‘নিখুঁত হামলার’ কারণে চুক্তি সম্ভব হয়েছে: ট্রাম্প

‘নিখুঁত হামলার’ কারণে চুক্তি সম্ভব হয়েছে: ট্রাম্প ইরানে ‘নিখুঁত হামলার’ কারণে যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান-ইসায়েলের সংঘাতের মধ্যেই ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করেন। খবর আলজাজিরার। নিজেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দাবি তিনি লেখেন, তার সহায়তাতেই এই ‘চুক্তি’ সম্ভব হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, “আজকের ‘চুক্তি’ সম্ভব হতো না আমাদের অসাধারণ বি টু পাইলটদের সাহস এবং দক্ষতা ছাড়া। তাদের অসাধারণ কাজ পুরো পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “একটি নিখুঁত ‘হামলা’ সবাইকে একত্রিত করেছে এবং এরপরই চুক্তি হয়েছে!!!” ইরান কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক ঘোষণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইসরায়েল ও ইরান একটি ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এর আগে গত শনিবার ইরানের তিনটি পারমানবিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা জারি

মার্কিন নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা জারি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের তীব্রতার কারণে বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। গতকাল স্থানীয় সময় এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণ ব্যাহত হচ্ছে এবং অঞ্চলটির আকাশসীমা কখনো কখনো বন্ধ রাখা হচ্ছে। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র দপ্তর পরামর্শ দিয়েছে, মার্কিন নাগরিকেরা যেন ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট দেশের তথ্য ও সাম্প্রতিক নিরাপত্তা সতর্কতাগুলো মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখে নেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এরই মধ্যে নিজ দেশেও ‘উচ্চমাত্রার হুমকি পরিস্থিতি’ সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে।
ইরান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসবে আইএইএ

ইরান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসবে আইএইএ ইরানে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় সোমবার জরুরি বৈঠকে বসবেন আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বোর্ড অব গভর্নররা । আজ সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সংস্থাটির মহাপরিচালক জেনারেল রাফায়েল গ্রোসি এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে আইএইএ বলেছে, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালানোর পরও ‘আশপাশের এলাকায় তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বৃদ্ধির’ কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। আজ ভোরে ইরানের ফরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান—তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে এ হামলা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরে ইরানও তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার বিষয় নিশ্চিত করে।
১২০ বছর পর বেনিন ভাস্কর্য ফেরত পেল নাইজেরিয়া

১২০ বছর পর বেনিন ভাস্কর্য ফেরত পেল নাইজেরিয়া নেদারল্যান্ডস ১২০ বছর আগে ঔপনিবেশিক শাসনামলে নাইজেরিয়ার বেনিন রাজ্য থেকে লুণ্ঠিত ১১৯টি ঐতিহাসিক ভাস্কর্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দিয়েছে। গতকাল নাইজেরিয়ার লাগোসের জাতীয় জাদুঘরে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এসব মূল্যবান নিদর্শন হস্তান্তর করা হয়। নাইজেরিয়ার জাতীয় জাদুঘর ও স্মৃতিস্তম্ভ কমিশনের মহাপরিচালক ওলুগবিল হলোওয়ে এই প্রত্নবস্তুগুলোর তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, “এগুলো কেবল বস্তু নয়—এগুলো আমাদের আত্মপরিচয় ও অতীতের জীবন্ত প্রতীক। আমরা চাই, বিশ্ব আমাদের সঙ্গে ন্যায্যতা, মর্যাদা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে আচরণ করুক।” তিনি আরও জানান, জার্মানিও ১,০০০-এর বেশি নিদর্শন ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা ঔপনিবেশিক আমলে সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোকে ‘বেনিন ব্রোঞ্জ’ নামে অভিহিত করা হয়। এগুলোর মধ্যে ১৬শ থেকে ১৮শ শতাব্দীর মধ্যে তৈরি সূক্ষ্ম ধাতু ও হাতির দাঁতের ভাস্কর্য রয়েছে। ১৮৯৭ সালে ব্রিটিশ সেনা অভিযানের সময় বেনিন লুণ্ঠনের মাধ্যমে এসব সম্পদ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সে সময় বেনিনের রাজা ওভনরামওয়েন নোগবাইসিকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। বর্তমানে ফেরত পাওয়া চারটি ভাস্কর্য লাগোসের জাতীয় জাদুঘরের প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে সেগুলো জাদুঘরের স্থায়ী সংগ্রহে যুক্ত হবে। বাকি নিদর্শনগুলো ফেরত পাঠানো হবে বেনিনের ঐতিহ্যবাহী শাসক ওবা ইওয়ারে দ্বিতীয়-এর কাছে।উল্লেখযোগ্য যে, ২০২২ সালে নাইজেরিয়া বিশ্বের বিভিন্ন জাদুঘর ও সংগ্রহশালার কাছে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফেরতের আনুষ্ঠানিক দাবি জানায়। ওই বছর যুক্তরাজ্যের একটি জাদুঘর থেকে ৭২টি এবং যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড থেকে ৩১টি প্রত্নবস্তু ফেরত পায় নাইজেরিয়া।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উদ্যোগ ঔপনিবেশিক ইতিহাসের পুনর্মূল্যায়ন এবং বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক সম্পদের ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ইসরায়েলে দুই দফায় ইরানের হা*মলায় ব্যাপক ক্ষ*য়ক্ষ*তি, আ*হত ৮৬

ইসরায়েলে দুই দফায় ইরানের হা*মলায় ব্যাপক ক্ষ*য়ক্ষ*তি, আ*হত ৮৬ মার্কিন হামলার জবাবে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে দুই দফায় বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা মাঝারি, ৭৭ জনের অবস্থা তেমন গুরুতর নয়, চারজন তীব্র মানসিক আতঙ্কে ভুগছেন এবং তিনজনের শারীরিক অবস্থা এখনো জানা যায়নি। আহতদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে তারা ইসরায়েলে ২০তম দফায় হামলা শুরু করেছে। এতে শক্তিশালী ও বিধ্বংসী ওয়ারহেডসহ তরল ও কঠিন জ্বালানিচালিত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। ইরানি বাহিনী জানায়, হামলার লক্ষ্য ছিল বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর, একটি জৈব গবেষণা কেন্দ্র, লজিস্টিক ঘাঁটি, এবং বিভিন্ন কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। এ ছাড়া তেল আবিব, নেস সিওনা ও হাইফার আবাসিক এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। তেল আবিবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র সামনে এসেছে ,হামলার কয়েক ঘণ্টা পরও ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। ইসরায়েলি জরুরি সেবা কর্মীরা এখনো বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। হামলায় একটি বৃদ্ধনিবাস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা উদ্ধারকাজকে আরও জটিল করে তুলেছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, একটা বিশাল বিস্ফোরণ হলো। সব কেঁপে উঠল। আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি।
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান ৫ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে ইরানের বিভিন্ন প্রদেশ। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২০ জুন) ভূমিকম্প অনুভব করেন দেশটির মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, কোম শহরে ভূমিকম্পটি উৎপত্তি হয়েছিল।রাজধানী তেহরানের বাসিন্দারাও কম্পন টের পেয়েছেন। এ সময় তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয় ইসরায়েলি হামলার কারণে মাটি কেঁপে উঠেছে। তবে পরবর্তীতে জানা যায় কোম শহরে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যেটির প্রভাব দেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়েছে।ভূমিকম্পের আঘাতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মোসাদের গুপ্তচর সন্দেহে ইরানে ৫৪ জন গ্রেপ্তার

মোসাদের গুপ্তচর সন্দেহে ইরানে ৫৪ জন গ্রেপ্তার ইরানের খুজেস্তান প্রদেশের প্রসিকিউটর অফিস ২০ জুন জানিয়েছে, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইরানি পুলিশ। ফার্স নিউজ এজেন্সি প্রসিকিউটর অফিসের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই ব্যক্তিরা শত্রুপক্ষকে সহায়তা, তথ্য সংগ্রহ, শাসনের বিরুদ্ধে প্রচারণা, সেইসঙ্গে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং সমাজে মানসিক অস্থিরতা তৈরি করার কাজে জড়িত ছিল। উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের একাধিক স্থানে, বিমান হামলা চালায় যার মধ্যে সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাও ছিল। এর জবাবে তেহরান পাল্টা হামলা শুরু করে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানি মিসাইল হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৫ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। অন্যদিকে, ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, ইসরায়েলি হামলায় ৬৩৯ জন নিহত এবং ১,৩০০-র বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
জ্বালানি-পরিকাঠামো খাতে মিয়ানমারের সঙ্গে বিনিয়োগ চুক্তি রাশিয়ার

