১১ জুন জামিন পেতে পারেন ইমরান খান

১১ জুন জামিন পেতে পারেন ইমরান খান একাধিক মামলায় ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে আদিয়ালা কারাগারে বন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ১১ জুন জামিন পেতে পারেন। রবিবার (৮ জুন) ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান গোহর আলি খান এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।  তিনি জানান, ১১ জুন (বুধবার) দিনটি দলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে তিনি জানান, ইমরান খুব শিগগির জেল থেকে ছাড়া পেতে চলেছেন। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমস। গোহরের মন্তব্যের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে যে, ওই দিনই জেল থেকে ছাড়া পেতে পারেন ইমরান। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘এআরওয়াই নিউজ’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিটিআই চেয়ারম্যান গোহর বলেন, “ইমরানকে ছাড়াই চারটি ঈদ কেটে গেল। তবে উনি খুব শিগগির ছাড়া পাবেন। ১১ জুন তারিখটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।” ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) ওই দিন ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির দণ্ড স্থগিত চেয়ে দাখিল করা আবেদনপত্রের ওপর শুনানি করবে। এর আগে, গত মাসে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) আবেদনের ভিত্তিতে শুনানিটি মুলতবি করা হয়েছিল, কারণ সংস্থাটি তাদের আইনি প্রস্তুতির জন্য সময় চেয়েছিল। ইতিমধ্যেই শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান। রবিবার গোহরও পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলোকে একজোট হয়ে আন্দোলনে নামার কথা বলেন। তিনি জানান, পিটিআই চলতি অর্থবছরের বাজেট এবং চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার বিরুদ্ধে একটি আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছে, যার নেতৃত্ব দেবেন দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান নিজেই- জেল থেকেই। গোহরের ভাষায়, “দলীয় কৌশল ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। ৯ জুন এ বিষয়ে আমরা একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করব।” এদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা আলী আমিন গান্ডাপুর সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, ঈদুল আজহার পর ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে একটি দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করা হবে।

জাপানে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ, আহত ৪

জাপানে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ, আহত ৪ জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ওকিনাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কাডেনা বিমান ঘাঁটিতে এক বিস্ফোরণে জাপানি আত্মরক্ষা বাহিনীর (এসডিএফ) চার সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। খবর সিনহুয়ার। সোমবার (৯ জুন) সকালে স্থানীয় সময় সাড়ে ১১টার দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এনএইচকের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটে কাডেনা ঘাঁটির একটি গোলাবারুদ ডিপোতে, যেটি এসডিএফের তত্ত্বাবধানে আছে। এসডিএফের সূত্রের বরাতে এনএইচকে জানায়, ডিপোতে বোমা নিষ্ক্রিয় করার প্রস্তুতির সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার পর আহত ওই চার সেনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তারা আঙুল পুড়ে যাওয়াসহ বেশ কিছু আঘাত পেয়েছেন। তবে আহতদের কারো অবস্থাই গুরুতর নয়। পুলিশ বর্তমানে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি তদন্ত করছে। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে জাপান ওকিনাওয়াকে রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করেছিল। ১৯৪৫ সালের ওকিনাওয়া যুদ্ধে দ্বীপটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হন। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয় যুক্তরাষ্ট্রের দখলদারিত্ব। তবে চুক্তি অনুযায়ী সেখানে তাদের সামরিক ঘাঁটি রেখে দেয়। বর্তমানে জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, তার ৭০ শতাংশই ওকিনাওয়ায় অবস্থিত।

গাজায় ঈদের দ্বিতীয় দিন ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭২

গাজায় ঈদের দ্বিতীয় দিন ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭২ পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও গাজা জুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল ঈদের দ্বিতীয় দিন দফায় দফায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু। পাশাপাশি খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে গাজা শহরের সাবরা এলাকায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ৬ শিশুসহ কমপক্ষে ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের পশ্চিমে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র লক্ষ্য করে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে একই পরিবারের ৪ সদস্যসহ ১২ জন নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। গাজা শহরের পশ্চিমে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরো ৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

আইসিসির বিচারকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানাল ইইউ

আইসিসির বিচারকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানাল ইইউ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চার বিচারকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছে ইইউ।  খবর আল জাজিরার। শুক্রবার (৬ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ একটি পোস্টে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন বলেন, “ আইসিসির বিচারকদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।” যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চার বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ ও ভিত্তিহীন পদক্ষেপ’ নেওয়ার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞাটি জারি করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার (৬ জুন) ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন বলেন, “হেগ-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রতি ইইউর ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে।” ‘এক্স’ পোস্টে তিনি আরো বলেন, “আইসিসি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের অপরাধীদের জবাবদিহি করে এবং ভুক্তভোগীদের কথা বলার সুযোগ দেয়। বিচারকদের চাপ ছাড়াই কাজ করার স্বাধীনতা থাকা উচিত।” জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টার্ক জানান, তিনি মার্কিন সিদ্ধান্তে ‘খুবই বিরক্ত।’  টার্ক বলেন, “জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিচারকদের বিচারিক কার্য সম্পাদনের জন্য তাদের উপর আক্রমণ- আইনের শাসন ও আইনের সমান সুরক্ষার প্রতি শ্রদ্ধার সরাসরি পরিপন্থি- যে মূল্যবোধের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে দাঁড়িয়ে আছে।” তিনি আরো বলেন, “এই ধরনের আক্রমণ সুশাসন ও ন্যায়বিচারের যথাযথ প্রশাসনের জন্য গভীরভাবে ক্ষতিকর।”  জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান আইসিসির বিচারকদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। ২৭টি ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের জাতীয় সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কস্তাও আইসিসিকে ‘আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিপ্রস্তর’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আইসিসিরি স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।” মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, আইসিসি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং ২০২০ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে কথিত যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা আইসিসির চার বিচারকের সবাই নারী। তারা হলেন- উগান্ডার সোলোমি বালুঙ্গি বোসা, পেরুর লুজ ডেল কারমেন ইবানেজ কারানজা, বেনিনের রেইন অ্যাডিলেড সোফি আলাপিনি গানসো এবং স্লোভেনিয়ার বেটি হোলার। ইইউ সদস্য স্লোভেনিয়া বলেছে, তারা ‘বিচারিক প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ প্রত্যাখ্যান করে’ এবং ইইউকে তার ব্লকিং আইন ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছে। স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছে, “নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকের অন্তর্ভুক্তির কারণে, স্লোভেনিয়া ব্লকিং আইনটি অবিলম্বে সক্রিয় করার প্রস্তাব করবে।” ব্লকিং আইনটি ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অ্যানেক্সে তালিকাভুক্ত আইনগুলোর সঙ্গে ‘প্রত্যক্ষ’ বা ‘পরোক্ষ’ (সাবসিডিয়ারি বা মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তিদের মাধ্যমে) সম্মতি থেকে নিষিদ্ধ করে। কিউবা এবং ইরানের সঙ্গে ইউরোপীয় বাণিজ্য নিষিদ্ধ করা থেকে ওয়াশিংটনকে বিরত রাখতে অতীতে এই আইন ব্যবহার করা হয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মানে হলো, বিচারকদের বিশেষভাবে মনোনীত অনুমোদিত ব্যক্তিদের তালিকায় যুক্ত করা হবে। তাদের যে কোনো মার্কিন সম্পদ জব্দ করা হবে এবং সেগুলো কেবল মার্কিন ব্যাংকগুলোই নয় বরং বিশ্বব্যাপী অনেক ব্যাংক দ্বারা ব্যবহৃত একটি স্বয়ংক্রিয় নজরদারি প্রক্রিয়ায় রাখা হবে, যার ফলে অনুমোদিত ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রাখা বা খোলা বা অর্থ স্থানান্তর করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে এটিই প্রথমবার নয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকটি পরেই ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে আইসিসি তদন্তে অংশগ্রহণকারী যে কাউকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেন। সেসময় সমালোচকরা সতর্ক করে বলেছিলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ন্যায়বিচারের পথকে বিকৃত করতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, সাক্ষীদের প্রমাণ নিয়ে এগিয়ে আসতে নিরুৎসাহিত করবে। কিন্তু ট্রাম্প যুক্তি দিয়েছিলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও সাবেক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের আইসিসিরি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন ছিল। তিনি আরো দাবি করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল ‘যুদ্ধের আইন কঠোরভাবে মেনে চলা গণতন্ত্রের বিকাশ’ করছে এবং আইসিসির তদন্ত সামরিক সদস্যদের ‘হয়রানি, নির্যাতন ও সম্ভাব্য গ্রেপ্তারের’ হুমকি দিচ্ছে।

