গ্যাং হামলায় হাইতিতে নিহত অর্ধশতাধিক

গ্যাং হামলায় হাইতিতে নিহত অর্ধশতাধিক গত সপ্তাহে হাইতিতে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সংকটে জর্জরিত ক্যারিবীয় দেশটির সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি। স্থানীয় একটি মানবাধিকার সংস্থার বরাত দিয়ে সোমবার পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক (আরএনডিডিএইচ) এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’ গ্যাংগুলোর একটি জোট আক্রমণ শুরু করলে ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি। আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ‘ভিভ আনসানম’ গ্যাং জোট নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে ‘বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে।’ ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরটি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকাটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ১৫

মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ১৫ মেক্সিকোর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শনিবার এক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ইউকাতান অঙ্গরাজ্যের সিকিউরিটি সেক্রেটারিয়েট জানিয়েছে, মেরিদা ও কামপেচে শহরের মধ্যবর্তী মহাসড়কে একটি পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে গিয়ে একটি গাড়ি ও নির্মাণ শ্রমিক বহনকারী একটি ট্রাকে আঘাত হানে। সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানায়, ঘটনাস্থলেই ১৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাকচালকও রয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন। মেক্সিকো সিটি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, এক সপ্তাহেরও কম সময়ে দেশটিতে বড় ধরনের প্রাণহানীর এটি তৃতীয় সড়ক দুর্ঘটনা। গত সোমবার মধ্য মেক্সিকোতে একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি ডাবল-ডেকার বাসের সংঘর্ষে ১০ জন নিহত ও ৪১ জন আহত হন। দুই দিন পর, প্রায় ৫০ হাজার লিটার গ্যাস বহনকারী একটি ট্রাক মেক্সিকো সিটিতে উল্টে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও বহু মানুষ মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন বলে শনিবার হালনাগাদ করা এক হিসাবে জানানো হয়েছে।
ন্যাটোকে রুশ তেল কেনা বন্ধের দাবি ট্রাম্পের

ন্যাটোকে রুশ তেল কেনা বন্ধের দাবি ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে প্রস্তুত রয়েছেন। তবে, শর্ত হিসেবে তিনি বলেছেন, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সব মিত্রকে রাশিয়ার তেল কেনা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে এবং মস্কোর বিরুদ্ধে তাদের নিজস্ব নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সম্মত হতে হবে। ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের অবসান ঘটাতে ন্যাটো মিত্রদের চীনের ওপর ৫০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বিবেচনারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে জানান, সব ন্যাটো দেশ যখন একমত হবে ও একই পদক্ষেপ নেবে এবং যখন ন্যাটো’র সব দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে, তখন আমি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত। গত সপ্তাহে মস্কো বাহিনী ইউক্রেনে বড় ধরনের বিমান হামলা চালানোর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে আসছেন ট্রাম্প। হুমকি দিলেও মস্কোর বিরুদ্ধে কার্যত কোনো পদক্ষেপ না দেখে হতাশ হয়ে পড়েছে কিয়েভ। গত মাসে আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর তেল ক্রয়ের বিষয়টি ক্রেমলিনের সঙ্গে দরকষাকষির ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। ট্রাম্প বলেছেন, যাইহোক, আপনারা যখন এগিয়ে আসবেন তখন আমিও প্রস্তুত থাকবো। শুধু বলুন, সময়টা কখন?
কঙ্গোতে পৃথক দুই নৌকাডুবিতে নি*হ*ত অন্তত ১৯৩

কঙ্গোতে পৃথক দুই নৌকাডুবিতে নি*হ*ত অন্তত ১৯৩ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পৃথক দুই নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ১৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন বেশকয়েকজন। কঙ্গোর কর্তৃপক্ষ ও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খবর আলজাজিরা। দেশটির ইকুয়েটর প্রদেশে প্রায় ১৫০ কিমি (৯৩ মাইল) দূরে বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই দুর্ঘটনা ঘটে। কঙ্গোর মানবিক কার্যক্রমবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রায় ৫০০ যাত্রীবাহী একটি নৌকা যাত্রা করে। পরে আগুন ধরে উল্টে যায়। দুর্ঘটনাটি ঘটে প্রদেশের লুকোলেলা এলাকার মালাঙ্গে গ্রামবিনাশের কাছে অবস্থিত একটি হোয়েলবোটে। এতে ১০৭ জন নিহত হন। উদ্ধার করা হয় ২০৯ জনকে। কঙ্গোর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় এখনো ১৪৬ জন নিখোঁজ আছেন। একদিন আগে, অন্য আরেক পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির বাসানকুসু এলাকায় একটি মোটরচালিত নৌকা উল্টে যায়। এতে অন্তত ৮৬ জন নিহত হন, তাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী, সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে। দুইটি ঘটনার একটিরও কারণ জানা যায়নি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছিল কি না, তা-ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভেঙে দেওয়া হলো নেপালের সংসদ, নতুন নির্বাচন মার্চে

ভেঙে দেওয়া হলো নেপালের সংসদ, নতুন নির্বাচন মার্চে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সুশীলা কার্কির পা ধরে আশীর্বাদ নেন নেপালের জেন-জি বিপ্লবের নায়ক সুদান গুরুং। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সুপারিশের ভিত্তিতে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট। এছাড়া আগামী বছরের মার্চে নতুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। নেপালের প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখরেল বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, গতকাল রাতে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্বাচনের তারিখ হলো ২০২৬ সালের ৫ মার্চ। গতকাল রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। তার নেতৃত্বে ছোট মন্ত্রিসভার একটি সরকার গঠিত হয়েছে। এটির মেয়াদ থাকবে ৬ মাস। এই সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন নির্বাচন আয়োজনের ম্যান্ডেট দেওয়া হয়। গতকাল স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে শপথ নেন সুশীলা। এরআগে নেপালের জেন-জির বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল এবং সেনাবাহিনীর প্রধান অশোক রাজ সিগদেলের মধ্যে আলোচনা হয়। এরপর সুশীলাকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সবাই একমত হয়। এরমাধ্যমে তিনি দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে আন্দোলনে নামে নেপালের জেন-জিরা। এরমধ্যে গত সোমবার বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপর ক্ষোভে ফেনে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার তাদের আন্দোলনের তীব্রতা বাড়লে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়েন কেপি শর্মা অলি। এরপর তিনি গা ঢাকা দেন। ওইদিন বিক্ষোভকারীরা সাবেক দুজন প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালান। এরমধ্যে অর্থমন্ত্রীকে রাস্তায় পেটানোর ঘটনাও ঘটে। সুশীলা কার্কি ২০১৬ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি দেশটির প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হন। বিচারক থাকাকালীন তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন এ কারণে জেন-জির কাছে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। একবার ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুশীলা বলেছিলেন, ভারত নেপালকে অনেক সহায়তা করেছে।
পাকিস্তানে তালেবানের হামলায় ১২ সৈন্য নিহত

পাকিস্তানে তালেবানের হামলায় ১২ সৈন্য নিহত পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে তালেবানের জঙ্গিদের হামলায় দেশটির সামরিক বাহিনীর অন্তত ১২ সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ ভোরের দিকে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের প্রত্যন্ত এক এলাকায় সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা গাড়িবহর নিয়ে আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের দুর্গম বাদার এলাকায় পৌঁছানোর পর সেখানে হামলার শিকার হন। এক বিবৃতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলেছে, তীব্র গোলাগুলির পর সংঘর্ষে অন্তত ১২ সৈন্য ও ১৩ জন জঙ্গি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও অন্তত চারজন আহত হয়েছেন বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে এই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তানি তালেবান। গোষ্ঠীটি সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র ও ড্রোন লুট করার দাবিও করেছে। ইসলামাবাদ বলছে, নিষিদ্ধঘোষিত এই জঙ্গি গোষ্ঠীটির ঘাঁটি আফগানিস্তানে অবস্থিত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, ভোরের দিকে হওয়া এই হামলার পর কয়েক ঘণ্টা ধরে আকাশে উড়োজাহাজ টহল দিয়েছে। এছাড়া হামলায় আহতদের উদ্ধারের পর স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। সাধারণত পাকিস্তানের ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর গাড়িবহর চলাচলের আগে কারফিউ জারি করা হয়। জঙ্গিদের সক্রিয় অবস্থান থাকায় স্থানীয় প্রশাসন প্রায়ই এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ইসলামাবাদ অভিযোগ করে বলেছে, পাকিস্তানি তালেবানকে আফগান তালেবান প্রশাসন ভারতের সমর্থনে আশ্রয় দিচ্ছে। তবে কাবুল ও নয়াদিল্লি উভয়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাকিস্তানি তালেবান গোষ্ঠী আফগানিস্তানের তালেবানের অনুসারী।২০২১ সালে আফগান তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানি তালেবান দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা বৃদ্ধি করেছে।পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলেছে, আফগান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের দায়িত্ব পালন করবে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেবে না বলে প্রত্যাশা করছে ইসলামাবাদ।
রাশিয়ায় ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা

রাশিয়ায় ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের কারণে সুনামির ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। আজ দেশটির কামচাটকা অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানে। খবর রয়টার্সের। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস জানায়, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল)। অন্যদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭.৪ এবং গভীরতা ৩৯.৫ কিলোমিটার (২৪.৫ মাইল)। প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিস্থিতি এখনও পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির বা মানুষের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গত ৩০ জুলাই কামচাটকাতে ৮.৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, যা রাশিয়ার ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে বিবেচিত। এই ভূমিকম্পের ফলে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল, তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বিদেশি সিনেমা টিভি সিরিজ দেখার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড

বিদেশি সিনেমা টিভি সিরিজ দেখার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড উত্তর কোরিয়ার সরকার এখন আগের চেয়ে আরও বেশি মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে বিশেষ করে যারা বিদেশি সিনেমা ও টিভি সিরিজ দেখে বা তা ছড়িয়ে দেয়, তাদের ক্ষেত্রে। জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন এই একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র এটির জনগণের স্বাধীনতা আরও কঠোরভাবে দমন করছে এবং তাদের জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতর জানায়, গত এক দশকে উত্তর কোরিয়া তার নাগরিকদের জীবনের প্রতিটি দিক আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, আধুনিক বিশ্বে আর কোনো জনগোষ্ঠীর ওপর এত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। এতে আরও বলা হয়, নজরদারির মাত্রা অনেক বেড়েছে, যা আংশিকভাবে প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে সম্ভব হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, যদি এই পরিস্থিতি চলতেই থাকে, তাহলে উত্তর কোরিয়ার জনগণ দীর্ঘদিন ধরে যেসব ভোগান্তি, নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন ও ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তা আরও বেড়ে যাবে। গত ১০ বছরে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা ৩শ’ জনের বেশি মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা এই প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডের হার বেড়ে গেছে। ২০১৫ সালের পর অন্তত ৬টি নতুন আইন চালু হয়েছে যা বিভিন্ন অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড প্রযোজ্য করেছে। এর মধ্যে একটি অপরাধ হলো বিদেশি চলচ্চিত্র ও টিভি কনটেন্ট দেখা বা শেয়ার করা। কিম জং উন জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ সীমিত করতে এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। ২০১৯ সালের পর পালিয়ে আসা লোকেরা জানান, ২০২০ সাল থেকে বিদেশি কনটেন্ট বিতরণের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সংখ্যা বেড়ে গেছে। তারা বলেন, এসব মৃত্যুদণ্ড জনসমক্ষে গুলি করে কার্যকর করা হয়, যাতে জনগণের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হয় এবং কেউ আইন ভঙ্গ না করে। ২০২৩ সালে পালিয়ে আসা উত্তর কোরিয়ান কাং গিউরি বলেন, তার তিন বন্ধু দক্ষিণ কোরিয়ার কনটেন্ট রাখার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড পান। তিনি একজন ২৩ বছর বয়সী বন্ধুর বিচারে উপস্থিত ছিলেন, যিনি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। তিনি বলেন, ‘সে মাদকাসক্ত অপরাধীদের সঙ্গে একসঙ্গে বিচার পেয়েছিল। এখন এই ধরনের অপরাধকে একে অপরের সমান বলে মনে করা হয়।তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের পর থেকে জনগণ আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এসব ঘটনা উত্তর কোরিয়ার জনগণের বিগত দশকের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০১১ সালে কিম জং উন ক্ষমতায় এলে অনেকেই আশা করেছিলেন পরিস্থিতির উন্নতি হবে, কারণ তিনি বলেছিলেন জনগণকে আর ‘কষ্ট করে বাঁচতে হবে না’ অর্থাৎ তারা পর্যাপ্ত খাবার পাবে। তিনি দেশটির পারমাণবিক শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, ২০১৯ সালে পশ্চিমা বিশ্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ করে কিম যখন তার অস্ত্র কর্মসূচিতে জোর দেন, তখন থেকেই মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ২০১৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পালিয়ে আসা এক তরুণী বলেন, ‘কিম জং উনের শাসনের প্রথমদিকে কিছু আশা ছিল, কিন্তু তা বেশিদিন টেকেনি। তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ধীরে ধীরে মানুষের স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার পথ বন্ধ করে দেয়, আর প্রতিদিন বেঁচে থাকাটাই এক ধরনের যন্ত্রণায় পরিণত হয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গত ১০ বছরে সরকার জনগণের ওপর প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, যার ফলে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উন্নত নজরদারি প্রযুক্তি এই দমন-পীড়ন আরও সহজ করেছে। সূত্র: বিবিসি নিউজ।
ধর্মগুরুদের যৌন নির্যাতনের বিরুধে সোচ্ছার হতে নির্দেশ পোপের

ধর্মগুরুদের যৌন নির্যাতনের বিরুধে সোচ্ছার হতে নির্দেশ পোপের ভ্যাটিকানের প্রকাশিত এক বার্তায় ক্যাথলিক চার্চের ধর্মগুরুদের সংঘটিত যে কোনো যৌন নির্যাতনের বিরুধে সোচ্ছার হতে বিশপদের নির্দেশ দিয়েছেন পোপ লিও। সেই সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগগুলোও যেন সামনে এনে নিস্পত্তি করা হয়, সেই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যৌন নির্যাতনের কেলেঙ্কারি চার্চকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং নৈতিক কণ্ঠস্বর হিসেবে এর অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই ঘটনাগুলো ব্যয়বহুল মামলার সূত্রপাত করেছে এবং এর ফলে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট বিশপ পদত্যাগ করেছেন। বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক ডায়োসিসের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিযুক্ত প্রায় ২০০ বিশপের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পোপ বলেন, ‘(অভিযোগ) গোপন রাখা যাবে না। ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের প্রতি করুণা এবং সত্যিকারের ন্যায়বিচারের অনুভূতি নিয়ে তাদের মুখোমুখি হতে হবে। পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর মে মাসে নির্বাচিত লিও এর আগে পুরোহিতদের যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে ‘দৃঢ় এবং সিদ্ধান্তমূলক’ হতে বলেছেন। ১২ বছর ধরে ১.৪ বিলিয়ন সদস্যের চার্চের নেতৃত্ব দেওয়া ফ্রান্সিসও ধর্মীয় গুরুদের ঘটানো যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলো দমন করাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারে রেখেছিলেন। তবে এর ফলাফল মিশ্র ছিল। নতুন বিশপদের সঙ্গে বৈঠকে লিও ফ্রান্সিসের অগ্রাধিকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। বিশপদের সকলকে স্বাগত জানিয়ে একটি গির্জা তৈরি করতে উৎসাহিত করেছেন, যেমনটি প্রয়াত পোপ প্রায়শই আহ্বান জানিয়েছিলেন। ভ্যাটিকানের সারসংক্ষেপ অনুসারে, লিও ধর্মযাজকদের বলেছেন, ‘আমাদের সময়ের পুরুষ ও নারীরা যে প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করছেন, তার উত্তর দেওয়ার জন্য তাদের (বিশপদের) বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ পুনর্নবীকরণ করা উচিত। ২৫ বছর আগে সেমিনারিতে শেখা প্রস্তুতিমূলক উত্তরগুলো যথেষ্ট নয়।
সৌদিতে প্রথম নারীর খেলার টিভি চ্যানেল

সৌদিতে প্রথম নারীর খেলার টিভি চ্যানেল সৌদি আরবে শুধু নারীকে খেলা দেখানোর একটি টিভি চ্যানেল চালু হয়েছে। দেশটির নারী প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের ম্যাচ ও অন্যান্য ইভেন্ট চ্যানেলটিতে দেখানো হবে। এটি চব্বিশ ঘণ্টা চলবে এবং চব্বিশ ঘণ্টাই নারীর বিভিন্ন খেলা প্রচারিত হবে। সৌদি আরবে চ্যানেলটি চালু করেছে অল ওমেন্স স্পোর্টস নেটওয়ার্ক (এডব্লিউএসএন)। সৌদির ফুটবল ফেডারেশন এবং জাতীয় ব্রডকাস্টার সৌদি স্পোর্টস কোম্পানির সঙ্গে পার্টনারশিপ ভিত্তিতে চ্যানেলটির যাত্রা শুরু হয়েছে।‘এসএসজি এডব্লিউএসএন’ নামের এ চ্যানেলটির সম্প্রচার এমবিসি শহীদ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। ভিশন ২০৩০ সামনে রেখে সৌদি আরবে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। দেশটির নারীকে আগের যে কোনো বিষয় থেকে এখন বেশি স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে। তারা নিজেরা গাড়ি চালানোর অনুমতিও পেয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা।