দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বিজেপির রেখা গুপ্তা

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বিজেপির রেখা গুপ্তা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন রেখা গুপ্তা। আজ দিল্লির ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানে তিনি শপথ গ্রহণ করেন। বিজেপির সুষমা স্বরাজ, কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত ও আম আদমি পার্টির অতিশী মারলেনার পর রেখা গুপ্তা হলেন দিল্লির চতুর্থ নারী মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, এই মুহূর্তে ভারতের যে কয়টি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে, তার মধ্যে একমাত্র দিল্লিতেই রয়েছে তাদের নারী মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি এদিন ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন ছয় বিধায়ক। তারা হলেন-পরভেশ ভার্মা, মনজিন্দার সিং সিরশা, কপিল মিশ্র, আশীষ সুদ ও পঙ্কজ কুমার সিং রাবিন্দার সিং। এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ও বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী।সম্প্রতি বিধানসভার নির্বাচনে দিল্লি শালিমার বাগ কেন্দ্র থেকে ২৯,৫৯৫ ভোটে জয়লাভ করেছিলেন ৫০ বছর বয়সী রেখা। তার প্রধান দুই প্রতিপক্ষ ছিলেন আপ প্রার্থী বন্দনা কুমারী ও কংগ্রেস প্রার্থী প্রবীণ কুমার জৈন। বুধবার রাতেই তাকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করে দলের হাইকমান্ড। এত বড় এক দায়িত্ব দেওয়ার পরই দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন রেখা। এবারই প্রথম বিধানসভার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজেপির এই নারী নেত্রী। আর প্রথমবারেই বাজিমাত রেখার। উল্লেখ্য, প্রায় ২৭ বছর পর দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। সম্প্রতি বিধানসভার নির্বাচনে দিল্লিতে ৭০ আসনের মধ্যে বিজেপি ৪৮ আসনে জয় পেয়েছিল। আম আদমি পার্টি (আপ) জয় পেয়েছিল ২২ আসনে। বিজেপির এই বিপুল জয়ের পরেই মনে করা হচ্ছিল কোনো নারী বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানো হতে পারে। এবারের নির্বাচনে নারী ভোটারদের কাছে টানতে একাধিক কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল দলীয় নির্বাচনি ইশতেহারে। যার মধ্যে অন্যতম নারীদের প্রতি মাসে আড়াই হাজার টাকা, গর্ভবতী মহিলাদের এককালীন ২১ হাজার রুপি প্রদান, সিনিয়র মানুষদের পেনশন প্রদান ও নারীদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি প্রমুখ।
ফিলিপাইনে মশা ধরে দিলে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা

ফিলিপাইনে মশা ধরে দিলে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা মশা ধরে দিলে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে ফিলিপাইনের জনবহুল অঞ্চল মেট্রো ম্যানিলার একটি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। মৃত অথবা জীবিত উভয় মশা ধরে জমা দিলেই দেওয়া হবে অর্থ। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা প্রতিরোধে আজ এমন ঘোষণা দেয় অ্যাডিশনাল হিলস পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ওই পৌরসভার প্রধান কার্লিতো কার্নাল বলেছেন, পাঁচটি মশা জমা দিলে এক পেসো (২ টাকা) দেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, তার এলাকায় ডেঙ্গুতে দুজন ছাত্রের মৃত্যুর পর তারা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাস্তাঘাঁট পরিস্কার রাখা, পানি জমতে না দেওয়ার যেসব কার্যক্রম তাদের রয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন কার্যক্রমটি।জীবিত ও মৃত মশার পাশাপাশি লার্ভা জমা দিলেও মিলবে নগদ অর্থ। যেসব জীবিত মশা সংগ্রহ করা হবে সেগুলো অতি বেগুনি রশ্মি ব্যবহার করে নির্মূল করা হবে। তবে এমন ‘অদ্ভুদ’ ঘোষণাটি বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছে। সামাজিক মাধ্যমে একজন মজা করে লিখেছেন, “সেখানে এখন ইচ্ছাকরে মশার চাষ করা হবে। যেগুলো পরে বিক্রি করা হবে।” আরেকজন লিখেছেন, “যদি একটি পাখা থাকে তাহলে কী ওই মশা নেওয়া হবে না?” তবে ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য বিভাগ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছে, স্থানীয় সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধে যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটিকে তারা স্বাগত জানায়।পৌরসভা প্রধান কার্নাল বলেছেন, তিনি জানেন তার এ ঘোষণা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের এলাকাকে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা থেকে বাঁচাতে তারা সব ধরনের উদ্যোগই নিচ্ছেন। অ্যাডিশনাল হিলস নামের ওই শহুরে এলাকাটিতে ৭০ হাজার মানুষ বাস করেন। সাম্প্রতিক সময়ে সেখান ৪৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। মৌসুমী ও অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণে ফিলিপাইনে বেড়েছে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র: বিবিসি
অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আটকা ১৫৭ তিমি, মৃত ৬৭, ঝুঁকিতে আরও ৯০

অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আটকা ১৫৭ তিমি, মৃত ৬৭, ঝুঁকিতে আরও ৯০ অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যের একটি সমুদ্র সৈকতে ১৫৭টি তিমি আটকা পড়েছে। এর মধ্যে ৬৭টি ইতোমধ্যেই মারা গেছে, বাকি ৯০টি তিমিও মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে। আটকে পড়া তিমিগুলোকে উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আজ আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। তিমিগুলো ১৮ ফেব্রুয়ারি তাসমানিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলে আর্থার রিভারের কাছে সৈকতে আটকে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অঞ্চলটি রাজ্যের রাজধানী হোবার্ট থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে। আটকে পড়া তিমিগুলো মাঝারি আকারের ‘ফলস কিলার হোয়েল’, যা বৃহত্তম ডলফিন প্রজাতির একটি অংশ। প্রাপ্তবয়স্ক ফলস কিলার হোয়েল প্রায় ৬ মিটার লম্বা ও ১ দশমিক ৫ টন ওজনের হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাচারাল রিসোর্স অ্যান্ড এনভাইরনমেন্ট জানিয়েছে, উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে এবং সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত। ব্রেন্ডন ক্লার্ক, তাসমানিয়া পার্কস অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিসের কর্মকর্তা, জানিয়েছেন, ‘তিমিগুলো সম্ভবত ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধরে আটকা পড়ে আছে। এর মধ্যে মাত্র ৯০টি জীবিত রয়েছে।’ তিমিগুলোকে সমুদ্রে ফেরত পাঠানো সম্ভব কি না, তা বিশেষজ্ঞ ও পশু চিকিৎসকরা পরীক্ষা করছেন। তবে ব্রেন্ডন ক্লার্ক বলেছেন, ‘এটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ, এবং কর্মকর্তাদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।’ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে জনসাধারণের প্রবেশ সীমিত করেছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সেখানে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা জোসেলিন ফ্লিন্ট অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে (এবিসি) বলেন, ‘বুধবার সকালে আমার ছেলে মাছ ধরার সময় তিমিগুলোকে দেখতে পায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে, অসংখ্য তিমি আটকা পড়েছে। তাদের মধ্যে ছোট বাচ্চা তিমিও রয়েছে… তারা আমাদের দিকে তাকাচ্ছিল, যেন সাহায্য চাইছে।’ অস্ট্রেলিয়ায় তিমি আটকে পড়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে তাসমানিয়ার উপকূলে। বিশেষ করে রাজ্যের পশ্চিম উপকূল এ ধরনের ঘটনার জন্য কুখ্যাত। ২০২০ সালে, তাসমানিয়ার ম্যাককোয়ারি বন্দরের কাছে ৪৭০টি পাইলট তিমি আটকা পড়ে। উদ্ধারকর্মীদের চেষ্টা সত্ত্বেও ৩৫০টির বেশি তিমি মারা যায়। ২০২২ সালেও, একই বন্দরে ২০০টি তিমি আটকা পড়ে। তিমি অত্যন্ত সামাজিক স্তন্যপায়ী প্রাণী, যারা দলবদ্ধভাবে চলাফেরা করে। সৈকতে আটকা পড়ার একাধিক কারণ থাকতে পারে— খাদ্যের সন্ধানে ভুল দিক নির্দেশনা – উপকূলে ছোট মাছ শিকারের সময় তারা দিকভ্রান্ত হয়ে তীরে উঠে আসতে পারে। গোষ্ঠীগত আচরণ – দলের একটি তিমি ভুল করলে পুরো দল অনুসরণ করতে পারে। পরিবেশগত পরিবর্তন – সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা বা অন্য প্রাকৃতিক কারণেও তিমিরা আটকে পড়তে পারে। অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে তিমি আটকে পড়া নতুন নয়, তবে একসঙ্গে এতগুলো ফলস কিলার হোয়েল আটকা পড়ার ঘটনা গত ৫০ বছরে ঘটেনি। এখন উদ্ধারকর্মীদের প্রাণপণ প্রচেষ্টাই নির্ধারণ করবে বাকি তিমিগুলো বাঁচবে কি না।
ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ আঘাত হানতে পারে বিশাল গ্রহাণু

ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ আঘাত হানতে পারে বিশাল গ্রহাণু ওয়াইআর৪ নামের এক বিশাল আকৃতির গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে, যা আঘাত হানলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এদিকে নাসা, রসকসমস, সিএনএসএ ও ইসরোসহ বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা গ্রহাণুটির গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছে।বিজ্ঞানীরা জানায়, গ্রহাণুটির আকার ৪০ থেকে ১০০ মিটার এবং বিজ্ঞানীরা একে ‘সিটি কিলার’ বা ‘শহরের খুনি’ নামে অভিহিত করছেন। ২০২৪ ওয়াইআর৪ নামের এই গ্রহাণুটি ২০৩২ সালে পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। র্যাঙ্কিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রহাণুটি উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, আরব সাগর অথবা আফ্রিকার যে কোনও জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে। এতে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া, সুদান, নাইজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরের মতো দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে এই তালিকা পরিবর্তন হতে পারে বলে সতর্ক করেছে নাসা। মার্চ মাসে টেলিস্কোপের মাধ্যমে গ্রহাণুটিকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাওয়া যাবে। এরপর এটি মহাকাশের আরও গভীরে সরে যাবে। তাই এর ওপর নজরদারিতে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানায়, যদি গ্রহাণুটি পৃথিবীতে আঘাত হানে, তবে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটবে, যা ৮০ লাখ টন টিএনটি বিস্ফোরণের সমান হতে পারে। এটি হিরোশিমায় ফেলা পরমাণু বোমার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি শক্তিশালী হবে। তবে অনেক বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এটি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে বিস্ফোরিত হবে, যা প্রায় ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের একটি অঞ্চলকে ধ্বংস করতে পারে। এ বিষয়ে নাসা জানিয়েছে, ১০০ বছরে একবার মাঝারি আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হয়, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি বায়ুমণ্ডলে পুড়ে যায়। বর্তমানে ২০২৪ ওয়াইআর৪-এর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা দুই শতাংশ। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে এর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেলে এই ঝুঁকি কমে আসবে।বর্তমানে বিজ্ঞানীরা ২০২৪ ওয়াইআর৪-এর গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছেন এবং ভবিষ্যতে এটি পৃথিবীর জন্য কতটা বিপজ্জনক হবে, তা জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
বলিভিয়ায় বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে নিহত ৩১

বলিভিয়ায় বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে নিহত ৩১ লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়ায় একটি বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং চারজন শিশুকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার বলিভিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইয়োকাল্লা অঞ্চলে একটি পাবলিক ট্রানজিট বাস খাদে পড়ে যায়। বিভাগীয় পুলিশ কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল লিমবার্ট চোক স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন। আমরা এখনও মরদেহ উদ্ধার করছি। পুলিশের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে যাওয়ার আগে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং ৮০০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গাড়িটি যে পাহাড়ি পথে যাচ্ছিল, সেখানে অনেক বাঁক ছিল। দুর্ঘটনার আরেকটি কারণ গতিও হতে পারে বলে তিনি জানান।
মিশরে ভবন ধসে নিহত ১০ আহত ৮

মিশরে ভবন ধসে নিহত ১০ আহত ৮ মিশরের রাজধানী কায়রোর শ্রমজীবী মানুষের আবাসস্থল কেরদাসায় সোমবার ভবন ধসে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো আটজন। এছাড়াও ধ্বংসস্তুপের নিচে আরো কয়েকজন চাপা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আল-আখবার আল-ইয়ুম। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছেছে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা দল ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান করছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে ভবনটি ধসে পড়েছে। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে। আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ২ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষের আবাসস্থল কায়রোতে ভবন বিধিমালা অসমভাবে প্রয়োগ করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শহরটিতে বেশ কয়েকটি মারাত্মক ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে। ভবনগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থা এবং ভবন নির্মাণের নিয়মকানুন মেনে না চলা এসব দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
ফের ৯ দেশ থেকে বিতাড়িত ৪৭ পাকিস্তানি

ফের ৯ দেশ থেকে বিতাড়িত ৪৭ পাকিস্তানি একদিন পর ফের সৌদি আরব, আজারবাইজানসহ ৯ দেশ থেকে অন্তত ৪৭ জন পাকিস্তানিকে বিতাড়িত করা হয়েছে। অভিবাসন সূত্রের বরাত দিয়ে আজ এই তথ্য জানিয়ে জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদক পাচারের অভিযোগে নতুন করে ৬ জন পাকিস্তানিকে বহিষ্কার করেছে সৌদি। এছাড়া ৪ জন পাকিস্তানিকে ‘বিরক্তিকর’ উল্লেখ করে তাদের দেশ থেকে বের করে দিয়েছে আজারবাইজান। অবৈধভাবে মালয়েশিয়া ও ইরাকে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৪ জনকে বিতাড়িত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে থেকেও ২ জন পাকিস্তানিকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশে যাওয়ার প্রাক্বালে জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিমান থেকে ৩০ পাকিস্তানিকে নামানো হয়েছে। এর আগে গতকাল জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুইদিনে ১১ দেশ থেকে অন্তত ১৭০ পাকিস্তানিকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আর্থিক সহায়তা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশ-ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আর্থিক সহায়তা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে বড় ধরনের সহায়তা অর্থায়ন বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচিও বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভারতের জন্য নির্ধারিত ২১ মিলিয়ন ডলারের কর্মসূচিও বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) এই ঘোষণা দিয়েছে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। এতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন বাজেট কমিয়ে আনার জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং এর আওতায় ভারত-বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের তহবিল বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) রোববার বলেছে, ভারতে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষ্যে ২১ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নির্ধারিত ২৯ মিলিয়ন ডলারের কর্মসূচি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সাহায্যে বৃহত্তর কাটছাঁটের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভারতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় উন্নতির লক্ষ্যে নেওয়া মূল উদ্যোগগুলোকে প্রভাবিত করবে। ইলন মাস্ক অবশ্য বারবারই জোর দিয়ে বলেছেন, বাজেট কাটছাঁট ছাড়া চলতে থাকলে “আমেরিকা দেউলিয়া হয়ে যাবে” এবং এই উদ্যোগটি প্রশাসনের পরিকল্পনা করা বাজেট ওভারহলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে। ইন্ডিয়া টুডে বলছে, ভারতের জন্য বরাদ্দ করা ২১ মিলিয়ন ডলারের তহবিলটি বিশেষভাবে দেশটির নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছিল। যাইহোক ভারত এখন আর এই তহবিল পাবে না বলে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) ঘোষণা করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা করার কয়েকদিন পরেই ভারতে সহায়তার বিষয়ে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যদিও বৈঠকের পর দুই নেতা মার্কিন-ভারত সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে যৌথ বিবৃতি বা সংবাদ সম্মেলনে এর উল্লেখ পাওয়া যায়নি। আর বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রোগ্রামটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি এবং গণতান্ত্রিক শাসনকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে গত বছরের আগস্টে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান এবং ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার এখন দেশ শাসন করছে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডিওজিই) এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশও প্রভাবিত হবে। এর মধ্যে মোজাম্বিকের জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার, কম্বোডিয়ার জন্য ২.৩ মিলিয়ন ডলার, সার্বিয়ার জন্য ১৪ মিলিয়ন ডলার, মলদোভায় ২২ মিলিয়ন ডলার, নেপালে দুটি উদ্যোগে ৩৯ মিলিয়ন ডলার এবং মালিতে ১৪ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পের ওপর প্রভাব পড়বে। এছাড়া বিশ্বের আরও অনেক দেশ ও অঞ্চলও তহবিল বাতিলের এই তালিকায় রয়েছে।
মালিতে স্বর্ণের খনিতে ধসের ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত

মালিতে স্বর্ণের খনিতে ধসের ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত মালির পশ্চিমাঞ্চলে শনিবার অবৈধভাবে পরিচালিত একটি স্বর্ণের খনিতে ধসের ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে মালির বামাকো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। মালি আফ্রিকার শীর্ষস্থানীয় স্বর্ণ উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি। খনির স্থানগুলোতে নিয়মিতভাবে মারাত্মক ভূমিধসের কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে মালি একটি। দেশটিতে মূল্যবান ধাতুটির অনিয়ন্ত্রিত খনির নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কর্তৃপক্ষ লড়াই করে যাচ্ছে। পুলিশের এক সূত্র জানায়, খনি ধসে ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। এই ৪৮ জনসহ আজ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮ শত জনে। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন পানিতে পড়ে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন এবং তার পিঠে শিশু ছিল। স্থানীয় এক কর্মকর্তা ধ্বসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে কেনিয়েবা স্বর্ণখনি শ্রমিক সমিতিও ৪৮ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একটি পরিবেশবাদী সংস্থার প্রধান এএফপিকে জানায়, হতাহতদের সন্ধান চলছে। সূত্র এএফপিকে জানায়, শনিবারের দুর্ঘটনাটি একটি পরিত্যক্ত স্থানে ঘটেছে। এটি পূর্বে একটি চীনা কোম্পানি পরিচালনা করত। জানুয়ারিতে, দক্ষিণ মালিতে অপর একটি স্বর্ণ খনিতে ভূমিধসে কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং অনেকে নিখোঁজ হয়। যাদের বেশিরভাগই মহিলা। মাত্র এক বছরেরও বেশি সময় আগে, একই অঞ্চলে শনিবারের ভূমিধসের মত আর একটি স্বর্ণের খনির সুড়ঙ্গ ধসে ৭০ জনেরও বেশি লোক মারা যায়।
ভারতে মহাকুম্ভমেলায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু

ভারতে মহাকুম্ভমেলায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভমেলায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ছত্তিশগড়ের একদল ভক্তের জন্য শুভযাত্রা মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মির্জাপুর-প্রয়াগরাজ মহাসড়কে তদের গাড়ি ও একটি বাসের সংঘর্ষ হলে, অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ১৯ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত ভক্তরা ছত্তিশগড়ের কোরবা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। তারা প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করতে মহাকুম্ভ মেলায় যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে মধ্যপ্রদেশের রাজগড়ের তীর্থযাত্রীরাও ছিলেন। প্রয়াগরাজের অতিরিক্ত এসপি বিবেক চন্দ্র যাদব বলেন, ছত্তিশগড় থেকে মহাকুম্ভে আসা ভক্তদের বহনকারী একটি গাড়ি একটি বাসের সাথে ধাক্কা লাগলে ১০ জন মারা যান। দুর্ঘটনাটি প্রায় মধ্যরাতে প্রয়াগরাজ-মির্জাপুর মহাসড়কে ঘটে। মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য স্বরূপ রানী মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ২০২৫ সালের কুম্ভমেলা ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমে অনুষ্ঠিত হবে। এবছর কুম্ভমেলায় পদদলিত হওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৩০ মারা যায়। যার ফলে তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।