টিকটককে আরো ৭৫ দিন সময় দিলেন ট্রাম্প

টিকটককে আরো ৭৫ দিন সময় দিলেন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটককে আরো ৭৫ দিন সময় দিয়েছেন। চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটির বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু তুলে তিনি জানিয়েছেন, চুক্তি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অ্যাপটি বন্ধ হচ্ছে না। খবর ডয়চে ভেলের। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে জানান, তার প্রশাসন টিকটক বাঁচাতে কাজ করছে। তবে এখনো কিছু অনুমোদন বাকি। হোয়াইট হাউস চায় না টিকটক ‘অন্ধকারে’ চলে যাক। তারা ভালোভাবে চীনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। ট্রাম্প বলেন, টিকটক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি চীনের সঙ্গে পারস্পরিক শুল্ক নিয়েও আলোচনা চলছে। বর্তমানে চীনা পণ্যের ওপর ৫৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। টিকটক বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হলে শুল্ক কমানোরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি কখনো টিকটক নিষিদ্ধ করবেন না। যদিও তার আগের প্রশাসনেই তিনি নিরাপত্তার কারণে অ্যাপটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ১৭ কোটিরও বেশি গ্রাহক রয়েছে। কিন্তু এর চীনভিত্তিক মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। টিকটকের মাধ্যমে চীন সরকার মার্কিন জনগণের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে, এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে মার্কিন প্রশাসন।

৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে আবার কেঁপে উঠলো মিয়ানমার

৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে আবার কেঁপে উঠলো মিয়ানমার থাইল্যান্ডের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ বিভাগ জানিয়েছে, গতকাল রাতে মিয়ানমারে একাধিক ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার মাত্রা ছিল ১.৯ থেকে ৫.৬-এর মধ্যে। তারা জানায়, রাত ১০টা ২৫ মিনিটে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয়, যার মাত্রা ছিল ৫.৬ এবং এটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল। এটির উপকেন্দ্র ছিল থাইল্যান্ডের মায়ে হং সন প্রদেশের মুয়াং জেলার উত্তর-পূর্ব দিকে প্রায় ২৭৬ কিলোমিটার দূরে। থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত ভূমিকম্পটি ঘটেছিল সন্ধ্যা ৭টা ৪৩ মিনিটে, যা মায়ে হং সনের পাং মাফা জেলার প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে। এর মাত্রা ছিল ২.৬ এবং গভীরতা ছিল মাত্র ১ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের কম্পন মায়ে হং সন ও আশেপাশের অঞ্চলের বাসিন্দারা অনুভব করেছেন বলে জানিয়েছে থাই ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ বিভাগ। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা বড় ধরনের প্রভাবের খবর পাওয়া যায়নি। থাই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার জনগণকে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর হালনাগাদ তথ্য অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে। গত ২৮ মার্চ মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের কাছে। এতে হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ে, রাস্তাঘাট ও সেতু ভেঙে যায় এবং বিভিন্ন অঞ্চলে সেতু ধ্বংস হয়ে যায়। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেক জায়গায় এখনও পৌঁছানো কঠিন। তাই উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস থেকে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) জারি করা এক প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে, ভূমিকম্প এবং আফটারশকের কারণে মিয়ানমারে ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষকে প্রভাবিত করেছে, যার মধ্যে ৯০ লাখেরও বেশি মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

অভিশংসনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অপসারণ

অভিশংসনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অপসারণ জরুরি অবস্থার জেরে অভিশংসনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অপসারণ করেছেন সাংবিধানিক আদালত। এর ফলে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দেশটিতে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ইউন গত বছর সামরিক আইন জারি করে জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছেন। রায় ঘোষণার পর ইউনবিরোধীরা পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে পড়ে এবং উল্লাস করতে থাকেন।মাঠের উল্লাস দেখে বিবিসির এক সংবাদদাতা বলেন, মনে হচ্ছে যেন দক্ষিণ কোরিয়ার দল বিশ্বকাপ জিতেছে। অপরদিকে, ইউনপন্থিরা এমন খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এক যুবক বলেন, “এটা (রায়) বোধগম্য নয়।” আরেক যুবক বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়া শেষ।” রায় ঘোষণার পর অভিশংসনের প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আইনপ্রণেতা জং চুং বলেন, “এটি সংবিধান, গণতন্ত্র এবং জনগণের জন্য একটি বিজয়।” তিনি আরো বলেন, “আমি জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা গণতন্ত্রের শত্রুকে পরাজিত করেছেন।” এর আগে আইন প্রণেতাদের দ্বারা অভিশংসিত হওয়ার পর ইউনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে কি-না তা নির্ধারণের জন্য আদালত কয়েক সপ্তাহ ধরে অভিশংসন শুনানি করে। পরে আজ প্রেসিডেন্টের অভিশংসন মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।  ইউনই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট যিনি সামরিক আইনের জারি করে বিদ্রোহের অভিযোগে ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হলেন।  গত ৩ ডিসেম্বর ইউন সামরিক আইন ঘোষণা করে। হঠাৎ করেই সামরিক শাসন জারি করার পর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। তবে সামরিক শাসন জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রচণ্ড বিরোধিতার মুখে সেটি তিনি বাতিল করতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে ইউনের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান উস্কে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর ১৫ জানুয়ারিতে তিনি গ্রেপ্তার হন।

পেঙ্গুইনকেও ছাড় দিলেন না ট্রাম্প

পেঙ্গুইনকেও ছাড় দিলেন না ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসে পরিণত হয়েছে। ট্রাম্প মানুষবিহীন নির্জন মেরুদ্বীপেও শুল্ক আরোপ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেঙ্গুইনের মিম ভাইরাল হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বহির্ভাগে অবস্থিত হার্ড দ্বীপ ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জ পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম স্থানগুলোর মধ্যে একটি। অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের পার্থ থেকে দুই সপ্তাহের নৌকা ভ্রমণের মাধ্যমে এখানে যাওয়া যায়। এই দ্বীপগুলোতে মানুষের শেষ পা রাখা প্রায় ১০ বছর আগে হয়েছিল বলে মনে করা হয়। মানুষ বাস না করলেও এখানে চারটি ভিন্ন প্রজাতির পেঙ্গুইন রয়েছে। ট্রাম্প এই দ্বীপপুঞ্জ থেকে সমস্ত রপ্তানির উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। বৃহস্পতিবার ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া একটি ছবিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সাথে সাম্প্রতিক বিরোধের সময় ওভাল অফিসে ইউক্রেনীয় নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কির জায়গায় একটি পেঙ্গুইনকে দেখা গেছে। আরেকটি মিমে দেখা গেছে, মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জায়গায় একটি পেঙ্গুইনের দিকে তাকিয়ে আছেন। ট্রাম্পের সাবেক যোগাযোগ উপদেষ্টা ও প্রধান সমালোচক অ্যান্থনি স্কারামুচি রসিকতা করে এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছেন,“পেঙ্গুইনরা বছরের পর বছর ধরে আমাদের ঠকিয়ে আসছে।” মার্কিন সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার লিখেছেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিনের উপর নয়, পেঙ্গুইনদের উপর শুল্ক আরোপ করেছেন।” হার্ড দ্বীপ ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জই নয়, ব্রিটেনের প্রত্যন্ত ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জেও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। অথচ এই দ্বীপে ১০ লাখ পেঙ্গুইন বাস করে।

পশ্চিমবঙ্গে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল

পশ্চিমবঙ্গে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল পশ্চিমবঙ্গের ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারচুপির দায়ে তাদের চাকরি বাতিল হয়েছে বলে আজ জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। আনন্দবাজার অনলাইন খবরে এ কথা বলা হয়েছে। ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনে (এসএসসি) শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্ট এই সংক্রান্ত শুনানির পর ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দিয়েছিল। এর ফলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোটের দ্বারস্থ হয়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালতে শেষ হয় এই মামলার শুনানি। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট যে তালিকা প্রকাশ করে, তাতে বলা হয়েছিল, আজ র সকালে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। সেইমতোই ঘোষণা হয় রায়।  

চাঁদ থেকে সংগৃহীত নমুনা প্রদর্শনী শুরু বেইজিংয়ে

চাঁদ থেকে সংগৃহীত নমুনা প্রদর্শনী শুরু বেইজিংয়ে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে প্রথমবারের মতো চাঁদের নিকট ও দূরপ্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা নমুনাগুলো প্রদর্শন করা হচ্ছে। চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন এবং জাতীয় জাদুঘরের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চীনের দুই দশকের চন্দ্র অনুসন্ধান কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে আয়োজিত। জাতীয় জাদুঘরে চীনের ছ্যাং’এ-৫ ও ছ্যাং’এ-৬ অভিযানে সংগৃহীত নমুনাগুলো প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে। এছাড়াও আছে শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন, ছবি ও নথিপত্র। এ প্রদর্শনী দুই মাসব্যাপী চলবে।প্রদর্শনী উদ্বোধনের সময় চীনের চন্দ্র অনুসন্ধান কর্মসূচির প্রধান প্রকৌশলী উ ওয়েইরেন বলেন, চীনের এই কর্মসূচি গত দুই দশকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, প্রকৌশল উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি আরো বলেন, চন্দ্র গবেষণার মাধ্যমে নতুন উপাদান, খনিজ এবং ভূতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যা মানুষের চাঁদ সম্পর্কিত জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। উ ওয়েইরেন জানান, ২০২৬ সালের মধ্যে চীনের ছ্যাং’এ-৭ মিশন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানি, পরিবেশ ও সম্পদের অনুসন্ধান করবে। ২০২৮ সালে ৮ নম্বর মিশন চাঁদের স্থানীয় সম্পদের ব্যবহার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে এবং যোগাযোগ ও জ্বালানি ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করবে। চাঁদের উপাদান ব্যবহার করে প্রথম ‘চন্দ্র ইট’ তৈরির উদ্যোগও নেওয়া হবে।

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত ২ হাজার ছাড়াল

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত ২ হাজার ছাড়াল ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মিয়ানমারে উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। সেই সঙ্গেই বৃদ্ধি পাচ্ছে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা। ভূমিকম্পে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত ২ হাজার ৫৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৯০০ জন।  এক সপ্তাহ ধরে জাতীয় শোক পালনের কথা বিবৃতি দিয়ে ঘোষণা করে জান্তা সরকার। ভূমিকম্পে ভেঙে গেছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শের প্রায় ৬০টি মসজিদ। সোমবার কয়েকটি ভাঙা মসজিদের সামনেই ঈদের নামাজ আদায় করেন লোকজন।  ভূমিকম্পের কারণে ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ। রাজধানীতে এখনও বহু মানুষ ত্রাণ শিবিরে রাত কাটাচ্ছেন। অনেকে আবার কোলের সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় চাদর পেতে দিন পার করছেন।  শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ এর স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়নে বলা হয়েছে, মধ্য মিয়ানমারের সাগাইং শহরের উত্তর-পশ্চিমে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার অগভীর ভূমিকম্পটি কম্পনজনিত প্রাণহানি এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য লাল সতর্কতা রয়েছে। ইউএসজিএস এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দেশটিতে সম্ভাব্য মৃত্যুর সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ, যা ১০ হাজার থেকে এক লাখ মানুষের মধ্যে হতে পারে। ইউএসজিএস আরো জানিয়েছে, আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ হাজার হাজার মিলিয়ন ডলার হতে পারে। ক্ষতির পরিমাণ মিয়ানমারের জিডিপি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

কুয়ালালামপুরে গ্যাস পাইপলাইন ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

কুয়ালালামপুরে গ্যাস পাইপলাইন ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাইরে একটি শহরতলিতে গ্যাস পাইপলাইন ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে। মঙ্গলবার সেলাঙ্গর রাজ্যের মধ্যাঞ্চলীয় পুত্রা হাইটসে একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে আগুনের সূত্রপাত। জাতীয় তেল কোম্পানি পেট্রোনাস জানিয়েছে, সকাল ৮ টা ১০ মিনিটে তাদের একটি গ্যাস পাইপলাইনে আগুন লাগে। সেলাঙ্গর ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সুবাং জায়ার পুত্রা হাইটসের জালান পুত্রা হারমোনিতে গ্যাস পাইপলাইনে অগ্নিকাণ্ডে ১৯০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভাগের পরিচালক ওয়ান রাজালি ওয়ান ইসমাইল বলেন, আগুনে ১৪৮টি গাড়ি এবং ১১টি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংস্থাটির মহাপরিচালক নর হিশাম মোহাম্মদ বলেছেন, আগুনের শিখা ৩০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল, তাপমাত্রা এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। তিনি জানান যে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে। সরকারি সংবাদমাধ্যম বারনামা জানিয়েছে, কাম্পুং টেঙ্গাহ, কাম্পুং কেনগান এবং কাম্পুং সুঙ্গাই বারুতে ৫০টিরও বেশি বাড়ি গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণ এবং পরবর্তীতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঈদের দ্বিতীয় দিনে ফিলিস্তিনে নিহত ১৭

ঈদের দ্বিতীয় দিনে ফিলিস্তিনে নিহত ১৭ ফিলিস্তিনে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও গাজার বাসিন্দাদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা অনলাইন। গাজা উপত্যকার  নুসিরাত এবং নেটজারিম করিডোরের খুব কাছাকাছি অঞ্চলে গোলা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেইর এল-বালাহে বিস্ফোরণ শোনা গেছে এবং এই অঞ্চলে তিন কৃষক নিহত হয়েছেন। সিভিল প্রতিরক্ষা দল ও প্যারামেডিকসের মতে, তাদের দেহগুলো পুনরুদ্ধার করা খুব বিপজ্জনক। জাবালিয়ার শরণার্থী শিবিরের কাছে নিহত হয়েছে তিন জন। সেন্ট্রাল গাজার আজ-জাওয়দা এবং মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের সামরিক হামলা কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছে। মাগাজি শরণার্থী শিবিরে নিহত ফিলিস্তিনির মরদেহ আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর আগে ভোররাতে খান ইউনিসে সিরিজ হামলা চালিয়ে ৯জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।এদিকে, দক্ষিণ শহর রাফাহতে স্থানীয়দের বাস্তুচ্যুতির নির্দেশ জারি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখানে শিগগিরই যৌথ অভিযান শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।  সরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচয়ে অ্যাড্রাই জানিয়েছেন,  রাফাহ,  নাসার এবং আশ-শাওকার নিকটবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের আল-মাওয়াসিতে পালিয়ে যাওয়া উচিত।

পুতিনের ওপর ক্ষেপেছেন ট্রাম্প

পুতিনের ওপর ক্ষেপেছেন ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির পুতিনের ওপর ক্ষেপেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের  দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে তিনি ‘হতাশ’ হয়ে পড়েছেন। পুতিন যদি এক মাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হন তাহলে যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর তেল রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করবে। এনবিসি নিউজের সাথে টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি একটি ২৫ বা ৫০ শতাংশ কর আরোপ করবেন, যা রাশিয়ার তেলের ক্রেতা দেশগুলোকে প্রভাবিত করবে। ট্রাম্প বলেছিলেন, “যদি রাশিয়া এবং আমি ইউক্রেনের রক্তপাত বন্ধ করার বিষয়ে কোনো চুক্তি করতে না পারি এবং যদি আমি মনে করি এতে রাশিয়ার দোষ ছিল তবে আমি রাশিয়া থেকে বেরিয়ে আসা সব তেলের ওপর পরোক্ষ কর আরোপ করব।” তিনি বলেন, “এটি হচ্ছে এমন বিষয় যে, আপনি যদি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনে থাকেন তবে আপনি যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করতে পারবেন না। সব তেলের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক, সব তেলের উপর ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ শুল্ক থাকবে।” ট্রাম্প জানান, শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির বৈধতার ওপর হামলা চেষ্টা করে পুতিন হঠাৎ করে দিকনির্দেশের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।  প্রসঙ্গত, শুক্রবার পুতিন বলেছিলে, যেকোনো শান্তি চুক্তি আলোচনার আগে ইউক্রেনকে সাময়িকভাবে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে রাখা যেতে পারে। ট্রাম্প বলেন, “আমি খুব রেগে গিয়েছিলাম, হতাশ হয়ে পড়েছিলাম যখন পুতিন জেলেনস্কির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেছিলেন, কারণ এটি সঠিক দিকে নিয়ে যাচ্ছে না।”