01713248557

আসামে বন্যায় ৩৮ জনের মৃত্যু

আসামে বন্যায় ৩৮ জনের মৃত্যু আসামে চলমান বন্যায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে এখন পর্যন্ত রাজ্যের ১৯ট জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। আসামের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। অরুণাচলের সীমান্ত এলাকার দিকে ভূমিধসের ফলে দুই রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। আসামে উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র, সুবানসিরি, দিখৌ, দিসাং, বুড়িদিহিং, জিয়া-ভারালি, বেকি এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ৫ জুলাই পর্যন্ত আসামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বন্যায় রাজ্যের ২৮টি জেলা জুড়ে ১১ লাখ ৩৪ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে লখিমপুর, দাররাং এবং গোলাঘাট, যেখানে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শুধুমাত্র লখিমপুরে, এক লাখ ৬৫ হাজার ৩১৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারপরে দাররাংয়ে এক লাখ ৪৭ হাজার ১৪৩ এবং গোলাঘাটে এক লাখ ৬ হাজার ৪৮০ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বর্তমানে রাজ্যটিতে ৪৮৯টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। প্রায় ২ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ এই শিবিরগুলিতে আশ্রয় নিচ্ছেন।

ভারতের উত্তরপ্রদেশে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২১

ভারতের উত্তরপ্রদেশে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২১ ভারতের উত্তর প্রদেশের হাতরাসে ভোলে বাবার সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতও হয়েছে বহু মানুষ, যাদের মধ্যে ২৮ গুরুতর আহত রয়েছেন। গতকাল রাজ্যের হাতরাস জেলায় ‘শিব স্মরণে’ ভোলে বাবার এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন ভোলে বাবা নিজেই। মূলত তার ভাষণ শুনতেই ভক্তরা সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন পরিবেশ খুব গরম ও আদ্র ছিল। তাঁবু ঘেরা অনুষ্ঠানে এত বেশি মানুষ এসেছিল যে পরিস্থিতি দমবন্ধের মতো হয়ে গিয়েছিল। লোকেদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হতেই তারা বাইরে বের হতে ছুটোছুটি শুরু করে। এ সময় ব্যাপক ধাক্কাধাক্কি হয় এবং পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকার জানিয়েছে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। নিহতের ঘটনায় হাতরাসে ‘সৎসঙ্গ আয়োজকদের’ বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দায়েরকৃত এফআইআরের তথ্য অনুসারে, অনুষ্ঠানটিতে ৮০ হাজার লোকের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু সেখানে প্রায় আরাই লাখেরও বেশি ভক্ত উপস্থিত হয়েছিলেন। এফআইআরে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় থাকা অনিয়ন্ত্রিত ভিড়, মাটিতে বসে থাকা ভক্তদের পদদলিত করে। রাস্তার অপর পাশে জল এবং কাদা ভরা মাঠের ভিড়কে আয়োজক কমিটি লাঠি দিয়ে জোর করে থামিয়ে দেয়, যার কারণে ভিড়ের চাপ বাড়তে থাকে এবং মহিলা, শিশু এবং পুরুষরা পদদলিত হতে থাকে।

কানাডায় হঠাৎ ৮ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল, বিপাকে যাত্রীরা

কানাডায় হঠাৎ ৮ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল, বিপাকে যাত্রীরা হঠাৎ আট শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করেছে কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা ওয়েস্টজেট। মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছয় শতাধিক কর্মী ধর্মঘটে যাওয়ার পর এয়ারলাইনটি তাদের এসব ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়। এতে করে সপ্তাহান্তে বড় ছুটি কাটাতে ইচ্ছুক হাজার হাজার লোকের ভ্রমণের পরিকল্পনাও অনেকটা ব্যর্থ হয়ে গেছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বেতন এবং শ্রমিকদের কাজের অবস্থার বিষয়ে ক্যালগারিভিত্তিক এই এয়ারলাইন এবং এয়ারপ্লেন মেকানিক্স ফ্রাটারনাল অ্যাসোসিয়েশন (এএমএফএ) চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার পরে প্রায় ৬৮০ জন শ্রমিক গত শুক্রবার থেকে ধর্মঘট পালন করছেন। ওয়েস্টজেট এয়ারলাইনের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডিডেরিক পেন রবিবার ‘অপ্রয়োজনীয় কর্মবিরতির’ জন্য ভ্রমণকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।  এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “আমাদের কর্মীদের প্রতিকূলতার ঊর্ধ্বে উঠে এগিয়ে যাওয়ার এবং নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার কাজে আমি উৎসাহিত হয়েছি।” তিনি আরও বলেছেন, “আমরা আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখেছি যে, বর্তমান ধর্মঘট আমাদের এয়ারলাইন এবং দেশের সর্বাধিক ক্ষতি করা ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্য পূরণ করবে না।” জানা গেছে, ওয়েসজেট গত বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত ৮৩২টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। বাতিল হওয়া বিপুল সংখ্যক এই ফ্লাইটের অর্ধেকেরও বেশি ছিল রবিবারের জন্য নির্ধারিত। এয়ারলাইনটি বলেছে, তাদের বহরে ১৮০টি বিমান থাকলেও রবিবার পর্যন্ত সেগুলোর মধ্যে মাত্র ৩২টি বিমান সক্রিয় তথা পরিষেবায় নিযুক্ত ছিল। অবশ্য ওয়েস্টজেট এবং এএমএফএ একে-অপরকে সরল বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা না করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। ওয়েস্টজেট বলেছে, চুক্তির প্রথম বছরে তারা ১২.৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে এবং বাকি সাড়ে পাঁচ বছরের মেয়াদে ২৩.৫ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। এদিকে এয়ারলাইনটির কর্মীদের এই কর্মবিরতিতে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের ভ্রমণ পরিকল্পনা ব্যাহত হয়েছে। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গত বৃহস্পতিবার কানাডার শ্রমমন্ত্রী সিমাস ও’রেগানের নির্দেশনা সত্ত্বেও এই কর্মবিরতি এখনও চলছে।

শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসছে ‘বেরিল’

শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসছে ‘বেরিল’ আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট হারিকেন বেরিল ভয়াবহ ঝড়ে পরিণত হয়েছে, এবার প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঝড়ে নয়-ফুট ঢেউ এবং বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। স্থানীয়দের নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আজ সোমবার এই হারিকেন ক্যারিবীয় দ্বীপে ভয়াবহ তাণ্ডব চালাতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি)। ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) বরাতে বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, ঝড়টি ক্যাটাগরি-৪ বিপজ্জনক হারিকেনে রূপ নিতে পারে। এর আগে বলা হয়েছিল ঝড়টি ক্যাটাগরি-৩ বিপজ্জনক হারিকেনে রূপ নিতে পারে। মাত্র ৪২ ঘণ্টার মধ্যে এটি প্রবল আকার ধারণ করেছে। আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের ইতিহাসে এর আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে মাত্রা ছয়বার। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বেরিল দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের কাছে পৌঁছে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ১৭৯ থেকে ২০৯ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে তাণ্ডব চালাতে পারে। আজ সকালে উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে ‘বড় ধরনের বিপজ্জনক ঝড়’ হয়ে আসবে বলে পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, বেরিল এখন পর্যন্ত আটলান্টিক মহাসাগরে রেকর্ড করা প্রথম এবং জুন মাসে রেকর্ড করা একমাত্র ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন। ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের ডিরেক্টর মাইক ব্রেনান সিএনএনকে বলেন, আমরা দ্রুত তীব্রতা (ঝড়ের) বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছি এবং বার্বাডোস ও উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের মতো জায়গায় পৌঁছানোর আগে বেরিল একটি বড় হারিকেন হয়ে উঠবে। এছাড়া পূর্ব ও মধ্য ক্যারিবীয় অঞ্চলে অগ্রসর হওয়ার পরও এটি শক্তিশালী থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতাসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের ঝড়ের ‘বড় প্রভাবের’ জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শও দিয়েছেন ব্রেনান। ঘূর্ণিঝড় বেরিল বার্বাডোস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রেনাডাইনস, গ্রেনাডা, মার্টিনিক, টোবাগো ও ডোমিনিকাসহ গোটা ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এরই মধ্যে এসব দেশে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বেরিলের তাণ্ডবের শঙ্কায় ওই অঞ্চলের মানুষ জ্বালানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। একইসঙ্গে দুর্যোগের প্রস্তুতি হিসেবে খাবার ও পানি মজুদের হিড়িক পড়েছে।

ঝড়ের তাণ্ডবে ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ডে নিহত অন্তত ৭

ঝড়ের তাণ্ডবে ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ডে নিহত অন্তত ৭ প্রচণ্ড ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা এবং ভূমিধসে ইউরোপের দুই দেশ ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডে অন্তত সাতজনের প্রাণহানি ঘটেছে। রোববার ওই দুই দেশের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ে আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে। ফ্রান্সের স্থানীয় এক কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ফ্রান্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আউবে অঞ্চলে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে একটি গাছ উপড়ে গাড়ির ওপর পড়েছে। এতে ৭০ থেকে ৮০ বছর বয়সী তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এছাড়া গাছের নিচে চাপা পড়া গাড়ির আরেক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিবেশী সুইজারল্যান্ডে ঝড়ের তাণ্ডবে অন্তত চারজন নিহত ও একজন নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে প্রবল বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে বলে দেশটির টিকিনোর ক্যান্টন পুলিশ জানিয়েছে। সুইজারল্যান্ডের ভ্যালাইসের দক্ষিণ-পশ্চিমের ক্যান্টনের সাস-গ্রুন এলাকার একটি হোটেলে একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বন্যার পানি আকস্মিক বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ বলেছে, ভ্যালাইসে অপর এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। সুইজারল্যান্ডের বেসামরিক নিরাপত্তা সেবা সংস্থা বলেছে, ভ্যালাইসের রোন ও অন্যান্য নদ-নদীর দুই তীর উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। ফলে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ওই এলাকা থেকে কয়েকশ’ বাসন্দিাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটির জরুরি সেবা সংস্থাগুলো পেকিয়া এলাকায় একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট দেখতে আসা ৩০০ দর্শনার্থীকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এছাড়া মোগনো গ্রামের একটি হলিডে শিবির থেকে প্রায় ৭০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশটির কয়েকটি দুর্গম উপত্যকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় সতর্ক ব্যবস্থা বলেছে, ক্যান্টনের কিছু এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ফুরিয়ে গেছে। এর আগে, গত সপ্তাহেও দক্ষিণ-পূর্ব সুইজারল্যান্ডে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। সেই সময় ওই অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও একজনের প্রাণহানি ঘটে। এদিকে, উত্তর ইতালির আওস্তা উপত্যকায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসা বন্যার পানি ও পানিতে টুইটম্বুর নদীর ছবি শেয়ার করেছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। এর ফলে বন্যা ও ঝড়ের মতো চরম বৈরী আবহাওয়ার বিভিন্ন ঘটনার তীব্রতা ও বারবার আঘাত হানার ঘটনা বাড়ছে এবং এর প্রভাবও দীর্ঘ হচ্ছে।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো অস্ট্রেলিয়া

বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো অস্ট্রেলিয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা পাওয়া আরও কঠিন করল অস্ট্রেলিয়া। দেশটি একধাক্কায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা ফি দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়েছে। মূলত রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসনের লাগাম টানতে এবং এর জেরে দিন দিন আবাসন বাজারের ওপর চাপ তীব্র হতে থাকায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। আজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়া তার ভিসা ফি দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়েছে বলে সোমবার দেশটি জানিয়েছে। সর্বশেষ পদক্ষেপে চলতি জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভিসার ফি ৭১০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৬০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১০৬৮ মার্কিন ডলার) করা হয়েছে।এছাড়া ভিজিটর ভিসাধারী ও অস্থায়ী স্নাতক ভিসা রয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত অবস্থায় স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজকে কার্যকর হওয়া পরিবর্তনগুলো আমাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে এবং এমন একটি অভিবাসন ব্যবস্থা তৈরি করতে সাহায্য করবে যা অস্ট্রেলিয়ার জন্য আরও সুন্দর, ক্ষুদ্রতর এবং আরও ভালোভাবে কাজ করতে সক্ষম।’ চলতি বছরের মার্চ মাসে অভিবাসন বিষয়ে প্রকাশিত সরকারি তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় নেট ইমিগ্রেশন ৬০ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে ভিসা ফি বৃদ্ধির ফলে অস্ট্রেলিয়ার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মতো প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। উত্তর আমেরিকার এই দুই দেশে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা ফি যথাক্রমে ১৮৫ মার্কিন ডলার এবং ১৫০ কানাডিয়ান ডলার (১১০ মার্কিন ডলার)। সরকার বলেছে, তারা ভিসা সংক্রান্ত নানা নিয়ম ও বিধির ত্রুটিগুলোও বন্ধ করছে যা বিদেশি ছাত্রদের অস্ট্রেলিয়ায় তাদের থাকার সময়সীমা ক্রমাগত প্রসারিত করার সুযোগ দিতো। ২০২২-২৩ সালে দ্বিতীয় বা পরবর্তী স্টুডেন্ট ভিসায় ছাত্রদের সংখ্যা ৩০ শতাংশ বেড়ে দেড় লাখের বেশি হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিলো অস্ট্রেলীয় সরকার। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বার্ষিক অভিবাসন রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে। এরপর বিপুল সংখ্যায় অভিবাসীদের আগমন ঠেকাতে গত বছরের শেষের দিক থেকে স্টুডেন্ট ভিসার নিয়মগুলোকে কঠোর করার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয় অস্ট্রেলিয়া।এরই অংশ হিসেবে সর্বশেষ এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। এর আগে গত মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগমন নিয়ন্ত্রণে ভিসার আবেদন করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনের জন্য সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। সেসময় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তাদের অবশ্যই ন্যূনতম ২৯ হাজার ৭১০ অস্ট্রেলীয় ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশি মুদ্রায় (২১ লাখ ৪৬ হাজার ৯২২ টাকা) সঞ্চিত থাকতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সঞ্চিত অর্থ সংক্রান্ত ব্যাংক নথি প্রদর্শন করতে হবে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার্থী ভিসায় আবেদনে যেসব কাগজপত্র-নথি সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক, সেসবের মধ্যে ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ বিষয়ক নথিও অন্তর্ভুক্ত। এই নথি অন্তর্ভুক্ত করা না হলে আবেদন গ্রহণ করার নিয়ম নেই। এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার্থী ভিসার আবেদনের জন্য প্রদর্শনযোগ্য সঞ্চিত অর্থের বাধ্যবাধকতা ছিল ন্যূনতম ২১ হাজার ৪১ অস্ট্রেলীয় ডলার, পরে ২০২৩ সালের অক্টোবরে তা বৃদ্ধি করে ২৪ হাজার ৫০৫ অস্ট্রেলীয় ডলারে উন্নীত করা হয়। সেই হিসেবে গত মে মাসে প্রদর্শনযোগ্য সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয় দ্বিতীয় দফায়।

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লিতে মৃত ১১, আবারও ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লিতে মৃত ১১, আবারও ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস বৃষ্টির মৌসুম শুরুর প্রথমেই রেকর্ড বৃষ্টিতে ভারতের রাজধানী অঞ্চল দিল্লির বহু নিচু এলাকা ডুবে গেছে ও অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নগরীটিতে আবারও ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাসে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গত শুক্রবার দিল্লিতে রেকর্ড-ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। এদিন নগরীটিতে ২২৮ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এটি ১৯৩৬ সালের পর থেকে জুন মাসের একদিনে হওয়া সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এই বৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই দিল্লিবাসীকে আবারও ভারি বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর নগরীটিতে আজ ও আগামীকাল ভারি বৃষ্টি হতে পারে পূর্বাভাস দিয়ে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) রঙ-ভিত্তিক সতর্কতা পদ্ধতি অনুযায়ী অরেঞ্জ অ্যালার্ট লোকজনকে ভারি বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানায়। আইএমডির আবহাওয়া বিজ্ঞানী সোমা সেন দেশটির গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু এগিয়ে আসছে, উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি অংশে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ার আগে তাপদাহে দগ্ধ হচ্ছিল দিল্লি। এক পর্যায়ে নগরীর তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। এই তাপদাহে বহু মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর শুক্রবার থেকে নগরীজুড়ে শুরু হয় প্রবল বর্ষণ, এতে তাপমাত্রা নেমে গরম থেকে স্বস্তি মিললেও অতি বৃষ্টিতে ফের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে ও জলাবদ্ধতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশটির আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাব চলাকালে দিল্লিতে গড়ে প্রায় ৬৫০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টিপাত হয়, কিন্তু এবার প্রথম একদিনেই এর এক তৃতীয়াংশ বৃষ্টি হয়ে গেছে।

স্লোভাকিয়ায় ট্রেন-বাস সংঘর্ষে নিহত ৭

স্লোভাকিয়ায় ট্রেন-বাস সংঘর্ষে ৭ জন নিহত এবং আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি ক্রসিংয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। জরুরি পরিষেবাগুলোর বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। স্টেট রেলওয়ে কোম্পানি জেডএসএসকে জানিয়েছে, ১০০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রেনটি প্রাগ থেকে বুদাপেস্টে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রাজধানী ব্রাতিস্লাভা থেকে ১১০ কিমি (৬৮ মাইল) পূর্বে নভে জামকির কাছে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। তবে সংঘর্ষের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। স্লোভাক এবং চেক মিডিয়া জানিয়েছে, নিহতদের কেউই ট্রেনের যাত্রী ছিলেন না। তবে তাদের নাম ও পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

ট্যাংকসহ নদীতে ডুবে ৫ ভারতীয় সেনার মৃত্যু

ট্যাংকসহ নদীতে ডুবে ৫ ভারতীয় সেনার মৃত্যু ভারতের লাদাখে ট্যাংক দুর্ঘটনায় দেশটির পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে লাদাখের চীন সীমান্তবর্তী দৌলতবেগ ওলদি এলাকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) কাছে। আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় একটি টি-৭২ ট্যাংক নিয়ে নদী পার হওয়ার অনুশীলন করছিলেন সেনারা। যখন ট্যাংকটি মাঝ নদীতে ছিল তখন হঠাৎ করে পানি বাড়তে থাকে। এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যে ট্যাংক ও এর ভেতর থাকা সেনারা তলিয়ে যান। এ ঘটনার পর পাহাড়ি নদীটিতে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিহত পাঁচ সেনার সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘দেশের প্রতি এই সেনা সদস্যদের একনিষ্ঠ কর্তব্যের কথা অবিস্মরণীয় থেকে যাবে। আমার অন্তর থেকে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। দেশের মানুষ শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে থাকবে।’ টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, টি-৭২ হলো অত্যাধুনিক ট্যাংক। এ ধরনের ট্যাংকগুলো কাদামাটি, উঁচু-নিচু রাস্তা, পাথুরে জমিতেও অবলীলায় চলতে পারে। পাশাপাশি অল্প পানি রয়েছে, এমন জায়গাতেও পারাপার করতে পারে এই ট্যাংকগুলো। তবে তারও একটি সীমা রয়েছে। অতিরিক্ত পানি রয়েছে এমন জায়গা দিয়ে পার হতে পারে না।

দিল্লিতে ৮৮ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ; ৬ জনের প্রাণহানি

দিল্লিতে ৮৮ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ; ৬ জনের প্রাণহানি তীব্র তাপপ্রবাহের পর এবার ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। ৮৮ বছরের রেকর্ডভাঙা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে দেশটির বিভিন্ন এলাকা। ভারি বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত দিল্লিতে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় জারি করা হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা। দিল্লি ছাড়া পাঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ডেও ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আজ শনিবার দিল্লির বসন্ত বিহারের একটি নির্মাণস্থলে ধসে পড়া দেয়ালের ধ্বংসস্তূপ থেকে তিন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া শুক্রবার দিল্লির নিউ উসমানপুর এলাকায় বৃষ্টির পানিতে ভরা খাদে খেলার সময় দুই শিশুর মৃত্যু হয়। অপর একটি ঘটনায় শালিমারবাগ এলাকায় প্লাবিত আন্ডারপাসে পানিতে ডুবে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে নতুন করে জারি করা হয়েছে বন্যার সতর্কতা। আসাম ও মেঘালয়ে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। এতে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির নতুন করে অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল আসামে। তবে সেখানে এখনও পানিবন্দী রয়েছে এক লাখের বেশি বাসিন্দা।