জ্বালানি-পরিকাঠামো খাতে মিয়ানমারের সঙ্গে বিনিয়োগ চুক্তি রাশিয়ার রাশিয়া মিয়ানমারের সঙ্গে একটি বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে রাশিয়ান জ্বালানি কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারে বলে জানিয়েছে মস্কো। গতকাল রাশিয়ার অর্থনীতি মন্ত্রী ম্যাক্সিম রেশেতনিকভ সেন্ট পিটার্সবার্গে মিয়ানমারের বিনিয়োগ ও বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী কান জো-এর সঙ্গে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রাশিয়ান কোম্পানিগুলোকে সমুদ্র উপকূলবর্তী তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র উন্নয়নে আকৃষ্ট করতে আগ্রহী—এটি আমরা বিশেষভাবে লক্ষ করেছি। রাশিয়ান সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, এই চুক্তি মিয়ানমারের দাওয়েই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিভিন্ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। ওই অঞ্চলে একটি ৬৬০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। ২০২১ সালে নোবেলজয়ী আউং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে সেনা কর্তৃক ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে রাশিয়া। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মিয়ানমার ভিতরে-বাইরে সংঘাত, ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি, খাদ্য সংকট ও প্রায় ৫৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের জন্য মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। চলতি বছরের মার্চ মাসে জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সেখানে একটি ছোট আকারের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এর ঠিক এক মাস আগে, রাশিয়া ও মিয়ানমার দাওয়েই অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি বন্দর ও তেল শোধনাগার নির্মাণের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।শুক্রবার স্বাক্ষরিত চুক্তিটি শুধুমাত্র জ্বালানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। রাশিয়ান সরকার জানিয়েছে, এটি পরিবহন অবকাঠামো, ধাতুবিদ্যা, কৃষি ও টেলিকম খাতেও দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার পথ সুগম করবে। এই চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়া শুধু জ্বালানিখাতেই নয়, বরং মিয়ানমারে পরিকাঠামো ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রভাব বাড়াতে চায়। মস্কোর এই কৌশলমূলক অবস্থান, বিশেষত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে, তার আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তার ও মিত্র তৈরির অংশ বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরদের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা সম্ভব

সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরদের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা সম্ভব: অস্ট্রেলিয়ান ট্রায়াল ১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে বড় সাফল্য অজর্ন করেছে অস্ট্রেলিয়া। সরকারি এক ট্রায়ালে প্রমাণিত হয়েছে, ডিজিটাল বয়স যাচাই প্রযুক্তি ‘গোপনীয়তা রক্ষা করে কার্যকর ও নির্ভরযোগ্যভাবে’ কাজ করতে সক্ষম। শিশু-কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থেকে রক্ষা করতে ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইন পাস করেছে অস্ট্রেলিয়া। গত নভেম্বরে পাস হওয়া এ আইন চলতি বছরের শেষ নাগাদ কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক এবং এক্স-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো যদি এ আইন মানতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদেরকে পাঁচ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার (৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো আইনটিকে ‘অস্পষ্ট, তাড়াহুড়ো এবং ত্রুটিপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছে। সিডনি থেকে এএফপি জানিয়েছে, সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি স্বাধীন বয়স নিশ্চয়তা প্রযুক্তি ট্রায়ালের অন্তর্বর্তী ফলাফলে দেখা গেছে, বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ট্রায়ালের প্রকল্প পরিচালক টনি অ্যালেন বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় এই ব্যবস্থা চালু করতে কোনো বড় প্রযুক্তিগত বাধা নেই। এই সমাধানগুলো প্রযুক্তিগতভাবে বাস্তবায়নযোগ্য, বিদ্যমান সেবার সঙ্গে নমনীয়ভাবে একত্রিত করা যায় এবং অনলাইনে শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষা করতে পারে। তবে অস্ট্রেলিয়ার নাইন নেটওয়ার্কে এক সাক্ষাৎকারে অ্যালেন সতর্ক করে বলেন, শিশুদের এই যাচাইকরণ পদ্ধতি এড়িয়ে যাওয়া ঠেকানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমি মনে করি না, কোনো ব্যবস্থাই শতভাগ নির্ভুল হতে পারে। ট্রায়াল প্রতিবেদনে জানানো হয়, বয়স যাচাইয়ের জন্য অনেক পদ্ধতি থাকলেও সব পরিস্থিতিতে উপযোগী এমন একক সমাধান নেই। এই ট্রায়ালে ৫৩টি সংস্থা অংশ নিয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুদের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, এসব প্ল্যাটফর্ম শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার এই নতুন আইন অন্যান্য দেশও পর্যবেক্ষণ করছে। অনেকেই এখন নিজেদের দেশে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। এদিকে, গ্রিস চলতি মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে একটি প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে ‘ডিজিটাল প্রাপ্তবয়স্ক’ বয়স নির্ধারণ করা হয় এবং বাবা মায়ের সম্মতি ছাড়া শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।
২০২৪ সালে শিশুদের প্রতি সহিংসতা ‘ভয়াবহ মাত্রায়’ পৌঁছেছে: জাতিসংঘ

২০২৪ সালে শিশুদের প্রতি সহিংসতা ‘ভয়াবহ মাত্রায়’ পৌঁছেছে: জাতিসংঘ গাজা থেকে শুরু করে কঙ্গো প্রজাতন্ত্র পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতময় অঞ্চলে ২০২৪ সালে শিশুদের ওপর সহিংসতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এক বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদরদপ্তর থেকে এএফপি এ খবর জানায়। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সশস্ত্র সংঘাতে শিশুদের ওপর সহিংসতার মাত্রা নজিরবিহীনভাবে বেড়েছে। আর ২০২৩ সালের চেয়ে গুরুতর সহিংসতার ঘটনা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে শিশুদের বিরুদ্ধে ৪১ হাজার ৩৭০টি গুরুতর সহিংসতার ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ৩৬ হাজার ২২১টিই সংঘটিত হয়েছে ২০২৪ সালে। বাকি ৫ হাজার ১৪৯টি আগের বছরের হলেও তা এ বছর যাচাই করা হয়েছে। এটি গত ৩০ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালেও শিশু সহিংসতায় রেকর্ড হয়েছিল, তবে পরের বছর অবশ্য সেই রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যায়। ২০২৪ সালে আগের বছরের তুলনায় সহিংসতা বেড়েছে ২১ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২৪ সালে সশস্ত্র সহিংসতায় সাড়ে ৪ হাজারেও বেশি শিশু নিহত এবং কমপক্ষে ৭ হাজার জন আহত হয়। বর্তমানে নির্বিচার হামলা ও সহিংসতার প্রধান শিকার শিশুরাই বলেও দাবি করা হয়। এছাড়াও বহু শিশু একাধিক সহিংসতার শিকার হয়েছে। এমন ভুক্তভোগী শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৪৯৫ জনে। জাতিসংঘ মহাসচিবের শিশু ও সশস্ত্র সংঘাত বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ভার্জিনিয়া গাম্বা বলেন, যে ২২ হাজার ৪৯৫ শিশুর এখন স্কুলে পড়া বা মাঠে খেলাধুলা করার কথা, তারা আজ শিখছে কীভাবে গোলাগুলি আর বোমার মধ্যেও বেঁচে থাকতে হয়। এই শিশুদের আর্তনাদ আমাদের সবার রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার মতো। তিনি আরো বলেন, এটি যেন আমাদের জন্য সতর্ক সংকেত হয়। কারণ আমরা একেবারে সংকটসীমার কিনারায় পৌঁছে গেছি। জাতিসংঘ প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় ২০টি সংঘাতময় অঞ্চলে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিবেদনের পরিশিষ্টে যুক্ত রয়েছে তথাকথিত ‘লজ্জার তালিকা’, যেখানে শিশুদের ওপর সহিংসতার জন্য দায়ীদের নাম প্রকাশ করা হয়। এ তালিকায় এ বছর নতুন করে যুক্ত হয়েছে হাইতির একটি সশস্ত্র গ্যাং জোটের নাম। তাদের বিরুদ্ধে শিশু হত্যা ও অঙ্গহানি, সশস্ত্র সহিংসতায় নিয়োগ, অপহরণ, মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা এবং যৌন সহিংসতার মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নাম এ বছরের তালিকাতেও রয়েছে।