ভারতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কমপক্ষে ১৩৩ জন নিহ*ত

ভারতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কমপক্ষে ১৩৩ জন নিহ*ত ভারতের আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর সবশেষ কমপক্ষে ১৩৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতের এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ এক লাইভ প্রতিবেদনে ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ ১৮’ এ খবর জানিয়েছে। এর আগে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১৭ মিনিটে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে উড্ডয়নের পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান যাত্রী ছিলেন। প্রতিবেদনে নিউজ ১৮ জানিয়েছে, আহমেদাবাদের মেঘানীনগর এলাকার কাছে প্রচণ্ড ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী পৌঁছেছে এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া দলগুলোকে কাজ করছে। কর্তৃপক্ষ এখনো দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নাইডুর সাথে দুর্ঘটনার বিষয়ে কথা বলেছেন। মোদি দুই মন্ত্রীকে আহমেদাবাদে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সকল সম্ভাব্য সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে বলেছেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল বলেছেন, কর্মকর্তাদের ‘তাৎক্ষণিক উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম’ পরিচালনা করার এবং ‘যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে’ ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরন এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিধ্বংসী এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। এই মুহূর্তে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হল সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা করা।

প্লেনটি আছড়ে পড়ে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে, বহু শিক্ষার্থী নি*হতের শঙ্কা

প্লেনটি আছড়ে পড়ে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে, বহু শিক্ষার্থী নি*হতের শঙ্কা ভারতের আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়াল দেয়ার পাঁচ মিনিট যেতে না যেতেই প্লেনটি আছড়ে পড়ে লোকালয়ে। বিমানবন্দর থেকে বেশি দূর যেতে পারেনি এটি। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ২৩০ যাত্রী ও ১২ জন ক্রুসহ প্লেনটি ভেঙে পড়ে মেঘানি নগর এলাকায় একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর। এতে হোস্টেলের ভবনও চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। যে কারণে দুর্ঘটনার সময়ে যারা ওই হোস্টেলে অবস্থান করছিলেন, সকলেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্র বলছে, আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা থাকতেন ওই হোস্টেলের। প্রায় ৫০ জন ইন্টার্ন থাকতেন সেখানে। ওই ভবনের পাশের একটি বিল্ডিংয়ে থাকেন রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা। তারা সকলেই অহমদাবাদের সিভিল হাসপাতালে কর্মরত। তবে ওই হোস্টেলসহ সেখানের হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তথ্য জানা যায়নি। অসমর্থিত একটি সূত্র বলছে, ১৫ জন চিকিৎসক আহত হয়েছেন। আহমেদাবাদের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী প্লেনটি চিকিৎসকদের একটি হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়েছে। পুলিশ, দমকল কর্মী এবং অন্যান্য সংস্থার কর্মীরা অল্পক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। উদ্ধারতৎপরতা চলমান রয়েছে। এ দুর্ঘটনায় অনেক তরুণের প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এক কর্মকর্তা। নিহতরা ওই হোস্টেলের শিক্ষার্থী কি না তা স্পষ্ট করেননি তিনি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আহমেদাবাদের ইতিহাসে এটি অন্যতম একটি কালো দিন। আমরা এত তরুণের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি। ’এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ নম্বরের প্লেনটি আজ দুপুর ১টা ১০ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ে। ব্রিটেনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল সেটি। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকালয়ের মাঝে প্লেনটি ভেঙে পড়ে। দূর থেকে আগুন এবং কালো ধোঁয়া দেখা যায়। ভেঙে পড়ার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কী কারণে প্লেনটি ওড়ার কিছু সময় পরই আছড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হলো, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, প্লেনটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য। সরকারি সূত্র বলছে, দুর্ঘটনাকবলিত প্লেনেটি বোয়িং সংস্থার বি-৭৮৭ ড্রিমলাইনার ছিল। ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন কানাডিয়ান নাগরিক এবং সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। বিমানের দুই পাইলটের নাম ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়াল এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর। ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, প্লেনটির পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল একজন এলটিসি ছিলেন। তার ৮২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। কো-পাইলটের ১১০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। এলটিসির অর্থ হল লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন, অর্থাৎ তিনি অন্য পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতেন।

ভারতে ২৪২ যাত্রী নিয়ে লন্ডনগামী বিমান বি*ধ্বস্ত, বহু মৃ*ত্যুর আ*শঙ্কা

ভারতে ২৪২ যাত্রী নিয়ে লন্ডনগামী বিমান বি*ধ্বস্ত, বহু মৃ*ত্যুর আ*শঙ্কা ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লন্ডনগামী বিমানটিতে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু ছিলেন। এই ঘটনায় বহু যাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।বিমানটি নিচু হয়ে উড়ে যাওয়ার ও উচ্চতা বাড়ানোর চেষ্টা করার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ছে এবং পরবর্তীতে আগুনের কুণ্ডলীতে পরিণত হচ্ছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ৩৮ মিনিটে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে উড়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আহমেদাবাদ-লন্ডন গ্যাটউইক চলাচলকারী ফ্লাইট নং এআই ১৭১ আজ একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এই মুহূর্তে, আমরা বিস্তারিত তথ্য যাচাই করছি এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আরো আপডেট শেয়ার করব।” বিমানটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়ায় বহু প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দমকল বাহিনীর ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। পাশাপাশি উদ্ধারকাজে অংশ নিতে জরুরি সেবা সংস্থাগুলোকেও তৎপর করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কীভাবে এ ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

ইসরায়েলি দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যসহ পাঁচ দেশের নিষেধাজ্ঞা

ইসরায়েলি দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যসহ পাঁচ দেশের নিষেধাজ্ঞা গাজা যুদ্ধ ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের দুই ডানপন্থী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও নরওয়ে। গতকাল এক যৌথ ঘোষণায় দেশগুলো জানায়—অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং যুক্তরাজ্যে তাদের সব সম্পদ জব্দ করা হবে। এ পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এলো, যখন ইসরায়েলের গাজা অভিযান ও পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ বাড়ছে। এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থান থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিন্নমতও নির্দেশ করে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, স্মোত্রিচ ও বেন গভির এমন ভাষা ব্যবহার করেছেন যা ভয়ংকরভাবে চরমপন্থী ও সহিংসতা উসকে দেয়। এটি শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, ইসরায়েল সরকারের উচিত এমন বক্তব্য থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়া এবং তা স্পষ্টভাবে নিন্দা করা। স্মোত্রিচ ও বেন গভির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন কট্টর ডানপন্থী জোটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তাদের একজন পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন করে বসবাস করেন এবং দুইজনই গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের ‘পুনর্বাসনের’ নামে উচ্ছেদের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। আন্তর্জাতিক মহলে তাদের এসব বক্তব্য ও অবস্থান ব্যাপকভাবে সমালোচিত। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবরণে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের শুরু থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি চরমপন্থী বসতি স্থাপনকারীরা অন্তত ১,৯০০টি হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর। বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞা গাজার চলমান সংঘাত থেকে আলাদা নয় বরং একটি বৃহত্তর মানবিক ও রাজনৈতিক বার্তার অংশ। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, পাঁচ দেশ চায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক, হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিক এবং ভবিষ্যতে দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক রাজনৈতিক সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়া হোক—যেখানে হামাসের কোনো রাজনৈতিক ভূমিকা থাকবে না। এর আগেও যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল মুক্ত বাণিজ্য আলোচনার স্থগিতাদেশ, ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব এবং কিছু সহিংস বসতি স্থাপনকারী ও সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপকে “অসাংবিধানিক ও অগ্রহণযোগ্য” বলে অভিহিত করেছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা কেবল প্রতীকী নয়, বরং গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের কার্যক্রম নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের প্রতিচ্ছবি।

ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহ*ত, ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলো ‘মর*ণ ফাঁ*দ’

ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহ*ত, ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলো ‘মর*ণ ফাঁ*দ’ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক। আজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। স্থানীয় চিকিৎসা কর্মকর্তাদের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নিরলস হামলায় ৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। মঙ্গলবার গাজার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েলনিয়ন্ত্রিত নেতসারিম করিডোরের কাছে ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। গাজা সরকারের তথ্য অফিস জানায়, এতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০০ জন। নিহতদের মধ্যে ১২ বছরের এক শিশুও রয়েছে। শিশুটির নাম মোহাম্মদ খলিল আল-আথামনেহ। এই ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রগুলো পরিচালনা করছে ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) নামের একটি বিতর্কিত সংস্থা, যার কার্যক্রম ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে চলছে এবং এটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জনগণ এই বিতরণ কেন্দ্রগুলোকে ‘মানব কসাইখানা’ বলে অভিহিত করেছেন। জিএইচএফ কার্যত একটি ‘মরণ ফাঁদে’ পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ। গাজা সরকারের তথ্য অফিস এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জিএইচএফ এখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক ভয়ঙ্কর হাতিয়ার। যারা ত্রাণ দেওয়ার নামে নিরস্ত্র ও ক্ষুধার্ত মানুষদের টেনে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে সেখানে। আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজ্জুম গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে জানিয়েছেন, জিএইচএফ-এর এসব ত্রাণকেন্দ্র এখন ‘রক্তপাতের মঞ্চ’ হয়ে উঠেছে, যেখানে পরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের টানা বোমাবর্ষণ ও অবরোধের মুখে গাজার হাসপাতালগুলো মারাত্মক চাপে পড়েছে। বিশেষ করে সহায়তা বিতরণকেন্দ্রগুলোর আশপাশে ইসরায়েলি হামলায় বাড়তে থাকা হতাহতের চাপ বহন করতে পারছে না চিকিৎসা ব্যবস্থা। বিবৃতিতে সংস্থাটি আরও জানায়, সম্প্রতি আহত হয়ে আসা অধিকাংশ রোগীই বলেছেন, তারা সাহায্য বিতরণকেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এসব হামলা চালানো হয়েছে বিভিন্ন দিক থেকে। ড্রোন, ট্যাংক ও স্নাইপার ব্যবহার করে এসব বিচ্ছিন্ন ত্রাণকেন্দ্রে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এসব হামলাকে মূলত মানবিক সহায়তা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার এক প্রক্রিয়া বলে অভিমত সাংবাদিক আজ্জুমের। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত জিএইচএফের সহায়তা কেন্দ্র ঘিরে হামলায় ১২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭৩৬ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ৯ জন।

ভারতে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ; পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত ৭৪৭

ভারতে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ; পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত ৭৪৭ ভারতে ফের ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সোমবার একদিনে নতুন করে ৩৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে দেশজুড়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৯১ জনে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের। সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে কেরালায়, যেখানে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৫৭ জন। এর পরেই রয়েছে গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজধানী দিল্লি। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২৮ জনে। পশ্চিমবঙ্গে রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত ৫৪ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ফলে রাজ্যে মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪৭ জনে, যা কেরালা ও গুজরাটের পর দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ। করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘কোভিড শব্দটি শুনলেই মানুষ ভয় পায়। তবে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’ তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে চাননি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে ওমিক্রনের নতুন উপ-ভ্যারিয়েন্ট—জেএন১, এনবি.১.৮.১, এলএফ৭ এবং এক্সএফসি। এগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে হালকা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এসব ভ্যারিয়েন্টকে ‘পর্যবেক্ষণাধীন রূপ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং জানিয়েছে, বর্তমানে আতঙ্কের কিছু নায়। তবে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রীর হু*মকি: বিদেশি হলেই বাংলাদেশে পু*শ-ইন

আসামের মুখ্যমন্ত্রীর হু*মকি: বিদেশি হলেই বাংলাদেশে পু*শ-ইন ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের আইনসভায় ঘোষণা দিয়েছেন— যাকেই বিদেশি হিসেবে শনাক্ত করা হবে, তাকে সরাসরি বাংলাদেশে পুশ ইন করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের আইনি অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। সোমবার (৯ জুন) আইনসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে রাজ্যের জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) সরাসরি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ১৯৫০ সালের একটি পুরনো আইন পুনরায় কার্যকর করা হয়েছে, যার বৈধতা স্বয়ং ভারতের সুপ্রিম কোর্ট স্বীকৃতি দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া, যেসব ব্যক্তিকে রাজ্যের ফরেনার ট্রাইব্যুনাল বিদেশি ঘোষণা করেছে, তাদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতিতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, গত কয়েক সপ্তাহে ফরেনার ট্রাইব্যুনালের আদেশের ভিত্তিতে প্রায় ৩৫০ জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি ঐতিহাসিক রায়ে বলা হয়েছে— ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পর যেসব ব্যক্তি আসামে প্রবেশ করেছেন, তারা ভারতের নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবেন না। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেন। রায়ে আরও বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পর আসামে যারা প্রবেশ করেছেন, তাদের কোনো ধরনের ছাড় বা ব্যতিক্রম দেওয়ার সুযোগ নেই। আদালত নির্দেশনা দেয়, ১৯৫০ সালের পুশ ইন-আইনও বৈধ, এবং সেই আইনের আওতায় জেলা প্রশাসকরা চাইলে যে কাউকে পুশ ইন করতে পারবেন। আইনি প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হবে না।

গাজায় প্রাণহানি ৫৫ হাজার ছুঁইছুঁই

গাজায় প্রাণহানি ৫৫ হাজার ছুঁইছুঁই ইসরায়েলি বাহিনীর একের পর এক আক্রমণে ফের রক্তাক্ত গাজা। সোমবার (৯ জুন) সারাদিন চলা বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি, আহত আরও ৩৮৮। স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। চলমান যুদ্ধে সোমবারের হামলার পর পর্যন্ত গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৯২৭ জনে। পাশাপাশি গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৭ জন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় গাজা নিয়ন্ত্রিত প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। ওই অভিযানে গুলি ও হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং আরও ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। টানা ১৫ মাস ধরে ভয়াবহ এই যুদ্ধ চলার পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই বিরতি ছিল ক্ষণস্থায়ী। গত ১৮ মার্চ থেকে ফের শুরু হয় ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বিতীয় দফা হামলা। এই নতুন দফার অভিযানে আড়াই মাসেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪ হাজার ৬৪৯ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১৪ হাজার ৫৭৪ জন। এদিকে, শুরুতেই হামাস যাদের জিম্মি করে নিয়েছিল, সেই ২৫১ জনের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মুক্ত করতে নতুন করে সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

ইসরায়েলি হামলায় আরো ১০৮ ফিলিস্তিনি নিহত

ইসরায়েলি হামলায় আরো ১০৮ ফিলিস্তিনি নিহত মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার (৮ জুন) ঈদের তৃতীয় দিন দফায় দফায় ইসরায়েলের হামলায় ১০৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো প্রায় ৪০০ জন আহত হয়েছেন। খবর আনাদোলুর।  গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৮টি মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। একই সময়ে ৩৯৩ আহতকে হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষমতা হাসপাতালগুলোর নেই। গাজায় শুক্রবার (৬ জুন), ঈদুল আজহার প্রথম দিনে ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গোলাগুলিতে ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হন। শনিবার (৭ জুন), ঈদের দ্বিতীয় দিন ৭২ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই অভিযানে রবিবার (৮ জুন) পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৪ হাজার ৮৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৭ জন। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং প্রায় ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন। গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে রায় উপেক্ষা করে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

১১ জুন জামিন পেতে পারেন ইমরান খান

১১ জুন জামিন পেতে পারেন ইমরান খান একাধিক মামলায় ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে আদিয়ালা কারাগারে বন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ১১ জুন জামিন পেতে পারেন। রবিবার (৮ জুন) ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান গোহর আলি খান এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।  তিনি জানান, ১১ জুন (বুধবার) দিনটি দলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে তিনি জানান, ইমরান খুব শিগগির জেল থেকে ছাড়া পেতে চলেছেন। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমস। গোহরের মন্তব্যের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে যে, ওই দিনই জেল থেকে ছাড়া পেতে পারেন ইমরান। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘এআরওয়াই নিউজ’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিটিআই চেয়ারম্যান গোহর বলেন, “ইমরানকে ছাড়াই চারটি ঈদ কেটে গেল। তবে উনি খুব শিগগির ছাড়া পাবেন। ১১ জুন তারিখটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।” ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) ওই দিন ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির দণ্ড স্থগিত চেয়ে দাখিল করা আবেদনপত্রের ওপর শুনানি করবে। এর আগে, গত মাসে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) আবেদনের ভিত্তিতে শুনানিটি মুলতবি করা হয়েছিল, কারণ সংস্থাটি তাদের আইনি প্রস্তুতির জন্য সময় চেয়েছিল। ইতিমধ্যেই শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান। রবিবার গোহরও পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলোকে একজোট হয়ে আন্দোলনে নামার কথা বলেন। তিনি জানান, পিটিআই চলতি অর্থবছরের বাজেট এবং চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার বিরুদ্ধে একটি আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছে, যার নেতৃত্ব দেবেন দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান নিজেই- জেল থেকেই। গোহরের ভাষায়, “দলীয় কৌশল ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। ৯ জুন এ বিষয়ে আমরা একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করব।” এদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা আলী আমিন গান্ডাপুর সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, ঈদুল আজহার পর ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে একটি দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করা হবে।