শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুরে ডুবে শিশুসহ দুজনের মৃত্যু

শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুরে ডুবে শিশুসহ দুজনের মৃত্যু চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে নালা ও গোমস্তাপুর উপজেলায় মহানন্দায় ডুবে শিশুসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া দুজন হলেন— শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের পীরগাছি দক্ষিণপাড়া এলাকার মো. জলিল মিয়ার ছেলে মো. জুনায়েদ (৭) গোমস্তাপুর উপজেলার আলিনগর গ্রামের বাইরুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন আল ইসলাম (২০)। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, সোমবার দুপুরে শিশু জুনায়েদ নানির বাড়ির পাশে সবার অজান্তে খাড়ি পার হতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়। পরে খাড়িতে মৃতদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রইস উদ্দিন বলেন, ইয়াসিন আল ইসলাম রবিবার দুপুরে মহানন্দা নদীতে গোসলে নেমে ডুবে যায়। তার সন্ধানে স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। পরে গোমস্তাপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে রাজশাহী থেকে ডুবুরিদল এসে আজ (গতকাল) সোমবার সকাল ৯টার দিকে নদী থেকে মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে পরিবারের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত ব্যক্তি জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বাবুপুর গ্রামের মৃত তহুরুল ইসলামের ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. আবদুল ওদুদ মামলার বরাত দিয়ে জানান, ঘটনার প্রায় ৬-৭ মাস আগে রুবেলের সঙ্গে বিয়ে হয় ভোলাহাট উপজেলার খালেআলমপুর গ্রামের মৃত তামিজ মাহালতের মেয়ে মরিয়মের। বিয়ের পর মরিয়ম স্বামী রুবেলকে নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ি চলে যায়। চার দিন পর তারা পুনরায় মরিয়মের বাবার বাড়িতে ফিরে আসে। কিন্তু থাকার জায়গা সংকুলান না হওয়ায় তারা একটি ভাড়াবাড়িতে বসবাস শুরু করে। ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি যে কোনো সময় মরিয়ম ও তার স্বামী রুবেল ভাড়াবাড়ি হতে কাউকে কিছু না বলে চলে যায়। পরে ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ভোলাহাটের খালেআলমপুর নিমগাছি এলাকার একটি ডোবায় কচুরিপানার মধ্য হতে মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পিপি আরো জানান, এ ঘটনায় মরিয়মের মা আনজুরা খাতুন বাদী হয়ে মরিয়মের স্বামী মানিক আলী ওরফে রুবেলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে ভোলাহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভোলাহাট থানার এসআই মো. বাবুল হোসেন তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩০ জুন মানিক আলী রুবেলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

গোমস্তাপুরের বিভিষণ সীমান্তে পুশইনকৃত ১৭ জনকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর

গোমস্তাপুরের বিভিষণ সীমান্তে পুশইনকৃত ১৭ জনকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর গোমস্তাপুরের বিভিষণ সীমান্ত দিয়ে পুশইনকৃত শিশুসহ ১৭ জন পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে পুলিশ। আজ দুপুরে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে পরিবারের কাছে তুলে দেন গোমস্তাপুর থানা পুলিশ। এর আগে গতকাল ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের বিভিষণ সীমান্তের ২১৯ বাই ৭১ পিলারের ১৬০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লালমাটিয়া এলাকা থেকে ওই বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে ৯ জন শিশু, ৪জন নারী ও ৪ জন পুরুষ রয়েছে। তারা কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। বিজিবি তাদেরকে আটকের পর গোমস্তাপুর থানায় সোপর্দ করেছে। পরে তাদেরকে গোমস্তাপুর উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ মঙ্গলবার রাতে রহনপুরস্থ ডাকবাংলোতে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। গোমস্তাপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান তারেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান বিজিবি কর্তৃক আটককৃত ১৭ জনকে উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। আজ তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে দুপুরে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এদিকে ১৬ বিজিবি রোকনপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ফারক হোসেন বলেন, বিএসএফ সঙ্গে কোস্পানী পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তারা আসেনি উলোটপালট হয়ে গেছে। এ বিষয়ে তাদের এডির সঙ্গে কথা বলতে বলেন। উল্লখ্য, গত মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে বিভিষণ সীমান্তের ২১৯/৭১ পিলারের ১৬০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লালমাটিয়া এলাকা থেকে ১৬ বিজিবি’র বিভিষণ বিওপির একটি টহলদল তাদের আটক করে। আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবিকে জানায়, তারা দীর্ঘদিন থেকে ভারতীয় অভ্যন্তরে বসবাস করে আসছিলেন। গত ১৭ মে ভারতীয় পুলিশ তাদেরকে হরিয়ানা প্রদেশ থেকে আটক করে ট্রেনযোগে হাওড়া জেলায় নিয়ে আসে। গত ২৪ মে হাওড়া থেকে বাসে করে ৮৮ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ ইটাভাটা ক্যাম্পের কাছে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে তারা ওই সীমান্ত দিয়ে তাদের টেলে দেয়।

