চাঁপাইনবাবঞ্জে শিশু হত্যা ও মরদেহ গুমের দায়ে দোকানদারের যাবজ্জীবন ও ৩ বছর সশ্রম কারাদন্ড

চাঁপাইনবাবঞ্জে শিশু হত্যা ও মরদেহ গুমের দায়ে দোকানদারের যাবজ্জীবন ও ৩ বছর সশ্রম কারাদন্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাত বছরের শিশু হামিমকে হত্যা ও তার মরদেহ গুমের অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় মোখলেছুর রহমান নামে এক চা দোকানদারকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলার পৃথক আরেকটি ধারায় আসামীকে আরও তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড,পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশও দেন আদালত। আজ বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র দায়রা জজ আদীব আলী একমাত্র আসামীর উপস্থিতিতে আদেশ প্রদান করেন। আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন, দু’টি সাজার একটি ভোগের পর অপরটি কার্যকর হবে। নিহত শিশু হামিম জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের দাড়িপাতা টেন্ডার গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে। দন্ডিত আসামী মোখলেসুর একই গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে। মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায় এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী(পিপি) নাজমুল আজম বলেন, ২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী সকালে বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়ে নিখোঁজ হয় হামিম। সে বাড়ি থেকে বের হয়ে মোখলেসের চায়ের দোকানে গিয়ে দোকানে থাকা টিভির রিমোট নিয়ে খেলতে শুরু করলে রাগে দোকানদার মোখলেস শিশু হামিমকে গলাটিপে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ ওইদিন নিজ বাড়িতে লুকিয়ে রাখে ও রাত হলে গ্রামের নিকটবর্তী একটি আমবাগানের ভেতর খেসারী ক্ষেতে গুম করার উদ্দেশ্যে ফেলে আসে। পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারী সকালে স্থানীয়রা ওই বাগানে মরদেহ দেখতে পেলে পরিবার ও পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনায় ওইদিন গোমস্তাপুর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা করেন হামিমের পিতা রেজাউল। মামলার তদন্ত শুরু করে পুলিশ পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারী দোকানদার মোখলেসকে তদন্তেপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে আলামতসহ গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মোখলেস আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোমস্তাপুর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ(ওসি) দিলীপ কুমার দাস ২০২২ সালের ৩১মে মোখলেসকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১৩ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানী শেষে আদালত রবিবার মোখলেসকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট আসিফ ইকবাল সুজন।
গোমস্তাপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু

গোমস্তাপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার (২২ জুন) বেলা পৌনে ১১টার দিকে রহনপুর পৌরসভার চিনিয়াতলা এলাকায় নিজ মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মুকসাতুজ জামান তাসিন মিহাদ (১৮) ও গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রহনপুর ইউনিয়নের বংপুর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে পড়ে আব্দুল খালেক (৬০) নামে এক ব্যক্তি মারা যান। নিহত মিহাদ রহনপুর পৌরসভার চিনিয়াতলা মহল্লার আসাদুর রহমানের ছেলে। অপর ঘটনায় নিহত আব্দুল খালেক বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত ওয়েজউদ্দিনের ছেলে। রহনপুর তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সুজাউদ্দৌলা বলেন, শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে মুকসাতুজ জামান তাসিন মিহাদ রহনপুর থেকে মোটরসাইকেলযোগে নিজ গ্রাম চিনিয়াতলা ফিরছিলেন। পথে চিনিয়াতলা সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সামনে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় আব্দুল খালেক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ঘুমন্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যান তিনি। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থল বংপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে ওই দুজনের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে।
ঈদ উপলক্ষে টানা ৭ দিন ছুটি শেষে রহনপুর রেলবন্দরে প্রবেশ করল আমদানী পন্যবাহী ভারতীয় ট্রেন

ঈদ উপলক্ষে টানা ৭ দিন ছুটি শেষে রহনপুর রেলবন্দরে প্রবেশ করল আমদানী পন্যবাহী ভারতীয় ট্রেন পবিত্র ঈদ-উল-আজহা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে দেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলবন্দরে (রহনপুর রেলওয়ে শুল্ক স্টেশন বা ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট) গত বৃহস্পতিবার (১৩জুন) থেকে গত বুধবার(১৯ জুন) পর্যন্ত টানা ৭ দিন ছুটি শেষে পূণরায় শুরু হয়েছে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। রেল সূত্র জানায়,বন্দর চালুর প্রথমদিন বৃহস্পতিবারই (২০জুন) বন্দও কর্মচঞ্চল হয়েছে। বন্দরে ভারতের মালদা জেলার সিঙ্গাবাদ রেলবন্দর হয়ে প্রবেশ করেছে ভারত থেকে আমদানীকরা খইল বা ড্রাই ওয়েল কেক(ডিওসি) যা পোল্টি ও মাছের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়)। রহনপুর ষ্টেশন মাস্টার শহিদুল আলম বলেন, ঈদের পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে ৪২টি মালবাহী ওয়াগনের একটি খইলবাহী ট্রেন বা র্যাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। ট্রেনটির গন্তব্য সিরাজগঞ্জ বাজার। ট্রেনটির কাষ্টমস কার্যক্রম ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। অনান্য কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশী ইঞ্জিন ট্রেনটি সিরাজগঞ্জ বাজার ষ্টেশন নিয়ে যাবে। ভারতীয় ট্রেনটির সাথে ২ জন চালক ও একজন গার্ডসহ তিনজন ক্রু এসেছে। রহনপুর ষ্টেশন মাস্টার আরও বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে রহনপুর পথে পাথর,মেইজ বা ভুট্টা ও খইল (ড্রাই ওয়েল কেক যা পোল্টি ও মাছের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়) আমদানী হচ্ছ্।ে রহনপুর বন্দর পথে নিয়মিত ভারতের সাথে ও অনিয়মিতভাবে নেপালের সাথে আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম চালু রয়েছে বলেও তিনি জানান। এর আগে শেষ গত ৮জুন পাথরবাহী একটি ট্রেন ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
ঈদ উপলক্ষে রহনপুর রেলবন্দরে টানা ৭ দিনের ছুটি শুরু

ঈদ উপলক্ষে রহনপুর রেলবন্দরে টানা ৭ দিনের ছুটি শুরু পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উদযাপন উপলক্ষে গোমস্তাপুরের রহনপুর রেলবন্দরে (রহনপুর রেলওয়ে শুল্ক স্টেশন বা ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট) গত ১৩জুন থেকে আগামী বুধবার ১৯ জুন পর্যন্ত টানা ৭ দিন ছুটি বা আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বন্ধ শেষে আগামী ২০ জুন বৃহস্পতিবার যথারীতি এই বন্দরের সাথে ভারতের মালদা জেলার সিঙ্গাবাদ রেলবন্দরের আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে। রেল সূত্র জানায়, গত ১৫মে মহাপরিচালকের দপ্তর, রেল ভবন ঢাকার উপ-পরিচালক (ইন্টারচেঞ্জ) মিহরাবুর রশিদ খান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি ভারতীয় সহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। পত্রে বলা হয়, ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশে ১৬ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ব্যাংক, কাস্টমসসহ সংশ্লিস্ট সকল প্রতিষ্ঠান ছুটি থাকবে। এ কারণে পত্রে ১৩ হতে ১৯ জুন পর্যন্ত ভারত থেকে মালবাহী ট্রেন না পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে। রহনপুর ষ্টেশন মাস্টার শহিদুল আলম বলেন, ঈদের সময় শ্রমিক সংকট থাকে। এছাড়া এ সময় দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচাল নির্বিঘœ করতে ভারতীয় ট্রেন (মালগাড়ীর র্যাক) গ্রহণ কঠিন। এছাড়া দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ইঞ্জিনও (লোকোটিভ) প্রস্তুত রাখা হয়। দেশে ইঞ্জিন পরিচালনার জনবলের (ক্রু) সংকট রয়েছে বলেও তিনি স্বীকার করেন। ষ্টেশন মাস্টার শহিদুল আরও বলেন,রহনপুর ষ্টেশন থেকে শুধমাত্র ঈদের দিন ব্যতীত প্রতিদিনই আভ্যন্তরীন রুটের প্রতিটি ট্রেন যথারীতি ছেড়ে যাবে ও আসবে। রহনপুর ষ্টেশন মাস্টার বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে রহনপুর পথে পাথর,মেইজ বা ভুট্টা ও খইল (ড্রাই ওয়েল কেক যা পোল্টি ও মাছের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়) আমদানী হচ্ছে। রহনপুর বন্দর পথে নিয়মিত ভারতের সাথে ও অনিয়মিতভাবে নেপালের সাথে আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম চালু রয়েছে বলেও তিনি জানান।
গোমস্তাপুরে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা

গোমস্তাপুরে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা গোমস্তাপুরে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলা সভাকক্ষে এই বিতর্ক প্রতযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা দুর্নীতি কমিটির সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসহাক আলি। অন্য অতিথিদের মধ্যে উপজেলা ক্রীড়া সংগঠক আফতাব উদ্দিন লালান, রহনপুর রাবেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাউসার আলী, আলিনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান,গণমাধ্যম কর্মী ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিযোগিতায় রহনপুর রাবেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও আলিনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অংশ গ্রহণ করে। এতে রহনপুর রাবেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে। প্রতিযোগিতায় শেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন রহনপুর রাবেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিযোগি আফিফা ইয়াসমিন। বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন রহনপুর পুনর্ভবা আইডিয়াল কলেজের সহকারী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম, গোমস্তাপুর সোলেমান মিঞা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাকিব, খড়কাডাঙ্গা আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক নুরুজ্জামান বাবু। পরে রুখবো দুর্নীতি, গড়বে দেশ হবে সোনার বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলা চত্বরে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে সভাকক্ষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে ম্যাংগো ও ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন উদ্বোধণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে ম্যাংগো ও ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন উদ্বোধণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-পদ্মাসেতু-ঢাকা রুটে ৫ম মৌসুমের মত ম্যাংগো ও চতুর্থ মৌসুমের মত ক্যাটল ষ্পেশাল ট্রেন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ষ্টেশনে ট্রেনটি উদ্বোধন করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ। রেল কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিকভভাবে প্রতিটি ২৮ টন ধারণ ক্ষমতার ৬টি অত্যাধুনিক নতুন লাগেজভ্যান সম্বলিত দ্রুতগতির ট্রেনটি একই সাথে আম ও অনান্য রেলওয়ে পাশের্^ল হিসেবে গণ্য পণ্য এবং ১২-১৪ জুন ৩দিন আসন্ন কোরবাণী ঈদ উপলক্ষে গরু, ছাগল প্রভৃতি পরিবহন করবে। তবে চাহিদা থাকলে লাগেজভ্যান সংখ্যা ও ক্যাটল ট্রেনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হবে। আম পরিবহন চলবে টেনের রুটের স্টেশনগুলোতে মৌসুমের চাহিদার উপর ভিত্তি করে। তারা আরও বলেন, সুলভ ভাড়ায় এই ট্রেন আম ও কেরাবানী পশু পরিবহন করবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি আমের বুকিং খরচ ১টাকা ৪৮ পয়সা ও রাজশাহী থেকে এই ভাড়া ১টাকা ৪৩ পয়সা। পৃথক কুলি চার্জ রেলওয়ে নির্ধারিত। এছাড়া ম্যাংগো ও ক্যাটল ষ্পেশাল ট্রেন গত মৌসুমগুলোতে বঙ্গবন্ধু সেতু (যমুনা সেতু) হয়ে ঢাকায় গেলেও এবারই প্রথম পদ্মাসেতু রুটে ঢাকা যাবে। একই সাথে দু’দিক থেকে দুটি ট্রেন চলাচল করবে। বিকাল ৪টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ষ্টেশন থেকে ট্রেনটি যাত্রা শুরু কওে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়বে সন্ধ্যা ৬টায়। রাজশাহী সদর ষ্টেশন ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশনে স্পেশাল ট্রেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ। পশ্চিমাঞ্চল রেলের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক আহম্মেদ হোসেন মাসুমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুন ও পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী বিভাগের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহম্মদ। এসময় পশ্চিমাঞ্চল ও পাকশী বিভাগীয় রেলের উর্ধতণ কর্মকর্তাবৃন্দ সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী ট্রেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর ষ্টেশন থেকে ১ হাজার ২০ কেজি, সদর উপজেলার আমনুরা জংশন ষ্টেশন থেকে ৪৬ কেজি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ষ্টেশন থেকে ৭৮৫ কেজি আম ঢাকা পর্যন্ত বুক হয়েছে বলে জানান ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) মো. সোলাইমান।
গোমস্তাপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

গোমস্তাপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের মোমিন পাড়া গ্রামে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া দুই শিশু হলো মোমিন পাড়া গ্রামের দাউদের ছেলে ফাহিম আলী (৪) ও মফিজুলের মেয়ে ফারহানা (৩)। তারা সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই বোন। গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে ফাহিম ও ফারজানা নামের দুই শিশু খেলা করছিল। এক পর্যায়ে তারা পুকুরে পড়ে গেলে ডুবে মারা যায়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি। তিনি আরো জানান, মারা যাওয়া শিশুরা আপন চাচাতো ভাই বোন। এদিকে এমন হৃদয় বিদারক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
গোমস্তাপুর ও নাচোলের ১০০ সুবিধাভোগীকে প্রণোদনা দিল প্রয়াস

গোমস্তাপুর ও নাচোলের ১০০ সুবিধাভোগীকে প্রণোদনা দিল প্রয়াস চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিডি রুরাল ওয়াশ ফর এইচসিডি প্রকল্পের আওতায় প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির গোমস্তাপুর ও নাচোলের ৬টি ইউনিটে প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার সকালে প্রথমে গোমস্তাপুরে ৩টি এবং পরে দুপুরে নাচোলের ৩টি ইউনিটের মোট ১০০ সুবিধাভোগীকে এই প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রণোদনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- প্রয়াসের পরিচালক আলেয়া ফেরদৌস। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সহকারী পরিচালক জুলফিকার আলী, গোমস্তাপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান, ৬টি ইউনিটের ব্যবস্থাপকগণসহ কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা। প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির আয়োজনে অনুষ্ঠানটির সহযোগিতা করেছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। সভায় সহকারী পরিচালক জুলফিকার আলী বলেন, বিডি রুরাল ওয়াশ ফর এইচসিডি প্রকল্পের আওতায় গোমস্তাপুর ও নাচোলের ৬টি ইউনিটে প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। যারা প্রকল্পের আওতায় ঋণ নিয়ে দুই গর্তবিশিষ্ট টয়লেট বানিয়েছেন, তাদের মধ্যে ১০০ জনকে আজ রবিবার অফেরতযোগ্য ৩ হাজার টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে প্রকল্পের সকল সুবিধাভোগীকে এই প্রণোদনা দেয়া হবে। উল্লেখ্য, নিরাপদ ব্যবস্থাপনায় পানি ও স্যানিটেশন, হাত ধোয়া, মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনা ও শিশুর জন্য উন্নত ওয়াশ আচরণ- এই ৫টি বিষয়ে কাজ করছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর বিডি রুরাল ওয়াশ ফর এইচসিডি প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি। এছাড়াও রেডিও মহানন্দায় পাক্ষিক অনুষ্ঠান চলমান আছে।