জার্মানিতে গাড়ি চাপায় আহত অন্তত ১৫

জার্মানিতে গাড়ি চাপায় আহত অন্তত ১৫ জার্মানির মিউনিখে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি উঠিয়ে দেয়ায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মিউনিখে একটি গাড়ি একদল লোককে চাপা দেয়। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ১৫ জন আহত হয়েছেন, তবে সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করার জন্য আমরা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ বলছে, ডাচাউর স্ট্রাসে এলাকায় একটি বড় অভিযান চলছে। ঘটনাস্থল থেকে চালককে আটক করা হয়েছে এবং তার আর কোনও বিপদ নেই। এটি আক্রমণ নাকি দুর্ঘটনা তা বর্তমানে স্পষ্ট নয়। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শুক্রবার শুরু হওয়ার কথা, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আজ বিকেলে আসবেন।
এআই খাতে প্রতিবছর ১০ হাজার দক্ষ কর্মী তৈরি করবে দ. কোরিয়া

এআই খাতে প্রতিবছর ১০ হাজার দক্ষ কর্মী তৈরি করবে দ. কোরিয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শিল্পের উন্নয়নের জন্য আজ নতুন কৌশল ঘোষণা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সরকারের এই নতুন উদ্যোগের লক্ষ্য হলো—প্রতিবছর ১০ হাজার দক্ষ এআই বিশেষজ্ঞ তৈরি করা। এর পাশাপাশি আধুনিক এআই প্রযুক্তিনির্ভর শহর গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটির সরকার, যেখানে কাজ, জীবনযাপন এবং বিনোদন একসঙ্গে উপভোগ করার সুযোগ থাকবে। সিওল শহরের দক্ষিণে কেওএক্স কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এআই সম্মেলনে এই কৌশলগুলোর ঘোষণা দেন মেয়র ও সেও-হুন। এআই প্রযুক্তি শক্তিশালীকরণের জন্য সাতটি মূল উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—প্রতিভা তৈরি, পরিকাঠামো নির্মাণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্পের মধ্যে সহযোগিতা এবং বিশ্বায়ন। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়াকে বিশ্বের দ্বিতীয় শ্রেণির এআই দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বোস্টন কনসালটিং গ্রুপ। যেখানে কানাডা, চীন, সিঙ্গাপুর, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এর ফলে কোরিয়ায় একটি সংকটের অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে। সিউল শহর সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা প্রতিবছর ১০ হাজার এআই প্রযুক্তি দক্ষ কর্মী তৈরি করবে, যার মধ্যে ৪ হাজার জন সিউল সফটওয়্যার একাডেমি থেকে এবং ৬ হাজার জন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ নেবেন। এআই-সম্পর্কিত মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রাম সম্পন্ন করার জন্য আগামী বছর থেকে সরকার ৬০ জনকে ৬০০ মিলিয়ন ওন (৪ লাখ ১৩ হাজার ডলার) মূল্যমানের নতুন বৃত্তি চালু করবে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে দক্ষিণ সিউলের ইয়াংজায়ে এআই উদ্ভাবন তথাকথিত ‘সিউল এআই টেক সিটি’ তৈরি করা হবে। এই প্রযুক্তি শহরের নির্মাণকাজ শুরু হবে ২০২৮ সালে এবং এখানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গ্র্যাজুয়েট স্কুল, বিশ্বমানের গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক ও আবাসিক স্থান থাকবে। এ ছাড়া, এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য আগামী বছর ৫০০ বিলিয়ন ওন মূল্যের একটি এআই তহবিল গঠন করা হবে।
বরখাস্ত হলেন ইউএসএআইডির মহাপরিদর্শক

