ঝড়ের তাণ্ডবে ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ডে নিহত অন্তত ৭

ঝড়ের তাণ্ডবে ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ডে নিহত অন্তত ৭ প্রচণ্ড ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা এবং ভূমিধসে ইউরোপের দুই দেশ ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডে অন্তত সাতজনের প্রাণহানি ঘটেছে। রোববার ওই দুই দেশের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ে আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে। ফ্রান্সের স্থানীয় এক কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ফ্রান্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আউবে অঞ্চলে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে একটি গাছ উপড়ে গাড়ির ওপর পড়েছে। এতে ৭০ থেকে ৮০ বছর বয়সী তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এছাড়া গাছের নিচে চাপা পড়া গাড়ির আরেক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিবেশী সুইজারল্যান্ডে ঝড়ের তাণ্ডবে অন্তত চারজন নিহত ও একজন নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে প্রবল বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে বলে দেশটির টিকিনোর ক্যান্টন পুলিশ জানিয়েছে। সুইজারল্যান্ডের ভ্যালাইসের দক্ষিণ-পশ্চিমের ক্যান্টনের সাস-গ্রুন এলাকার একটি হোটেলে একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বন্যার পানি আকস্মিক বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ বলেছে, ভ্যালাইসে অপর এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। সুইজারল্যান্ডের বেসামরিক নিরাপত্তা সেবা সংস্থা বলেছে, ভ্যালাইসের রোন ও অন্যান্য নদ-নদীর দুই তীর উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। ফলে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ওই এলাকা থেকে কয়েকশ’ বাসন্দিাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটির জরুরি সেবা সংস্থাগুলো পেকিয়া এলাকায় একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট দেখতে আসা ৩০০ দর্শনার্থীকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এছাড়া মোগনো গ্রামের একটি হলিডে শিবির থেকে প্রায় ৭০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশটির কয়েকটি দুর্গম উপত্যকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় সতর্ক ব্যবস্থা বলেছে, ক্যান্টনের কিছু এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ফুরিয়ে গেছে। এর আগে, গত সপ্তাহেও দক্ষিণ-পূর্ব সুইজারল্যান্ডে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। সেই সময় ওই অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও একজনের প্রাণহানি ঘটে। এদিকে, উত্তর ইতালির আওস্তা উপত্যকায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসা বন্যার পানি ও পানিতে টুইটম্বুর নদীর ছবি শেয়ার করেছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। এর ফলে বন্যা ও ঝড়ের মতো চরম বৈরী আবহাওয়ার বিভিন্ন ঘটনার তীব্রতা ও বারবার আঘাত হানার ঘটনা বাড়ছে এবং এর প্রভাবও দীর্ঘ হচ্ছে।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো অস্ট্রেলিয়া

বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো অস্ট্রেলিয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা পাওয়া আরও কঠিন করল অস্ট্রেলিয়া। দেশটি একধাক্কায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা ফি দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়েছে। মূলত রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসনের লাগাম টানতে এবং এর জেরে দিন দিন আবাসন বাজারের ওপর চাপ তীব্র হতে থাকায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। আজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়া তার ভিসা ফি দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়েছে বলে সোমবার দেশটি জানিয়েছে। সর্বশেষ পদক্ষেপে চলতি জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভিসার ফি ৭১০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৬০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১০৬৮ মার্কিন ডলার) করা হয়েছে।এছাড়া ভিজিটর ভিসাধারী ও অস্থায়ী স্নাতক ভিসা রয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত অবস্থায় স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজকে কার্যকর হওয়া পরিবর্তনগুলো আমাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে এবং এমন একটি অভিবাসন ব্যবস্থা তৈরি করতে সাহায্য করবে যা অস্ট্রেলিয়ার জন্য আরও সুন্দর, ক্ষুদ্রতর এবং আরও ভালোভাবে কাজ করতে সক্ষম।’ চলতি বছরের মার্চ মাসে অভিবাসন বিষয়ে প্রকাশিত সরকারি তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় নেট ইমিগ্রেশন ৬০ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে ভিসা ফি বৃদ্ধির ফলে অস্ট্রেলিয়ার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মতো প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। উত্তর আমেরিকার এই দুই দেশে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা ফি যথাক্রমে ১৮৫ মার্কিন ডলার এবং ১৫০ কানাডিয়ান ডলার (১১০ মার্কিন ডলার)। সরকার বলেছে, তারা ভিসা সংক্রান্ত নানা নিয়ম ও বিধির ত্রুটিগুলোও বন্ধ করছে যা বিদেশি ছাত্রদের অস্ট্রেলিয়ায় তাদের থাকার সময়সীমা ক্রমাগত প্রসারিত করার সুযোগ দিতো। ২০২২-২৩ সালে দ্বিতীয় বা পরবর্তী স্টুডেন্ট ভিসায় ছাত্রদের সংখ্যা ৩০ শতাংশ বেড়ে দেড় লাখের বেশি হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিলো অস্ট্রেলীয় সরকার। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বার্ষিক অভিবাসন রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে। এরপর বিপুল সংখ্যায় অভিবাসীদের আগমন ঠেকাতে গত বছরের শেষের দিক থেকে স্টুডেন্ট ভিসার নিয়মগুলোকে কঠোর করার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয় অস্ট্রেলিয়া।এরই অংশ হিসেবে সর্বশেষ এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। এর আগে গত মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগমন নিয়ন্ত্রণে ভিসার আবেদন করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনের জন্য সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। সেসময় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তাদের অবশ্যই ন্যূনতম ২৯ হাজার ৭১০ অস্ট্রেলীয় ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশি মুদ্রায় (২১ লাখ ৪৬ হাজার ৯২২ টাকা) সঞ্চিত থাকতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সঞ্চিত অর্থ সংক্রান্ত ব্যাংক নথি প্রদর্শন করতে হবে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার্থী ভিসায় আবেদনে যেসব কাগজপত্র-নথি সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক, সেসবের মধ্যে ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ বিষয়ক নথিও অন্তর্ভুক্ত। এই নথি অন্তর্ভুক্ত করা না হলে আবেদন গ্রহণ করার নিয়ম নেই। এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার্থী ভিসার আবেদনের জন্য প্রদর্শনযোগ্য সঞ্চিত অর্থের বাধ্যবাধকতা ছিল ন্যূনতম ২১ হাজার ৪১ অস্ট্রেলীয় ডলার, পরে ২০২৩ সালের অক্টোবরে তা বৃদ্ধি করে ২৪ হাজার ৫০৫ অস্ট্রেলীয় ডলারে উন্নীত করা হয়। সেই হিসেবে গত মে মাসে প্রদর্শনযোগ্য সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয় দ্বিতীয় দফায়।
বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লিতে মৃত ১১, আবারও ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লিতে মৃত ১১, আবারও ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস বৃষ্টির মৌসুম শুরুর প্রথমেই রেকর্ড বৃষ্টিতে ভারতের রাজধানী অঞ্চল দিল্লির বহু নিচু এলাকা ডুবে গেছে ও অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নগরীটিতে আবারও ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাসে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গত শুক্রবার দিল্লিতে রেকর্ড-ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। এদিন নগরীটিতে ২২৮ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এটি ১৯৩৬ সালের পর থেকে জুন মাসের একদিনে হওয়া সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এই বৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই দিল্লিবাসীকে আবারও ভারি বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর নগরীটিতে আজ ও আগামীকাল ভারি বৃষ্টি হতে পারে পূর্বাভাস দিয়ে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) রঙ-ভিত্তিক সতর্কতা পদ্ধতি অনুযায়ী অরেঞ্জ অ্যালার্ট লোকজনকে ভারি বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানায়। আইএমডির আবহাওয়া বিজ্ঞানী সোমা সেন দেশটির গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু এগিয়ে আসছে, উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি অংশে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ার আগে তাপদাহে দগ্ধ হচ্ছিল দিল্লি। এক পর্যায়ে নগরীর তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। এই তাপদাহে বহু মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর শুক্রবার থেকে নগরীজুড়ে শুরু হয় প্রবল বর্ষণ, এতে তাপমাত্রা নেমে গরম থেকে স্বস্তি মিললেও অতি বৃষ্টিতে ফের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে ও জলাবদ্ধতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশটির আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাব চলাকালে দিল্লিতে গড়ে প্রায় ৬৫০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টিপাত হয়, কিন্তু এবার প্রথম একদিনেই এর এক তৃতীয়াংশ বৃষ্টি হয়ে গেছে।
স্লোভাকিয়ায় ট্রেন-বাস সংঘর্ষে নিহত ৭

স্লোভাকিয়ায় ট্রেন-বাস সংঘর্ষে ৭ জন নিহত এবং আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি ক্রসিংয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। জরুরি পরিষেবাগুলোর বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। স্টেট রেলওয়ে কোম্পানি জেডএসএসকে জানিয়েছে, ১০০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রেনটি প্রাগ থেকে বুদাপেস্টে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রাজধানী ব্রাতিস্লাভা থেকে ১১০ কিমি (৬৮ মাইল) পূর্বে নভে জামকির কাছে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। তবে সংঘর্ষের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। স্লোভাক এবং চেক মিডিয়া জানিয়েছে, নিহতদের কেউই ট্রেনের যাত্রী ছিলেন না। তবে তাদের নাম ও পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
ট্যাংকসহ নদীতে ডুবে ৫ ভারতীয় সেনার মৃত্যু

ট্যাংকসহ নদীতে ডুবে ৫ ভারতীয় সেনার মৃত্যু ভারতের লাদাখে ট্যাংক দুর্ঘটনায় দেশটির পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে লাদাখের চীন সীমান্তবর্তী দৌলতবেগ ওলদি এলাকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) কাছে। আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় একটি টি-৭২ ট্যাংক নিয়ে নদী পার হওয়ার অনুশীলন করছিলেন সেনারা। যখন ট্যাংকটি মাঝ নদীতে ছিল তখন হঠাৎ করে পানি বাড়তে থাকে। এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যে ট্যাংক ও এর ভেতর থাকা সেনারা তলিয়ে যান। এ ঘটনার পর পাহাড়ি নদীটিতে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিহত পাঁচ সেনার সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘দেশের প্রতি এই সেনা সদস্যদের একনিষ্ঠ কর্তব্যের কথা অবিস্মরণীয় থেকে যাবে। আমার অন্তর থেকে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। দেশের মানুষ শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে থাকবে।’ টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, টি-৭২ হলো অত্যাধুনিক ট্যাংক। এ ধরনের ট্যাংকগুলো কাদামাটি, উঁচু-নিচু রাস্তা, পাথুরে জমিতেও অবলীলায় চলতে পারে। পাশাপাশি অল্প পানি রয়েছে, এমন জায়গাতেও পারাপার করতে পারে এই ট্যাংকগুলো। তবে তারও একটি সীমা রয়েছে। অতিরিক্ত পানি রয়েছে এমন জায়গা দিয়ে পার হতে পারে না।
দিল্লিতে ৮৮ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ; ৬ জনের প্রাণহানি

দিল্লিতে ৮৮ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ; ৬ জনের প্রাণহানি তীব্র তাপপ্রবাহের পর এবার ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। ৮৮ বছরের রেকর্ডভাঙা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে দেশটির বিভিন্ন এলাকা। ভারি বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত দিল্লিতে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় জারি করা হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা। দিল্লি ছাড়া পাঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ডেও ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আজ শনিবার দিল্লির বসন্ত বিহারের একটি নির্মাণস্থলে ধসে পড়া দেয়ালের ধ্বংসস্তূপ থেকে তিন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া শুক্রবার দিল্লির নিউ উসমানপুর এলাকায় বৃষ্টির পানিতে ভরা খাদে খেলার সময় দুই শিশুর মৃত্যু হয়। অপর একটি ঘটনায় শালিমারবাগ এলাকায় প্লাবিত আন্ডারপাসে পানিতে ডুবে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে নতুন করে জারি করা হয়েছে বন্যার সতর্কতা। আসাম ও মেঘালয়ে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। এতে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির নতুন করে অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল আসামে। তবে সেখানে এখনও পানিবন্দী রয়েছে এক লাখের বেশি বাসিন্দা।
পাকিস্তানে তীব্র দাবদাহে ৬ দিনে ৫ শতাধিক মৃত্যু

পাকিস্তানে তীব্র দাবদাহে ৬ দিনে ৫ শতাধিক মৃত্যু পাকিস্তানে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে গত ছয়দিনে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে একদিনেই প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১৫০ জন। দেশটির প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র করাচিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে অনুভূত তাপমাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। পাকিস্তানের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সংস্থা জানায়, করাচির মর্গগুলোতে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০টি লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে গত ছয় দিনে তারা প্রায় ৫৬৮টি লাশ সংগ্রহ করেছে, যার মধ্যে গত মঙ্গলবারই সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪১টি লাশ। করাচির সিভিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান ডা. ইমরান সারওয়ার শেখ বিবিসিকে জানান, গত রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ২৬৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন, যাদের বেশিরভাগের বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে করাচির বাসিন্দারা চরম সংগ্রাম করছে। শহরটিতে নিয়মিত লোডশেডিংয়ের ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। করাচি ছাড়াও পুরো সিন্ধ প্রদেশে গত মাসে প্রায় রেকর্ড ৫২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিভুক্ত করা হয়েছে। পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের রাজধানী দিল্লিতেও তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। গত মে মাস থেকে সেখানে প্রতিদিনই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে, আবার কখনও কখনও তা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই ধরনের চরম আবহাওয়ার ঘটনা নিয়মিত এবং তীব্র হয়ে উঠছে। করাচির এই তীব্র তাপপ্রবাহ আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজায় আগ্রাসনের মধ্যেই ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়েছে ভারত

গাজায় আগ্রাসনের মধ্যেই ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়েছে ভারত ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান বর্বর হামলার মধ্যেই ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়েছে ভারত। গত মে মাসে বোরকাম নামে একটি কার্গো জাহাজে করে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও রকেট পাঠানো হয়েছে বলে কিছু নথিপত্রের তথ্য বলছে। এরপর আরও একটি জাহাজে করে অস্ত্র নেওয়া হয়েছে একই ভুখণ্ডে। আর এসব নৌযান গেছে স্পেনের উপকূল হয়ে। যদিও তারা কোনও কার্গো সেখানে নোঙ্গর করতে দেয়নি। গত ১৫ মে স্পেন উপকূলে একটি কার্গো জাহাজ নিয়ে সন্দেহ দানাবাঁধে। সেটিতে অস্ত্র আছে দাবি করে দেশটির সরকারের কাছে তল্লাশির আবেদন জানায় ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা।একই সঙ্গে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের বামপন্থি সদস্যরা স্পেন সরকারের কাছে জাহাজটি ঠেকানোর আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠায়। সন্দেহভাজন সেই নৌযান দেশটির কার্তাজেনা বন্দরে ভিড়তে চেয়েছিল। কিন্তু নানামূখী সমালোচনা ও তল্লাশির ঝুঁকি এড়াতে সেখানে না গিয়ে সোজা চলে যায় স্লোভেনিয়ার কোপার বন্দরে। স্পেনের কট্টর-বামপন্থি দল সুমার পার্টির মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘জাহাজটির বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। আমাদের বন্দর এড়িয়ে যাওয়ায় সন্দেহও সত্য প্রমাণিত হয়েছে।জাহাজটি সম্পর্কিত কিছু নথি আলজাজিরা দেখেছে। তাতে জানা গেছে যে নৌযানটি অস্ত্রে পূর্ণ ছিল। বোরকাম কার্গোতে পণ্য উঠানো হয়েছিল ভারতের একটি বন্দর থেকে। সেটি নোঙ্গর করার কথা ছিল ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে, যা গাজা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে। মেরিন ট্রেকিং সাইটের তথ্য বলছে, গত ২ এপ্রিল ভারতের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের চেন্নাই থেকে জাহাজটি রওনা হয়।ইসরায়েলে যাওয়ার জন্য লোহিত সাগর সহজ ও স্বল্প দূরত্বের হলেও হুথিদের হামলার ভয়ে সেই পথ এড়িয়ে যায় কার্গোটি। বিকল্প পথ হিসেবে আফ্রিকা হয়ে অনেক দূর ঘুরে ভুমধ্যসাগরে প্রবেশ করে। জাহাজটিতে পরিবহন করা হয়েছিল অন্তত ২০ টন রকেট ইঞ্জিন, সাড়ে ১২ টন রকেট, যেগুলো বিস্ফোরকে পূর্ণ ছিল। এ ছাড়া দেড় হাজার কেজি বিস্ফোরক উপাদান এবং প্রায় আটশ কেজি কামানের গোলার বিস্ফোরক উপাদান। আর পণ্যগুলো নেওয়া হয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা কোম্পানিতে।এর কিছুদিন পর ২১ মে আরেকটি কার্গো জাহাজ স্পেন উপকূলে যায়। সেটিও ভারতের চেন্নাই থেকে রওনা হয়ে ইসরায়েলের হাইফা বন্দরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে ২৭ টন বিস্ফোরক বহনকারী এই নৌযানকেও নিজেদের বন্দরে ভিড়তে দেয়নি স্পেন।
ট্রাম্পকে নিয়ে যে বার্তা দিলেন নোবেলজয়ীরা

