দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ১০

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ১০ দক্ষিণ আফ্রিকায় এক বন্দুক হামলায় ১০ জন নিহত ও অপর ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে। জোহানেসবার্গ থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। পুলিশ এএফপিকে জানায়, নগরী থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বেকারসডালে এ গুলি হামলার ঘটনা ঘটে। তবে, গুলি চালানোর উদ্দেশ্য জানা যায়নি। পুলিশ জানায়, হামলাকারীদের পরিচয় এখনো সনাক্ত করা যায়নি। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা রাস্তায় চলাচলরত ক’জনের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি জেলেনস্কির আহ্বান

যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি জেলেনস্কির আহ্বান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, রাশিয়াকে শান্তি আলোচনায় রাজি করানোর সক্ষমতা কেবল যুক্তরাষ্ট্রেরই রয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, জেলেনস্কির এই মন্তব্য এমন এক সময় এলো, যখন নতুন দফার আলোচনার লক্ষ্যে কূটনীতিকরা যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে একত্রিত হয়েছেন। জেলেনস্কি বলেন, ওয়াশিংটন ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ছয় মাসের মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে যুদ্ধ শেষ করতে হলে মস্কোর ওপর আরও কঠোর চাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, “যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়াকে রাজি করানোর ক্ষমতা একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেরই আছে। যদি কূটনীতি কাজ না করে, তাহলে পূর্ণ চাপ প্রয়োগ করতে হবে।” ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনো সেই মাত্রার চাপ অনুভব করেননি, যা তার ওপর থাকা উচিত। তিনি ইউক্রেনে আরও অস্ত্র সরবরাহ এবং রাশিয়ার সমগ্র অর্থনীতির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত কিরিল দিমিত্রিভ মিয়ামিতে পৌঁছেছেন। সেখানে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দিমিত্রিভ সাংবাদিকদের জানান, আলোচনা গঠনমূলকভাবে শুরু হয়েছে এবং তা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে, ট্রাম্পের দূতরা একটি শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছেন, যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। তবে এর বিনিময়ে কিয়েভকে কিছু ভূখণ্ড ছাড় দিতে হতে পারে—যা অনেক ইউক্রেনীয়র মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শুক্রবার জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সম্মতি ছাড়া কোনো শান্তি চুক্তি চাপিয়ে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “ইউক্রেন রাজি না হলে কোনো শান্তি চুক্তি হবে না।” রুবিও শনিবার নিজ শহর মিয়ামিতে আলোচনায় যোগ দিতে পারেন বলেও জানান। উল্লেখ্য, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সর্বশেষ সরাসরি আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছিল গত জুলাই মাসে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। ওই আলোচনার ফলে বন্দী বিনিময় হলেও যুদ্ধ বন্ধে কোনো অগ্রগতি হয়নি।

ইমরান-বুশরাকে তোশাখানা মামলায় ১৭ বছরের কারাদন্ড

ইমরান-বুশরাকে তোশাখানা মামলায় ১৭ বছরের কারাদন্ড পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা-২ মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। খবর এনডিটিভির। রাষ্ট্রীয় উপহার বেআইনিভাবে গ্রহণ ও বিক্রির ফলে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে মামলার শুনানি শেষে এ রায় দেয়া হয়। ইমরান খান এই কারাগারেই বন্দি আছেন। আদালত পাকিস্তান দণ্ডবিধির ৩৪ ও ৪০৯ ধারার অধীনে ইমরান খানের জন্য ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে সাত বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে। একই ধারায় বুশরাকে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত তাদের দুজনকেই এক কোটি ৬৪ লাখ টাকা জরিমানাও করেছে। আইন অনুযায়ী, জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। রায়ে বলা হয়েছে, সাজা প্রদানের সময় ইমরান খানের বয়স এবং বুশরা বিবি নারী হওয়াকে বিবেচনা করে শাস্তি কমানো হয়েছে। ইমরান খান ও বুশরার আইনজীবীরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। মামলাটি গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো (এনএবি) দায়ের করেছিল।

