লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১০০

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১০০ ২৩ সেপ্টেম্বর লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় গ্রাম খিয়ামে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর ধোঁয়া উড়ছে।দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে ইসরায়েলি হামলায় সোমবার শিশুসহ ১০০ জন নিহত ও চার শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। লেবানিজস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় আন্ত সীমান্ত হামলা এটি। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ওপর এক নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। এতে এই অঞ্চলের চারপাশে থাকা ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ক্রমবর্ধমান এ সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে, যার মধ্যে হিজবুল্লাহ অন্যতম। ইসরায়েল সোমবার জানিয়েছে, তারা হিজবুল্লাহর তিন শতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা উত্তর ইসরায়েলে তিনটি স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। লেবানিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের সীমান্তে প্রায় এক বছর ধরে চলা সহিংসতার মধ্যে এদিনের হামলা সবচেয়ে মারাত্মক। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আজ সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ও গ্রামে ইসরায়েলের হামলা হয়েছে। এতে ১০০ জন নিহত এবং ৪০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে শিশু, নারী ও প্যারামেডিকরা রয়েছে, এদিকে বিশ্ব শক্তিগুলো ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহকে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের প্রান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সহিংসতার কেন্দ্রবিন্দু গাজার সঙ্গে ইসরায়েলের দক্ষিণ ফ্রন্ট থেকে হঠাৎ করে লেবাননের উত্তর সীমান্তে স্থানান্তরিত হয়েছে। দক্ষিণ লেবাননের জওতার গ্রামের ৬০ বছর বয়সী গৃহিণী ওয়াফা ইসমাইল বলেন, ‘আমরা বোমাবর্ষণের মধ্যে ঘুমাই ও জেগে উঠি…এটাই আমাদের জীবনের বাস্তবতা হয়ে উঠেছে।’অন্যদিকে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি লেবাননের জনগণকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুক্ত সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু এড়াতে বলেছেন। কারণ হামলা ভবিষ্যতে ও চলতে থাকবে। হাগারি বলেন, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ‘লেবাননের সর্বত্র বিস্তৃত সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুগুলির বিরুদ্ধে (আরো) ব্যাপক ও সুনির্দিষ্ট হামলা চালাবে। পাশাপাশি তিনি বেসামরিকদের ‘নিজের নিরাপত্তার জন্য অবিলম্বে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যেতে’ বলেছেন। ইরান সমর্থিত লেবাননের শক্তিশালী রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা তাদের ফিলিস্তিনি মিত্র হামাসকে সমর্থনে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করছে। বিভক্ত লেবাননে, দেশের দক্ষিণ ও পূর্বের বড় অংশ এবং রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠগুলো হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত হয়, যেখানে এই দল ঐতিহাসিকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে এবং তার শিয়া মুসলিমদের সমর্থন ভিত্তির জন্য বিভিন্ন পরিষেবা তৈরি করেছে।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন দিশানায়েকে

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন দিশানায়েকে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকে। স্থানীয় সময় আজ সোমবার রাজধানী কলম্বোতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার ইতিহাস ‘নতুন করে রচনার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অনূঢ়া। নির্বাচনে তার এই জয়কে দুর্নীতি ও স্বজনতোষণের সংস্কৃতির প্রত্যাখ্যান হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। প্রথম বামপন্থি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দিসানায়েকে শপথ নেয়ার পরপরই বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের প্রতি জনগণের আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি জাদু দেখাই না, আমি জাদুকর নই। এমন কিছু আছে যা আমি জানি এবং এমন কিছু থাকতে পারে যা আমি জানি না। তবে আমি সেরা পরামর্শ চাইব এবং আমার সেরাটাই করব। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।’ আত্মস্বীকৃত মার্কসবাদী অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (জেভিপি) পার্টির নেতা। গতকাল রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের আস্থা অর্জন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ প্রেমাদাসা এবং ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহেকে ধরাশায়ী করে জয়ী হন তিনি। জেভিপি প্রধান অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকে এবারের নির্বাচনে এনপিপি জোটের প্রার্থী ছিলেন। জোটটি এর আগে কখনো শ্রীলঙ্কার বিরোধীদলও ছিল না। দেশটির ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে এই জোটের আসন ছিল মাত্র তিনটি। কিন্তু ২০২২ সালে গণবিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে পালানোর পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জেভিপির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ওই বিক্ষোভে সক্রিয় ভূমিকা ছিল দলটির। আন্দোলনের পর জেভিপি বৃহত্তর পরিবর্তনের ডাক দেয়। সামাজিক ন্যায়বিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলটির অনড় অবস্থান নাগরিকদের আকৃষ্ট করেছে। রাজাপক্ষে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পান রণিল বিক্রমাসিংহে। এরপর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো দেশটিতে।

ইরানে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ, নিহত ৫১

ইরানে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ, নিহত ৫১ ইরানের দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশের একটি কয়লা খনিতে গ্যাস বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আল অ্যারাবিয়া। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানায়, ৩০ জন শ্রমিক এখনও খনিতে আটকে আছে। রাষ্ট্রীয় টিভি আরও জানায়, মদনজু কোম্পানি পরিচালিত খনির বি এবং সি ব্লকে মিথেন গ্যাস বিস্ফোরণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের সময় ব্লকে মোট শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৬৯ জন। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয় রাত ৯টায় বিস্ফোরণটি ঘটে।

বাইডেনের শেষ সময়ে নতুন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে মধ্যপ্রাচ্য

বাইডেনের শেষ সময়ে নতুন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে মধ্যপ্রাচ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়ে এলেও গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো অনিশ্চিত। বাইডেনের মেয়াদ শেষের দিকে থাকায় ওয়াশিংটনের পদক্ষেপ সীমিত হয়ে পড়ছে। মার্কিন নির্বাচনের মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধের আশঙ্কায় প্রশাসন চাপে পড়েছে। সম্প্রতি ইসরায়েলের হামলায় লেবাননেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে পরিচালিত এই হামলায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পেজার এবং ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের ফলে প্রতিশোধ নেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা জটিল করে তুলেছে। লেবাননের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, এই ঘটনায় অন্তত ৩৭ জন নিহত এবং প্রায় তিন হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েল সাধারণত বিদেশে পরিচালিত হামলা নিয়ে মন্তব্য করে না, তবে বুধবার তারা ঘোষণা দেয়, একটি ‘নতুন যুদ্ধের যুগ’ শুরু হয়েছে। ইসরায়েলি গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর সদস্যদের ডিভাইস হ্যাক হওয়ার সন্দেহে তারা হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার অঙ্গীকার করেন এবং গাজায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। হিজবুল্লাহর প্রধান সমর্থক ইরান, লেবাননে তাদের রাষ্ট্রদূত আহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে। ইরানের প্রতিক্রিয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন বৈঠকের পর প্রকাশিত হতে পারে, যেখানে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বিদেশি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। অক্টোবরের ৭ তারিখে হামাসের নেতৃত্বে আকস্মিক আক্রমণে ১২০০ এরও বেশি ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করার পর থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ সীমান্তে প্রতিদিন পাল্টাপাল্টি হামলা চালাচ্ছে। তবে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ এড়ানো হয়েছে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের আক্রমণ চালিয়ে যাবে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলি বাহিনী হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহকে হত্যার পর এবং গাজায় ছয়জন জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা আরও জটিল হয়ে পড়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কায়রোতে জানান, আলোচনায় কিছু ঘটনা বারবার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মার্কিন মধ্যস্থতাকারী আমোস হকস্টেইন লেবাননে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি সীমান্তে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ করতে কাজ করছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জানিয়েছেন, সামরিক পদক্ষেপই উত্তরের সীমান্তে স্থিতিশীলতা ফেরানোর একমাত্র উপায়। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সামরিক অভিযান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ এমন কোনও অভিযান ইরান, সিরিয়া বা ইরাকের আঞ্চলিক মিত্রদেরও যুদ্ধে জড়ানোর আশঙ্কা সৃষ্টি করতে পারে। আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুতের জোসেফ বাহাউটের মতে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগেও মার্কিন সতর্কতাকে উপেক্ষা করেছেন, এবং তিনি আবারও একই পথ বেছে নিচ্ছেন।

লেবাননে এবার ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণে নিহত ১৪, আহত ৪৫০

লেবাননে এবার ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণে নিহত ১৪, আহত ৪৫০ লেবাননে এবার ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণে নিহত ১৪, আহত ৪৫০, লেবাননে ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৪৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। আজ রাতে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের সিদন শহরে একটি মোবাইল ফোনের দোকান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। সেই ধোঁয়ার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে দফায় দফায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। এর আগে লেবাননে ১৭ সেপ্টেম্বর হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের কাছে থাকা পেজার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ১২ জন নিহত এবং আহত হন প্রায় ৩ হাজার জন। ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।লেবানিজ রেডক্রসকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বলছে, লেবাননের একাধিক স্থানে ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণ হয়েছে। এসব ঘটনায় অন্তত ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের অধিবেশন ডাকা হয়েছে। বিবিসি বলছে, দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণের পর হিজবুল্লাহর শক্ত অবস্থান থাকা দাহিয়া এবং বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ওই এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের মোবাইল ফোনসহ যোগাযোগের যন্ত্র থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।এর আগে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, লেবাননে কয়েক হাজার পেজারে বিস্ফোরণের অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জন নিহত ও প্রায় ৩ হাজার জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণ শুরু হয়ে পরবর্তী প্রায় ১ ঘণ্টা সময় ধরে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় ডিভাইসগুলো বিস্ফোরিত হতে থাকে। আল জাজিরা জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহর সদস্য, মেডিকেল কর্মী এবং ইরানের রাষ্ট্রদূত রয়েছেন। এই বিস্ফোরণ হয়েছে লেবাবননজুড়ে, বিশেষত দক্ষিণ লেবাননের হিজবুল্লাহ ঘাঁটিগুলোতে। নিহতদের মধ্যে আট বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে। হিজবুল্লাহ এমপি আলী আম্মারের ছেলে মোহাম্মদ মাহদি আম্মারও নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। লেবাননে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোজতবা আমানিও বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। এই বিস্ফোরণের জন্য সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলি শত্রুদের দায়ী করেছে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, বিস্ফোরণে আমাদের আট যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েল অবশ্যই এই পাপপূর্ণ আগ্রাসনের জন্য তার ন্যায্য শাস্তি পাবে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া নেটওয়ার্ক নিষিদ্ধ করছে মেটা

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া নেটওয়ার্ক নিষিদ্ধ করছে মেটা বেশ কয়েকটি রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় মিডিয়া নেটওয়ার্ককে নিষিদ্ধ করছে মেটা। মেটা অন্যান্য সহায়ক সংস্থাগুলোর মধ্যে ফেসবুকের মূল সংস্থা। ফেসবুকের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট মেটা ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং থ্রেডের মালিক। সংস্থাটি বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান কম্পানি। মেটার অভিযোগ, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া নেটওয়ার্ক তাদের প্রভাব বিস্তারে নানা অপারেশন চালাচ্ছে। এ ছাড়া তাদের এ ধরনের প্রতারণামূলক কৌশল এড়াতে সবাইকে সতর্কও থাকতে বলেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো পশ্চিমা দেশগুলোর রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে, এমন দাবির কারণে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া নেটওয়ার্ক ক্রমবর্ধমান তদন্তের আওতায় এসেছে।

আন্দামানের রাজধানীর নাম পাল্টালো ভারত

আন্দামানের রাজধানীর নাম পাল্টালো ভারত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারের নাম পরিবর্তন করে ‘শ্রী বিজয় পুরম’ করেছে ভারত সরকার। জাতিকে ঔপনিবেশিক ছাপ থেকে মুক্ত করতে নামের এ পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছে নয়া দিল্লি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সামাজিক মাধ্যম এক্স এ শুক্রবার এমন ঘোষণা দেন বলে দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রবেশ পথ পোর্ট ব্লেয়ার। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ঔপনিবেশিক নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন আর্চিবল্ড ব্লেয়ারের নামে এ বন্দর শহরটির নামকরণ করা হয়েছিল। এক্স পোস্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগের নামটিতে যেখানে একটি ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার ছিল, সেখানে শ্রী বিজয় পুরম আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অর্জিত বিজয়ের প্রতীক। এই সংগ্রামে আন্দমান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একটি অনন্য ভূমিকা ছিল। অমিত শাহ আরও বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ইতিহাসে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অতুলনীয় স্থান আছে। এই দ্বীপাঞ্চলটি একসময় চোলা সাম্রাজ্যের নৌঘাঁটি হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। এখন এটি ভারতের কৌশলগত ও উন্নয়নগত আকাঙ্খার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে ভূমিকা রাখছে।’ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অনেক নেতা এখানকার সেলুলার জেলে বন্দি ছিলেন এবং এখানেই নেতাজি সুভাস চন্দ্র বোস প্রথম ভারতের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন বলে জানান তিনি। কুখ্যাত সেলুলার জেল এখন ভারতের জাতীয় স্মৃতি স্থাপনা। হিন্দস্তান টাইমসের তথ্য মতে, এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আন্দামান ও নিকোবরে ২১টি বড় নামবিহীন দ্বীপের নামকরণ করেছিলেন পরম বীর চক্র পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামে। দক্ষিণ আন্দামান দ্বীপের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত পোর্ট ব্লেয়ার (শ্রী বিজয়া পুরম) হলো ৫০০টিরও বেশি আদিম দ্বীপের প্রবেশদ্বার। এটি একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সরকারি স্থাপনাও রয়েছে। রাজধানীতে রয়েছে পর্যটকদের জন্য স্নরকেলিং, স্কুবা ডাইভিং, সমুদ্র ভ্রমণের মতো আকর্ষণীয় কার্যক্রম।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির আঘাত: ভিয়েতনামে ১৭৯ জনের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির আঘাত: ভিয়েতনামে ১৭৯ জনের মৃত্যু রাজধানী হ্যানয়সহ ভিয়েতনামের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৭৯ জন। আজ দেশটির সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়া প্রবল বর্ষণে রেড রিভার নদীর পানি রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যায় ডুবে গেছে হ্যানয়ের অধিকাংশ এলাকা। এখনও প্রায় ১২৮ জন নিখোঁজ রয়েছে। আড়াই লাখ হেক্টরেরও বেশি জমির ফসল ধ্বংস হয়ে গেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত দুর্যোগ কর্মকর্তারা একটি অফিসিয়াল রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। দক্ষিণ চীন সাগরের একটি নিম্নচাপ থেকে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে আছড়ে পড়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে। এ ঘূর্ণিঝড়কে চলতি বছর আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের। ভিয়েতনামে আসার আগে ফিলিপাইনের লুজন প্রদেশ এবং চীনের কোটু দ্বীপেও তাণ্ডব চালায় ইয়াগি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তাও বলছেন, ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এশিয়ায় যত ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে, সেসবের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল ইয়াগি। গত শনিবার সকালে উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হানার পর রাজধানী হ্যানয়ের দিকে এগোতে শুরু করে ইয়াগি। যেসব এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়টি গিয়েছে, সেসব এলাকায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল বলে জানিয়েছেন দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় বিভিন্ন স্থানে বন্যা ও ভূমিধসের বিষয়ে সতর্ক করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় রোববার হোয়া বিনহ প্রদেশে একটি বাড়ির ওপর পাহাড় ধসে পড়ার ঘটনায় একই পরিবারের চার সদস্য নিহত হন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভিএনইএক্সপ্রেস জানায়, ইয়াগির প্রভাবে কয়েক ঘণ্টা টানা বৃষ্টিপাতের পর মধ্যরাতের দিকে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। গত সোমবার থেকে শক্তি হারানো শুরু করে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকে। ব্যাপক বর্ষণের জেরে হ্যানয়ের পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া রেড রিভারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার পানি রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পরিচালক মাই ভ্যান কিয়েম বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রেড রিভার নদীর পানি গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এছাড়া অন্যান্য নদীতে পানি বেড়েছে বিপুল পরিমাণে। নদীতে পানির প্রবাহ রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় বন্যা এবং ভূমিধস শুরু হয়েছে রাজধানী হ্যানয়সহ বিভিন্ন প্রদেশে। দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন। নিয়মিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল ও সরকারি ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন লোকজন। বন্যার কারণে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে চীনের হাইনানে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যায়। হাইনানে ঝড়ের কারণে হতাহতের ঘটনাও ঘটে।

মণিপুরে ব্যাপক সংঘর্ষ, ইন্টারনেট বন্ধ ঘোষণা

মণিপুরে ব্যাপক সংঘর্ষ, ইন্টারনেট বন্ধ ঘোষণা রাজধানী ইম্ফলে গভর্নরের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাতের পর ৫ দিনের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুরের রাজ্য সরকার। আজ বিকেলে রাজ্য প্রশাসন দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে আজ বিকেল ৩ টা থেকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫ দিন রাজ্যজুড়ে লিজ লাইন, ভিএসএটি, ব্রডব্যান্ড এবং ভিপিএনসহ সকল প্রকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ ইম্ফলে মণিপুর রাজ্যের গভর্নরের কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল শিক্ষার্থী-জনতার। সেই অনুযায়ী প্রায় এক ঘণ্টার সংঘর্ষ শেষে দুপুর ২টার কিছু পরে শিক্ষার্থী-জনতাকে পুরোপুরি ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। তার কিছুক্ষণ পরই ইন্টারনেট বন্ধের বিবৃতি দেয় মণিপুর রাজ্য সরকার।

অরুণাচলে চীনা দখলদারির অভিযোগ খারিজ ভারতীয় মন্ত্রীর

অরুণাচলে চীনা দখলদারির অভিযোগ খারিজ ভারতীয় মন্ত্রীর অরুণাচল প্রদেশে চীনা দখলদারির অভিযোগ খারিজ করেছেন ভারতের সংসদবিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। ভারত ভূখণ্ডের ৬০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে চীনা বাহিনী শিবির বানিয়েছে বলে সম্প্রতি যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, তা সত্যি নয় বলে দাবি করেছেন তিনি। খবর ফাস্ট পোস্টের।  সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিরণ রিজিজু বলেন, ‘ভারতের জমিতে ঢুকে চীনা বাহিনী যদি তাদের ভূখণ্ড বলে লিখে রেখে যায়, তাহলেই তা সত্যি হয়ে যাবে না।’ অরুণাচলের বিজেপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘চীন আমাদের জমি নিতে পারে না। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) অনির্ধারিত এলাকায় টহলে ‘ওভারল্যাপিং’ (দু’পক্ষই যাতায়াত করে)। তাদের স্থায়ী কিছু নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয় না। আমাদের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রয়েছে। অনির্ধারিত স্থানে শুধু চিহ্ন আঁকার মানে এই নয়, এলাকা দখল করা হয়েছে।’ কিরণ রিজিজু বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় কিছু মিডিয়ায় দেখানো হয়েছে চীনের পিএএল অরুণাচলের কিছু অঞ্চলে কিছু চিহ্ন এঁকেছে। কিন্তু আমরা সবাই অবস্থান জানি। ভারতীয় সরকার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব খবরে অবহিত আছে। আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট যে চীনা আর্মি বা চীনা ফোর্স তাদের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বাইরে কোনো ধরনের স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করতে পারবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘অরুণাচল প্রদেশে কিছু এলাকা আছে যেসব পুরোটাই অনির্ধারিত। শুরু থেকেই এসবের সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। তাই এমন পরিস্থিতিতে আমাদের ভারতীয় বাহিনী এবং চীনা বাহিনী উভয়ের নিয়ন্ত্রিত এলাকা ক্রস করে। এবং দুর্গম ভূখণ্ড এবং অনির্ধারিত এলাকার কারণে মাঝেমধ্যে টহল দল অনির্ধারিত এলাকায় যায় এবং তারা সেখানে চিহ্ন দেওয়ার চেষ্টা করে এবং কিছু জিনিস মাটিতে ফেলা হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রয়েছে। অনির্ধারিত স্থানে শুধু চিহ্ন আঁকার মানে এই নয় যে এলাকা দখল করা হয়েছে।’ গত সপ্তাহে অরুণাচলের অঞ্জো জেলার কাপাপু এলাকায় চীনা বাহিনীর তৈরি করা তাঁবুর খোঁজ মিলেছে বলে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছিল, কয়েক সপ্তাহ আগে ওই এলাকায় চীনা বাহিনী ঢুকে পাথরে চিহ্ন এঁকেছে ও তাঁবু ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনার শেয়ার করা ছবিতেও সেখানে আগুন জ্বালানোর চিত্র, পাথরে চীনা চিহ্ন ও চীনা খাদ্য সামগ্রী পাওয়া গেছে।