হিজবুল্লাহ-ইসরায়েলি বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ লেবাননে

হিজবুল্লাহ-ইসরায়েলি বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ লেবাননে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে ও শহরে ব্যাপক বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির এনএনএ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খিয়াম শহরের চারপাশে ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। সোমবার ২৫ নভেম্বর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। দেইর আল-জাহরানিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ইতোমধ্যে একজন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ইয়ামার আল-শফিকে অন্তত ১৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এনএনএ বলছে, কিয়ামে ইসরায়েলি বাহিনী তুমুল বোমাবর্ষণ চালিয়েছে। ইসরায়েলের স্থল বাহিনী শহরটিতে ট্যাঙ্ক নিয়ে অগ্রসরের চেষ্টা চালাচ্ছে। এনএনএ’র মতে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তীব্রভাবে সংঘর্ষে জড়িত। তারা ইসরায়েলের দুইটি ট্যাংকে হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া শামা ও আল বেয়াদার উপকণ্ঠে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। দেইর মিমাসেও ইসরায়েলি সেনারা সক্রিয় বলে জানিয়েছে এনএনএ। তবে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ওই অঞ্চলে চারটি রকেট হামলা চালিয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার লেবানন থেকে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আশদদ নাভাল ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো হামলা চালিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে ৩৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুড়ে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এতে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। সেইসঙ্গে তেল আবিবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ স*ম্পদ ইলন মাস্কের!

পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ স*ম্পদ ইলন মাস্কের! মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের অর্থ-সম্পদ আরো ফুলেফেঁপে উঠেছে। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস জানিয়েছে, মাস্কই এখন ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ধনী। সাময়িকীটির ভাষ্য মতে, এর আগে কেউই মাস্কের মতো সম্পদের মালিক হতে পারেননি। সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, মাস্কের সম্পদ আসলে ৩৪ হাজার ৭৮০ কোটি ডলারের বেশি। বাংলাদেশি টাকায় যা ৪১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার সমান (প্রতি ডলার ১১৯ টাকা ধরে)। গত ৫ নভেম্বরের ভোটে ট্রাম্পের জয়ের পর মাস্কের মোট সম্পদে আরো ৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলার যুক্ত হয়েছে। গত শুক্রবার প্রকাশ করা ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার তালিকা অনুযায়ী, তিনি এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী। তার সম্পদের পরিমাণ ৩৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক সপ্তাহে এক্সএআইয়ের বাজারমূল্য বেড়ে ৫০ বিলিয়নে পৌঁছে গেছে। এই কোম্পানিতে মাস্কের ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। স্পেস-এক্সও লাভজনক জায়গায় রয়েছে। তাতে মাস্কের শেয়ার ৪২ শতাংশ। এই কোম্পানির বাজারমূল্য ২১০ বিলিয়ন ডলার। আর টেসলায় ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে মাস্কের। এছাড়া টেসলার শেয়ার গত নির্বাচনের পর থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। টেসলার শেয়ারের ব্যাপক বৃদ্ধি এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক সাফল্যের ফলে এই ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক মাইলফলক অর্জিত হয়েছে। এতদিন সর্বকালের সেরা ধনীর তকমা দেওয়া হতো ১৪ শতকে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির শাসক মানসা মুসাকে। কথিত আছে, মালির এই শাসক এতটাই সম্পদশালী ছিলেন যে তার সম্পদের পরিমাণ ধারণাও করতে পারেনি ইতিহাসবিদরা। মানি ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারও পক্ষে যতটা বর্ণনা করা সম্ভব মানসা মুসা এর চেয়েও ধনী ছিলেন। ক্ষমতায় বসার আগে মালির শাসক ছিলেন তার ভাই মানসা আবু-বকর। ১৩১২ সালে আবু-বকর সিংহাসন ত্যাগ করে একটি অভিযানে বের হন। উত্তরাধিকার সূত্রে মালির শাসনভার গ্রহণ করেন মানসা মুসা। তার শাসনামলে মালি রাজত্বের বিস্তার ঘটতে থাকে। মানসা মুসা তার রাজত্বে আরও ২৪টি শহর যুক্ত করেন। আটলান্টিক মহাসাগর থেকে শুরু করে বর্তমান নাইজার, সেনেগাল, মৌরিতানিয়া, মালি, বুরকিনা ফাসো, গাম্বিয়া, গিনি-বিসাউ, গিনি এবং আইভরি কোস্টের বড় অংশ মানসা মুসার রাজত্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এত বড় সাম্রাজ্যের সঙ্গে তার আয়ত্তে আসে স্বর্ণ ও লবণের মতো মূল্যবান খনিজ সম্পদ। ব্রিটিশ মিউজিয়াম বলছে, মানসা মুসার শাসনামলে তৎকালীন বিশ্বে যে পরিমাণ স্বর্ণের মজুদ ছিল তার অর্ধেকই ছিল মালিতে। আর সেগুলোর সবটারই মালিক ছিলেন মানসা মুসা। শাসক হিসেবে মধ্যযুগের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদটির প্রায় অফুরান জোগান ছিল তার কাছে। কিন্তু ধর্মপ্রাণ মুসলিম মানসা মুসা সাহারা মরুভূমি এবং মিসর পার হয়ে মক্কায় হজ পালনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়। বলা হয়ে থাকে, ৬০ হাজার মানুষের একটি দল নিয়ে মালি ত্যাগ করেন মানসা মুসা। তার সেই দলে ছিলেন সম্পূর্ণ মন্ত্রিপরিষদ, কর্মকর্তারা, সৈনিক, কবি, ব্যবসায়ী, উটচালক এবং ১২ হাজার দাস-দাসী। একই সঙ্গে খাবারের জন্য ছিল ছাগল এবং ভেড়ার এক বিশাল বহর। এরপর সেই বহর যখন কায়রো পৌঁছায় তখন ঘটে অভাবনীয় এক ঘটনা। কায়রোতে তিন মাস অবস্থান করেন মানসা মুসা। সে সময় তিনি যে হারে মানুষকে স্বর্ণ দান করেছেন তাতে পরবর্তী ১০ বছর ওই পুরো অঞ্চলে স্বর্ণের দাম তলানিতে গিয়ে পৌঁছায়। ভেঙে পড়ে অর্থনীতি। ১৩৩৭ সালে ৫৭ বছর বয়সে মারা যান মানসা মুসা। তার মৃত্যুর পর মানসা মুসার ছেলেরা আর সেই সাম্রাজ্য ধরে রাখতে পারেননি। ছোট রাজ্যগুলো একে একে বেরিয়ে যেতে থাকে। একসময় পুরো সাম্রাজ্য ধসে পড়ে। পরবর্তী সময়ে ইউরোপীয়রা ধীরে ধীরে আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করে। ইতিহাসে এক বিস্ময়কর চরিত্র হিসেবে জায়গা পান মুসা।
কৃষিমন্ত্রী নিয়োগের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হলো ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের

কৃষিমন্ত্রী নিয়োগের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হলো ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ব্রুক রলিন্সকে পরবর্তী প্রশাসনে কৃষিমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এই নিয়োগের মধ্য দিয়ে মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ সম্পূর্ণ করলেন ট্রাম্প। শনিবার সন্ধ্যায় কৃষিমন্ত্রী পদে রলিন্সের নাম ঘোষণা করেন ট্রাম্প। রলিন্স চিন্তক প্রতিষ্ঠান আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রধান। যদিও নতুন প্রশাসনে প্রায় ৪ হাজারের মতো নতুন জনশক্তি নিয়োগ করার কথা রয়েছে। তবে ১৫ জন ব্যক্তিকে নিয়ে শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রিসভার গঠন এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। শনিবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, আমাদের পরবর্তী কৃষিমন্ত্রী হিসেবে ব্রুক মার্কিন কৃষকদের রক্ষা করার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেবেন, যারা সত্যিই আমাদের দেশের মেরুদণ্ড। ট্রাম্প তাকে দেশের একজন সত্যিকার দক্ষ ব্যক্তি হিসেবে অভিহিত করেন। ৫২ বছর বয়সি রলিন্স রাইট উইং থিংক ট্যাঙ্ক প্রেসিডেন্ট অব দ্য আমেরিকা ফাস্ট পোলিসি ইনস্টিটিউটের সিইও। যেটা ট্রাম্পের এজেন্ডা প্রচারের জন্য নিবেদিত একটি অলাভজনক সংস্থা হিসেবে বিবেচিত। এতোদিন ট্রাম্পের পক্ষ হয়ে লড়ার পুরষ্কারই যেনো পেলেন তিনি। এর আগে রলিন্স হোয়াইট হাউসে কাজ করেছেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে অফিস অব আমেরিকান ইনোভেশনের পরিচালক ছিলেন তিনি। এ ছাড়া রলিন্স হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীন নীতি কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সিনেটের অনুমোদনের পর কৃষিমন্ত্রী হিসেবে রলিন্স খামারের ভর্তুকি, কেন্দ্রীয় সরকারের পুষ্টি কর্মসূচি, মাংস খাতে পরিদর্শন এবং দেশের খামার, খাদ্য ও বনজ শিল্পের অন্যান্য দিক তত্ত্বাবধান করবেন।
