তীব্র বাতাসের পূর্বাভাস, দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা

তীব্র বাতাসের পূর্বাভাস, দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস। ইতোমধ্যে কিছু এলাকায় দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে কত সময় লাগবে তা জানা যায়নি। এরই মধ্যে আবারও তীব্র বাতাসের বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস। রোববার (১২ জানুয়ারি) এই খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার লস অ্যাঞ্জেলেসে বিকেলের মধ্যে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকের বাতাস ঘণ্টায় ৯৬ থেকে ১১২ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে প্রবাহিত করতে পারে। এই বায়ু প্রবাহিতকে ‘সান্তা আনা’ বায়ু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দাবানলের শুরুতে যে ধরনের বায়ু প্রবাহিত হয়েছিলো, ঠিক সেরকম বায়ু প্রবাহিত হতে পারে। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহে আরও একটি সান্তা আনা বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। এক্ষেত্রে দাবানল সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল কর্মীদের বেগ পেতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের দুটি বড় দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে শুরু করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আজ এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, গতকাল থেকে বাতাসের গতিবেগ কমে আসায় ফায়ার সার্ভিাসের কর্মীরা আগুনের ওপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ পেতে শুরু করেছেন। গত মঙ্গলবার লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির আশপাশে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত ভয়াবহ এ দাবানলে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ধ্বংস হয়েছে ১০ হাজারের বেশি অবকাঠামো। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘরে ঘরে অনুসন্ধান চালানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিবেশ পাওয়ার পরে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অবশেষে প্যালিসেইডসের আগুন ৮ শতাংশ এবং ইটনের আগুন ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
‘অবিভক্ত ভারত’ সেমিনারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে দিল্লির আমন্ত্রণ

‘অবিভক্ত ভারত’ সেমিনারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে দিল্লির আমন্ত্রণ ভারতের আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘অবিভক্ত ভারত’ শীর্ষক একটি সেমিনারে পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ‘বিভেদ ভুলে উপমহাদেশের ঐতিহাসিক সংহতি এবং একসাথে কাজ করার উদাহরণ তুলে ধরতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ তবে সেমিনারের নির্দিষ্ট তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এই সেমিনারে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, মালদ্বীপ এবং আফগানিস্তানসহ উপমহাদেশের অন্যান্য দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, পাকিস্তান ইতোমধ্যেই সেমিনারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।
মক্কা-মদিনায় প্রবল বন্যা, একাধিক অঞ্চলে রেড এলার্ট জারি

মক্কা-মদিনায় প্রবল বন্যা, একাধিক অঞ্চলে রেড এলার্ট জারি সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতে সৌদি আরবে গুরুতর বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মক্কা, মদিনা, রিয়াদসহ বিভিন্ন অঞ্চল এখন প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত। দেশটির আবহাওয়া বিভাগের সতর্কতা বার্তা অনুযায়ী, পশ্চিম ও পূর্ব অঞ্চলে রেড এলার্ট এবং অন্যান্য অঞ্চলে কমলা স্তরের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্যার কারণে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে রাজধানী রিয়াদ, মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় দুই প্রদেশ আসির এবং জাজানে। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশটির বেশ কয়েকটি অঞ্চল, যেমন রিয়াদ, জেদ্দা, আল-বাহা, আসির এবং জাজান, এই পরিস্থিতির কারণে বেশি প্রভাবিত হতে পারে। রবিবার পর্যন্ত বজ্রবৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যার থাকতে পারে। সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, সিভিল ডিফেন্স ও রেড ক্রেসেন্ট, পরিস্থিতি সামাল দিতে পূর্ণ প্রস্তুত নিয়েছে। তারা সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও বন্যাপ্রবণ এলাকা থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। উদ্ধার ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত সংস্থা গুলো দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং অ্যাম্বুলেন্স ও হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, মক্কা-মদিনা রাস্তাঘাট ব্যাপক ভাবে প্লাবিত হয়েছে, গাড়ি ও ভবন ডুবে যাচ্ছে, এবং উপত্যকা ও নিচু এলাকাগুলোতে পানি জমে আছে। নাগরিকদের এই পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে এবং নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে চলতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। এই বন্যা সৌদি আরবে বিরল এক আবহাওয়াজনিত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে এবং তা মোকাবিলায় দেশটির সকল সরকারি সংস্থা সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।
লস অ্যাঞ্জেলসে দাবা*নলে ৫ জনের প্রাণহা*নি

লস অ্যাঞ্জেলসে দাবা*নলে ৫ জনের প্রাণহা*নি ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলে অন্তত ৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আরো প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কর্মকর্তারা বুধবার এই খবর জানিয়েছে। দমকল কর্মীরা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলের আলটাডেনার শহরতলীর ১০ হাজার ৬শ’ একর এলাকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লস অ্যাঞ্জেলসের প্রায় ১৫শ’ ভবন আগুনে পুড়ে গেছে এবং প্রায় ১ লক্ষ লোক বাড়ি ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলসের শেরিফ রবার্ট লুনা বলেছেন, এই পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরো প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলস ফায়ার সার্ভিস বিভাগের প্রধান অ্যান্থনি ম্যারোনি জানিয়েছেন, পালিসেডস ও ইটঁন এলাকায় দু’টি দাবানলে ৭ হাজারের বেশি এলাকা পুড়ে গেছে। পালিসেডসের আগুনে বিপুল সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছে। এএফপি’র এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে। আবহাওয়াবিদ ডেনিয়েল সোয়াইন জানিয়েছেন,প্রবল বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ম্যারোনি বলেছেন, ২৪ ঘন্টা পার হলেও দাবানল নিয়ন্ত্রনে আসেনি বরং আরো অবনতি হয়েছে। এরইমধ্যে এক হাজারেরও বেশি বাড়ি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে লোকজন বাড়ি গাড়ি ফেলেই নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই পরিস্থিতিকে হলিউডের সিনেমার দৃশ্যের সাথে তুলনা করছেন।আগুন নেভাতে ১ হাজার ৪শ’ দমকলকর্মী কাজ করছে। অত্যাধুনিক সরঞ্জাম দিয়েও আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হচ্ছে না। প্যাসিফিক পলিসেডস এলাকায় জেনিফার অ্যানিস্টোন, ব্রাডলি কুপার, টম হ্যাঙ্কস, রিজ উইদারস্পুন, অ্যাডাম স্যান্ডেলার, মাইকেল কিটনসহ অনেক হলিউড তারকার বাড়ি রয়েছে। গত মঙ্গলবার ছড়িয়ে পড়া দাবানলে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে ২ হাজার ৯শ’ একরেরও বেশি এলাকা পুড়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ রাজ্যজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে তা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অসংখ্য বাড়ি ঘর পুড়ে যায় এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কর্তৃপক্ষ ৩০ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। হুমকিতে রয়েছে ১৩ হাজার ভবন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সান্তা মনিকা এবং মালাবু উপকূলীয় শহরগুলোর মধ্যে প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকায় কমপক্ষে ২ হাজার ৯শ’ ২১ একর পুড়ে গেছে। ইতোমধ্যে আগুনের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঐ এলাকার বাসিন্দা মার্টিন স্যানসিং বলেছেন, গত ২০ বছরের মধ্যে দাবানলের এই রকম ভয়াবহতা আর কখনো দেখিনি। কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, দাবানল ছড়িয়ে পড়া এলাকাগুলোতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে এবং চারপাশ আগুনের কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। ছবিতে আরো দেখা গেছে, অগ্নি নির্বাপক কর্মীরা বিশেষ ব্যবস্থায় সমুদ্র থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। আগুনের শিখা বাড়ি ঘরকে ক্রমাগত গ্রাস করছে এবং বুলডোজারগুলো রাস্তা থেকে পরিত্যক্ত যানবাহনগুলোকে সরিয়ে নিচ্ছে। এদিকে লস অ্যাঞ্জেলসের ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট ছুটিতে থাকা অগ্নি নির্বাপক কর্মীদের ছুটি বাতিল করে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। দাবানল ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ১৫ লাখ লোক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫ শিশুসহ ৪৯ জন নিহত

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫ শিশুসহ ৪৯ জন নিহত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরো ৪৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে ৫টি শিশু রয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজাজুড়ে নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গতকাল মঙ্গলবার অন্তত ৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে আল-মাওয়াসির তথাকথিত ‘নিরাপদ অঞ্চলে’ পাঁচ শিশু এবং জাবালিয়ায় চালানো হামলায় আটজন লোকও নিহত হয়েছেন। এছাড়া উত্তর গাজার শাতি শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, গাজা সিটির একটি বাড়িতে গতকাল ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ১৫ দিন বয়সী এক শিশু নিহত হয়েছে, আহত হয়েছেন অনেক মানুষ। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী আল-মাওয়াসির মানবিক অঞ্চলসহ গাজা উপত্যকাজুড়ে তাদের আক্রমণ আরও জোরদার করছে এবং আবাসিক বাড়িঘর ও বেসামরিক অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্যহারে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। এদিকে সর্বশেষ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজার ৮৮৫ জনে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরো অন্তত এক লাখ ৯ হাজার ১৯৬ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
রাশিয়ার গভীরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা

রাশিয়ার গভীরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা রাশিয়ার অভ্যন্তরে সারাটাভ অঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে এঙ্গেলস শহরে বড় ধরনের একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় গভর্নর বুধবার (৮ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ওই অঞ্চলে রুশ বাহিনীর কৌশলগত বোমারু বিমানের বড় একটি ঘাঁটি রয়েছে, যা দেশটির পারমাণবিক বাহিনীর অংশ। ইউক্রেন এর আগেও ড্রোন দিয়ে ওই ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করেছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে চালানো ড্রোন হামলায় সেটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে কিছু বলেননি গভর্নর। রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ড্রোন হামলায় একটি তেলের ডিপোতে আগুন ধরে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত অযাচাইকৃত ভিডিও ও ছবিতে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ও দাউ দাউ করে জ্বলা আগুনের দৃশ্য দেখা গেছে। টেলিগ্রামে এক পোস্টে আঞ্চলিক গভর্নর রোমান বুসারগিন বলেছেন, ভলগা নদীর বিপরীত দিকে অবস্থিত সারাটাভ ও এঙ্গেলস শহর ‘সিরিজ ড্রোন হামলার’ শিকার হয়েছে। এতে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে আগুন লেগেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সারাটাভ অঞ্চলে ১১টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ও অন্যান্য অঞ্চলে ২১টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। বিবৃতিতে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। এঙ্গেলস বিমান ঘাঁটি রাজধানী মস্কো থেকে প্রায় ৭৩০ কিলোমিটার (৪৫০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে এবং ইউক্রেনীয় সীমান্ত থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে, সেখানে একটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হলে রাশিয়ান বিমান বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হন। অ্যাস্ট্রার খবরে বলা হয়েছে, তেলের যে ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেটি থেকে বিমানঘাঁটির জন্য জ্বালানি সরবরাহ করা হতো। রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি।
ভারতে ৪ বছরের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন

ভারতে ৪ বছরের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন নরেন্দ্র মোদি সরকার আভাস দিয়েছেন ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অনেকটাই কমে যেতে পারে। এবাবের জিডিপি গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ প্রকাশিত ভারতীয় জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনক। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে কমে হতে চলেছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যা কিনা গত ৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হবে। অবশ্য ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী হওয়া নিয়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল। যদিও তাদের পূর্বাভাস ছিল, এই হার চলতি অর্থবছরে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। তবে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর বলছে, তার থেকেও কম হবে প্রবৃদ্ধির হার। এই বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা অনুমান করেছিলেন যে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশে থাকতে পারে। তবে বাস্তবে তা প্রত্যাশার চেয়ে অনেকটাই কম হয়ে দাঁড়ায়। চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তা হয়েছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারতে উৎসবের মৌসুম ও সরকার ঘোষিত নানাবিধ প্রকল্প আগামী ত্রৈমাসিকে কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। তবে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের প্রতিবেদন স্বাভাবিকভাবেই মোদি সরকারের চিন্তা বাড়াবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে বিজেপি সরকার ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে তুলে ধরার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। তবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে যে পূর্বাভাস এলো, তারপর মোদি সরকার এটা বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৩ জনের মৃত্যু

তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৩ জনের মৃত্যু চীনের অঙ্গ রাষ্ট্র তিব্বতে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কয়েক ডজন মানুষ নিহত এবং আরো কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকালে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, চীনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তিব্বতের শিগাৎসে শহরে এবং এর আশেপাশে কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত ও ৬২ জন আহত হওয়ার খবর দিয়েছে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের জেরে প্রতিবেশি দেশ নেপাল ও ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ভূমিকম্প ব্যুরো থেকে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার একজন প্রতিবেদক জানতে পেরেছেন যে, ভূমিকম্পের ঘটনায় তিব্বতের ডিংরি কাউন্টির চাংসুও, কুলুও এবং কুওগুও শহরে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থলের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক সংস্থা ইউএসজিএস ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ১ বলে জানিয়েছে। সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, সকাল ১০টার মধ্যে একাধিক ‘আফটারশক’ রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ৪ দশমিক ৪ মাত্রার ছিল। চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি জানিয়েছে, ডিংরি কাউন্টি ও এর আশেপাশের এলাকায় খুব শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে। অনেক ভবন ধসে পড়েছে।
আজই পদত্যাগ করতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো

আজই পদত্যাগ করতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার নিজ দল লিবারেল পার্টির সভাপতির পদ থেকে আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন সূত্রের বরাতে রবিবার এই দাবি করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। গ্লোব অ্যান্ড মেইলকে ওই তিন ব্যক্তি বলেছেন, ট্রুডো কবে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন। তবে বুধবার একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ককাস বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তার আগেই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিবারেল পার্টির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণার পর ট্রুডো তৎক্ষণাৎ প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন নাকি নতুন নেতা মনোনীত হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ২০১৩ সালে গভীর সংকটে থাকা লিবারেল পার্টির ত্রাণকর্তা হিসেবে হাল ধরেছিলেন ট্রুডো। সেবার দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সে তারা তৃতীয় অবস্থানে নেমে আসে। ট্রুডোর পদত্যাগে লিবারেল পার্টি একটি স্থায়ী নেতৃত্বহীনতার মধ্যে পড়তে পারে। সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হতে পারে লিবারেলরা। আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ৪ বছর তার প্রশাসনের সঙ্গে তাল সামলে চলার জন্য সব দেশ কমবেশি আটঘাট বেঁধে মাঠে নামছে। এমন সময় ট্রুডোর পদত্যাগে কানাডায় নতুন সরকার নির্বাচনের জন্য দ্রুত ভোটের আয়োজনের দাবি জোরালো হয়ে উঠতে পারে। এক ব্যক্তির বরাতে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, লিবারেল পার্টির অন্তর্বর্তীকালীন নেতা ও কানাডার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে অর্থমন্ত্রী ডোমিনিক লেব্লাংক আগ্রহী কিনা সে বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন ট্রুডো। তবে লেব্লাংক নিজেই নির্বাচনী দৌড়ে নামার পরিকল্পনা করলে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যাবে না।