01713248557

ফৌজদারি মামলায় লোকসভার জয়ী ২৫১ জনের বিরুদ্ধে

ফৌজদারি মামলায় লোকসভার জয়ী ২৫১ জনের বিরুদ্ধে সদ্য শেষ হয়েছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার আসন সংখ্যা ৫৪৩ আসন, অর্থাৎ জয়ী সংসদ সদস্যদের সংখ্যা ৫৪৩ জন। এর মধ্যে ২৫১ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে, তাদের মধ্যে আবার ২৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী সংসদদের মধ্যে ২৩৩ জনের বিরুদ্ধে, ২০১৪ সালে ১৮৫ জন এর বিরুদ্ধে এবং ২০০৯ সালে ১৬২ জন এবং ২০০৪ সালে ১২৫ জন জয়ী সাংসদের বিরুদ্ধে এই ফৌজদারি অপরাধের মামলা ছিল। রাষ্ট্রীয় জনতা দল আরজেডি এবং ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ আইইউএমএল-এর জয়ী সাংসদদের শতকরা ১০০ ভাগের বিরুদ্ধেই ফৌজিদারি অপরাধ সম্পর্কিত মামলা দায়ের রয়েছে। এছাড়া বিজেপির জয়ী ২৪০ জন সাংসদদের ৩৯ শতাংশ, কংগ্রেসের জয়ী ৯৯ জন সাংসদের মধ্যে ৪৯ শতাংশ, সমাজবাদী পার্টির ৩৭ জন জয়ী সাংসদের ৫৭ শতাংশ, তৃণমূল কংগ্রেসের ২৯ জন জয়ী সংসদের ৪৫ শতাংশ এবং ডিএমকে’এর জয়ী ২২ জন সাংসদের ৬৯ শতাংশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।

স্বর্ণ ক্রয়ে বিশ্বে তৃতীয় ভারত-ডব্লিউজিসির বিবৃতি

স্বর্ণ ক্রয়ে বিশ্বে তৃতীয় ভারত-ডব্লিউজিসির বিবৃতি গত মে মাসে স্বর্ণ ক্রয়ের হিসেবে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে ছিল ভারত। স্বর্ণ বাণিজ্যের বৈশ্বিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের সর্বশেষ বিবৃতি অনুযায়ী, মে মাসে মোট ৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণ কিনেছে দেশটি। এই তালিকায় ভারতের সামনে রয়েছে কেবল চীন এবং সুইজারল্যান্ড। ডব্লিউজিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একক দেশ হিসেবে গত মে মাসে ২৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণ ক্রয় করে স্বর্ণের ক্রেতা দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চীন; তারপর যথাক্রমে রয়েছে সুইজারল্যান্ড এবং ভারত। আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামও বেড়েছে মে মাসে। প্রতি আউন্স (২৮ দশমিক ৩৭ গ্রাম) স্বর্ণ এই মাসে বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৩৪৮ ডলারে (২ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৭ টাকা), যা আগের মাস এপ্রিলের তুলনায় শতকরা ২ শতাংশ বেশি।

শ্রীলঙ্কায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ

শ্রীলঙ্কায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ শ্রীলঙ্কায় ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের উপপরিচালক থুসিথা বৈদ্যরতেœ। দেশটিতে ভারী বর্ষণের পর গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সোমবার সকাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৫১৮টি পরিবারের ১০ হাজার ২৯৯ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব দুর্যোগে দু’জন আহত হয়েছেন এবং তিনটি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈদ্যরতেœ। আহত দু’জনের বাড়ি অনুরাধাপুরা জেলায়। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর কারণে ভারী বৃষ্টিপাত ও জড়োহাওয়া বইছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিরাজমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে। এদিকে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে অনেক জেলায় ১০০ মিলিমিটারের ওপরে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র : এএফপি

ব্রাজিলে বন্যায় প্রাণহানি ১০০ ছাড়াল

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে প্রলয়ঙ্করী বন্যায় মৃতের সংখ্যা গত বুধবার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া নতুন করে সৃষ্টি হওয়া ঝড়ঝঞ্জার কারণে নিখোঁজ লোকজনকে খুঁজে বের করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর এএফপির। রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যের ইতিহাসে এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগে আর দেখা যায়নি। বন্যার কারণে রাজ্যটির প্রায় ৪০০ পৌর শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ আর বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন এক লাখ ৬০ হাজার অধিবাসী। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অনেক মানুষ সুপেয় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার কারণে তারা সাহায্য চেয়ে কারো সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছেন না। গত মঙ্গলবার রাজ্যটির গভর্নর এদোয়ার্দো লেইটে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তার আশঙ্কা, রাজ্যটির রাজধানী পোর্টো আলেগ্রে ও অন্যান্য শহরগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করায় হতাহতের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। প্রায় ১৫ হাজার সৈন্য, দমকলকর্মী, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে নৌকা নিয়ে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে উদ্ধার তৎপরতায় বিঘœ ঘটছে। এ ছাড়া ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতির ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টির কারণে উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এদিকে কর্তৃপক্ষ আক্রান্ত লোকজনকে তাদের বাড়িঘরে ফিরতে নিষেধ করেছে, কেননা ওইসব এলাকা এখন ভূমিধস ও রোগবালাই প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকিতে রয়েছে। রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যের রাজধানী পোর্তো আলেগ্রের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত গোয়াইবা নদীর পানি এতটাই বেড়ে গেছে, এখানকার পাঁচটি বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবং দুটি বাঁধ ভীষণ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। ব্রাজিলের প্রলয়ঙ্করী এই বন্যায় উদ্বেগ ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই ধরনের দুর্যোগ জীবন ও জীবিকার ওপর জলবায়ু সংকটের বিধ্বংসী প্রভাবের একটি অনুঘটক।