গোমস্তাপুরের বিভিষণ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক ১৭ জন পুশইন গোমস্তাপুরের বিভিষণ সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ ১৭ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। আজ ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের বিভিষণ সীমান্তের ২১৯ বাই ৭১ পিলারের ১৬০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লালমাটিয়া এলাকা থেকে বিজিবি তাদের আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে ৯ জন শিশু, ৪জন নারী ও ৪ জন পুরুষ রয়েছে। তারা কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। বিজিবি তাদেরকে আটকের পর গোমস্তাপুর থানায় সোপর্দ করেছে। গোমস্তাপুর থানার ওসি রইস উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে বিভিষণ সীমান্তের ২১৯/৭১ পিলারের ১৬০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লালমাটিয়া এলাকা থেকে বিজিবির একটি টহলদল তাদের আটক করে। আটকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা দীর্ঘদিন থেকে ভারতীয় অভ্যন্তরে বসবাস করে আসছিলেন। গত ১৭ মে ভারতীয় পুলিশ তাদেরকে হরিয়ানা প্রদেশ থেকে আটক করে ট্রেনযোগে হাওড়া জেলায় নিয়ে আসে। গত ২৪ মে হাওড়া থেকে বাসে করে ৮৮ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ ইটাভাটা ক্যাম্পের কাছে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে তারা ওই সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশইন করে। এদিকে বিকেলে রোকনপুর কোম্পানি ও ৮৮ ইটাভাটা বিএসএফ কোস্পানী পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ওসি রইসউদ্দীন জানান, বিএসএফ কর্তৃক পুশইন হওয়া ১৭ জনকে আটক করে বিজিবি। পরে তাদেরকে গোমস্তাপুর থানায় হস্তান্তর করে। তারা থানা হেফাজতে রয়েছে।

গোমস্তাপুরে সর্প দংশনে শিশুর মৃত্যু

গোমস্তাপুরে সর্প দংশনে শিশুর মৃত্যু গোমস্তাপুর উপজেলায় বিষাক্ত সর্প দংশনে সিফাত আলী নামে ৮ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে রাধানগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের উপর সাগরাইল গ্রামের উকিলের ছেলে। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল সিফাত। এমন সময় একটি সাপ বিছানার উপর তার ডান হাতের আঙ্গুলে কামড় দেয়। এরপর তার কান্নাকাটি ও চিৎকারে বাড়ির সদস্যরা বিষয়টি টের পায়। ভোররাতে তাঁরা সিফাতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সংশ্লিস্ট ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান এবং ওয়ার্ড সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, সাপের কামড়ে সিফাতের আঙ্গুল থেকে রক্ত বের হয়ে যায়। তবে সাপটি ধরা বা মারা সম্ভব হয়নি। গোমস্তাপুর থানার অফিসার ওসি রইস উদ্দিন ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপণী

গোমস্তাপুরে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপণী চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়ে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলা সভাকক্ষে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে উপজেলা সভাকক্ষে ও বিআরডিবি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পৃথক চার গ্রুপে ৮ টি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা প্রশিক্ষণে অংশ নেন। বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির যৌথ অর্থায়নে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে: বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় বিচারিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। গ্রাম আদালত প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী মো. সেলিম উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সী। রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নুরুল ইসলাম, গোমন্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রইস উদ্দীন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পঙ্কজ কুমার। কোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবে আলোচনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সী। এ সময় গ্রাম আদালত প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী হাফিজ আল আসাদ উপস্থিত ছিলেন। উল্লখ্য, পৃথক এই ৪টি গ্রুপের প্রশিক্ষণার্থীদের প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়ার সকল ধাপ দেখনো হয় এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার ওপর একটি ডেমো নাটক প্রদর্শীত হয়। আলোচনা ও ভিডিও প্রদর্শনী শেষে অংশগ্রহণকারীদের মতামত ও সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনদিনের ভূমি মেলার উদ্বোধন 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনদিনের ভূমি মেলার উদ্বোধন  নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি-নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি-এই প্রতিপাদ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তিনদিনের ভূমি মেলা-উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় সদর উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। এউপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এই মেলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণকে ভূমি সেবা সম্পর্কে অবহিত করা। কারণ, ভূমির সঙ্গে আমাদের সকলের নাড়ির সম্পর্ক। তিনি বেলন-সরকার ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের বিষয়টি অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা ইচ্ছে করলে ঘরে বসেই অথবা কোনো কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে একটি আইডি খুলে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারবেন। নামজারীর বিষয়টিও অনলাইনে করা হচ্ছে। অনলাইনের বিষটি যত দ্রুত সাধারণ জনগণ জানতে পারবেন বুঝতে পারবেন ততদ্রুতই জনদুর্ভোগ কমাতে পারব। জেলা প্রশাসক বলেন- আমাদের ভূমি অফিস, থানা পুলিশ, বিআরটিএ, সাবরেজিস্ট্রি অফিস, পৌরসভা অর্থাৎ যেখানে প্রত্যক্ষ সেবা দেয়া হয় ইে সব জায়গাগুলো নিয়ে জনসাধারণের যে পর্যবেক্ষণ তা সুখকর নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন- আমাদের ভূমি অফিসগুলোকে আমরা মডেল ভূমি হিসেবে রূপান্তর করতে চাই। জনসেবার জন্য জন প্রশাসন এই কথাটি যেন স্লোগানে সীমাবদ্ধ না থাকে। ভূমি অফিস হবে জনবান্ধব। অনেক মানুষ আছেন যারা লেখাপড়া জানেন না। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। আমাদের অফিস হবে জনবন্ধব, দুর্নীতি ও হয়রাণীমুক্ত সেবামূলক অফিস। তাহলেই এই মেলার স্বার্থকতা আসবে, জনসাধারণ সঠিক সময়ে সঠিকভাবে সেবা পাবেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইকতেখারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ মুস্তাফীজুর রহমান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন। সূচনা বক্তব্য দেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আঞ্জুমান সুলতানা। পরে চারজন সেবাগ্রহীতকাকে ডিসিআর, একজনকে খাতিয়ান ও তিনজনকে ভূমি অধিগ্রহণের চেক প্রদান করা হয়। মেলায় সাবরেজিস্ট্রে অফিস, জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখা, ভূমি অধিগ্রহণ শাখা, রেকর্ডরুম শাখা, উপজেলা ভূমি অফিস ও পৌর ভূমি অফিসের স্টলে ভূমি সেবা ও ভূমি রেজিস্ট্রেশনসহ ভূমি বিষয়ক তথ্যাবলি উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং ই-নামজারীসহ অন্যান্যা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা ভূমি অফিস এই মেলার আয়োজন করেছে। নাচোল : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে তিনদিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলা ভূমি অফিস চত্বরে ভুমি মালিকদের সেবা দ্রুততম সময়ে প্রদানের লক্ষ্যে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। ভূমি মেলায় উপজেলা ভূমি অফিস, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও সেবা গ্রহিতাদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে রেলস্টেশন-নাচোল বাসস্ট্যান্ড রোড প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা ভূমি অফিস চত্বরে সেবা বুথের সামনে শেষ হয়। সেখানে মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা সহকারী কমিশনা (ভূমি) সুলতানা রাজিয়া উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চার ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী, সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন। শিবগঞ্জ : শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ভূমি অফেসের আয়োজনে তিনদিনের ভূমি মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেরার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজাহার আলী। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌফিক আজিজের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মুসাব্বির হোসেন খান ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মো. শাহীন আকতার, দূর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম আজম, বীরমুক্তিযোদ্ধা বজলুর রশিদ সনু, শিবগঞ্জ বণিক সমিতির সভাপতি ইউসুফ আলী, ছাত্র প্রতিনিধি শাহাদাত ও আল বশরী সোহান। এছাড়া র‌্যালি বের করা হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভূমি কুইজ, গণশুনানিসহ মেলায় আগত সেবাগ্রহীতাগণকে ভূমি বিষয়ক নানাবিধ পরামর্শ ও সেবা প্রদান করা হয়। মেলায় ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত ফি দ্বারা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন, আবেদনপত্র দাখিল, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধসহ অন্যান্য ভূমিসেবা গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গোমস্তাপুর : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে তিনদিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে দশটায় উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে ফিতা কেটে এই মেলার উদ্বোধন করেন গোমস্তাপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সি। পরে ভূমি কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ওই এলাকার সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রহনপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আবু তাহের টিটু, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম, ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী জুয়েল আলীসহ ওই অফিসের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতারা। উল্লখ্য, ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও সেবার জন্য কার্যালয় চত্বরে ৪ টি স্টল অংশ নিচ্ছে। ভোলাহাট : চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় ভূমি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় উপজেলা ভূমি অফিস চত্বরে মেলার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সুলতান আলী, সমবায় কর্মকর্তা মো. সবুজ আলী, যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম কবিরাজসহ অন্যরা।

গোমস্তাপুরে প্রতি*বন্ধী যুবকের আত্ম*হ*ত্যা

গোমস্তাপুরে প্রতি*বন্ধী যুবকের আত্ম*হ*ত্যা গোমস্তাপুরে সাগর নামে এক বাক প্রতিবন্ধী যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ভোরে উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের কাজিগ্রাম এলাকার নিজ বাড়ি সংলগ্ন একটি আমগাছে গলায় ফাঁস দিয়ে এই ঘটনা ঘটে। মৃত সাগর ওই গ্রামের বাসিন্দা আফতাবের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, আজ ভোর ৫ টার দিকে সাগর পরিবারের অগোচরে নিজ বাড়ি সংলগ্ন আমগাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তার ভাই আকাশসহ অন্যরা দেখতে পান। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান গোমস্তাপুর থানার ওসি রইস উদ্দীন ।

বাবুডাইং ও চড়ইল বিলকে অভয়াশ্রম ঘোষণার দাবিতে পরিবেশ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

বাবুডাইং ও চড়ইল বিলকে অভয়াশ্রম ঘোষণার দাবিতে পরিবেশ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং বনভূমি ও গোমস্তাপুর উপজেলার চড়ইল বিলকে অভয়াশ্রম ঘোষণার দাবিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছে সেভ দ্য নেচার। গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের হাতে স্মারকলিটি তুলে দেয়া হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় অবস্থিত ‘বাবুডাইং বনভূমি’ ভূপ্রকৃতিগত কারণে সম্পর্ণ ভিন্ন ধরনের এলাকা। এখানে রয়েছে ছোট-বড় বেশ কিছু টিলা ও একটি খাড়ি (প্রাকৃতিক জলাধার)। এছাড়া বেশ কয়েকটি পুকুরও রয়েছে। এই এলাকাটি জীববৈচিত্র্যের আধার। বাবুডাইংয়ে ১২০ বছর পর ‘ব্রাউন ক্রেক’ পাখি দেখা গেছে ২০২০ সালের শুরুর দিকে। বর্তমানেও এই এলাকায় অবস্থান করছে। এখন পর্যন্ত এ পাখি বাংলাদেশের আর কোথাও দেখা যায়নি। এছাড়া দুই প্রজাতির নাটাবটের, দুই প্রজাতির রাতচরা পাখি, বুনো খরগোশ, বনবিড়াল, শিয়ালসহ নানা প্রজাতির বন্যপাণী ও পাখি রয়েছে। বিরল প্রজাতির পাখির ছবি তুলতে পাখি গবেষকরা প্রায়শই আসেন এখানে। পাখি ও প্রাণীর জন্য খাড়ি হলো পানির প্রধান উৎস। জমির মালিকরা ফসলে বিষ প্রয়োগের পর বিষের প্যাকেট ওই খাড়িতে ফেলে। ওই প্যাকেটে থাকা বিষ খাড়ির পানিতে মিশে বিষাক্ত হতে পারে। তাছাড়া খাড়িতে রয়েছে কচ্ছপসহ নানান মেরুদ-ী ও অমেরুদ-ী প্রাণী, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাবুডাইংয়ের উদ্ভিদ জগৎ ধ্বংসের আরো একটি বড় কারণ পালের গরু চরানো। প্রতিদিন শত শত গরু চরে এখানে। গরু চরানোর কারণে সেখানে নতুন কোনো উদ্ভিদ জন্মাতে পারে না। ২০১৮ সালে জেলা প্রশাসন এবং আমরা সেভ দ্য নেচার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষ থেকে বৃক্ষরোপণ করা হয়। কিন্তু গরু চরানোর কারণে একটা গাছও রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের চড়ইল বিলেও দেশের খ্যাতনামা পাখি গবেষকরা আসেন। এই বিলটি জীববৈচিত্র্যের আধার। প্রতি বছর শীত মৌসুমে এখানে আসে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। সেখানেও নানান কারণে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং বনভূমি এবং গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের চড়ইল বিলকে অবিলম্বে অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে ওই এলাকা দুটোর জীববৈচিত্র্য রক্ষা করার দাবি জানানো হয় স্মারকিলিপিতে। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেনÑ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সেভ দ্য নেচার’র প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক রবিউল হাসান ডলার ও সমন্বয়ক তৌহিদুল ইসলাম।

গোমস্তাপুরে মুক্তিযুদ্ধকালে ৩৫ জন নিহতের স্মরণে হরিনাম যজ্ঞানুষ্ঠান

গোমস্তাপুরে মুক্তিযুদ্ধকালে ৩৫ জন নিহতের স্মরণে হরিনাম যজ্ঞানুষ্ঠান ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল পাকহানাদার বাহিনীর হাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩৫ জন নিহতের ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ২৪ প্রহরব্যাপী শ্রী শ্রী হরিনাম যজ্ঞানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় গোমস্তাপুর কামারপাড়া শ্রী শ্রী দুর্গা স্মৃতি মন্দির কমিটি সোমবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরিচালনা কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুকুমার রঞ্জন দাসের সহধর্মিণী সৌদামিনী দাস এই যজ্ঞানুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। পরে একই স্থানে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্দির কমিটি সভাপতি কমল চক্রবর্তী। কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু অশোক কুমার দাসের সঞ্চালনায় অন্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব কমলা রঞ্জন দাস, নাচোল কলেজের প্রভাষক ড. অজিত কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক মঙ্গল দত্ত, সমাজসেবক রাজকুমার মন্ডল। পরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। উল্লেখ্য, হরিনাম যজ্ঞানুষ্ঠানে ৫টি দল অংশ নিচ্ছে। দলগুলো হলো- ঢাকা তাঁতিবাজারের প্রীতম ম-ল, বগুড়ার প্রণতি দেবী, নওগাঁর প্রদীপ চক্রবর্তী, নওগাঁর সজীব দাস ও নওগাঁর নাম কীর্তন।