ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৩, অর্ধেকেরও বেশি শিশু

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৩, অর্ধেকেরও বেশি শিশু : উদ্ধারকারি গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরাইল বর্ধিত সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে রোববার ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি শিশু। গাজা উপত্যকা থেকে এএফপি এ তথ্য জানায়। সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, ভূখণ্ডের দক্ষিণে আল-মাওয়াসিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের বসবাসের কয়েকটি তাঁবুতে হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছে।

সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতই থাকবে, ভারতের বার্তা

সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতই থাকবে, ভারতের বার্তা পাকিস্তান সম্পূর্ণভাবে ‘সন্ত্রাস রপ্তানি’ বন্ধ না করা পর্যন্ত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত থাকবে— এমনটা জানিয়েছে ভারত সরকার। ভরত সরকারের জলশক্তি মন্ত্রণালয় তাদের মাসিক প্রতিবেদনে মন্ত্রিপরিষদের সচিবকে এই বার্তা দিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে ভারতের অবস্থান মন্ত্রণালয় আগে থেকেই জানিয়ে এসেছে। তবে এবার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কারণ পাকিস্তান সম্প্রতি ভারতকে ১৯৬০ সালের এই চুক্তি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে। তাদের দাবি, এই চুক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত পানির ওপর কোটি কোটি মানুষ নির্ভরশীল। গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব টি ভি সোমানাথনকে পাঠানো এক রিপোর্টে জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব দেবশ্রী মুখার্জি জানিয়েছেন, “পহেগাঁওয়ে সাধারণ নাগরিকদের ওপর ‘পাকিস্তান-প্রবর্তিত’ সন্ত্রাসী হামলার পরপরই সরকার এই চুক্তিকে ‘স্থগিত’ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়”।

উত্তর প্রদেশে ৯০ বাংলাদেশিকে আটকের দাবি ভারতীয় পুলিশের

উত্তর প্রদেশে ৯০ বাংলাদেশিকে আটকের দাবি ভারতীয় পুলিশের ভারতের উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলায় ৯০ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করার দাবি করেছে সেখানকার পুলিশ। দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল স্থানীয় নৌঝিল থানার খাজপুর গ্রামের একটি ইটভাটা এলাকা থেকে এসব বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে খাজপুর গ্রামে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন এসব বাংলাদেশি নাগরিক। মথুরার পুলিশ সুপার (এসএসপি) শ্লোক কুমার জানান, অভিযানে বেশ কয়েকটি ইটভাটায় তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে আটক করা হয় ৩৫ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও ২৮ জন শিশুকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিক বলে স্বীকার করে এবং বৈধ কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি। পুলিশ আরও জানায়, তিন থেকে চার মাস আগে প্রতিবেশী রাজ্য হয়ে তারা মথুরায় প্রবেশ করেন। আটকদের কাছ থেকে কিছু জাল আধার কার্ডও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ভুয়া নথির মাধ্যমে এসব কার্ড তৈরি করা হয়েছিল। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও অন্যান্য সহযোগীদের খুঁজে বের করতে অভিযান চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনার পেছনের চক্র এবং অনুপ্রবেশের পদ্ধতি সম্পর্কে আরও তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।

মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের দেশে ফেরার সুযোগ

মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের দেশে ফেরার সুযোগ কাগজপত্রবিহীন অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরার সময়সীমা বাড়িয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। আজ মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এ ঘোষণা করে জানান, চলতি মাসের ১৯ তারিখ থেকে শুরু হয়ে এ সুযোগ থাকবে আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রত্যাবাসনের এ কর্মসূচির মাধ্যমে জেল বা বিচারের মুখোমুখি হওয়া ছাড়াই নিজ নিজ দেশে ফেরার সুযোগ পাবেন অবৈধ প্রবাসীরা। তবে অপরাধের ধরন অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিতে হবে। মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন দেশের ২০ থেকে ৩০ লাখ অবৈধ অভিবাসী আছে বলে মনে করছে অভিবাসন খাত নিয়ে কাজ করা এশিয়ার ২০টি দেশের আঞ্চলিক সংগঠন ক্যারাম এশিয়া। তবে বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীর সঠিক কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি।

ইস্তাম্বুলে ‘শান্তি আলোচনা’য় রাশিয়া-ইউক্রেন

ইস্তাম্বুলে ‘শান্তি আলোচনা’য় রাশিয়া-ইউক্রেন তিন বছরের মধ্যে এই প্রথম শান্তি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে যুদ্ধরত দুই দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। আজ তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে দুই দেশের প্রতিনিধিদল বৈঠক করবেন। শান্তি আলোচনায় থাকবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভøাদিমির পুতিন এ আলোচনায় অংশ নেবেন না। তার অনুপস্থিতির প্রতিবাদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এ আলোচনায় যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, তুরস্কে অনুষ্ঠিতব্য ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনায় বড় কোনো অগ্রগতি হবে বলে তিনি আশাবাদী নন।

ভারত ও পাকিস্তানকে ‘একসঙ্গে নৈশভোজের’ আহ্বান ট্রাম্পের

ভারত ও পাকিস্তানকে ‘একসঙ্গে নৈশভোজের’ আহ্বান ট্রাম্পের উত্তেজনা পরিস্থিতি এড়াতে ভারত ও পাকিস্তানকে ‘একসঙ্গে নৈশভোজের’ আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত মার্কিন-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে ভাষণ দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তার হস্তক্ষেপে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধ হয়েছে বলে ফের দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমরা একটি ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারত এবং এই সংঘাত দিন দিন আরও ৃবড় হয়ে উঠছিল।ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতির পেছনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের ভূমিকারও ভূয়সী প্রশংসা করেন ট্রাম্প। বলেন, ‘জেডি ভ্যান্স এবং সেক্রেটারি রুবিওর অংশগ্রহণে মার্কিন নেতৃত্বাধীন শান্তি আলোচনার পর নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। আসুন আমরা পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবসা না করে, যে যেসব ভালো পণ্য আপনারা তৈরি করেন সেগুলোর ব্যবসা করি। হয়তো (এর মাধ্যমে) আমরা দুই দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি। ’ পাকিস্তান ও ভারতে দুই দেশেই খুব ভালো, শক্তিশালী ও বুদ্ধিমান নেতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। যদিও ট্রাম্পের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের ডিজিএমওদের মধ্যে আলোচনার পরই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করতে তিনি ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশকেই বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন,‘কয়েকদিন আগে, আমার প্রশাসন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা বন্ধে একটি ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে এবং আমি এটি করার জন্য বাণিজ্যকে অনেকাংশে ব্যবহার করেছি। আমি বলেছিলাম, বন্ধুরা, আসুন। আসুন একটি চুক্তি করি। আসুন কিছু বাণিজ্য করি। ’ ট্রাম্পের এই দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত সরকার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘মার্কিন সচিব রুবিয়ো ৮ ও ১০ মে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে এবং ১০ মে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে কথা বলেছেন। কোনো আলোচনাতেই বাণিজ্য বিষয়ক কোনো কথা উল্লেখ ছিল না। ’ প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম সৌদি আরবে গেলেন। মঙ্গলবার তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মধ্যপ্রাচ্য সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও যাবেন। এই সফরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় বিনিয়োগ টানতে চাইছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথও রয়েছেন।

সৌদি আরব ‘মহান জায়গা’, সালমান ‘অসাধারণ মানুষ’ : ট্রাম্প 

সৌদি আরব ‘মহান জায়গা’, সালমান ‘অসাধারণ মানুষ’ : ট্রাম্প  সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের আজ ৬০০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, যা আগামী কয়েক মাসে এক ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিয়াদ সফরে গেলে তার উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সৌদি যুবরাজ। এ সময় নিজের বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান অসাধারণ মানুষ। সৌদি আরব একটি মহান জায়গা। অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার দেশের ‘গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক’ রয়েছে এবং সেই অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতেই তারা বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, যৌথ বিনিয়োগ আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ ম্তম্ভ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের যৌথ তৎপরতা শুধু অর্থনীতিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং এটি সম্প্রসারিত হবে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শান্তির জন্য। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবকে একটি ‘মহান জায়গা’ ও দেশটির মানুষকে ‘মহান মানুষ’ আখ্যায়িত করেন ও মোহাম্মেদ বিন সালমানকে একজন ‘অসাধারণ মানুষ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তার বক্তৃতায় ১৪২ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র চুক্তির প্রসঙ্গও এসেছে। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। প্রিন্স সালমানকে উদ্দেশ্য করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন ‘আপনি দারুণ কিছু কাজ করেছেন। গতকাল আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ ও শক্তিশালী হলো এবং যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী করতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম সৌদি আরবে গেলেন। মঙ্গলবার তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মধ্যপ্রাচ্য সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও যাবেন। এই সফরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় বিনিয়োগ টানতে চাইছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথও রয়েছেন।

গ্রিসের উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প

গ্রিসের উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, তা মিসরের উপকূলেও অনুভূত হয়েছে। আজ জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজি) জানিয়েছে, ক্রিট দ্বীপের উপকূলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৮৩ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। দেশটির জাতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান ও ভূবিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি মিসরের উত্তর উপকূল থেকে প্রায় ৪৩১ কিলোমিটার দূরে ৬ দশমিক ৪ মাত্রায় রেকর্ড করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপকূলীয় এলাকায় মাঝারি মাত্রার এই ধরনের ভূমিকম্পে সচরাচর বড় ধরনের ক্ষতি হয় না। তবে পরবর্তী কোনো ধরনের আফটারশক বা কম্পনের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

দ্বিতীয় মেয়াদে  প্রথম সরকারি সফরে সৌদি আরবে ট্রাম্প

দ্বিতীয় মেয়াদে  প্রথম সরকারি সফরে সৌদি আরবে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম সৌদি আরবে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিন দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরে কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও যাবেন ট্রাম্প। এই সফরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় বিনিয়োগ টানতে চাইছেন। মঙ্গলবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সৌদি আরবে পৌঁছে দেশটির রাজধানী রিয়াদের কিং খালিদ বিমানবন্দরে প্রাথমিকভাবে এক বৈঠকে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মোহাম্মদ বিন সালমান। বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও উপস্থিত রয়েছেন। ট্রাম্পের জন্য রিয়াদে এক জাঁকজমকপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এ সফরে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথও রয়েছেন। এর আগে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেও ঐতিহ্য ভেঙে প্রথম সফর হিসেবে সৌদি আরবকে বেছে নিয়েছিলেন। সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্টরা প্রথমে যুক্তরাজ্য, কানাডা বা মেক্সিকো সফর করেন। আল-জাজিরা জানিয়েছে, সৌদি আরবে ট্রাম্পের লক্ষ্য হলো মার্কিন শিল্পখাতে এক ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। এই অঙ্ক সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আগের ঘোষিত ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির তুলনায় অনেক বেশি। মার্কিন সময় ভোর ২টা ৪৯ মিনিটে (সৌদি সময় সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটে) এয়ার ফোর্স ওয়ান রিয়াদে অবতরণ করে। সৌদি আকাশসীমায় প্রবেশের সময় এফ-১৫ যুদ্ধবিমানগুলো তাকে ঘিরে রাখে, যা কূটনৈতিক সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

৯০ দিনের জন্য পারস্পরিক শুল্ক প্রত্যাহারে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র-চীন

৯০ দিনের জন্য পারস্পরিক শুল্ক প্রত্যাহারে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র-চীন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন প্রাথমিকভাবে ৯০ দিনের জন্য একে অপরের পণ্যের ওপর শুল্ক ব্যাপকভাবে প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছে। সোমবার (১২ মে) দুই দেশের এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির কর্মকর্তাদের সপ্তাহান্তে ম্যারাথন বাণিজ্য আলোচনার পর এই ঘোষণা আসলো। যৌথ বিবৃতি অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের উপর সাময়িকভাবে তার শুল্ক ১৪৫ শতাংশ থেকে ৩০ এ কমিয়ে আনবে। অন্যদিকে চীন আমেরিকান আমদানির উপর তার শুল্ক ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করবে। বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের তুলনামূলক কিছুটা বেশি শুল্ক আরোপ বজায় রাখার লক্ষ্য হলো, শক্তিশালী ওপিওয়েড ড্রাগ ফেন্টানাইলের অবৈধ ব্যবসা রোধে বেইজিংয়ের উপর আরো চাপ সৃষ্টি করা। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, সমস্যা মোকাবিলায় চীনের আগ্রহ দেখে তারা ইতিবাচকভাবে অবাক হয়েছেন। যৌথ বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে, ৯০ দিনের জন্য এই শুল্ক বিরতি বুধবার (১৪ মে) থেকে শুরু হবে।  এতে আরো বলা হয়েছে, উভয় দেশ ‘অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করবে’। পরবর্তী আলোচনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা কোনো সম্মত তৃতীয় পক্ষের দেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে। এর আগে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বড় অগ্রগতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার (১১ মে) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সুইজারল্যান্ডে চীনের সঙ্গে ভালো বৈঠক হয়েছে। অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে; অনেক ক্ষেত্রেই ঐকমত্য হয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক পদ্ধতিতে পুরো বিষয়টি নতুন করে সাজানো হয়েছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের কল্যাণে আমরা দেখতে চাই, মার্কিন ব্যবসার-বাণিজ্যের জন্য চীন দুয়ার খুলে দিচ্ছে। বড় অগ্রগতি হয়েছে।’ গত কয়েক দিন ধরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা চলছে। এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এবং চীন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হি লাইফেং।