বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপস্ অ্যালার্ট’ জারি বিএসএফের

বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপস্ অ্যালার্ট’ জারি বিএসএফের বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপস্ অ্যালার্ট’ জারি করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে আনন্দবাজার অনলাইন। অপারেশনস অ্যালার্ট বা অপস অ্যালার্ট সাধারণত বিএসএফের মতো বাহিনী জারি করে প্রধানত আগাম সতর্কতা হিসাবে। ভারতের স্বাধীনতা দিবস, সাধারণতন্ত্র দিবসের মতো জাতীয় ছুটির দিনের আগে জারি হয় এই ধরনের সতর্কতা। এই অ্যালার্ট জারির অর্থ হচ্ছে, উত্তর-পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মহড়া চালানো হবে। এ ছাড়া সীমান্তের অরক্ষিত এলাকায় বাড়তি নজরদারি ও সতর্কতার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপস অ্যালার্ট’ জারি থাকবে। বৃহস্পতিবার বিএসএফের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্যাপনের আগে কঠোর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১০ দিনের ‘অপস অ্যালার্ট’ মহড়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মোট চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার পুরোটিতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এতে আরো জানানো হয়েছে, সীমান্তের দায়িত্বে থাকা সব কয়টি বর্ডার আউট পোস্টগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিএসএফকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। এই কয়েক দিন সীমান্ত বারবার মহড়া চালাবেন জওয়ানেরা। প্রয়োজনে রাতে অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন করা হবে।
ট্রাম্পের ইঙ্গিতের অপেক্ষায় পুতিন

ট্রাম্পের ইঙ্গিতের অপেক্ষায় পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত। তবে এর জন্য প্রথমে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে সংকেত আসতে হবে। শুক্রবার ক্রেমলিন এ তথ্য জানিয়েছে। ইউক্রেন সংঘাত দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সম্পর্ককে শীতল যুদ্ধের পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ট্রাম্প বারবার ‘চুক্তি’ করে এই লড়াই শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘অবিলম্বে’ তিনি পুতিনের সাথে দেখা করবেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আলোচনা করতে চান। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ট্রাম্পের প্রস্তাব সম্পর্কে বলেছেন, “পুতিন প্রস্তুত। আমরা সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছি।” পেসকভ অবশ্য জানিয়েছেন, দুই নেতার মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠক সম্পর্কে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না। কারণ এ বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা ‘মুশকিল।’ ট্রাম্প রাশিয়াকে হুমকি দিয়েছেন যে, যদি তারা প্রায় তিন বছরের আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে রাজি না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আরো কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। এছাড়া বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমানোর মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সৌদি আরব এবং ওপেককে তেলের দাম কমাতে বলবেন। ‘যদি দাম কমে যায়, তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হয়ে যাবে।’ট্রাম্পের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে ক্রেমলিন বলেছে, “এই সংঘাত তেলের দামের উপর নির্ভর করে না।” পেসকভ বলেন, “এই সংঘাতের মূল কারণ ছিল রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি, ইউক্রেনে বসবাসকারী রাশিয়ানদের জন্য হুমকি এবং আমেরিকান ও ইউরোপীয়দের রাশিয়ার উদ্বেগ শোনার ইচ্ছার অভাব ও সম্পূর্ণ অস্বীকৃতি।”
টানা তৃতীয়বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে সাবালেঙ্কা

টানা তৃতীয়বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে সাবালেঙ্কা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সর্বশেষ দুই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন আরিনা সাবালেঙ্কা। এবার সেই রাজত্বের সময়কাল আরো দীর্ঘ করার সুযোগ পাচ্ছেন বেলারুশের নারী টেনিস তারকা। রড লেভার অ্যারেনায় হ্যাটট্রিক শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে এখন এক ধাপ দূরে তিনি। প্রথম সেমিফাইনালে নিজের ভালো বান্ধবী পাউলো বাদোসাকে সরাসরি ৬-৪, ৬-২ গেমে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠেছেন সাবালেঙ্কা। এতে দুর্দান্ত এক কীর্তি গড়ার সামনে তিনি। টেনিস কিংবদন্তি মার্টিনা হিঙ্গিসের পর প্রথম নারী টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নের কীর্তি গড়ার পথে। মোট ৫ গ্র্যান্ড স্লামজয়ী সুইস কিংবদন্তি ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত টানা তিনবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনালে খেলা বাদোসাকে প্রথম সেটে ৬-৪ ব্যবধানে হারান সাবালেঙ্কা। দ্বিতীয় সেটে আবার স্প্যানিশ তারকাকে দাঁড়ানোরই সুযোগ দেননি নারী একক টেনিসের শীর্ষ বাছাই। ৬-২ ব্যবধানে হারিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের সামনে সাবালেঙ্কা। দ্বিতীয় সেমিফাইনালিস্ট ইগা সিয়াতেক ও ম্যাডিসন কিসের মধ্যে যিনিই জিতবেন তার বিপক্ষেইজ শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে লড়বেন তিনি। গত বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেনেরও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সাবালেঙ্কা।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল বিনিয়োগ সৌদির

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল বিনিয়োগ সৌদির যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এদিকে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ অন্তত ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে সৌদি সরকার। বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে এই পরিকল্পনার কথা জানান সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যুবরাজ তার পিতা বাদশা সালমানের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে এই অভিনন্দন জানান। তিনি আরও বলেন, আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা এর চেয়েও বেশি হতে পারে। এর আগে প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সৌদি আরবে তিনি বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ প্রিন্সের সঙ্গে রিয়াদে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সে সময় সৌদি বাদশাহ তাকে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘কলার অব আবদুল আজিজ আল সৌদ’-এ ভূষিত করেন। ২০১৯ সালে সৌদি আরবে একটি হামলা হয়। এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে সৌদি আরব। হামলার জেরে সৌদির অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন অর্ধেকে নেমে আসে। এই ঘটনায় ট্রাম্প শক্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেননি বলেন অভিযোগ তোলেন সৌদি যুবরাজ। এর জেরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্কের উষ্ণতায় ভাটা পড়ে। তবে তা সত্ত্বেও ট্রাম্পের জামাতা জেরার্ড কুশনারের ইক্যুয়িটি প্রতিষ্ঠান সৌদি আরবের কাছ থেকে ২০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ পায়।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ১৪ এপ্রিলকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ১৪ এপ্রিলকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি নিউইয়র্ক স্টেটের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী সংস্থা স্টেট সিনেট ১৪ এপ্রিলকে (বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী পয়লা বৈশাখ) বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২২ জানুয়ারি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি হিসেবে ও এই রাজ্যে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি দৃঢ় করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলা নববর্ষের ইতিহাস উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্তে বলা হয়, ভারতের মুঘল সাম্রাজ্যে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের সূচনা। বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে (লাওস, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ডসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে) একই সময়ে নববর্ষ উদযাপিত হয়ে থাকে। বাংলা ভাষায় কথা বলেন এমন অভিবাসীর কথা উল্লেখ করে এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলা থেকে আগত বিপুলসংখ্যক অভিবাসী নিউইয়র্ক রাজ্যে নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আমেরিকায় আসছেন। তাদের অর্ধেকই নিউইয়র্কের বাসিন্দা। পয়লা বৈশাখ বাঙালির জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ–সে কথা উল্লেখ করে সিদ্ধান্তটিতে বলা হয়, প্রতি বছরই বিপুল সমারোহে এই দিনটি উদযাপিত হয়ে থাকে। ২০২২ সাল থেকে দিবসটি নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। এতে উল্লেখ করা হয়, প্রবাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে ও বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসারে নিউইয়র্কের মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সিদ্ধান্তে বলা হয়, নিউইয়র্ক স্টেট বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের গৌরবময় সাফল্যের, বিশেষত এই রাজ্যে বসবাসরত বাঙালিদের অব্যাহত অবদানের স্বীকৃতি জানিয়ে ১৪ এপ্রিল (পয়লা বৈশাখ) এই রাজ্যে বাংলা নববর্ষ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর আমেরিকায় বিশেষ অবদানের জন্য শিকাগো টাওয়ার খ্যাত প্রকৌশলী এফ আর খান, ‘লিভিং দ্য ওয়ার্ল্ড বিহাইন্ড’ খ্যাত রুমানা আনম, লেখক ঝুম্পা লাহিড়ী, অমিতাভ ঘোষ, ইকবাল কাদির, ইউটিউবের কো-ফাউন্ডার জাওয়েদ করিম, খান একাডেমির ফাউন্ডার সালমান খান, ওমর ইশরাকসহ কৃতী বাঙালিদের নাম বিশেষ বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার ও সিইও বিশ্বজিত সাহার উদ্যোগে সিনেটর লুইস সেপুলভেদা সিনেটে প্রস্তাবনাটি তুলে ধরেন। ২২ জানুয়ারি এটি গৃহীত হয়। এ বিষয়ে বিশ্বজিত সাহা বলেন, “বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যে বিশ্ব বাঙালি রয়েছে, এই স্বীকৃতি সবাইকে উজ্জীবিত করবে।” এন আর বি ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের উদ্যোগে ২০২৩ সাল থেকে টাইমস স্কয়ারে বিশ্ব বাঙালিরা বাংলা বর্ষবরণ করে আসছে।
তাইওয়ানে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প, আহত ২৭