বরখাস্ত হলেন ইউএসএআইডির মহাপরিদর্শক যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মহাপরিদর্শক পল মার্টিনকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইউএসএআইডির এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, পল মার্টিনকে স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিষয়টি জানিয়ে তাকে একটি ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। বরখাস্ত করার কোনো কারণ জানানো হয়নি। ইউএসএআইডির মহাপরিদর্শক দপ্তর ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের এক দিন পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নানা পদক্ষেপ ইউএসএআইডির কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে এবং সংস্থাটি প্রায় ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অব্যয়িত সহায়তার সঠিক তদারকি করতে পারছে না। জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসেই ইউএসএআইডির ওপর চড়াও হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বন্ধ করে দেন বিভিন্ন দেশে ইউএসআইডির পক্ষে দেওয়া সহায়তা। পাশাপাশি কর্মীদের বরখাস্ত করে ভেঙে দিতে চান সংস্থাটি। পল মার্টিন ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দায়িত্ব পালনের প্রথম সপ্তাহে এক ডজনেরও বেশি ফেডারেল সংস্থার মহাপরিদর্শকদের বরখাস্ত করলেও ইউএসএআইডির পদে পলের নিয়োগ বহাল ছিল। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত দুটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, ইউএসএআইডি মহাপরিদর্শকের অফিসের কর্মীদেরও জানানো হয়েছে, তাদের আর অফিসে প্রবেশাধিকার নেই। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএসএআইডকে ‘অযোগ্য এবং দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প। সেসময় তিনি সংস্থাটির বিস্তৃতি কমিয়ে আনার দায়িত্ব দেন ধনকুবের ইলন মাস্ককে। বিশ্ব জুড়ে ইউএসএআইডির ১০ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে। ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত ৬০০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গুয়াতেমালায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৫১

গুয়াতেমালায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৫১ লাতিন আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালার রাজধানী গুয়াতেমালা সিটিতে গতকাল সেতুর রেলিং ভেঙে বাস খাদে পড়ে অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন। এতে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন অনেকে। বাসটিতে মোট ৭৫ জন যাত্রী ছিলেন। উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এটি এখানকার ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনাগুলোর একটি। স্থানীয় সময় ভোরের দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। বাসটি পুয়েন্তে দে বেলিসে সেতু থেকে ছিটকে পড়ে রাজধানীর উত্তর প্রবেশপথে এক নদীতে গিয়ে পড়ে, যা দূষিত বর্জ্যে ভরা ছিল।
ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়ামে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়ামে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া সব স্টিল (ইস্পাত) ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে বিদ্যমান বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আরও বিস্তৃতি ঘটল। এই শুল্কের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির খরচ বাড়বে। ধাতব পদার্থের বড় যোগানদাতা কানাডাসহ অন্যান্য দেশের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেই ট্রাম্প প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমদানির ওপর নির্ভরশীল মার্কিন ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ জানালেও ট্রাম্পের মতে এ সিদ্ধান্ত দেশীয় উৎপাদন বাড়াবে। তিনি স্পষ্ট জানান, কোনো ব্যতিক্রম থাকবে না। তার মতে, তিনি নিয়মগুলোর সরলীকরণ করছেন, যা কার্যকর হবে ৪ মার্চ থেকে। ট্রাম্প বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা আমেরিকাকে আবার সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে। আমাদের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম দেশে উৎপাদিত হতে হবে, বিদেশে নয়। শুল্কের কারণে ভোক্তাদের খরচ বাড়বে কি না— এমন প্রশ্নে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জবাব, শেষ পর্যন্ত এটি সস্তা হবে। তিনি বলেন, আমাদের মহান শিল্পগুলোর আমেরিকায় ফেরার সময় এসেছে… এটি কেবল শুরু। তিনি ইঙ্গিত দেন, ভবিষ্যতে ওষুধ ও কম্পিউটার চিপের ওপরও শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্টিল আমদানিকারক দেশ, যেখানে কানাডা, ব্রাজিল ও মেক্সিকো এর প্রধান তিনটি সরবরাহকারী। সোমবার রাতে কানাডার উদ্ভাবনবিষয়ক মন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যাম্পেইন এই শুল্ককে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে আখ্যা দেন। ২০১৮ সালে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প স্টিলের ওপর ২৫ শতাংশ এবং অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও মেক্সিকোসহ অনেক দেশের জন্য শুল্ক ছাড়ের ব্যবস্থা করেন।
শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য বানরকে দায়ী করলেন মন্ত্রী

শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য বানরকে দায়ী করলেন মন্ত্রী শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য কলম্বোর দক্ষিণে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অনুপ্রবেশকারী একটি বানরকে দায়ী করা হয়েছে। ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার এই দ্বীপরাষ্ট্রে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ফের চালু করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসা অবকাঠামো এবং পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্টগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। শ্রীলঙ্কার জ্বালানিমন্ত্রী কুমারা জয়কোডি সাংবাদিকদের বলেছেন, “একটি বানর আমাদের গ্রিড ট্রান্সফরমারের সংস্পর্শে এসেছে, যার ফলে সিস্টেমে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে।” রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হয়, যার ফলে অনেকেই জেনারেটরের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হন। কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ ফিরে পেতে আরো কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষজন ঘটনাটি নিয়ে মজা করার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছে। মারিও নাওফাল নামে এক এক্স ব্যবহারকারী তার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “দুর্বৃত্ত এক বানর কলম্বোর একটি সাবস্টেশনে প্রবেশের পর শ্রীলঙ্কার পুরো পাওয়ার গ্রিড ব্যর্থ হয়ে গেছে। একটি বানর = সার্বিক বিশৃঙ্খলা। পরিকাঠামো নিয়ে পুনরায় ভাবনা-চিন্তার সময় এসেছে?” স্থানীয় সংবাদপত্র ডেইলি মিরর-এর প্রধান সম্পাদক জামিলা হুসেন লিখেছেন, “শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কায়ই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে বানরের একটি দল লড়াই করে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ হতে পারে।” সোমবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সংবাদপত্রটি বলেছে, প্রকৌশলীরা পাওয়ার গ্রিডগুলোকে আপগ্রেড করতে বা ঘন ঘন ব্ল্যাকআউটের মুখোমুখি হওয়া ঠেকাতে ‘বছরের পর বছর ধরে’ ধারাবাহিকভাবে সরকারগুলোকে সতর্ক করে আসছেন। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক সিনিয়র প্রকৌশলীর উদ্ধৃতি দিয়ে এতে বলা হয়েছে, “জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড এতটাই দুর্বল অবস্থায় রয়েছে যে, যেকোনো একটি লাইনে যদি সমস্যা হয় তাহলে ঘন ঘন দেশজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে।” ২০২২ সালে অর্থনৈতিক সংকটের সময় শ্রীলঙ্কা ব্যাপকভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছিল।
যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে কাজের অভিযোগে ৬০৯ অভিবাসী গ্রেপ্তার

যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে কাজের অভিযোগে ৬০৯ অভিবাসী গ্রেপ্তার যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে কাজ করার অভিযোগে জানুয়ারিতে ৬০৯ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। যা এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় ৭৩ শতাংশ বেশি। খবর এএফপির। যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন লেবার সরকারের অবৈধ অভিবাসন এবং মানবপাচারকারী চক্র মোকাবেলা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাদের আটক করা হয়। সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ৬০৯ জনকে আটক করা হয়েছে। যে সংখ্যা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ছিল ৩৫২ জন। নেইল বার, রেস্টুরেন্ট, কার ওয়াস এবং দোকানসহ ৮০০টিরও বেশি জায়গায় এই অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন পথ দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছিলেন, যার মধ্যে ছিল ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া এবং বৈধভাবে মঞ্জুর করা ভিসার অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান করা। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কেবল জানুয়ারির ৩১ দিনেই ১ হাজার ৯৮ জন ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে। ২০২৪ সালে কিয়ার স্টারমার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাৎক্ষণিকভাবে তার রক্ষণশীল পূর্বসূরী ঋষি সুনাকের যুক্তরাজ্যে অনথিভুক্ত অভিবাসন রোধ করার পরিকল্পনা বাতিল করে নতুন আগতদের রুয়ান্ডায় নির্বাসিত করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেন, “নিয়োগকর্তারা অনেক দিন ধরেই অবৈধ অভিবাসীদের শোষণ করছেন। অনেক লোক অবৈধভাবে এসে কাজ করছেন। তাদের বিরুদ্বে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তাকে দুর্বল করে দেওয়া এবং দীর্ঘদিন ধরে পার পেয়ে যাওয়া অপরাধী চক্রগুলোকে ধ্বংস করার জন্য আমরা নতুন কঠোর আইনের পাশাপাশি রেকর্ড মাত্রায় আইনের প্রয়োগ বৃদ্ধি করছি।” গত বছরের জুলাই মাসে লেবার সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত, ৫ হাজার ৪২৪টি পরিদর্শনের মাধ্যমে ৩ হাজার ৯৩০ জনকে অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া, মোট ১ হাজার ৯০টি দেওয়ানি জরিমানার নোটিশও জারি করেছে। দোষী সাব্যস্ত হলে, নিয়োগকর্তাদের প্রতি কর্মীর জন্য ৬০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একই সময়ের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসের বৃহত্তম ‘রিটার্ন’ ফ্লাইটগুলোর মধ্যে চারটিও পরিচালিত হয়েছে, ৮০০ জনেরও অবৈধ অভিবাসীকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অবৈধ অভিবাসী কমানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার একটি নতুন সীমান্ত নিরাপত্তা কমান্ডও প্রতিষ্ঠা করেছেন। ইউরোপোলসহ ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে এ বিষয়ে সহযোগিতা জোরদার করেছেন।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে জরুরি আরব সম্মেলন আয়োজন করবে মিসর

ফিলিস্তিন ইস্যুতে জরুরি আরব সম্মেলন আয়োজন করবে মিসর ফিলিস্তিনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি জরুরি আরব সম্মেলনের আয়োজন করবে মিসর। রোববার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। কায়রো থেকে এএফপি জানায়, মিসর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আঞ্চলিক সমর্থন জোরদার করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্দানে সরিয়ে নেওয়া হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র উপকূলীয় অঞ্চলটিকে নিয়ন্ত্রণ করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনি ইস্যুতে সাম্প্রতিক গুরুতর পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরব দেশগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের দীর্ঘ আলোচনার পর এই জরুরি সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনও সম্মেলনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্মেলনের আয়োজন করতে মিসর বর্তমানে আরব লিগের সভাপতি বাহরাইনের সঙ্গে সমন্বয় করছে। শুক্রবার মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলাত্তি ফিলিস্তিনি জনগণের জোরপূর্বক স্থানান্তরের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তৈরি করতে জর্ডান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এর আগে, ট্রাম্প গাজাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে রেখে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হিসেবে পুনর্গঠনের ধারণা দেন। তবে তার পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্ডানে পুনর্বাসনের কথা বলা হয়। এই মন্তব্য বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে, আরব দেশগুলো একযোগে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ভিত্তিতে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সহায়তা বন্ধ

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সহায়তা বন্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় মার্কিন আর্থিক সহায়তা বন্ধের জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। খবর রয়টার্সের।হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ভূমি আইন ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ওয়াশিংটনের মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার গণহত্যার মামলার ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাহী আদেশটিতে স্বাক্ষর করেছেন। মার্কিন সরকারের সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রায় ৪৪০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের ভূমি অধিগ্রহণ আইনের বিরুদ্ধে এবং এটি সাধারণ মানুষের জন্য হুমকি হতে পারে বলে মনে করেন। ট্রাম্প প্রমাণ ছাড়াই বলেছেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার নাগরিকদের জমি ছিনিয়ে নিচ্ছে এবং ‘কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণীর লোকদের’ সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করা হচ্ছে।” ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ধনকুবের ইলন মাস্ক বলেছেন, শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানরা ‘বর্ণবাদী মালিকানা আইনের’ শিকার হচ্ছেন। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ওয়াশিংটন দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ কৃষক ও তাদের পরিবারকে শরণার্থী হিসেবে পুনর্বাসনের জন্য একটি পরিকল্পনাও তৈরি করবে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা নতুন আইনকে ‘ভূমি অধিগ্রহণের অস্ত্র’ হিসেবে না দেখে, এটি একটি সাংবিধানিক অধিকার বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “এই আইনটি মানুষের মধ্যে ভূমির অধিকার নিয়ে ন্যায্যতা আনার জন্য কাজ করছে।” এই আইনের মাধ্যমে সরকার জমি দখল করতে পারবে, তবে যখন জমি অব্যবহৃত থাকবে এবং মালিকের সঙ্গে আলোচনার পর কোনো সমঝোতা হবে না, তখনই এটি করা হবে। রামাফোসা আরো বলেন, তার দেশ একতাবদ্ধ থাকবে এবং তারা সংকীর্ণ স্বার্থের বিরোধিতা করবে। তিনি জানিয়ে দেন, তারা কোনোভাবেই ভয় পাবে না এবং নিজেদের অবস্থান থেকে সরবে না। দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এই আইনটি তৈরি করেছে যাতে, ঔপনিবেশিক সময় এবং জাতিগত বর্গীকরণের কারণে জমির মালিকানা নিয়ে যে বিরাট সমস্যাগুলো রয়েছে, তা সমাধান করা যায়। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার আনা মামলার বিরুদ্ধেও ওয়াশিংটন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণের জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয় এবং মানবিক সংকট দেখা দেয়। ইসরায়েল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালানোর পর আত্মরক্ষায় তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছিল। হোয়াইট হাউজ দক্ষিণ আফ্রিকাকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার উদাহরণ হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি উল্লেখ করেছে। ঔপনিবেশিক ও বর্ণবাদী যুগের উত্তরাধিকারের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় জমির মালিকানার প্রশ্নটি রাজনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কৃষ্ণাঙ্গদের তাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল এবং সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। শ্বেতাঙ্গরা এখনও দক্ষিণ আফ্রিকার তিন-চতুর্থাংশ কৃষিজমির মালিক। ২০১৭ সালের সর্বশেষ ভূমি নিরীক্ষা অনুসারে, কৃষ্ণাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানরা দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ, কিন্তু তারা মাত্র ৪ শতাংশ জমির মালিক।
বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছেন ট্রাম্প

বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছেন ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র এবং দৈনিক গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ে প্রবেশাধিকার বাতিল করছেন। আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “জো বাইডেনের গোপন তথ্য পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তাই তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করা হচ্ছে এবং তার দৈনিক গোয়েন্দা ব্রিফিং বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।” বিবিসি বলছে, বাইডেন যখন ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসেন, তখন তিনি ট্রাম্পের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করেছিলেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র তুলে নিলেন। বাইডেন ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্পের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিলের পেছনে যুক্তি ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের ভূমিকা। বাইডেন সেসময় বলেছিলেন, “ট্রাম্পের আচরণ প্রমাণ করে, তিনি আর গোপন গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার উপযুক্ত নন।” আর এবার ২০২৫ সালে ক্ষমতায় ফিরে এসে ট্রাম্প প্রতিশোধ নিলেন বাইডেনের বিরুদ্ধে। ট্রাম্প লিখেছেন, “২০২১ সালে বাইডেন এই নজির স্থাপন করেছিলেন, যখন তিনি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেন, যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট (আমার!)-কে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া বন্ধ করে। এটি সাধারণত সাবেক প্রেসিডেন্টদের প্রতি সৌজন্য হিসেবে প্রদান করা হয়।” ট্রাম্প আরো লিখেছেন, “রিপোর্টে দেখা গেছে, বাইডেনের স্মৃতিশক্তি বেশ কম। গোপন তথ্য নিয়ে তাকে ভরসা করা যায় না।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি বাইডেনকে এক ধরনের তির্যক ব্যঙ্গাত্মক টিপ্পনি দিয়েছেন। গত মাসে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে আছেন বাইডেন। ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি তিনি। বিবিসি বাইডেনের ট্যালেন্ট এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। এছাড়া বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত আরো অনেক কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র ও নিরাপত্তা সুরক্ষা বাতিল করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক মার্কিন সামরিক প্রধান মার্ক মিলি, যিনি ট্রাম্পের একজন উন্মুক্ত সমালোচক ছিলেন। নতুন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ মিলির ‘আচরণ’ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তার সামরিক পদমর্যাদা পুনর্মূল্যায়ন করতে বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক শীর্ষ চিকিৎসা উপদেষ্টা ড. অ্যান্থনি ফাউচির নিরাপত্তা সুরক্ষাও প্রত্যাহার করেছেন ট্রাম্প। ফাউচি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ‘একেবারেই স্বাভাবিক’। কারণ আজীবন সরকারি নিরাপত্তা সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। ট্রাম্প ২০২০ সালে বাইডেনের পক্ষে কথা বলা দুইজন সাবেক সিআইএ পরিচালকসহ ৫০ জনের বেশি সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্রও বাতিল করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেনের পক্ষে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।