ইউক্রেইনের বসতি দখল করেছে রুশ বাহিনী

ইউক্রেইনের বসতি দখল করেছে রুশ বাহিনী রুশ বাহিনীর দ্রুত অগ্রযাত্রায় নভোদমিত্রিভকা দখলকে সর্বশেষ অর্জন বলে অভিহিত করেছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলুসোভ। পূর্ব ইউক্রেইনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে নভোদমিত্রিভকা বসতি দখল করেছে রুশ বাহিনী। শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রুশ বাহিনীর দ্রুত অগ্রযাত্রায় নভোদমিত্রিভকা দখলকে সর্বশেষ অর্জন বলে অভিহিত করেছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলুসোভ। তবে ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ শহর কুরাখোভের উত্তরে অবস্থিত এই গ্রামটি দখলের বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করে জানায়নি। ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনীর প্রতিবেদনে গ্রামটির অবস্থান এমন একটি এলাকায় উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে রুশ বাহিনী লড়াই করে গভীরে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্স কোনও পক্ষের দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। অনলাইনে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেলুসোভকে বলতে শোনা গেছে, “আমরা এখানে যে কাজটি করেছি তাতে ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলিকে ভেঙে ফেলা সক্ষম হয়েছে। এখন আমাদের অগ্রগতি তরান্বিত হয়েছে। আমরা তাদের ২০২৫ সালের গোটা অভিযান পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়েছি। ইউক্রেইনের জেনারেল স্টাফ বলেছেন, এক হাজার কিলোমিটার (৬০০ মাইল) ফ্রন্টের কুরাখোভ সেক্টরে ব্যাপক সংঘর্ষ হচ্ছে। ওই সেক্টরে ৩৫টি সশস্ত্র সংঘর্ষের মধ্যে ১০টি এখনও চলছে বলে নিশ্চিত করেছে তারা। ওপেন সোর্সের তথ্য অনুসারে, রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেইনের ২০ শতাংশেরও কম অঞ্চল দখল করে রেখেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে খুব দ্রুত সময়ে দোনেৎস্ক অঞ্চলে অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী। তারা কুরাখোভ এবং উত্তরে পোকরোভস্ক শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়াটার্স। ইউক্রেইনের ইস্পাত শিল্পকে কোকিং কয়লা সরবরাহ করে এমন একমাত্র কোলিয়ারির অঞ্চল এটি। এমনকি রাশিয়ান সেনাবাহিনী খারকিভ অঞ্চলের উত্তর কুপিয়ানস্কের কাছে একটি রেল হাব এবং লজিস্টিক সেন্টারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
খাদ্যসঙ্কটে মহাকাশে সুনীতা-বুচ

খাদ্যসঙ্কটে মহাকাশে সুনীতা-বুচ কয়েক দিন আগে নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামসের সাম্প্রতিক ছবি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। বলেছিলেন, তার স্বাস্থ্য ভালো নেই। ভেঙে যাওয়া গাল, শীর্ণকায় শরীরের সেই ছবি উদ্বেগ বাড়িয়েছিল অনুরাগীদের। তবে সুনীতা তা অস্বীকার করে জানান, তার ওজন একই আছে। মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণহীনতার জন্য শরীরে তরলের পরিমাণের তারতম্য ঘটেছে। সেই কারণে শীর্ণকায় দেখাচ্ছে। তবু দুশ্চিন্তা কমেনি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রকাশ করা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আটকে থাকা সুনীতা এবং তার সফর-সঙ্গী বুচ উইলমোরের ছবি দেখে বিশেষজ্ঞদের অনেকে জানিয়েছেন, সুনীতাদের কাছে ফল, আনাজের মতো তাজা খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। গত জুন মাসে বোয়িং স্টারলাইনারের তৈরি প্রথম মহাকাশযানের পরীক্ষামূলক উড়ানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন সুনীতা ও বুচ। ঠিক ছিল ৮ দিন মহাকাশে থেকে ফিরে আসবেন তারা। কিন্তু বোয়িংয়ের যানে একাধিক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে, গ্যাস লিক হওয়া থেকে থার্স্টার অকেজো হয়ে পড়া। বহু চেষ্টাতেও সারানো যায়নি সেসব। ফলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য মহাকাশে আটকে পড়েন সুনীতারা। বাধ্য হয়ে পরিকল্পনা বদলাতে হয় নাসাকে। বোয়িং ও নাসাকে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের দ্বারস্থ হতে হয়। কিছুদিন আগে বোয়িং স্টারলাইনারের মহাকাশযানটিকে যাত্রিবিহীন অবস্থায় পৃথিবীতে ফেরানো হয়েছে। সুনীতারা ফিরবেন স্পেসএক্সের মহাকাশযান ক্রু-৯ মিশনে। স্পেসএক্সের যানটি নিয়ে গিয়েছেন নাসার নিক হেগ ও রুশ কসমোনট আলেকজান্দের গর্বোনভ। সামনের বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সুনীতাদের নিয়ে ফিরবেন তারা। আমেরিকার একটি প্রথম সারির দৈনিকে দাবি করা হয়েছে, মহাকাশে সুনীতাদের খাবার-দাবার ও রসদ ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে। যদিও নাসার আশ্বাস, কোনও খাদ্য সঙ্কট হয়নি। স্টারলাইনারের সঙ্গে যুক্ত এক বিশেষজ্ঞ সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, মহাকাশচারীদের ভান্ডারে দুই ধরনের খাবার থাকে। শুকনো খাবার— যেমন গুঁড়ো দুধ, প্রাতরাশের শস্যজাতীয় খাবার, পিৎজা, চিকেন রোস্ট, টুনা ইত্যাদি। ওই বিশেষজ্ঞের মতে, সুনীতাদের কাছে এই ধরনের খাবার পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে তাজা ফল, আনাজের ভান্ডার কমে আসছে। পৃথিবী থেকে তিন মাস অন্তর আইএসএস-এ খাবার পাঠানো হয়। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে ওদের কাছে টাটকা ফল, আনাজ অনেকটাই ছিল। কিন্তু গত তিন মাসে কমে এসেছে। নাসা জানিয়েছে, তিন মাস অন্তর যে খাবার পাঠানো হয়, সেগুলো মূলত রান্না করা খাবার, গরম করে খাওয়া যায়। মহাকাশচারীরা যাতে ঠিক মতো খেতে পারেন, তার জন্য চৌম্বকীয় প্লেট ও ধাতব চামচ-কাঁটা ব্যবহার করা হয়। নাসার আশ্বাস, সব ব্যবস্থা রয়েছে। পৃথিবী থেকে চিকিৎসকেরা সুনীতাদের স্বাস্থ্যের উপরে কড়া নজর রাখছেন।
কোনো দেশের নেই আমাদের মতো অস্ত্র পুতিন

কোনো দেশের নেই আমাদের মতো অস্ত্র পুতিন পশ্চিমাদের বেশ বড় হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যখন সম্ভাব্য’ তখন অস্ত্র নিয়ে দেওয়া তার হুমকি বেশ চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে। প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, আমাদের কাছে যেসব অস্ত্র আছে, বিশ্বের আর কোনো দেশের কাছে সেসব নেই। তিনি ‘ওরেশনিক’ নামে মধ্যপাল্লার হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাবেন বলেও জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার এ ক্ষেপণাস্ত্রের ‘সফল’ পরীক্ষা করা হয়। এরপর রুশ প্রতিরক্ষা বিভাগের শীর্ষ প্রতিনিধি ও নিজের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের বৈঠকে বসেন পুতিন। সেখানে তিনি ‘ওরেশনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সফল হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান। যেহেতু রাশিয়া নতুন হুমকির সম্মুখীন, এ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন অত্যাবশ্যক বলে মন্তব্য করেন পুতিন। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রস্তুত আছে। যেকোনো সময় এসব কাজে লাগানো হবে’ বলেও ওই বৈঠকে উল্লেখ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আমাদের এ অস্ত্রকে আটকে দেওয়া যাবে না। আমাদের কাছে এর মজুত রয়েছে, যা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। এর পরপরই ‘ওরেশনিক’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দেন পুতিন।
২৫০ কোটি ডলারের চুক্তি বাতিল করল কেনিয়া আদানির সঙ্গে

২৫০ কোটি ডলারের চুক্তি বাতিল করল কেনিয়া আদানির সঙ্গে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো (বাঁয়ে) ও আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারপারসন গৌতম আদানি ভারতের আদানি শিল্পগ্রুপের সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থের চুক্তি বাতিল করেছে কেনিয়া। ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে আদানি গ্রুপের চেয়ারপারসন গৌতম আদানি অভিযুক্ত হওয়ার পর এ ঘোষণা দিল আফ্রিকার দেশটি। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কৌঁসুলিরা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি ও তার কয়েকজন সহযোগীকে অভিযুক্ত করেন। একই দিন গৌতম আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তার ভাতিজা সাগর আদানির বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। যদিও আদানি গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কৌঁসুলিদের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে। পাশাপাশি তারা সম্ভাব্য সব আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্টে ভাষণ দেন। এই ভাষণেই তিনি আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে হওয়া দুটি চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেন। জানা গেছে, একটি চুক্তির অর্থমূল্য প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। এই চুক্তির আওতায় দেশটির জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্বিতীয় রানওয়ে করার কথা ছিল আদানি গ্রুপের। এ ছাড়া ৩০ বছর মেয়াদি ইজারার আওতায় বিমানবন্দরের যাত্রী টার্মিনাল উন্নত করার কথা ছিল। প্রেসিডেন্ট রুটো আরও বলেন, তিনি আরেকটি ৩০ বছর মেয়াদি ৭৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের সরকারি-বেসরকারি খাতের অংশীদারত্ব (পিপিপি) চুক্তি বাতিল করছেন। আদানি গ্রুপের একটি ফার্ম গত মাসে কেনিয়ার জ্বালানি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণের জন্য এই চুক্তি সই করেছিল। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি পরিবহন এবং জ্বালানি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে অবিলম্বে চুক্তি বাতিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তকারী সংস্থা ও অংশীদার দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নতুন তথ্যের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, চুক্তিগুলোর স্বচ্ছতা নিয়ে কেনিয়ার অনেক রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছিলেন। চুক্তির অর্থমূল্য নিয়েও দেশটিতে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। এখন চুক্তি দুটি বাতিলের ঘোষণা দিল কোনিয়া। আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা নিয়ে প্রেসিডেন্ট রুটোর ঘোষণায় পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতারা করতালি দেন এবং উল্লাস প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে আদানি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি।
কড়া হুঁশিয়ারি পুতিনের

কড়া হুঁশিয়ারি পুতিনের কড়া হুঁশিয়ার বার্তা দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, যেসব দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে তিনি সেই সব দেশের বিরুদ্ধে আঘাত হানতে বাধ্য হবেন। বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। খবর তাসের। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সরবরাহকৃত দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে অনুমতি দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পুতিন বলেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্র রুশ সীমান্তে নিক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, এসব দেশের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর মস্কোর অধিকার রয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে কিয়েভ রুশ সীমান্তে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর রাশিয়া ইউক্রেনের দিনিপ্রো শহরে পাল্টা মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর পুতিন এই মন্তব্য করেন। রুশ প্রেসিডেন্ট পশ্চিমাদের সতর্ক করে বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ ক্রমেই বৈশ্বিক সংঘাতে পরিণত হচ্ছে। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইউক্রেনকে তাদের অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করার পর এই যুদ্ধ এখন বিশ্বকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পুতিন অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘মস্কো এসব দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানতে বাধ্য হবে। রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনায় একটি নতুন ধরণের হাইপারসনিক মাঝারি পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে মার্কিন এবং ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিয়েছে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, ‘এই ধরনের আরও পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। পুতিন জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমোদনের পর ইউক্রেন ১৯ নভেম্বর মার্কিন-নির্মিত ছয়টি এটিএসিএমএস এবং গতকাল ২১ নভেম্বর ব্রিটিশ স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালায়। এ ছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার লন্ডনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘ব্রিটেন ইউক্রেন যুদ্ধে এখনো সরাসরি জড়িত। রুশ দূত আন্দ্রেই কেলিন স্কাই নিউজকে আরও বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর সমর্থন ছাড়া রুশ সীমান্তে এই ধরণের হামলা হতেই পারে না।
৮৩ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণখনির সন্ধান চীনে

৮৩ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণখনির সন্ধান চীনে চীনে বিশাল এক স্বর্ণখনির সন্ধান মিলেছে। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হুনানের পিংজিয়াং জেলার ওয়াঙ্গু গ্রামে পাওয়া এই খনিতে প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার মূল্যের স্বর্ণ রয়েছে। বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে জানায়, নতুন এই স্বর্ণখনির ২ হাজার মিটার গভীরতার মধ্যে ৪০টিরও বেশি গোল্ড ওর ভেইনস বা স্বর্ণের আকরিক ধমনী সন্ধান পাওয়া গেছে। স্বর্ণের খনিতে অনেক সময় পাথরের গা চিরে জমাট স্বর্ণের ধারা পরিলক্ষিত হয়ে, যা অনেকটা ধমনীর মতো। স্বর্ণের আকরিকসমৃদ্ধ গরম তরল বা লাভা পৃথিবীর ভূত্বকের ফাটল দিয়ে প্রবাহিত হলে গঠিত হয় স্বর্ণের আকরিক ধমনি। চীনের ভূতত্ত্ববিদ এবং খনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এ খনিটির ৩ হাজার মিটার গভীরতার মধ্যে মজুদ রয়েছে উচ্চ মানের এক হাজার টনেরও বেশি স্বর্ণ, যার বর্তমান বাজারমূল্য কমপক্ষে ৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
মাছ ধরা নৌকার ধাক্কা সাবমেরিনের সঙ্গে

মাছ ধরা নৌকার ধাক্কা সাবমেরিনের সঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি সাবমেরিনের সঙ্গে দেশটির একটি মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় সাবমেরিনে ১৩ জন ক্রু ছিল। দেশটির গোয়া উপকূলে শুক্রবার ২২ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে। কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। দুর্ঘটনার পরই ভারতীয় নৌবাহিনী ব্যাপক আকারে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। উদ্ধার অভিযানে ছয়টি জাহাজ এবং বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় মাছ ধরা নৌকার দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছে। অন্যদিকে সাবমেরিন থেকে ১১ জন ক্রুকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গোয়া উপকূল থেকে ৭০ নটিক্যার মাইল দূরে মাছ ধরা নৌকা মারথমার সঙ্গে সাবমেরিনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নিখোঁজ দুই জেলের সন্ধানে মেরিটাইম রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টার মুম্বাইয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া ওই এলাকায় কোস্টাগার্ডও মোতায়েন করা হয়েছে। কীভাবে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তার কারণ উদঘাটনে তদন্তের কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।