পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন

পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। আজ সোমবার ভ্যাটিকানের একটি ভিডিও বার্তায় তার মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে। ভিডিও বার্তায় কার্ডিনাল কেভিন ফারেল জানান, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ভ্যাটিক্যানে নিজ বাসভবন কাসা সান্টা মার্টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন পোপ। ভ্যাটিক্যানের টেলিভিশন চ্যানেলে ফারেল বলেন, “গভীর দুঃখের সঙ্গে আমাকে আমাদের পবিত্র ফাদার ফ্রান্সিসের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করতে হচ্ছে। রোমের বিশপ আজ সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার পুরো জীবন প্রভু এবং তার গির্জার সেবায় নিবেদিত ছিল।”“তিনি আমাদের বিশ্বস্ততা, সাহস এবং সর্বজনীন প্রেমের সাথে সুসমাচারের মূল্যবোধগুলো জীবনযাপন করতে শিখিয়েছিলেন, বিশেষ করে দরিদ্রতম এবং সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষের পক্ষে।” ফারেল আরো বলেন, “প্রভু যীশুর একজন প্রকৃত শিষ্য হিসেবে তার উদাহরণের জন্য অপরিসীম কৃতজ্ঞতার সাথে, আমরা ঈশ্বরের অসীম করুণাময় প্রেমের কাছে পোপ ফ্রান্সিসের আত্মাকে প্রণাম জানাই।” রবিবারই খ্রিস্টান ক্যাথলিক ধর্মালবলম্বীদের উদ্দেশে ইস্টারের বার্তা দিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকার ব্যালকনি থেকে নিজের বার্তা শুনিয়েছিলেন তিনি। তার কথা শোনার জন্য ভ্যাটিক্যান স্কোয়ারে ভিড় করেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে নিউমোনিয়া সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা চলছিল তার। সম্প্রতি রোমের গেমেলি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান রোমান ক্যাথলিক গির্জার প্রধান। তারপর থেকে ভ্যাটিক্যানে নিজের বাসভবনেই ছিলেন তিনি। সোমবার সকালে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পোপ। ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ ভ্যাটিকানের ২৬৬তম পোপ নির্বাচিত হন ফ্রান্সিস। রোমের বিশপ হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিক চার্চ এবং সার্বভৌম ভ্যাটিকান সিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে পোপ ফ্রান্সিসের জন্ম। ক্যাথলিক পুরোহিত হিসেবে তার অভিষেক হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। তিনি ছিলেন ৭৪১ সালের পর প্রথম নন-ইউরোপিয়ান পোপ। ৭৪১ সালে সিরিয়ান বংশোদ্ভূত তৃতীয় গ্রেগরির মৃত্যুর পর রোমে আর কোনো নন-ইউরোপীয় পোপ আসেননি। পুরো আমেরিকা অঞ্চল এবং দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ ছিলেন ফ্রান্সিস। তিনি ক্যাথলিক গির্জায় সংস্কার কখনো বন্ধ করেননি। তারপরও তিনি সকলের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন।
ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি

ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। শনিবার একদিনেই কমপক্ষে ৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন গাজার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, গাজায় হামলার মাত্রা আরও বাড়ানো হবে। তার এই ঘোষণা আসে, যখন হামাস ইসরায়েলের প্রস্তাবিত একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। হামাসের দাবি, যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে বন্ধের নিশ্চয়তা ছাড়া তারা বন্দিমুক্তির কোনও চুক্তিতে যাবে না। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর গত ১৮ মাসে গাজায় ৫১,০৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১১৬,৫০৫ জন আহত হয়েছেন। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস আরও ভয়াবহ পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। তাদের দাবি, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও হাজার হাজার মানুষ চাপা পড়ে আছেন, যাদের অনেকেই মৃত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে তারা জানিয়েছে। গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও অভিযান জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলকৃত পশ্চিম তীরে তুলকারেম শহরের উত্তরে এক ফিলিস্তিনি যুবককে গুলি করে পায়ে আহত করেছে ইসরায়েলি সেনারা। তাছাড়া বেইত উম্মার, ইদনা শহর এবং নাবলুস-এ অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। নুর শামস শরণার্থী শিবির (তুলকারেমের কাছে) থেকে এক ফিলিস্তিনি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তুতা শহরে অভিযানের সময় ব্যাপকভাবে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড বোমা ব্যবহার করা হয়েছে, যা এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানো হয়। পাশাপাশি, সালফিত গভর্নরেটের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্রুকিন ও দেইর বল্লুত।
ডিআর কঙ্গোতে অগ্নিকাণ্ডের পর নৌকা ডুবে নিহত ১৪৩

ডিআর কঙ্গোতে অগ্নিকাণ্ডের পর নৌকা ডুবে নিহত ১৪৩ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জ্বালানি বহনকারী একটি নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার পর অন্তত ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরো বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে গতকাল শুক্রবার কর্মকর্তারা জানিয়েছে। উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের জাতীয় ডেপুটিদের একটি প্রতিনিধিদলের প্রধান জোসেফাইন-প্যাসিফিক লোকুমু জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার উত্তর-পশ্চিম কঙ্গো নদী দিয়ে কাঠের একটি নৌকায় শত শত যাত্রী মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ইকুয়েটুর প্রদেশের রাজধানী এমবান্ডাকা শহরের কাছে পৌঁছলে নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং ডুবে যায়। লোকুমু এএফপিকে বলেন, গত বুধবার ১৩১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আরো ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের শরীর পুড়ে গেছে। স্থানীয় নাগরিক সমাজের নেতা জোসেফ লোকন্ডো বলেন, ১৪৫ জন নিহত হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে, কিছু পুড়ে গেছে, অন্যরা ডুবে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। মৃতদেহগুলো দাফন করতে সাহায্য চেয়েছেন তিনি। লোকুমু জানান, নৌকায় রান্না করার সময় আগুন থেকে জ্বালানি বিস্ফোরণের ফলে আগুন লেগেছে। যার ফলে অনেক শিশু এবং নারী নিহত হয়েছেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজটিতে মোট কতজন যাত্রী ছিল তা জানা যায়নি। তবে লোকুমু বলেছিলেন, শত শত যাত্রী ছিল। কিছু যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কিছু পরিবার এখনো তাদের প্রিয়জনের খবর জানতে চাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তীর থেকে অনেক দূরে আটকে থাকা একটি লম্বা নৌকা থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে এবং ছোট জাহাজে থাকা লোকজন তা দেখছে। মধ্য আফ্রিকার একটি বিশাল দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো রাস্তার অভাবে ভুগছে। ফলস্বরূপ প্রায় সবাই হ্রদ, কঙ্গো নদী এবং এর উপনদী দিয়ে ভ্রমণ করে থাকেন। যেখানে প্রায়ই জাহাজডুবির ঘটনা ঘটে এবং বহু মানুষের মৃত্যু হয়। যাত্রীদের তালিকা না থাকায় অনুসন্ধান কার্যক্রম জটিল হয়ে পড়ে এসব ক্ষেত্রে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে, ইকুয়েডরে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ায় কমপক্ষে ৪৭ জন মারা যায়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের অক্টোবরে পূর্ব কঙ্গোর কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে ২০ জনেরও বেশি লোক মারা যায়। ২০১৯ সালে কিভু হ্রদে আরেকটি জাহাজডুবির ঘটনায় প্রায় ১০০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
ইয়েমেনে মার্কিন বাহিনীর ব্যাপক হামলায় নিহত বেড়ে ৮০

ইয়েমেনে মার্কিন বাহিনীর ব্যাপক হামলায় নিহত বেড়ে ৮০ ইয়েমেনের রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে এই হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসায় পর এটি ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আল-আসবাহি জানান, হামলার ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৭১ জন। ডয়চে ভেলে বলছে, নিহতদের মধ্যে সেখানকার বন্দর পরিচালনাকারী সাফার ওয়েল কোম্পানি এবং ইয়েমেন পেট্রোলিয়াম কোম্পানির কর্মীরা রয়েছেন। হতাহতের বিষয়ে ইয়েমেনর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই তথ্যের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হুথি সন্ত্রাসীদের তেলের উৎস বিচ্ছিন্ন করে দিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, হুথি গত এক দশক ধরে ইয়েমেনের ওই অঞ্চলটি দখলে রেখেছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে তারা লোহিত সাগরের ওই অঞ্চলে চলাচলকারী জাহাজের ওপর বেশ কয়েকবার ড্রোন ওবং মিসাইল হামলা চালিয়েছে। গাজায় দুই মাসের যুদ্ধ বিরতির সময়ে হামলা বন্ধ রেখেছিল হুথি। তবে গাজায় ইসরায়েল পুনরায় হামলা চালানো শুরু করার পর তারাও সাগরে জাহাজের ওপর আক্রমণ চালানোর হুমকি দেয়। এসব হামলার জবাবে মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে আক্রমণ শুরু করেছে।
মার্কিন বিমান হামলায় ইয়েমেনে নিহত ৩৩

মার্কিন বিমান হামলায় ইয়েমেনে নিহত ৩৩ ইয়েমেনের রাস ইসা তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। আজ ভোরে এই হামলায় আরো ৮০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল মাসিরাহ টিভি। আল-জাজিরা জানিয়েছে, মার্কিন বাহিনী এ পর্যন্ত ইয়েমেনে যে কয়টি হামলা চালিয়েছে এটি তার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হতে পারে। মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হুতি যোদ্ধাদের জ্বালানির উৎস বন্ধ করার জন্যই হামলা চালানো হচ্ছে। লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের উপর এই গোষ্ঠীর আক্রমণ বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা ইয়েমেনে হুতিদের অবস্থানগুলিতে আক্রমণ চালিয়ে যাবে। মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছে, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল হুতিদের ক্ষমতার অর্থনৈতিক উৎসকে হ্রাস করা, যারা তাদের দেশবাসীকে শোষণ করে চলেছে এবং তাদের উপর প্রচ- যন্ত্রণা বয়ে আনছে।
অবিলম্বে ‘গা*জা*যুদ্ধ’ বন্ধের দাবিতে ইস*রায়েলিদের গণস্বাক্ষর

অবিলম্বে ‘গা*জা*যুদ্ধ’ বন্ধের দাবিতে ইস*রায়েলিদের গণস্বাক্ষর গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলের ভেতরেই দেখা দিচ্ছে এক শক্তিশালী আন্দোলন। ইসরায়েলের সামরিক, একাডেমিক ও চিকিৎসা পেশার হাজার হাজার মানুষ এই যুদ্ধবিরোধী আহ্বানে একাত্মতা প্রকাশ করছেন। আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু। ‘রিস্টার্ট ইসরায়েল’ ওয়েবসাইট অনুসারে, ইসরায়েলে ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং বন্দী বিনিময়ের দাবিতে ৪৩টি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। ‘রিস্টার্ট ইসরায়েল’ প্ল্যাটফর্মটি অনলাইনে ইসরায়েলিদের পিটিশন পর্যালোচনা এবং স্বাক্ষর করার সুযোগ দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার ৫২২ জন, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং অবিলম্বে যুদ্ধ সমাপ্তির আহ্বান জানিয়ে পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। পিটিশনগুলোর মধ্যে ১৬টিতে সামরিক বাহিনীর ১০ হাজারেও বেশি সদস্য স্বাক্ষর করেছেন, যার মধ্যে একাধিক ব্রিগেড, অভিজাত ইউনিট এবং গোয়েন্দা শাখার অভিজ্ঞ, রিজার্ভিস্ট ও সৈনিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।বাকি ২৭টি পিটিশন এবং চিঠিতে শিক্ষাবিদ, লেখক, কবি, শিল্পী, প্রকৌশলী এবং অন্যান্য পেশাদারসহ বেসামরিক পেশাদাররা স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক, সাবেক চিফ অব স্টাফ ড্যান হালুৎজ, চারজন সাবেক নৌ কমান্ডার- আমি আয়ালন, ইয়েদিদিয়া ইয়ারি, অ্যালেক্স তাল ও দুদু বেন-বেশত, ফ্লোটিলা ১৩ ইউনিটের সাবেক তিনজন কমান্ডার- রান গ্যালিঙ্কা, উজি লিভান্ট ও তজভিকা এরেজ এবং দুজন সাবেক আর্টিলারি কমান্ডার আভ্রাহাম বার ডেভিড ও ডোরন কাদমিয়েল। এছাড়া, আমরাম মিৎজনা, আভি মিজরাহি, আমোস মালকা, আমনন রেশেফ, মোশে সুকেনিক, নিমরোদ শেফার এবং ইলান বিরান-এর মতো আরো অনেক ঊর্ধ্বতন সামরিক ব্যক্তিত্ব পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। পিটিশনগুলোতে গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। গত শুক্রবার, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু পিটিশনে স্বাক্ষরকারী সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অবাধ্যতার অভিযোগ এনে তাদের বরখাস্ত করার হুমকি দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত গোষ্ঠীগুলো ২০২২ সালের শেষের দিকে ক্ষমতা গ্রহণকারী তার জোট সরকারকে পতনের প্রচেষ্টায় সমর্থন দিচ্ছে। তিনি পিটিশনে স্বাক্ষরকারীদের ‘একটি ছোট, কোলাহলপূর্ণ, নৈরাজ্যবাদী এবং বিচ্ছিন্ন পেনশনভোগী দল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, কেউ অবাধ্যতাকে উস্কে দিলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। ইসরায়েলের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় এখনো ৫৯ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ২৪ জন জীবিত। চলতি বছরের মার্চ মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে তাদের মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে এই শর্তে ইসরায়েলের গাজা থেকে পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার ও যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি প্রয়োজন ছিল। কিন্তু হামাস যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী মেনে চললেও, নেতানিয়াহু তার অতি-ডানপন্থি জোটের চাপে দ্বিতীয় পর্যায়ে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। গত ১৮ মার্চ থেকে, গাজায় ফের সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এর ফলে জানুয়ারি মাসে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি ভেস্তে গেছে। এতে করে অনেক ইসরায়েলি এমনকি সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ হাজারেও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গত নভেম্বরে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গাজায় তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও রয়েছে।
টাইম ম্যাগাজিনে ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস

টাইম ম্যাগাজিনে ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। লিডার বা নেতা ক্যাটাগরিতে প্রভাবশালীর তালিকায় তিনি স্থান পেয়েছেন। বুধবার টাইম ম্যাগাজিন এই তালিকা প্রকাশ করেছে। একই তালিকায় রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া সেইনবোম এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের নাম। টাইম ম্যাগাজিনে ড. ইউনূসকে নিয়ে লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। হিলারি লিখেছেন, “ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানে গত বছর বাংলাদেশের স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, একজন চেনা নেতা: নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস দেশকে গণতন্ত্রের দিকে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসেন। কয়েক দশক আগে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়ন করতে ইউনূস বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। যা কয়েক লাখ মানুষকে নিজস্ব ব্যবসা শুরু, তাদের পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে এবং তাদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করেছে। এই ক্ষুদ্র ঋণের সুবিধা নেওয়া ৯৭ শতাংশই নারী।” সাবেক এই মার্কিন ফার্স্টলেডি লিখেছেন, “ইউনূসের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল যখন তিনি তৎকালীন গভর্নর বিল ক্লিনটন এবং আমাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একই ধরণের কর্মসূচি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার জন্য আরকানসাসে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে, আমি বিশ্বের যেখানেই ভ্রমণ করেছি, আমি তার কাজের অসাধারণ প্রভাব প্রত্যক্ষ করেছি – জীবন পরিবর্তিত হয়েছে, সম্প্রদায়গুলো উন্নীত হয়েছে এবং আশার পুনর্জন্ম হয়েছে।” তিনি আরো লিখেছেন, “এখন, ইউনূস আবারো তার দেশের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তিনি যখন বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন, তখন তিনি মানবাধিকার পুনরুদ্ধার করছেন, জবাবদিহিতা দাবি করছেন এবং একটি ন্যায়সঙ্গত ও মুক্ত সমাজের ভিত্তি স্থাপন করছেন।”
হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের হুমকি ট্রাম্প প্রশাসনের

হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের হুমকি ট্রাম্প প্রশাসনের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির কাছে নতি স্বীকার না করার পর, এবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছে মার্কিন সরকার। খবর বিবিসির। হোয়াইট হাউজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়টিকে নিয়োগ, ভর্তি এবং শিক্ষাদান পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, নতুন সংস্কার ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে। গাজা যুদ্ধ ও ইসরায়েলকে সমর্থনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইহুদি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (১৬ এপ্রিল) মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ এবং ‘ইহুদি-বিদ্বেষের কাছে নতজানু’ হওয়ার অভিযোগ এনেছেন। তিনি হার্ভার্ডকে দেওয়া এক চিঠিতে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিদেশি শিক্ষার্থীদের অবৈধ ও সহিংস কার্যকলাপ সম্পর্কিত রেকর্ড দাবি করেছেন। ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, “যদি হার্ভার্ড তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি প্রমাণ করতে না পারে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ হারাবে।” চলতি বছর হার্ভার্ডে ভর্তির ২৭ শতাংশেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী। এদিকে, গত সোমবার হার্ভার্ড কমিউনিটিতে দেয়া একটি চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্বার বলেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় এর স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক অধিকারকে পরিত্যাগ করবে না।” যুক্তরাষ্ট্রে হার্ভার্ড প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যারা নীতি পরিবর্তনে ট্রাম্প প্রশাসনের চাপকে প্রত্যাখান করেছে। হার্ভার্ড তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া, নিয়োগ এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর সরকারি তদারকি মানতে অস্বীকার করায় ট্রাম্প এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ব্যাপক ক্ষুব্ধ। মার্কিন সরকার ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করেছে। এছাড়াও ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়টির করমুক্ত মর্যাদাও বাতিল করার হুমকি দিয়েছেন। এর ফলে হার্ভার্ড প্রতি বছর লাখ লাখ ডলার ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে বলেছেন, “হার্ভার্ডকে আর শিক্ষার জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না এবং বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের কোনো তালিকায় এটিকে বিবেচনা করা উচিত নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে রসিকতা। এখানে ঘৃণা ও বোকামি শেখানো হয়। হার্ভার্ডের আর ফেডারেল তহবিল পাওয়া উচিত নয়।” হার্ভার্ডের ওপর প্রশাসনের আক্রমণ বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সময়, ট্রাম্প বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেডারেল তহবিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেগুলোকে রক্ষণশীলদের প্রতি শত্রু হিসেবে চিত্রিত করেছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে, তার প্রশাসন বিশেষ করে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নজর দিয়েছে যেখানে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ হয়েছে। কিছু ইহুদি শিক্ষার্থী বলেছেন যে, তারা অনিরাপদ বোধ করেছেন এবং ক্যাম্পাসে হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে গঠিত সরকারের ইহুদি-বিরোধী টাস্ক ফোর্স পর্যালোচনার জন্য কমপক্ষে ৬০টি বিশ্ববিদ্যালয় চিহ্নিত করেছে। গত মাসে, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কয়েকটি দাবি মেনে নেয়। ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ফেডারেল তহবিল স্থগিত করার ঘোষণা দিলে ট্রাম্পের দাবির কাছে নতি স্বীকার করে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বশেষ দাবির প্রতি প্রকাশ্যে সাড়া দেয়নি।
হার্ভার্ডের ২.৩ বিলিয়ন ডলারের তহবিল স্থগিত করলেন ট্রাম্প

হার্ভার্ডের ২.৩ বিলিয়ন ডলারের তহবিল স্থগিত করলেন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কিছু দাবি গতকাল সোমবার প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ। হার্ভার্ডের এমন অবস্থান গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয়, তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদেন এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সোমবার ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, ‘হার্ভার্ডের আজকের বিবৃতি আমাদের দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতে থাকা উদ্বেগজনক দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও ঘনীভূত করেছে।” ক্যাম্পাসগুলোতে ইহুদি বিদ্বেষ মোকাবেলা করতে গত সপ্তাহে হার্ভার্ডকে এক গুচ্ছ দাবির একটি তালিকা পাঠানোর কথা জানিয়েছিল হোয়াইট হাউজ। এর মধ্যে পরিচালনা পদ্ধতির পরিবর্তন, লোকবল নিয়োগ পদ্ধতি ও ভর্তি প্রক্রিয়ার মতো বিষয়গুলো ছিল। সোমবার সেটি প্রত্যাখ্যান করে হার্ভার্ড বলেছে, হোয়াইট হাউজ তাদের ‘নিয়ন্ত্রণ’ করার চেষ্টা করেছে। এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বড় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নীতি পরিবর্তনের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের চাপকে প্রত্যাখ্যান কর। হোয়াইট হাউজ যেসব পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করেছিল তাতে হার্ভার্ডের কার্যক্রমে পরিবর্তন আসতো এবং ব্যাপক আকারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ হতো। গাজা যুদ্ধ ও ইসরায়েলকে সমর্থনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইহুদি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সোমবার হার্ভার্ড কমিউনিটিতে দেয়া একটি চিঠিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্বার বলেছেন, হোয়াইট হাউজ একটি দাবির তালিকা পাঠিয়েছে এবং একই সাথে সরকারের আর্থিক সম্পর্কের সাথে মানিয়ে চলার বিষয়ে সতর্ক করেছে। চিঠিতে হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “আমাদের আইনি পরামর্শকের মাধ্যমে আমরা প্রশাসনকে অবহিত করেছি যে, আমরা তাদের প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করছি না। বিশ্ববিদ্যালয় এর স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক অধিকারকে পরিত্যাগ করবে না।” অ্যালান গার্বার বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দায়িত্বকে হালকাভাবে নিবে না কিন্তু সরকার এ বিষয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, “যদিও সরকারের কিছু প্রস্তাবের লক্ষ্য হলো ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করা কিন্তু এর বেশিরভাগই হার্ভাডের বুদ্ধিবৃত্তিক পরিস্থিতির ওপর সরাসরি সরকারি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিই তুলে ধরে।” হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবারের চিঠি পাঠানোর কিছুক্ষণ পরেই, মার্কিন শিক্ষা বিভাগ ঘোষণা করে যে, তারা হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দকৃত ২২০ কোটি ডলারের অনুদান এবং চুক্তিভিত্তিক অর্থায়ন তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করছে। শিক্ষা বিভাগ এক বিবৃতিতে আরো বলেছে, “ইহুদি শিক্ষার্থীদের হয়রানি গ্রহণযোগ্য নয়। অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এই সমস্যাকে গুরুত্ব সহকারে নেয়া ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তনের অঙ্গীকার করার এটাই সময়, যদি তারা করদাতাদের অব্যাহত সমর্থন পেতে চায়।”
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ মারা গেছেন

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ মারা গেছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আহমেদ বাদাউই মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে কুয়ালালামপুরের জাতীয় হার্ট ইনস্টিটিউটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাদ দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। আব্দুল্লাহ আহমেদের জামাতা এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী খাইরি জামালুদ্দিন ইনস্টাগ্রামে তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে একটি পোস্ট করেন। তবে সেখানে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করেননি। কুয়ালালামপুরের জাতীয় হার্ট ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রবিবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ার পর আবদুল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করা এবং তাৎক্ষণিক তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও তিনি সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান। আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির মোহাম্মদ ২২ বছর ক্ষমতায় থেকে ২০০৩ সালে পদত্যাগ করলে দেশটির পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন আব্দুল্লাহ। ক্ষমতায় থাকাকালীন মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়ায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছিলেন তিনি। অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির লক্ষ্যে মধ্যপন্থি ইসলামের সমর্থক ছিলেন আব্দুল্লাহ। জ্বালানি ভর্তুকি পর্যালোচনা করা নিয়ে দেশটিতে জনসাধারণের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। পরে দেশটিতে দ্রব্যমূল্য ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের বছর খানেক পর ২০০৯ সালে তিনি পদত্যাগ করেন।