তাইওয়ানে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প, আহত ২৭ তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন। খবর এপির। তাইওয়ানের সেন্ট্রাল ওয়েদার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল চিয়াই কাউন্টি হল থেকে ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভূমিকম্প ১ মিনিট ধরে স্থায়ী ছিল। ভূমিকম্পে চিয়াই এবং তাইনান শহরের আশেপাশে ছোট থেকে মাঝারি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। তাইওয়ানের দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ২৭ জনকে সামান্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে এক মাস বয়সী একটি শিশুসহ ছয়জনকে তাইনানের নানক্সি জেলায় একটি ধসে পড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাদেশিক মহাসড়কের ঝুওয়েই সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকারী দল ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ করছেন। তাইনানে লিফটে আটকা পড়ার পর দুজন এবং চিয়াই শহরে একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে চিয়াইতে একটি মুদ্রণ কারখানায় আগুন লেগে যায়, তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাইওয়ান প্রশান্ত তাইওয়ান প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’ বরাবর অবস্থিত হওয়ায়, দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। গত বছরের এপ্রিলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে তাইওয়ানে ১৩ জন নিহত এবং এক হাজার জনেরও বেশি আহত হয়েছিল। দেশটিতে ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর শত শত আফটারশক অনুভূত হয়েছিল। তবে তাই তাইওয়ানের ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটি ছিল ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপরেই তাইওয়ান ভূমিকম্প প্রতিরোধী নির্মাণ পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিল্ডিং কোড আপডেট এবং উন্নত করেছে। বাড়ি যাতে ভূমিকম্পে ভাঙতে না পারে তারজন্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়। এর পাশাপাশি, তাইওয়ান একটি উন্নত প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা তৈরি করেছে যা জনসাধারণকে সেকেন্ডের মধ্যে সম্ভাব্য গুরুতর ভূমিকম্প সম্পর্কে সতর্ক করতে পারে। ঢাকা/ফিরোজ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিলেন ট্রাম্প

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিলেন ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিলেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তিনি এ বিষয়ে নির্বাহী আদেশ জারি করেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নিয়েছেন। শপথ নেওয়ার প্রায় আট ঘণ্টা পর জারি করা একটি নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে- ডব্লিউএইচও-এর ‘কোভিড-১৯ মহামারির ভুল ব্যবস্থাপনা’ এবং ‘জরুরিভাবে প্রয়োজন এমন সংস্কারে ব্যর্থতা’। ট্রাম্প বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র এই সংস্থাকে বেশি অর্থ দেয়। চীনের জনসংখ্যা আমাদের থেকে অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও তারা মাত্রা ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছিল। আর আমরা ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছিলাম। এটা আমার কাছে একটু অন্যায্য মনে হয়েছিল।” নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি অপ্রত্যাশিত নয়। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদের শেষ বছরে এই মহামারিরর কারণে বিশ্বে স্বাস্থ্য সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল। নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাতিসংঘের মহাসচিবকে একটি চিঠি পাঠাচ্ছেন, যাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটি কয়েকশো মিলিয়ন ডলার তহবিল হারাতে চলেছে। ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে তিনি ডব্লিউএইচও’র ডিরেক্টর জেনারেলকে একটি চিঠি লিখে এক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন। ট্রাম্প সেই সময় ডব্লিউএইচও’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, কোভিড-১৯ এর বিস্তার সম্পর্কে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করতে চীনকে সাহায্য করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু সেই বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প পরাজিত হন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিল ইসরায়েল

৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিল ইসরায়েল টানা ১৫ মাসের বেশি যুদ্ধের পর গাজায় রবিবার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় প্রথম দিনে ইসরায়েলি তিন নারী বন্দিকে হামাস মুক্তি দেওয়ার পর, নারী ও শিশুসহ ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (২০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রথমদিনে ৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। ওই তিনজনকে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে গোষ্ঠীটি। এপর ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। চুক্তি অনুযায়ী, একজন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে তেল আবিব। ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমের ৬৯ নারী এবং ২১ কিশোর রয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। নানা ঘটনা শেষে ইসরায়েলের গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করেছে ইসরায়েল। গতকাল রবিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ ঘোষণা দেয়। গাজায় স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ১৫ মিনিট থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। আল জাজিরার অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। সে হামলার অবসান হলো ২০ জানুয়ারি থেকে। তবে এরই মধ্যে প্রাণ চলে গেছে ৪৬ হাজার ৯১৩ ফিলিস্তিনির। আহত হয়েছেন এক লাখ ১০ হাজার ৭৫০ জন। যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় গত ১৫ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস। যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম দফায় ৭৩৭ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। আর এসব বন্দী মুক্তির বিপরীতে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় হবে। একই সঙ্গে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি পাবে। পাশাপাশি ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। এর মাধ্যমে ‘টেকসই শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’। তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে- যা শেষ করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। একই সঙ্গে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।
নতুন ডিজিটাল মুদ্রা চালু করলেন মেলানিয়া ট্রাম্প

নতুন ডিজিটাল মুদ্রা চালু করলেন মেলানিয়া ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি হতে যাওয়া মেলানিয়া ট্রাম্প তার স্বামীর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের একদিন আগে একটি নতুন ডিজিটাল মুদ্রা (ক্রিপ্টোকারেন্সি) চালু করেছেন। এই নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম $ MELANIA। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শনিবার $Trump ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করার একদিন পর, তার স্ত্রী মেলানিয়াও নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি চালুর ঘোষণা দিলেন। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে মেলানিয়া লেখেন, “অফিসিয়াল মেলানিয়া মেম লাইভ! এখন আপনি $ MELANIA কিনতে পারবেন।” ‘অফিসিয়াল মেলানিয়া মেম’-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এটি একটি ডিজিটাল মুদ্রা, যা সোলানা ব্লকচেইনে তৈরি ও ট্র্যাক করা হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, উভয় ডিজিটাল মুদ্রা ইতিমধ্যেই বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে, তবে লেনদেনে (ট্রেডিং) রয়েছে কিছুটা অস্থিরতা। $ Trump ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারমূল্য বর্তমানে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার এবং $ MELANIA এর বাজারমূল্য প্রায় ১.৭ বিলিয়ন ডলার। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প এর আগে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ‘ধোঁকাবাজি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন, তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় সময় তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ডিজিটাল সম্পদ অনুদান হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি একটি কৌশলগত বিটকয়েন মজুদ তৈরি করবেন এবং ডিজিটাল সম্পদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবেন এমন আর্থিক নিয়ন্ত্রক নিয়োগ করবেন। ক্রিপ্টো ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম কয়েনবেস অনুসারে, ট্রাম্পের জয়ের পর বিটকয়েনের মূল্য নতুন রেকর্ড গড়েছে এবং বর্তমানে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলারে লেনদেন হচ্ছে।
ইমরান খানকে ১৪ বছর ও বুশরা খান বিবিকে ৭ বছরের কারাদন্ড

ইমরান খানকে ১৪ বছর ও বুশরা খান বিবিকে ৭ বছরের কারাদন্ড আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। একই মামলায় তার স্ত্রী বুশরা খান বিবিকে ৭ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে। আজ ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিচারক নাসির জাভেদ রানা সাজা ঘোষণা করে বলেন, প্রসিকিউশন তার মামলার অভিযোগ প্রমাণ করেছে। ইমরান খান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। কারাদন্ডের পাশাপাশি ইমরান খানকে ১০ লাখ পাকিস্তান রুপি জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বুশরা বিবিকে ৫ লাখ জরিমানা করা হয়েছে। এ নিয়ে চারটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো।