চীনে বন্যায় অন্তত ৩০ জনের মৃ*ত্যু

চীনে বন্যায় অন্তত ৩০ জনের মৃ*ত্যু চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বন্যায় অন্তত ৩০ জনের প্রাণ গেছে। ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যা পরিস্থিতি চলছে। বেইজিংয়ে প্রায় ১৩০টি গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং কয়েক ডজন রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। উদ্ধারকারী দল হেলিকপ্টার ব্যবহার করে লোকজনকে বের করে আনছে। আবহাওয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ বৃষ্টি কমতে পারে, তবে সামনে বেইজিংসহ চীনের অন্যান্য অংশে আবারও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির। চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং আরও হতাহত রোধে ‘সর্বাত্মক’ অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। চলতি গ্রীষ্মে চীনের অনেক অংশে চরম আবহাওয়া বিরাজ করছে। এই মাসের শুরুতে দেশটির পূর্বাঞ্চলে রেকর্ড তাপপ্রবাহ অনুভূত হয়, অন্যদিকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। গত সপ্তাহে হেবেই প্রদেশের বাওডিং শহরের প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

জন্মহার বাড়াতে প্রতি শিশুকে ৩৬০০ ইউয়ান দেবে চীন সরকার

জন্মহার বাড়াতে প্রতি শিশুকে ৩৬০০ ইউয়ান দেবে চীন সরকার চীন সরকার তাদের দেশের তিন বছরের কম বয়সী প্রতিটি শিশুর জন্য বছরে ৩,৬০০ ইউয়ান (প্রায় ৫০০ মার্কিন ডলার বা ৪০ হাজার টাকা) নগদ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এই কেন্দ্রীয় ভাতার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের জন্মহার হঠাৎ করে কমে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে বেইজিং। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই ভাতা প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০ মিলিয়ন পরিবারকে সহায়তা করবে। প্রতিটি শিশুর জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৮০০ ইউয়ান পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে, যা তিন বছরের জন্য দেওয়া হবে। গত কয়েক বছর ধরে চীনে জন্মহার দ্রুত কমছে। এক সময়ের বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি এখন জনসংখ্যা সংকটের মুখে পড়েছে। ২০২৪ সালে দেশটিতে জন্ম নিয়েছে মাত্র ৯.৫৪ মিলিয়ন শিশু। যদিও সংখ্যাটি ২০২৩ সালের চেয়ে কিছুটা বেশি, কিন্তু এটি এখনো অত্যন্ত কম এবং যথেষ্ট নয় ভবিষ্যৎ অর্থনীতি ও শ্রমশক্তি ধরে রাখার জন্য। চীনের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১.৪ বিলিয়ন হলেও বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এর ফলে চীনকে একটি কঠিন বাস্তবতায় পড়তে হচ্ছে যেখানে কাজের উপযুক্ত বয়সী মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এর আগে চীনের কিছু প্রদেশ ও শহরে স্থানীয়ভাবে জন্ম-বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যেমন- দেশটির উত্তরাঞ্চলের হোহহোট শহরে তৃতীয় সন্তানের জন্য দম্পতিদের এককালীন ১ লাখ ইউয়ান পর্যন্ত সহায়তা দেওয়া হয়। শেনইয়াং শহরে তৃতীয় শিশুর জন্য মাসে ৫০০ ইউয়ান করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। তবে এবারই প্রথম চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পুরো দেশব্যাপী শিশু ভাতা চালু করা হলো। এই ভাতা ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে চালু হলেও ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া শিশুরাও আংশিক সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারবে। চীনে এখন সন্তান লালনপালনের খরচ অত্যন্ত বেশি। একটি শিশুকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত লালনপালনে গড়ে ৭৫,৭০০ ডলার (প্রায় ৮৩ লাখ টাকা) খরচ হয়- যা বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল হিসেবেই ধরা হয়। এই ব্যয় ও কর্মজীবী মায়েদের ওপর চাপের কারণেই চীনের অনেক পরিবার সন্তান নিতে বা দ্বিতীয়-তৃতীয় সন্তান নিতে আগ্রহী নয়। চীন সরকার চায়, এই ভাতা শিশু পালন খরচের কিছুটা চাপ কমাবে এবং মানুষকে পরিবার বড় করতে উৎসাহিত করবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে- এই ধরনের ভাতা ভালো উদ্যোগ হলেও এটি যথেষ্ট নয়। শুধু নগদ সহায়তা দিয়ে পরিবারগুলোকে সন্তানের জন্য রাজি করানো কঠিন। এর পাশাপাশি দরকার- বিনামূল্যে বা সস্তায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, মায়েদের চাকরির নিশ্চয়তা ও ছুটি, স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করা, আবাসন ব্যয় কমানো। চীনা সরকার সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে, তারা ফ্রি প্রিস্কুল শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্যও পরিকল্পনা করছে।

১ আগস্ট থেকে কার্যকর মার্কিন শুল্ক, চুক্তি অধরা বাংলাদেশের

১ আগস্ট থেকে কার্যকর মার্কিন শুল্ক, চুক্তি অধরা বাংলাদেশের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত নতুন শুল্ক নীতিমালা আগামী ১ আগস্ট থেকেই কার্যকর হচ্ছে। হাতে মাত্র তিন দিন বাকি থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ। মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক স্থানীয় সময় গতকাল ‘ফক্স নিউজ সানডে’ অনুষ্ঠানে জানান, বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা চূড়ান্ত, এবং তা আর বাড়ানো হবে না। তবে, শুল্ক কার্যকর হওয়ার পরও আলোচনার সুযোগ থাকবে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য, জাপান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে। সর্বশেষ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও একটি চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখনো কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি।

থাইল্যান্ডে বন্দুক হামলায় নিহত ৫

থাইল্যান্ডে বন্দুক হামলায় নিহত ৫ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি জনপ্রিয় বাজারে আজ সোমবার এক বন্দুকধারীর গুলিতে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজনকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, ব্যস্ত বাজারে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করা বন্দুকধারীসহ মোট ছয়জন নিহত হয়েছেন। ব্যাংককের হাসপাতালগুলোর তদারকিকারী এরাওয়ান জরুরি চিকিৎসা কেন্দ্রের মতে, নিহত ছয়জনের মধ্যে বাজারে কর্মরত চারজন নিরাপত্তারক্ষী, একজন নারী এবং বন্দুকধারী রয়েছেন। থাই রাজধানীর জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র চাতুচাক বাজার থেকে অল্প দূরে অবস্থিত ওর টর কোর মার্কেটে এই হামলা চালানো হয়েছে। ব্যাংককের বাং সু জেলার উপ-পুলিশ প্রধান ওরাপাত সুকথাই ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, “হামলার উদ্দেশ্য তদন্ত করছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এটি একটি গণহত্যা।” পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্দুকধারীও আত্মহত্যা করেছে। উপ-পুলিশ প্রধান আরো বলেছেন, তারা এই গণহত্যার সঙ্গে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বর্তমান সীমান্ত সংঘর্ষের ‘কোনো সম্ভাব্য যোগসূত্রের জন্য’ তদন্ত করছেন। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড গত বৃহস্পতিবার থেকে ভয়াবহ সীমান্ত সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে। যুদ্ধবিমান, কামান, ট্যাংক নামিয়ে দুই দেশের স্থল বাহিনী মুখোমুখি যুদ্ধে নেমে পড়ে। দুই পক্ষের সীমান্ত সংঘর্ষে চার দিনে ৩২ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে থাইল্যান্ডের ১৩ জন আর কম্বোডিয়ার ৮ জনই বেসামরিক। যুদ্ধবিরতির জন্য আজ সোমবার মালয়েশিয়ায় স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় আলোচনায় বসতে যাচ্ছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। গত শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।

মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় ‘নিঃশর্ত’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া

মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় ‘নিঃশর্ত’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সোমবার মধ্যরাত থেকে ‘নিঃশর্ত’ যুদ্ধবিরতিতে যাবে বলে ঘোষণা করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। পুত্রাজায়া থেকে এএফপি জানায়, মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত মধ্যস্থতামূলক আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড উভয় পক্ষ একটি অভিন্ন সমঝোতায় পৌঁছেছে, স্থানীয় সময় অনুযায়ী ২৮ জুলাই, ২০২৫ তারিখ মধ্যরাত থেকে ‘তাৎক্ষণিক ও নিঃশর্ত’ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

