01713248557

ওমান উপকূলে ট্যাংকারডুবি, ১৩ ভারতীয়সহ সমুদ্রে নিখোঁজ ১৬ ক্রু

ওমান উপকূলে ট্যাংকারডুবি, ১৩ ভারতীয়সহ সমুদ্রে নিখোঁজ ১৬ ক্রু ওমান উপকূলে একটি তেল ট্যাংকার ডুবে গেছে। এতে নৌযানটির ১৬ জন ক্রু নিখাঁজ হয়েছেন। নিখোঁজ এসব ক্রুদের ১৩ জন ভারতীয় নাগরিক। জোর তল্লাশি চালানো হলেও প্রেস্টিজ ফ্যালকন নামক ওই ট্যাংকারের ক্রু সদস্যদের এখনও খোঁজ মেলেনি। আজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ওমানের উপকূলে ডুবে যাওয়ার পর একটি তেল ট্যাংকারের ১৩ ভারতীয়সহ ১৬ ক্রু নিখোঁজ হয়েছেন বলে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির মেরিটাইম সিকিউরিটি সেন্টার (এমএসসি) জানিয়েছে। ট্যাংকারের বাকি তিনজন ক্রু ছিলেন শ্রীলঙ্কান। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মেরিটাইম সিকিউরিটি সেন্টার (এমএসসি) জানিয়েছে, কমোরসের-পতাকাবাহী এই তেল ট্যাংকারটি বন্দরনগরী ডুকমের কাছে রাস মাদরাকাহ থেকে ২৫ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্বে ডুবে গেছে। ডুকম বন্দরটি ওমানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত। এটি মূলত মধপ্রাচ্যের এই সালতানাতের প্রধান তেল ও গ্যাস খনির প্রকল্পগুলোর কাছাকাছি অবস্থিত যার মধ্যে একটি বড় তেল শোধনাগারও রয়েছে যা ওমানের বৃহত্তম একক অর্থনৈতিক প্রকল্প ডুকমের বিশাল শিল্প অঞ্চলের অংশ। ডুবে যাওয়া নৌযানটিকে প্রেস্টিজ ফ্যালকন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমএসসি জানিয়েছে, জাহাজের ক্রুরা এখনও নিখোঁজ। তবে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। শিপিং ওয়েবসাইট মেরিনট্র্যাফিক.কম-এর মতে, ডুবে যাওয়া তেল ট্যাংকারটি ইয়েমেনের বন্দর শহর এডেনের দিকে যাচ্ছিল। ১১৭ মিটার দীর্ঘ এই তেল ট্যাংকারটি ২০০৭ সালে নির্মিত।

ব্যাংককে হোটেলে মিলল ৬ পর্যটকের মরদেহ

ব্যাংককে হোটেলে মিলল ৬ পর্যটকের মরদেহ ব্যাংককের গ্র্যান্ড হায়াত ইরায়ান হোটেলে ছয় পর্যটকের মরদেহ পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাদের। যারা মারা গেছেন, তারা সবাই জন্মসূত্রে ভিয়েতনামের। ৪জন ভিয়েতনামের নাগরিক, ২জন ভিয়েতনামের বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। ৫ টি মরদেহ ঘরের ভেতর পাওয়া যায়। একটি ছিল ঘরের বাইরে। পুলিশ জানায়, ফরেনসিক পরীক্ষার প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, ধস্তাধস্তির কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রত্যেকের দেহে বিষ পাওয়া গেছে। গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থলে যান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। পুলিশ জানায়, হোটেলের কর্মীদের কাছ থেকে ফোনকল পাওয়ার পরেই তারা ঘটনাস্থলে যান এবং মরদেহ পান। যারা মারা গেছেন, সবারই মঙ্গলবার চেক আউট করার কথা ছিল, এবং তাদের ব্যাগ গোছানো ছিল। ঘরে খাবারও মিলেছে। রুম সার্ভিসে ফোন করে ওই খাবার আনানো হয়েছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু খাবার খাওয়া হয়নি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা নয়। বিষ দিয়ে ছয়জনকে হত্যা করা হয়েছে। ওই দলের সঙ্গে আরও এক সদস্য যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। গ্র্যান্ড হায়াত বিখ্যাত হোটেল। বহু পর্যটক এই হোটেলে ওঠেন। এ ঘটনার প্রভাব যাতে পর্যটনে না পড়ে, তার দিকে কড়া দৃষ্টি রেখেছে থাই সরকার। প্রধানমন্ত্রী সব এজেন্সিকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। দুই কোটি ৮০ লাখ বিদেশি পর্যটক গত বছর থাইল্যান্ডে বেড়াতে যান। সব মিলিয়ে তারা কয়েক ট্রিলিয়ন বাট (থাই মুদ্রা) খরচ করেন। পর্যটন থাইল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। এ ঘটনা সে ব্যবসায় যেন প্রভাব না ফেলে, তা নিয়ে সতর্ক থাই সরকার।

আজ পবিত্র আশুরা 

আজ পবিত্র আশুরা  পবিত্র আশুরা আজ। এটি বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর কাছে শোকাবহ, তাৎপর্যপূর্ণ ও মহিমান্বিত একটি দিন। হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হুসাইন (রা.) সপরিবারে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদাতবরণ করেন। ইসলামের ইতিহাসে এই মর্মন্তুদ বিয়োগাত্মক ঘটনা ছাড়াও মহররম মাসের ১০ তারিখ বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ একটি দিন। এজন্যই দিনটি গুরুত্বসহকারে পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ‘আশুরা’ নামটি আরবি শব্দ ‘আশারা’ থেকে এসেছে। যার অর্থ দশ। আর আশুরা মানে দশম। আর মহররম অর্থ সম্মানিত বা পবিত্র। ইসলামী পরিভাষায়, হিজরি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে ‘আশুরা’ বলে। সৃষ্টির শুরু থেকে মহররমের ১০ তারিখে অর্থাৎ পবিত্র আশুরার দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। হিজরি ৬১ সনের এই দিনে ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবারের সদস্যরা শহীদ হয়েছিলেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁদের আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। বিশ্বের মুসলমানদের কাছে এই দিনটি একদিকে যেমন শোকের, তেমনি অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা জোগায়। তবে কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনা ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে এই দিনে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। মুসলমানদের বিশ্বাস, হজরত মুসা (আ.) ফেরাউনের জুলুম থেকে এই দিনে পরিত্রাণ লাভ করেছিলেন তার অনুসারীদের নিয়ে। ইব্রাহিম (আ.) নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে এই দিনে মুক্তি পান। এমন অনেক তাৎপর্যময় ঘটনা ঘটেছিল এই দিনে। মহান আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল রোজা, নামাজ, দানখয়রাত ও জিকির-আসকারের মধ্য দিয়ে এই দিনটি পালন করেন। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম। পবিত্র আশুরার এ দিনে সাম্য, ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মুসলিম উম্মার ঐক্য, সংহতি ও অগ্রগতি কামনা করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে জাতীয় জীবনে সত্য প্রতিষ্ঠায় জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিতে হবে।

ওমানে বিরল বন্দুক হামলা, নিহত ৪

ওমানে বিরল বন্দুক হামলা, নিহত ৪ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের রাজধানী মাস্কাটে একটি মসজিদের কাছে বন্দুকধারীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ওমানে এই ধরনের হামলার ঘটনা বেশ বিরল। দেশটির বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন অত্যন্ত কঠোর। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী মাস্কাটের আল-ওয়াদি আল-কবির নামক এলাকায় একটি মসজিদের কাছে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওমানি পুলিশ বলেছে, এ ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে স্থিতিশীল দেশগুলোর একটিতে নিরাপত্তার একটি বিরল লঙ্ঘন। পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। এখনো হামলাকারীর পরিচয় এবং হামলার কারণ জানা যায়নি। প্রমাণ সংগ্রহ ও প্রাথমিক তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় ওমানে মার্কিন দূতাবাস আমেরিকান নাগরিকদের হামলার এলাকা থেকে দূরে থাকার সতর্কতা জারি করেছে। আরব উপদ্বীপের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত দেশ ওমান। সুলতানি আমল থেকেই দেশটিতে সহিংসতা বিরল। তাই ঠিক কি কারণে এ হামলা তা বের করতে কাজ করছে দেশটির পুলিশ।

গাজায় শরণার্থী শিবিরের মসজিদে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ২২

গাজায় শরণার্থী শিবিরের মসজিদে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ২২ পশ্চিম গাজা নগরীর আল শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি অস্থায়ী মসজিদে শনিবার (১৩ জুলাই) হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। খবর সিএনএনের। আল-আহলি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান আমজাদ আল-আহলি সিএনএনকে বলেছেন, শনিবার আল শাতি ক্যাম্পের অস্থায়ী মসজিদে ইসরায়েলি হামলায় ২০ জন নিহত হয়। এরপর গতকাল রোববার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।  গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল সিএনএনকে বলেছেন, জোহরের নামাজের সময় বোমা হামলা চালানো হয়েছে। তিনি জানান, আহত সবার অবস্থা গুরুতর। বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, নামাজের জন্য রাখা ‘মাদুরে’ লাশ পড়ে আছে। বহু হতাহতদের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় শনিবার তাদের দৈনিক ব্রিফিংয়ে এই ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করে বলেছে, ‘ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) পশ্চিম গাজা শহরের আল শাতি শরণার্থী শিবিরের ভিতরে একটি অস্থায়ী মসজিদে হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। একাধিক প্রতিবেদন বলছে, জোহরের নামাজের কিছুক্ষণ পরেই আইডিএফ হামলা চালায়, তখনও অনেক মানুষ মসজিদের ভিতরে বা কাছাকাছি ছিল।’ এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার (১৪ জুলাই) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, শনিবার গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের হামলায় ১৪১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে অন্তত ৪০০ জন। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। নয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এ হামলা অব্যাহত আছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৫৮৪ জনে। পাশাপাশি এ সময় আহত হয়েছে আরও ৮৮ হাজার ৮৮১ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছে। হামলা অব্যাহত থাকায় উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছতে পারছেন না।

নিরাপদ ঘোষিত এলাকাতেই ইসরায়েলের হামলা, নিহত অর্ধশতাধিক

নিরাপদ ঘোষিত এলাকাতেই ইসরায়েলের হামলা, নিহত অর্ধশতাধিক ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী যে এলাকাটিকে ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ বলে ঘোষণা করেছিল সেখানেই বিমান হামলা চালিয়েছে তারা। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) পশ্চিম খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা অনলাইন। গাজা সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলায় বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীরাও আহত কিংবা নিহত হয়েছে। আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান আল-নুস গোলচত্বরের কাছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের দিকে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আল-মাওয়াসিতে তাঁবু এবং একটি পানি পরিশোধন ইউনিটের কাছে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আঘাত হানে। আহতদের কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি রেডিও স্টেশন জানিয়েছে, এই হামলাকে ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেছে সামরিক বাহিনী। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানিয়েছেন, হামলার স্থানটিকে দেখে মনে হচ্ছে একটি ‘ভূমিকম্প’ আঘাত হেনেছে।  ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ধোঁয়াটে ধ্বংসাবশেষ এবং রক্তাক্ত হতাহতদের স্ট্রেচারে ওঠানো হচ্ছে। লোকজনকে তাদের হাত দিয়ে একটি বড় গর্তের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে বের হওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

নাইজেরিয়ায় স্কুল ভবন ধসে ২১ জনের মৃত্যু

নাইজেরিয়ায় স্কুল ভবন ধসে ২১ জনের মৃত্যু নাইজেরিয়ায় একটি স্কুল ভবন ধসে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) প্লাতেউ রাজ্যের সেইন্টস অ্যাকাডেমি কলেজে  ক্লাস চলাকালীন এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নাইজেরিয়ার জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, উদ্ধাকারী, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে। প্লাতেউর তথ্য কমিশনার মুসা আসোমস এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রায় ১২০ জন আটকা পড়েছিলেন।অনেককে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্য কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার জন্য স্কুলের ভাবনের কাঠামো হওয়ার বিষয়টিকে দোষারোপ করেছে। যেসব স্কুলের কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে সেগুলো বন্ধ করে দিতে আহ্বান জানিয়েছে তারা। স্কুল কর্তৃপক্ষ এখনো নিশ্চিত করেনি কতজন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক নিহত এবং আহত হয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে নিহতদের পাশাপাশি ২৬ জনকে একটি নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম গুলো শুক্রবার কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যুর খবর জানালেও, রেড ক্রসের একজন মুখপাত্র একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে  কমপক্ষে ২১ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরা

 দক্ষিণ এশিয়ায় জীবিকা নির্বাহ কঠিন হবে বলছে বিশ্বব্যাংক

দক্ষিণ এশিয়ায় জীবিকা নির্বাহ কঠিন হবে বলছে বিশ্বব্যাংক বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার বলেছেন, ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যের খ-িতকরণের কারণে সামনের দিনগুলোতে দক্ষিণ এশীয়দের জন্য উপযুক্ত জীবিকা নির্বাহে কাজ পাওয়া আরও কঠিন হবে। দুই দশক ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রমশক্তিতে প্রবেশকারীদের সংখ্যা কমছে। শ্রমশক্তিতে নতুন প্রবেশকারীদের তুলনায় ৩০ কোটি কম চাকরি রয়েছে। আজ প্রকাশিত ‘রিথিংকিং সোশ্যাল প্রটেকশন ইন সাউথ এশিয়া : টুওয়ার্ডস প্রগ্রেসিভ ইউনিভার্সালিজম’ শীর্ষক প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরেন রাইজার। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেতিবাচক নানা ঝুঁকির অভূতপূর্ব সংমিশ্রণ আচ্ছন্ন করেছে দক্ষিণ এশিয়া। শ্রীলঙ্কায় করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিক সংকটে প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। পাকিস্তানে ২০২২ সালের বন্যা-জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রায় ৯ দশমিক ১ মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্রের দিকে ঢেলে দিয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও খাদ্য সংকট আরও প্রসারিত হয়েছে। যুদ্ধের প্রভাবে সরাসরি বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার কর্মজীবী মানুষ।’ মার্টিন রাইজার মতে, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জে দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত ক্রমবর্ধমান কর্মক্ষম জনসংখ্যার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ কমে যাচ্ছে। এমন সময়ে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়েছে, যা বিশ্বকে এমনভাবে আগে প্রভাবিত করেনি।

চীনে জ্বালানি ট্যাঙ্কারে রান্নার তেল পরিবহন

চীনে জ্বালানি ট্যাঙ্কারে রান্নার তেল পরিবহন চীনে রান্নার তেল পরিবহনের জন্য জ্বালানি ট্যাঙ্কার ব্যবহার করার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) চীনা সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে। গত সপ্তাহে সরকারি সংবাদপত্র বেইজিং নিউজ জানিয়েছে, তাদের একজন আন্ডারকভার প্রতিবেদক এক ট্রাক চালকের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। ওই চালক চীনের পশ্চিমে নিংজিয়া থেকে একটি ট্যাঙ্কার নিয়ে হেবেইয়ের পূর্ব উপকূলীয় শহর কিনহুয়াংদাওতে গিয়েছিলেন।  এক হাজার ২৯০ কিলোমিটার দূরের ওই পথ থেকে তাকে খালি গাড়ি নিয়ে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাকে ট্যাঙ্কারটি পরিষ্কার না করেই প্রায় ৩২ টন সয়াবিন তেল লোড করার জন্য হেবেইয়ের অন্য অংশে একটি কেন্দ্রে পাঠানো হয়। একই বৈশিষ্ট্যযুক্ত আরও কয়েকটি ট্যাঙ্কারে সয়াবিন তেল লোড করা হয়েছিল। এই কেলেঙ্কারিতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল ও শস্য কোম্পানি সিনোগ্রেন এবং বেসরকারি সংস্থা হোপফুল গ্রেইন অ্যান্ড অয়েল গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি বড় চীনা কোম্পানি জড়িত রয়েছে। উভয় সংস্থা জানিয়েছে, তারা অভিযোগ তদন্ত করছে। চলতি সপ্তাহে চীনের স্টেট কাউন্সিলের অধীনে খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনের কার্যালয় জানিয়েছে, তারা অভিযোগ তদন্ত করছে এবং ‘যে ব্যক্তিরা ট্যাঙ্কার ট্রাকের অনুপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে আইন লঙ্ঘন করেছে তাদের কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।’ এই ট্যাঙ্কারগুলোতে পরিবহন করা রান্নার তেল শেষ পর্যন্ত কোথায় পৌঁছানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। বেইজিং নিউজ জানিয়েছে,  ট্যাঙ্কারগুলো চীনে গৃহস্থালী ব্র্যান্ডগুলোর প্যাকেজিং কেন্দ্রে তেল সরবরাহ করেছিল। তবে তেল শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, কিছু তেল শেষ পর্যন্ত বিদেশে রপ্তানির জন্য ছোট বোতলে প্যাকেটজাত করা হতে পারে।

গাজা শহর থেকে সব বাসিন্দাকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের

গাজা শহর থেকে সব বাসিন্দাকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের গাজা শহরের সব বাসিন্দাকে বের হয়ে যেতে বলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।  বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, বাসিন্দাদের বের হয়ে যেতে গাজা সিটিতে হাজার হাজার লিফলেট ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। লিফলেটে ‘গাজা শহরের প্রত্যেককে’ সম্বোধন করে শহর থেকে আরও দক্ষিণে মনোনীত নিরাপদ এলাকায় যাওয়ার রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে,  সেনাবাহিনী হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানলে শহুরে এলাকা ‘একটি বিপজ্জনক যুদ্ধ অঞ্চলে পরিণত হবে।’ এর আগে ২৭ জুন শহরের একটি অংশ থেকে বাসিন্দাদের বের হয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার আকাশ থেকে ফেলা লিফলেটগুলোতে বলা হয়েছে, বাসিন্দারা ‘দ্রুত এবং পরিদর্শন ছাড়াই গাজা সিটি থেকে দেইর আল-বালাহ এবং আল-জাওইয়াতে আশ্রয়কেন্দ্রে’ দুটি নিরাপদ সড়ক বেছে নিতে সক্ষম হবে। এএফপি জানিয়েছে, দেইর আল-বালাহতে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হলেও সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছে। জাতিসংঘ ইসরায়েলের এই আদেশে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের এমন অঞ্চলে যেতে বলেছে যেখানে যুদ্ধ চলছে।