ঈদের দিনেও গাজায় নিহত ৪২, খাবার বিতরণ বন্ধ

ঈদের দিনেও গাজায় নিহত ৪২, খাবার বিতরণ বন্ধ পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও গাজা জুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (৬ জুন) ঈদের দিন দফায় দফায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা। পাশাপাশি খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খান ইউনূসের নাসের হাসপাতালে অন্তত ১৬টি মরদেহ পৌঁছেছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরের আল-শিফা হাসপাতালে ১৬ জন, গাজা শহরের আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে পাঁচজন এবং দেইর আল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে আরও পাঁচজনের মরদেহ আনা হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টার হতাহতসহ ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৬৭৭ জনে এবং এ সময় এক লাখ ২৫ হাজার ৫৩০ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছেন। উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না। ফাউন্ডেশনটির এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিতরণকেন্দ্রগুলোতে যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পরেই এসব কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ১৮ মার্চ মাসে ইসরায়েল গাজায় কঠোর অবরোধ আরোপ করার পর থেকে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি প্রবেশ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত মাসে কিছু ত্রাণ ঢুকতে দেওয়া হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ১২ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ১২ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বিশ্বের ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  স্থানীয় সময় বুধবার (৪ জুন) জারি করা এক নির্বাহী আদেশে তিনি এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। আগামী সোমবার থেকে এটি কার্যকর হবে। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে নিজের প্রথম মেয়াদের অন্যতম বিতর্কিত পদক্ষেপের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট। নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকেরা। এ ছাড়া ট্রাম্প আরও সাতটি দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। দেশগুলো হলো- বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, উভয় নিষেধাজ্ঞা আগামী সোমবার থেকে কার্যকর হবে। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, কলোরাডোতে ইহুদিদের একটি র‍্যালিতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশটিতে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন। কলোরাডোর বোল্ডারে স্থানীয় সময় গত রোববার দুপুরের ওই ঘটনায় হামলাকারীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছিল পুলিশ। তিনি একজন মিসরীয় নাগরিক। এ পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্প ওই ঘটনার কথা উল্লেখ করলেও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশগুলোয় মিসরের নাম নেই। এ ছাড়া হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে আরেকটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন বলেও জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ত্রাণ সংগ্রহকারীদের মাথা ও বুক লক্ষ্য করে গুলি করছে ইসরায়েলি বাহিনী

ত্রাণ সংগ্রহকারীদের মাথা ও বুক লক্ষ্য করে গুলি করছে ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণ বিতরণের নামে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের পাখির মতো গুলি করে মারছে ইসরায়েলি বাহিনী। ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া ব্যক্তিদের সুনির্দিষ্টভাবে মাথা ও বুক লক্ষ্য করে গুলি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার বিতরণ কেন্দ্রগুলোকে মৃত্যুর ফাঁদ হিসেবে বর্ণনা করেছে। ইসরায়েলি বাহিনী রাফার পশ্চিমাঞ্চলে এই বিতরণ কেন্দ্রগুলো স্থাপন করেছিল। এই এলাকাটি একটি নিরাপদ মানবিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। ইসরায়েলি বাহিনী কেবল খাবারের জন্য সেখানে যাওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের উপর গুলি চালিয়েছে। এমন ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হয়েছে যারা খাবারের প্যাকেট ধরে রেখেছিলেন। এমনকি নিজের সন্তানদের এবং পরিবারের সদস্যদের খাওয়ানোর চেষ্টা করার সময় একজন নারীকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আহতদের অনেকেই এখনো হাসপাতালে রয়েছেন। তারা আইসিইউতে রয়েছেন। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী মূলত মাথা, বুক এবং শরীরের উপরের অংশগুলো লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের বেশিরভাগের অবস্থা খুবই গুরুতর। এরমধ্যে আবার অধিকাংশ হাসাপাতালই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এই বিতরণ কেন্দ্রগুলো স্থাপনের পর থেকে কমপক্ষে ১০২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৬০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

ট্রাম্পের ‘সুন্দর’ বাজেট বিলকে ‘জঘন্য’ বললেন মাস্ক

ট্রাম্পের ‘সুন্দর’ বাজেট বিলকে ‘জঘন্য’ বললেন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলের তীব্র সমালোচনা করেছেন শীর্ষ মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের ‘সুন্দর’ দাবি করা বাজেট বিলটিকে তিনি ‘জঘন্য’ বলে বর্ণনা করেছেন। এ ঘটনা দুই মিত্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধের সৃষ্টি করেছে। বুধবার (৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। নতুন বিলে বহু ট্রিলিয়ন ডলারের কর ছাড় ও প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এবং একই সাথে মার্কিন সরকারকে আরো অর্থ ধার করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। বিলটি গত মাসে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে মাস্ক বলেন, ‘যারা এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাদের জন্য লজ্জা। এই বিল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ওপর অসহনীয় ঋণের বোঝা চাপাবে।’ মাস্ক কয়েকদিন আগেই ট্রাম্প প্রশাসনের “ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি বা (ডিওজিই)- এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব শেষ করেছেন। ওই দপ্তরে তার কাজ ছিল সরকারি খরচ কমানো ও ‘অপ্রয়োজনীয়’ খাত চিহ্নিত করে সেগুলো বাতিল করা। মাস্ক তার পোস্টে বলেন, ‘আমি দুঃখিত, কিন্তু আমি আর সহ্য করতে পারছি না। এই বিশাল শুয়োরের মাংসে ভরা কংগ্রেসীয় বিলটি জঘন্য ন্যক্কারজনক। যারা এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন, আপনারা জানেন যে আপনারা ভুল করেছেন। বিলটি বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে এবং এর ফলে দেশের নাগরিকরা ভয়াবহ ঋণের চাপে পড়বে।’ আমেরিকান রাজনীতিতে “শুয়োরের মাংস” বলতে আইন প্রণেতাদের নির্বাচনী এলাকায় প্রকল্পে ব্যয় বোঝায়। মাস্ক অন্য একটি পোস্টে একটি রাজনৈতিক সতর্কতা যোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের নভেম্বরে, আমরা আমেরিকান জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতাকারী সমস্ত রাজনীতিবিদকে বরখাস্ত করব।’ “ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল” নামে পরিচিত এই বাজেট প্রস্তাবটি ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উদ্যোগ। বিলে রয়েছে ২০১৭ সালের করছাড় অব্যাহত রাখা, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য ৪৬.৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ, জাতীয় ঋণের সীমা ৪ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানো। তবে এসব খরচের ভার সামলাতে গিয়ে বিলটি সামাজিক নিরাপত্তা খাতে কড়া কাটছাঁট করার প্রস্তাব দিয়েছে। কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস (সিবিও) বলছে, এর ফলে মেডিকেইডে ৬৯৮ বিলিয়ন ডলার কমানো হবে, খাদ্য ভর্তুকি কর্মসূচি (এসএনএপি) থেকেও কমিয়ে দেয়া হবে ২৬৭ বিলিয়ন ডলার। এদিকে, মাস্কের সমালোচনার জবাব দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট সাংবাদিকদের বলেন, “প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যেই জানেন যে, এই বিলের ব্যাপারে ইলন মাস্ক কী অবস্থান নিয়েছেন। তবে, মাস্কের এই মন্তব্য তার মতামত পরিবর্তন করে না। প্রেসিডেন্টের মতে, এটি একটি বড় এবং সুন্দর বিল। প্রেসিডেন্ট এই ক্ষেত্রে অটল আছেন।”

পাকিস্তানে জেল থেকে পালিয়েছে ২১৩ কয়েদি

পাকিস্তানে জেল থেকে পালিয়েছে ২১৩ কয়েদি পাকিস্তানের করাচির মালির জেল থেকে অন্তত ২১৩ জন কয়েদি পালিয়েছে। পলাতক কয়েদিদের ধরতে বড় আকারের অভিযান শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। আজ পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ডন ও জিও নিউজে সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেল থেকে পালানোর সময় অন্তত একজন নিহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত অন্তত ৮০ জন কয়েদিকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ১৩০ জনের বেশি কয়েদি এখনো পলাতক। জেল সুপার আরশাদ শাহ বলেছেন, ভূমিকম্পের সময় ৪ ও ৫ নং সার্কেলের বন্দিদের যখন তাদের ব্যারাক থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল তখনই জেল থেকে পালানোর ঘটনা ঘটে। সিন্ধুর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া-উল-হাসান এই ঘটনাকে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর প্রিজনব্রেক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে একদিনে ১২০০ অভিবাসীর যুক্তরাজ্যে প্রবেশ 

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে একদিনে ১২০০ অভিবাসীর যুক্তরাজ্যে প্রবেশ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে একদিনে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে প্রায় ১২০০ অভিবাসী। যা চলতি বছর এখন পর্যন্ত একদিনে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১ জুন) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবার ১ হাজার ১৯৪ জন অভিবাসী ১৮টি ছোট নৌকায় করে দেশটিতে পৌঁছেছেন। এ নিয়ে ২০২৫ সালে চ্যানেল পাড়ি দেওয়া অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪,৮১১ জনে, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। যদিও ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য সরকার এই প্রবণতা থামাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। ফরাসি উপকূলীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত তারা প্রায় ২০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি এই সর্বশেষ আগমনকে ‘চমকে দেওয়ার মতো’ বলে উল্লেখ করেন। যদিও এটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের সেই রেকর্ডের চেয়ে কম, যখন একদিনে ১,৩০০ অভিবাসী ছোট নৌকায় এসে পৌঁছেছিল। তবে এই পরিস্থিতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবৈধ অভিবাসন ইস্যুতে কড়া অবস্থান নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি, বিশেষ করে কট্টর ডানপন্থিদের চাপের মুখে অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি রাখতে। ২০২২ সালে রেকর্ডসংখ্যক আগমনের পর ২০২৩ সালে কিছুটা কমে এলেও, আবারও ব্যাপকহারে চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে। গত বছর ৩৬,৮০০ জন অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে। চলতি বছর এপ্রিলেই চ্যানেল পাড়ি দেওয়া অভিবাসীর সংখ্যা ১০,০০০ ছাড়িয়ে গেছে-যা ২০১৮ সালে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে আগেভাগেই এ মাইলফলক অতিক্রম। চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী স্টারমার নতুন ও কঠোর অভিবাসন নীতি ঘোষণা করেছেন। এতে অভিবাসীরা নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হতে যত সময় লাগবে, তা দ্বিগুণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি অপরাধীদের বিতাড়নের ক্ষমতা আরও বাড়ানো হয়েছে।