দাবানলে পু*ড়ছে গ্রিস, সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের

দাবানলে পু*ড়ছে গ্রিস, সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের ভয়াবহ দাবানলে আবারো পুড়ছে গ্রিস। পাঁচটি বড় দাবানলের সঙ্গে লড়াই করছে দেশটির জরুরি সেবা বিভাগ। এর মধ্যে রাজধানী অ্যাথেন্স থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার উত্তরে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আফিদনেস অঞ্চলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, দাবানলের ধোঁয়া অ্যাথেন্স শহর পর্যন্ত পৌঁছেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে সহযোগিতা চেয়েছে গ্রিস সরকার। দেশটিতে তাপপ্রবাহও চলছে। রবিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। সপ্তাহান্তজুড়ে এমন চরম তাপমাত্রা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রিসের জলবায়ু সংকট ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ইয়ানিস কেফালোইয়ানিস বলেছেন, “আমাদের দমকলকর্মীরা আহত হয়েছেন, মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে, সম্পদ পুড়ে গেছে, বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে গেছে।” প্রচণ্ড গরমের মধ্যে প্রবল বাতাস দাবানল আরো ছড়িয়ে দিচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইইউ সিভিল প্রোটেকশন মেকানিজম থেকে অতিরিক্ত ছয়টি দমকল বিমান চেয়েছে গ্রিস। অ্যাটিকা অঞ্চলে (যেখানে অ্যাথেন্স অবস্থিত), আফিদনেসে শুরু হওয়া আগুন দ্রোসোপিগি, ক্রিওনেরি ও আগিওস স্টেফানোস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে, ফলে বহু মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরতে হয়েছে। প্রধান আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে ধোঁয়া ও আগুন দেখা যাচ্ছে। ২০০ জনের বেশি ফায়ারফাইটার, হেলিকপ্টার ও পানিবাহী বিমান আগুন নেভাতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিয়া দ্বীপে পিসোনার কাছে দ্বিতীয় একটি দাবানল ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে গেছে এবং দ্রুত আফ্রাতির দিকে এগোচ্ছে। আগুনে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার পুড়ে যাওয়ায় পুর্নোস ও মিস্ট্রোসের মত কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দগ্ধ ও শ্বাসনালীতে ধোঁয়া যাওয়ায় এ পর্যন্ত ছয়জন দমকলকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে; তবে ১১৫ জন কর্মী এখনও আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। দিরফিওন-মেসাপিয়নের মেয়র জর্জোস সাথাস বলেছেন, “ধ্বংসের পরিমাণ হিসাবের বাইরে।” তৃতীয় একটি দাবানল কিথিরা দ্বীপের বড় অংশকে গ্রাস করেছে। সেখানে রীতিমত ‘ধ্বংসযজ্ঞ’ চলছে বলে বর্ণনা করেছেন স্থানীয়রা। বেশ কিছু বাড়িঘর খালি করা হয়েছে। কোস্টগার্ড লিমনিওনাস বিচ থেকে ১৩৯ জনকে উদ্ধার করে কাপসালি বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে। মেসিনিয়ার ত্রাফিলিয়া এলাকার পলিথেয়াতে শনিবার সকালে চতুর্থ দাবানল শুরু হয়, যা পরে আরো তীব্র হয়। সেখানে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রবল বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ছে। ৮৪ জন দমকলকর্মী, ৩০টি যানবাহন এবং সাতটি উড়োযান দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে সেখানে। পঞ্চম দাবানল চলছে ক্রিতির খানিয়া অঞ্চলের তামেনিয়া এলাকায়। সেখানে দুটি আলাদা স্থানে আগুন শুরু হওয়ার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আরো কয়েকটি অঞ্চলে নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- আয়োনিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, পশ্চিম গ্রিস, পিলোপনিস, মধ্য গ্রিস, অ্যাটিকা, এপিরাস, পশ্চিম মেসিডোনিয়া (ফ্লোরিনা, কাস্তোরিয়া, কোজানি), পূর্ব মেসিডোনিয়া ও থ্রেস (এভ্রোস), থেসালি (মাগনিসিয়া, লারিসা, ত্রিকালা), দক্ষিণ ঈজিয়ান (রোডস) ও ক্রিট। গত মাসে উত্তর এজিয়ান সাগরের খিওস দ্বীপে দাবানলে ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। জুলাইয়ের শুরুর দিকে ক্রিটে আরেকটি দাবানলে ৫ হাজার পর্যটককে সরিয়ে নিতে হয়েছিল। ইউরোপের দক্ষিণে অবস্থিত গ্রিসে গ্রীষ্মকালের উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই দাবানলের ঘটনা ঘটে। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক দাবানলগুলো আরো ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

ভারতে মন্দিরে প*দ*দলিত হয়ে ৬ জনের প্রা*ণহা*নি

ভারতে মন্দিরে প*দ*দলিত হয়ে ৬ জনের প্রা*ণহা*নি ভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে মনসা দেবী মন্দিরে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো অনেকে। মূল মন্দিরে যাওয়ার পথে সিঁড়িতে পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির। পুলিশ জানিয়েছে, বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে জনতার মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয় আর তখন হুড়োহুড়ি শুরু হলে পদদলনের ঘটনা ঘটে। উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল বিভাগের কমিশনার বিনয় শঙ্কর পাণ্ডে জানিয়েছেন, এ ঘটনার আগে বিপুল সংখ্যক মানুষ মনসা দেবী মন্দিরে পূজা দিতে সেখানে জড়ো হয়েছিল। এ ঘটনায় অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে আসা ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, আহত ভক্তদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, অনেককে ঘটনাস্থলেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাটি বর্ণনায় বিহারের এক আহত বাসিন্দা জানান, মন্দিরে হঠাৎ করেই বিশাল ভিড় জমে যায়, যার ফলে পদদলিত হয়। লোকজন যখন ভিড় থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল, তখন তিনি পড়ে যান এবং তার হাত ভেঙে যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, দুর্ঘটনার পরপর উত্তরাখণ্ড পুলিশের রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি আরো জানান, তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। উত্তরাখণ্ড সরকার নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে দুই শতাধিক চিঠি

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে দুই শতাধিক চিঠি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে চিঠি দিয়েছেন ২২০ জন সংসদ সদস্য। আজ বিবিসির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়। এতে বলা হয়, স্টারমারের কাছে দেয়া ওই চিঠিতে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এমপি স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে যুক্তরাজ্যকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার আহŸান জানানো হয়েছে। নয়টি রাজনৈতিক দলের প্রায় ২২০ জন এমপি এই আহŸানকে সমর্থন করেছেন। যাদের অর্ধেকেরও বেশি লেবার পার্টির সদস্য। তাদের যুক্তি, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের দিকে সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। এদিকে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানির নেতারা একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন যেখানে, ইসরাইলকে আহŸান জানানো হয়েছে, যেন অবিলম্বে গাজায় সহায়তা প্রবেশের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। তবে এই বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিসহ ১৯৮ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। সঙ্গে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা, আবাসন বুকিং না থাকা, ভ্রমণের অস্পষ্ট উদ্দেশ্যসহ বিভিন্ন কারণে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল ১ ও ২ এ মালয়েশিয়ান বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সি তাদের দেশটিতে প্রবেশ করতে দেয়নি। এক প্রতিবেদনে দেশটির গণমাধ্যম মালয় মেইল এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, টার্মিনাল ১- থেকে মোট ১২৮ জনকে আটক করা হয়, যার মধ্যে ১২৩ জন বাংলাদেশি, দুইজন পাকিস্তানি, দুইজন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন সিরিয়ান রয়েছেন। টার্মিনাল ২-এ বাকি ৭০ জনের মধ্যে ৫১ জন ইন্দোনেশিয়ান, ১৩ জন ভারতীয়, চারজন পাকিস্তানি এবং দুইজন ভিয়েতনামি নাগরিক রয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ১১ জুলাই কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়।  

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে সব আরোহীর মৃ*ত্যু

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে সব আরোহীর মৃ*ত্যু রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। বিমানটিতে যাত্রী ও ক্রুসহ ৪৯ জন আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনার পরপরই পোড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এদিকে বিমান দুর্ঘটনার পর রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরটি আট সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করে। ওই ভিডিওতে গভীর জঙ্গলের মাঝে ঘন ধোঁয়ায় মোড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। বিমানটি সাইবেরিয়াভিত্তিক ‘আঙ্গারা’ এয়ারলাইন্সের পরিচালিত একটি আনটোনভ-২৪ মডেলের যাত্রীবাহী বিমান ছিল। রাশিয়ার আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাসিলি অরলভ জানান, ব্লাগোভেশচেনস্ক শহর থেকে বিমানটি চীনের সীমান্তবর্তী টাইন্দা শহরে যাচ্ছিল। মাঝপথে এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, বিমানটিতে ৫ শিশুসহ ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন এবং ৬ জন ক্রু ছিলেন। গভর্নর অরলভ নিশ্চিত করেছেন, সবারই মৃত্যু হয়েছে। মূলত নিখোঁজ বিমানটির খোজে অনুস্ধানের সময় ধ্বংসাবশেষটি আমুর অঞ্চলের একটি দুর্গম বনাঞ্চলে পাওয়া যায় এবং সেখানে বিমানের ফিউসেলাজে আগুন জ্বলছিল। পরে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও জরুরি বিভাগের হেলিকপ্টারসহ একাধিক উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দুর্ঘটনার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে।