ভারতে অবস্থানের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাই নেবেন -জয়শঙ্কর

ভারতে অবস্থানের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাই নেবেন -জয়শঙ্কর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে কতদিন অবস্থান করবেন সেই সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে। শনিবার এইচটি লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির সিইও এবং প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালকে তিনি এ কথা বলেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা গত বছরের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে শত শত মানুষ মারা যায় এবং হাজার হাজার আহত হয়। তার সরকারের নৃশংস দমন-পীড়নের জন্য ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ দায়ে ৭৮ বছর বয়সী শেখ হাসিনাকে গত মাসে ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। রাহুল কানওয়ালের সাথে কথা বলার সময় জয়শঙ্করকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে হাসিনা ‘যতদিন চান’ ভারতে থাকতে পারবেন কিনা। জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, “আচ্ছা, এটি একটি ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এখানে এসেছিলেন এবং আমি মনে করি সেই পরিস্থিতি স্পষ্টতই তার সাথে যা ঘটেছে তার একটি কারণ। কিন্তু আবারও বলছি, এটি এমন একটি বিষয় যেখানে তাকে তার মন তৈরি করতে হবে।” ওই আলোচনায় নয়াদিল্লি-ঢাকার সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন এস জয়শঙ্কর। বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ভারতের অবস্থানের ওপর জোর দেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ ঘোষণা শ্রীলঙ্কায়

ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ ঘোষণা শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা ক্ষতিগ্রস্তদের বাসস্থান পুনঃনির্মাণে বড় ধরনের ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যদিও দেশটি শনিবারও নতুন ভূমিধস ও বন্যার আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে। সরকার নিশ্চিত করেছে যে ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ৬০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ২১৪ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং এই নিখোঁজ ব্যক্তিরা মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে একে দেশটির ‘সবচেয়ে কঠিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। সমগ্র দেশে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এই মানুষরা, দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ। গতকাল রাতে এক বিবৃতিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেঁচে যাওয়া পরিবারগুলোকে নিরাপদ এলাকায় জমি কিনে এবং সেখানে নতুন ঘর নির্মাণের জন্য সর্বোচ্চ ১ কোটি রুপি (৩৩ হাজার ডলার) পর্যন্ত দেওয়া হবে। এছাড়াও, এই দুর্যোগে যারা মারা গেছে অথবা স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ বা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়া প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে সরকার ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেবে।
আরএসএফের ড্রোন হামলায় সুদানে শিশুসহ নিহত ৭৯

আরএসএফের ড্রোন হামলায় সুদানে শিশুসহ নিহত ৭৯ সুদানের দক্ষিণ কুর্দোফান রাজ্যে আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) ড্রোন হামলায় অন্তত ৭৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৩ জনই শিশু। এ ছাড়া আরো ৩৮ জন আহত হয়েছে বলে গতকাল সুদানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে দক্ষিণ কুর্দোফান রাজ্য সরকার জানায়, নিহতদের মধ্যে ৪ জন নারী রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম সুদানের কলোজি শহরে চালানো ওই হামলায় একটি ড্রোন চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো একটি কিন্ডারগার্টেন, একটি হাসপাতাল এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানে।
প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ দিল পাকিস্তান

প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ দিল পাকিস্তান প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান (সিডিএফ) নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান। এই পদে ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরের নিয়োগ অনুমোদন করেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। তাকে পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার ডন অনলাইন জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সেনাবাহিনী প্রধান (সিওএএস) এবং প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধান (সিডিএফ) উভয় পদে মুনিরকে সুপারিশ করেছিলেন। তার সেই সুপারিশ অনুমোদিত হয়েছে বলে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলেএক পোস্টে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি পাঁচ বছরের জন্য সিডিএফ হিসেবে এবং একই সাথে সিওএএস হিসেবে ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরের নিয়োগ অনুমোদন করেছেন।” শেহবাজ শরিফের সরকার ২৯ নভেম্বর দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই দিন মুনিরের সেনাপ্রধান হিসেবে তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। সামরিক কমান্ডকে কেন্দ্রীভূত করার লক্ষ্যে সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীর অধীনে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের ভূমিকা গত মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আসিম মুনির চলতি বছর ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি সিডিএফের দায়িত্বের পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। জেনারেল আইয়ুব খানের পর তিনি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সামরিক কর্মকর্তা যিনি ফিল্ড মার্শাল উপাধি পেয়েছেন।
প্রেমিকাকে বিয়ে করতে ১২ হাজার ডলার বেতনের চাকরি ছাড়লেন যুবক

প্রেমিকাকে বিয়ে করতে ১২ হাজার ডলার বেতনের চাকরি ছাড়লেন যুবক প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য ১২ হাজার ডলার বেতনের চাকরি ছেড়েছেন সিঙ্গাপুরের এক যুবক। শুধু তাই নয়, সিঙ্গাপুর ছেড়ে তিনি প্রেমিকার বাড়ি থাইল্যান্ডে বসবাসের প্রস্তুতি নিয়েছেন। থাই সংবাদমাধ্যম কালাসিন নিউজের খবর অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কালাসিন প্রদেশের এক নার্সকে বিয়ে করেছেন জর্ডান নামের ওই যুবক। যৌতুক হিসেবে নগদ অর্থ এবং আড়াই লাখ ডলারেরও বেশি মূল্যের সোনা প্রেমিকাকে দিয়েছেন তিনি ৩২ বছর বয়সী জর্ডান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ব্যাংককের বাংনা জেলার একটি ক্যাফেতে থাই তরুণী ‘ইভ’ রাচাদাপর্নের (২৯) সাথে প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল। একপর্যায়ে তারা ফোন নম্বর বিনিময় করেন এবং লাইন মেসেজিং অ্যাপে টেক্সট করতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক গাঢ় হতে শুরু করে। এক বছর প্রেম করার পর এই জুটি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন এবং জর্ডান থাইল্যান্ডে চলে আসে। জর্ডান সংবাদমাধ্যমকে আরো জানান, তিনি এবং তার স্ত্রী থাইল্যান্ডে নিজেদের জন্য একটি জীবন গড়তে চান। তিনি সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংকে ১২ হাজার ডলার বেতনে চাকরি করতেন। বর্তমানে থাইল্যান্ডে এর অর্ধেক বেতনে একটি স্থানীয় কোম্পানিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। কালাসিন নিউজ জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে জর্ডান রাত্চাদাপর্নের মাকে নগদ এক লাখ বাথ (থাই মুদ্রা) এবং প্রায় ১৩ হাজার ডলার মূল্যের সোনা উপহার দিয়েছিলেন। বিয়ের দ্বিতীয় অনুষ্ঠানের জন্য সিঙ্গাপুরে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন তিনি। সেখানে কনের বাবা-মাকে ১০ লাখ বাথ নগদ এবং ২ লাখ ডলারেরও বেশি মূল্যের সোনা যৌতুক হিসেবে প্রদান করবেন।
চীনে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত

চীনে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত চীনে আজ বৃহস্পতিবার জিনজিয়াংয়ে ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে। চীনে আজ বৃহস্পতিবার জিনজিয়াংয়ে ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে। সিইএনসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৩ টা ৪৪ মিনিটে চীনের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত কিরগিজস্তান-জিনজিয়াং সীমান্তের কাছে আক্কি কাউন্টির কাছে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যার কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হতাহতের বা ভবন ধসের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
২৩৯ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ বিমানের সন্ধান ফের শুরু করছে মালয়েশিয়া

২৩৯ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ বিমানের সন্ধান ফের শুরু করছে মালয়েশিয়া মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ নিখোঁজ হওয়ার এক দশকেরও বেশি সময় পর আবারও শুরু হচ্ছে গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর থেকে নতুন করে অনুসন্ধান চালানো হবে। খবর বিবিসির। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে ৮ মার্চে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে বোয়িং ৭৭৭ প্লেনটি হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। যাত্রা শুরু করার ৪০ মিনিটের মধ্যে সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিমানটির কী হয়েছে, তা আজও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। বিমানটিতে ছিলেন ২৩৯ জন যাত্রী ও ক্রু। তারা কোথায় বা বিমানটি কোথায়, আজ পর্যন্ত এই খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিমান চলাচলের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত এটি ‘সবচেয়ে রহস্যময়’ ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামুদ্রিক রোবোটিক্স কম্পানি ওশান ইনফিনিটি ৩০ ডিসেম্বর থেকে অনুসন্ধান চালাবে। তারা সেই সব এলাকায় অনুসন্ধান করবে যেগুলোতে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ৫৫ দিনের নতুন অনুসন্ধান অভিযানটি চলতি বছরের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল, কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে কয়েক দিনের মধ্যেই তা স্থগিত করা হয়। বিমানে আরোহী ২৩৯ জনের বেশিরভাগই ছিলেন চীনা নাগরিক। পরিবহন মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এই নতুন উদ্যোগ এমএইচ৩৭০ ট্র্যাজেডিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য মালয়েশিয়া সরকারের চেষ্টাকে আরো দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে এবং এ ঘটনার সমাপ্তি বা উত্তর পেতেও সাহায্য করবে।’ চলতি বছরের মার্চে মালয়েশিয়া সরকার ওশান ইনফিনিটিকে ‘নো ফাইন্ড, নো ফি (পাওয়া গেলে কোনো ফি নয়)’- এমন ভিত্তিতে নতুন অনুসন্ধানের অনুমোদন দেয়। ভারত মহাসাগরের ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন এলাকায় অনুসন্ধানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলে কেবল তখনই কম্পানিকে ৭০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করা হবে। স্যাটেলাইট তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি নিয়মিত পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে দক্ষিণ দিকে ভারত মহাসাগরের দূরবর্তী এলাকায় চলে যায় এবং ধারণা করা হয় সেখানেই এটি বিধ্বস্ত হয়। বহু দেশের ব্যয়বহুল বহুজাতিক অনুসন্ধান অভিযান সত্ত্বেও বিমানটির অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। যা বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অনুসন্ধানের সূত্রপাত করেছে। ২০১৮ সালে ওশান ইনফিনিটির চালানো ব্যক্তিগত অনুসন্ধানেও কোনো সাফল্য মেলেনি।
তীব্র অর্থসংকটে জাতিসংঘ, কর্মী ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত

তীব্র অর্থসংকটে জাতিসংঘ, কর্মী ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর চাঁদা বাকি থাকায় নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনায় তীব্র আর্থিক সংকটে পড়েছে জাতিসংঘ। এতে করে বাজটে কমানোর ও কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শান্তি, মানবাধিকার ও সহযোগিতা নিশ্চিতে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। গ্তকাল আগামী বছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। যা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩.২৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালের তুলনায় বাজেটটি ৫৭৭ মিলিয়ন ডলার কম। গুতেরেস বলেছেন, ২০২৬ সালের বাজেট ১৫.১ শতাংশ কমানো এবং কর্মী সংখ্যা ১৮.৮ শতাংশ ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নির্ধারিত বাজেট কমানো হবে না। গুতেরেস বলেন, গাজা নিয়ে কাজ করা ইউএনআরডব্লিউএ-কে বাজেট কমানোর বাইরে রাখা হবে। কারণ এই সংস্থার বাজেটে কাটছাঁট হলে গাজায় মানবিক সহায়তা ব্যবস্থার মূল কাঠামোই ভেঙে পড়বে। তিনি আরও জানান, ডেভেলপমেন্ট অ্যাকাউন্ট ও আফ্রিকার উন্নয়ন সংক্রান্ত অ্যাডভোকেসি’র বাজেটও ২০২৫ সালের মতোই রাখা হবে। কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে, বিভিন্ন অঙ্গসংস্থা থেকে মোট ২ হাজার ৬৮১টি পদ বাতিল করা হবে। ওই পদগুলোর কার্যক্রম অন্য সংস্থার মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে, অথবা তাদের দক্ষতা বাড়িয়ে ঘাটতি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। মহাসচিব বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বকেয়া ও অন্যান্য দেনা থেকে সৃষ্ট চলমান নগদ সংকটের কারণে জাতিসংঘে ইতোমধ্যে প্রায় ১৮ শতাংশ পদ শূন্য রয়েছে। সংস্থাটি বিবৃতিতে বলছে, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঘাটতির মূল অংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও মেক্সিকোর বকেয়া চাঁদা থেকে।
পেরুতে নৌকা ডুবে ১২ জনের প্রাণহানি

পেরুতে নৌকা ডুবে ১২ জনের প্রাণহানি পেরুর মধ্যাঞ্চলে গতকাল সোমবার দেশটির ইপারিয়া নদী বন্দরে নোঙর করা দুটি নৌকা ভূমিধসের কারণে ডুবে যাওয়ায় তিন শিশুসহ কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় নৌকা থাকা আরও কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানা গেছে। খবর এএফপি’র। পুলিশ প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আন্দিনা সংবাদ সংস্থা জানায়, উকায়ালির আমাজন জঙ্গল অঞ্চলের ইপারিয়া বন্দরে ভূমিধসের ফলে দুটি নৌকা ডুবে যায়। তবে, নৌকায় কতজন লোক ছিল তা জানা যায়নি। নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন জোনাথন নভোয়া টেলিফোনে এএফপিকে বলেন, নয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আর ২৫ জন আহত হয়েছে এবং প্রায় ৪০ জন নিখোঁজ’ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া পরিবারগুলোর কাছ থেকে ঠিক কতজন নিখোঁজ হয়েছে তা জানার এবং নিখোঁজদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ইউটিভি নোটিসিয়াস চ্যানেলে প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ডুবে যাওয়া নৌকাগুলোর লাগেজ ও মালামাল নদীতে ভেসে যাওয়ার সময় হতবিহ্বল মানুষজন নদীর তীরে দৌড়াদৌড়ি করছে।
দক্ষিণ সুদানে বিমান হামলায় নিহত ৪০

দক্ষিণ সুদানে বিমান হামলায় নিহত ৪০ দক্ষিণ সুদানের দক্ষিণ কর্দোফান অঞ্চলে ভয়াবহ বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। নিহতদের দাফন কাজে অংশ নেওয়া দুই ব্যক্তি গ্তকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শনিবার কোমো গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মানবাধিকার সংগঠন ‘এমার্জেন্সি লইয়ার্স’ জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর পরিচালিত বিমান হামলা সরাসরি গ্রামটির একটি নার্সিং স্কুলে আঘাত হানে। হামলায় ডজনখানেক শিক্ষার্থীসহ বহু বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। হেইবান গ্রামের বাসিন্দা কাফি কালু বলেন, “বিমান হামলার খবর পেয়ে সেখানে যাই। গিয়ে দেখি নার্সিং স্কুলে আগুন জ্বলছে। সবাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে এবং লাশ দাফন করছে। প্রায় ৪০ জনকে কবর দিতে হয়েছে।” আরেক বাসিন্দা টিহ ইসা জানান, “আমরা ৪০টিরও বেশি কবর খুঁড়েছি। ঘটনা ছিল খুবই মর্মান্তিক।”তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সুদানি সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, সেনাবাহিনী কখনো বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় না। যদিও ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে চলমান সংঘাতে সেনাবাহিনীর হামলায় বারবার সাধারণ মানুষের প্রাণহানির অভিযোগ উঠছে। দক্ষিণ সুদানে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং তাদের মিত্র সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট–নর্থ বর্তমানে দারফুর ও দক্ষিণ কর্দোফানের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে তীব্র লড়াই চলছে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে। জাতিসংঘ জানায়, শুধু নভেম্বর মাসেই দক্ষিণ কর্দোফানের ছোট গ্রামগুলো থেকে নিরাপত্তাহীনতার কারণে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। চলমান এই যুদ্ধ এখন পর্যন্ত লাখো মানুষের প্রাণ কেড়েছে এবং ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে বাস্তুহারা করেছে।