গাড়িবোমা হামলায় রুশ জেনারেল নিহত

গাড়িবোমা হামলায় রুশ জেনারেল নিহত রাশিয়ায় গাড়িবোমা হামলায় এক জেনারেল নিহত হয়েছেন। আজ রুশ সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। একাধিক রাশিয়ান সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ার জেনারেল স্টাফের প্রধান অপারেশনাল বিভাগের উপ-প্রধান জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক মস্কোতে একটি গাড়ি বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার সরকারী সংবাদ সংস্থা তাস নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোকে উদ্ধৃত করে নিশ্চিত করেছে যে, মস্কোর পূর্ব শহরতলির বালাশিখায় বিস্ফোরণের কারণ বোমা ছিল। রাশিয়ার তদন্ত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক মস্কোতে একটি বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন।
ভারতের সঙ্গে সিমলা চুক্তি বাতিল পাকিস্তানের, উত্তেজনা চরমে

ভারতের সঙ্গে সিমলা চুক্তি বাতিল পাকিস্তানের, উত্তেজনা চরমে কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের জেরে দেশটির সঙ্গে ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি বাতিল করেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। দুই দেশের পরস্পরের সার্বভৌম ভূখণ্ডের প্রতি সম্মান করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে সিমলা চুক্তিতে। তা ছাড়া বিরোধ নিষ্পত্তিতে যুদ্ধ এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি রয়েছে তাতে। পৃথিবীর ভূস্বর্গখ্যাত কাশ্মীর অঞ্চলটি ভারত ও পাকিস্তান যার যার দখল অনুযায়ী সিমলা চুক্তির আলোকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি বজায় রেখেছে তারা। এখন পাকিস্তান সিমলা চুক্তি বাতিল করায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতির আশঙ্কা আরো জোরালো হলো। এতে করে বেড়েছে সামরিক উত্তেজনাও। ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের কাছে পারমাণবিক বোমা রয়েছে। যদিও তারা কখনো এর প্রয়োগ করেনি। চিরবেরী দেশ দুটি কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় মাঝেমাধ্যে সংঘাতে জড়ালেও সাম্প্রতিক ইতিহাসে কারগিল যুদ্ধ ছাড়া তাদের মধ্যে বড় কোনো যুদ্ধ হয়নি। সিমলা চুক্তির প্রধান প্রধান বিষয় ১। অপরের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি: দুই দেশ তাদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রতিশ্রুতি দেয়। ২। শান্তিপূর্ণ ন্যায়বিচার: চুক্তিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, দ্বিপক্ষীয় আলোচনা বা আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হবে; সশস্ত্র সংঘাতের মাধ্যমে নয়। ৩। নিয়ন্ত্রণের রেখা: এটি জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা চিহ্নিত করার জন্য একটি কাঠামো সৃষ্টি করে এবং সেই রেখা বরাবর একটি যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে। ৪। সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ: চুক্তিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে। সিমলা চুক্তি ভবিষ্যতের আলোচনার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে মনে করা হয়, যদিও বিভিন্ন সংঘাত ও কূটনৈতিক চাপে এর কার্যকারিতা চ্যালেঞ্জের মুখে ছিল, যা বৃহস্পতিবার প্রমাণ হলো। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে; পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের দায় দেখছে ভারত। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীসহ তাদের সমর্থনকারীদের বিনাশ করার হুংকার দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আরো কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পানি আটকে দেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টাকে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে মন্তব্য করেছে তার মন্ত্রিসভা। ফলে ভারত ও পাকিস্তান কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতির মুখে রয়েছে।
ভারতে ব্ল*ক করা হল পাকি*স্তান সর*কারের এক্স অ্যা*কাউন্ট

ভারতে ব্ল*ক করা হল পাকি*স্তান সর*কারের এক্স অ্যা*কাউন্ট ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি এক্স (টুইটার) প্ল্যাটফর্মে কিছু নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট ও পোস্ট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশনা অনুযায়ী, এক্স শুধুমাত্র ভারতের অভ্যন্তরে এই অ্যাকাউন্ট ও পোস্টগুলোর অ্যাক্সেস সীমিত করেছে। পাকিস্তানের সরকারি এক্স অ্যাকাউন্টটি ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আজ সকালে। তবে, কোম্পানিটি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে তারা এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নয় এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে ভারত সরকারের দাবি, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে বিভ্রান্তিকর বা উসকানিমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল, যা জাতীয় নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে। পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া প্রাণঘাতী জঙ্গি হামলার জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেখানে ২৬ জন পর্যটক নিহত এবং ২০ জন আহত হন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ যা পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একটি শাখা বলে পরিচিত। এর আগে হামলার জেরে ভারত সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি বাতিলসহ, পাকিস্তানের কোনো নাগরিককে ‘সার্ক ভিসা’ দেওয়া বন্ধের ঘোষণা দেয়। তাছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তানে ভারতের হাইকমিশন থেকে কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে নিতে বলে। ভারতে অবস্থারত পাকিস্তানের নাগরিকদের দেওয়া ভারতের ভিসা বাতিল করে তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলে। এর মধ্যে সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি বাতিল সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ১৯৬০ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় এই চুক্তিতে সই করেছিলেন।
ভারতীয় দূতাবাস অভি*মুখে ‘সং* মা*র্চ

ভারতীয় দূতাবাস অভি*মুখে ‘সং* মা*র্চ ভারতব্যাপী মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে প্রতিবাদী সংগীতযাত্রা ‘সং মার্চ’ শুরু করেছে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। আজ বিকেল তিনটায় পল্টনের মুক্তাঙ্গন থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। মুক্তাঙ্গন থেকে পিকআপভ্যানে করে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করতে করতে সংগীত যাত্রা শুরু করেন জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্যরা। এই ‘সং মার্চ’ থেকে ভারতব্যাপী মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাসে প্রতিবাদলিপি দেবেন তারা। ‘সং মার্চ’ পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি কবি মুহিব খান বলেন, ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকে সারা ভারতজুড়ে নানা সময়ে নানা স্থানে নানাভাবে সেখানকার মুসলমানদের ওপর হত্যা, গুম, ধর্ষণ, ধ্বংসযজ্ঞ, উচ্ছেদ ও লাঞ্ছনাসহ নানারকম নির্যাতন সংঘটিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা থেকে নিয়ে ২০০২ সালে গুজরাটের নৃশংস মুসলিম হত্যা ও ধর্ষণযজ্ঞ, ২০১৩ সালে মুজাফফরাবাদের মুসলিম হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ, ২০২০ সালে দিল্লিজুড়ে মুসলিম হত্যা ও মসজিদসহ বিভিন্ন মুসলিম ঐতিহাসিক স্থাপত্যকলা ধ্বংসযজ্ঞ, সর্বশেষ ভারতীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর সম্পদ হরণ ও প্রতিকার হননের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ভারতের পার্লামেন্টে গৃহীত ওয়াকফ আইন সংশোধন বিলকে কেন্দ্র করে ভারতীয় মুসলমানদের ওপর যে নিধন ও নির্যাতন চলছে আমরা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর অঙ্গ ও অংশ হিসেবে এবং আধুনিক বিশ্বের মানবতাবাদী সভ্য মানুষ হিসেবে এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের নিন্দা ও প্রতিবাদের ভাষা দেশ ও বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আমরা আজ ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে প্রতিবাদী সংগীতযাত্রা ‘সং মার্চ’ করছি। কবি মুহিব খান আরও বলেন, আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভারতের ধর্মান্ধ উগ্রবাদী গোষ্ঠীর ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং কখনো কখনো এসব কর্মকাণ্ডে ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতার বিরুদ্ধে শ্লোগান, সংগীত এবং সুস্পষ্ট বক্তব্যের মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চাই যে, ভারতসহ পৃথিবীর যেকোনো ভূখণ্ডে নির্যাতিত মুসলমানদের পাশে আমরা আছি। শুধু মুসলিমরাই নন, নির্যাতন অন্যায় ও অমানবিকতার শিকার যেকোনো মানুষের পক্ষেই আমাদের অবস্থান। তিনি বলেন, আমরা ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনারের মাধ্যমে ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, সামাজিক অধিকার, সাংস্কৃতিক অধিকার এবং নিজ ধর্মীয় অনুশাসন পালনের পূর্ণাঙ্গ অধিকার নিশ্চিত করতে এবং ভারতীয় মুসলমানদের সামগ্রিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা সুরক্ষায় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিতে ভারত সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি। কবি মুহিব খান বলেন, আমরা উগ্রতা ও সহিংসতায় বিশ্বাসী নই। আমরা চাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আমরা চাই ধর্মান্ধ উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের পতন। আমরা চাই পৃথিবীর সব দেশের সব মানুষ নিজেদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকুক। আমরা চাই বিশ্ব মানবতা এবং প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিজয় হোক।
সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন ট্রাম্প

সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন ট্রাম্প মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সফরকালে তিনি কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও যাবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। গতকাল মঙ্গলবার মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর আরব নিউজের। লেভিট জানান, আগামী ১৩ থেকে ১৬ মে মধ্যপ্রাচের ওই তিন দেশ সফর করবেন ট্রাম্প। এর আগে তিনি পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে শুক্রবার রোমে যাবেন। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি হবে তার প্রথম বিদেশ সফর। বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার ট্রাম্প এমন এক মধ্যপ্রাচ্যে পা রাখবেন, যা তার প্রথম মেয়াদের তুলনায় অনেকটাই পরিবর্তিত। চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব-ইরান উত্তেজনা অনেকটাই প্রশমিত, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ প্রায় শেষের পথে, আর আইএস এখন আর মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী কোনো সন্ত্রাসীদল নয়। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পুনর্গঠন নিয়ে আরব বিশ্বের সঙ্গে ট্রাম্পের মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। সফরকালে এই মতপার্থক্যগুলো আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া মার্কিন শুল্কনীতি ও বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধনী উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে আরো বেশি বিনিয়োগ টানার চেষ্টা ট্রাম্প অনেক আগে থেকেই করে আসছেন।
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে জানানো শোকবার্তা মুছে ফেলল ইসরায়েল

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে জানানো শোকবার্তা মুছে ফেলল ইসরায়েল ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোকবার্তা প্রকাশ করেছিল ইসরায়েল। কিন্তু কিছু সময় পরেই শোকবার্তাটি মুছে ফেলা হয়। ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার ৮৮ বছর বয়সে ভ্যাটিকানে মারা যান পোপ ফ্রান্সিস। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসরায়েলের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে লেখা হয়- “আপনার আত্মা শান্তি পাক, পোপ ফ্রান্সিস। আপনার জীবনাদর্শ আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে থাকুক।”কিছুক্ষণ পর পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। এ বিষয়ে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য জেরুজালেম পোস্টকে বলেন, “প্রয়াত পোপ একাধিকবার ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্য দিয়েছিলেন। তার মৃত্যুতে ভুলে শোকা বার্তাটি প্রকাশ করা হয়েছিল।” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওই অ্যাকাউন্টটি ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ইসরায়েলি পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো সাড়া দেয়নি। উল্লেখ্য, পোপ ফ্রান্সিস গত নভেম্বরে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানকে সম্ভাব্য গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেন। এসব বক্তব্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করে। পোপের এসব মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে রোমের প্রধান র্যাবাই (ইহুদিদের ধর্মযাজক) বলেছিলেন, ফ্রান্সিস পক্ষপাতমূলক সমালোচনা করছেন। পোপের মৃত্যুর পর হামাস এবং হিজবুল্লাহ পৃথকভাবে শোক জানিয়েছে। তারা পোপের আন্তঃধর্মীয় সংলাপ ও মানবিক মূল্যবোধের প্রশংসা করে বিবৃতি দিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু পোপের মৃত্যু নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতি শোকবার্তা পাঠিয়ে পোপ ফ্রান্সিসকে ‘গভীর বিশ্বাস এবং সীমাহীন সহানুভূতির মানুষ’ হিসেবে আখ্যা দেন। দীর্ঘ কয়েকশ বছর ধরে ক্যাথলিক চার্চের সঙ্গে ইহুদিদের শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক ছিল। তবে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে সম্পর্কের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। দায়িত্ব পালনের ১২ বছরে সাধারণ কোনো সংঘাতে পক্ষ নেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি যেমন ক্রমবর্ধমান ইহুদি বিদ্বেষ নিয়েও নিন্দা জানিয়েছেন, তেমনি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় অবস্থানরত সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতেন। তবে শোকবার্তা প্রকাশ ও তা মুছে ফেলার ঘটনায় ইসরায়েল-ভ্যাটিকান সম্পর্কের জটিলতা নতুনভাবে সামনে এসেছে।
তিউনিসিয়ায় আটকা পড়েছেন ৩২ বাংলাদেশি, ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ

তিউনিসিয়ায় আটকা পড়েছেন ৩২ বাংলাদেশি, ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ তিউনিসিয়ার বিভিন্ন শহরে ৩২ জন বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন। তাদেরকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাস থেকে তিউনিসিয়ার বিভিন্ন শহরে আটকা পড়া ৩২ বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত করে তাদের নামে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা করা হয়েছে। তাদের আউটপাসগুলো আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তিউনিসিয়া কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দূতাবাসের প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বুধবার (২৩ এপ্রিল) ২১ জনকে প্রাথমিকভাবে দেশে পাঠানোর বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। অবশিষ্টদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে ফেরত পাঠানোর সব প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এছাড়া, দূতাবাস থেকে জানবুদা শহরে আটকা থাকা দুই বাংলাদেশিকে ২২ এপ্রিল স্থানীয় আদালতে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, তারা অচিরেই মুক্তি পাবেন।
গাজায় নিহত আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি, ত্রাণ সংকটে মানবিক বিপর্যয়

গাজায় নিহত আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি, ত্রাণ সংকটে মানবিক বিপর্যয় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় একদিনেই কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৫০ জন। ফলে চলমান সংঘাতে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫১ হাজার ২৫০ জনে। এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ইসরায়েল নতুন করে হামলা শুরু করে। এরপর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অব্যাহত হামলার পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলের কঠোর অবরোধের কারণে গত ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে কোনো ত্রাণবাহী গাড়ি উপত্যকায় প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ এবং জ্বালানির মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। গাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সরবরাহ চালুর আহ্বান জানিয়েছে। তবে সংকটময় এই পরিস্থিতির মধ্যেও ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ওষুধের মারাত্মক অভাবে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। গত ২ মার্চ নতুন করে অবরোধ আরোপের পর থেকে গাজায় কোনো ধরনের চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশ করতে পারেনি। এতে অসংখ্য ফিলিস্তিনি বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। এই মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ আবারও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজার বাসিন্দাদের অধিকাংশই নারী, শিশু এবং নিরীহ বেসামরিক মানুষ, যারা বর্তমানে ‘অকল্পনীয় ভোগান্তির’ মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ইউএনআরডব্লিউএ-এর মতে, ফিলিস্তিনিদের ওপর এভাবে সমন্বিতভাবে শাস্তি আরোপ করা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়।
পোপের মৃত্যুর কারণ জানাল ভ্যাটিকান

পোপের মৃত্যুর কারণ জানাল ভ্যাটিকান বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস (৮৮) গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ভ্যাটিকানে নিজ বাসভবন মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মৃত্যুর কারণ সোমবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে ভ্যাটিকান সিটির হলি সি প্রেস অফিস। ভ্যাটিকান সিটি স্টেটের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আন্দ্রেয়া আর্কাঞ্জেলি পোপের মৃত্যুর সার্টিফিকেট জারি করেছেন। ভ্যাটিকান নিউজ জানিয়েছে, পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে স্ট্রোক, এরপর কোমা এবং অপরিবর্তনীয় হৃদযন্ত্রের রক্তনালী ধস। মেডিকেল রিপোর্ট অনুসারে, পোপের মাল্টিমাইক্রোবিয়াল বিলাটেরাল নিউমোনিয়া, একাধিক ব্রঙ্কাইক্টেস, উচ্চ রক্তচাপ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের কারণে তীব্র শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা ছিল। ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাফিক থ্যানাটোগ্রাফির মাধ্যমে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেটে ডা. আর্কাঞ্জেলি লিখেছেন, “আমি ঘোষণা করছি, আমার জ্ঞান এবং বিচারে মৃত্যুর কারণগুলো উপরে বর্ণিত।” সম্প্রতি টানা পাঁচ সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন পোপ। এরপর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার এক মাসের মাথায় মারা গেলেন এই ধর্মগুরু। সোমবার সকালে ভ্যাটিক্যানে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পোপ ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ ভ্যাটিকানের ২৬৬তম পোপ নির্বাচিত হন ফ্রান্সিস। রোমের বিশপ হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিক চার্চ এবং সার্বভৌম ভ্যাটিকান সিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে পোপ ফ্রান্সিসের জন্ম। ক্যাথলিক পুরোহিত হিসেবে তার অভিষেক হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। তিনি ছিলেন ৭৪১ সালের পর প্রথম নন-ইউরোপিয়ান পোপ। ৭৪১ সালে সিরিয়ান বংশোদ্ভূত তৃতীয় গ্রেগরির মৃত্যুর পর রোমে আর কোনো নন-ইউরোপীয় পোপ আসেননি। পুরো আমেরিকা অঞ্চল এবং দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ ছিলেন ফ্রান্সিস। তিনি ক্যাথলিক গির্জায় সংস্কার কখনো বন্ধ করেননি। তারপরও তিনি সকলের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন। পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ গোটা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মানুষদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিশ্বনেতারাও।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি না করার হুঁশিয়ারি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি না করার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি না করার ব্যাপারে বিভিন্ন দেশকে সতর্ক করেছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, দেশগুলো যেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনো বাণিজ্য চুক্তি না করে, যাতে চীনের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হতে পারে। চীন হুঁশিয়ারি দিয়ে আরো বলেছে, কোনো দেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের স্বার্থবিরোধী চুক্তি সই করে, তাহলে সেই দেশের বিরুদ্ধে চীন শক্ত অবস্থান নেবে এবং পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনের বলা হয়, মার্কিন শুল্ক ছাড়ের বিনিময়ে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশকে চাপ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে- ব্লুমবার্গের এমন একটি প্রতিবেদন সামনে আসার পর চীন এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরে আসা জাপানি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাণিজ্যিক আলোচনা করেছে এবং এই সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া আলোচনা শুরু করতে চলেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে চীনা পণ্য আমদানির উপর ব্যাপক কর আরোপ করেছেন, অন্যদিকে অন্যান্য দেশগুলোও তাদের পণ্যের উপর মার্কিন শুল্ক আরোপের শিকার হয়েছে। নতুন আরোপিত মার্কিন কর থেকে রেহাই পেতে দেশগুলো যুুক্তরাষ্ট্রকে ‘তুষ্ট’ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশগুলোকে সতর্ক করে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “তুষ্টি শান্তি আনতে পারে না এবং আপস কাউকে সম্মান দিতে পারে না।” মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, “চীনের স্বার্থের বিনিময়ে যে কোনো পক্ষের চুক্তিতে পৌঁছানোর দৃঢ় বিরোধিতা করে চীন। যদি এটি ঘটে, তাহলে চীন কখনই তা মেনে নেবে না এবং দৃঢ়ভাবে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।” গত সপ্তাহে রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত চায়না ডেইলির একটি সম্পাদকীয়তে একই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছিল, যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘তুষ্ট’ করার চেষ্টা করার বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছিল। ট্রাম্প জানিয়েছেন, পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণার পর থেকে ৭০টিরও বেশি দেশ আলোচনা শুরু করার জন্য যোগাযোগ করেছে।