ট্রাম্পকে নিয়ে যে বার্তা দিলেন নোবেলজয়ীরা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করলেন ১৬ জন নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ। এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তারা বলেন, ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেনের অর্থনৈতিক কর্মসূচি ‘অনেক ভালো’। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ট্রাম্প চীনা পণ্য আমদানির উপর অনেক শুল্ক আরোপ করতে চান। এর ফলে মার্কিন ক্রেতারা কেনেন এমন অনেক পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। তারা বলেন, ‘অর্থনৈতিক বিভিন্ন নীতি নিয়ে আমাদের মধ্যে মতের ভিন্নতা থাকলেও একটা বিষয়ে আমরা একমত যে, জো বাইডেনের অর্থনৈতিক এজেন্ডা ডনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে অনেক ভালো। নোবেলজয়ীরা বলেন, ‘আমরা মনে করি, ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের জন্য আসলে বিশ্ব অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের উপর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে।বিবৃতিতে সই করা অর্থনীতিবিদদের মধ্যে আছেন ২০০১ সালের নোবেলজয়ী জোসেফ স্টিগলিজ ও ২০১৫ সালের বিজয়ী স্যার অ্যাঙ্গাস ডিটন।
আবারও দক্ষিণ কোরিয়ায় আবর্জনা বোঝাই বেলুন পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া

আবারও দক্ষিণ কোরিয়ায় আবর্জনা বোঝাই বেলুন পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া আবারও আবর্জনা বোঝাই কয়েকশ বেলুন দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। সিউলের সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। সিউলের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ বলেছেন, পিয়ংইয়ং সোমবার সন্ধ্যায় প্রায় ৩৫০টি বেলুন উড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০০টি দক্ষিণে, প্রধানত উত্তর গিয়াংগি প্রদেশ এবং রাজধানী সিউলে নেমেছে। বেলুনের সাথে সংযুক্ত ব্যাগগুলোতে ‘কাগজের বর্জ্য’ ছিল। অবশ্য এগুলো জনসাধারণের জন্য কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেনি। সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী অবিলম্বে তার মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালানোর জন্য প্রস্তুত। এর প্রতিক্রিয়া উত্তর কোরিয়ার কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভর করছে।’ এর আগে উত্তর কোরিয়া এক হাজারেরও বেশি বেলুন সিউলে পাঠিয়েছিল। এগুলোতে আবর্জনা বোঝাই ছিল। উত্তরের শাসন বিরোধী প্রচার বহনকারী বেলুনগুলোর প্রতিশোধ হিসাবে এগুলো পাঠানো হয়েছে বলে ওই সময় বলেছিল পিয়ংইয়ং। এর প্রতিক্রিয়ায় সিউল উত্তরের সীমান্তে লাউডস্পিকার থেকে কিছু প্রচার প্রচারণা পুনরায় চালু করেছে।