লা লিগার সূচি প্রকাশ, কবে বার্সা-রিয়াল এল ক্লাসিকো

লা লিগার সূচি প্রকাশ, কবে বার্সা-রিয়াল এল ক্লাসিকো ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত দ্বৈরথের দিনক্ষণ চূড়ান্ত। লা লিগা ২০২৫–২৬ মৌসুমে আবার মুখোমুখি বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এবারের লড়াই শুধু প্রতিপক্ষ নয়, রোমাঞ্চের ব্যপ্তিও বাড়াচ্ছে মাঠ, কোচিং স্টাফ আর নতুন স্কোয়াড গঠন। লা লিগার সূচি অনুযায়ী, এই মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হবে ২৬ অক্টোবর রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। ফিরতি লেগের উত্তাপ ছড়াবে আগামী ১০ মে বার্সার ঐতিহাসিক ভেন্যু ক্যাম্প ন্যুতে। যেখানে দুই বছর পর আবার ফিরছে ঘরোয়া ফুটবল। গত মৌসুমে রিয়ালের জন্য এল ক্লাসিকো ছিল একরকম দুঃস্বপ্ন। চার ম্যাচেই বার্সার কাছে হেরেছিল তারা। সেই ক্ষত মুছতে এবার নতুন কোচ জাবি আলোনসোর অধীনে বদলে যাওয়ার শপথ নিয়েছে লস ব্লাঙ্কোস। অন্যদিকে হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সা চায় নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব অটুট রাখতে। বিশেষ করে গত মৌসুমে ঘরোয়া ট্রেবল জয়ের পর। নতুন মৌসুম শুরু হচ্ছে ১৭ আগস্ট। সেদিন আলাদা ম্যাচে মাঠে নামবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। বার্সা খেলবে ম্যায়োর্কারন বিপক্ষে। আর রিয়াল মুখোমুখি হবে ওসাসুনার। এছাড়া, দলবদলের বাজারে এসেছে বেশ কিছু বড় চমক। যেগুলো দুই স্কোয়াডেই নতুন রূপ দিয়েছে। সব মিলিয়ে আসন্ন এল ক্লাসিকো কেবল ফলাফলের লড়াই নয়; পুরনো শত্রুতা, নতুন কৌশল আর মাঠে ফিরে আসা ঐতিহ্যের এক পরিপূর্ণ মহারণ।
ঋতুপর্ণার জোড়া গোল, মিয়ানমারকে হারিয়ে মূল পর্বের পথে বাংলাদেশ

ঋতুপর্ণার জোড়া গোল, মিয়ানমারকে হারিয়ে মূল পর্বের পথে বাংলাদেশ ফিফা র্যাংকিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে হারানো মোটেই সহজ কাজ নয়। তবে সেই কঠিন কাজটি সেরে বাছাই পেরিয়ে মূল পর্বের পথে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। জোড়া গোল করে তাদের কাজটি সহজ করে দিলেন ঋতুপর্ণা চাকমা। এএফসি উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে বুধবার ইয়াংগুনের থুয়ান্না স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। দুই অর্ধে একটি করে গোল করেছেন ঋতুপর্ণা। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ মিনিটে একটি গোল শোধ করেছে মিয়ানমার। তুর্কমেনিস্তানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে বাছাই শুরু করেছিল মিয়ানমার। আজকের হারে তাদের পয়েন্ট ৩-ই রয়ে গেল। আর বাহরাইনের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৭-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। দুই জয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট হলো ৬। গ্রুপের শীর্ষেও তারা। ফলে আজকের জয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে মূল পর্বে টিকিট পাওয়ার দাবিদার হলো বাংলাদেশের মেয়েরা। আগামী শনিবার গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে পা না হড়কালে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত হবে আফঈদাদের। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটির শুরু থেকেই বেশ সাবলীল ফুটবল খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা। অষ্টাদশ মিনিটে দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। কিন্তু বক্সের ভেতরে ফাউলের শিকার হন তিনি। ফ্রি-কিক নেন ঋতুপর্ণা। তবে তার কিক মিয়ানমারের রক্ষণে প্রতিহত হলে তার ফিরতি নিচু শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়িয়ে যায়। আনন্দে মেতে উঠে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। ৬ মিনিট পরে বাম প্রান্ত থেকে ঋতুপর্ণার ক্রসে ছোট বক্সের ভেতরে শামসুন্নাহার জুনিয়র ট্যাপ করলেও বল পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ৩৭তম মিনিটে অল্পের জন্য গোল হজম করেনি বাংলাদেশ। আক্রমণ ঠেকাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন রুপনা। তবে ক্লিয়ার করতে পারেননি তিনি। বল চলে যায় খিন মো মো তুনের পারে। তবে মিয়ানমার অধিনায়কের শট বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মিয়ানমারের একটি আক্রমণ ব্যর্থ হয় ক্রসবারে লেগে। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের রক্ষণে চাপ বাড়ায় মিয়ানমার। তবে শামসুন্নাহার সিনিয়র, আফঈদা খন্দকাররা প্রতিপক্ষের প্রচেষ্টা দারুণভাবে প্রতিহত করেন। ৭২তম মিনিটে ম্যাচে আসে ঋতুপর্ণার দ্বিতীয় গোল। বক্সের একটু উপর থেকে বল নিয়ে কিছুটা দৌড়ে এক ডিফেন্ডারের সামনে থেকে বাম পায়ে শট নেন ঋতুপর্ণা। বল হাওয়ায় ভেসে গোলরক্ষককের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়ায়। বাংলাদেশ যখন উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন মরিয়া মিয়ানমার ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায়। সতীর্থের আড়াআড়ি ক্রসে আনমার্কড থাকা উইন উইন নিখুঁত শটে রুপনাকে পরাস্ত করেন। তবে এরপর আর বিপদ হতে দেয়নি বাংলাদেশের মেয়েরা।
ম্যানসিটিকে কাঁদিয়ে রূপকথার জয়ে শেষ আটে আল হিলাল

ম্যানসিটিকে কাঁদিয়ে রূপকথার জয়ে শেষ আটে আল হিলাল ক্লাব বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে সবচেয়ে বড় চমক দেখালো সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল। রূপকথার জয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায় করে কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছে গেল আল হিলাল। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল পৌনে ১০টায় শেষ হওয়া ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো রোমাঞ্চে ঠাসা ম্যাচে পেপ গুয়ার্দিওলার দলকে ৪-৩ গোলে হারায় সৌদি আরবের ক্লাবটি। আল হিলালের জয়ের নায়ক মার্কোস লেওনার্দো। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা দলকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরান ২২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। পরে ১১৩তম মিনিটে জয়সূচক গোলটিও করেন তিনি। আরেক ব্রাজিলিয়ান মালকমও করেন একটি গোল। আল হিলালের বাকি গোলটি করেন সেনেগালের ডিফেন্ডার কালিদু কুলিবালি। ম্যাচজুড়ে অসাধারণ পারফরম্যান্সে বারবার দলকে রক্ষা করেন আল হিলালের গোলকিপার বোনু। ম্যান সিটির হয়ে জালের দেখা পান বের্নার্দো সিলভা, আর্লিং হালান্ড ও ফিল ফোডেন। অরল্যান্ডোর ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে বল নিয়ন্ত্রণে রাখা, গোলে শট, সব পরিসংখ্যানেই অনুমিতভাবেই বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের ৬৯ শতাংশ সময় বল ছিল তাদের কাছে। গোলে ৩০টি শট নেয় তারা, এর ১৪টি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু কাজে লাগে কেবল ৩টি। আল হিলাল গোলে শট নেয় ১৭টি। তবে লক্ষ্যে ছিল কেবল ৬টি। এর ৪টিতেই সফল হয়ে বাজিমাত করে তারা। ম্যাচের নবম মিনিটে জটলা থেকে গোল করে সিটিকে এগিয়ে দেন বের্নার্দো সিলভা। তবে আল হিলালের ফুটবলারদের জোর প্রতিবাদে কান দেননি রেফারি। ২৪তম মিনিটে আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ পায় সিটি। এবার হালান্ডের পাস থেকে বক্সের ভেতর বল পেয়ে সাভিনিয়ো গোলকিপার বোনুকে কাটিয়ে যান। কিন্তু বোনু হাল ছাড়েননি। নিজেকে দ্রুত সামলে নিয়ে সাভিনিয়োর শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। সিটির আক্রমণ চলতে থাকে। ৩০, ৩৮ ও ৪৪তম মিনিটে তিন দফায় দলকে রক্ষা করেন বোনু। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে বদলে যায় চিত্র। প্রথম মিনিটেই সমতায় ফেরে আল হিলাল। বিপজ্জনকভাবে বল নিয়ে সিটির বক্সে ঢুকে যান মালকাম। জটলার মধ্যে এক পর্যায়ে তার শট ফিরিয়ে দেন সিটির গোলকিপার এদেরসন, কিন্তু সিটির একজনের পায়ে লেগে আসা বলে হেড করে জালে পাঠান লেওনার্দো। ছয় মিনিট পর আল হিলাল এগিয়ে যায় চোখধাঁধানো এক পাল্টা আক্রমণে। নিজেদের বক্সের ঠিক বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক পাস বাড়ান জোয়াও কান্সেলো। মাঝমাঠের একটু ওপর থেকে বল নিয়ে গুলির বেগে এগিয়ে যান মালকাম, সিটির বক্সে ঢুকে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন তিনি নিখুঁত ফিনিশিংয়ে। মিনিট তিনেক পরই কর্নার থেকে জটলার মধ্যে হালান্ডের টোকায় সমতায় ফেরে সিটি। সিটি এরপর দফায় দফায় আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু কখনও অল্পের জন্য বল চলে যায় বাইরে দিয়ে, কখনও বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান বোনু। ৮৫তম মিনিটে বোনুর দারুণ এক সেভের পর ফিরতি বলে গোললাইন থেকে কোনোমতে রক্ষা করেন আল হিলালের আলি লাজামি। একটু পরই বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া রুবেন দিয়াসের জোরাল শট ঠেকান বোনু। ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে রুবেন নেভেসের কর্নার থেকে দারুণ হেডে আল হিলালকে এগিয়ে দেন কুলিবালি। ১০৪তম মিনিটে গোছানো আক্রমণ থেকে হায়ান শেহকির অসাধারণ ক্রস থেকে ফোডেনের চমৎকার ফিনিশিংয়ে আবার সমতায় ফেরে সিটি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি পেপ গার্দিওলার দলের। ১১৩তম মিনিটে সের্গেই মিলিনকোভিচের হেড ডাইভ দিয়ে রক্ষা করেন সিটি গোলকিপার, কিন্তু বল যায় সামনেই থাকা লেওনার্দোর কাছে। বল তার পেটে লাগার পর তিনি পড়িমরি করে পড়ে গেলেও কোনেরকমে পা ছুঁইয়ে পাঠাতে পারেন জালে। পরের সময়টায় গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সিটি। এর ফাঁকে সুযোগ পেয়ে পাল্টা আক্রমণ করে আল হিলাল। কিন্তু দুই দলের খেলায়ই তো ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। কোনো দলই আর গোল করতে পারেনি। এ দিনের আগের এক ম্যাচে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রানার্স আপ ইন্টার মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখায় ফ্লুমিনেসি। তাদের সঙ্গেই কোয়ার্টার-ফাইনালে লড়বে আল হিলাল। এটি তাই নিশ্চিত, সেমি-ফাইনালে খেলবে ব্রাজিল কিংবা সৌদি আরবের একটি ক্লাব।
হারের সঙ্গে শেষ হলো ডি মারিয়ার ইউরোপ অধ্যায়

হারের সঙ্গে শেষ হলো ডি মারিয়ার ইউরোপ অধ্যায় ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর একপাশে উদযাপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন চেলসির খেলোয়াড় থেকে কোচিং স্টাফের সদস্যরা। অন্যপাশে হতাশা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেনফিকার ফুটবলাররা। মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে অঝরে চোখের পানি ফেলছিলেন আনহেল ডি মারিয়া। কেননা চেলসির কাছে হারের টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার পাশাপাশি এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির ইতি টানলেন ইউরোপ অধ্যায়ের। ২০০৭ সালে তরুণ ডি মারিয়া আর্জেন্টাইন ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রাল ছেড়ে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন নিয়ে ফুটবলের সব চেয়ে বড় বাজার ইউরোপে পা রাখেন। ইউরোপে তার শুরুর গন্তব্য ছিল এই বেনফিকা। এরপর মাঝখানে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি এবং জুভেন্টাসের মতো ইউরোপ কাঁপানো দলগুলোতে খেলেছেন। ক্যারিয়ারের গোধূলি বেলায় ৩৭ বছর বয়সে আবারও ফিরে যাবেন শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রাল থেকে। সেখান থেকে টানতে চান বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি।
লড়াই শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাস ও চেলসি

লড়াই শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাস ও চেলসি ক্লাব বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস এবং ইংলিশ ক্লাব চেলসি। শনিবার (২৮ জুন) শেষ ষোলোর প্রথম ম্যাচে পালমেইরাস ১-০ গোলে হারিয়েছে স্বদেশি ক্লাব বোতাফাগোকে। নক আউটের দ্বিতীয় ম্যাচে চেলসি ৪-১ গোলে হারায় পর্তুগালের ক্লাব বেনফিকাকে। ফিলাডেলফিয়ার লিংকন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ড স্টেডিয়ামে ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোল করতে পারেনি পালমেইরাস ও বোতাফাগো। নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকায় ম্যাচটি অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়ায়। সেখানে ১০০ মিনিটে গোল করেন বদলি হিসেবে খেলতে নামা পালমেইরাসের পলিনহো। ডান দিক থেকে বল নিয়ে বোতাফাগোর দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের ভেতর পলিনহোর দারুণ শটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পালমেইরাস। ১১৬ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় পালমেইরাস। ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন গুস্তাভো গোমেজ। শেষ পর্যন্ত পলিনহোর গোলে জয়ের স্বাদ নিয়ে শেষ আটের টিকিট পায় পালমেইরাস। ম্যাচ শেষে পালমেইরাস কোচ আবেল ফেরেইরা বলেন, ‘আমরা ভাল একটি ম্যাচ খেলেছি। পুরো ৯০ মিনিট এবং অতিরিক্ত সময়েও ভালো খেলেছে দল। জয়টা প্রাপ্য ছিল। জয়ের ধারা অব্যাহত রাখাই দলের মূল লক্ষ্য।’ এদিকে, চার্লটে নক আউটের দ্বিতীয় ম্যাচে চেলসি ও বেনফিকার মধ্যকার ম্যাচে প্রথমার্ধে কোন দলই গোল করতে পারেনি। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে প্রথম গোল পায় চেলসি। রিস জেমসের দুর্দান্ত ফ্রি কিকে ১-০ ব্যবধানের লিড ধরে রেখে জয়ের পথেই ছিল চেলসি। তবে ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় অর্থাৎ ৯২ মিনিটে জিয়ানলুকা প্রেস্টিয়ান্নি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বেনফিকা। ৯৫ মিনিটে চেলসির মালো গুস্তোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় বেনফিকা। পেনাল্টি থেকে ডি মারিয়া গোল করে ম্যাচে ১-১ সমতা ফেরান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে ড্র হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচটি। অতিরিক্ত সময়ের ১০৮ থেকে ১১৭ মিনিটের মধ্যে ৩ গোল করে জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসি। এ সময় দলের হয়ে গোল করেন ক্রিস্টোফার এনকুকু, পেদ্রো নেতো ও কিয়ারন ডিউসবুরি। আগামী শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাসের বিপক্ষে খেলবে চেলসি।
কষ্টের জয়ে শেষ ষোলোতে ইন্টার, বরুসিয়াও নকআউট পর্বে

কষ্টের জয়ে শেষ ষোলোতে ইন্টার, বরুসিয়াও নকআউট পর্বে ফুটবল রোমাঞ্চের আরেকটি পাতা যুক্ত হলো ক্লাব বিশ্বকাপে। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ইতালির জায়ান্ট ইন্টার মিলান শেষ মুহূর্তের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জায়গা করে নিলো নকআউট পর্বে। গোলশূন্য ৭০ মিনিটের পর হঠাৎ করেই বদলে গেল ম্যাচের মোড়। রিভার প্লেটের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে নাম লেখাল চ্যাম্পিয়নস লিগ রানার্সআপরা। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৬ মিনিটে রিভার প্লেটের লুকাস মার্টিনেজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশজনের দলে পরিণত হয় তারা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১৯ বছর বয়সী ফ্রান্সেসকো এসপোসিতো গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ৭২ মিনিটে। এটি ছিল ইন্টারের হয়ে তার মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম গোল, নতুন প্রতিভার ঝলক যেন অনিবার্য! দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বাস্তোনি। এরই মধ্যে রিভার প্লেটকে আরও বড় ধাক্কা দিয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন গঞ্জালো মন্তিয়েল। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা দলটি। এই জয়ে ইন্টার মিলান গ্রুপ-‘ই’ এর শীর্ষে থেকে জায়গা করে নিলো শেষ ষোলোয়। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ব্রাজিলিয়ান পাওয়ারহাউস ফ্লুমিনেজ। উল্লেখ্য যে, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে আসা ব্রাজিলিয়ান চারটি ক্লাবই জায়গা পেয়েছে নকআউটে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার সব ক্লাব এবার ছিটকে গেছে গ্রুপ পর্বেই। অন্যদিকে, জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডও নিশ্চিত করেছে শেষ ষোলোর টিকিট। উলসান এইচডির বিপক্ষে ড্যানিয়েল সেভেনসনের প্রথমার্ধের একমাত্র গোলই ছিল যথেষ্ট তাদের জয়ের জন্য। এই জয়ে গ্রুপ-‘এফ’ জয় করে তারা শেষ ষোলোতে মুখোমুখি হবে আটালান্টার।
প্রবাসীদের নিয়ে বাফুফের ট্রায়াল, থাকবে ক্লাবগুলোও

প্রবাসীদের নিয়ে বাফুফের ট্রায়াল, থাকবে ক্লাবগুলোও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আয়োজনে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী ২৭ থেকে ৩০ জুন অনুষ্ঠিত হবে প্রবাসী ফুটবলারদের জন্য বিশেষ ট্রায়াল প্রোগ্রাম ‘বিএফএফ নেক্সট গ্লোবাল স্টার’। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার লক্ষ্যে এই ট্রায়ালে অংশ নিতে ১৯টি দেশ থেকে আসছেন ৫১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার। এ উপলক্ষে আজ মহাখালীর রাওয়া ক্লাবের ঈগল হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাফুফে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সহ-সভাপতি ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদি, টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু, কামরুল হাসান হিলটন, সাঈদ হাসান কাননসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে জাহেদি জানান, হামজা চৌধুরী, সামিত সোম, ফাহমেদুল ইসলামের মতো তারকা প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ দলে খেলার পর অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের মধ্যে এখন দেশের হয়ে খেলার প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাদের সেই সুযোগ করে দিতেই বাফুফে আয়োজন করেছে ‘নেক্সট গ্লোবাল স্টার’ ট্রায়াল প্রোগ্রাম। তিনি আরও জানান, খেলোয়াড়দের আনতে বাফুফে কোনো অর্থ ব্যয় করেনি। বরং, তারা নিজেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজেদের খরচে বাংলাদেশে এসেছেন জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন নিয়ে। এই ট্রায়ালের মাধ্যমে জাতীয় দলের জন্য প্রতিভাবান প্রবাসী ফুটবলার বাছাই করা হবে। যারা ভবিষ্যতে হামজা বা সামিতদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এগিয়ে নিতে পারবে। তবে অংশগ্রহণকারী সবাইকে জাতীয় দলে নেওয়া সম্ভব হবে না। তাই বাফুফে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই ট্রায়ালে ক্লাবগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। যাতে তারা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের চিহ্নিত করে নিজেদের দলে ভেড়াতে পারে। শুধু ক্লাব নয়, দেশের সব ফুটবলপ্রেমীদের জন্যই ট্রায়ালটি সরাসরি মাঠে থেকে দেখার সুযোগ থাকবে বলেও জানায় বাফু
অনিশ্চয়তার মুখে ২০২৬ বিশ্বকাপে ইরানের অংশগ্রহণ

অনিশ্চয়তার মুখে ২০২৬ বিশ্বকাপে ইরানের অংশগ্রহণ ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে মাঠে দেখা যাবে ৪৮ দল। তার এশিয়ার শক্তিশালী দল ইরান ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে তাদের অংশগ্রহণ। কিন্তু মাঠের লড়াই জিতে বিশ্বকাপের টিকিট পেলেও এখন তাদের সামনে এক অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিপক্ষ রাজনীতি ও ভিসা জটিলতা। এই বিশ্বকাপ আয়োজন করবে তিনটি দেশ— যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। ফাইনালসহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রে। আর এখানেই শুরু হয়েছে সমস্যা। ওয়াশিংটনের কড়া ভিসা নীতি, সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা এবং ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্ব একত্রে জটিল করে তুলেছে ইরানের বিশ্বকাপ যাত্রা। চলতি বছরের মার্চে উজবেকিস্তানের সঙ্গে ড্র করে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ইরান। কিন্তু ভিসা না পেলে যুক্তরাষ্ট্রে নকআউট পর্বে খেলাই অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়াবে। এমন পরিস্থিতিতে ফিফা ও আয়োজকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। বিশ্বকাপের সূচি অনুযায়ী, ইরান যদি ‘গ্রুপ এ’-তে পড়ে, তাহলে প্রাথমিক ম্যাচগুলো হতে পারে মেক্সিকোতে। কিন্তু শেষ ষোলোতে গেলে ম্যাচ পড়বে যুক্তরাষ্ট্রে—যেখানে ভিসা পাওয়া দারুণ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে ইরানি খেলোয়াড়দের জন্য। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল আছে ১২টি দেশের ওপর, যার মধ্যে রয়েছে ইরান। যদিও ক্রীড়াজগতের জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, এখনো নিশ্চিত কিছু নয়। ইতিহাস বলছে, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক টানাপোড়েনে আগে রাশিয়া ও যুগোস্লাভিয়া যেমন নিষিদ্ধ হয়েছিল ইরানের ক্ষেত্রেও তেমন কিছু ঘটতে পারে কি না তা নিয়েই শঙ্কা ফুটবলমহলে। শুধু জাতীয় দল নয়, ভিসা সমস্যা তাড়া করছে ক্লাব ফুটবলেও। ইন্টার মিলানের ইরানি স্ট্রাইকার মেহদি তারেমি ক্লাব বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকলেও ভিসা জটিলতায় যুক্তরাষ্ট্রে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি। ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তা সত্ত্বেও তাকে তেহরান থেকে বের করে আনা যায়নি। এখনও পর্যন্ত ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো কিংবা মার্কিন প্রশাসন কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে বিশ্বকাপে ইরানের উপস্থিতি আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় বাড়ছেই।
ক্লাব বিশ্বকাপে ‘আর্জেন্টিনার জার্সি’ ভাইরাল কোরিয়ান ক্লাব

ক্লাব বিশ্বকাপে ‘আর্জেন্টিনার জার্সি’ ভাইরাল কোরিয়ান ক্লাব ক্লাব বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাবগুলো দুর্দান্ত খেলছে। ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোকে তারা নাকানি-চুবানি খাওয়াচ্ছে। তেমনি আজ উলসান হুন্দাইয়ের বিপক্ষে ৪-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে এসেছেন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। তবে এই ম্যাচে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল উলসানের জার্সি! দক্ষিণ কোরিয়ার ক্লাবটি এমন এক জার্সি পরে মাঠে নামে, যা দেখতে হুবহু আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের পরিচিত জার্সির মতো। ওই জার্সিতে ছিল পাঁচটি আকাশি নীল রঙের স্ট্রাইপ, যার পটভূমি সাদা। জার্সির হাতায় ছিল জার্মান ব্র্যান্ডের ক্লাসিক থ্রি স্ট্রাইপ ডিজাইন। পুরো দলের শর্টস ও মোজাও ছিল সাদা রঙের। সব মিলিয়ে পুরো জার্সিটিই যেন ছিল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জার্সির প্রতিরূপ! জার্সির এই আকস্মিক পরিবর্তন ঘিরে শুরু হয় আলোচনা, বিশেষ করে ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে জিন-হিউন লি এবং শেষ দিকের সময়ে উম ওন-সাং গোল করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেন উচ্ছ্বাসের বন্যা বইয়ে দেয় ভক্তরা। জার্সিটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার প্রধান কারণ ছিল, এই জার্সির সঙ্গে কোনো মিল নেই ক্লাবটির ঐতিহাসিক রঙের। ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দলটি নেমেছিল নীল-হলুদ রঙের জার্সিতে। ফলে হঠাৎ করে এমন সাদা-আকাশি রঙের জার্সি দেখে অবাক হয়ে যান আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। অনেকে মনে করেন, এটা যেন লাতিন আমেরিকার বিশ্বজয়ী দলের ছায়া। এদিকে ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে খেলায় উলসানের এমন জার্সি পরাকে ঘিরে তৈরি হয় নানারকম মিমস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ বলেন, ‘এ যেন আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল!’। আবার কেউ লিখেছেন, ‘কোরিয়ান স্কালোনেতা মাঠে নেমে গেছে!’
ক্লাব বিশ্বকাপ: ১০০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক লড়াই

ক্লাব বিশ্বকাপ: ১০০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক লড়াই ফিফার নতুন সংস্করণের ক্লাব বিশ্বকাপ যেন শুধু মাঠের লড়াই নয়, বরং এক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক মঞ্চ। গত মার্চে ফিফা ঘোষণা করে, এবারের ৩২ দল নিয়ে আয়োজিত ক্লাব বিশ্বকাপে বিজয়ী দল পাবে সর্বোচ্চ ১২৫ মিলিয়ন ডলার—অর্থাৎ মাত্র এক মাসের টুর্নামেন্টে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ! শুধু ম্যাচ জিতলেই মিলবে ২ মিলিয়ন ডলার। ‘অক্টাগনের ফুটবল বিভাগের প্রধান ফিল কার্লিং বলেন, ‘এটা এখনকার ফুটবলে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ যুদ্ধ—আন্তর্জাতিক ভক্ত ধরে রাখা এবং তাদের অর্থে পরিণত করা। ‘এই মুহূর্তে ফুটবলে ট্যালেন্ট মানে টাকা, টাকা মানে নজর, নজর মানে স্পনসর, স্পনসর মানেই ক্লাবের অর্থনৈতিক ক্ষমতা, চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো ঐতিহ্য না থাকলেও ক্লাব বিশ্বকাপে আমেরিকার মাটিতে নিজেদের দেখানোর এই সুযোগকে বড় ক্লাবগুলো হাতছাড়া করতে চায় না। জার্সি বিক্রি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ার বাড়ানো আর ডিজিটাল সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে ক্লাবগুলো নিজেদের আয়ের নতুন দ্বার খুঁজে পাচ্ছে। স্পোর্টস মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ টিম ক্রো বলেন, ‘এটা এখন আর ঐতিহ্যগত ভক্তদের মন জয় করার প্রশ্ন নয়, বরং নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছানোই মূল লক্ষ্য। ‘ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, শীর্ষ ২০ ক্লাব ২০২৩-২৪ মৌসুমে বাণিজ্যিক খাত থেকে মোট ৪.২ বিলিয়ন পাউন্ড আয় করেছে—যার মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদের আয় সর্বোচ্চ ৪১০ মিলিয়ন পাউন্ড। যুক্তরাষ্ট্রে এখনও লাখ লাখ মানুষ আছেন যাদের কোনো পছন্দের ফুটবল ক্লাব নেই। সেই বাজার দখলের এই সুবর্ণ সুযোগ মিস করতে চায় না রিয়াল মাদ্রিদের মতো ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো।আসলে যুক্তরাষ্ট্র হলো ২০ ট্রিলিয়ন ডলারের ইকোনমি। সেখানে একজন ফ্যান মানেই ভবিষ্যতের ক্রেতা, সাবস্ক্রাইবার এবং বিনিয়োগকারী। কেউ জানে না আগামী ১০ বছরে এই টুর্নামেন্ট কোথায় দাঁড়াবে। তবে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, পিএসজি’র মতো ক্লাব যখন এতটা সিরিয়াস, তখন এটা শুধু ‘গ্রীষ্মকালীন প্রীতি ম্যাচ’ নয়, বরং ফুটবলের ভবিষ্যতের বাণিজ্যিক রূপরেখার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।