নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ১৪ এপ্রিলকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ১৪ এপ্রিলকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি নিউইয়র্ক স্টেটের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী সংস্থা স্টেট সিনেট ১৪ এপ্রিলকে (বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী পয়লা বৈশাখ) বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২২ জানুয়ারি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি হিসেবে ও এই রাজ্যে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি দৃঢ় করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলা নববর্ষের ইতিহাস উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্তে বলা হয়, ভারতের মুঘল সাম্রাজ্যে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের সূচনা। বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে (লাওস, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ডসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে) একই সময়ে নববর্ষ উদযাপিত হয়ে থাকে। বাংলা ভাষায় কথা বলেন এমন অভিবাসীর কথা উল্লেখ করে এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলা থেকে আগত বিপুলসংখ্যক অভিবাসী নিউইয়র্ক রাজ্যে নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আমেরিকায় আসছেন। তাদের অর্ধেকই নিউইয়র্কের বাসিন্দা। পয়লা বৈশাখ বাঙালির জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ–সে কথা উল্লেখ করে সিদ্ধান্তটিতে বলা হয়, প্রতি বছরই বিপুল সমারোহে এই দিনটি উদযাপিত হয়ে থাকে। ২০২২ সাল থেকে দিবসটি নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। এতে উল্লেখ করা হয়, প্রবাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে ও বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসারে নিউইয়র্কের মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সিদ্ধান্তে বলা হয়, নিউইয়র্ক স্টেট বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের গৌরবময় সাফল্যের, বিশেষত এই রাজ্যে বসবাসরত বাঙালিদের অব্যাহত অবদানের স্বীকৃতি জানিয়ে ১৪ এপ্রিল (পয়লা বৈশাখ) এই রাজ্যে বাংলা নববর্ষ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর আমেরিকায় বিশেষ অবদানের জন্য শিকাগো টাওয়ার খ্যাত প্রকৌশলী এফ আর খান, ‘লিভিং দ্য ওয়ার্ল্ড বিহাইন্ড’ খ্যাত রুমানা আনম, লেখক ঝুম্পা লাহিড়ী, অমিতাভ ঘোষ, ইকবাল কাদির, ইউটিউবের কো-ফাউন্ডার জাওয়েদ করিম, খান একাডেমির ফাউন্ডার সালমান খান, ওমর ইশরাকসহ কৃতী বাঙালিদের নাম বিশেষ বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার ও সিইও বিশ্বজিত সাহার উদ্যোগে সিনেটর লুইস সেপুলভেদা সিনেটে প্রস্তাবনাটি তুলে ধরেন। ২২ জানুয়ারি এটি গৃহীত হয়। এ বিষয়ে বিশ্বজিত সাহা বলেন, “বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যে বিশ্ব বাঙালি রয়েছে, এই স্বীকৃতি সবাইকে উজ্জীবিত করবে।” এন আর বি ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের উদ্যোগে ২০২৩ সাল থেকে টাইমস স্কয়ারে বিশ্ব বাঙালিরা বাংলা বর্ষবরণ করে আসছে।

তাইওয়ানে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প, আহত ২৭

তাইওয়ানে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প, আহত ২৭ তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন। খবর এপির। তাইওয়ানের সেন্ট্রাল ওয়েদার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল চিয়াই কাউন্টি হল থেকে ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভূমিকম্প ১ মিনিট ধরে স্থায়ী ছিল। ভূমিকম্পে চিয়াই এবং তাইনান শহরের আশেপাশে ছোট থেকে মাঝারি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। তাইওয়ানের দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ২৭ জনকে সামান্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে এক মাস বয়সী একটি শিশুসহ ছয়জনকে তাইনানের নানক্সি জেলায় একটি ধসে পড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাদেশিক মহাসড়কের ঝুওয়েই সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকারী দল ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ করছেন। তাইনানে লিফটে আটকা পড়ার পর দুজন এবং চিয়াই শহরে একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে চিয়াইতে একটি মুদ্রণ কারখানায় আগুন লেগে যায়, তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।  তাইওয়ান প্রশান্ত তাইওয়ান প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’ বরাবর অবস্থিত হওয়ায়, দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। গত বছরের এপ্রিলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে তাইওয়ানে ১৩ জন নিহত এবং এক হাজার জনেরও বেশি আহত হয়েছিল। দেশটিতে ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর শত শত আফটারশক অনুভূত হয়েছিল। তবে তাই তাইওয়ানের ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটি ছিল ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপরেই তাইওয়ান ভূমিকম্প প্রতিরোধী নির্মাণ পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিল্ডিং কোড আপডেট এবং উন্নত করেছে। বাড়ি যাতে ভূমিকম্পে ভাঙতে না পারে তারজন্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়। এর পাশাপাশি, তাইওয়ান একটি উন্নত প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা তৈরি করেছে যা জনসাধারণকে সেকেন্ডের মধ্যে সম্ভাব্য গুরুতর ভূমিকম্প সম্পর্কে সতর্ক করতে পারে।     ঢাকা/ফিরোজ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিলেন ট্রাম্প

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিলেন ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিলেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তিনি এ বিষয়ে নির্বাহী আদেশ জারি করেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নিয়েছেন। শপথ নেওয়ার প্রায় আট ঘণ্টা পর জারি করা একটি নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে-  ডব্লিউএইচও-এর ‘কোভিড-১৯ মহামারির ভুল ব্যবস্থাপনা’ এবং ‘জরুরিভাবে প্রয়োজন এমন সংস্কারে ব্যর্থতা’। ট্রাম্প বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র এই সংস্থাকে বেশি অর্থ দেয়। চীনের জনসংখ্যা আমাদের থেকে অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও তারা মাত্রা ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছিল। আর আমরা ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছিলাম। এটা আমার কাছে একটু অন্যায্য মনে হয়েছিল।” নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি অপ্রত্যাশিত নয়। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদের শেষ বছরে এই মহামারিরর কারণে বিশ্বে স্বাস্থ্য সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল। নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাতিসংঘের মহাসচিবকে একটি চিঠি পাঠাচ্ছেন, যাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটি কয়েকশো মিলিয়ন ডলার তহবিল হারাতে চলেছে। ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে তিনি ডব্লিউএইচও’র ডিরেক্টর জেনারেলকে একটি চিঠি লিখে এক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন। ট্রাম্প সেই সময় ডব্লিউএইচও’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, কোভিড-১৯ এর বিস্তার সম্পর্কে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করতে চীনকে সাহায্য করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু সেই বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প পরাজিত হন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিল ইসরায়েল

৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিল ইসরায়েল টানা ১৫ মাসের বেশি যুদ্ধের পর গাজায় রবিবার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় প্রথম দিনে ইসরায়েলি তিন নারী বন্দিকে হামাস মুক্তি দেওয়ার পর, নারী ও শিশুসহ ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (২০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রথমদিনে ৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। ওই তিনজনকে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে গোষ্ঠীটি। এপর ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। চুক্তি অনুযায়ী, একজন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে তেল আবিব। ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমের ৬৯ নারী এবং ২১ কিশোর রয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। নানা ঘটনা শেষে ইসরায়েলের গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করেছে ইসরায়েল। গতকাল রবিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ ঘোষণা দেয়। গাজায় স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ১৫ মিনিট থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।  আল জাজিরার অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। সে হামলার অবসান হলো ২০ জানুয়ারি থেকে। তবে এরই মধ্যে প্রাণ চলে গেছে ৪৬ হাজার ৯১৩ ফিলিস্তিনির। আহত হয়েছেন এক লাখ ১০ হাজার ৭৫০ জন। যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় গত ১৫ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস। যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম দফায় ৭৩৭ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। আর এসব বন্দী মুক্তির বিপরীতে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় হবে। একই সঙ্গে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি পাবে। পাশাপাশি ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। এর মাধ্যমে ‘টেকসই শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’। তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে- যা শেষ করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। একই সঙ্গে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।

নতুন ডিজিটাল মুদ্রা চালু করলেন মেলানিয়া ট্রাম্প

নতুন ডিজিটাল মুদ্রা চালু করলেন মেলানিয়া ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি হতে যাওয়া মেলানিয়া ট্রাম্প তার স্বামীর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের একদিন আগে একটি নতুন ডিজিটাল মুদ্রা (ক্রিপ্টোকারেন্সি) চালু করেছেন। এই নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম $ MELANIA। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শনিবার $Trump ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করার একদিন পর, তার স্ত্রী মেলানিয়াও নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি চালুর ঘোষণা দিলেন। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে মেলানিয়া লেখেন, “অফিসিয়াল মেলানিয়া মেম লাইভ! এখন আপনি $ MELANIA কিনতে পারবেন।” ‘অফিসিয়াল মেলানিয়া মেম’-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এটি একটি ডিজিটাল মুদ্রা, যা সোলানা ব্লকচেইনে তৈরি ও ট্র্যাক করা হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, উভয় ডিজিটাল মুদ্রা ইতিমধ্যেই বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে, তবে লেনদেনে (ট্রেডিং) রয়েছে কিছুটা অস্থিরতা। $ Trump ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারমূল্য বর্তমানে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার এবং $ MELANIA এর বাজারমূল্য প্রায় ১.৭ বিলিয়ন ডলার। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প এর আগে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ‘ধোঁকাবাজি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন, তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় সময় তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ডিজিটাল সম্পদ অনুদান হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।  নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি একটি কৌশলগত বিটকয়েন মজুদ তৈরি করবেন এবং ডিজিটাল সম্পদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবেন এমন আর্থিক নিয়ন্ত্রক নিয়োগ করবেন। ক্রিপ্টো ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম কয়েনবেস অনুসারে, ট্রাম্পের জয়ের পর বিটকয়েনের মূল্য নতুন রেকর্ড গড়েছে এবং বর্তমানে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলারে লেনদেন হচ্ছে।

ইমরান খানকে ১৪ বছর ও বুশরা খান বিবিকে ৭ বছরের কারাদন্ড

ইমরান খানকে ১৪ বছর ও বুশরা খান বিবিকে ৭ বছরের কারাদন্ড আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। একই মামলায় তার স্ত্রী বুশরা খান বিবিকে ৭ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে। আজ ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিচারক নাসির জাভেদ রানা সাজা ঘোষণা করে বলেন, প্রসিকিউশন তার মামলার অভিযোগ প্রমাণ করেছে। ইমরান খান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। কারাদন্ডের পাশাপাশি ইমরান খানকে ১০ লাখ পাকিস্তান রুপি জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বুশরা বিবিকে ৫ লাখ জরিমানা করা হয়েছে। এ নিয়ে চারটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো।

চাপ সৃষ্টি না করলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কখনোই হতো না: ট্রাম্প

চাপ সৃষ্টি না করলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কখনোই হতো না: ট্রাম্প নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এবং তার আসন্ন প্রশাসন চাপ সৃষ্টি না করলে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি কখনো হতো না। ইসরাইলের মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি আগামী রোববার থেকে কার্যকর হবে। এতে ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময় সাথে ইসরাইলি জিম্মি বিনিময় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পরে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির শর্তাবলি চূড়ান্ত করা হবে। দ্বিতীয় মেয়াদে অভিষেকের চারদিন আগে ট্রাম্প ড্যান বোঙ্গিনো শো’তে বলেছেন,যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফসহ তার দলের চাপ ছাড়া আলোচনা কখনোই চূড়ান্ত হতো না। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এই খবর জানায়।

ভয়াবহ দাবানলের হুমকিতে ক্যালিফোর্নিয়ার ৬০ লাখের বেশি মানুষ

ভয়াবহ দাবানলের হুমকিতে ক্যালিফোর্নিয়ার ৬০ লাখের বেশি মানুষ শক্তিশালী বাতাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়াবহ দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। এর মধ্যেই আগুন আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, সান্তা অ্যানা বাতাস ক্রমেই শক্তিশালী ঝড়ো বাতাস হয়ে উঠতে থাকায় দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা এবং লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির বাইরের কয়েকটি নতুন স্থানেও আগুনের গুরুতর হুমকির মুখে পড়েছেন ৬০ লাখের বেশি মানুষ। লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির বাইরে আনাহেইম, রিভারসাইড, সান বার্নার্ডিনো এবং অক্সনার্ডসহ দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার আরো কয়েকটি কাউন্টিতে বুধবার থেকে মারাত্মক দাবানলের ঝুঁকিতে রয়েছেন এই লাখ লাখ মানুষ। কয়েকদিন ধরে চলতে থাকা দাবানলে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। প্যালিসেডসের দাবানলে ৯ জন এবং ইটনে ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবার ‘বিশেষভাবে বিপজ্জনক পরিস্থিতি’ নির্দেশক লাল পতাকা সতর্কবার্তা জারি রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসের কয়েকটি এলাকা এবং ভেনচুরাতে। এনবিসি জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ভেনচুরা কাউন্টির কিছু অংশে আজ থেকে আগামীকাল পর্যন্ত সান্তা আনা বাতাসের নতুন সময়কালের কারণে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া ‘অত্যন্ত গুরুতর অগ্নিকাণ্ডের পরিস্থিতির’ জন্য প্রস্তুত। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে অতিরিক্ত অগ্নিনির্বাপকদের নিয়ে এই অঞ্চলটি নতুন হুমকির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। শুক্রবার অবস্থার উন্নতির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহের রোববার থেকে স্যান্টা আনা বাতাসের প্রভাবে আবারও দাবানল ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টিতে ছড়িয়ে পড়া তিনটি বড় দাবানলের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্যালিসেডস দাবানল এখন পর্যন্ত মাত্র ২১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্যালিসেডসের ২৩ হাজার ৭১৩ একর জুড়ে এখনো জ্বলছে আগুন। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক দাবানল- ইটন দাবানল মাত্র ৪৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দাবানলের কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসে ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখনও হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলমান আছে।

গতি বাড়তে পারে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের মৃত্যু বেড়ে ২৪

গতি বাড়তে পারে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের মৃত্যু বেড়ে ২৪ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে পুড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪। সম্প্রতি বাতাসের গতি কিছুটা কমায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আশার আলো দেখা গিয়েছিল। তবে গতি আবার বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।বার্তা সংস্থা রয়টার্স আজ এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস পূর্বাভাস দিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসে স্থানীয় সময় রবিবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত বাতাসের গতি বাড়তে পারে। ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭০ মাইল গতিতে বাতাস বইতে পারে।

লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে নিহত বেড়ে ২৪, তীব্র হাওয়ার পূর্বাভাস

লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে নিহত বেড়ে ২৪, তীব্র হাওয়ার পূর্বাভাস যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তীব্র হাওয়া নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে, যা চলতি সপ্তাহেই দাবানলকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।  দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, রোববার থেকে শুষ্ক বাতাস আবার বেড়ে বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। বাতাস বেড়ে যাওয়ার আগেই প্যালেসেইডস ও ইটনের দাবানল ছড়িয়ে পড়া বন্ধে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। স্থানীয় দমকলকর্মীদের সাথে একযোগে কাজ করছে আরও আটটি রাজ্য এবং কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আসা কর্মীরা। কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার পর্যন্ত দাবানলে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। এর আগে কর্মকর্তারা ১৬ জন নিখোঁজ থাকার কথা বলেছিলেন। নিহতদের মধ্যে ১৬ জনের মরদেহ ইটন এলাকায় আরও আটজনের পালিসেইডস এলাকায় পাওয়া গেছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের তিনটি এলাকায় দাবানল এখনো চলছে। সবচেয়ে বড় দাবানলের শিকার হয়েছে প্যালেসেইডস, যেখানে প্রায় ২৩ হাজার একর এলাকা পুড়ে গেছে। অন্যদিকে ইটনে দ্বিতীয় বৃহত্তম দাবানলে প্রায় ১৪ হাজার একর এলাকা ভস্মীভূত হয়েছে। এ ছাড়া হার্স্টে পুড়েছে ৭৯৯ একর। তবে সেখানকার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে এখন ১৪ হাজার দমকলকর্মী কাজ করছেন। তাদের সহায়তা করছে ৮৪টি এয়ারক্রাফট ও এক হাজার ৩৫৪টি ফায়ার ইঞ্জিন। এক লাখ পাঁচ হাজার মানুষ এখনো বাধ্যতামূলকভাবে অন্যত্র অবস্থান করছেন আরও ৮৭ হাজারের ওপর সরে যাওয়ার সতর্কতা রয়েছে। কর্মকর্তারা দাবানল জোনগুলোর কাছে ড্রোন না ওড়াতে বারবার মানুষকে সতর্ক করেছে। এর মধ্যে একটি ড্রোনের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিমানের সংঘর্ষ হয়েছে। এফবিআই এর ছবি প্রকাশ করেছে। এদিকে গভর্নর নিউসন ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বিতর্ক লেগেই আছে। গভর্নর ট্রাম্পকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান। ট্রাম্প দেশটির ইতিহাসের অন্যতম এই বিপর্যয়ের জন্য অযোগ্য রাজনীতিকদের দায়ী করেছেন। নিউসন একজন ডেমোক্রেট এবং তিনি আগুনের বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য মি. ট্রাম্পের সমালোচনা করেছিলেন।