আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ২০০ ভেনেজুয়েলানকে নির্বাসন দিল ট্রাম্প প্রশাসন

আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ২০০ ভেনেজুয়েলানকে নির্বাসন দিল ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন একটি আদালত কয়েক ঘণ্টা আগেই জোর করে অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এরপরও ২০০-এর বেশি ভেনেজুয়েলান নাগরিককে এল সালভাদরে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রবিবার সকালে একটি সামরিক বিমান তাঁর দেশে অবতরণ করে। এই বিমানে ২৩৮ জন ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’র সদস্য এবং ২৩ জন আন্তর্জাতিক গ্যাং এমএস-১৩-এর সদস্য ছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের আগে ফেডারেল বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ ১৭৯৮ সালের ‘অ্যালিয়েন এনিমি অ্যাক্ট’ ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাসন কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এরপরও ওই ব্যক্তিদের বহনকারী বিমান উড়াল দেয় এবং এল সালভাদরে অবতরণ করে। এ নিয়ে ব্যঙ্গ করে বুকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “ওপস… অনেক দেরি হয়ে গেছে।” মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই নির্বাসন চুক্তিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নজিরবিহীন এবং ব্যতিক্রমী অভিবাসন ব্যবস্থা’ বলে উল্লেখ করেছেন।এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিদের এক বছরের জন্য এল সালভাদরের সন্ত্রাসবিরোধী বন্দিশিবির সিইসিওটি’তে রাখা হবে। তবে পরবর্তীতে এই সময় বাড়ানো হতে পারে। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এদের জন্য খুব সামান্য পরিমাণ অর্থ দেবে, তবে আমাদের জন্য এর মূল্য অনেক বেশি।” পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নির্বাসিত গ্যাং সদস্যদের এল সালভাদরে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলের প্রশংসা করে বলেছেন, “তিনি আমাদের অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা।” এর আগে, বিচারক বোয়াসবার্গ ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাসন নীতি বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসন তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখে। ভেনেজুয়েলা এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে এবং বলেছে, “এই যুদ্ধকালীন আইন প্রয়োগ অভিবাসীদের অপরাধী হিসেবে চিত্রিত করছে।” এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাত ও পা শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় সশস্ত্র কর্মকর্তারা বিমান থেকে নামানো বন্দিদের নিয়ে যাচ্ছেন। কিছু বন্দিকে সাঁজোয়া গাড়িতে তোলা হয়, অন্যদের মাথা নিচু করে বাসে উঠতে বাধ্য করা হয়। ভিডিওতে এল সালভাদরের আলোচিত মেগা-জেল সিইসিওটি’র ভেতরে বন্দিদের নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যও দেখানো হয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার বন্দি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই উচ্চ-নিরাপত্তার কারাগার বুকেলের অপরাধ দমন পরিকল্পনার অন্যতম অংশ। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এটিকে বন্দিদের অমানবিক নির্যাতনের কেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করেছে। এই নির্বাসন চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র ও এল সালভাদরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। মার্কো রুবিও বুকেলেকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, “আপনার সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।” পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই এল সালভাদর ছিল রুবিওর দ্বিতীয় সফরস্থল। ফেব্রুয়ারিতে তিনি সেখানে গিয়ে বুকেলের সঙ্গে আলোচনায় নির্বাসিত বন্দিদের গ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন।

