ঘুষের মামলায় অব্যাহতি পেলেন না ট্রাম্প

ঘুষের মামলায় অব্যাহতি পেলেন না ট্রাম্প পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় যে মামলা দায়ের হয়েছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে, তা থেকে অব্যাহতি চেয়ে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে এক আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মাত্র এক মাস পরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন ট্রাম্প। তার আগে নিউ ইয়র্কের এক প্রাদেশিক আদালতে ধাক্কা খেলেন ট্রাম্প। পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পকে নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। ট্রাম্প যখন ২০১৭ সালে প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হন, তারও আগে এই বিতর্কের সূত্রপাত। স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্টর্মির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পরে ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময়ে তার মুখ বন্ধ রাখতে ওই ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রথমে ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন ওই পর্নো তারকাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন। পরে কোহেনকে সেই অর্থ মেটাতে গিয়ে ব্যবসায়িক নথি জাল করার অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। যদিও বার বারই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন ট্রাম্প। এই মামলায় ম্যানহাটনের এক আদালত আগেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রাখে আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলা প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ট্রাম্প। তার আইনজীবীরা যুক্তি দেন, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চললে তার শাসন ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এরই সঙ্গে ট্রাম্পের আইনজীবীরা যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা তুলে ধরে জানান, সুপ্রিম কোর্টের আদাশের কারণে ট্রাম্প বিচারের আওতামুক্ত। তবে ৪১ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক জুয়ান মার্চেন বলেছেন, “ব্যবসায়িক নথি জাল করার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব ও কার্যক্রমে হস্তক্ষেপের কোনো ঝুঁকি তৈরি করে না।” আইনি রক্ষাকবচ এই মামলায় ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয় জানান বিচারক। ৪১ পাতার নির্দেশনামায় বিচারক মার্চেন লিখেছেন, “এই মামলার ক্ষেত্রে যে প্রমাণগুলো পাওয়া গিয়েছে, তা ব্যক্তিগত স্তরে নেওয়া সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।” ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেং নিউ ইয়র্কের আদালতের এই রায়ের সমালোচনা করেছেন। তার মতে, এই রায় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রক্ষাকবচের পরিপন্থি।
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বোমা হামলার হুমকি

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বোমা হামলার হুমকি ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় (আরবিআই)’ বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। নবনিযুক্ত গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রার সরকারি ইমেইলে পাঠানো বার্তায় এই হুমকি দেওয়া হয় বলে আজ জানিয়েছে ইকোনোমিক টাইমস। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইমেইল বার্তা পাঠিয়ে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় বিস্ফোরণের হুমকি দেয়া হয়েছে। বার্তাটি রুশ ভাষায় লেখা। মুম্বাই পুলিশের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, নবনিযুক্ত গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রার সরকারি ইমেইলে হুমকিটি দেয়া হয়েছে। হুমকির ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাত-পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মুম্বাই পুলিশ। স্থানীয় মাতা রমাবাই মার্গ (এমআরএ মার্গ) থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মালদ্বীপে ৩ সরকারি ভবনে অগ্নিকাণ্ড

মালদ্বীপে ৩ সরকারি ভবনে অগ্নিকাণ্ড মালদ্বীপের মালে শহরে তিনটি সরকারি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে একটি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া আশপাশের কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনটি মন্ত্রণালয়ের কাজ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আজ স্থানীয় সময় ভোরে দেশটির প্রধান বাণিজ্যিক শহর মালের একটি সরকারি ভবনে আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের আরো দুটি সরকারি ভবনে। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। খবর পেয়ে আগুন নেভানোর কাজ করেন দমকল কর্মীরা। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও এখনো ধোঁয়ায় ছেয়ে আছে চারপাশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলের পাশেই একটি খাদ্যগুদাম রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশিসহ অন্য দেশের বহু অভিবাসী কাজ করেন। ঘটনার পরপরই স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। অবকাঠামো, আবাসন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আপাতত বন্ধ রয়েছে সব কার্যক্রম। কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনা তদন্তে কাজ করছে পুলিশ। ঘটনার পরপরই দেশটির প্রেসিডেন্ট ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিলো ১৫৮ দেশ

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিলো ১৫৮ দেশ গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি দাবি এবং জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে দুটি প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় বুধবার (১১ ডিসেম্বর) প্রস্তাব দুটির ওপর ভোটগ্রহণ হয়। প্রথম প্রস্তাবে গাজায় অবিলম্বে, শর্তহীন ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো হয়। ১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট পরিষদের মধ্যে ১৫৮টি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবে পক্ষে এবং ৯টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। আর ভোটদানে বিরত ছিল ১৩টি দেশ। ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে এবং ইসরায়েলে জাতিসংঘের সংস্থার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করবে এমন একটি নতুন ইসরায়েলি আইনের নিন্দা জানানোর দ্বিতীয় প্রস্তাবটির পক্ষে ১৫৯টি, বিপক্ষে ৯টি ভোট পড়ে। ১১ সদস্য ভোটে বিরত ছিল। সপ্তাহ তিনেক আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোয় বাতিল হয়ে গিয়েছিল। সাধারণ পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের মতো এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেরও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরেও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়েছিল। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রদূত স্যামুয়েল জ্বোগার বলেন, গাজার আর অস্তিত্ব নেই। এটি ধ্বংস হয়ে গেছে। বেসামরিক নাগরিকরা ক্ষুধা, হতাশা ও মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে আছে। এই যুদ্ধ আর চলতে পারে না। আমাদের এখনই যুদ্ধবিরতি দরকার। আমাদের এখনই বন্দীদের বাড়ি ফেরানো দরকার। গাজায় যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেন জাতিসংঘে আলজেরিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত নাসিম গাওয়াউই। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ট্র্যাজেডির মুখে নীরবতা ও ব্যর্থতার মূল্য অত্যন্ত ভারী। এটি কাল আরও ভারী হবে। উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর গাজায় গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। ১৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৮০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ২৫৭ জন।
ধরে নেওয়া ৭৮ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে: ওড়িশা পুুলিশ

ধরে নেওয়া ৭৮ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে: ওড়িশা পুুলিশ বঙ্গোপসাগার থেকে মাছ ধরার দুই জাহাজসহ ধরে নিয়ে যাওয়া ৭৮ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ওড়িশা পুলিশ। গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ভারতীয় কোস্টগার্ড বঙ্গোপসাগরের হিরন পয়েন্ট থেকে নাবিকসহ ৭৮ জনকে ধরে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস লিখেছে, ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে ৭৮ জন বাংলাদেশি আটক হওয়ার দুদিন পর ওড়িশা পুলিশ নিশ্চিত করেছে- তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এ নিয়ে ভারতীয় কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য আসেনি। ওড়িশার পারাদ্বীপ বন্দরের উপ-পুলিশ সুপার সন্তোষ কুমার জেনা জানিয়েছেন, আটক বাংলাদেশিদের বিষয়ে যাচাইয়ের জন্য কোস্টগার্ড তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “গত পরশু ৭৮ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছিল এবং পরে তাদের পারাদ্বীপ থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সেটি করা হয়েছে। এখন তাদের (বাংলাদেশে) ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।” ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ভারতীয় কোস্টগার্ড ভারতীয় জলসীমায় মাছ ধরার অভিযোগে দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ৭৮ বাংলাদেশিকে আটক করে। মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “সামুদ্রিক নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে চালানো একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী (আইসিজি) ভারতীয় জলসীমার মধ্যে মাছ ধরায় নিয়োজিত ৭৮ জন জেলেসহ দুটি বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলারকে আটক করেছে।” বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “ভারতীয় কোস্টগার্ডের জাহাজ আইএমবিএল টহলরত অবস্থায় ভারতীয় সামুদ্রিক অঞ্চলের মধ্যে সন্দেহজনক কার্যকলাপ শনাক্ত করে। পরে কোস্টগার্ডের ওই জাহাজটি মাছ ধরার অননুমোদিত কার্যকলাপে নিয়োজিত ২টি বাংলাদেশ ফিশিং ট্রলারকে আটক করে। ট্রলারগুলোকে ‘এফভি লায়লা-২’ এবং ‘এফভি মেঘনা-৫’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।”
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তরে পুলিশের হানা

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তরে পুলিশের হানা দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের অফিসে অভিযান চালিয়েছে। গত সপ্তাহে সামরিক আইন ঘোষণায় তার ভূমিকার জন্য এ অভিযান চালানো হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে রয়টার্স। দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, ইউনের সামরিক আইন জারির পদক্ষেপ তার প্রশাসনের অন্যান্য সিনিয়র ব্যক্তিদের সমর্থিত কিনা বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য অভিযান চালানো হয়েছে। সামরিক আইন জারি দক্ষিণ কোরিয়ার আইনে বিদ্রোহের সমতূল্য। এটি এমন একটি অপরাধ যেখানে প্রেসিডেন্টের দায়মুক্তি নেই। এর শাস্তি মৃতুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। একটি বিশেষ তদন্ত ইউনিট নিশ্চিত করেছে, তারা প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং অন্যান্য সংস্থাগুরোতে অভিযান চালিয়েছে। অবশ্য পরে জানা যায়, ইউনের নিরাপত্তা রক্ষীরা কর্মকর্তাদের মূল ভবনে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছিল। তদন্তকারীরা ‘সরকারি দপ্তরে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিলেন’ উল্লেখ করে পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “তবে, আমরা বর্তমানে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তারক্ষীদের আরোপিত প্রবেশ বিধিনিষেধের কারণে মূল ভবনে প্রবেশ করতে পারছি না।” এমন সময় অভিযানের খবর এলো যখন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউনের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন সিউলের একটি আটক কেন্দ্রে হেফাজতে থাকার সময় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তাকে সেখানে রবিবার থেকে আটক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
ভারতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩০-৪০টি গাড়িতে বাসের ধা*ক্কা, নি*হত ৭

ভারতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩০-৪০টি গাড়িতে বাসের ধা*ক্কা, নি*হত ৭ ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস ৩০-৪০টি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে ফুটপাতে উঠে যায়। এ ঘটনায় এখন পযর্ন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে অন্তত ৪৯ জন। গতকাল রাত পৌনে ১০টার দিকে মুম্বাইয়ে কুরলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে জানা গেছে, বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩০-৪০টি গাড়িকে ধাক্কা মেরে ফুটপাথে উঠে যায়। তার পর একটি আবাসনের মূল ফটকে ধাক্কা মারে। এই দুর্ঘটনায় প্রথমে চার জন পথচারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। পরে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র সরকারের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বৃহন্মুম্বই ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট আন্ডারটেকিং (বেস্ট)-এর বাস ছিল সেটি। ওই বাস যাত্রীদের নিয়ে কুরলা স্টেশন থেকে আন্ধেরির উদ্দেশে যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হঠাৎই বাসটির গতি বাড়তে থাকে। গতি কমানোর জন্য চিৎকার করতে থাকেন যাত্রীরা। তার পরেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের অন্যতম ডেপুটি পুলিশ কমিশনার গণেশ গাওড়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, কুরলায় একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কিছু গাড়িতে ধাক্কা মেরেছে। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তদন্ত চলছে। গতকাল রাতেই বাসচালক সঞ্জয় মোরেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হয়েছে। বাস চালানোর সময় তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ সকালে দুর্ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তের পরে কী কারণে দুর্ঘটনা, তা বোঝা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাসটির কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিরিয়ায় আসাদ যুগের অবসান

সিরিয়ায় আসাদ যুগের অবসান ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ রোববার ভোরে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে দামেস্ক থেকে বিমানে পালিয়েছেন। এরই মাধ্যমে সিরিয়ায় আসাদ যুগের ৫০ বছরের শাসনের অবসান হলো। এদিকে বিদ্রোহীরা যুদ্ধে বাস্তুচ্যুতদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘মুক্ত স্বাধীন সিরিয়া আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আপনারা নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরে আসুন’। এদিকে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ঘোষণা দিয়েছে, ‘আসাদ জমানার অবসান হলো’। স্কাই নিউজ, জেরুজালেম পোস্ট এবং ওয়াশিংটন টাইমস এই খবর জানিয়েছে। সিরিয়ার সেনাবাহিনীর কমান্ডার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘বিদ্রোহীদের ঝটিকা অভিযানের ফলে সেনাবাহিনী আসাদের বাসভবন ছেড়ে চলে যাওয়ার মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন এবং এরই সাথে তার ২৪ বছরের স্বৈরশাসনের শাসনের অবসান হয়েছে’। বিদ্রোহীরা বলেছেন, তারা তৃতীয় বৃহত্তম শহর পুরোপুরি দখলে নেয়ার পর চারিদিক থেকে দামেস্ক ঘিরে ফেলে। এই সময় তারা দামেস্কতে সেনাবাহিনীর কোনো চিহ্নও দেখতে পাননি। একই সময়ে বিদেশে অবস্থানরত সিরিয়ার বিরোধী গ্রুপের প্রধান হাদি আল বাহরা জানিয়েছেন ‘সিরিয়া এখন বাশার মুক্ত হলো’। স্কাই নিউজ জানিয়েছে, বিদ্রোহী যোদ্ধারা একদিনের যুদ্ধের পর রোববার সকালে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর হোমস দখলে নিয়েছে। শহর থেকে আসাদ বাহিনীর সেনা প্রত্যাহারের পর হাজার হাজার বাসিন্দা রাস্তায় নেমে এসে আসাদ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তারা ‘আসাদ পালিয়ে গেছে, হোমস মুক্ত’ এবং ‘সিরিয়া দীর্ঘজীবী হোক’ বলে গগনবিদারী স্লোগান দিতে থাকে। জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ গাড়িতে করে এবং পায়ে হেঁটে দামেস্কের প্রধান চত্বরে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এদিকে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, একটি ব্যক্তিগত বিমান দামেস্ক ছেড়ে গেছে। বিমানটিতে সম্ভবত আসাদ ছিলেন। বিমানটি ছাড়ার সময় সেখানে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিদ্রোহীরা সেদনায়ায় বড় একটি কারাগার থেকে বহু বন্দীকে ছেড়ে দিয়েছে। এরপর বন্দীরা জনতার সঙ্গে দামেস্ক জয়ের উদযাপন শুরু করে। বিদ্রোহীরা সিরিয়ার প্রধান প্রধান সড়কের মোড়ে স্থাপিত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রয়াত পিতা সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল আসাদের মূর্তি ভেঙে চুরমার করে ফেলে।
ইকুয়েডরে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহ*ত ১৬

ইকুয়েডরে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহ*ত ১৬ ইকুয়েডরে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৮ জন। পেরুর সীমান্তবর্তী ইকুয়েডরের লোজা প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী বাস এবং অন্য একটি গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এএফপি। উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার দক্ষিণ ইকুয়েডরে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দেশটির দমকল বাহিনী, পুলিশ এবং গণস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সদস্যরা ঘটনাস্থলে কাজ করছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষ হয় এবং বাসটি উল্টে যায়।ইকুয়েডরে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা। দেশটিতে প্রতি বছরই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।
আইভরি কোস্টে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২৬

আইভরি কোস্টে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২৬ আইভরি কোস্টে দুটি মিনিবাসের সংঘর্ষে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২৮ জন। সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গতকাল দেশটির কেন্দ্র পশ্চিমে ব্রোকুয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ১০ জন দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সড়ক পরিবহনের মহাপরিচালক ওমর সাকো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ডালোয়া-ইসিয়া সড়কে দুটি মিনিবাসের সংঘর্ষে ২৬ জন নিহত এবং ২৮ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১০ জন দগ্ধ হয়ে মারা যায়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, দুর্ঘটনা স্থলে মন্ত্রণালয়ের একটি দলকে তদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। কিছু রাস্তা এবং যানবাহনের খারাপ অবস্থার কারণে এবং গাড়ি চালকরা ড্রাইভিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় আইভরি কোস্টে প্রায়ই মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে ৷