যুক্তরাষ্ট্রে ফের বিধ্বস্ত যাত্রীবাহী বিমান, ৯ যাত্রীর সবাই নিহত

যুক্তরাষ্ট্রে ফের বিধ্বস্ত যাত্রীবাহী বিমান, ৯ যাত্রীর সবাই নিহত যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে উড়োজাহাজটির চালক এবং সেখানে থাকা ৯ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছেন। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাকহক চপার হেলিকপ্টারের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষে টুকরো টুকরো হয়ে পোটোম্যাক নদীতে ডুবে গিয়েছিল একটি যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক বিমান। এ ঘটনায় ওই বিমানের চালক এবং ৬৮ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছিলেন। আলাস্কার পুলিশের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি ছিল মার্কিন বিমান পরিষেবা সংস্থা বেরিং এয়ারের একটি সেসনা ক্যাটাগরির বিমান। এ ক্যাটাগরির বিমানগুলো ছোটো আকারের হয়। বেরিং এয়ারের অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক ডেভিড ওলসেন মার্কিন সংবাদামাধ্যম ডেভিড ওলসেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২ টা ৩৭ মিনিটে আলাস্কার পশ্চিমাঞ্চলে উনালাকলিট থেকে নরটন সাউন্ড এলাকার উদ্দেশে রওয়না হয়েছিল উড়োজাহাজটি। উনালাকলিট থেকে নরটন সাউন্ডের দূরত্ব ১৪০ মাইল। যাত্রা শুরুর ৪৫ মিনিটের মধ্যেই উড়োজাহাজটি থেকে রাডারে সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। মার্কিন কোস্টগার্ড আলাস্কা অঙ্গরাজ্য শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কমোডর বেঞ্জামিন ম্যাকলিনটায়ার-কোবল এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “রাডরের রেকর্ড বলছে, সর্বশেষ বিকেল ৩ টা ১৮ মিনিটে সংকেত এসেছিল বিমানটি থেকে। আমরা ধারণা করছি, বিমানটির ইঞ্জিনে এমন কোনো গুরুতর ত্রুটি ঘটেছিল, যার ফলে এটি বাতাসে ভেসে থাকার ক্ষমতা এবং ওড়ার গতি হারিয়ে ফেলেছিল।” বেঞ্জামিন ম্যাকলিটায়ার কোবল সাংবাদিকদের জানান, আলাস্কার নোম এলাকা থেকে ৩৪ মাইল দক্ষিণপূর্বে মিলেছে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ। সেই ধ্বংসাবশেষ থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উড়োজাহাজটি যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে বাকি ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। শুক্রবার এ ঘটনায় শোক জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন আলাস্কার গভর্নর মাইক ডুনালিভি। শোকবার্তায় তিনি বলেন, “আমি এবং আমার স্ত্রী রোজ ডুনালেভি— আমরা বেরিং এয়ার ফ্লাইট বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মর্মাহত। নিহত যাত্রীরা, বিমানচালক এবং তাদের স্বজনদের জন্য প্রার্থনা করছি।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেন ট্রাম্প আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিযোগ, এই আদালত আমেরিকা ও তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলকে অবৈধ এবং ভিত্তিহীনভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে। এই নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, যারা আমেরিকান নাগরিক বা মিত্রদের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তে সহায়তা করে, তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর আর্থিক ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরের মধ্যেই ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞার আদেশে সই করেন। গত নভেম্বরে আইসিসি গাজায় যুদ্ধাপরাধ চালানোর অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, যদিও ইসরায়েল তা অস্বীকার করে। আইসিসি একটি হামাস কমান্ডারের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করে। আদালতে বিচারকরা বলেন, নেতানিয়াহু, তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এবং হামাসের মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে। গত বছর ইসরায়েলি বিমান হামলায় দেইফ নিহত হন, হামাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) একটি বৈশ্বিক আদালত। গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে এর মামলা দায়ের করার ক্ষমতা রয়েছে। গত কয়েক বছরে আইসিসি উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিরুদ্ধে এই আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর আফগান নারীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর দায়ে তালিবান নেতাদের বিরুদ্ধে এবং রোহিঙ্গা মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন চালানোর দায়ে মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এই আদালতের সদস্য নয়, তবে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশসহ ১২০টিরও বেশি দেশ এর সদস্য। নেদারল্যান্ডস যেখানে আদালতটি অবস্থিত, সেটি বলেছে, ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশ দুঃখজনক।
ফের ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতিতে ট্রাম্প

ফের ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতিতে ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করার জন্য একটি প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মাধ্যমে মূলত তিনি তার প্রথম মেয়াদের নীতিতে ফিরে গেলেন। ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের এই নীতির মধ্যে রয়েছে, ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রচেষ্টা, যাতে তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা যায়। খবর রয়টার্সের। প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করার পর এবং সফররত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের আগ মুহূর্তে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে এই আদেশে স্বাক্ষর করতে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আদেশটির কথা উল্লেখ করে বলেন, “সবাই চায় আমি এটি স্বাক্ষর করি। আমি তা করেছি এবং এটি ইরানের জন্য খুবই কঠিন হবে।” এরপর ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চায়। তিনি বলেন, “আমি ইরানকে বলছি, যারা খুব মনোযোগ সহকারে শুনছে, ‘আমি একটি দুর্দান্ত চুক্তি করতে সক্ষম হতে চাই। এমন একটি চুক্তি যেখানে আপনি আপনার জীবন চালিয়ে যেতে পারেন।” ট্রাম্পের মতে, “ইরানের একটি জিনিস থাকতে পারে না। তাদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না। তারা যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে আমি মনে করি এটি তাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক হবে।” তেহরান পারমাণবিক অস্ত্রের কতটা কাছাকাছি জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, “তারা খুব কাছাকাছি।” নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে ইরানের মিশন এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ট্রাম্প সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ইরানের ওপর তেল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করেছেন। ট্রাম্প বলেন, “তেল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রয়োগ না করার বাইডেনের নীতি ওয়াশিংটনকে দুর্বল করেছে এবং তেহরানকে সাহস জুগিয়েছে। যা ইরানকে তেল বিক্রি, নগদ অর্থ সঞ্চয় এবং সশস্ত্র মিলিশিয়ার মাধ্যমে পরমাণু কর্মসূচি ও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম করেছে।” গত বছরের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক নজরদারি সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি শুরু করেছে ইরান। তাদের কাছে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্য অস্বীকার করেছে। ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে- মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারিকে ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ’ আরোপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও প্রয়োগ ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া মার্কিন অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের অনুমান অনুযায়ী, তেল রপ্তানি থেকে তেহরানের ২০২৩ সালে ৫৩ বিলিয়ন ডলার এবং এর আগের বছর ৫৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। ওপেকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে উৎপাদন ২০১৮ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরানের তেল রপ্তানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বাইডেনের আমলে ইরান নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সফল হওয়ায় তেল রপ্তানি বৃদ্ধি পায়। ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছে, প্রয়োজনে তারা ইরানের ওপর সব আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে প্রস্তুত। যাতে করে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে।
নাইজেরিয়ায় স্কুলে আগুন, ১৭ শিশুর মৃত্যু

নাইজেরিয়ায় স্কুলে আগুন, ১৭ শিশুর মৃত্যু নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি ইসলামিক স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ ও আহত হয়েছে বেশ কয়েকটি শিশু শিক্ষার্থী। বিবিসি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার জামফারা প্রদেশের কাওরান নামোদা শহরের ইসলামিক স্কুলটিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত কয়েকজন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য কাউরান নামোদা শহরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে পাশের একটি বাড়িতে আগুন লাগে এবং স্কুলটিতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও জরুরি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে ততক্ষণে আগুন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে ফেলেছিল। প্রত্যক্ষদর্শী ইয়াহিয়া মাহি বিবিসি হাউসাকে জানান, স্কুলের অবস্থান এমন জায়গায় ছিল যে আগুন নেভানোর প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আগুন লাগার সময় ১০-১৬ বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থীরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। এ কারণে উল্লেখযোগ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে। স্কুলটিতে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী ছিল। বিভিন্ন গ্রাম থেকে এখানে পড়তে এসেছিল তারা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, আগুনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করা হচ্ছে।
ফের ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতিতে ট্রাম্প

ফের ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতিতে ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করার জন্য একটি প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মাধ্যমে মূলত তিনি তার প্রথম মেয়াদের নীতিতে ফিরে গেলেন। ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের এই নীতির মধ্যে রয়েছে, ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রচেষ্টা, যাতে তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা যায়। খবর রয়টার্সের। প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করার পর এবং সফররত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের আগ মুহূর্তে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে এই আদেশে স্বাক্ষর করতে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আদেশটির কথা উল্লেখ করে বলেন, “সবাই চায় আমি এটি স্বাক্ষর করি। আমি তা করেছি এবং এটি ইরানের জন্য খুবই কঠিন হবে।” এরপর ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চায়। তিনি বলেন, “আমি ইরানকে বলছি, যারা খুব মনোযোগ সহকারে শুনছে, ‘আমি একটি দুর্দান্ত চুক্তি করতে সক্ষম হতে চাই। এমন একটি চুক্তি যেখানে আপনি আপনার জীবন চালিয়ে যেতে পারেন।” ট্রাম্পের মতে, “ইরানের একটি জিনিস থাকতে পারে না। তাদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না। তারা যদি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে আমি মনে করি এটি তাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক হবে।” তেহরান পারমাণবিক অস্ত্রের কতটা কাছাকাছি জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, “তারা খুব কাছাকাছি।” নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে ইরানের মিশন এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ট্রাম্প সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ইরানের ওপর তেল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করেছেন। ট্রাম্প বলেন, “তেল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রয়োগ না করার বাইডেনের নীতি ওয়াশিংটনকে দুর্বল করেছে এবং তেহরানকে সাহস জুগিয়েছে। যা ইরানকে তেল বিক্রি, নগদ অর্থ সঞ্চয় এবং সশস্ত্র মিলিশিয়ার মাধ্যমে পরমাণু কর্মসূচি ও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম করেছে।” গত বছরের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক নজরদারি সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি শুরু করেছে ইরান। তাদের কাছে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্য অস্বীকার করেছে। ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে- মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারিকে ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ’ আরোপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও প্রয়োগ ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া মার্কিন অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের অনুমান অনুযায়ী, তেল রপ্তানি থেকে তেহরানের ২০২৩ সালে ৫৩ বিলিয়ন ডলার এবং এর আগের বছর ৫৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। ওপেকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে উৎপাদন ২০১৮ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরানের তেল রপ্তানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বাইডেনের আমলে ইরান নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সফল হওয়ায় তেল রপ্তানি বৃদ্ধি পায়। ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছে, প্রয়োজনে তারা ইরানের ওপর সব আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে প্রস্তুত। যাতে করে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে।
কানাডা-মেক্সিকোর ওপর মার্কিন শুল্ক আপাতত স্থগিত

কানাডা-মেক্সিকোর ওপর মার্কিন শুল্ক আপাতত স্থগিত কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।ট্রাম্পের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের ফোনালাপের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার দেশের মার্কিন সীমান্তকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সম্মত হয়েছেন। এর ফলে অভিবাসন এবং বিপজ্জনক মাদক ফেন্টানিলের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশটি একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধের হাত থেকে আপাতত রক্ষা পাচ্ছে। এর আগে, ট্রাম্প মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমের সঙ্গে একটি চুক্তি করেন। তিনি সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে উত্তর সীমান্ত নিরাপদ করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মত হন । তবে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে অবৈধ ফেন্টানিল পাচারের অভিযোগে মেক্সিকো ও কানাডা ওপর ২৫ শতাংশ এবং চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ঘোষণা দেন, যা আজ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এর বিপরীতে কানাডা ও মেক্সিকো পাল্টা শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানায়। কাছাকাছি ধরনের ঘোষণা আসে চীনের পক্ষ থেকেও। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ১৫৫ বিলিয়ন ডলার সমমানের যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ওপর কার্যকর হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার থেকে এবং বাকিটা পরবর্তী ২১ দিনের মধ্যে। আর মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম বলেছিলেন, তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কারোপ নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ফের কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব ট্রাম্পের

ফের কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। রোববার ফ্লোরিডার পাম বিচ থেকে এএফপি জানায়, নিজের ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প এই প্রস্তাব দেন। ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর ‘কানাডাকে শত শত বিলিয়ন ডলার’ ভর্তুকি দেয়, এটি ছাড়া কানাডা একটি কার্যকর দেশ হিসেবে টিকে থাকতে পারবে না। তাই তিনি বলেন, ‘কানাডার আমাদের প্রিয় ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়া উচিত, যা কানাডার জনগণের জন্য অনেক কম কর ও আরও ভালো সামরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এবং কোনো শুল্ক থাকবে না।’ সাম্প্রতিককালে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প এই মন্তব্যের পুনরুক্তি করলেন। ট্রাম্প প্রশাসন কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে, যা কানাডার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। এর প্রতিক্রিয়ায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ২৫% পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা মার্কিন পণ্য যেমন বিয়ার, ওয়াইন, ফল, জুস, পোশাক, খেলাধুলার সরঞ্জাম এবং গৃহস্থালী যন্ত্রপাতির ওপর প্রযোজ্য হবে। এছাড়া, কানাডার অন্টারিও প্রদেশের মুখ্যৃমন্ত্রী ডগলাস ফোর্ড ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন, যাতে তিনি ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শুল্কের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ম্যান্ডেট পেতে পারেন। ফোর্ড সতর্ক করেছেন যে, এই শুল্ক অন্টারিওর অর্থনীতিতে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে এবং হাজার হাজার চাকরি হুমকির মুখে পড়বে। ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি এই মন্তব্যকে ‘কানাডার শক্তির প্রকৃতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞতা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ট্রাম্পের এই প্রস্তাব এবং সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক উত্তেজনা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দীর্ঘস্থায়ী মিত্রতার মধ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগেও একাধিকবার কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। জানুয়ারি মাসে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, ‘কানাডার অনেক মানুষ আমাদের ৫১তম রাজ্যের অংশ হতে চায়।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘যদি কানাডা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত হয়, তাহলে কোনো শুল্ক থাকবে না, কর অনেকটাই কমে যাবে এবং তারা রাশিয়ান ও চীনা জাহাজের হুমকি থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে।’ এর আগে, ডিসেম্বর ২০২৪ সালে, ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে ট্রাম্প কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে প্রস্তাব দেন যে, কানাডা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হতে পারে। তবে, এই প্রস্তাবটি হাস্যরসের ছলে করা হয়েছিল বলে জানা যায়।
কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে মৃত ৭০০

কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে মৃত ৭০০ আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহীগোষ্ঠী এম২৩ গ্রুপের সঙ্গে লড়াইয়ে পাঁচ দিনে ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের বরাত দিয়ের আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। জাতিসংঘের মুখাপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, গত রবিবার থেকে রুয়ান্ডা সমর্থিত এম২৩ গ্রুপের সঙ্গে লড়াইয়ে উত্তর কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমায় এ পর্যন্ত আহত হয়েছে ২ হাজার ৮০০ জন। গতকাল ডুজারিক বলেন, রবিবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এর অংশীদার সংস্থা এবং কঙ্গো সরকারের সঙ্গে পরিচালিত একটি যৌথ মূল্যায়ন থেকে হতাহতের এই পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।
মিয়ানমারে ৬ মাস বাড়ল জরুরি অবস্থার মেয়াদ

মিয়ানমারে ৬ মাস বাড়ল জরুরি অবস্থার মেয়াদ মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী জরুরি অবস্থা আরো ৬ মাসের জন্য বাড়িয়েছে। আজ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ২০২১ সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী অং সান সু চির নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল সেনাবাহিনী। এরপর থেকে মিয়ানমার গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরো অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, স্থিতিশীলতা এবং শান্তি এখনো প্রয়োজন। রয়টার্স জানিয়েছে, নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষে ৪০ মরদেহ উদ্ধার

যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষে ৪০ মরদেহ উদ্ধার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির রিগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে একটি যাত্রীবাহী বিমান ও হেলিকপ্টার সংঘর্ষের পর এখন পর্যন্ত ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর নদীতে পড়ে যাওয়া দুই আকাশজানের কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করছেন মার্কিন জরুরি বিভাগের কর্মীরা। বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, যাত্রীবাহী বিমানটিতে মোট ৬০ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। আর হেলিকপ্টারে তিনজন মার্কিন সেনা ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত বুধবার রাত ৯টার দিকে রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রানওয়ে ৩৩-এর কাছাকাছি সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় পড়া বিমানটি কানসাসের উইচিটা থেকে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। এই দুর্ঘটনার পর গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।