রিয়াল মাদ্রিদ ঘুরে দাঁড়াবেই, বিশ্বাস মার্সেলোর

রিয়াল মাদ্রিদ ঘুরে দাঁড়াবেই, বিশ্বাস মার্সেলোর এক শতাংশ সম্ভাবনাকে একশ শতাংশতে পরিণত করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বার বার ঘুরে দাঁড়ানোর উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে তাদের। এই ইতিহাসের সাক্ষী ক্লাবটির কিংবদন্তি মার্সেলোও। সবসময়ের মতো এবারও আর্সেনালের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াবে নিজের সাবেক ক্লাব। এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আর্সেনালের মুখোমুখি হবে রিয়াল। প্রথম লেগে ৩-০ ব্যবধানে হেরে পিছিয়ে আছে তারা। সেমিফাইনাল থেকে অনেকটাই দূরে থাকলেও প্রত্যাবর্তন করবে ক্লাবটি, এমনটাই জানান মার্সেলো। মেক্সিকোর ক্লাবে খেলা এই ফুটবলার ইএসপিএনকে বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদেক কখনোই বিবেচনার বাইরে রাখা যাবে না। যদিও তিন গোল মানে অনেক বড় কিছু। তবে রিয়াল মাদ্রিদকে ভাবনায় রাখতেই হবে এবং আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে, তারা ঘুরে দাঁড়াবে। রিয়াল মাদ্রিদ কেবল রিয়াল মাদ্রিদই এবং তারা সবসময় ঘুরে দাঁড়ায়। ’ঘরের মাঠেই আর্সেনালকে আতিথ্য দেবে রিয়াল। আর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ভক্তদের পাশাপাশি পরিবেশ হবে তাদের নাগালেই। এখানেই হয়েছে অনেক প্রত্যাবর্তন। তাইতো আর্সেনালের বিপক্ষেও রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানোয় আত্মবিশ্বাসী মার্সেলো। তিনি বলেন, ‘ফিরতি লেগ হচ্ছে বার্নাব্যুতে। সমর্থকেরা দারুণ প্রেরণা জোগাবে এবং ফুটবলাররা আত্মবিশ্বাসী যে, তারা পারবে। অবশ্যই আমরা জানি না, মাঠে ফলাফল কী হবে। তবে আমাদের সবটুকু বিশ্বাস আছে, রিয়াল মাদ্রিদ পারবে ঘুরে দাঁড়াতে। ’

ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা ক্লাবের মালিকানা কিনলেন মদ্রিচ

ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা ক্লাবের মালিকানা কিনলেন মদ্রিচ রিয়াল মাদ্রিদের মাঝমাঠের প্রাণভোমরা ছিলেন কাসেমিরো, টনি ক্রুস ও লুকা মদ্রিচ। এর মধ্যে কাসেমিরো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাড়ি জমিয়েছেন। আর ক্রুস নিয়েছেন অবসর। তবে লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে ৩৯ বছর বয়সেও মাঠ মাতিয়ে যাচ্ছেন মদ্রিচ। তবে থামতে হবে তাকেও। তার আগেই একটি ক্লাবের মালিকানা কিনেছেন ক্রোয়াট তারকা। মাঠের ক্যারিয়ার শেষ করেও যে ফুটবলে থাকছেন মদ্রিচ, তা নিশ্চিত হওয়া গেল এখনই। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় স্তরের লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের একটি ক্লাবের মালিকানা কিনেছেন ক্রোয়েশিয়ান এই মিডফিল্ডার। সোয়ানসি নামক ক্লাবটি অবশ্য সুবিধাজনক স্থানে নেই। ৪২ ম্যাচ শেষে তারা ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে টেবিলের দশ নম্বরে।  মদ্রিচ ছাড়াও এই ক্লাবটির মালিকানায় রয়েছেন অ্যান্ডি কোলম্যান, ব্রেট ক্রাভাট, নাইজেল মরিস ও জেসন কোহেন। তবে কে কত শতাংশের মালিক, তা এখনও জানা যায়নি। মূলত গত নভেম্বরে পরিবর্তন হয় ক্লাবের মালিকানা। যে কারণে ক্লাব এখনও ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি। যার ছাপ পড়েছে খেলাতেও।

১২৮ বছর পর ক্রিকেট ফিরছে অলিম্পিকে: ৬টি করে দল পুরুষ ও নারী বিভাগে

১২৮ বছর পর ক্রিকেট ফিরছে অলিম্পিকে: ৬টি করে দল পুরুষ ও নারী বিভাগে ২০২৮ সালের ‘লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক গেমসে’ পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অংশ নেবে ছয়টি করে দল। অলিম্পিকে নতুন যে পাঁচটি খেলার সংযোজন হয়েছে, তার মধ্যে ক্রিকেট অন্যতম। প্রতিটি দল ১৫ সদস্যের স্কোয়াড নিয়ে অংশ নেবে। অলিম্পিক কমিটির প্রকাশিত অফিসিয়াল সূচি অনুযায়ী, পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগের জন্যই বরাদ্দ থাকবে ৯০ জন করে খেলোয়াড়ের কোটা। তবে এখনো ঠিক হয়নি কোন নিয়মে দলগুলো অলিম্পিকে জায়গা পাবে কিংবা বাছাই প্রক্রিয়া কেমন হবে। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র এবারের আয়োজক দেশ, তারা সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেতে পারে। সেক্ষেত্রে বাকি দলগুলোর জন্য সুযোগ কমে যাবে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে কারা খেলবে সেটিও এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ, অলিম্পিকে ক্যারিবীয় দ্বীপগুলো আলাদা আলাদা দেশ হিসেবে অংশ নেয়। যেমনটা তারা কমনওয়েলথ গেমসেও করে। ২০২২ সালের বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে নারী টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেছিল বার্বাডোস। তারা ছিল তখনকার আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট ‘টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ব্লেজ’-এর চ্যাম্পিয়ন। ক্রিকেটের অলিম্পিকে ফেরা হলো বহু বছর পর। সর্বশেষ ১৯০০ সালে প্যারিস অলিম্পিকে ক্রিকেট ছিল। এরপর দীর্ঘদিন বাদে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে মুম্বাইয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটকে আবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগেই জানা গিয়েছিল, ‘এলএ অলিম্পিকে’ দলগত খেলাগুলোতে ছয়টি করে দল খেলবে — পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগেই। এবার সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) তাদের প্রস্তাবে বলেছিল, নির্ধারিত একটি সময় পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে দল বাছাই করা যেতে পারে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যেই তা চূড়ান্ত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দল, যারা এখনো আইসিসির পূর্ণ সদস্য নয়, তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে আইওসি’র ক্রীড়া পরিচালক কিট ম্যাককনেল বলেছিলেন, ‘‘সাধারণত আয়োজক দেশগুলো দলগত খেলায় একটি দল দেয়। এরপর বাকি দলগুলো নির্ধারিত হয় বিশ্ব শক্তি ও আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্বের ভারসাম্য বিবেচনায়। কোটা অনুযায়ী এ ভারসাম্য বজায় রাখাই আমাদের লক্ষ্য।’’

বায়ার্নের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরল ইন্টার মিলান

বায়ার্নের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরল ইন্টার মিলান ঘরের মাঠে আক্রমণে আধিপত্য দেখালেও বায়ার্ন মিউনিখ পেরে ওঠেনি ইন্টার মিলানের সঙ্গে। পিছিয়ে গিয়ে সমতায় ফিরলেও শেষ মুহূর্তে ব্যবধান গড়ে দিলেন দাভিদ ফ্রাত্তেসি। দারুণ জয়ে প্রথম লেগে এগিয়ে থাকল ইন্টার মিলান। গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্নকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ইন্টার। প্রথমার্ধে লাওতারো মার্তিনেসের তারা গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে বায়ার্নকে সমতায় ফেরান থমাস মুলার। তিন মিনিটের মধ্যে লিড পুনরুদ্ধার করে দলকে জেতান ফ্রাত্তেসি। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শুরু থেকেই আক্রমণ চালাতে থাকে বায়ার্ন। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারছিল না তারা। উল্টো ৩৮তম মিনিটে এগিয়ে যায় ইন্টার। বাস্তোনির ক্রস থেকে ব্যাক হিলে মার্তিনেসকে বল বাড়ান মার্কাস থুরাম। দারুণ শটে জাল খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। বিরতির পর লড়াই চলে লম্বা সময়। ৮৫তম মিনিটে গিয়ে বায়ার্নকে সমতায় ফেরান মুলার। কোনার্ড লাইমারের বাইলাইন থেকে বাড়ানো বল আলতো টোকায় জালে পাঠান জার্মান তারকা। তবে তিন মিনিট পর ফের এগিয়ে যায় ইন্টার। কার্সেলোন অগাস্তুর আড়াআড়ি ক্রসে গোলমুখ থেকে দারুণ শটে গোল করেন ফ্রাত্তেসি। এই গোলেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় ইন্টারের। ফিরতি লেগে তাদের মাঠেই আগামী ১৬ এপ্রিল লড়াই করবে বায়ার্ন।

মেসির গোলে হার এড়াল ইন্টার মায়ামি

মেসির গোলে হার এড়াল ইন্টার মায়ামি প্রথমার্ধে দুইবার জালে বল পাঠাল ইন্টার মায়ামি। তবে লাভ হয়নি। উল্টো যোগ করা সময়ে হজম করে বসে তারা। তিন মিনিটের মধ্যেই অবশ্য শোধ করে ফেলে ক্লাবটি। হারের কবল থেকে দলকে রক্ষা করেন লিওনেল মেসি। মেজর লিগ সকারের ম্যাচে আজ টরন্টো এফসির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে মায়ামি। টরন্টোর হয়ে ফেডেরিকো বের্নারদেশি দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর মায়ামিকে সমতায় ফেরান আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। যদিও ড্র করে তার দল শীর্ষস্থান থেকে নিচে নেমে গিয়েছে। তবে এক ম্যাচ কম খেলেছ তারা। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর সমান তালেই লড়াই চালাতে থাকে দুদল। এর মধ্যে ২৪তম মিনিটে সুযোগ পান মেসি। তবে বক্স থেকে তার নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। ৪০তম মিনিটে জাল খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন তারকা। তবে ভিএআর সেটি বাতিল করে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে টরন্টোকে এগিয়ে নেন ফেডেরিকো। ইনসিনিয়ের পাস বক্সের ভেতর থেকে জালে পাঠান ইতালিয়ান উইঙ্গার। তিন মিনিট পর মায়ামিকে সমতায় ফেরান মেসি। বক্সের একটু সামনে সেগোভিয়ার পাস ডান পায়ে ঠেকিয়ে বাঁ পায়ের ভলিতে জাল খুঁজে নেন তিনি। লিগের চলতি মৌসুমে মেসির তৃতীয় গোল এটি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গোল হলো ছয়টি। বিরতির পর লড়াই চলতে থাকে আগের মতোই। তবে গোলের দেখা পায়নি কেউই। ফলে ড্র নিয়ে ১৪ পয়েন্টে দুইয়ে মায়ামি। এক ম্যাচ বেশি খেলা কলম্বাস ক্রু ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে।

প্রিমিয়ার লিগে দ্রুততম অবনমনে রেকর্ড সাউদাম্পটনের

প্রিমিয়ার লিগে দ্রুততম অবনমনে রেকর্ড সাউদাম্পটনের ৩১ ম্যাচে স্রেফ ২ জয়! সঙ্গে ৪ ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুত রেলিগেশন হয়েছে সাউদাম্পটনের। গতকাল টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানের হারে রেলিগেশন নিশ্চিত হয়েছে ক্লাবটির। লন্ডনে প্রথমার্থেই জোড়া গোল করে টটেনহ্যামের জন্য জয় সহজ করে দেন ব্রেন্নান জনসন। ত্রয়োদশ মিনিটে জে স্পেন্সের দারুণ এক কাটব্যাক থেকে প্রথম গোলটি করেন তিনি। ৪২তম মিনিটে করেন পরের গোলটি। সতীর্থের ক্রস থেকে আসা বল হেডে জনসনকে বাড়ান ম্যাডিসন। সহজেই সেটি জালে পাঠান এই ফরোয়ার্ড। বিরতির পর অবশ্য শেষ মুহূর্তে গিয়ে গোল পায় সাউদাম্পটন। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে গোলটি করেন ম্যাথিউস ফার্নান্দেস। পাঁচ মিনিট পর আরও একটি গোল হজম করে বসে রেলিগেসনে যাওয়া দলটি। পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন ম্যাথিস টেল। একইসঙ্গে সাত ম্যাচ আগেই রেলিগেসন নিশ্চিত হয়ে যায় সাউদাম্পটনের।

৬ ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা উদযাপন পিএসজির

৬ ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা উদযাপন পিএসজির ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে প্রথম ক্লাব হিসেবে শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে প্যারিস সেন্ট-জার্মেই (পিএসজি)। ঘরের মাঠে অঁজেকে ১-০ গোলে হারিয়ে ছয় ম্যাচ হাতে রেখেই টানা চতুর্থবারের মতো ‘লিগ আঁ’র শিরোপা জিতে নিয়েছে তারা। শনিবারের এই জয়ে লুইস এনরিকের দল পয়েন্ট টেবিলে এমন এক জায়গায় পৌঁছায়, যেখানে আর কোনো দল তাদের টপকাতে পারবে না।পিএসজির একমাত্র গোলটি করেন ১৯ বছর বয়সী উইঙ্গার ডিজায়ার ডউ। দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে জানুয়ারির নতুন রিক্রুট খিচা কাভারাস্কেইয়ার নিখুঁত ক্রসে ডউ দূরের পোস্টে ভলিতে গোলটি করেন, যা তার লিগে এই মৌসুমের পঞ্চম গোল। রেকর্ড ও পরিসংখ্যান এই শিরোপা পিএসজির ইতিহাসে ১৩তম, যা ফ্রান্সের লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ২০১২-১৩ মৌসুম থেকে শুরু করে এটি তাদের ১১তম লিগ জয়। দলের অধিনায়ক মার্কিনিওস ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১০টি ফরাসি লিগ শিরোপা জিতেছেন। মার্কিনিওস বলেন, “এটা পাগলামি, আমি খুবই খুশি। এতদিন ধরে শীর্ষ দলে থাকা বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের লক্ষ্য সবকিছু জেতা, এবং এই শিরোপাগুলো ইতিহাসে লেখা থাকবে। ” দলীয় পারফরম্যান্স প্রথমার্ধে গোল না এলেও পিএসজি পুরো ম্যাচে আধিপত্য দেখায়। গনসালো রামোস একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও গোল পাননি। পরে কচ লুইস এনরিক একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন করেন, যার মধ্যে মৌসুমের সেরা স্কোরার উসমানে ডেম্বেলেকে নামানো হয়। দ্বিতীয়ার্ধে অঁজের রক্ষণ বেশ শক্ত ছিল, কিন্তু গোলের ঘাটতি পিএসজির উল্লাসে বাধা হয়নি। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই স্টেডিয়ামে ধ্বনিত হয়—”আমরা চ্যাম্পিয়ন”। লুইস এনরিকের সাফল্য গত মৌসুমে কিলিয়ান এমবাপ্পে ক্লাব ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর অনেকেই পিএসজির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু লুইস এনরিক তার মেধা ও কৌশলে প্রমাণ করেছেন, বড় তারকা ছাড়াও দল গড়া যায়। এই মৌসুমে তিনি লিগে মাত্র দুটি ম্যাচে হেরেছেন, এবং শিরোপা জয়ের পর খেলোয়াড়রা তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে উদযাপন করেন। মাঠের পাশে দেখা যায় তাকে ক্লাব পরিচালক লুইস ক্যাম্পোসের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে। পরবর্তী লক্ষ্য এখন পিএসজির নজর থাকবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অ্যাস্টন ভিলা।

৬৪ দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিপক্ষে উয়েফা প্রেসিডেন্ট

৬৪ দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিপক্ষে উয়েফা প্রেসিডেন্ট গেল মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া ফিফা কাউন্সিল সভায় আলোচনা হয়েছে ২০৩০ বিশ্বকাপ নিয়ে। সেখানে স্পেন, মরক্কো ও উরুগুয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসরটি ৬৪টি দল নিয়ে আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন উরুগুয়ের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ইগনাসিও আলোনসো। ফুটবলকে আরও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে মূলত এমন প্রস্তাব করেছিলেন তিনি। তবে ইউরোপ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (উয়েফা) প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার সেফেরিন আলোনসোর এমন প্রস্তাবকে বাজে বলে আখ্যায়িত করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলগ্রেডে উয়েফা সাধারণ কংগ্রেসের পুরুষ এবং নারী বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ঘোষণা করেছেন ২০৩৫ নারী বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য এবং ২০৩১ নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দৌড়ে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকো। সেই কংগ্রেসে উপস্থিত ছিলেন উয়েফা প্রেসিডেন্ট ও ফিফার সহ-সভাপতি আলেকজান্ডার সেফেরিন। কংগ্রেস শেষে সংবাদ সম্মেলনে উরুগুয়ে ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির ৬৪ দল নিয়ে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এটি আশ্চর্যজনক। আমি মনে করি এটি একটি বাজে প্রস্তাব এবং আমি মনে করি এটি বিশ্বকাপের জন্য একটি ভালো দিক নয়। এছাড়াও আমাদের বাছাইপর্বের জন্যও ভালো দিক নয়।’ এছাড়াও প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেন না বলে জানিয়েছেন সেফেরিন। তিনি বলেন, ‘আমি এই প্রস্তাবটিকে সমর্থন করছি না। আমি জানি না এটি কোথায় থেকে এসেছে। এটা অদ্ভুত যে ফিফা কাউন্সিলে এই প্রস্তাবের আগে আমরা কিছুই জানতাম না।’ এর আগে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯৩০ সালে। ২০৩০ বিশ্বকাপ হবে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত টুর্নামেন্টটির শতবর্ষীয় আসর। আসরটিতে আয়োজক স্পেন, মরক্কো ও উরুগুয়ে হলেও বিশ্বকাপের শতবছর উদযাপন উপলক্ষ্যে একটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে এবং প্যারাগুয়েতে।

৮ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে ফাইনালে রিয়াল

৮ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে ফাইনালে রিয়াল রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে স্প্যানিশ কোপা ডেল রের সেমিফাইনাল প্রথম লেগে ১-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ফুটবলপ্রেমীরা ধরেই নিয়েছিল মঙ্গলবার (০১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে অনায়াস জয় পাবে লস ব্লাঙ্কোসরা। কিন্তু সবার ভাবনা আর কল্পনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচ উপহার দিলো সোসিয়েদাদ। কয়েক দফা এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত তারা অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে ৪-৪ গোলে ড্র করে রিয়ালের সঙ্গে। প্রথম লেগে জয় পাওয়া রিয়াল দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানের জয়ে ফাইনালে নাম লেখায় ১২০ মিনিট শেষে। এদিন ম্যাচের ১৬ মিনিটেই লিড নেয় সোসিয়েদাদ। এ সময় হেডে পাবলো মারিনের বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে ডান পায়ের শটে গোল করেন সোসিয়েদাদের আন্দের বার্নেছেয়া। ৩০ মিনিটের মাথায় ভিনিসিউস জুনিয়রের বাড়িয়ে দেওয়া বল ডি বক্সের সামনে পেয়ে যান এন্ড্রিক। তখন তার সামনে ছিলেন কেবল সোসিয়েদাদের গোলরক্ষক। তার মাথার ওপর দিয়ে বল মেরে গোল করে সমতা ফেরান এন্ড্রিক। তাতে ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। বিরতির পর ৭২ মিনিটে ডেভিড আলবা নিজেই নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন। তাতে আবারও এগিয়ে যায় সোসিয়েদাদ। ৮০ মিনিটে মাইকেল ওয়ারজাবাল গোল করে ব্যবধান ১-৩ করে ফেলেন। তবে ৮২ মিনিটে ভিনিসিউস জুনিয়রের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে জুদ বেলিংহ্যাম গোল করে ব্যবধান কমান (২-৩)। আর ৮৬ মিনিটে ওরেলিয়াঁ চুয়ামেনি গোল করে সমতা ফেরান (৩-৩)। তাতে ধরা নেওয়া হচ্ছিল রিয়াল দুই লেগ মিলিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে যাচ্ছে। কিন্তু যোগ করা সময়ে (৯০+৩) সোসিয়েদাদের ওয়ারজাবাল নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করে আবারও দলকে এগিয়ে নেন (৩-৪)। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ সমতা থাকায় অতিরিক্ত সময়ে যায় ম্যাচ। আর সেই অতিরিক্ত সময়ের ১১৫ মিনিটের মাথায় অ্যান্তোনিও রুদিগার কর্নার থেকে আসা বলে হেড নিয়ে জালে জড়িয়ে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন। নিশ্চিত করেন দলের সেমিফাইনাল। এ নিয়ে ৪১তম বারের মতো কোপা ডেল রের সেমিফাইনালে উঠলো রিয়াল। সবশেষ ২০২২-২০২৩ মৌসুমে তারা ফাইনাল খেলেছিল এবং ২০তম শিরোপা জিতেছিল এই টুর্নামেন্টের শিরোপা। অন্যদিকে সোসিয়েদাদ সবশেষ ২০১৯-২০২০ মৌসুমে ফাইনাল খেলে দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছিল। রিয়াল মাদ্রিদ ২৬ এপ্রিলের ফাইনালে হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা নতুবা নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে পাবে। প্রথম লেগে বার্সা ও অ্যাটলেটিকো ৪-৪ গোলে ড্র করেছে। আজ অ্যাটলেটিকোর মাঠে ফিরতি লেগের লড়াইয়ে নামবে তারা।

৬৬ বছর পর আর্জেন্টিনার কাছে এতো বড় ব্যবধানে হারল ব্রাজিল

৬৬ বছর পর আর্জেন্টিনার কাছে এতো বড় ব্যবধানে হারল ব্রাজিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাস অনেক পুরনো। তাদের লড়াইও অনেক পুরনো। তাইতো এটা শৈল্পিক নাম পেয়েছে ‘সুপার ক্লাসিকো’। যেখানে লড়াই হয় হাড্ডাহাড্ডি। উত্তেজনার পারদ থাকে তুঙ্গে। তেমনই এক উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে বাংলাদেশ সময় বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। প্রত্যাশা ছিল ডরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা আর্জেন্টিনার মাঠ থেকে একটি ভালো ফল নিয়ে আসবে। কিন্তু উল্টো লজ্জাজনক হারকে সঙ্গী করেছে তারা। ছুঁয়ে ফেলেছে ৬৬ বছরের পুরনো লজ্জাজনক হারের রেকর্ডকে। ১৯১৪ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা একে অপরের মুখোমুখি হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত গেল ১১১ বছরে দল দুটি ১১৪ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। এই লম্বা সময়ে আর্জেন্টিনার কাছে হাতে গোনা কিছু ম্যাচে বড় ব্যবধানে হার মেনেছে ব্রাজিল। ১৯১৭ সালে কোপা আমেরিকার ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-২ ব্যবধানে হেরেছিল সেলেসওরা। এরপর ১৯২৫ সালে সেই কোপা আমেরিকাতেই ৪-১ ব্যবধানে হার মানে ব্রাজিল। ১৯৩৯ সালে অবশ্য হারের ব্যবধান বেড়ে হয়েছিল ৫-১। সেটা অবশ্য কোপা জুলিও রোকাতে। ১৯৪০ সালে কোপা জুলিও রোকাতেই ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৬-১ ব্যবধানে আর্জেন্টিনার কাছে হেরেছিল ব্রাজিল। একই বছর আরও একবার ৫-১ ব্যবধানে হেরেছিল হলুদ রঙের জার্সিধারীরা। অবশ্য ১৯৪৫ সালে কোপা জুলিও রোকায় আর্জেন্টিনাকে ৬-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল ব্রাজিলও। ১৯৫৯ সালে কোপা আমেরিকার ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছিল ব্রাজিল। সেটাই ছিল ব্রাজিলের সবশেষ বড় ব্যবধানে হার আর্জেন্টিনার কাছে। ১৯৬০ কোপা জুলিও রোকায় প্রথমে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-২ ব্যবধানে হারে ব্রাজিল। এরপর ব্রাজিল ৪-১ ব্যবধানে হারায় আর্জেন্টিনাকে। একই বছর কোপা ডেল আটলান্টিকোতে ৫-১ ব্যবধানে আর্জেন্টিনাকে উড়িয়ে দিয়েছিল সেলেসওরা। ২০১২ সালে এক প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-৩ ব্যবধানে হেরেছিল ব্রাজিল। তবে বহু বছর পর আজ আরও একবার আর্জেন্টিনা চারবার ব্রাজিলের জালে বল জড়ালো। তাতে ৬৬ বছর পর আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ ব্যবধানে হার মানলো রাফিনিয়া-মারকিনহোসরা। তবে চারবার করে জালে বল জড়ানোর ঘটনা দুই দল এ পর্যন্ত মোট ১০ বার ঘটিয়েছে। তার মধ্যে আর্জেন্টিনা ৭ বার এবং ব্রাজিল ৩ বার। সাল ব্যবধান টুর্নামেন্ট ১৯১৭ আর্জেন্টিনা ৪-২ ব্রাজিল কোপা আমেরিকা ১৯২৫ আর্জেন্টিনা ৪-১ ব্রাজিল কোপা আমেরিকা ১৯৫৯ আর্জেন্টিনা ৪-১ ব্রাজিল কোপা আমেরিকা ১৯৬০ আর্জেন্টিনা ৪-১ ব্রাজিল কোপা আমেরিকা ১৯৬০ আর্জেন্টিনা ৪-২ ব্রাজিল কোপা জুলিও রোকা ১৯৬৮ ব্রাজিল ৪-১ আর্জেন্টিনা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ ১৯৯৯ ব্রাজিল ৪-২ আর্জেন্টিনা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ ২০০৫ ব্রাজিল ৪-১ আর্জেন্টিনা ফিফা কনফেডারেশন কাপ ২০১২ আর্জেন্টিনা ৪-৩ ব্রাজিল আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ ২০২৫ আর্জেন্টিনা ৪-১ ব্রাজিল বিশ্বকাপ বাছাই পাঁচবার করে জালে বল জড়ানোর ঘটনা আছে তিনটি। তার মধ্যে আর্জেন্টিনা একবার ও ব্রাজিল দুইবার জড়িয়েছে। সাল ব্যবধান টুর্নামেন্ট ১৯৪০ আর্জেন্টিনা ৫-১ ব্রাজিল কোপা জুলিও রোকা ১৯৬০ ব্রাজিল ৫-১ আর্জেন্টিনা কোপা ডেল আটলান্টিকো ১৯৬৩ ব্রাজিল ৫-২ আর্জেন্টিনা কোপা জুলিও রোকা আর ৬ গোলের ব্যবধানে উভয় দলের জয় আছে মাত্র ২টা। সাল ব্যবধান টুর্নামেন্ট ১৯৪০ আর্জেন্টিনা ৬-১ ব্রাজিল কোপা জুলিও রোকা ১৯৪৫ ব্রাজিল ৬-২ আর্জেন্টিনা কোপা জুলিও রোকা