গোমস্তাপুরে বজ্রপাতে নিহত কৃষককে আর্থিক সহায়তা প্রদান

গোমস্তাপুরে বজ্রপাতে নিহত কৃষককে আর্থিক সহায়তা প্রদান গোমস্তাপুরে বজ্রপাতে শাহাবুদ্দিন ওরফে ওজকার নামে এক কৃষক নিহত হয়েছে। গতকাল রাত ৮ টার দিকে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সময় সন্তেষপুর গ্রাম সংলগ্ন বিলের খোলারট্যাক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাবুদ্দিন উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের কামাত সন্তেষপুর গ্রামের বাসিন্দা তাজামুল হকের ছেলে। ওই সময় তিনি পাওয়ার টিলারে করে ধান নিয়ে এলাকায় ফিরছিল। এদিকে আজ সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির মুন্সি নিহতের স্ত্রীর হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এ সময় বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আলিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গোমস্তাপুরে কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটা-মাড়াইয়ের উদ্বোধন

গোমস্তাপুরে কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কাটা-মাড়াইয়ের উদ্বোধন   চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদকৃত জমির বোরো ধান কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে কাটা-মাড়াইয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের জিনারপুর ব্লকের রাইহো গ্রামের একটি ক্ষেতে এই ধান কাটার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। এ উপলক্ষে একই স্থানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী। অন্য অতিথিদের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সি, পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার, কৃষক ইমরুল কায়েশ বক্তৃতা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জেসমিন আকতার লাবনী, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামসহ উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও অন্য কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের জিনারপুর ব্লকের রাইহো গ্রাম এলাকায় ৫৫ জন কৃষককে নিয়ে ৫০ একর জমিতে প্রথমবারের মতো সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। ওই জমিতে প্রদর্শনী হিসেবে উচ্চ ফলনশীল জাত ব্রি ধান-৮৮ রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করা হয়েছিল। এখন কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে তা কাটা-মাড়াই শুরু হলো। তিনি আশা করছেন, এবার বাম্পার ফলন হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্য আম, আমের পাশাপাশি ধানের উৎপাদন ভালো হয়। ভালো উৎপাদনের ফলে দেশের অন্যান্য এলাকায় চাহিদা মিটিয়ে থাকে এই অঞ্চলের ধান। আমরা দেখলাম, কীভাবে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান কর্তন করা হয়। এর আগে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চারা রোপণ করা হয়েছিল। এগুলো আসলেই প্রদর্শনী। আপনাদের দেখানো ও জানানো। আপনাদের উদ্বুদ্ধ করানো হলো এই কর্মসূচির মাধ্যমে। তিনি বলেন, যদি আগের পদ্ধতিতে শ্রমিককে টাকা দিয়ে ধান কাটতেন, তাহলে একদিনে কতটুকু ধান কর্তন করতে পারতেন। এই পার্থক্যটা কতটুকু, চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন। কৃষি কর্মকর্তা বলে গেছেন, ২ থেকে ৩ বিঘা জমি কর্তন করতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এতে আপনারা উৎসাহী হন। সময়, শ্রমিক কম লাগছে। আমরা যদি সমলয় পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারি, তাহলে সবুজ বিপ্লব বাস্তবায়ন ঘটানো সম্ভব। এর আগে জেলা প্রশাসক গোমস্তাপুর ইউনিয়নে ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট (জৈব সার তৈরি) ও রহনপুর ইউনিয়নের বংপুরে পলিনেট হাউস পরিদর্শন এবং পার্বতীপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পুষ্টি বাগানের উদ্বোধন করেন।

গোমস্তাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিদ্যুৎ মিস্ত্রি নিহত

গোমস্তাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিদ্যুৎ মিস্ত্রি নিহত গোমস্তাপুরে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে শরিফুল ইসলাম নামে এক ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি নিহত হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে পার্বতীপুর ইউনিয়নের পূর্ব ব্রাহ্মণ গ্রামের একটি আমবাগানে নির্মাণাধীন ঘরে কাজ করার সময় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শরিফুল ইসলাম রহনপুর পৌর এলাকার রহমতপাড়া গ্রামের মৃত হাসেন উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, শরিফুল ইসলাম ওই গ্রামের একটি লীজ নেওয়া আমবাগানের ভিতরে নির্মাণাধীন ঘরে বিদ্যুতের কাজ করছিলেন। কাজ করার একপর্যায়ে বিদ্যুত লাইনের পিলারে হাত লেগে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হন। পরে তাকে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ব্যাপারে গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রইস উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা প্রক্রিয়াধীন।

রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলা ৪টি আন্ত:নগর ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালুসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলা ৪টি আন্ত:নগর ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালুসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী চারটি আন্ত:নগর ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালানো সহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারককলিপি প্রদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করে। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনি-পেশার প্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষ কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন। ঘন্টারও বেশি সময়ের মানববন্ধনে আয়োজকরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণের আশ^াস না দিলে আগামী ১৪ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনে ‘বনলতা’ ট্রেন অবরোধের কর্মসূচী দেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা সুজন সভাপতি আসলাম কবীর, সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি মোহাম্মদ ইসাহাক, জেলা চেম্বার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ,শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন ও মাহফুজ রায়হান,জেলা বৈষম্যবিরোদী ছাত্র আন্দোলন আহব্বায়ক আব্দুর রাহিম,নাগরিক কমিটি যুগ্ম আহব্বায়ক আবু হেনা বাবলু, প্রবীন হিতৈষী সংঘের আফসার আলী,মর্ডান মাকেট কমিটি সভাপতি গোলাম মোস্তফা,জেলা কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ সম্পাদক বাবুল আখতার,জেলা পুজা উদযাপন কমিটি সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ,জেলা চা দোকান মালিক সমিতি সভাপতি কামরুজ্জমান মুক্তা,সদর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মোখলেসুর রহমান,জেলা যুবদলের সাবেক সম্পাদক আব্দুর রহমান সহ অনেকে। বক্তরা বলেন, রাজশাহী-ঢাকা রুটে ৫টি আন্ত:নগর ট্রেন চললেও শুধু ‘বনলতা’ রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত চলে। অথচ বিভিন্ন মহল দীর্ঘদিন থেকে সকল ট্রেনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালাানোর দাবিতে আন্দোলন করছে। অথচ দাবিটি পূরণ না হওয়ায় ২৫ লক্ষাধিক জনসংখ্যার জেলাবাসীকে বিভিন্ন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আম সহ বিভিন্ন দিকে সমৃদ্ধ ও সম্ভাবনার জেলাবাসী নিরাপদ আধুনিক যোগাযোগ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানবন্ধন শেষে জেলা প্রসাসকের মাধ্যমে রেল উপদেষ্টা ও সচিব এবং সড়ক উপদেষ্টা ও সচিবকে স্¥রকলিপি দেয়া হয়। ৮দফার অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত নতুন ডবল লাইন নির্মাণ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনের প্লাটফর্ম আধুনিকায়ন, জেলার রহনপুর রেলওয়ে শুল্ক ষ্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দর ঘোষণা,সকল আন্ত:নগর ট্রেনের জন্য রহনপুর পর্যন্ত কানেকটিং ট্রেন চালু, সদর উপজেলার আমনুরা বাইপাস ষ্টেশনে যাত্রাবিরতি রাখা, আমনুরাকে আধুনিক জংশনে রুপান্তর এবং ঢাকা থেকে নাটোর, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হয়ে জেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ককে ৬ লেনে উন্নত করা।

যমজ তিন সন্তান দেখতে গেলেন গোমস্তাপুর ইউএনও

যমজ তিন সন্তান দেখতে গেলেন গোমস্তাপুর ইউএনও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কাঞ্চনতলা গ্রামের সুমা খাতুন গত ১৬ এপ্রিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনটি ফুটফুটে যমজ সন্তানের জন্ম দেন। তিন সন্তানের মধ্যে দুই মেয়ে আমেনা, মোমেনা ও ছেলে মোমিন। বাবা মামুন আলী দিনমজুর। যার প্রতিটি দিন কাটে কষ্টে। মা সুমা খাতুন একজন গৃহিণী। অভাব-অনটনের মাঝে যমজ তিনটি সন্তানের জন্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছিল মামুন-আসমা দম্পতির। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যাকে জানানো হলে তিনি গত রবিবার দুপুর ২টার দিকে দরিদ্র পরিবারের সেই ছোট্ট ঘরে বাচ্চাগুলোকে দেখার জন্য ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তিনি কোলে তুলে নেন একে একে তিন নবজাতককে। আদর করেন মায়ের মতো। বাচ্চাগুলোকে দেখভাল করার জন্য ওই দম্পতিকে বেশ কিছু কোটার দুধ, ফিডার, বাচ্চাদের পোশাক ও তোয়ালে দিয়ে আসেন। একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন মানবিক ও মাতৃসুলভ আচরণ দেখে এলাকার জনসাধারণের মধ্যে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা জানান, মানবিক কারণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যমজ শিশুগুলোকে সহযোগিতা করা হয়েছে। বাবা দিনমজুর। অর্থনৈতিক অনটনের কারণে আগামীতে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বাচ্চাগুলোকে দেখভাল করার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীকে খোঁজখবর নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

গোমস্তাপুর-নাচোলে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আম-বোরো ধান ও সবজির ক্ষতি

গোমস্তাপুর-নাচোলে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আম-বোরো ধান ও সবজির ক্ষতি গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে শিলাও পড়েছে। এতে কোনো কোনো এলাকায় আম, বোরো ধান ও সবজির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়। এতে জেলার ৪৫ হাজার ৬৮০ হেক্টর বোরো ধানের মধ্যে ১৭৫ হেক্টর আক্রান্ত হয়। তবে সবমিলিয়ে ১৮ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হবে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। কৃষি অফিস আরো জানায়, আমবাগান আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ হেক্টর। তবে সবমিলিয়ে ৭ থেকে ৮ হেক্টর বাগানের আম নষ্ট হতে পারে। এছাড়া সবজি নষ্ট হয়েছে ২০ হেক্টর জমির। এদিকে আমাদের গোমস্তাপুর প্রতিনিধি আল মামুন বিশ্বাস জানিয়েছেন, গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধান, আমসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে ওই এলাকার পাকা ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে চাষিদের স্বপ্ন মুহূর্তেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। স্থানীয় কৃষকরা জানান, শিলার আঘাতে ধান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকা ধানের শিষ থেকে ধান ঝরে পড়ে গেছে মাঠজুড়ে। এছাড়া আম ও লিচু গাছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পার্বতীপুর ইউনিয়নের মিজানুর রহমান নামে এক কৃষক জানান, দুপুরের পর থেকে হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়। প্রথম দিকে হালকা বাতাস শুরু হয়; কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় ব্যাপক ঝড়। এর সাথে শিলাবৃষ্টি। এতে আমাদের গাছপালাসহ ফসলাদির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একই ইউনিয়নের ফিরোজ নামের এক কৃষক জানান, অনেকের পাকা ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। আবার অনেকের পাকা ধান এখনো কাটা হয়নি। আমারও কিছু ধান কাটা বাকি রয়েছে আজ (গত বৃহস্পতিবার) হঠাৎ শিলাবৃষ্টির কারণে ধান ঝরে কাদা ও পানিযুক্ত জমিতে পড়ে গেছে। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। সোহেল হোসেন নামে আরেক কৃষক জানান, তার দুই বিঘা জমিতে কিছুদিন আগে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে বিক্রি শুরু করেছিলেন। এই শিলাবৃষ্টিতে তার সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। আমচাষি ফয়সাল কবির জানান, তার বাগানে শতাধিক গাছের আম ঝরে গেছে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এ বিষয়ে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, মাত্র কয়েক মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ খুব বেশি হবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াশিন আলী এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বৃহস্পতিবার গড় বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২০ মিলিমিটার। এর মধ্যে সদর উপজেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ মিলিমিটার। এছাড়া শিবগঞ্জে ১০ মিলিমিটার, গোমস্তাপুরে ৫ মিলিমিটার, নাচোলে ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ভোলাহাটে কোনো বৃষ্টি হয়নি। তিনি জানান, বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর, নাচোল উপজেলার কসবা, নাচোল ও নেজামপুর ইউনিয়নের পাকা বোরো ধান, আম ও সবজির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আক্রান্ত্র এলাকায় কিছু আমে দাগ ধরতে পারে। তবে সবমিলিয়ে এই বৃষ্টি আমের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। কারণ এই বৃষ্টির ফলে আমের আকার ও ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

গোমস্তাপুরে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

গোমস্তাপুরে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলা সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা। এতে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৃষ্ণ চন্দ্র, আলিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মোহাম্মদ মাসুম, চৌডালা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া হাবিব, বোয়ালিয়া চেয়ারম্যান সামিউল আলম শ্যামল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হামিদ, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজমসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা। মাসিক সভায় আইনশৃঙ্খলাসহ উপজেলার সার্বিক বিষয়ে আলোচনা ও পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর আলোকপাত করা হয়।

গোমস্তাপুর ও ভোলাহাটে কৃষি প্রণোদনার ধান বীজ বিতরণ

গোমস্তাপুর ও ভোলাহাটে কৃষি প্রণোদনার ধান বীজ বিতরণ গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে আউশ (উফশী) ধানের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বেলা ১০টায় গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের কৃষকদের মধ্যে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়। পরে একই স্থানে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম, কৃষক আলাউদ্দিন পারভেজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, রাকীব উদ্দীন, জুবাইদা আবেদিন, মিঠুন চন্দ্র দেবনাথ উপকারভোগী কৃষকরা। উল্লখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের খরিফ-১ মৌসুমে আউশ (উফশী) ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে উপজেলার ৬ হাজার জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১ বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি ধানের বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার প্রণোদনা হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে  ভোলাহাটে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে আউশ (উফশী) ধানের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।  দিকে উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ের সামনে দুই হাজার কৃষককে এ প্রণদনা দেওয়া হয়। কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের খরিফ-১ মৌসুমে আউশ (উফশী) ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে উপজেলার ২ হাজার জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৫ কেজি ধানের বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হচ্ছে। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সুলতান আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ.দা.) নিশাত আনজুম অনন্যা। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে সহকারী প্রকৌশলী মো. লোকমান হাকিম, জনসাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আজমীর শেখসহ অন্যরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে আজমাইল হোসেন নামে এক তরুণের গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় ও পরিবার সূত্র এবং পুলিশ জানায়, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পার্বতীপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মাধাইপুর গ্রামে নিজ বাড়ির ষ্টোরঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস দেয়া অবস্থায় আজমাইলকে ঝুলতে দেখে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে ওই গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে এবং গোমস্তাপুরের রহনপুর পিএম কলেজ থেকে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় বাড়িতে আজমাইল ছাড়া কেউ ছিল না। বাড়ির প্রধান গেট ভেতর থেকে আটকানো ছিল। পরিবারের সদস্যরা বাড়ি এসে আজমাইলকে ডেকে না পেয়ে বিকল্প উপয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে ষ্টোরঘরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রইস উদ্দিন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে আজমাইল আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর কারণ এখনো জানা যায় নি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

রহনপুর পৌরসভার নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নয়নে সভা

রহনপুর পৌরসভার নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নয়নে সভা রহনপুর পৌরসভায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচির আইইউজিআইপি রিভিউ প্রকল্পের কাজকর্ম উপর নিয়ে টিএলসিসি, ডব্লিউসি, লিনিক সদস্যদের নিয়ে পৃথক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভাগুলোয় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও রহনপুর রহনপুর পৌরসভার প্রশাসক নিশাত আনজুম অনন্যা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আরবান ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র স্পেশালিস্ট ও এই সফরের দলনেতা মি. কিয়াথু, সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার অমিত দত্ত রায়, ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট মি. কারলস বাটারডা, রহনপুর পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল হকসহ প্রকল্পের অন্য কর্মকর্তা,পরামর্শকগণসহ অন্যরা। এদিকে তারা রহনপুর পৌরসভা উন্নয়নকাজসহ চলমান কাজগুলো ঘুরে দেখেন। এছাড়া মতবিনিময় সভাগুলো ঘুরে দেখেন।