তিন দশকের মধ্যে জাপানে সুদের হার বেড়ে সর্বোচ্চ

তিন দশকের মধ্যে জাপানে সুদের হার বেড়ে সর্বোচ্চ জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংক অব জাপান’ (বিওজে) নীতিগত সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ব্যাংকটি জানিয়েছে, সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে প্রধান নীতিগত সুদের হার ০ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।  এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে সুদ আরও বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিওজে জানায়, সুদের হার বাড়ানো হলেও বাস্তব সুদের হার এখনও উল্লেখযোগ্যভাবে ঋণাত্মক থাকবে। ফলে সহনশীল বা অ্যাকোমোডেটিভ আর্থিক নীতি অব্যাহত থাকবে। যা দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন জোগাবে। শেয়ারবাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশটির প্রধান শেয়ারসূচক নিক্কেই ২২৫ বেড়েছে ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তবে একই সময়ে ইয়েনের মান কমে প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১৫৫ দশমিক ৯২ ইয়েনে দাঁড়িয়েছে। বিওজের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশের নিচে নেমে আসতে পারে। সেজন্য খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির গতি কম রাখা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। তবে সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জাপানের অর্থনীতির জন্য নতুন ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। সংশোধিত জিডিপি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে জাপানের অর্থনীতি আগের প্রান্তিকের তুলনায় ০ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে বার্ষিক হিসাবে সংকুচিত হয়েছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ

পাকিস্তানে থাকা ৫৩৫ আফগান নাগরিককে আশ্রয় দেবে জার্মানি

পাকিস্তানে থাকা ৫৩৫ আফগান নাগরিককে আশ্রয় দেবে জার্মানি পাকিস্তানে আটকে থাকা ৫৩৫ জন আফগান নাগরিককে জার্মানিতে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জার্মান সরকার গতকাল জানিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ট আরএনডি মিডিয়া নেটওয়ার্ককে বলেছেন, বার্লিন চায় ‘ডিসেম্বরে যতটা সম্ভব’ এসব মামলার প্রক্রিয়া শেষ করতে, যাতে সংশ্লিষ্ট আফগানরা জার্মানিতে প্রবেশ করতে পারেন। এই আফগান নাগরিকদের আগের জার্মান সরকারের একটি শরণার্থী কর্মসূচির আওতায় নেওয়া হয়েছিল। তবে মে মাসে রক্ষণশীল চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস দায়িত্ব নেওয়ার পর কর্মসূচিটি স্থগিত হলে তারা পাকিস্তানে আটকা পড়েন। পাকিস্তান বছরের শেষ নাগাদ এসব মামলার নিষ্পত্তির সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল।

বায়ু দূষণ রোধ বাঁচাতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার ১০০ কোটি মানুষের জীবন

বায়ু দূষণ রোধ বাঁচাতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার ১০০ কোটি মানুষের জীবন দক্ষিণ এশিয়ার ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি এবং হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) নামে পরিচিত অংশগুলোতে বায়ু দূষণ স্বাস্থ্য এবং উৎপাদনশীলতার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ক্ষতি করছে। এটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুতর উন্নয়ন চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। এই অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ অস্বাস্থ্যকর বায়ু শ্বাস নেয়, যার ফলে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়। এর ফলে প্রতি বছর এই অঞ্চলে জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়ে থাকে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। ‘পরিবর্তনের নিঃশ্বাস: ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি এবং হিমালয়ের পাদদেশে পরিচ্ছন্ন বাতাসের সমাধান’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং বিচারব্যবস্থায় কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থনে অবদান রাখবে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত আইজিপি-এইচএফ-এ বায়ু দূষণের মূল উৎস পাঁচটি। এর মধ্যে রয়েছে- রান্না ও গরম করার জন্য কঠিন জ্বালানি পোড়ানো, উপযুক্ত ফিল্টার প্রযুক্তি ছাড়াই জীবাশ্ম জ্বালানি ও জৈববস্তুপুঞ্জ পোড়ানো, অদক্ষ অভ্যন্তরীণ দহন যানবাহন ব্যবহার করা, কৃষকদের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং অদক্ষভাবে সার ও সার ব্যবস্থাপনা করা, এবং পরিবার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্জ্য পোড়ানো। প্রতিবেদনে এমন কিছু সমাধান তুলে ধরা হয়েছে, যা সহজেই গ্রহণ করা এবং এর ব্যবহার বাড়ানো যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে- বৈদ্যুতিক রান্না; শিল্প বয়লার, চুল্লি এবং ইটভাটার বিদ্যুতায়ন এবং আধুনিকীকরণ; অ-মোটরচালিত এবং বৈদ্যুতিক পরিবহন ব্যবস্থা; উন্নত ফসলের অবশিষ্টাংশ এবং পশুপালনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা; এবং উন্নত বর্জ্য পৃথকীকরণ, পুনর্ব্যবহার এবং নিষ্কাশন। প্রতিবেদনে পরিচ্ছন্ন-বাতাস সমাধানগুলোকে তিনটি পারস্পরিকভাবে তিনটি ক্ষেত্রে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমত, রান্না, শিল্প, পরিবহন, কৃষি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তাদের উৎসে নির্গমন হ্রাস করে এমন হ্রাস সমাধান। দ্বিতীয়ত, সুরক্ষা ব্যবস্থা যা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে, যাতে পরিষ্কার বাতাসে রূপান্তরের সময় শিশু এবং ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়গুলো সুরক্ষিত থাকে। তৃতীয়ত, নিয়ন্ত্রক কাঠামো, বাজার-ভিত্তিক উপকরণ এবং আঞ্চলিক সমন্বয় দ্বারা সমর্থিত শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, যা সময়ের সাথে সাথে বহু-ক্ষেত্র এবং বহু-বিভাগীয় অগ্রগতি বজায় রাখে। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, “এই প্রতিবেদন থেকে প্রতীয়মান হয় যে, সমাধানগুলো নাগালের মধ্যেই রয়েছে এবং নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের জন্য সমন্বিত, সম্ভাব্য এবং প্রমাণ-ভিত্তিক সমাধানগুলো বাস্তবায়নের জন্য একটি বাস্তব রোডম্যাপ প্রদান করে। দক্ষিণ এশীয় উদ্যোগ, পরিবার এবং কৃষকদের জন্য পরিষ্কার প্রযুক্তি এবং অনুশীলন গ্রহণের জন্য এবং সরকারগুলোকে তাদের সমর্থন করার জন্য শক্তিশালী আর্থিক ও অর্থনৈতিক যুক্তি রয়েছে।” সমাধানগুলো কার্যকর করতে দেশগুলোকে সহায়তা করতে প্রতিবেদনটি ‘চারটি-আই’ এর উপর জোর দেয়। সেগুলো হলো:- ইনফরমেশন (তথ্য): পরিকল্পনা এবং জবাবদিহিতার জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য সরবরাহ করে এমন তথ্য। ইনসেনটিভ (প্রণোদনা): পরিষ্কার বিকল্পগুলোর দিকে আচরণগত এবং বিনিয়োগ স্থানান্তরকে উৎসাহিত করে এমন প্রণোদনা। ইন্সটিটিউশন (প্রতিষ্ঠান): এমন প্রতিষ্ঠান যা কর্মের সমন্বয় সাধন করে, সম্মতি নিশ্চিত করে এবং জাতীয় ও স্থানীয় বাস্তবায়নকে সংযুক্ত করে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার (অবকাঠামো): আধুনিক ও দক্ষ শিল্প কার্যক্রমের সাথে পরিচ্ছন্ন শক্তি, পরিবহন এবং বর্জ্য ব্যবস্থা সক্ষম করে এমন অবকাঠামো। দক্ষিণ এশিয়ার পরিবেশ বিষয়ক বিশ্বব্যাংকের অনুশীলন ব্যবস্থাপক অ্যান জিনেট গ্লোবার বলেন, “পরিচ্ছন্ন বায়ু অর্জনের জন্য স্থানীয়, জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে অব্যাহত সহযোগিতা, টেকসই অর্থায়ন এবং শক্তিশালী বাস্তবায়ন প্রয়োজন। একসাথে কাজ করার মাধ্যমে, সরকারগুলো দূষণ কমাতে, লাখ লাখ জীবন বাঁচাতে এবং সকলের জন্য পরিষ্কার বায়ু সরবরাহ করার এই পথ অনুসরণ করতে পারে।

মক্কার কাবা চত্বরে চালু হলো ব্রেসলেট সেবা

মক্কার কাবা চত্বরে চালু হলো ব্রেসলেট সেবা সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে গ্র্যান্ড মসজিদ ও মসজিদে নববির কার্যক্রম তত্ত্বাবধানকারী জেনারেল অথরিটি। এ উদ্যোগের আওতায় মসজিদে প্রবেশের সময় শিশুদের হাতে বিশেষ পরিচয় ব্রেসলেট পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্রেসলেটটিতে শিশুর অভিভাবকের যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকবে। ফলে কোনো শিশু ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেলে বা পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে দ্রুত তার পরিচয় শনাক্ত করে অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। এই ব্যবস্থা একটি সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে চালু করা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা যাতে দ্রুত ও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। গ্র্যান্ড মসজিদের কিং আবদুল আজিজ গেট ও কিং ফাহদ গেট (গেট নম্বর ৭৯)-সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রবেশপথে এসব পরিচয় ব্রেসলেট বিতরণ করা হচ্ছে। সেখানে দায়িত্বরত কর্মীরা অভিভাবকদের প্রয়োজনীয় যোগাযোগ তথ্য সহজে নিবন্ধনে সহায়তা করছেন। বিশেষ করে ওমরাহ মৌসুম ও হজের সময় মুসল্লিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। এ সময় শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব অভিভাবককে এই সেবা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেছে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, এ উদ্যোগের মাধ্যমে একদিকে অভিভাবকদের মানসিক নিশ্চয়তা দেওয়া হবে, অন্যদিকে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানে শিশুদের নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

নাইজেরিয়ায় খনি স্থাপনায় হামলা, নিহত ১২

নাইজেরিয়ায় খনি স্থাপনায় হামলা, নিহত ১২ নাইজেরিয়ার প্লাটো রাজ্যের আতোসো গ্রামে একটি খনি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। এতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং তিনজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্তকাল স্থানীয় একদল নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের। বেরোম ইয়ুথ মোল্ডার্স-অ্যাসোসিয়েশন (বিওয়াইএম) এর প্রধান ডালিওপ সলোমন মাওয়ান্তিরি বলেছেন, আক্রমণকারীরা (যাদের স্থানীয়রা সশস্ত্র ফুলানি মিলিশিয়া হিসেবে চিহ্নিত করেছে) মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের মুখপাত্র আলফ্রেড আলাবো নিশ্চিত করেছেন যে, এই হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে। সর্বশেষ এই হামলার ঘটনা ওই অঞ্চলের নিরাপত্তাহীনতার ঘটনাকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে। সেখানে জাতিগত ও ধর্মীয় দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রতি বছর নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন দুই লাখের বেশি ভারতীয়

প্রতি বছর নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন দুই লাখের বেশি ভারতীয় প্রতি বছর নিজ দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন দুই লাখের বেশি ভারতীয়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের লিখিত জবাবে এস জয়শঙ্করের মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ২০ লাখের বেশি ভারতীয় দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সাল থেকে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন ৯ লাখেরও বেশি ভারতীয়। ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রতি বছর নাগরিকত্ব ত্যাগের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে সংখ্যাটা ২ রাখে পৌঁছায়। কী কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বাড়ল, তার সুস্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে জয়শঙ্করের মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, ব্যক্তিগত কারণেই অনেকে ভারতের নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন। এই পরিসংখ্যানের সূত্রে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে ‘ব্রেন ড্রেন’ তত্ত্ব নিয়ে। যে তত্ত্ব অনুসারে, ভারতের মেধাবী ছাত্র-যুবকরা উন্নত সুযোগ-সুবিধার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোতে চলে যাচ্ছেন। সত্তরের দশকে ভারতের নাগরিকত্ব ত্যাগের ঊর্ধ্বমুখী হার এই তত্ত্বকে আরও জোরদার করেছিল। ভারত দ্বৈত নাগরিকত্ব (একই সঙ্গে দুই দেশের নাগরিকত্ব) স্বীকার করে না। আমেরিকা, কানাডা কিংবা ব্রিটেনের নাগরিকেরা অন্য দেশের নাগরিকত্ব পেতে পারেন। ভারতীয়দের অনেকেই কর্মসূত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন। সে দেশের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পেতে অনেকেই সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। নিয়ম অনুযায়ী, অন্য দেশের নাগরিকত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের নাগরিকত্ব হারাবেন সেই ব্যক্তি। সামাজিকমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী ভারতীয়দের একাংশ। তাদের বক্তব্য, তারা স্বেচ্ছায় ভারতের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে চান না। কিন্তু নিয়মনীতির ফাঁসে পড়ে তা করতে বাধ্য হন।

নির্বাচন ‘বিঘ্নিত’ করার অভিযোগে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা 

নির্বাচন ‘বিঘ্নিত’ করার অভিযোগে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা  সামরিক বাহিনী পরিচালিত আসন্ন নির্বাচন ‘বিঘ্নিত’ করার অভিযোগে ২০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। বুধবার দেশটির জান্তা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের বরাতে জান্তা সরকারের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী টুন টুন নাউং জানান, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নস্যাৎ করার চেষ্টার অভিযোগে মোট ২২৯ জনের বিরুদ্ধে নতুন আইনের আওতায় মামলা করা হবে। মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো বলছে, ভিন্নমত দমন করতেই এই আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাদের মতে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী কণ্ঠ দমন করাই জান্তার মূল উদ্দেশ্য। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারে আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে জান্তা সরকার। এই ভোটকে তারা ‘জাতীয় পুনর্মিলনের পথে একটি পদক্ষেপ’ হিসেবে তুলে ধরছে। তবে বাস্তবতায় বিরোধী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই নির্বাচন আয়োজন কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিরা এই নির্বাচনকে সামরিক শাসন দীর্ঘায়িত করার কৌশল হিসেবে দেখছেন এবং তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। উল্লেখ্য, আসন্ন নির্বাচনকে ‘বাধা, বিঘ্ন ও ধ্বংস’ থেকে রক্ষার অজুহাতে চলতি বছরের জুলাইয়ে একটি কঠোর আইন প্রণয়ন করে জান্তা সরকার। ওই আইনে নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করা বা নির্বাচনবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।