মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৭০০

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৭০০ মিয়ানমারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রবিবার এক হাজার ৭০০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।  বিবিসি জানিয়েছে, বিদেশী উদ্ধারকারী দল এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো মিয়ানমারে ছুটে যেতে শুরু করেছে। ভারত, চীন এবং থাইল্যান্ড ত্রাণ সামগ্রী ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। পাশাপাশি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও রাশিয়া থেকেও  ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মী কর্মী এসে পৌঁছেছে। সামরিক সরকার জানিয়েছে, গত এক শতাব্দির মধ্যে মিয়ানমারের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এক হাজার ৭০০ জন নিহত, তিন হাজার ৪০০ জন আহত এবং ৩০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছে। আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য বিরল আহ্বান জানানোর তিন দিন পর জান্তা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে এবং তার প্রশাসন একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।  ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ এক বিবৃতিতে বলেছে, “ব্যাপক ধ্বংস হয়েছে এবং মানবিক চাহিদা প্রতি ঘণ্টায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বর্ষাকাল ঘনিয়ে আসার মতো দ্বিতীয় সংকট দেখা দেওয়ার আগে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়গুলোকে স্থিতিশীল করার জরুরি প্রয়োজন।”

২০২৫ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ আজ

২০২৫ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ আজ আজ ঘটতে চলেছে ২০২৫ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ। এটি আংশিক সূর্যগ্রহণ, যা বিশ্বের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে দৃশ্যমান হবে। নাসার তথ্য অনুযায়ী, এই গ্রহণটি ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশ এবং আর্কটিক অঞ্চলে দৃশ্যমান হবে। বাংলাদেশ ও ভারত থেকে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। গ্রহণের সময় চাঁদের ছায়া বাংলাদেশের ওপর পড়বে না, তাই এটি দৃশ্যমান হবে না। বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী, গ্রহণটি দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার৪৩ মিনিটে শেষ হবে। এটি সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকবে বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিটে। এটি বাংলাদেশীদের জন্য দৃশ্যমান হবে না। তবে নিউ ইয়র্ক, বোস্টন, মন্ট্রিয়াল ও কুইবেক শহরসহ আফ্রিকা, সাইবেরিয়া, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ এবং ইউরোপের কিছু অঞ্চলে গ্রহণটি দেখা যাবে। এ বছর দুটি সূর্যগ্রহণ হবে-একটি ২৯ মার্চ এবং অপরটি ২১ সেপ্টেম্বর।

ঈদের তারিখ জানাল অস্ট্রেলিয়া

ঈদের তারিখ জানাল অস্ট্রেলিয়া সবার আগে পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে আগামী সোমবার ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আজ দেশটির ফতোয়া পরিষদ এই ঘোষণা দিয়েছে। খালিজ টাইমসের খবরে বলা হয়, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বিশ্বে সবার আগে ঈদের ঘোষণা দিয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়া। এ বছর সবার আগে রমজান মাস শুরুর ঘোষণাও দিয়েছিল তারা।

ভূমিকম্পে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে

ভূমিকম্পে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে ১ হাজার ২ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৭৬ জনে। আজ দেশটির জান্তা সরকার এ কথা জানায়। মিয়ানমারের মান্দালয় থেকে এএফপি আজ এ খবর জানায়। সামরিক জান্তার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকালকের শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১০০২ জনের মৃত্যু এবং ২ হাজার ৩শ’৭৬ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। গতকাল দেশটিতে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত ১০

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত ১০ মিয়ানমারের জোড়া ভূমিকম্পে ১০ জন নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে প্রাপ্ত ছবিতে ক্ষয়ক্ষতির যে মাত্রা দেখা গেছে, তাতে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খিত তিথের বরাত দিয়ে চীনা দৈনিক সিজিটিএন এ তথ্য জানিয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুরে মিয়ানমারের মান্দালয়ে রিখটার স্কেলে প্রথম দফায় ভূমিকম্প হয়। এর ১২ মিনিট পরে হয় আফটার শক। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, জোড়া কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ এবং ৬ দশমিক ৪।  খিত তিথ জানিয়েছে, মান্দালয়ে একটি মসজিদ ধসে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। তবে সরকারি কোনো সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, উদ্ধার তৎপরতা চালাতে সামরিক জান্তা সাগাইং, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিদো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির তদন্ত করবেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ সমন্বয় শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।

ব্যাংককে ভূমিকম্পে ৩০তলা ভবনধসে আটকা পড়েছে ৪৩ জন

ব্যাংককে ভূমিকম্পে ৩০তলা ভবনধসে আটকা পড়েছে ৪৩ জন চীন, থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ মার্চ) শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মিয়ানমার। স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। খবর বিবিসি, এএফপি। এদিকে শুক্রবার ব্যাংককে সরকারি অফিসের নির্মাণাধীন একটি ৩০তলা বিশিষ্ট আকাশচুম্বী ভবনধসে পড়ে। এতে ৪৩ জন শ্রমিক আটকা পড়েছেন বলে পুলিশ ও চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন। শক্তিশালী ভূমিকম্পে পুরো শহর কেঁপে উঠেছে।  ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর থাই রাজধানীর উত্তরে অবস্থিত ওই ভবনটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর থাই কর্তৃপক্ষ জরুরি অবস্থা জারি করেছে। প্রধানমন্ত্রী পাতোংতার্ন সিনাওয়াত্রা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নেপিদো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের আঘাতে সেখানে বিভিন্ন রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক ভবনের ছাদ থেকে আস্তরণ খসে পড়েছে। ব্যাংকক থেকে বিবিসির সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কারণে ভবনগুলো দুলতে শুরু করে। কয়েকটি ভবনের জানালাও ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। চীনের বিভিন্ন স্থানেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিভিন্ন ভবন থেকে লোকজন বের হয়ে এসে রাস্তায় জড়ো হচ্ছেন। থাইল্যান্ডের তুলনায় মিয়ানমারে ভূমিকম্প তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। ১৯৩০ সাল থেকে ১৯৫৬ সালের মধ্যে দেশটিতে ৭ মাত্রার ছয়টি ভূমিকম্প আঘাত হানে যার সবগুলোই ছিল সাগাইং ফল্টের কাছে। ভূপৃষ্ঠের নিচের ওই ফাটল দেশটির মাঝ বরাবর চলে গেছে। থাইল্যান্ড মূলত ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল নয়। কিন্তু সেখানে অনুভূত হওয়া প্রায় সব ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হয় প্রতিবেশী মিয়ানমার।

স্বাধীনতা দিবসে ভারতের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

স্বাধীনতা দিবসে ভারতের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তারা। বুধবার (২৬ মার্চ) ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই এর খবরে বলা হয়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের উদ্দেশ্যে একটি শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু। বার্তায় তিনি বলেছেন, “জাতীয় দিবস উপলক্ষে ভারত সরকার, জনগণ ও আমার পক্ষ থেকে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।” তিনি আরো বলেন, “ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বহুমুখী। আমাদের সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, বহুমুখী সংযোগ, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং মানুষের সঙ্গে মানুষে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র।” বার্তায় তিনি জানান, ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি ও এসএজিএআর (অঞ্চলে সকলের জন্য নিরাপত্তা ও প্রবৃদ্ধি) মতবাদ এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দৃষ্টিভঙ্গির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশ। ভারত একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে। এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো এক বার্তায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই দিনটি আমাদের অভিন্ন ইতিহাস ও আত্মত্যাগের প্রতিফলন, যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি গড়ে তুলেছে।” তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্কের জন্য একটি পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে চলেছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বিকশিত হয়েছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধির জন্য এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে এই অংশীদারিত্বকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

দক্ষিণ কোরিয়ায় দাবানলে নিহত ২৪

দক্ষিণ কোরিয়ায় দাবানলে নিহত ২৪ দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে একাধিক দাবানলে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগেরই বয়স ৬০ থেকে ৭০ এর কোঠায়। প্রায় ২৬ জন আহত হয়েছেন – যাদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভয়াবহ দাবানলে ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আগুনে উইসং শহরের এক হাজার ৩০০ বছরের পুরনো গৌনসা মন্দিরটি পুড়ে গেছে। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু বলেছেন, “আমাদের জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের রেকর্ড পুনর্লিখন হচ্ছে।” কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে সানচেং কাউন্টিতে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং পরে তা উইসং কাউন্টিতে ছড়িয়ে পড়ে।  বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, তীব্র ও শুষ্ক বাতাসের কারণে দাবানল পার্শ্ববর্তী কাউন্টি আন্দং, চেওংসং, ইয়ংইয়ং এবং ইয়ংডিওকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফরেস্ট সায়েন্সের বন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ লি বায়ুং-ডু রয়টার্সকে বলেন, উইসংয়ের দাবানল ‘অকল্পনীয়’ মাত্রা এবং গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। কর্তৃপক্ষের মতে, বুধবার দুপুরের পর উইসং কাউন্টির পাহাড়ে একটি অগ্নিনির্বাপক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য হাজার হাজার অগ্নিনির্বাপক কর্মী এবং প্রায় পাঁচ হাজার সামরিক কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কোরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা হয়েছে।

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো নিউজিল্যান্ড

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ নিউজিল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। তাৎক্ষণিক কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। নিউজিল্যান্ডের সরকারি ভূতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা জিওনেটের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ২:৪৩ মিনিটে দেশটির সাউথ আইল্যান্ডে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তবে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। দেশটির সাব-অ্যান্টার্কটিক দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত স্নারেস দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ৩৩ কিলোমিটার (২১ মাইল) গভীরে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে।  স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে সাউথ আইল্যান্ডের ইনভারকারগিল, গোর, তে আনাউ, ক্রমওয়েল, কুইনস্টাউন এবং ডুনেডিনসহ বিভিন্ন স্থানে জিনিসপত্র পড়ে গেছে এবং ভবনগুলো দুলতে দেখা গেছে। নিউজিল্যান্ডের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সাউথল্যান্ড এবং ফিওর্ডল্যান্ড অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমুদ্র সৈকত এবং সামুদ্রিক এলাকা থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ তীব্র এবং অস্বাভাবিক স্রোত বিপদ ডেকে আনতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, মূল ভূখণ্ড, দ্বীপপুঞ্জ বা অঞ্চলগুলোতে সুনামির কোনো হুমকি নেই।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৭ শিশুসহ নিহত ২৩

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৭ শিশুসহ নিহত ২৩ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার রাতভর ইসরায়েলি হামলায় ২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭ শিশু রয়েছে। নিহতদের অধিকাংশ মধ্য ও দক্ষিণ গাজার বাসিন্দা। এর আগের দিন গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন, এমনটি জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে মিশর ফিলিস্তিনের এই ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতি ফেরাতে নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে, যা এখনো ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেনি। গত মঙ্গলবার গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে গাজায় প্রায় দুই মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটে। মঙ্গলবারের একদিনের হামলায় গাজায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর শুরু হওয়া হামলায় সোমবার পর্যন্ত প্রায় ৭০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ৪০০ জন নারী ও শিশু। হামাস জানিয়েছে, তাদের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা হামলায় নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালালে গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ব্যক্তি নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। জবাবে হামাসকে ধ্বংস করতে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।