ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহ*ত, ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলো ‘মর*ণ ফাঁ*দ’

ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহ*ত, ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলো ‘মর*ণ ফাঁ*দ’ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক। আজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। স্থানীয় চিকিৎসা কর্মকর্তাদের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নিরলস হামলায় ৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। মঙ্গলবার গাজার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েলনিয়ন্ত্রিত নেতসারিম করিডোরের কাছে ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। গাজা সরকারের তথ্য অফিস জানায়, এতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০০ জন। নিহতদের মধ্যে ১২ বছরের এক শিশুও রয়েছে। শিশুটির নাম মোহাম্মদ খলিল আল-আথামনেহ। এই ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রগুলো পরিচালনা করছে ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) নামের একটি বিতর্কিত সংস্থা, যার কার্যক্রম ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে চলছে এবং এটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জনগণ এই বিতরণ কেন্দ্রগুলোকে ‘মানব কসাইখানা’ বলে অভিহিত করেছেন। জিএইচএফ কার্যত একটি ‘মরণ ফাঁদে’ পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ। গাজা সরকারের তথ্য অফিস এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জিএইচএফ এখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক ভয়ঙ্কর হাতিয়ার। যারা ত্রাণ দেওয়ার নামে নিরস্ত্র ও ক্ষুধার্ত মানুষদের টেনে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে সেখানে। আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজ্জুম গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে জানিয়েছেন, জিএইচএফ-এর এসব ত্রাণকেন্দ্র এখন ‘রক্তপাতের মঞ্চ’ হয়ে উঠেছে, যেখানে পরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের টানা বোমাবর্ষণ ও অবরোধের মুখে গাজার হাসপাতালগুলো মারাত্মক চাপে পড়েছে। বিশেষ করে সহায়তা বিতরণকেন্দ্রগুলোর আশপাশে ইসরায়েলি হামলায় বাড়তে থাকা হতাহতের চাপ বহন করতে পারছে না চিকিৎসা ব্যবস্থা। বিবৃতিতে সংস্থাটি আরও জানায়, সম্প্রতি আহত হয়ে আসা অধিকাংশ রোগীই বলেছেন, তারা সাহায্য বিতরণকেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এসব হামলা চালানো হয়েছে বিভিন্ন দিক থেকে। ড্রোন, ট্যাংক ও স্নাইপার ব্যবহার করে এসব বিচ্ছিন্ন ত্রাণকেন্দ্রে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এসব হামলাকে মূলত মানবিক সহায়তা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার এক প্রক্রিয়া বলে অভিমত সাংবাদিক আজ্জুমের। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত জিএইচএফের সহায়তা কেন্দ্র ঘিরে হামলায় ১২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭৩৬ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ৯ জন।

ভারতে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ; পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত ৭৪৭

ভারতে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ; পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত ৭৪৭ ভারতে ফের ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সোমবার একদিনে নতুন করে ৩৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে দেশজুড়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৯১ জনে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের। সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে কেরালায়, যেখানে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৫৭ জন। এর পরেই রয়েছে গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজধানী দিল্লি। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২৮ জনে। পশ্চিমবঙ্গে রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত ৫৪ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ফলে রাজ্যে মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪৭ জনে, যা কেরালা ও গুজরাটের পর দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ। করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘কোভিড শব্দটি শুনলেই মানুষ ভয় পায়। তবে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’ তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে চাননি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে ওমিক্রনের নতুন উপ-ভ্যারিয়েন্ট—জেএন১, এনবি.১.৮.১, এলএফ৭ এবং এক্সএফসি। এগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে হালকা উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এসব ভ্যারিয়েন্টকে ‘পর্যবেক্ষণাধীন রূপ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং জানিয়েছে, বর্তমানে আতঙ্কের কিছু নায়। তবে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রীর হু*মকি: বিদেশি হলেই বাংলাদেশে পু*শ-ইন

আসামের মুখ্যমন্ত্রীর হু*মকি: বিদেশি হলেই বাংলাদেশে পু*শ-ইন ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের আইনসভায় ঘোষণা দিয়েছেন— যাকেই বিদেশি হিসেবে শনাক্ত করা হবে, তাকে সরাসরি বাংলাদেশে পুশ ইন করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের আইনি অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। সোমবার (৯ জুন) আইনসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে রাজ্যের জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) সরাসরি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ১৯৫০ সালের একটি পুরনো আইন পুনরায় কার্যকর করা হয়েছে, যার বৈধতা স্বয়ং ভারতের সুপ্রিম কোর্ট স্বীকৃতি দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া, যেসব ব্যক্তিকে রাজ্যের ফরেনার ট্রাইব্যুনাল বিদেশি ঘোষণা করেছে, তাদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতিতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, গত কয়েক সপ্তাহে ফরেনার ট্রাইব্যুনালের আদেশের ভিত্তিতে প্রায় ৩৫০ জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি ঐতিহাসিক রায়ে বলা হয়েছে— ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পর যেসব ব্যক্তি আসামে প্রবেশ করেছেন, তারা ভারতের নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবেন না। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেন। রায়ে আরও বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পর আসামে যারা প্রবেশ করেছেন, তাদের কোনো ধরনের ছাড় বা ব্যতিক্রম দেওয়ার সুযোগ নেই। আদালত নির্দেশনা দেয়, ১৯৫০ সালের পুশ ইন-আইনও বৈধ, এবং সেই আইনের আওতায় জেলা প্রশাসকরা চাইলে যে কাউকে পুশ ইন করতে পারবেন। আইনি প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হবে না।

গাজায় প্রাণহানি ৫৫ হাজার ছুঁইছুঁই

গাজায় প্রাণহানি ৫৫ হাজার ছুঁইছুঁই ইসরায়েলি বাহিনীর একের পর এক আক্রমণে ফের রক্তাক্ত গাজা। সোমবার (৯ জুন) সারাদিন চলা বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি, আহত আরও ৩৮৮। স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। চলমান যুদ্ধে সোমবারের হামলার পর পর্যন্ত গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৯২৭ জনে। পাশাপাশি গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৭ জন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় গাজা নিয়ন্ত্রিত প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। ওই অভিযানে গুলি ও হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং আরও ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। টানা ১৫ মাস ধরে ভয়াবহ এই যুদ্ধ চলার পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই বিরতি ছিল ক্ষণস্থায়ী। গত ১৮ মার্চ থেকে ফের শুরু হয় ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বিতীয় দফা হামলা। এই নতুন দফার অভিযানে আড়াই মাসেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪ হাজার ৬৪৯ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১৪ হাজার ৫৭৪ জন। এদিকে, শুরুতেই হামাস যাদের জিম্মি করে নিয়েছিল, সেই ২৫১ জনের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মুক্ত করতে নতুন করে সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

ইসরায়েলি হামলায় আরো ১০৮ ফিলিস্তিনি নিহত

ইসরায়েলি হামলায় আরো ১০৮ ফিলিস্তিনি নিহত মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার (৮ জুন) ঈদের তৃতীয় দিন দফায় দফায় ইসরায়েলের হামলায় ১০৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো প্রায় ৪০০ জন আহত হয়েছেন। খবর আনাদোলুর।  গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৮টি মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। একই সময়ে ৩৯৩ আহতকে হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষমতা হাসপাতালগুলোর নেই। গাজায় শুক্রবার (৬ জুন), ঈদুল আজহার প্রথম দিনে ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গোলাগুলিতে ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হন। শনিবার (৭ জুন), ঈদের দ্বিতীয় দিন ৭২ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই অভিযানে রবিবার (৮ জুন) পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৪ হাজার ৮৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৭ জন। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং প্রায় ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন। গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে রায় উপেক্ষা করে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

১১ জুন জামিন পেতে পারেন ইমরান খান

১১ জুন জামিন পেতে পারেন ইমরান খান একাধিক মামলায় ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে আদিয়ালা কারাগারে বন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ১১ জুন জামিন পেতে পারেন। রবিবার (৮ জুন) ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান গোহর আলি খান এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।  তিনি জানান, ১১ জুন (বুধবার) দিনটি দলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে তিনি জানান, ইমরান খুব শিগগির জেল থেকে ছাড়া পেতে চলেছেন। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমস। গোহরের মন্তব্যের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে যে, ওই দিনই জেল থেকে ছাড়া পেতে পারেন ইমরান। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘এআরওয়াই নিউজ’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিটিআই চেয়ারম্যান গোহর বলেন, “ইমরানকে ছাড়াই চারটি ঈদ কেটে গেল। তবে উনি খুব শিগগির ছাড়া পাবেন। ১১ জুন তারিখটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।” ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) ওই দিন ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির দণ্ড স্থগিত চেয়ে দাখিল করা আবেদনপত্রের ওপর শুনানি করবে। এর আগে, গত মাসে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) আবেদনের ভিত্তিতে শুনানিটি মুলতবি করা হয়েছিল, কারণ সংস্থাটি তাদের আইনি প্রস্তুতির জন্য সময় চেয়েছিল। ইতিমধ্যেই শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান। রবিবার গোহরও পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলোকে একজোট হয়ে আন্দোলনে নামার কথা বলেন। তিনি জানান, পিটিআই চলতি অর্থবছরের বাজেট এবং চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার বিরুদ্ধে একটি আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছে, যার নেতৃত্ব দেবেন দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান নিজেই- জেল থেকেই। গোহরের ভাষায়, “দলীয় কৌশল ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। ৯ জুন এ বিষয়ে আমরা একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করব।” এদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা আলী আমিন গান্ডাপুর সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, ঈদুল আজহার পর ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে একটি দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করা হবে।

জাপানে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ, আহত ৪

জাপানে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ, আহত ৪ জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ওকিনাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কাডেনা বিমান ঘাঁটিতে এক বিস্ফোরণে জাপানি আত্মরক্ষা বাহিনীর (এসডিএফ) চার সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। খবর সিনহুয়ার। সোমবার (৯ জুন) সকালে স্থানীয় সময় সাড়ে ১১টার দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এনএইচকের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটে কাডেনা ঘাঁটির একটি গোলাবারুদ ডিপোতে, যেটি এসডিএফের তত্ত্বাবধানে আছে। এসডিএফের সূত্রের বরাতে এনএইচকে জানায়, ডিপোতে বোমা নিষ্ক্রিয় করার প্রস্তুতির সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার পর আহত ওই চার সেনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তারা আঙুল পুড়ে যাওয়াসহ বেশ কিছু আঘাত পেয়েছেন। তবে আহতদের কারো অবস্থাই গুরুতর নয়। পুলিশ বর্তমানে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি তদন্ত করছে। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে জাপান ওকিনাওয়াকে রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করেছিল। ১৯৪৫ সালের ওকিনাওয়া যুদ্ধে দ্বীপটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হন। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয় যুক্তরাষ্ট্রের দখলদারিত্ব। তবে চুক্তি অনুযায়ী সেখানে তাদের সামরিক ঘাঁটি রেখে দেয়। বর্তমানে জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, তার ৭০ শতাংশই ওকিনাওয়ায় অবস্থিত।

গাজায় ঈদের দ্বিতীয় দিন ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭২

গাজায় ঈদের দ্বিতীয় দিন ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭২ পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও গাজা জুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল ঈদের দ্বিতীয় দিন দফায় দফায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু। পাশাপাশি খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে গাজা শহরের সাবরা এলাকায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ৬ শিশুসহ কমপক্ষে ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের পশ্চিমে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র লক্ষ্য করে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে একই পরিবারের ৪ সদস্যসহ ১২ জন নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। গাজা শহরের পশ্চিমে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরো ৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

আইসিসির বিচারকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানাল ইইউ

আইসিসির বিচারকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানাল ইইউ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চার বিচারকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছে ইইউ।  খবর আল জাজিরার। শুক্রবার (৬ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ একটি পোস্টে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন বলেন, “ আইসিসির বিচারকদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।” যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চার বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ ও ভিত্তিহীন পদক্ষেপ’ নেওয়ার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞাটি জারি করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার (৬ জুন) ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন বলেন, “হেগ-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রতি ইইউর ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে।” ‘এক্স’ পোস্টে তিনি আরো বলেন, “আইসিসি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের অপরাধীদের জবাবদিহি করে এবং ভুক্তভোগীদের কথা বলার সুযোগ দেয়। বিচারকদের চাপ ছাড়াই কাজ করার স্বাধীনতা থাকা উচিত।” জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টার্ক জানান, তিনি মার্কিন সিদ্ধান্তে ‘খুবই বিরক্ত।’  টার্ক বলেন, “জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিচারকদের বিচারিক কার্য সম্পাদনের জন্য তাদের উপর আক্রমণ- আইনের শাসন ও আইনের সমান সুরক্ষার প্রতি শ্রদ্ধার সরাসরি পরিপন্থি- যে মূল্যবোধের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে দাঁড়িয়ে আছে।” তিনি আরো বলেন, “এই ধরনের আক্রমণ সুশাসন ও ন্যায়বিচারের যথাযথ প্রশাসনের জন্য গভীরভাবে ক্ষতিকর।”  জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান আইসিসির বিচারকদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। ২৭টি ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের জাতীয় সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কস্তাও আইসিসিকে ‘আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিপ্রস্তর’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আইসিসিরি স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।” মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, আইসিসি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং ২০২০ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে কথিত যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা আইসিসির চার বিচারকের সবাই নারী। তারা হলেন- উগান্ডার সোলোমি বালুঙ্গি বোসা, পেরুর লুজ ডেল কারমেন ইবানেজ কারানজা, বেনিনের রেইন অ্যাডিলেড সোফি আলাপিনি গানসো এবং স্লোভেনিয়ার বেটি হোলার। ইইউ সদস্য স্লোভেনিয়া বলেছে, তারা ‘বিচারিক প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ প্রত্যাখ্যান করে’ এবং ইইউকে তার ব্লকিং আইন ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছে। স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছে, “নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকের অন্তর্ভুক্তির কারণে, স্লোভেনিয়া ব্লকিং আইনটি অবিলম্বে সক্রিয় করার প্রস্তাব করবে।” ব্লকিং আইনটি ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অ্যানেক্সে তালিকাভুক্ত আইনগুলোর সঙ্গে ‘প্রত্যক্ষ’ বা ‘পরোক্ষ’ (সাবসিডিয়ারি বা মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তিদের মাধ্যমে) সম্মতি থেকে নিষিদ্ধ করে। কিউবা এবং ইরানের সঙ্গে ইউরোপীয় বাণিজ্য নিষিদ্ধ করা থেকে ওয়াশিংটনকে বিরত রাখতে অতীতে এই আইন ব্যবহার করা হয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মানে হলো, বিচারকদের বিশেষভাবে মনোনীত অনুমোদিত ব্যক্তিদের তালিকায় যুক্ত করা হবে। তাদের যে কোনো মার্কিন সম্পদ জব্দ করা হবে এবং সেগুলো কেবল মার্কিন ব্যাংকগুলোই নয় বরং বিশ্বব্যাপী অনেক ব্যাংক দ্বারা ব্যবহৃত একটি স্বয়ংক্রিয় নজরদারি প্রক্রিয়ায় রাখা হবে, যার ফলে অনুমোদিত ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রাখা বা খোলা বা অর্থ স্থানান্তর করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে এটিই প্রথমবার নয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকটি পরেই ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে আইসিসি তদন্তে অংশগ্রহণকারী যে কাউকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেন। সেসময় সমালোচকরা সতর্ক করে বলেছিলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ন্যায়বিচারের পথকে বিকৃত করতে পারে, উদাহরণস্বরূপ, সাক্ষীদের প্রমাণ নিয়ে এগিয়ে আসতে নিরুৎসাহিত করবে। কিন্তু ট্রাম্প যুক্তি দিয়েছিলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও সাবেক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের আইসিসিরি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন ছিল। তিনি আরো দাবি করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল ‘যুদ্ধের আইন কঠোরভাবে মেনে চলা গণতন্ত্রের বিকাশ’ করছে এবং আইসিসির তদন্ত সামরিক সদস্যদের ‘হয়রানি, নির্যাতন ও সম্ভাব্য গ্রেপ্তারের’ হুমকি দিচ্ছে।

ঈদের দিনেও গাজায় নিহত ৪২, খাবার বিতরণ বন্ধ

ঈদের দিনেও গাজায় নিহত ৪২, খাবার বিতরণ বন্ধ পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও গাজা জুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (৬ জুন) ঈদের দিন দফায় দফায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা। পাশাপাশি খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খান ইউনূসের নাসের হাসপাতালে অন্তত ১৬টি মরদেহ পৌঁছেছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরের আল-শিফা হাসপাতালে ১৬ জন, গাজা শহরের আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে পাঁচজন এবং দেইর আল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে আরও পাঁচজনের মরদেহ আনা হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টার হতাহতসহ ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৬৭৭ জনে এবং এ সময় এক লাখ ২৫ হাজার ৫৩০ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছেন। উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না। ফাউন্ডেশনটির এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিতরণকেন্দ্রগুলোতে যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পরেই এসব কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ১৮ মার্চ মাসে ইসরায়েল গাজায় কঠোর অবরোধ আরোপ করার পর থেকে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি প্রবেশ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত মাসে কিছু ত্রাণ ঢুকতে দেওয়া হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা।