01713248557

হাইতিতে অপরাধী চক্রের হামলায় নিহত ৭০

হাইতিতে অপরাধী চক্রের হামলায় নিহত ৭০ হাইতিতে একটি শহরে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী গ্র্যান গ্রিফ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৭০ জন মানুষকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে ১৬ জন। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গ্র্যান গ্রিফ গ্যাং এর সদস্যরা রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রায় ৭১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে কেন্দ্রীয় আর্টিবোনিট অঞ্চলের পন্ট-সোনডে শহরে তাণ্ডব চালায়। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, একদল মানুষ মোটরসাইকেলে করে সহিংসতা থেকে পালাচ্ছে। এক সরকারি কৌসুলি এই হামলাকে হত্যাযজ্ঞ বলে বর্ণনা করেছেন। গ্র্যান গ্রিফ গ্যাং নেতা লাকসন এলান এই গণহত্যার দায় নিয়ে জানিয়েছেন, পুলিশ এবং অন্যান্য গোষ্ঠী যখন তাদের সেনাদের হত্যা করেছিল, তখন বেসামরিক লোকজন চুপ ছিল। এর প্রতিশোধ হিসেবে তারা এই হামলা চালিয়েছে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ৪৫টি বাড়ি এবং ৩৪টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলার কারণে প্রায় ৬ হাজার ২৭০ জন তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই আশেপাশের সেন্ট-মার্ক এবং অন্যান্য শহরে বসবাসকারী পরিবারের কাছে আশ্রয় নিয়েছে, অন্যরা অস্থায়ী শিবিরে অবস্থান করছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী এক্স পোস্টে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বলেছেন, এই নৃশংস ঘটনা শুধু নারী, শিশু ও পুরুষের জন্য নয় এটি পুরো হাইতিবাসীর বিরুদ্ধে একটি নৃশংসমূলক কাজ।  গ্র্যান গ্রিফকে হাইতির গ্যাংগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহিংস বলে মনে করা হয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশ স্টেশনে হামলা এবং ছয়জন কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাছাড়া ৭ লাখের বেশি মানুষকে পরিষেবা দেওয়া একটি হাসপাতাল বন্ধ করতে বাধ্য করার জন্যও তাদেরকে দায়ী করা হয়। হাইতি কর্তৃপক্ষ দেশে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর এক মাস পর বৃহস্পতিবার চক্রটি এই তাণ্ডব চালায়। প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিল এই গ্যাং দমনের অঙ্গীকার করেছেন।

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় কিভু হ্রদে ফেরি ডুবে ৮৭ জনের মৃত্যু

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় কিভু হ্রদে ফেরি ডুবে ৮৭ জনের মৃত্যু গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো’র পূর্বাঞ্চলীয় কিভু হ্রদে গতকাল এক ফেরি ডুবে অন্তত ৮৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় কিভু প্রদেশের মিনোভা শহর থেকে আসা ফেরিটি উত্তরের কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমার উপকণ্ঠে কিতুকু বন্দরের কাছে এসে ডুবে যায়। গোমা থেকে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ খবর জানায়। কিনশাসায় কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠানো এক খবরে বলা হয়, প্রাদেশিক সরকার ৭৮ জন এখনও নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৮৭টি মৃতদেহ গোমার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

লেবাননে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৫

লেবাননে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৫ লেবাননের রাজধানী বেইরুতের কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮ জন। স্থানীয় কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসির।  যে ভবনটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে সেটি বাচৌরাতে অবস্থিত। বহুতল ওই ভবনটি একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল। সেখানে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর আসা-যাওয়া ছিল। এই ভবনে আক্রমণের বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে যে, তারা ‌‌‘নির্ভুল’ হামলা চালিয়েছে। বৈরুতের কেন্দ্রে বিশেষ করে লেবাননের সংসদের এত কাছাকাছি ইসরায়েলি হামলা এবারই প্রথম। যেখানে হামলা হয়েছে ঘটনাস্থলটি সংসদ থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে অবস্থিত। এর আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছিল যে, দক্ষিণ লেবাননে তাদের আটজন সৈন্য নিহত হয়েছে। ওই ঘোষণা দেওয়ার পরপরই লেবাননে এই হামলার খবর এলো। তবে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করার পর এটিই ছিল ইসরায়েলের প্রথম ক্ষতির ঘটনা। এই প্রথম বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে হামলা চালালো ইসরায়েল। তারা এর আগে মূলত দক্ষিণ বৈরুতে আক্রমণ করছিল। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, যুদ্ধের সময় তারা ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলি ধ্বংস করেছে। তারা জোর দিয়ে এও বলেছে যে ইসরায়েলি বাহিনীকে পরাস্ত করার জন্য তাদের যথেষ্ট জনবল ও গোলাবারুদ রয়েছে। এর আগে আইডিএফ ঘোষণা করেছিল যে লেবাননের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে থাকা ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’ গুড়িয়ে দেওয়ার জন্য আরও পদাতিক ও সাঁজোয়া সৈন্য জড়ো করা হয়েছে। লেবাননে গতরাতে সর্বশেষ হামলার সময় বৈরুতের হাহিয়েহ অঞ্চলে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। চতুর্থ শব্দটি শোনা গেছে একদম শহরের মধ্যাঞ্চল থেকে। আইডিএফ হাহিয়েহতে বসবাসকারীদের সতর্ক করার পর সেখানে আরও দুইটি বিমান হামলা হয়েছে। এই অঞ্চলটি হিজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। রাতের বিমান হামলার আগে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিলো যে, বেসামরিক ও সামরিক মানুষ মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৪৬ জন নিহত এবং আরও ৮৫ জন আহত হয়েছে। লেবাননে সর্বশেষ বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে এক মার্কিন নাগরিকও ছিলেন। দ্য ডেট্রয়েট নিউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ওই নাগরিকের নাম কামেল আহমেদ জাওয়াদ। তার বয়স ছিল ৫৬ বছর। তিনি তার বৃদ্ধা মায়ের খেয়াল রাখার জন্য সেদেশে এসেছিলেন। হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, লেবাননের অনেক বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর মতো তার মৃত্যুও একটি দুঃখজনক ঘটনা।

নাইজেরিয়ায় নৌকা ডুবে ১৬ জনের মৃত্যু

নাইজেরিয়ায় নৌকা ডুবে ১৬ জনের মৃত্যু নাইজেরিয়ায় একটি নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর-মধ্য নাইজেরিয়ায় শতাধিক যাত্রী বহনকারী একটি নৌকা ডুবির ঘটনায় অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। খবর এএফপির। নাইজার রাজ্যের জরুরি সংস্থার প্রধান আবদুল্লাহি বাবা আরাহ বলেন, নৌকাটিতে থাকা যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তারা মুসলিমদের মাওলিদ উৎসব উদযাপন করতে যাচ্ছিলেন। সে সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোকওয়ার কাছে গাবাজিবো কমিউনিটিতে নাইজার নদী দিয়ে যাচ্ছিল নৌকাটি। সে সময় ওই নৌকায় প্রায় ৩০০ যাত্রী ছিল। কী কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা তিনি উল্লেখ করেননি। দুর্ঘটনার পর স্বেচ্ছাসেবক এবং ডুবুরিরা প্রায় ১৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। জরুরি সংস্থার মুখপাত্র ইব্রাহিম অদু হুসেইনি এএফপিকে বলেন, এ পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন নারী এবং ১৪ জন পুরুষ। তিনি বলেন, আরও লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি আমরা। উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে। নাইজেরিয়ার জলপথে নানা অসঙ্গতির কারণে নৌকা দুর্ঘটনা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে নদী এবং হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা বেশি হয়। গত মাসে জামফারা রাজ্যের গুম্মি নদীতে ৫০ জনের বেশি কৃষককে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি নৌকা ডুবে যায়। ওই দুর্ঘটনায় ৪০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানের হামলার পর বেড়ে গেল তেলের দাম

ইরানের হামলার পর বেড়ে গেল তেলের দাম বিশ্ববাজারে আরও এক দফায় বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম। ইসরায়েলে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটল। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে আরও বৃহৎ সংঘাত এবং চলমান উত্তেজনার কারণে তেল সরবরাহে বিঘ্নিত হওয়ার শংকায় এ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।  ব্রেন্ট ক্রুড তেলকে আন্তর্জাতিকভাবে তেলের দাম মূল্যায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি বলে বিবেচনা করা হয়। এ ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১ শতাংশের বেশি বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৪ দশমিক ৪০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য চলাকালে তেলের দাম ৫ শতাংশের বেশি বাড়তে দেখা গেছে।  ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্যমতে, ইরান বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ। তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেকের তৃতীয় বৃহত্তম সদস্যরাষ্ট্র। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে সামরিক উত্তেজনা বেড়ে গেলে হরমুজ প্রণালি দিয়ে জাহাজ চলাচলের ওপর প্রভাব পড়বে। বৈশ্বিক তেল বাণিজ্যের প্রায় ২০ শতাংশ কুয়েত ও ওমানের মাঝে অবস্থিত এই নৌপথটি দিয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও ইরাকসহ অন্যান্য ওপেক সদস্যরাও এই প্রণালি দিয়েই তাদের অধিকাংশ বাণিজ্য সম্পন্ন করে থাকে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইরান মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে অন্তত ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তেহরানকে এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেল আবিব। এতে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ বাঁধার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইসরায়েলের

জাতিসংঘের মহাসচিবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইসরায়েলের জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাকে ‘পারসনা নন গ্রাটা’ হিসাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা’ জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন গুতেরেস। এ কারণে তাকে ইসরায়েলে অবাঞ্চিত ব্যক্তি হিসাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কাটজ জাতিসংঘের প্রধানকে ‘ইসরায়েল বিরোধী’ এবং ‘সন্ত্রাসবাদী, ধর্ষক ও খুনিদের সমর্থন দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।’ তিনি বলেছেন, ‘আগামী প্রজন্মের জন্য গুতেরেসকে জাতিসংঘের ইতিহাসে একটি কলঙ্ক হিসাবে স্মরণ করা হবে।’গত সপ্তাহে লেবাননে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার ইসরায়েলে হামলা চালায় লেবাননের হিজবুল্লাহদের সমর্থক ইরান। জাতিসংঘের মহাসচিব ইরানে হামলার পরপর ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত ক্রমবর্ধমান হওয়ার’ নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১৭

নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১৭ নেপাল পুলিশ আজ মঙ্গলবার সকালে জানিয়েছে, দেশটিতে বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের অবিরাম বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১৭ জনে পৌঁছেছে। বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় ১৪৩ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া এখনও ২৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। খবর হিমালয় টাইমসের। নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঋষিরাম তিওয়ারি বলেছেন, বন্যা এবং ভূমিধস সারাদেশে অবকাঠামো এবং সড়কগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বন্যায় অন্তত দেড় ডজন সেতু ভেসে গেছে। ভূমিধসের কারণে কাঠমান্ডুর সাথে সংযোগকারী প্রধান মহাসড়কগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় অনুসন্ধান, উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে সব নিরাপত্তা সংস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সাড়ে চার হাজারেরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিওয়ারি আরও জানান, ২৬, ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে সাম্প্রতিক বন্যা এবং ভূমিধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রধান মহাসড়কগুলোসহ সড়কপথগুলো পুনরুদ্ধার করতে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সাথে কাজ করছে। কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, গত শনিবার কাঠমান্ডু উপত্যকায় ১৯৭০ সালের পর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ওই বছর থেকেই নেপালে প্রথম বৃষ্টিপাত পরিমাপ এবং রেকর্ড রাখার ব্যবস্থা শুরু করে।

নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে মৃত বেড়ে ১৭০

নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধসে মৃত বেড়ে ১৭০ নেপালে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ১৭০ জনে পৌঁছেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও বহু মানুষ। এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের কারণে দেশটির স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। আজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট। গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৭০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং আরও ৪২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে শঙ্কা। চলমান বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা এবং ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

ভারতে বিদেশি পর্যটকের তালিকায় শীর্ষে বাংলাদেশ

ভারতে বিদেশি পর্যটকের তালিকায় শীর্ষে বাংলাদেশ ভারতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলেন বাংলাদেশিরা। এরপরই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ও তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলতি বছরের জুন মাসে ৭ লাখ ৬ হাজার ৪৫ জন পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেছেন। এ সংখ্যা ২০২৩ সালের জুনের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। তবে ২০১৯ সালের জুনের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ কম। আর গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে পর্যটকদের এ সংখ্যা ছিল ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার ৩৭৪। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি, তবে তা ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮ শতাংশ কম। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভারতে পর্যটকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকা পাঁচ দেশ হলো বাংলাদেশ (২১ দশমিক ৫৫ শতাংশ), যুক্তরাষ্ট্র (১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ), যুক্তরাজ্য (৯ দশমিক ৮২ শতাংশ), কানাডা (৪ দশমিক ৫ শতাংশ) ও অস্ট্রেলিয়া (৪ দশমিক ৩২ শতাংশ)। গত বছর ভারতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এর পরে ছিল বাংলাদেশের অবস্থান। এ বছর ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে প্রথম অবস্থানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।দ্য প্রিন্টের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে চলতি জুলাই থেকে অভূতপূর্ব ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, যা একটি অভ্যুত্থানে পরিণত হয়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটায়। এরপর পরিবর্তিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত বাংলাদেশ থেকে আসা নাগরিকদের ভিসা দেওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে হেলেনের তাণ্ডবে নিহত ৪৩

যুক্তরাষ্ট্রে হেলেনের তাণ্ডবে নিহত ৪৩ হারিকেন হেলেনের আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৩ জন। খবর বিবিসির। দেশটির ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী এই ঝড়টি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে। এ সময় ওই এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল। ঝড়ের আঘাতে ফ্লোরিডায় ১৩ জন, জর্জিয়ায়, ১৫ জন, দক্ষিণ ক্যারোলাইনায় ১৭ জন, উত্তর ক্যারোলাইনায় ২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হেলেনের তাণ্ডবে কোটি কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ধ্বংস হয়েছে বাড়ি ও রাস্তাঘাট। ফ্লোরিডা থেকে ওহিও পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যে ৪৫ লাখেরও বেশি বিদ্যুৎ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়েছে দক্ষিণ ক্যারোলিনা, রাজ্যটিতে ১০ লাখেরও বেশি বিদ্যুৎ গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছেন। হেলেনের প্রভাবে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, টেনেসি এবং উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলিনার বিস্তীর্ণ এলাকায় তীব্র বাতাস ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। পানিবন্দি অবস্থায় বিভিন্ন শহরের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনগুলোতে আটকা পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ব্যাপক ধ্বংসাত্মক হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আবহওয়া দপ্তর হেলেনকে ‘ক্যাটাগরি ৪’ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা হারিকেনগুলোর মধ্যে শক্তির বিবেচনায় হেলেন ১৪তম। ঘণ্টায় ৪২০ মাইল গতিতে বাতাস বয়ে গেছে। এর আগে ২০১৭ সালে হারিকেন আইডা এবং ১৯৯৬ সালে হারিকেন ওপালের সময় ঘণ্টায় ৪৬০ মাইল গতিতে বাতাস বইতে দেখা গেছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় মার্কিন সেনাবাহিনীর ন্যাশনাল গার্ড শাখার ১ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।