পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাত, ১৯ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাত, ১৯ জনের মৃত্যু ভারী বৃষ্টিপাতে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখওয়া এবং রাজধানী ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে ঘরবাড়ি ধস ও পানিতে ডুবে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগামী দুই দিন দেশটির বিভিন্ন অংশে ভারি বর্ষণ ও বন্যার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর দ্য ডনের। পাকিস্তানের জাতীয় জরুরি পরিচালনা কেন্দ্র সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধান নদীগুলোর উজানে এবং বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এতে করে বেশ কয়েকটি এলাকায় হঠাৎ বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। এই সতর্কতার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষ করে বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রদেশটির বিভিন্ন অংশে হওয়া ভারী বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ধসে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রদেশটির অন্তত ২২টি জেলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ওয়াশুক, আওরান, ঝাল ম্যাগসি, খুজদার, মুসাখাইল, কিলা সাইফুল্লাহ, বারখান, কহলু, লোরালাই, ও ঝব-শেরানি জেলার বিভিন্ন এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি শহরের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনায় অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু। পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খাইবার পাখতুনখাওয়ার মালাকান্দ, বুনের, মানসেহরা ও কারাক জেলায় বৃষ্টির কারণে আরও ৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আাগামী দুই দিনের জন্য দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ভারি বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির সতর্কতা জারি করেছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (এনইওসি)।
ভারতে জ্যোতি মালহোত্রাকে ঘিরে বিতর্কে জড়িয়ে গেল কেরালা সরকার

ভারতে জ্যোতি মালহোত্রাকে ঘিরে বিতর্কে জড়িয়ে গেল কেরালা সরকার পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ভারতের হরিয়ানার সিরসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে নিয়ে নতুন এক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই ট্রাভেলার ব্লগারকে দক্ষিণ রাজ্য কেরালার পর্যটন শিল্পের প্রচারের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সর্বভারতীয় এক গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, তথ্য জানার অধিকারের (আরটিআই) আওতায় পাওয়া এক প্রশ্নের উত্তরে জানা গেছে, কেরালা সরকার বিশ্বের পর্যটকদের কাছে রাজ্যের পর্যটন শিল্প তুলে ধরার জন্য নির্বাচিত ৪১ জন ইনফ্লুয়েন্সারের সফরের সম্পূর্ণ খরচ (যাতায়াত, থাকা ও খাওয়া) বহন করেছিল। এই প্রচারণার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে ভিডিও ধারণের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। এই ৪১ জন ইনফ্লুয়েন্সারের তালিকায় জ্যোতি মালহোত্রার নামও ছিল। এ ঘটনা সামনে আসার পর বিরোধী দলগুলো কেরালা সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করছে। তবে কেরালার পর্যটনমন্ত্রী পিএ মোহাম্মদ রিয়াজ বলেন, “জ্যোতি মালহোত্রাকে অন্যান্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সবকিছুই স্বচ্ছতা ও সদিচ্ছার সঙ্গে করা হয়েছিল। এটা কোনো গুপ্তচরবৃত্তি সহায়তাকারী সরকার নয়। মিডিয়াকে বুঝতে হবে সরকার কীভাবে কাজ করে। এটা আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব ছিল না।” তিনি আরো বলেন, এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচারণা’ এবং ‘সরকার কখনও সচেতনভাবে কোনো গুপ্তচরকে আমন্ত্রণ করবে না।’ বিরোধী দলগুলো, বিশেষ করে কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে- ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যাকগ্রাউন্ড যথাযথভাবে যাচাই না করে কেন তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিজেপির মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়াল্লা এক্স পোস্টে লিখেছেন, আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত জ্যোতি মালহোত্রাকে বামপন্থি সরকার রাজ্যের অতিথি হিসেবে পর্যটন দপ্তরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। যখন ভারত মাতা অবরুদ্ধ তখন পাকিস্তানের গুপ্তচর লাল গালিচার সংবর্ধনা পাচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বিজয়নের জামাতা ও পর্যটন মন্ত্রী মোহাম্মদ রিয়াজকে বরখাস্ত করা উচিত। কেরালা সফরের সময় জ্যোতি মালহোত্রা কোচি, কান্নুর, কোঝিকোড়, আলাপ্পুঝা, মুনার এবং তিরুবনন্তপুরম ঘুরে দেখেছিলেন। তিনি থেয়্যাম পারফরম্যান্স এবং রাজ্যের বিভিন্ন সৌন্দর্যপূর্ণ স্থান নিয়ে ভিডিও তৈরি করে সেগুলো তার ইউটিউব চ্যানেল ‘ট্রাভেল উইথ জো’ এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন। তবে ৩৩ বছর বয়সী এই ভ্লগারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচর ভিত্তির অভিযোগ ওঠার আগেই তিনি কেরালা ভ্রমণে গিয়েছিলেন। পরে পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলা ও পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করার পর তাকে গত মে মাসে গ্রেপ্তার করা হয়। হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা তাকে ‘অ্যাসেট’ হিসেবে গড়ে তুলছিল। পাকিস্তানের লাহোরে তার কেনাকাটার একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে একে-৪৭ হাতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য দ্বারা তাকে পাহাড়া দিতে দেখা গেছে, যা একজন সাধারণ ভ্লগারের জন্য অস্বাভাবিক। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন জ্যোতি মালহোত্রার ভিডিওগুলো নিয়ে তদন্ত করছে। মূলত ভিডিও করার আড়ালে তিনি পাকিস্তানের গুপ্তচর হয়ে কাজ করছিলেন কিনা তা জানার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ভারতের পুলিশ তার বিরুদ্ধে পেহেলগামে হামলার আগে পাকিস্তান সফরের প্রমাণ পায়। ওই হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছিল।
পাঞ্জাবে বাস উল্টে নিহত ১০

পাঞ্জাবে বাস উল্টে নিহত ১০ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে আজ সোমবার সকালে যাত্রীবোঝাই একটি মিনিবাস উল্টে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি কমপক্ষে ২৪ জন। ঘটনা পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের। পুলিশ জানিয়েছে, মোট ৪০ জন যাত্রী ছিলেন বাসটিতে। হাজিপুর থেকে দাসুয়া যাচ্ছিল মিনিবাসটি। ভোরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বাসটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৮ জন। বাকি ৩২ জন যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দাসুয়া সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান আরো দুজন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দ্রুত গতিতে আসা বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এরপরেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পুলিশে খবর দেওয়ার পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাসটিতে যান্ত্রিক সমস্যা ছিল, নাকি চালকের ভুলের জন্য এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।
টেক্সাসে আকস্মিক বন্যায় মৃত্যু ৫১ জনের, নিখোঁজ বহু শিশু

টেক্সাসে আকস্মিক বন্যায় মৃত্যু ৫১ জনের, নিখোঁজ বহু শিশু যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের মধ্যাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় ১৫ শিশুসহ অন্তত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে আজ বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৮৫০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। বন্যায় সবচেয়ে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের কের কাউন্টি। সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩ জন। গুয়াদালুপে নদীর তীরে অবস্থিত একটি খ্রিস্টান শিশু-ক্যাম্প থেকে নিখোঁজ রয়েছে আরও ২৭ জন শিশু। কের কাউন্টির শেরিফ ল্যারি লেইথা বলেন, যতক্ষণ না প্রত্যেক নিখোঁজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ উদ্ধার অভিযান থামবে না। টেক্সাসের ট্র্যাভিস কাউন্টি ও টম গ্রিন কাউন্টি থেকেও প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। রাজ্যের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সম্মত ইসরাইল

গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সম্মত ইসরাইল হামাস ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত বলে জানানোর পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি প্রতিনিধিদলকে কাতারে পাঠাচ্ছেন। গাজা থেকে এএফপি জানিয়েছে, এই দল যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে রওয়ানা দিবে। তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির খসড়া নিয়ে হামাস যে সংশোধনী দিয়েছে, তা ইসরাইলের কাছে ‘অগ্রহণযোগ্য’। আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে ট্রাম্প প্রায় ২১ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধ থামাতে নতুন করে চেষ্টা শুরু করেছেন। এদিকে এমন প্রচেষ্টা চলার সময়ে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, গতকাল ইসরাইলি হামলায় সেখানে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে।
টেক্সাসে বন্যায় মৃ*ত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৪

টেক্সাসে বন্যায় মৃ*ত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৪ টেক্সাস রাজ্যে শুক্রবার আকস্মিক বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। মেয়েদের একটি গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প থেকেও ২৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। টেক্সাস গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট বলেছেন, রাতভর অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে, যদিও টেক্সাস কর্মকর্তারা নিখোঁজ ব্যক্তিদের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেননি। নদীতে পানি বাড়ার আগে জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল। টেক্সাসের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক বলেন, মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যে গুয়াডালুপ নদীর পানি ২৬ ফুট বেড়ে যায় এবং এটি একটি ধ্বংসাত্মক বন্যা হয়ে ওঠে, যা দুর্ভাগ্যবশত সম্পদ ও প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোর কাছে ১৪টি হেলিকপ্টার, ১২টি ড্রোন, ৯টি উদ্ধার দল এবং জলে সাঁতারে পারদর্শী কর্মী রয়েছে মোট ৪০০-৫০০ জন মাঠে কাজ করছেন। এলাকায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেকের সাথে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে যার মধ্যে সেই গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পের মেয়েরাও রয়েছে। শুক্রবার সকালে, রাজ্যে আকস্মিক বন্যার কারণে হিল কান্ট্রি এবং কনচো ভ্যালি নিজেদের দুর্গত অঞ্চল ঘোষণা করে। কার কাউন্টিতে শেরিফ অফিসও সেখানে গুরুতর বন্যার কথা জানিয়েছে, যেখানে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ এবং প্রাণহানির ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হা*মলা*য় আরও ১৩৮ জন নি*হত

গাজায় ইসরায়েলি হা*মলা*য় আরও ১৩৮ জন নি*হত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে একদিনে ১৩৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬২৫ জন। ৪ জুলাই সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, ইসরায়েলি বাহিনীর বৃহস্পতিবার-শুক্রবারের অভিযানে গাজায় গত ২১ মাসে মোট নিহতের সংখ্যা ৫৭ হাজার ২৬৮ জন এবং আহতের সংখ্যা এক লাখ ৩৫ হাজার ১৭৩ জনে পৌঁছেছে। আহত ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে চাপা পড়ে আছে। তাদের উদ্ধার করা যায়নি। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, সোমবারের পর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৯২৭ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছে আরও এক লাখ ২৬ হাজার ২২৭ জন ফিলিস্তিনি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিকগোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে এক হাজার ২শ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা। হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাস বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির দুই মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে আবারও গাজায় অভিযান চালায় আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত আড়াই মাসে গাজায় নিহত হয়েছে ছয় হাজার ৭১০ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছে আরও প্রায় ২৩ হাজার ৫৮৪ জন।
করাচিতে ভবন ধসে নিহত ১৪, ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন অনেকে

করাচিতে ভবন ধসে নিহত ১৪, ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন অনেকে করাচির লিয়ারির বাগদাদী এলাকায় শুক্রবার ৪ জুলাই ধসে পড়া একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে অন্তত ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও আটজন পুরুষ রয়েছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল প্রশাসন। এছাড়া তিনজন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ৬ থেকে ৭ জন আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভবনটি ঘনবসতিপূর্ণ লিয়ারির বাগদাদী এলাকায় অবস্থিত ছিল। এতে প্রায় ২০টি ফ্ল্যাটে ৪০ জনের বেশি বাসিন্দা ছিলেন। শুক্রবার হঠাৎই ভবনটি ধসে পড়ে, যার ফলে এলাকায় চরম আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। উদ্ধারে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিত কাউকে শনাক্ত করতে ট্র্যাপড পারসন লোকেটর নামে একটি বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, যা ধ্বংসস্তূপের নিচে হৃদস্পন্দন শনাক্ত করতে পারে। প্রতিটি স্তরের ধ্বংসাবশেষ সরানোর পর এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়, যার ফলে উদ্ধার প্রক্রিয়া ধীর হলেও নিখুঁতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই অভিযানে আরও ৭-৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে করাচি কমিশনার সৈয়দ হাসান নকভি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন, আমরা কাউকে জোর করে সেখান থেকে সরাতে পারি না। তিনি আরও জানান, ভবনটির অবৈধ নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে শিগগিরই সিন্ধ বিল্ডিং কন্ট্রোল অথরিটির সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তালিবানকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দেশ রাশিয়া

তালিবানকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দেশ রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়া আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এই সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী’ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। গতকাল কাবুলে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি ঝিরনভের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মুত্তাকি রাশিয়ার এই স্বীকৃতিকে ‘ইতিবাচক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সম্মানের নতুন অধ্যায়’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এটিকে অন্য দেশগুলোর জন্য ‘উদাহরণ’ বলে দাবি করেন। তালিবানরা ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বিনিয়োগের চেষ্টা চালিয়ে আসছে, যদিও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বাড়ছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তানের সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, শক্তি, কৃষি, পরিবহন ও অবকাঠামো খাতে সহযোগিতা আরও দৃঢ় হবে। এ ছাড়া, রাশিয়া আফগানিস্তানকে সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী লড়াইয়ে সাহায্য অব্যাহত রাখবে।
২৪ ঘণ্টার ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ১০৯

২৪ ঘণ্টার ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ১০৯ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর গতকালের (১ জুলাই) চালানো একের পর এক হামলায় কমপক্ষে ১০৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার চিকিৎসা সূত্রগুলো একপ্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ১৬ জন ক্ষুধার্ত ত্রাণ প্রত্যাশী, যারা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে সমবেত হয়েছিলেন। সেখানে ইসরায়েলি সেনারা ভিড় করা মানুষজনের ওপর গুলি চালালে তারা নিহত হন। জিএইচএফ গত মে মাসের শেষ দিকে সীমিত ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাদের কেন্দ্র গুলোতে প্রায় ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গতকাল গাজা সিটির উত্তরে, যেখানে ইসরায়েল সম্প্রতি জোরপূর্বক নির্বাসন নির্দেশ জারি করেছে, সেই এলাকাতেও হামলা চালানো হয়েছে। ওই এলাকা ইতিমধ্যেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, একটি ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার ড্রোনের হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত হন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার অন্তত ৮২ শতাংশ এলাকা বর্তমানে ইসরায়েলি সেনা নিয়ন্ত্রিত বা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির হুমকির মধ্যে রয়েছে এবং মানুষের আর কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। দক্ষিণে খান ইউনুস ও এর আল-মাওয়াসি এলাকায় আল-জানাতি পরিবারের একটি বাড়ি লক্ষ্য করে চালানো হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হন। একইসঙ্গে একটি বাস্তুহারা শিবিরে চালানো বিমান হামলায় এক শিশুর মৃত্যু এবং আরও কয়েকজন আহত হন। মধ্য গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল-আওয়দা হাসপাতাল সূত্র। এছাড়া আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে একটি জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নেওয়া পরিবারের ওপর হামলায় আরও দুজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা গত ২৪ ঘণ্টায় ‘সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তু’ ও ‘সশস্ত্র যোদ্ধা’দের লক্ষ্য করে গাজায় ১৪০ বারের বেশি হামলা চালিয়েছে। তবে, বাস্তবতা হলো নিহতদের অধিকাংশই সাধারণ ফিলিস্তিনি নাগরিক, যাদের অনেকে আশ্রয়, খাবার বা জীবন বাঁচাতে ছুটে বেড়াচ্ছেন।