চীনা নৌবাহিনীর তাড়া খেয়ে পালাল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ

চীনা নৌবাহিনীর তাড়া খেয়ে পালাল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা নৌবাহিনীর তাড়া খেয়ে পালিয়েছে একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দক্ষিণ চীন সাগরের ব্যস্ত জলপথ স্কারবোরো শোলের কাছে ঢুকে পড়ে একটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ার। পরে চীনা নৌবাহিনীর তাড়া খেয়ে সেটি পালিয়ে যায়। আজ চীনের সামরিক বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, তাদের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। কয়েকদিন আগে একই জলসীমায় ফিলিপাইনের জাহাজ তাড়া করার পর এই ঘটনা ঘটল। গত কয়েক বছর পর দক্ষিণ চীন সাগরে এটিই প্রথমবারের মতো প্রবেশ মার্কিন সামরিক যানের। বেইজিং সবসময়ই সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগর নিজেদের সীমানার মধ্যে দাবি করে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন দ্বীপ এবং আশেপাশের অঞ্চল মালিকানা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চীনের অমীমাংসিত বিরোধ চলছে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে। বার্ষিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি জাহাজ বাণিজ্যের জন্য স্কারবোরো শোল কৌশলগতভাবে উত্তেজনার একটি প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে সোমবার চীনের উপকূলরক্ষী জানায়, তারা জলসীমা থেকে ফিলিপাইনের জাহাজগুলোকে বিতাড়িত করার জন্য ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নিয়েছে। অন্যদিকে ম্যানিলা জানিয়েছে, এই সপ্তাহে সমুদ্র উপকূলে চীনা জাহাজের কর্মকাণ্ডের ফলে দুটি জাহাজের সংঘর্ষও ঘটেছে। তাদের দাবি, দুটি চীনা জাহাজের উদ্দেশ্য ছিল স্কারবোরো শোলের কাছে ফিলিপাইনের জাহাজগুলোকে পৌঁছানো থেকে ‘সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ’ করা। এর আগে অঞ্চলটির বিরোধ নিয়ে ২০১৬ সালে একটি আন্তর্জাতিক সালিশি ট্রাইব্যুনাল রায় দেন- চীনের ঐতিহাসিক মানচিত্রের ভিত্তিতে বেইজিংয়ের দাবির আন্তর্জাতিক আইনে কোনও ভিত্তি নেই। তবে, চীন এই সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করেনি।
নেতানিয়াহুর পরিকল্পনায় ‘গ্রেটার ই*সরা*য়েল’

নেতানিয়াহুর পরিকল্পনায় ‘গ্রেটার ই*সরা*য়েল’ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ পরিকল্পনায় তিনি ‘ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক’ এক মিশনে রয়েছেন। এই পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত অঞ্চল ছাড়াও বর্তমান জর্দান ও মিসরের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। গতকাল ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম আই২৪ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু তার মিশনকে ‘প্রজন্মের মিশন’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘যুগের পর যুগ ইহুদিরা এখানে আসার স্বপ্ন দেখেছে, আর আমাদের পরও বহু প্রজন্ম আসবে। ’ ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণাটি ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর প্রচলিত হয়, যেখানে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর, গাজা, মিসরের সিনাই উপদ্বীপ এবং সিরিয়ার গোলান মালভূমি অন্তর্ভুক্ত। প্রথমদিকের জায়নিস্ট নেতা এবং লিকুদ পার্টির আদর্শিক গুরু জেভ জাবোটিনস্কি বর্তমান জর্দানকেও এই মানচিত্রে যুক্ত করেছিলেন। সাক্ষাৎকারে সাবেক নেসেট সদস্য শ্যারন গাল তাকে ‘গ্রেটার ইসরায়েল’-এর মানচিত্র খোদাই করা একটি তাবিজ দেন। এ বিষয়ে তিনি কতটা সংযুক্ত—এমন প্রশ্নে নেতানিয়াহুর উত্তর, ‘খুবই’। লিকুদ পার্টির রিভিশনিস্ট জায়নিজম ভাবধারার কেন্দ্রে রয়েছে এই ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণা। নেতানিয়াহু বরাবরই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিরোধিতা করেছেন। সমালোচকদের অভিযোগ, অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে তিনি এমন বাস্তবতা তৈরি করছেন, যা ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে অসম্ভব করে তুলবে। অনেক বিশ্লেষকের মতে, গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের গতি বাড়িয়ে দিচ্ছে। মঙ্গলবার নেতানিয়াহু আরও বলেন, সামরিক বাহিনী গাজায় আরও বিস্তৃত হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এর মধ্যেই ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের অবরুদ্ধ গাজা থেকে চলে যেতে দেবে। তিনি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রথমে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে, পরে চাইলে পুরো এলাকা থেকেও—আমরা তাদের যেতে দেব। ‘যুদ্ধ চলাকালীন গাজার ভেতরেই এই সুযোগ থাকবে, আর আমরা চাইলে গাজা থেকেও তাদের যেতে দিতে প্রস্তুত। ’ ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা চালানো শুরু করে ২০২৩ সালের অক্টোবরে। সেই থেকে এ পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ৬১ হাজার ৬১ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল আন্তর্জাতিকভাবে চলমান নিন্দার মুখে রয়েছে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা রয়েছে।
আজ ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বসছেন জেলেনস্কি-ট্রাম্প

আজ ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বসছেন জেলেনস্কি-ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করবেন। আজ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জেলেনস্কি ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসছেন। এই বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আলাস্কায় শুক্রবার নির্ধারিত শীর্ষ বৈঠকের আগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠক হবে ওয়ান-অন-ওয়ান। এদিকে জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেন কোনোভাবেই দনবাস অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। তার সতর্কবার্তা—এ ধরনের সমঝোতা ভবিষ্যতে নতুন হামলার জন্য মঞ্চ তৈরি করতে পারে। ট্রাম্প বলেছেন, যেকোনো শান্তি চুক্তিতে কিছু অঞ্চল বিনিময় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ধারণা করা হচ্ছে, পুতিনের একটি দাবি হবে—কিয়েভ যেন দনবাসের বাকি অংশ রাশিয়ার হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের প্রায় ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে পুতিন ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে কী কী দাবি তুলতে পারেন, তার কোনো আনুষ্ঠানিক বিবরণ এখনও প্রকাশিত হয়নি। কূটনৈতিক আলোচনা চলমান থাকলেও যুদ্ধ থামেনি। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া রাতে ৪৯টি ড্রোন ইউক্রেনের দিকে নিক্ষেপ করেছে। ইউক্রেনের জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, খেরসন অঞ্চলে আবাসিক ভবনে হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। দোনেৎস্ক শহরের কোস্তিয়ান্তিনিভকায় দুইজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন এবং ১২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দোনেৎস্কের গভর্নর ভাদিম ফিলাশকিন জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চলের বিভিন্ন বসতিতে ৩০ বার গোলাবর্ষণ করেছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার ভেতরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উনেচা তেল পাম্পিং স্টেশন। রাশিয়ার বিমান বাহিনী বলেছে, আজ সকালে বেলগোরদ এলাকার দিকে ছোড়া ইউক্রেনের ১৭টি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে এবং রাতে ৪৬টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
৯৭ হিমালয় পর্বতে বিনামূল্যে আরোহণের সুযোগ নেপালে

৯৭ হিমালয় পর্বতে বিনামূল্যে আরোহণের সুযোগ নেপালে পর্যটন শিল্প বাড়াতে এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রচারে নেপাল সরকার আগামী দুই বছর ৯৭টি হিমালয় পর্বতে আরোহণের জন্য পারমিট ফি মওকুফ করছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) নেপালের দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট-এর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। নেপালের সরকার এর আগে জানিয়েছিল যে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণের খরচ বৃদ্ধি পাবে। এভারেস্ট আরোহণের পারমিট ফি ১১ হাজার ডলার থেকে বেড়ে ১৫ হাজার ডলার হচ্ছে-প্রায় এক দশকের মধ্যে যা প্রথম বৃদ্ধি। তবে এবার নতুন সুখবর দিয়ে জানিয়েছে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৯৭টি পর্বতে বিনামূল্যে আরোহণ করা যাবে। নেপালের পর্যটন বিভাগ জানিয়েছে, দেশের ‘অজানা পর্যটন সম্ভাবনা ও গন্তব্যগুলোকে’ তুলে ধরা এই পদক্ষেপের লক্ষ্য। পর্বতারোহণ নেপালের বড় আয়ের উৎস, যেখানে বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ পর্বত অবস্থিত। শুধু গত বছরেই দেশটি এ খাত থেকে আয় করেছে ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার, যার তিন-চতুর্থাংশের বেশি এসেছে এভারেস্ট থেকে। যে ৯৭টি শৃঙ্গের ফি মওকুফ করা হবে, সেগুলো নেপালের কার্নালি ও সুদুরপশ্চিম প্রদেশে অবস্থিত। উচ্চতা ৫ হাজার ৯৭০ মিটার থেকে ৭ হাজার ১৩২ মিটার পর্যন্ত। নেপালের এই দুই প্রদেশই সবচেয়ে দরিদ্র ও অনুন্নত এলাকা হিসেবে পরিচিত। নেপালের পর্যটন বিভাগের মহাপরিচালক হিমাল গৌতম বলেন, “এসব পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য থাকা সত্ত্বেও এখানে পর্যটক ও পর্বতারোহীর সংখ্যা খুব কম। যাতায়াত অত্যন্ত কষ্টসাধ্য বলেই এমন হয়। আমরা আশা করি, নতুন বিধান এ পরিস্থিতি বদলাবে। এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আয় বৃদ্ধি এবং স্থানীয় অর্থনীতি শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।” গত দুই বছরে এই ৯৭টি শৃঙ্গে মাত্র ৬৮ জন পর্বতারোহী গেছেন। বিপরীতে, ২০২৪ সালে কেবল এভারেস্টের জন্য ৪২১টি আরোহণ পারমিট দেয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট পাহাড়ের ধারণক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে এভারেস্টসহ কয়েকটি শৃঙ্গে সীমিতসংখ্যক পারমিট দেওয়ার নির্দেশ দেয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, নেপাল সরকার পারমিট ফিতে ৩৬ শতাংশ মার্ক-আপ ঘোষণা করে। মৌসুমের বাইরে, সেপ্টেম্বর-নভেম্বর সময়ে এভারেস্ট আরোহণের খরচ হবে ৭ হাজার ৫০০ ডলার এবং ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি সময়ে ৩ হাজার ৭৫০ ডলার।
শুল্ক বৃদ্ধি আরো ৯০ দিন স্থগিত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র-চীন

শুল্ক বৃদ্ধি আরো ৯০ দিন স্থগিত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র-চীন চলতি বছরের শুরুর দিকে ঘোষিত ৩ অঙ্কের শুল্ক আরোপ আরো ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখতে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ফলে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত শুল্ক স্থগিতের মেয়াদ বাড়ল। শুল্ক কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগেই নতুন এই সময়সীমার ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতি গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, এ বছরের শুরুর দিকে ঘোষিত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত আরো ৩ মাসের জন্য স্থগিত থাকবে। এর আগে গত মাসে অনুষ্ঠিত আলোচনায় উভয়পক্ষই বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বলে উল্লেখ করেছিল।
গাজায় ইসরায়েলি হা*মলায় আল জাজিরার ৫ সাংবাদিক নি*হ*ত

গাজায় ইসরায়েলি হা*মলায় আল জাজিরার ৫ সাংবাদিক নি*হ*ত গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালের বাইরে আল-জাজিরার তাঁবুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে গণমাধ্যমটির ৫ কর্মী নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক আনাস আল-শরিফ। গতকাল রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত হওয়ার আগে শরিফ ও তার সহকর্মীরা গাজা সিটিতে বোমাবর্ষণের তথ্য ও ছবি ধারণের কাজ করছিলেন। খবর আল জাজিরার। ২৮ বছর বয়সী আনাস গাজার অন্যতম পরিচিত সাংবাদিক ছিলেন। জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে এবং মিথ্যে দাবি করেছে যে আনাস আল-শরিফ হামাসের সশস্ত্র বাহিনীর একটি ইউনিটের নেতা ছিলেন। হামলায় আল-জাজিরার নিহত অন্য চার কর্মী হলেন, সংবাদদাতা মোহাম্মদ ক্রেইকেহ, ক্যামেরাম্যান ইব্রাহিম জাহের ও মোয়ামেন আলিওয়া এবং তাদের সহকারী মোহাম্মদ নুফাল। টেলিফোনে আল-জাজিরার সংবাদদাতা হানি মাহমুদ জানান, তিনি জানতে পেরেছেন, আল-শিফা হাসপাতালের প্রধান গেটের কাছে সাংবাদিকদের ক্যাম্পে হামলা হয়েছে। ২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরু হয়। সেই এ পর্যন্ত অন্তত ৬১ হাজার ৪৩০ জনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ২১৩ জন।
সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে অস্ট্রেলিয়া

সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে অস্ট্রেলিয়া ব্রিটেন, ফ্রান্স ও কানাডার পর অস্ট্রেলিয়া আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সোমবার বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে নেওয়া হবে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর কার্যকর করা হবে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা বন্ধ করে গাজায় চলমান সংকট ও দুর্ভোগ দূর করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো দুই রাষ্ট্রের সমাধান, যা মানবতার জন্য একমাত্র আশার আলো। গাজা যুদ্ধ শেষ করতে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে থাকা ইসরায়েল বলেছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তা হবে সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করার সমতুল্য। ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আগেও বলেছে, রাষ্ট্র স্বীকৃতি তাদের জনগণের আত্মনির্ধারণের প্রতি বাড়তি সমর্থনই নির্দেশ করে। আলবানিজ আরও জানান, তার সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর যে, হামাস ভবিষ্যতের কোনো রাষ্ট্রে কোনো ভূমিকা পালন করবে না।
বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভারতের

বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভারতের বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে খরচ। রোববার (১০ আগস্ট) থেকেই নতুন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে বলে জানা গেছে। যদিও গত এক বছর ধরে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সাধারণ ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শুধু জরুরি চিকিৎসাসেবার জন্য সীমিতসংখ্যক ভিসা দেওয়া হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের (আইভ্যাক) ওয়েবসাইটে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোতে (আইভ্যাক) জমা দেওয়া আবেদনের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি এক হাজার ৫০০ টাকা (সব অন্তর্ভুক্ত) করা হয়েছে, যা আগে ছিল ৮২৪ টাকা। আজ ১০ আগস্ট থেকে এটি কার্যকর হবে। আইভ্যাক জানায়, বিগত বছরগুলোতে উপকরণ ও পরিচালন ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে জমা দেওয়া আবেদনের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি ১০ আগস্ট থেকে সংশোধন করে এক হাজার ৫০০ টাকা (সবসহ) করা হবে। এই প্রক্রিয়াকরণ ফি ভিসা আবেদন পরিচালনার সুবিধার্থে আইভ্যাক কর্তৃক আরোপিত একটি সার্ভিস চার্জ। আইভ্যাক আরও জানায়, ২০১৮ সালের পর ভিসা প্রসেসিং ফি এই প্রথম সংশোধন করা হলো এবং সেবার মান ও অবকাঠামোগত উন্নতি অব্যাহত রাখতে এটি প্রয়োজনীয়। বিদ্যমান নীতি অনুসারে, ভারত সরকার বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য কোনো ভিসা ফি নেয় না এবং সব বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য ভারতীয় ভিসা বিনামূল্যেই থাকবে। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনার ভিসা সেন্টারে শুধু জরুরি চিকিৎসা, শিক্ষার্থী ও কর্মীদের জন্য (যারা ভারত হয়ে তৃতীয় দেশে যাবেন) সীমিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লট খোলা রেখেছে ভারত। তবে, এ ধরনের ভ্রমণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিদেশি দূতাবাসে পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকা আবশ্যক।
বৈঠকের আগে রাশিয়ার ওপর আরও ‘চাপ’ বাড়ানোর আহ্বান

বৈঠকের আগে রাশিয়ার ওপর আরও ‘চাপ’ বাড়ানোর আহ্বান ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসানের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণার পর শনিবার রাতে ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়ার ওপর অধিকতর ‘চাপ’ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। এই চুক্তির ফলে কিয়েভকে কিছু অঞ্চল ছেড়ে দিতে হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। পুতিন ও ট্রাম্প এই শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা রাজ্যে এ বৈঠকে মিলিত হতে যাচ্ছেন। তিন বছর ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিরসনের লক্ষ্যে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেন যে, ‘উভয় পক্ষের উন্নতির জন্য কিছু অঞ্চল বিনিময় করা হবে। তবে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শনিবার সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, শান্তির জন্য ইউক্রেন রাশিয়ার কাছে জমি সমর্পণ করবে না। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, ‘ইউক্রেনীয়রা তাদের জমি দখলদারকে দেবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যে কোনো সিদ্ধান্ত, ইউক্রেন ছাড়া যে কোনো সিদ্ধান্তও শান্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত।’ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে এক ফোনালাপে জেলেনস্কি ইউক্রেনের মিত্রদের টেকসই শান্তি অর্জনের জন্য ‘স্পষ্ট পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় নেতারা শনিবার থেকে রোববার রাতে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে বলেছেন যে, ‘সক্রিয় কূটনীতি, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের উপর তাদের অবৈধ যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ সৃষ্টির সমন্বয়ে গঠিত একটি পদ্ধতিই সফল হতে পারে।’ তারা ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তারা ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন বজায় রেখে এবং সেইসাথে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও আরোপ করে কূটনৈতিকভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছেন। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, ব্রিটেন, ফিনল্যান্ড ও ইইউ কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লেয়েনের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘বর্তমান যোগাযোগের লাইনটি আলোচনার সূচনা বিন্দু হওয়া উচিত।’ এতে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি। তারা আরও বলেছেন, একটি প্রস্তাব ‘ইউক্রেন ও ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষা করতে হবে’- যার মধ্যে রয়েছে জোরালো ও বিশ্বাসযোগ্য নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রয়োজনীয়তা। এই নিরাপত্তা গ্যারান্টি ইউক্রেনকে কার্যকরভাবে তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতে সক্ষম করবে। তারা আরো বলেন, ‘ইউক্রেনের শান্তির পথ ইউক্রেন ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।’ পুতিন-ট্রাম্প শীর্ষ সম্মেলনের আগে কিয়েভের মিত্রদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা-যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ দেশ ও যুক্তরাজ্য-শনিবার ব্রিটেনে একত্রিত হয়েছেন। জেলেনস্কি, স্টারমার ও জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জের সাথে ফোনালাপের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয়দের ছাড়া ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা যাবে না’ এবং ইউরোপকেও এই আলোচনায় জড়িত থাকতে হবে। শনিবার সন্ধ্যায় তার ভাষণে জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, ‘এই যুদ্ধের একটি সৎ সমাপ্তি হওয়া উচিত এবং যারা এই যুদ্ধ শুরু করেছিল, সেই রাশিয়ার ওপরেই এটি শেষ করা নির্ভর করছে।’ এই বছর রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে তিন দফা আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, লক্ষ লক্ষ লোককে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে।
তেল আবিবে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

গাজায় যুদ্ধ সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে তেল আবিবে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে শনিবার তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। এর আগের দিনই গাজায় যুদ্ধ সম্প্রসারণে ইসরাইল সরকার গাজা দখলের ঘোষণা দিয়েছে। তেল আবিব থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে। এসময় বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং ফিলিস্তিনে জিম্মি থাকা ইসরাইলিদের ছবি তুলে ধরে সরকারের কাছে তাদের মুক্তির দাবি জানান। এএফপির সাংবাদিকরা এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কয়েক হাজার বলে অনুমান করেন। তবে জিম্মিদের পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী একটি দল জানায়, এতে প্রায় ১ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছিল। তবে সরকার জনসমাগমে উপস্থিতির সংখ্যা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য দেয়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত অন্যান্য যুদ্ধবিরোধী সমাবেশগুলোর চেয়ে এটি অনেক বড় ছিল। নিহত এক জিম্মির আত্মীয় শাহার মোর জাহিরো এএফপি’কে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আমরা সরাসরি একটি বার্তা দিতে চাই। তা হলো গাজার কোনো অংশ দখল করার কারণে জিম্মিরা যদি খুন হয় তবে আমরা আপনাকে ছাড়ব না। আমরা শহরের মোড়ে, নির্বাচনী প্রচারণায়, সব জায়গায় আপনার পিছু নেব।’ শুক্রবার নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা শহর দখলের জন্য একটি বড় ধরনের অভিযানের পরিকল্পনা অনুমোদন করে। যা দেশে বিদেশে সমালোচনার ঝড় তোলে। ইসরাইলের মিত্র কিছু আন্তর্জাতিক শক্তি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে এবং গাজায় মানবিক সংকট নিরসন করতে একটি সমঝোতামূলক যুদ্ধবিরতির জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ দিচ্ছে। এতো সমালোচনা এবং ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিরোধের গুঞ্জন সত্ত্বেও নেতানিয়াহু তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা গাজা দখল করতে যাচ্ছি না, আমরা হামাসের কাছ থেকে গাজাকে মুক্ত করতে যাচ্ছি। গত ২২ মাস ধরে চলমান এই যুদ্ধের সময়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিয়মিত বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। অনেক সমাবেশে সরকার ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তি করার দাবি জানানো হয়। যেমনটা অতীতে জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে হামাস আক্রমণ চালিয়ে ২৫১ জন ইসরাইলিকে জিম্মি করে, যাদের মধ্যে ৪৯ জন এখনও গাজায় আটক আছেন। সামরিক বাহিনীর মতে, এদের মধ্যে ২৭ জন মারা গেছেন। এদিকে শনিবার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজায় ইসরাইলিদের অভিযান সম্প্রসারণের পরিকল্পনাকে নিন্দা জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা’য় প্রকাশিত এক বিবৃতি অনুযায়ী, ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, এই পরিকল্পনা একটি ‘নতুন অপরাধ’ এবং এটি অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’ তিনি গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে তার পূর্ণ দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়ার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন। যে বৈঠকে গাজা শহর দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়, একই বৈঠকে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য কিছু নীতিও গ্রহণ করে, যার মধ্যে ছিল একটি নতুন প্রশাসন প্রতিষ্ঠা, যা হামাসও নয়, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষও নয়। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ইসরাইল-অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশে সীমিত শাসন পরিচালনা করে, কিন্তু হামাস শাসিত গাজায় তাদের কোনো উপস্থিতি নেই। ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পক্ষ থেকে শনিবার জারি করা এক বিবৃতিতে আবারও গাজা শহর দখলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়। তারা বলেন, এটি ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করবে, জিম্মিদের জীবনকে বিপন্ন করবে এবং সাধারণ জনগণের ব্যাপক বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকি বাড়াবে। এদিকে রাশিয়াও শনিবার এক বিবৃতিতে গাজা শহর দখলের ইসরাইলি পরিকল্পনাকে নিন্দা জানিয়েছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ইতোমধ্যে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিতে রয়েছে। এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে তা আরও খারাপ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া বর্তমান লক্ষণ অনুযায়ী সেখানে একটি মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ইসরাইলি হামলায় এই ভূখণ্ডে অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৩০ জন বেসামরিক নাগরিক ত্রাণ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এই পরিসংখ্যানকে জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য বলে মনে করে। এএফপির দেওয়া সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইসরাইলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২১৭ জন নিহত হন, যার ফলে এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছিল।