ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে দুই শতাধিক চিঠি

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে দুই শতাধিক চিঠি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে চিঠি দিয়েছেন ২২০ জন সংসদ সদস্য। আজ বিবিসির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়। এতে বলা হয়, স্টারমারের কাছে দেয়া ওই চিঠিতে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এমপি স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে যুক্তরাজ্যকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার আহŸান জানানো হয়েছে। নয়টি রাজনৈতিক দলের প্রায় ২২০ জন এমপি এই আহŸানকে সমর্থন করেছেন। যাদের অর্ধেকেরও বেশি লেবার পার্টির সদস্য। তাদের যুক্তি, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের দিকে সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। এদিকে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানির নেতারা একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন যেখানে, ইসরাইলকে আহŸান জানানো হয়েছে, যেন অবিলম্বে গাজায় সহায়তা প্রবেশের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। তবে এই বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিসহ ১৯৮ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। সঙ্গে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা, আবাসন বুকিং না থাকা, ভ্রমণের অস্পষ্ট উদ্দেশ্যসহ বিভিন্ন কারণে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল ১ ও ২ এ মালয়েশিয়ান বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সি তাদের দেশটিতে প্রবেশ করতে দেয়নি। এক প্রতিবেদনে দেশটির গণমাধ্যম মালয় মেইল এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, টার্মিনাল ১- থেকে মোট ১২৮ জনকে আটক করা হয়, যার মধ্যে ১২৩ জন বাংলাদেশি, দুইজন পাকিস্তানি, দুইজন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন সিরিয়ান রয়েছেন। টার্মিনাল ২-এ বাকি ৭০ জনের মধ্যে ৫১ জন ইন্দোনেশিয়ান, ১৩ জন ভারতীয়, চারজন পাকিস্তানি এবং দুইজন ভিয়েতনামি নাগরিক রয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ১১ জুলাই কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়।
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে সব আরোহীর মৃ*ত্যু

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে সব আরোহীর মৃ*ত্যু রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। বিমানটিতে যাত্রী ও ক্রুসহ ৪৯ জন আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনার পরপরই পোড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এদিকে বিমান দুর্ঘটনার পর রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরটি আট সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করে। ওই ভিডিওতে গভীর জঙ্গলের মাঝে ঘন ধোঁয়ায় মোড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। বিমানটি সাইবেরিয়াভিত্তিক ‘আঙ্গারা’ এয়ারলাইন্সের পরিচালিত একটি আনটোনভ-২৪ মডেলের যাত্রীবাহী বিমান ছিল। রাশিয়ার আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাসিলি অরলভ জানান, ব্লাগোভেশচেনস্ক শহর থেকে বিমানটি চীনের সীমান্তবর্তী টাইন্দা শহরে যাচ্ছিল। মাঝপথে এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, বিমানটিতে ৫ শিশুসহ ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন এবং ৬ জন ক্রু ছিলেন। গভর্নর অরলভ নিশ্চিত করেছেন, সবারই মৃত্যু হয়েছে। মূলত নিখোঁজ বিমানটির খোজে অনুস্ধানের সময় ধ্বংসাবশেষটি আমুর অঞ্চলের একটি দুর্গম বনাঞ্চলে পাওয়া যায় এবং সেখানে বিমানের ফিউসেলাজে আগুন জ্বলছিল। পরে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও জরুরি বিভাগের হেলিকপ্টারসহ একাধিক উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দুর্ঘটনার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে।
রাশিয়ায় ৪৯ জন আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার

রাশিয়ায় ৪৯ জন আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার রাশিয়ার আমুর অঞ্চলে নিখোঁজ হওয়া একটি উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে দেশটির উদ্ধারকারী দল। উড়োজাহাজটি গন্তব্যের মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে বিধ্বস্ত হয় বলে জানা গেছে। অ্যাঙ্গারা এয়ারলাইন্সের আন্তোনভ-২৪ মডেলের উড়োজাহাজটি ৪৩ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রুসহ ব্লাগোভেশচেনস্ক শহর থেকে ছেড়ে আসে। এটি চীনা সীমান্তের কাছাকাছি একটি শহর। এই উড়োজাহাজ টাইন্ডা বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। তবে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই এটি রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ জানান, নিখোঁজ উড়োজাহাজের সন্ধানে সর্বোচ্চ পরিমাণ উদ্ধার-সরঞ্জাম ও লোকবল মোতায়েন করা হয়েছিল। পরে রাশিয়ার জরুরিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিমানে থাকা কেউই বেঁচে নেই। জরুরি বিভাগ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে দুটো সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে— খারাপ আবহাওয়ায় পাইলটের ভুল অথবা যান্ত্রিক ত্রুটি।
গাজায় অনাহারে আরও ১০ মৃ*ত্যু, হা*মলা*য় নি*হ*ত ১০০

গাজায় অনাহারে আরও ১০ মৃ*ত্যু, হা*মলা*য় নি*হ*ত ১০০ ত্রাণ সহায়তায় ইসরায়েলের অবরোধের কারণে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সৃষ্ট এমন পরিস্থিতিতে অনাহারে নতুন করে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় একদিনে অন্তত আরও ১শ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আজ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে অপুষ্টিজনিত কারণে গাজায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১১ জনে। আর এর বেশিরভাগই গত কয়েক সপ্তাহে ঘটেছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ১শ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৪ জন মানবিক সহায়তা নিতে যাওয়া মানুষও রয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ২০২৪ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যেসব শিশু মারা গেছে, তাদের মধ্যে ২১ জনের বয়স পাঁচ বছরের নিচে। ডব্লিউএইচও বলছে, মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রায় ৮০ দিন তারা গাজায় কোনো খাদ্যসামগ্রী পৌঁছাতে পারেনি। বর্তমানে কিছু খাদ্য সহায়তা পাঠালেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। আল জাজিরার তারেক আবু আজ্জুম গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকা থেকে বলছেন, এখন ক্ষুধাও বোমার মতো ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। মানুষ এখন আর চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য চাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, গাজার মানুষেরা ‘ধীরে ধীরে, যন্ত্রণাদায়ক এক মৃত্যুর’ বর্ণনা দিচ্ছেন, যা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পরিকল্পিত এক দুর্ভিক্ষের ফল।
ভারতে বিমানের ইঞ্জিনে আগুন

ভারতে বিমানের ইঞ্জিনে আগুন দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরেই আগুন ধরে যায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের ছোট ইঞ্জিনে। এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র জানিয়েছেন, যাত্রী এবং বিমানের কর্মীরা নিরাপদেই বিমান থেকে নেমেছেন। তাঁরা সকলেই সুরক্ষিত রয়েছেন। আগুন লাগার কারণে বিমানের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে জানায়, এআই৩১৫ বিমানটি আজ হংকং থেকে দিল্লিতে অবতরণ করে। তার কিছুক্ষণ পরেই বিমানটির অক্সিলিয়ারি পাওয়ার ইউনিট (এপিইউ)-তে আগুন লেগে যায়। তার পরেই সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। প্রযুক্তিগতভাবে সেই ব্যবস্থাই করা আছে বিমানে। যখন তাতে আগুন লাগে, তখন যাত্রীরা বিমান থেকে অবতরণ করছিলেন। এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র জানিয়েছেন, কী ভাবে আগুন লাগল, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এপিইউ হল একটি ছোট ইঞ্জিন। বিমান যখন রানওয়ে ছুঁয়ে থাকে, তখন তাকে শক্তি জোগায় এটি। সে সময় বিমানের এসি, লাইট জ্বালাতে, প্রধান ইঞ্জিন চালু করতে শক্তির জোগান দেয় এপিইউ। গত মাসে অহমদাবাদের লোকালয়ে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। লন্ডনের অদূরে গ্যাটউইকে যাচ্ছিল সেটি। উড়ানের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। প্রাণ হারান বিমানে সওয়ার ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জন। ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬০ জন।
ট্রাম্পের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক করছে ভারত

ট্রাম্পের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক করছে ভারত পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যাহ্নভোজ ও বৈঠকের পর ভারত গোপনে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, নয়াদিল্লি এখন চীনের সাথে সম্পর্ক পুনর্গঠন করছে, যা ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঝুঁকিতে ফেলছে। কয়েক দশক ধরে সমৃদ্ধ সম্পর্কের পর এই বৈঠক এবং মার্কিন-ভারত সম্পর্কের অন্যান্য উত্তেজনা বাণিজ্য আলোচনায় ছায়া ফেলেছে। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার অন্যতম প্রধান অংশীদারের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপের কথা বিবেচনা করছে। U.S. তিনজন ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে বিশেষ করে তার সামরিক প্রতিষ্ঠানকে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার জন্য দোষারোপ করেছে ভারত। ওয়াশিংটনকে দিল্লি জানিয়েছে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের প্রশংসা করে ভুল সংকেত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি একটি বেদনাদায়ক পরিস্থিতি তৈরি করেছে যা ভবিষ্যতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। পাকিস্তান ভারতীয় লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণকারী জঙ্গিদের সমর্থন করে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নয়াদিল্লি জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ দেয়নি। গত দুই দশকে ছোটখাটো বাধা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক শক্তিশালী হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, অন্তত আংশিকভাবে উভয় দেশই চীনকে মোকাবেলা করার চেষ্টা করছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান এশিয়া প্যাসিফিক ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, “বর্তমান সমস্যাগুলো ভিন্ন। বিশেষ করে পাকিস্তানের সাথে ভারতের সাম্প্রতিক সংঘাতের পর পাকিস্তানের সাথে আমেরিকা যেভাবে ঘন ঘন ও জোর দিয়ে যোগাযোগ করছে এবং ভারতীয় উদ্বেগগুলোকে বিবেচনায় নিচ্ছে না, সেই কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।” দুই ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৮ জুন মুনিরের সাথে ট্রাম্পের বৈঠকের পরের দিনগুলোতে, প্রধানমন্ত্রী মোদির কার্যালয় এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কার্যালয়ের লোকজন তাদের মার্কিন প্রতিপক্ষদের কাছে প্রতিবাদ জানাতে আলাদা আলাদা ফোন করেছিলেন। একজন জ্যেষ্ঠ ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, “আমরা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে আমাদের অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি, যা আমাদের জন্য একটি রেডলাইর। এখন কঠিন সময় … আমাদের উদ্বেগ ট্রাম্পের বুঝতে না পারাটা সম্পর্কে কিছুটা ভাঁজ ফেলেছে।” ট্রাম্প এবং মুনির সন্ত্রাসবাদবিরোধী সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছেন, যার অধীনে আমেরিকা পূর্বে ন্যাটো-বহির্ভূত মার্কিন মিত্র পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। তারা দুজন ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক আরো জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এটি নয়াদিল্লিতে উদ্বেগ জাগিয়ে তুলেছে। কারণ ভারতের ভাষ্য, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ আবারো সংঘাতে লিপ্ত হলে এবং পাকিস্তান আমেরিকা থেকে যেকোনো অস্ত্র গ্রহণ করলে তা ভারতের বিরুদ্ধে চালানো হতে পারে। ভারতীয় কর্মকর্তারা এবং একজন ভারতীয় শিল্প লবিস্ট জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রকাশ্যে দেখানো হলেও, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারত আমেরিকার বিরুদ্ধে কিছুটা কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এর পরিণতিতে দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনাও ধীর হয়ে গেছে। জুন মাসে কানাডায় জি সেভেন বৈঠকের পর ট্রাম্পের ওয়াশিংটন সফরের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন মোদি। চলতি মাসের শুরুতে, নয়াদিল্লি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছিল। ভারতের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান হর্ষ পন্ত জানান, অন্যান্য দেশের মতো ভারতও ট্রাম্পের সাথে মোকাবিলা করার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে এবং চীনের সাথে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ করছে। তিনি বলেন, “চীনের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ রয়েছে এবং আমি মনে করি এটি পারস্পরিক…চীনও যোগাযোগ করছে।”
ত্রাণ নিতে যাওয়া ৯২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী

ত্রাণ নিতে যাওয়া ৯২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী ইসরায়েলি বাহিনী গাজাজুড়ে কমপক্ষে ১১৫ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এদের মধ্যে ৯২ জনকে উত্তরে জিকিম ক্রসিং এবং দক্ষিণে রাফাহ এবং খান ইউনিসে ত্রাণ কেন্দ্রে খাবার পেতে চেষ্টা করার সময় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে। রবিবার এই হত্যাকাণ্ড এমন সময় ঘটেছে যখন গাজায় ইসরায়েলিদের অব্যাহত অবরোধের ফলে ক্ষুধা সংকট আরো খারাপ হয়েছে। সেখানকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ গত দিনে দুর্ভিক্ষে কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে। জিকিমে জাতিসংঘের ত্রাণ কনভয় থেকে আটা পাওয়ার আশায় বিশাল জনতা সেখানে জড়ো হয়েছিল। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৭৯ জন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে। রাফাহের একটি ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে আরো নয়জন হত্যার শিকার হয়েছেন। এর আগের ২৪ ঘন্টায় সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের মতে, খান ইউনিসে একটি দ্বিতীয় ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে আরও চারজন হত্যার শিকার হয়েছেন। জিকিমে হামলায় বেঁচে যাওয়া ফিলিস্তিনি রিজেক বেতার বলেন, “কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই, খাবার নেই, জীবন নেই, আর বাঁচার কোনো উপায় নেই। আমরা খুব কষ্ট করে অপেক্ষা করছি।” আরেকজন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি ওসামা মারুফ গুলিবিদ্ধ ও আহত একজন বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন। মারুফ বলেন, “আমরা জিকিম থেকে এই বৃদ্ধকে নিয়ে এসেছিলাম। সে কেবল কিছু আটা আনতে গিয়েছিল। আমি তাকে সাইকেলে করে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি – আমি আর আটা চাই না, সে আমার বাবার মতো, এই বৃদ্ধ। ঈশ্বর আমাকে ভালো করার শক্তি দিন। এবং এই কষ্ট যেন বেশি দিন স্থায়ী না হয়।”
বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণ করছে চীন

বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণ করছে চীন তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো (ব্রহ্মপুত্র হিসেবে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে) নদীতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চীন। শনিবার (১৯ জুলাই) তিব্বতের মালভূমিতে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। খবর সিনহুয়ার। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের দক্ষিণ-পূর্বে ন্যিংচি শহরে অবস্থিত ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন লি কিয়াং। এই ইয়ারলুং সাংপো নদীই তিব্বত ছাড়িয়ে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম রাজ্যে প্রবেশ করার পর ব্রহ্মপুত্র নাম ধারণ করে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ২০২০ সালে পাঁচ বছরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা প্রথম ঘোষণা করে চীন। তিব্বতের বিপুল জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এটি তাদের বৃহত্তর কৌশলের অংশ। গত বছরের ডিসেম্বরে চূড়ান্ত অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বছরে আনুমানিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে চীন। এই মুহূর্তে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ থ্রি গর্জেস ড্যামের তুলনায় তিন গুণ বড় এই মেগা প্রকল্পে মোট পাঁচটি ক্যাসকেড জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকবে এবং প্রায় ১৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে এটি নির্মাণে। তবে, এই প্রকল্প ঘিরে এরই মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ভারতে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই বাঁধের ফলে নদীর নিম্নপ্রবাহে বসবাসরত কোটি কোটি মানুষের ওপর গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে। হুমকির মুখে পড়বে ভারত-বাংলাদেশের পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা। ভারতের দাবি, এই বাঁধটিকে ‘পানির মাধ্যমে চাপ সৃষ্টির কৌশল’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে চীন। তাছাড়া এর মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে বন্যা বা খরার সৃষ্টি করতে পারে দেশটি। চীন অবশ্য দাবি করছে, প্রকল্পটি নিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে সুপরিকল্পিত মূল্যায়ন করা হয়েছে ও এটি ভাটির দেশগুলোর পরিবেশ, ভূ-প্রকৃতি কিংবা পানির অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। বেইজিং বলেছে, তারা প্রতিবেশী দেশগুলোর ক্ষতির বিনিময়ে নিজেদের লাভের চেষ্টা করছে না। বরং, প্রকল্পটি দুর্যোগ মোকাবিলা ও প্রশমন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য সহায়ক হবে বলেই দাবি চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। অবশ্য, চীনের এই প্রকল্পের প্রতিক্রিয়ায় ভারতও ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর অরুণাচল প্রদেশে নিজস্ব জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে করে পানিসম্পদের ওপর নিজের অধিকার জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায়।
ভারতীয় এয়ারলাইনসের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ালো পাকিস্তান

ভারতীয় এয়ারলাইনসের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ালো পাকিস্তান ভারতীয় এয়ারলাইনসের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও ১ মাস বাড়িয়েছে পাকিস্তান। ফলে আগামী ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ভারতীয় কোনও এয়ারলাইনসের প্লেন পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহার করতে পারবে না। পাকিস্তানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয় এবং এরপর থেকে একাধিকবার নবায়ন করা হয়েছে। বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞাটি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞা ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে নেয়া হয়, যা শুরু হয় ভারতের অধীকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে একটি প্রাণঘাতী হামলার পর। ওই ঘটনার জেরে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালায়, যাতে অনেক পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হন। এর পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও ভারতীয় বিভিন্ন অবস্থানে হামলা চালায়। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়।