফট বিচারক দলের ৭৪ ভোটে দেওয়া সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রকে দুর্বল করবে।” তবে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান একজন ডেমোক্রেট বিচারকের প্রতি। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় নিয়োগ পেয়েছিলেন। ট্রাম্প বলেছেন, ওই বিচারক দেশ বাঁচাতে ভোট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “শুল্ক ছাড়া এবং ইতোমধ্যে সংগৃহীত ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়া, আমাদের দেশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যেত। আর আমাদের সামরিক শক্তি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত। ৭৪ ভোটের রায়ে একদল র্যাডিকাল লেফট বিচারক দেশকে বাঁচানোর কথা ভাবেনি। কিন্তু ওবামার সময়ে নিয়োগ দেওয়া একজন ডেমোক্রেট বিচারক আসলেই আমাদের দেশ বাঁচাতে ভোট দিয়েছেন। আমি তার সাহসের জন্য কৃতজ্ঞ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ভালোবাসেন এবং শ্রদ্ধা করেন।” সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সার্কিট আপিল আদালত নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে। আদালত জানান, ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইন ব্যবহার করে যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তা আইন বহির্ভূত। আদালত আরও বলেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ছিল প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার নজিরবিহীন অপব্যবহার। সংবিধান অনুযায়ী কর ও শুল্ক আরোপের ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে ন্যস্ত। এর আগেই ট্রাম্প আদালতের সিদ্ধান্তকে ‘অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, সব শুল্ক এখনও বহাল আছে। এক অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট আপিল আদালত ভুলভাবে বলেছেন আমাদের শুল্ক তুলে নেওয়া উচিত। কিন্তু তারা জানে যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত জিতবে। যদি এই শুল্ক তুলে দেওয়া হয়, তা হবে দেশের জন্য সম্পূর্ণ বিপর্যয়। এতে আমরা আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ব, অথচ আমাদের শক্ত থাকতে হবে।
পানি ছেড়েছে ভারত, পাকিস্তানের ৯ জেলায় উচ্চ বন্যার সতর্কতা

পানি ছেড়েছে ভারত, পাকিস্তানের ৯ জেলায় উচ্চ বন্যার সতর্কতা হরিকে ও ফিরোজপুর হেডওয়ার্কস থেকে পানি ছেড়েছে ভারত। এরপর পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শতদ্রু নদীর জন্য উচ্চ বন্যার সতর্কতা জারি করেছে পাকিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ)। পিডিএমএ সতর্ক করে বলেছে, আগামী দিনগুলোতে নয়টি জেলায় উচ্চ মাত্রার বন্যা হতে পারে। সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- কাসুর, ওকারা, পাকপত্তন এবং বাহাওয়ালনগর। এছাড়া, ভেহরি, লোধরান, বাহাওয়ালপুর, মুলতান এবং মুজাফফরগড়ও এই তালিকায় আছে। পাকিস্তানের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতীয় হাই কমিশন শতদ্রু নদীতে উচ্চ মাত্রার বন্যার বিষয়ে পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, আজ থেকে উচ্চ মাত্রার বন্যার ঝুঁকি রয়েছে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও প্রাদেশিক সরকারগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। এরই মধ্যে, চেনাব নদীতে পানির স্তর বেড়ে যাওয়ায় অন্তত ২৫১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডেপুটি কমিশনার আলী আকবর ভান্ডার জানিয়েছেন, ত্রিম্মু হেডওয়ার্কসে বন্যার পানিপ্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে ০.৫ কিউসেকের বেশি। তিনি আরও বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় আটকা পড়া মানুষদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। সেই সঙ্গে বন্যা দুর্গতদের জন্য খাদ্য ও পশুর খাবারও সরবরাহ করা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ায় ৮ আরোহী নিয়ে হেলিকপ্টার নিখোঁজ

ইন্দোনেশিয়ায় ৮ আরোহী নিয়ে হেলিকপ্টার নিখোঁজ ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ বোর্নিও প্রদেশে দুই ক্রু ও ছয় যাত্রীসহ একটি হেলিকপ্টার নিখোঁজ হয়েছে। আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির জাতীয় উদ্ধার সংস্থা (বাসারনাস)। নিখোঁজ হেলিকপ্টারটির নাম পিকে-আরজিএইচ, এটি ইস্টইন্ডো এয়ার নামের একটি বেসরকারি কোম্পানির মালিকানাধীন। ফ্লাইট নম্বর ছিল পিকে ১১৭-ডি৩। উদ্ধার সংস্থার প্রধান ই পুতু সুদায়ানা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারটি দক্ষিণ বোর্নিওর মান্তেউয়ে এলাকার আকাশসীমায় নিখোঁজ হয়। দুপুরের দিকে হঠাৎ এর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শেষ অবস্থান হিসেবে ৩°৬’৫৪.৫৮” দক্ষিণ অক্ষাংশ ও ১১৫°৪১’২.৬২” পূর্ব দ্রাঘিমাংশ চিহ্নিত করা হয়েছে, যা মান্দিন দামার জলপ্রপাত এলাকার কাছাকাছি। ওই এলাকাতেই চলছে সক্রিয় উদ্ধার তৎপরতা। দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করতে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে ৪০ জন উদ্ধারকর্মী। নিখোঁজ হেলিকপ্টারের বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানা না গেলেও, দুর্গম পাহাড়ি ও জঙ্গলাকীর্ণ এলাকা হওয়ায় উদ্ধার কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাসারনাস কর্মকর্তারা।
আফগানিস্তানে ভূ*মিকম্পে নি*হ*ত বেড়ে ৬২২

আফগানিস্তানে ভূ*মিকম্পে নি*হ*ত বেড়ে ৬২২ আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২২ জনে। আহত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। আজ বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তালেবানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে কুনার প্রদেশে ৬১০ জন নিহত হয়েছে, আর নাঙ্গারহরে আরো ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে সরকারি হিসাবে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬২২ জনে। এছাড়া, দেড় হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো জানায়, মোবাইল ফোন সিগন্যাল সীমিত থাকায় হতাহতের পূর্ণ তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। উদ্ধারকর্মীরা এখনও কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় ৩১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৮ কিলোমিটার গভীরে। এরপর অন্তত আরো তিনটি কম্পন অনুভূত হয়েছে। সেগুলোর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২ এর মধ্যে। এর আগে আফগানিস্তান ভূমিকম্পে বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারান। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে পশ্চিম আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ২ হাজারের বেশি মানুষ মারা যান।
ইউক্রেনের সাবেক স্পিকারকে গুলি করে হত্যা

ইউক্রেনের সাবেক স্পিকারকে গুলি করে হত্যা ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় লাভিভ শহরে গুলিতে নিহত হয়েছেন দেশটির সাবেক পার্লামেন্ট স্পিকার আন্দ্রি পারুবি। স্থানীয় সময় ৩০ আগস্ট দুপুরে অজ্ঞাত একজন বন্দুকধারী তাকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় এবং হামলাকারী পালিয়ে যায়। তাকে ধরতে দেশজুড়ে অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় জানায়, এ হত্যাকা-ের তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও হত্যাকারীর পরিচয় কিংবা উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ৫৪ বছর বয়সী পারুবি ২০১৬ সালের এপ্রিলে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩-১৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের দাবিতে অনুষ্ঠিত ইউরোমাইদান আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি।
ট্রাম্পের অধিকাংশ শুল্কারোপ অবৈধ : মার্কিন আদালত

ট্রাম্পের অধিকাংশ শুল্কারোপ অবৈধ : মার্কিন আদালত যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা বেশিরভাগ শুল্ক অবৈধ। এই রায়ের ফলে তার বহুল আলোচিত পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যনীতি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লো। খবর বিবিসির। ৭-৪ ভোটে দেওয়া রায়ে আদালত জানায়, ট্রাম্প আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইন (আইইইপিএ) ব্যবহার করে শুল্ক আরোপ করেছেন। কিন্তু এই আইন প্রেসিডেন্টকে এ ধরনের ক্ষমতা দেয় না। শুল্ক আরোপ কংগ্রেসের সাংবিধানিক এখতিয়ার বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। নতুন এই রায় কার্যকর হবে আগামী ১৪ অক্টোবর। এর আগে প্রশাসন চাইলে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মামলাটি এখন প্রায় নিশ্চিতভাবেই সর্বোচ্চ আদালতে গড়াচ্ছে। বর্তমানে চীন, মেক্সিকো এবং কানাডার মতো বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের ওপরই অন্যায্য শুল্ক আরোপ করে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প এই রায়ের সমালোচনা করে বলেছেন, যদি বহাল থাকতে দেওয়া হয়, তাহলে এই সিদ্ধান্ত আক্ষরিক অর্থেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেবে। তিনি লিখেছেন, আজ একটি আপিল আদালত বলেছে আমাদের শুল্ক প্রত্যাহার করা উচিত, কিন্তু তারা জানে যে শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই জিতবে। এই রায় সঠিক নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, যদি শুল্ক তুলে নেওয়া হয় তবে এটি দেশের জন্য একটি সম্পূর্ণ বিপর্যয় হবে। এটি আমাদের আর্থিকভাবে দুর্বল করে দেবে। কিন্তু আমাদের শক্তিশালী হতে হবে। ট্রাম্প বাণিজ্যের ওপর জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন যে, বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু আদালত রায় দিয়েছে যে, শুল্ক আরোপ করা প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার মধ্যে পড়ে না এবং শুল্ক নির্ধারণ কংগ্রেসের মূল ক্ষমতার অন্তর্ভুক্ত। রায়ে মার্কিন ফেডারেল সার্কিট আপিল আদালত ট্রাম্পের সেই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন, যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতার আওতায় শুল্ক আরোপ বৈধ। কিন্তু আদালত স্পষ্ট বলেছে, এই শুল্কগুলো ‘অবৈধ ও আইনের পরিপন্থি’। ১২৭ পৃষ্ঠার বিস্তারিত রায়ে বলা হয়, আইইইপিএ কোথাও শুল্ক কিংবা এর কোনো প্রতিশব্দ উল্লেখ করেনি। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্টের শুল্ক আরোপের ক্ষমতায় স্পষ্ট সীমা টানার মতো কোনো প্রক্রিয়াগত সুরক্ষাও এতে নেই। তাই আদালতের মতে, কর ও শুল্ক আরোপের ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতেই বহাল থাকবে। রায়ে আদালত আরো বলেছে, ১৯৭৭ সালে কংগ্রেস যখন এই আইনটি পাশ করেছিল তখন অতীতের অনুশীলন থেকে সরে এসে প্রেসিডেন্টকে শুল্ক আরোপের সীমাহীন কর্তৃত্ব প্রদানের উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছিল বলে মনে হয় না। আদালত রায়ে লিখেছে, যখনই কংগ্রেস প্রেসিডেন্টকে শুল্ক আরোপের ক্ষমতা দিতে চায়, তখন সেটা স্পষ্টভাবে কখনো ‘ট্যারিফ’ বা ‘ডিউটি’র মতো সুস্পষ্ট শব্দ ব্যবহার করে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্য জোটের দায়ের করা দুইটি মামলার প্রেক্ষিতেই এই রায় দিয়েছে আদালত। ওই মামলাগুলো হয়েছিল গত এপ্রিলে দেওয়া নির্বাহী আদেশের পর। সেই আদেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপর ১০ শতাংশ মূল শুল্ক এবং আরও ডজনখানেক দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এবং ওই দিনটিকে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন আমেরিকার অন্যায্য বাণিজ্যনীতির হাত থেকে মুক্তির দিন হিসেবে। এরপর মে মাসে নিউইয়র্কভিত্তিক কোর্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড রায় দিয়েছিল, এসব শুল্ক অবৈধ। তবে আপিল প্রক্রিয়া চলার কারণে সেই রায় স্থগিত রাখা হয়। শুক্রবারের রায়ে শুধু বৈশ্বিক শুল্কই নয়, কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর আরোপিত শুল্কও বাতিল করা হয়েছে। আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, এসব শুল্ক মাদক আমদানি ঠেকাতে খুব জরুরি ছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর আরোপিত শুল্কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ সেগুলো ভিন্ন ক্ষমতাবলে আরোপ করা হয়েছিল।রায় ঘোষণার আগে হোয়াইট হাউজের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন, এসব শুল্ক অবৈধ ঘোষণা করা হলে তা ১৯২৯ সালের মহামন্দার মতো আর্থিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তারা এক চিঠিতে লিখেছিলেন, আইইইপিএ-এর আওতায় প্রেসিডেন্টের শুল্ক আরোপের ক্ষমতা হঠাৎ বাতিল করা হলে তা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা, বৈদেশিক নীতি ও অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে।
বাংলাভাষী মানেই বাংলাদেশি, মোদি সরকারের ব্যাখ্যা চাইলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

বাংলাভাষী মানেই বাংলাদেশি, মোদি সরকারের ব্যাখ্যা চাইলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বাংলাভাষী হলেই লোকজনকে আটক করে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে কি না- ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারেকে এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল বিষয়টি নিয়ে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।এদিন, আদালতে বিচারপতি সুর্য কান্ত, জয়মাল্য বাগচী ও বিপুল এম পানচোলির বেঞ্চ বলেন, দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের সমস্যা থাকলেও প্রশ্ন হলো- কোনো বিশেষ ভাষাভাষীকে শুধু সেই ভাষার কারণেই বিদেশি হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে কি না। বিচারপতি বাগচী মন্তব্য করেন, আমরা পরিষ্কার হতে চাই, এই অভিযোগ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ কি আসলেই একটি নির্দিষ্ট ভাষা ব্যবহারকারীকে বিদেশি বলে ধরে নিচ্ছে? যদি তাই হয়, তবে এ ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট ক্ষমতা প্রয়োগ কতটা সঠিক? জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিয়ায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন পর্ষদের চেয়ারপারসন ও তৃণমূল সংসদ সদস্য সমিরুল ইসলাম। তার অভিযোগ, বাংলাভাষী অভিবাসী শ্রমিকদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হচ্ছে ও নাগরিকত্ব যাচাই না করেই বাংলাদেশে পুশ ইন করা হচ্ছে। আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, কলকাতা হাইকোর্টে একটি হেবিয়াস করপাস মামলা করা হয়েছিল এক নারীর পক্ষ থেকে, যাকে বাংলাদেশি সন্দেহে সীমান্তের ওপারে ঠেলে দেওয়া হয়। হাইকোর্টে ওই মামলা মুলতবি রাখা হয় সুপ্রিম কোর্টে চলা এই মামলার কারণে। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানায়- দুটি মামলা আলাদা। হাইকোর্ট যেন অবিলম্বে শুনানি শুরু করেন ও নাগরিকত্ব নির্ধারণের প্রশ্নও সেখানে তোলা যেতে পারে। ভূষণ অভিযোগ করেন, শুধু বাংলায় কথা বলার কারণে একজন নারীকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, বাংলা মানেই বাংলাদেশি ভাষা, আর তাই যারা বাংলায় কথা বলে তারা বাংলাদেশি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল কিংবা ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদেশি ঘোষণা না করেই কীভাবে কাউকে ঠেলে দেওয়া হয়? তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো সমঝোতাও নেই। অন্য কোনো দেশ কাউকে গ্রহণে সম্মতি না দিলে জোর করে ঠেলে দেওয়া আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন। বিচারপতি কান্ত বলেন, এখানে নানা বাস্তব প্রশ্ন রয়েছে, যা হাইকোর্টকেই দেখতে হবে। বিচারপতি বাগচি মন্তব্য করেন, সীমান্তে ধরা পড়া অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে প্রতিহত করার অধিকার নিরাপত্তাবাহিনীর রয়েছে। কিন্তু সীমান্ত অতিক্রম করার পর যদি কেউ দেশের ভেতরে থাকে, তবে তার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, কেন ব্যক্তিগত ভুক্তভোগীরা আদালতে আসছেন না? কেন বিভিন্ন সংগঠন সামনে আসছে? ভারত বিশ্বের অবৈধ অভিবাসীদের রাজধানী নয়। আমাদের নাগরিকদের জন্য যে সম্পদ রয়েছে, অবৈধ অভিবাসীরা যেন তা নষ্ট না করে, সেটাই আমরা নিশ্চিত করছি। তবে বিচারপতি কান্ত ইঙ্গিত দেন, অভিযোগ হচ্ছে- কেবল বাংলায় কথা বলার কারণে মানুষকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হচ্ছে। মেহেতা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, না, আমরা সংবাদমাধ্যমের খবরের ওপর নির্ভর করতে পারি না। বিচারপতি বাগচি বলেন, এখানে বিষয়টি সংবেদনশীল। একদিকে জাতীয় নিরাপত্তা, সম্পদের সুরক্ষা; অন্যদিকে আমাদের যৌথ ঐতিহ্য- যেমন পাঞ্জাব ও বাংলায় ভাষা এক হলেও সীমান্ত আমাদের আলাদা করেছে। তাই এই অভিযোগ যদি আবেদনে থাকে, তবে কেন্দ্রের অবস্থান পরিষ্কার করা জরুরি। মেহেতা জবাব দেন, তিনি সরকারের অবস্থান জানাবেন। তবে এই আইনজীবী ব্যক্তিগত ভুক্তভোগীদের আদালতে আসার ওপর জোর দেন। বিচারপতি কান্ত বলেন, সব ক্ষেত্রে হয়তো ব্যক্তিরা সরাসরি আসতে সক্ষম নন। মেহেতা আরও বলেন, প্রশান্ত ভূষণের মতো ‘জনহিতৈষীরা’ চাইলে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে অবৈধ অভিবাসন সমস্যায় সাহায্য করতে পারেন। উত্তরে বিচারপতি বাগচি রসিকতা করে প্রশ্ন করেন, আমরাও কি তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেয়াল তুলব? আলোচনার একপর্যায়ে ভূষণ বলেন, বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত না করে কেবল সন্দেহের ভিত্তিতে কাউকে আটক করার অধিকার আইন দেয় না। মেহেতা প্রস্তাব দেন, এ মামলাটি রোহিঙ্গা ইস্যু সংক্রান্ত চলমান মামলার সঙ্গে একত্রে শোনা হোক। আদালত আগামী ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন এবং সলিসিটর জেনারেলকে এই মামলা ও রোহিঙ্গা বিষয়ক মামলায় সরকারের জবাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
গাজায় দুর্ভিক্ষে আরও পাঁচ মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা ৬৩ হাজার ছাড়াল

গাজায় দুর্ভিক্ষে আরও পাঁচ মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা ৬৩ হাজার ছাড়াল গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ২৩ জন ত্রাণপ্রার্থীসহ কমপক্ষে ৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৩ হাজার ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার ২৯ আগস্ট গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২৪ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪৯০ জনে। চলতি বছরের শুরুতে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ২৭ মে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করে। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী ত্রাণ সম্প্রদায় ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। দখলদার বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে জড়ো হওয়া ২ হাজার ২০৩ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। একই সময়ে ত্রাণ নিতে গিয়ে ১৬ হাজার ২২৮ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। অনাহারে আরও পাঁচ ফিলিস্তিনির মৃত্যু: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত ২৪ ঘণ্টায় দুর্ভিক্ষজনিত কারণে পাঁচ জনের মৃত্যুর রেকর্ড করেছে। এর মধ্যে দু’জন শিশু রয়েছে। এর ফলে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা ৩২২ জনে দাঁড়ালো, যার মধ্যে ১২১ জন শিশু। গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলারও মুখোমুখি।