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হা*মলায় নি*হত বেড়ে ৫৩

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হা*মলায় নি*হত বেড়ে ৫৩ ইয়েমেনের হুতিরা জানিয়েছে, রোববার তাদের একাধিক অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ জনে। একইসাথে রেড সি উপকূলে হোদাইদা বন্দরে নতুন করে হামলা চালানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিহতদের মধ্যে রয়েছে পাঁচট শিশুও রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুতি-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আলসবাহি জানান, হামলায় ৫৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচটি শিশু ও দুইজন নারী রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯৮ জন। মার্কিন কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, হুতিরা যদি ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজের ওপর হামলার হুমকি না তুলে নেয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে। এই সামরিক অভিযান মধ্যপ্রাচ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ধরনের অভিযান। বার্তাসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই অভিযান আরও কয়েক সপ্তাহ চলতে পারে। রোববার হুতিদের শীর্ষ নেতা আব্দুল মালিক আল-হুতি বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে হামলা অব্যাহত রাখে, তবে তার যোদ্ধারা রেড সি-তে মার্কিন জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাবে। তিনি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেন, যদি তারা হামলা চালিয়ে যায়, তাহলে আমরাও আরও শক্তভাবে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাবো। এদিকে, হুতিদের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা মার্কিন হামলার পাল্টা জবাবে রেড সি-তে অবস্থান করা মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান এবং এর সঙ্গে থাকা যুদ্ধজাহাজগুলোতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা করেছে। তবে এই দাবির পক্ষে তারা কোনো ধরনের প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ফক্স নিউজকে বলেছেন, যখনই হুতিরা বলবে তারা আমাদের জাহাজে হামলা বন্ধ করবে, তখনই আমরাও তাদের ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে হামলা বন্ধ করবো। তবে ততদিন পর্যন্ত এই অভিযান থামবে না। এটি শুধু আমাদের জাহাজের নিরাপত্তার বিষয় নয়, বরং রেড সি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ জলপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পথ নিরাপদ রাখা আমাদের জাতীয় স্বার্থ। ইরান অনেকদিন ধরে হুতিদের সহযোগিতা করে আসছে। এবার তাদের সরে দাঁড়াতেই হবে।

ইয়েমেনে হুতিদের ওপর মার্কিন হামলায় নিহত ৩১

ইয়েমেনে হুতিদের ওপর মার্কিন হামলায় নিহত ৩১ ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা রোববার জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তাদের বিরুদ্ধে প্রথম মার্কিন হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে দাবি করছে গোষ্ঠীটি। অপরদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠী যদি জাহাজে আক্রমণ বন্ধ না করে, তাহলে তাদের ওপর ‘নরকের কঠিন শাস্তি’ নেমে আসবে। সানা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। বিদ্রোহী-অধিষ্ঠিত সানায় এএফপি’র এক আলোকচিত্রী বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে দেখেছেন। হুতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আল-আসবাহি এক বিবৃতিতে বলেছেন, সানা, সাদা, আল-বায়দা ও রাদায় হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত এবং ১০১ জন আহত হয়েছেন, ‘যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু’। গাজা যুদ্ধের সময় ইসরায়েল ও লোহিত সাগরের জাহাজে হামলা চালায় হুতিরা।  তারা জানায়, গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে তাদের সংহতি রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প হুতিদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে ‘অপ্রতিরোধ্য প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগ’ করার প্রতিজ্ঞা করেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘সকল হুতি সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যে বলছি, তোমাদের সময় শেষ। তোমাদের আক্রমণ আজ থেকেই বন্ধ করতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে তোমাদের ওপর নরকের কঠিন শাস্তি নেবে আসবে, যা তোমরা আগে কখনো দেখোনি।’ হুতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি ট্রাম্প এই গোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষককে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি ইরানের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘হুতি সন্ত্রাসীদের প্রতি সমর্থন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আমেরিকার জনগণ, তাদের প্রেসিডেন্ট অথবা বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচলের পথগুলোতে হুমকি সৃষ্টি করবেন না। যদি তা করেন, তাহলে সাবধান হয়ে যান। কারণ আমেরিকা আপনাদের সম্পূর্ণরূপে জবাবদিহিতার আওতায় আনবে।’ হুতিরাও ‘প্রতিক্রিয়া দেখানো ছাড়া’ নিবৃত্ত না হওয়ার অঙ্গীকার করেছে। অন্যদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি নিহতের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, তেহরানের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ন্ত্রণ করার ‘কোনো কর্তৃত্ব’ ওয়াশিংটনের নেই। হুতিদের আনসারুল্লাহ ওয়েবসাইটে এই হামলাকে ‘মার্কিন-ব্রিটিশ আগ্রাসন’ ও ওয়াশিংটনের ‘অপরাধমূলক বর্বরতা’ বলে অভিহিত করে নিন্দা জানানো হয়েছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড (সেন্টকম) যোদ্ধাদের ও  একটি ভবন কম্পাউন্ড ধ্বংসকারী বোমার ছবি পোস্ট করেছে। সেখানে তারা বলেছে, আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা, শত্রুদের নিবৃত্ত করা ও নৌ চলাচলের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে এই ‘নিখুঁত হামলা’ চালানো হয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকার সময় যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যও হুতিদের বিরুদ্ধে নিজস্ব হামলা চালিয়েছিল।

৪৩ দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ট্রাম্প প্রশাসনের

৪৩ দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা ট্রাম্প প্রশাসনের বিশ্বের ৪৩টি দেশে বিভিন্ন মাত্রায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এই বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত ও অভ্যন্তরীণ মেমোর বরাত দিয়ে আজ এই তথ্য জানিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস। নিউইয়র্ক টাইমস ৪৩টি দেশের কথা উল্লেখ করলেও রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ৪১টি দেশ পড়তে যাচ্ছে। খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাওয়া এসব দেশকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া, কিউবা, উত্তর কোরিয়া। তবে নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, এই ৫ দেশ ছাড়াও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে ভুটান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ভেনিজুয়েলা ও ইয়েমেন।

যুদ্ধবিরতির শর্ত দিলেন পুতিন, জেলেনস্কি বললেন চালাকি

যুদ্ধবিরতির শর্ত দিলেন পুতিন, জেলেনস্কি বললেন চালাকি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির ধারণার সঙ্গে একমত। তবে এই যুদ্ধবিরতির ধরন নিয়ে ‘প্রশ্ন’ রয়ে গেছে।একইসঙ্গে তিনি বেশ কিছু কঠোর শর্তও দিয়েছেন। খবর বিবিসির।সৌদি আরবের জেদ্দায় হওয়া বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি ইউক্রেন। বিষয়টি নিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন পুতিন। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুতিনের প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়টিকে ‘চালাকি’ বলে ব্যাখ্যা করেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও ব্যাংকিং খাতে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বৃহস্পতিবার মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, যুদ্ধবিরতির ধারণাটি সঠিক—এবং আমরা এটি সমর্থন করি—তবে কিছু প্রশ্ন রয়েছে, যা আমাদের আলোচনা করতে হবে। পুতিন বলেন, যুদ্ধবিরতি এমন হতে হবে যা ‘টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে এবং এই সংকটের মূল কারণগুলো দূর করবে। ’তিনি বলেন, ‘আমাদের আমেরিকান সহকর্মী ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। হয়তো আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলব। ’পুতিন আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো ভালো হবে। ’ ‘আমরা এর পক্ষে, তবে কিছু সূক্ষ্ম বিষয় রয়েছে। ’রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুতিনের বৈঠকের কথা ছিল। এদিনই উইটকফ সেদিনই মস্কো পৌঁছান।বৈঠকটি আসলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়। শুক্রবার, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এয়ার ট্রাফিক পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, যে উড়োজাহাজে স্টিভ উইটকফের ফেরার কথা, তা মস্কো ছেড়ে গিয়েছে। তবে মস্কো ও ওয়াশিংটন এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে কার্নির শপথ শুক্রবার

কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে কার্নির শপথ শুক্রবার কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়া মার্ক কার্নি আগামীকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে কানাডায় শেষ হতে চলেছে প্রায় এক দশক ধরে চলা জাস্টিন ট্রুডোর জমানা। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। কানাডার গভর্নর জেনারেল ম্যারি সাইমনের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এবং কানাডিয়ান মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান রিডো হলের বলরুমে সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হবে। মার্ক কার্নি কানাডার ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হবেন। টানা ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো। একইসঙ্গে তিনি দলীয় প্রধানের পদ থেকেও সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এরপর গত ৯ মার্চ লিবারেল পার্টি মার্ক কার্নিকে নতুন দলীয় নেতা নির্বাচিত করে। নিয়ম অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দলের প্রধানই কানাডায় সরকারপ্রধান হয়ে থাকেন। সেই হিসাবে, মার্ক কার্নি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। কার্নি এমন এক সময়ে কানাডার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন, যখন দেশটি দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে এবং এর ভেতরেই আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে কার্নিকে একটি সাধারণ নির্বাচনও আয়োজন করতে হবে।  কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে যাওয়া কার্নি ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সমালোচনা করেছেন। তিনি ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপকে কানাডিয়ান কর্মী, পরিবার এবং ব্যবসার উপর আক্রমণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করছে ইইউ

যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করছে ইইউ ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আগামী মাস থেকে ২৬ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে। বুধবার (১২ মার্চ) ইউরোপীয় কমিশন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের। তবে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লেইন এটাও বলেছেন যে, তারা আলোচনার জন্য উন্মুক্ত রয়েছেন এবং কারো স্বার্থে উচ্চতর শুল্ক বিবেচনা করেন না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সব ধরনের ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ বর্ধিত শুল্ক আজ বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে। ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, তারা ১ এপ্রিল থেকে মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কের বর্তমান স্থগিতাদেশ বাতিল করবে এবং ১৩ এপ্রিল থেকে শুল্ক সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লেইন সাংবাদিকদের বলেন, “আজ আমরা যে পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছি তা শক্তিশালী কিন্তু সমানুপাতিক। যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের শুল্ক আরোপ করছে, তাই আমরা ২৬ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।”  তিনি আরো বলেন, “ইইউকে অবশ্যই তার ভোক্তা এবং ব্যবসা রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।” বর্তমানে বোট থেকে শুরু করে বোরবন এবং মোটরবাইক পর্যন্ত শুল্ক স্থগিত রয়েছে। ইইউ জানিয়েছে, তারা এখন এসব পণ্যের পাশাপাশি শুল্ক আরোপের তালিকায় অন্যান্য মার্কিন পণ্য নির্বাচনের জন্য পরামর্শ শুরু করবে।   যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন বলেছেন, “আলোচনার জন্য আমরা সবসময় উন্মুক্ত থাকব।”  তিনি বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে ভূ-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় ভরা বিশ্বে, আমাদের অর্থনীতির ওপর এই ধরনের শুল্ক চাপানো আমাদের সাধারণ স্বার্থে নয়। আমরা একটি অর্থপূর্ণ সংলাপে অংশ নিতে প্রস্তুত।”

অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ‘সেলফ ডিপোর্টেশন’ অ্যাপ চালু করলো ট্রাম্প প্রশাসন

অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ‘সেলফ ডিপোর্টেশন’ অ্যাপ চালু করলো ট্রাম্প প্রশাসন অবৈধ অভিবাসীদের এবার নিজে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করার সুযোগ দিতে সিবিপি হোম নামে একটি ‘সেলফ ডিপোর্টেশন’ অ্যাপ চালু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই অ্যাপের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারবেন। আর সেক্ষত্রে তাদের কোনো ‘কঠোর পরিণতি’ হবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রোল। ভয়েস অব আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ডিপোর্টেশন নীতিতে গতি আনতে ট্রাম্প প্রশাসন সোমবার (১০ মার্চ) থেকে এই নতুন অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম এক বিবৃতিতে বলেন, “সিবিপি হোম অ্যাপটি অনাকাঙ্ক্ষিতদের এখনই চলে যাওয়ার এবং স্বেচ্ছায় ফেরত যাবার বিকল্প দেবে, যাতে তারা ভবিষ্যতে বৈধভাবে ফিরতে পারে এবং আমেরিকান স্বপ্ন বাঁচাতে পারে। যদি তারা তা না করে তবে আমরা তাদের খুঁজে বের করব, নির্বাসন দেব এবং তারা আর কখনও ফিরে আসতে পারবে না।” এই অ্যাপটি অবশ্য নতুন নয়। এর আগে নাম ছিল সিবিপি ওয়ান, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে আশ্রয় পেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু গত ২০ জানুয়ারি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই সিবিপি ওয়ান অ্যাপটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। যার ফলে মেক্সিকোয় মার্কিন অভিবাসন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চরম সমস্যায় পড়েছিলেন। সোমবার (১০ মার্চ), ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করেছে, এখন তারা এই অ্যাপটিকে ‘সেলফ ডিপোর্টেশন’ বা  ‘স্বেচ্ছা নির্বাসন’-এর প্ল্যাটফর্ম হিসাবে গড়ে তুলছে। এর মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীরা সম্ভাব্য গ্রেপ্তার ও আটকের মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে নিজে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে যেতে পারবেন। অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ‘সেলফ ডিপোর্টেশন’ অ্যাপ চালু করলো ট্রাম্প প্রশাসন ট্রাম্প প্রশাসন অন্যান্য পদক্ষেপও নিয়েছে যা অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে চাপ দিতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের একটি নিয়ম ১১ এপ্রিল কার্যকর হতে যাচ্ছে, যা অবৈধ অভিবাসীদের ফেডারেল সরকারের সঙ্গে নিবন্ধন করতে বাধ্য করবে, অন্যথায় তাদের জরিমানা বা কারাদণ্ডের মুখে পড়তে হবে।

কঙ্গোয় নৌকা ডুবে ২৫ জনের মৃত্যু

কঙ্গোয় নৌকা ডুবে ২৫ জনের মৃত্যু মধ্য আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে নৌকা ডুবে কমপক্ষে ২৫ জন মারা গেছেন। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় মাই-এনডোম্বে প্রদেশের কোয়া নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১০ মার্চ) স্থানীয় প্রশাসন এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।  প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র অ্যালেক্সিস এমপুতু বলেছেন, “প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা ২৫ জন এবং বেঁচে যাওয়া আরোহীর সংখ্যা ৩০ জন। রাতের বেলা নৌযান চলাচলকে নৌকাডুবির প্রাথমিক কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।” দুর্ঘটনাকবলিত নৌকাটি নাগাম্বোমি গ্রামের ফুটবলারদের বহন করছিল। ওই ফুটবলারা মুশি শহরে একটি ম্যাচ খেলে ফিরছিলেন। স্থানীয় সময় রাত ১১টায় মুশি বন্দর ছেড়ে ১২ কিলোমিটার (৭ মাইলেরও বেশি) পথ পাড়ি দেওয়ার পর নৌকাটি ডুবে যায়। মুশি পুলিশ স্টেশনও দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কিন্তু বিস্তারিত কিছু জানায়নি। মারাত্মক নৌকা দুর্ঘটনা কঙ্গোর নৌপথে সাধারণ ঘটনা। এর জন্য গভীর রাতের ভ্রমণ এবং ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনকে প্রায়শই দায়ী করা হয়।

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে গ্রেপ্তার

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে গ্রেপ্তার ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তেকে ম্যানিলা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর মঙ্গলবার (১১ মার্চ) তিনি ম্যানিলা বিমানবন্দরে পৌঁছালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রেসিডেন্ট অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।  ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে তার কঠোর বক্তব্যের জন্য পরিচিত। কিছুদিন আগেই তিনি হংকংয়ে যান। সেখান থেকে আজ মঙ্গলবার ফিলিপাইনে ফেরেন তিনি। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। দুতের্তে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ডাভাওয়ের মেয়র এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকার সময় মাদকবিরোধী যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, এই যুদ্ধে হাজার হাজার ফিলিপিনোকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিউনিকেশন অফিস জানিয়েছে, ইন্টারপোল দুতের্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অফিসিয়াল কপি পেয়েছে ম্যানিলা।  গতকাল সোমবার হংকংয়ে থাকাকালীন সময়েই  দুতের্তে আভাস পেয়েছিলেন যে, তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল খুব শিগগির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। তিনি সম্ভাব্য গ্রেপ্তারের জন্য প্রস্তুত বলেও জানিয়েছিলেন। ফিলিপাইনের আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারণার জন্য সোমবার হংকংয়ে একটি সমাবেশ করেন দুতের্তে। তিনি তার নৃশংস মাদকবিরোধী অভিযানকে ন্যায্যতা প্রদান করে সমাবেশে বলেন, “ধরে নিচ্ছি, (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে যাওয়ার) খবরটি সত্য। কিন্তু আমি কেন এটা করলাম? নিজের জন্য? আমার পরিবারের জন্য? তোমার, তোমার সন্তানদের জন্য এবং আমাদের জাতির জন্য।” “যদি এটা সত্যিই আমার জীবনের ভাগ্য হয়, তাহলে ঠিক আছে, আমি এটা মেনে নেব। তারা আমাকে গ্রেপ্তার করতে পারে, কারারুদ্ধ করতে পারে।” “আমার অপরাধ কী? আমি আমার সময়ে শান্তি এবং ফিলিপাইনের জনগণের শান্তিপূর্ণ জীবনের জন্য সবকিছু করেছি।” তিনি হংকংয়ের সাউথর্ন স্টেডিয়ামে সমাবেশে বলেন উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন। সেখানে তিনি তার মেয়ে ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতের্তেকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের কার্যালয় গতকাল সোমবার জানিয়েছিল যে, ইন্টারপোলের কাছ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা পাওয়া যায়নি। তবে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ইঙ্গিত দেয়, এরকম কিছু হলে দুতের্তেকে হস্তান্তর করা যেতে পারে। প্রেসিডেন্টের কমিউনিকেশন্স আন্ডারসেক্রেটারি ক্লেয়ার কাস্ত্রো সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “ইন্টারপোলের অনুরোধের কারণে গ্রেপ্তারের পরোয়ানা জারি করার প্রয়োজন হলে আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আইন যা নির্দেশ করে তা অনুসরণ করতে প্রস্তুত।”দুতের্তে মাদকের বিরুদ্ধে তার নির্মম অভিযানের বিষয়ে গত বছর কংগ্রেসের শুনানির সময় বলেছিলেন, তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) মামলাকে ভয় পান না এবং তদন্তে ‘তাড়াতাড়ি’ করতে বলেছিলেন। ২০১৯ সালে আইসিসি যখন দুতের্তের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তদন্ত শুরু করে, তখন তিনি একতরফাভাবে আইসিসির প্রতিষ্ঠাতা চুক্তি থেকে ফিলিপাইনকে প্রত্যাহার করে নেন। ওই সময়ে মানবাধিকারকর্মীরা এই কাজকে তার বিরুদ্ধে আনিত গণহত্যার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে উত্থাপন করে। এছাড়া ২০২১ সালে দুতের্তের প্রশাসন আন্তর্জাতি অপরাধ আদালতের তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করার উদ্যোগ নেন। তখন তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন, ফিলিপাইনের আদালতই এ বিষয়ে তদন্ত করছে।  পরবর্তীতে ২০২৩ সালে আইসিসির আপিল বিভাগ দুতের্তের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ পুনরায় তদন্ত শুরু করা যেতে পারে বলে রায় দেন এবং দুতের্তের প্রশাসনের আবেদন খারিজ করে দেন। ফিলিপােইনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসেন। দুতের্তের সঙ্গে তার ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক বিরোধ তৈরি হয়েছিল। এর ফলে তার প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল, যদি আইসিসি ইন্টারপোলের মাধ্যমে দুতের্তেকে গ্রেপ্তার করতে রেড নোটিশ পাঠায় তাহলে তারা সহযোগিতা করবে।