ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না: যৌথ বিবৃতিতে জি৭

ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না: যৌথ বিবৃতিতে জি৭ কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত অর্থনৈতিক জোট জি৭ একটি যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাতে ‘উত্তেজনা কমানোর’ আহ্বান জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার। কানাডায় ৫১তম শীর্ষ সম্মেলনের জন্য বৈঠকে থাকা জি-৭ দেশগুলো তাদের যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। আরো বলা হয়েছে, ‘ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না’। বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা নিশ্চিত করছি, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে স্পষ্ট করে বলেছি, ইরান কখনই পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না।” “আমরা জোর দিয়ে বলছি যে, ইরানি সংকটের সমাধানের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপকভাবে শত্রুতা হ্রাস পাবে, যার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতিও অন্তর্ভুক্ত।” মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার কারণে কানাডায় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে একদিন আগেই ফিরছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবিলম্বে তেহরান খালি করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প তার মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে বলেছেন, “ইরানের পারমাণবিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করা উচিত ছিল। আমি তাদের চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছিলাম। এটা লজ্জার, আর মানব জীবনের ক্ষতি। সাধারণভাবে বলছি: ইরান কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে পারবে না। আমি এটি বারবার বলেছি। সবাই জরুরিভিত্তিতে তেহরান খালি করে দিন।” ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে মাখোঁ সাংবাদিকদের জানান, “এই প্রস্তাবটি আলোচনা শুরু করার জন্য।” ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফরাসি ভাষায় বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাত থামাতে সক্ষম হয়, তা খুবই ভালো বিষয় এবং ফ্রান্স তা সমর্থন করবে এবং আমরা এ জন্য শুভকামনা জানাই। তিনি আরো বলেন, “উভয় পক্ষেরই হামলা বন্ধ করা উচিত, বিশেষ করে নিরীহ জনসংখ্যার ওপর সমস্ত হামলা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া জরুরি।” এ ধরনের কোনো হামলা কখনোই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার কারণে কানাডায় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে একদিন আগেই ফিরছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবিলম্বে তেহরান খালি করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, “ইরান আমার প্রস্তাবিত চুক্তি মেনে নিলে আজকের প্রাণহানি এড়ানো যেত। এটা দুঃখজনক ও অনর্থক প্রাণহানি। পরিষ্কার করে বলছি—ইরান পারমাণবিক অস্ত্র গ্রহণ করতে পারে না। আমি বারবার এটা বলেছি!” যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘তেহরান খালি করার’ আহ্বানকে “ভয়াবহ ও চরমভাবে উদ্বেগজনক” বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের থিঙ্ক ট্যাংক ‘সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসি’-এর নির্বাহী সহসভাপতি ম্যাথিউ ডাস। তিনি আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এটা আসলে ভয়াবহ। তেহরান একটি মহানগরী যেখানে ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ বাস করে। এই বিশাল জনসংখ্যাকে হঠাৎ করে সরিয়ে নেওয়া এক কথায় অসম্ভব। তেলের সংকটের মধ্যে মানুষকে পায়ে হেঁটে পালাতে হবে- এটা এক ভয়ঙ্কর কল্পনা।” দুর্ভাগ্যবশত, ডোনাল্ড ট্রাম্প যা বলছেন তা কতটা গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত তা জানা কঠিন… তবুও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন রাষ্ট্রপতির এই ধরণের ভাষা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমাদের সকলের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত,” তিনি বলেন। ডাস আরো বলেন, “ট্রাম্প যা বলেন, তার কতটুকু গুরুত্ব দেওয়া উচিত সেটা বোঝা কঠিন হলেও, এমন ভাষা একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে শোনা গভীর উদ্বেগের বিষয়। আমাদের সবার সতর্ক হওয়া উচিত।” এর আগে ট্রাম্প তার ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, “সবাই এখনই তেহরান ছেড়ে চলে যাও!” ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধের মধ্যে ট্রাম্প কেন এমন বিবৃতি দিলেন সেটি স্পষ্ট নয়। তবে বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্য হলো ইরানি কর্মকর্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যেকোনো চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা, তার মনে যে চুক্তিই থাকুক না কেন। ইরানের গোপন পারমাণবিক স্থাপনা ‘ফোরদো’-তে হামলা চালানোর ক্ষমতা একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেরই রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত মাইকেল হেরজোগ। তার এই বক্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে হেরজোগ বলেন, “ফোরদো একটি গভীর ভূগর্ভস্থ স্থাপনা। যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই কেবল এমন বোমা আছে যা সেখানে আঘাত হানতে পারে।” তিনি আরো বলেন, “ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রতিরোধে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।” ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনাটি ইরানের একটি পাহাড়ি অঞ্চলে গভীরভাবে ভূগর্ভে অবস্থিত। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মন্তব্য ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল হতে পারে। এদিকে, ইরান এখনো বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পরিচালিত। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর সন্দেহ, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে।
ইরানের সাথে ‘সমন্বিত’ভাবে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথি

ইরানের সাথে ‘সমন্বিত’ভাবে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথি ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথিরা রোববার জানিয়েছে, ইরানের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ বোমা হামলার পর ইরান পাল্টা হিসাবে ইসরাইলে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সানা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। হুথিরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা মধ্য ইসরাইলে ‘ইসরাইলের সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তু লক্ষ্য করে সামরিক হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। রাজধানী সানাসহ ইয়েমেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখলকারী এই গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা ‘গত ২৪ ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন সময়ে’ ‘বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি ২ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ দিয়ে এই অঞ্চলকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। হুথিরা জানিয়েছে, তাদের হামলা ‘ইরানি সামরিক বাহিনীর পরিচালিত অভিযানের সাথে সমন্বিত’ ছিল। গত ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হুথিরা ইসরাইল এবং ইসরাইল-সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা শুরু করে। ইসরাইল ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অসংখ্য হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সানার বন্দর এবং বিমানবন্দর।
ইরানের ৯ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহতের দাবি ইজরাইলের

ইরানের ৯ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহতের দাবি ইজরাইলের ইসরাইলি সামরিক বাহিনী শনিবার জানিয়েছে, আগের দিন শুক্রবার ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে তাদের বিমান হামলায় নয়জন শীর্ষস্থানীয় ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। জেরুজালেম থেকে এএফপি এ খবর জানায়। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে নিহতদের নাম উল্লেখ করে বলেছে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন-এর শুরুতে ইসরাইলি বিমান বাহিনীর হামলায় ইরান সরকারের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নয়জন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞ নিহত হয়েছেন।’ সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘তাদের নির্মূল করা ইরানি শাসকগোষ্ঠীর গণবিধ্বংসী অস্ত্র অর্জনের ক্ষমতার ওপর একটি চরম আঘাত।’ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ‘গোয়েন্দা অধিদপ্তর কর্তৃক সংগৃহীত সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের’ ভিত্তিতে এই হামলা চালানো হয়েছে।
৬ বিজ্ঞানী নিহত, জরুরি অধিবেশন ডেকেছে ইরান

৬ বিজ্ঞানী নিহত, জরুরি অধিবেশন ডেকেছে ইরান ইরানের রাজধানী তেহরানে পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাকে মূল লক্ষ্যবস্তু করে দেশটিতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আজ ইরানের স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এর কিছু সময় পর, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ইফি ডেফ্রিন শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইরানে ১০০টির বেশি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে ২০০টির বেশি যুদ্ধবিমান। এমন প্রেক্ষাপটে পার্লামেন্টে জরুরি অধিবেশন ডেকেছে ইরান। ইরান ইন্টারন্যাশনালের লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা এবং ফরেন পলিসি কমিটি শুক্রবার জরুরি অধিবেশনে বসবে। দেশটির সিনিয়র একজন আইনপ্রণেতা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়লের হামলায় ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে নিহত হয়েছেন, দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি। খতম-আল আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের কমান্ডার ঘোলামালি রশিদও নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলের অতর্কিত হামলায় ইরানের ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। তাদের একজন হলেন, ফেরেয়দুন আব্বাসি। আব্বাসি ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা, এইওআই-এর সাবেক প্রধান। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা দায়িত্বে আছে এইওআই। ইসরায়েলের হামলায় নিহত অপর বিজ্ঞানীর নাম মোহাম্মদ মেহেদী তেহরানচি। তিনি তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি। তবে বাকি চারজন নিহত বিজ্ঞানীর নাম এখন পর্যন্ত জানায়নি দেশটি। ইরান ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলী খামেনির শীর্ষ উপদেষ্টা শামখানি নিহত হয়েছেন। তার নিজ বাসভবনে হামলা চালায় ইসরায়েল। তবে খামেনি অক্ষত আছেন বলে নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে। এদিকে সর্বশেষ খবর অনু্যায়ী, ইরান ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ১০০টি ড্রোন ছুড়েছে।
উড়োজাহাজ বিপর্যয়ের পর আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদী

উড়োজাহাজ বিপর্যয়ের পর আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদী আহমেদাবাদের মেঘানিনগরে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার সকাল নয়টার দিকেঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মোদি। মোদির সাথে ছিলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিঞ্জরাপু, এই দফতরের প্রতিমন্ত্রী মুরলীধর মহল, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী উপেন্দ্র প্যাটেল, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি, আমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক প্রমুখ। এরপর সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী চলে যান আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে। এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুর্ঘটনাগগ্রস্ত ওই বিমানটিতে আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী রমেশ বিশ্ব কুমারসহ অন্য আহত চিকিৎসক ও স্থানীয় ব্যক্তিরা। আহতদের সাথে কথা বলে তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে খোঁজখবর নেন মোদি। আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন ‘বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী রমেশ বিশ্বকুমার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। তিনি তার ভাই অজয় কুমার রাকেশের সাথে যুক্তরাজ্যে ফিরে যাচ্ছিলেন। তিনি বিমানের ১১এ আসনে বসেছিলেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন।’ অন্যদিকে রমেশ জানান ‘টেক অফের মাত্র ৩০ সেকেন্ড পর হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয় এবং এরপর সেটি ভেঙে পড়ে।’ বৃহস্পতিবারই হাসপাতালে গিয়ে তাকে দেখে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদের মেঘানিনগর এলাকায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের দিকে উড়ে যাচ্ছিল ওই বিমানটি। এদিন দুপুরে ২৩ নম্বর রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমানটি বিমানবন্দরের কাছেই বাইরামজি জিজিভয় (বি.জে) মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে ভেঙে পড়ার আগে মাটি থেকে দুইটি জেট ইঞ্জিন বিশিষ্ট ওই বিমানটি ৬২৫ ফুট উঁচুতে ছিল বলে জানা যায়। বিমানবন্দরের ভিতরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে বিমানবন্দর থেকে উন্নয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিমানটি বাম দিকে হেলে পড়তে থাকে। একইসঙ্গে ওপরে ওঠার পরিবর্তে লেজের অংশটি নিচের দিকে নামতে নামতে হঠাৎ মাটিতে ভেঙে পড়ে। বিবামবন্দার থেকে টেকঅফ’এর পরেই বিমানের পাইলট ‘মে-ডে কল’ (বিপদ সংকেত) পাঠান ‘এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল’ (এটিসি)-তে। এরপর এটিসি থেকে বিমানটির সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায় নি। তারই কয়েক সেকেন্ড পরে বিমানবন্দরের খুব কাছেই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বি.জে হাসপাতালের ভবনে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই বিমানটিতে বিমানকর্মী এবং যাত্রী মিলিয়ে ২৪২ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী এবং ২ জন পাইলট ও ১০ কেবিন ক্রু সদস্য। যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিকের ছাড়াও ৬১ জন বিদেশি নাগরিক ছিলেন; এদের মধ্যে ৫৩ ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগাল এবং কানাডার ১ জন নাগরিক ছিলেন।
ভারতে বিমান বিধ্বস্তে ২৪২ আরোহীর সবাই নি*হত

ভারতে বিমান বিধ্বস্তে ২৪২ আরোহীর সবাই নি*হত ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ এ তথ্য জানিয়েছে। আজ দুপুরে সেখানকার সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে বিমানটি রওনা দেয়। উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানে যে ২৪২ আরোহী ছিলেন তাদের মধ্যে ২৩০ জন ছিলেন সাধারণ যাত্রী। আর বাকি ১২ জন ছিলেন ক্রু। বিমানটিতে করে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান নাগরিক। আহমেদাবাদ সিটি পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক বার্তাসংস্থা এপিকে এর আগে জানান, দুর্ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে বিমানটির কোনো আরোহী বেঁচে নেই। তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে বিমান বিধ্বস্তে কেউ বেঁচে নেই। এটি আছড়ে পড়েছে আবাসিক এলাকায়। এতে স্থানীয় কিছু মানুষও হয়ত মারা গেছে। সব মিলিয়ে কতজনের মৃত্যু হয়েছে সেটি নিরূপণ করা হচ্ছে।” ভারতে বিমানটি পাখির আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে ভারতের এ ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পর অনেকটা দুলতে দুলতে বিমানটি এগিয়ে যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই এটি বিধ্বস্ত হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার এ বিমানটি সেখানকার একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আঘাত হানে। বিমান চলাচল বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, বিমানটি উড্ডয়ন করার সঙ্গে সঙ্গে সম্ভবত এটিতে কয়েকটি পাখি আঘাত হেনেছিল। এতে করে পূর্ণ উড্ডয়নের জন্য যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন ছিল বিমানটি সেটি হারিয়ে ফেলেছিল। ফলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও বিমানটি আর উপরের দিতে নিতে পারেননি পাইলট। সাবেক ক্যাপ্টেন সৌরভ ভাটনাগর নামের এ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “প্রথমত মনে হচ্ছে, একাধিক পাখির ধাক্কায় দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। উড্ডয়নটি নিখুঁত ছিল। কিন্তু ল্যান্ডিং গিয়ারটি উপরে তোলার আগেই বিমানটি নিচে নামা শুরু করে। এমনটি সাধারণত হয় যখন ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় অথবা বিমান আকাশে থাকার সামর্থ হারিয়ে ফেলে। তদন্তে আসল কারণ বেরিয়ে আসবে।” তিনি আরও বলেন, “ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে উড্ডয়নটি বেশ সুন্দরভাবে হয়েছিল। এছাড়া বিমানটিও নিয়ন্ত্রিতভাবে নিচে নেমে আসে। পাইলট মে ডে কল করেছিলেন। যার অর্থ ওই সময় জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।”
ভারতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কমপক্ষে ১৩৩ জন নিহ*ত

ভারতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কমপক্ষে ১৩৩ জন নিহ*ত ভারতের আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর সবশেষ কমপক্ষে ১৩৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতের এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ এক লাইভ প্রতিবেদনে ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ ১৮’ এ খবর জানিয়েছে। এর আগে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১৭ মিনিটে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে উড্ডয়নের পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান যাত্রী ছিলেন। প্রতিবেদনে নিউজ ১৮ জানিয়েছে, আহমেদাবাদের মেঘানীনগর এলাকার কাছে প্রচণ্ড ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী পৌঁছেছে এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া দলগুলোকে কাজ করছে। কর্তৃপক্ষ এখনো দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নাইডুর সাথে দুর্ঘটনার বিষয়ে কথা বলেছেন। মোদি দুই মন্ত্রীকে আহমেদাবাদে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সকল সম্ভাব্য সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে বলেছেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল বলেছেন, কর্মকর্তাদের ‘তাৎক্ষণিক উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম’ পরিচালনা করার এবং ‘যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে’ ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরন এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিধ্বংসী এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। এই মুহূর্তে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হল সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা করা।
প্লেনটি আছড়ে পড়ে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে, বহু শিক্ষার্থী নি*হতের শঙ্কা

প্লেনটি আছড়ে পড়ে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে, বহু শিক্ষার্থী নি*হতের শঙ্কা ভারতের আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়াল দেয়ার পাঁচ মিনিট যেতে না যেতেই প্লেনটি আছড়ে পড়ে লোকালয়ে। বিমানবন্দর থেকে বেশি দূর যেতে পারেনি এটি। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ২৩০ যাত্রী ও ১২ জন ক্রুসহ প্লেনটি ভেঙে পড়ে মেঘানি নগর এলাকায় একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর। এতে হোস্টেলের ভবনও চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। যে কারণে দুর্ঘটনার সময়ে যারা ওই হোস্টেলে অবস্থান করছিলেন, সকলেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্র বলছে, আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা থাকতেন ওই হোস্টেলের। প্রায় ৫০ জন ইন্টার্ন থাকতেন সেখানে। ওই ভবনের পাশের একটি বিল্ডিংয়ে থাকেন রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা। তারা সকলেই অহমদাবাদের সিভিল হাসপাতালে কর্মরত। তবে ওই হোস্টেলসহ সেখানের হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তথ্য জানা যায়নি। অসমর্থিত একটি সূত্র বলছে, ১৫ জন চিকিৎসক আহত হয়েছেন। আহমেদাবাদের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী প্লেনটি চিকিৎসকদের একটি হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়েছে। পুলিশ, দমকল কর্মী এবং অন্যান্য সংস্থার কর্মীরা অল্পক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। উদ্ধারতৎপরতা চলমান রয়েছে। এ দুর্ঘটনায় অনেক তরুণের প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এক কর্মকর্তা। নিহতরা ওই হোস্টেলের শিক্ষার্থী কি না তা স্পষ্ট করেননি তিনি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আহমেদাবাদের ইতিহাসে এটি অন্যতম একটি কালো দিন। আমরা এত তরুণের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি। ’এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ নম্বরের প্লেনটি আজ দুপুর ১টা ১০ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ে। ব্রিটেনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল সেটি। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকালয়ের মাঝে প্লেনটি ভেঙে পড়ে। দূর থেকে আগুন এবং কালো ধোঁয়া দেখা যায়। ভেঙে পড়ার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কী কারণে প্লেনটি ওড়ার কিছু সময় পরই আছড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হলো, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, প্লেনটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য। সরকারি সূত্র বলছে, দুর্ঘটনাকবলিত প্লেনেটি বোয়িং সংস্থার বি-৭৮৭ ড্রিমলাইনার ছিল। ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন কানাডিয়ান নাগরিক এবং সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। বিমানের দুই পাইলটের নাম ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়াল এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর। ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, প্লেনটির পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল একজন এলটিসি ছিলেন। তার ৮২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। কো-পাইলটের ১১০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। এলটিসির অর্থ হল লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন, অর্থাৎ তিনি অন্য পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতেন।
ভারতে ২৪২ যাত্রী নিয়ে লন্ডনগামী বিমান বি*ধ্বস্ত, বহু মৃ*ত্যুর আ*শঙ্কা

ভারতে ২৪২ যাত্রী নিয়ে লন্ডনগামী বিমান বি*ধ্বস্ত, বহু মৃ*ত্যুর আ*শঙ্কা ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লন্ডনগামী বিমানটিতে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু ছিলেন। এই ঘটনায় বহু যাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।বিমানটি নিচু হয়ে উড়ে যাওয়ার ও উচ্চতা বাড়ানোর চেষ্টা করার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ছে এবং পরবর্তীতে আগুনের কুণ্ডলীতে পরিণত হচ্ছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ৩৮ মিনিটে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে উড়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আহমেদাবাদ-লন্ডন গ্যাটউইক চলাচলকারী ফ্লাইট নং এআই ১৭১ আজ একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এই মুহূর্তে, আমরা বিস্তারিত তথ্য যাচাই করছি এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আরো আপডেট শেয়ার করব।” বিমানটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়ায় বহু প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দমকল বাহিনীর ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। পাশাপাশি উদ্ধারকাজে অংশ নিতে জরুরি সেবা সংস্থাগুলোকেও তৎপর করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কীভাবে এ ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ইসরায়েলি দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যসহ পাঁচ দেশের নিষেধাজ্ঞা

ইসরায়েলি দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যসহ পাঁচ দেশের নিষেধাজ্ঞা গাজা যুদ্ধ ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের দুই ডানপন্থী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও নরওয়ে। গতকাল এক যৌথ ঘোষণায় দেশগুলো জানায়—অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং যুক্তরাজ্যে তাদের সব সম্পদ জব্দ করা হবে। এ পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এলো, যখন ইসরায়েলের গাজা অভিযান ও পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ বাড়ছে। এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থান থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিন্নমতও নির্দেশ করে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, স্মোত্রিচ ও বেন গভির এমন ভাষা ব্যবহার করেছেন যা ভয়ংকরভাবে চরমপন্থী ও সহিংসতা উসকে দেয়। এটি শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, ইসরায়েল সরকারের উচিত এমন বক্তব্য থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়া এবং তা স্পষ্টভাবে নিন্দা করা। স্মোত্রিচ ও বেন গভির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন কট্টর ডানপন্থী জোটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তাদের একজন পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন করে বসবাস করেন এবং দুইজনই গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের ‘পুনর্বাসনের’ নামে উচ্ছেদের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। আন্তর্জাতিক মহলে তাদের এসব বক্তব্য ও অবস্থান ব্যাপকভাবে সমালোচিত। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবরণে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের শুরু থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি চরমপন্থী বসতি স্থাপনকারীরা অন্তত ১,৯০০টি হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর। বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞা গাজার চলমান সংঘাত থেকে আলাদা নয় বরং একটি বৃহত্তর মানবিক ও রাজনৈতিক বার্তার অংশ। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, পাঁচ দেশ চায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক, হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিক এবং ভবিষ্যতে দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক রাজনৈতিক সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়া হোক—যেখানে হামাসের কোনো রাজনৈতিক ভূমিকা থাকবে না। এর আগেও যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল মুক্ত বাণিজ্য আলোচনার স্থগিতাদেশ, ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব এবং কিছু সহিংস বসতি স্থাপনকারী ও সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপকে “অসাংবিধানিক ও অগ্রহণযোগ্য” বলে অভিহিত করেছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা কেবল প্রতীকী নয়, বরং গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের কার্যক্রম নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের প্রতিচ্ছবি।