বিদ্রোহী ১৮ নারী ফুটবলারের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি সম্পন্ন

বিদ্রোহী ১৮ নারী ফুটবলারের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি সম্পন্ন সাফজয়ী ১৮ নারী ফুটবলার গ্রুপ বেঁধে ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে তুচ্ছ অভিযোগ তুলে বিদ্রোহ করেছিলেন। পিটার থাকলে তারা খেলবেন না। পিটারও অবস্থান নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের এগিয়ে আসায় আপাতত সমস্যা সমাধান হয়েছে। বিদ্রোহ করা ১৮ ফুটবলারের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। ভুটানে লিগ খেলতে গেছেন ১০ ফুটবলার, ঢাকায় বাফুফের ক্যাম্পে রয়েছেন আট ফুটবলার। সবার সঙ্গেই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে বাফুফের দাবি। বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘১৮ ফুটবলার চুক্তি করেছে। ১০ জন ভুটানে গেছেন লিগ খেলতে, তারা ওখানে বসে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে পাঠিয়েছেন।’ কিছু কিছু ফুটবলারের বেতন বাড়ানো হয়েছে। ৫ হাজার টাকা করে বেড়েছে বলে জানা গেছে। ভুটানের খেলোয়াড়রা কবে আসবেন, তা জানা নেই বাফুফের। লিগ শুরু হবে ১০ মে। খেলার ফাঁকে ফাঁকে লম্বা সময় বিরতি রয়েছে। লিগের খেলা শেষ হবে আগস্ট।   নাম                   বেতন রূপনা চাকমা     ৫৫ হাজার শিউলি আজিম  ৫৫ হাজার শামসুন্নাহার (সিনিয়র) ৫৫ হাজার মনিকা চাকমা   ৫৫ হাজার মারিয়া মান্দা     ৫৫ হাজার ঋতুপর্ণা চাকমা ৫৫ হাজার তহুরা খাতুন      ৫৫ হাজার শামসুন্নাহার (জুনিয়র) ৫৫ হাজার সানজিদা আক্তার ৫৫ হাজার সাবিনা খাতুন     ৫৫ হাজার নিলুফা ইয়াসমিন নিলা ৫৫ হাজার কৃষ্ণা রানী সরকার ৫৫ হাজার মাসুরা পারভিন ৫৫ হাজার মোসাম্মাৎ সাগরীকা ৩০ হাজার সুমাইয়া মাতসুশিমা ৩০ হাজার সাথী বিশ্বাস ২২ হাজার স্বর্ণা রানী মণ্ডল ২২ হাজার নাসরিন আক্তার ২০ হাজার

ইংল্যান্ডে নারী ফুটবলে ট্রান্সজেন্ডারদের নিষিদ্ধ করছে এফএ

ইংল্যান্ডে নারী ফুটবলে ট্রান্সজেন্ডারদের নিষিদ্ধ করছে এফএ ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) আগামী মৌসুম থেকে নারী ফুটবলে ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন নীতি আগামী ১ জুন থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ইএসপিএন। শুধু জৈবিক নারীদেরই আইনত নারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে একটি আইন পাশের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএ। এক বিবৃতিতে এফএ জানায়, আইন, বিজ্ঞান বা স্থানীয় ফুটবলের জন্য এই নীতি পরিবর্তিত হলে আমরা এই বিষয়ে আবারো পর্যালোচনা করব। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আমরা নারী ফুটবলে ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করছি। চলতি মৌসুমে ইংল্যান্ডে প্রায় ২০ জন ট্রান্স নারী স্থানীয় লিগে খেলছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেছেন, নারীদের খেলায় জৈবিক পার্থক্য রাখার পাশাপাশি আইন মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২০২৬ বিশ্বকাপের লাল জার্সি ঘিরে বিতর্কে উত্তাল ব্রাজিল

২০২৬ বিশ্বকাপের লাল জার্সি ঘিরে বিতর্কে উত্তাল ব্রাজিল ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ব্রাজিল জাতীয় দলের সম্ভাব্য নতুন অ্যাওয়ে জার্সির একটি স্কেচ ফাঁস হওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এই বিতর্ক কেবল মাঠের খেলা নিয়েই নয়—তা ছড়িয়ে পড়েছে ব্রাজিলের রাজনৈতিক অঙ্গনেও।  বিখ্যাত ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ফুটি হেডলাইনস’ প্রথম খবরটি প্রকাশ করে, যেখানে দাবি করা হয়—পরবর্তী বিশ্বকাপে ব্রাজিল ঐতিহ্যবাহী নীল অ্যাওয়ে জার্সির পরিবর্তে পরতে পারে একটি লাল জার্সি, যার ডিজাইনে থাকবে কালো রঙের ছোঁয়া। ১৯১৭ থেকে ১৯১৯ সালের মধ্যে জাতীয় দল যে লাল জার্সি পরত, এই নতুন ডিজাইনটি তারই একটি আধুনিক রূপ বলে ধারণা করা হচ্ছে। সমালোচনার ঝড়, নানান প্রশ্ন ডিজাইনটি সামনে আসতেই তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। অনেকেই এমন পরিবর্তনকে ব্রাজিলীয় ফুটবলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন। কারও কারও দৃষ্টিতে এটি নিছক ‘অপ্রয়োজনীয় রঙের রাজনীতি’। রাজনৈতিক ব্যাখ্যায় রঙ পায় বিতর্ক বিতর্কটি নতুন মাত্রা পায় যখন ব্রাজিলের রাজনৈতিক মহলেও তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো-সমর্থক ও ডানপন্থি রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো জার্সির লাল রঙকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার বামপন্থী রাজনৈতিক দর্শনের প্রতীক হিসেবে ব্যাখ্যা করতে শুরু করেন। তাদের ভাষায়, “আমাদের পতাকা কখনো লাল হবে না!” ডানপন্থি সংসদ সদস্য জে ত্রোভাও এমনকি একটি বিলও প্রস্তাব করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে—ব্রাজিলকে প্রতিনিধিত্বকারী যেকোনো প্রতীক বা পোশাকে কেবল জাতীয় পতাকার রঙ—সবুজ, হলুদ, নীল এবং সাদা—ব্যবহার করা যাবে। সিবিএফ-এর ব্যাখ্যা ও প্রতিক্রিয়া সামগ্রিক প্রতিক্রিয়ার মুখে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, ফাঁস হওয়া ডিজাইনটি কোনোভাবেই চূড়ান্ত নয়; এটি একটি প্রাথমিক খসড়া মাত্র। নাইকি-এর সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনার পরেই নতুন জার্সির বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। একবার হয়েছিল ব্যতিক্রমও ২০২৩ সালে ব্রাজিল একটি প্রীতি ম্যাচে গিনির বিপক্ষে কালো জার্সি পরে মাঠে নেমেছিল। সেটি ছিল বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একটি প্রতীকী বার্তা, এবং তা এককালীন ব্যতিক্রম হিসেবেই দেখা হয়েছিল। কিন্তু এবার লাল জার্সি আনার বিষয়টি যদি সত্যি হয়, তাহলে সেটি হবে স্থায়ী দ্বিতীয় কিট হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে—এবং সেখানেই মূলত সমস্যা দেখছে অনেকেই।

রেফারিকে বরফ ছুঁড়ে ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ রুডিগার

রেফারিকে বরফ ছুঁড়ে ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ রুডিগার রিয়াল মাদ্রিদের জন্য সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। মাঠ ও মাঠের বাইরে কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন লস ব্ল্যাঙ্কসরা। তারা চ্যাম্পিয়নস লিগেরে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়ে বাদ পড়ে। এরপর শনিবার (২৬ এপ্রিল) কোপা দেল রে’র ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ের গোলে হেরে বসে। এই ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে একটা সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে রেফারির দিকে তেড়ে যেতে চান রিয়ালের ডিফেন্ডার অ্যান্তোনিও রুডিগার। বেঞ্চের বাকিরা মিলে তাঁকে থামায়। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইফ) এমন আচরণের জন্য জার্মান ডিফেন্ডারকে ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে। আরএফইফের আচরণবিধির ১০১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রেফারিকে কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করার সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ১২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার খড়গও আসতে পারত রুডিগারের উপর। একই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেখানো লুকাস ভাসকেসকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে রিয়ালের ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড ব্যালিংহ্যামের লাল কার্ড প্রত্যাহার করে নিয়েছে আরএফইফ। রেফারি রিকার্দো দে বুরহোসের তার রিপোর্টে লিখেন, “বদলি খেলোয়াড় রুডিগার ১২০তম মিনিটে টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুড়ে মারার কারণে লাল কার্ড দেখেন। তাকে শান্ত করতে দলের কোচিং স্টাফের অনেক সদস্যকে হস্তক্ষেপ করতে হয়, কারণ তিনি আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছিলেন।”

লিভারপুলের ঐতিহাসিক শিরোপা জয়: অ্যানফিল্ডে উচ্ছ্বাস আর বিজয়ের মহোৎসব

লিভারপুলের ঐতিহাসিক শিরোপা জয়: অ্যানফিল্ডে উচ্ছ্বাস আর বিজয়ের মহোৎসব লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হলো দুর্দান্ত স্টাইলে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ২০টি লিগ শিরোপার রেকর্ডে সমতা এনে। টটেনহ্যাম হটস্পারকে বিধ্বস্ত করে, অ্যানফিল্ডে তারা উদযাপন করল এক আবেগঘন ও গৌরবময় দিন। আর্নে স্লটের দলকে শিরোপা নিশ্চিত করতে দরকার ছিল মাত্র এক পয়েন্ট। যদিও সাবেক লিভারপুল স্ট্রাইকার ডমিনিক সোলাঙ্কে শুরুতেই গোল করে এক মুহূর্তের জন্য নাটকীয়তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে সেই ধাক্কা লিভারপুলকে আরও উজ্জীবিত করে তোলে। মাত্র ১৬ মিনিটে লুইস দিয়াজ, ডমিনিক সোবোস্লাইয়ের পাস থেকে সমতাসূচক গোল করেন। প্রথমে অফসাইডের অভিযোগ উঠলেও, পরে ভিএআরের সহায়তায় গোলটি বৈধ ঘোষণা হয়। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ৮ মিনিট পর, আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্তারর এক অবিশ্বাস্য দূরপাল্লার শটে গোলকিপার গুলিয়েলমো ভিকারিওকে পরাস্ত করে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন। ৩৪ মিনিটে কোডি গাকপো দুর্বল টটেনহ্যাম রক্ষণের সুযোগ নিয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। পুরো অ্যানফিল্ড তখন উৎসবের মঞ্চে রূপ নেয়। দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুল ছিল আরও আগ্রাসী। ৬৩ মিনিটে মোহামেদ সালাহ তার চিরচেনা কাট-ইন করে গোল করেন এবং এরপর গ্যালারি থেকে পাওয়া এক ভক্তের মোবাইল দিয়ে সামনে স্মরণীয় সেলফি তোলেন। আরও ছয় মিনিট পর, সালাহর চাপ সামলাতে না পেরে ডেস্টিনি উদোগি আত্মঘাতী গোল করে লিভারপুলের পঞ্চম গোলটি উপহার দেন। এই জয়ে লিভারপুল ১৯৯০ সালের পর প্রথমবারের মতো সমর্থকদের সামনে লিগ শিরোপা জয় উদযাপন করল। ২০২০ সালের কোভিড মহামারির সময় তাদের শিরোপা জয় ঘটেছিল দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে, তাই এবারের উল্লাস ছিল অতুলনীয়। তিন দশকের অপেক্ষার অবসান প্রায় ৩৫ বছর আগে, ১৯৯০ সালের ২৮ এপ্রিল, কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সকে হারিয়ে অ্যানফিল্ডে শেষবারের মতো সমর্থকদের সামনে লিগ শিরোপা জিতেছিল লিভারপুল। দীর্ঘ এই অপেক্ষার শেষে এবার অ্যানফিল্ড যেন ফিরে পেল তার হারানো গৌরব। ম্যাচের আগেই লাল ধোঁয়ার মেঘে ঢেকে গিয়েছিল চারপাশ। লিভারপুলের টিম বাস যখন স্টেডিয়ামে পৌঁছায়, তখন থেকেই চারদিকে উন্মাদনা আর বিজয়ের প্রত্যাশা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। আর্নে স্লট, যাকে অনেকেই ইয়ুর্গেন ক্লপের উত্তরসূরি হওয়ার ‌‘অসম্ভব কাজ’ হিসেবে দেখেছিলেন, অসাধারণ দৃঢ়তা আর মসৃণ পরিকল্পনায় লিভারপুলকে পুনরায় ইংল্যান্ডের সিংহাসনে বসিয়েছেন — তাও তার প্রথম মৌসুমেই। শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে অ্যানফিল্ড জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে লাল রঙের ধোঁয়া। স্লট এবং তার সহকর্মীরা মাঠের কেন্দ্রে এসে দাঁড়ান, আর পুরো দল ছুটে যায় কপের সামনে — চ্যাম্পিয়নদের প্রাপ্য শ্রদ্ধা জানাতে।

কোপা দেল রে ফাইনালে ১১ বছর পর মুখোমুখি বার্সা-রিয়াল

কোপা দেল রে ফাইনালে ১১ বছর পর মুখোমুখি বার্সা-রিয়াল সবশেষ ২০১৩-১৪ মৌসুমে কোপা দেল রে’র ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। সে ম্যাচে কাতালানদের ২-১ গোলে হারিয়ে কোপা দেল রে’র শিরোপা উচিয়ে ধরেছিল লস ব্লাঙ্কোসরা। ১১ বছর পর আবারও এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এই দুই স্প্যানিশ জায়ান্ট। শিরোপার লড়াইয়ে আজ এস্তাদিও লা কার্তুজা ডি সেভিলায় বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় মাঠে নামবে বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ। গত বুধবার রাতে গেটাফের বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়েছেন রিয়াল মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা। যার কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না এই দুই রিয়াল তারকা। এছাড়াও দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ভিনিসিয়সের অফ ফর্ম দলের চিন্তার অন্যতম কারণ।

হঠাৎ স্থগিত চলতি বছরের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

হঠাৎ স্থগিত চলতি বছরের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চলতি বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন আয়োজন নিয়ে বেশ ধোঁয়াশা ছিল আগে থেকেই। তবে আজ হঠাৎ করেই আসরটি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা সাফ। আসরটি ২০২৬ সাল পর্যন্ত পেছানো হয়েছে বলে ঘোষনা দিয়েছেন সংস্থাটি। নিজেদের ওয়েসবাইটে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানায় তারা। আজ সাফ তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জানায়, সাফের সদস্য দেশগুলো এবং স্পোর্টফাইভ (কমার্শিয়াল রাইটস হোল্ডার) মনে করে, মসৃণভাবে এই আয়োজন সম্পন্ন করার জন্য আরও সময় প্রয়োজন। তাই এ বছরের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন স্থগিত করা হয়েছে, আসরটি অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালে। সবশেষ ২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বসেছিল ভারতের বেঙ্গালুরুতে। সেবার অতিথি দল কুয়েতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। রীতি অনুযায়ী দুই বছর বিরতি দিয়ে এ বছর ফের হওয়ার কথা ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। সম্প্রতি সাফ সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেছিলেন, ২৪ মে নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। সেই সভার আগেই আজ হঠাৎ করে স্থগিতের সিদ্ধান্ত আসল। এ নিয়ে সালাউদ্দিন এখনও কোনো মন্তব্য করেননি। এখন পর্যন্ত ১৪টি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আসর মাঠে গড়িয়েছে। ভারত সর্বোচ্চ ৯ এবং মালদ্বীপ ২ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা একবার করে শিরোপার স্বাদ পেয়েছে।

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি গোলরক্ষক হুগো গাত্তি আর নেই

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি গোলরক্ষক হুগো গাত্তি আর নেই আর্জেন্টিনার ইতিহাসখ্যাত গোলরক্ষক হুগো ওরল্যান্ডো গাত্তি আর নেই। স্থানীয় সময় রবিবার (২০ এপ্রিল) ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ফুটবল কিংবদন্তি। লাতিন আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গত দুই মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন গাত্তি। কোমরের হাড় ভেঙে যাওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতির বদলে নতুন করে দেখা দেয় নিউমোনিয়া, কিডনি জটিলতা ও হৃদরোগ। এসব জটিলতার কারণে শেষ পর্যন্ত তার পরিবার তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ‘এল লোকো’ নামে পরিচিত গাত্তি ছিলেন একেবারে আলাদা ঘরানার গোলরক্ষক। সাহসী, উদ্ভট এবং অনেক সময় অপ্রচলিত কৌশলে খেলে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতেন তিনি। আর্জেন্টাইন লিগে সর্বোচ্চ ৭৬৫ ম্যাচ খেলার রেকর্ড আজও তার দখলে। ২৬ বছরের দীর্ঘ পেশাদার ক্যারিয়ারে (১৯৬২–১৯৮৮) তিনি বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। যার মধ্যে বোকা জুনিয়র্সের হয়ে ১৯৭৭ সালে জিতেছেন কোপা লিবার্তাদোরেস। অনেক ফুটবল বিশ্লেষকের মতে, আজকের ‘সুইপার কিপার’ কনসেপ্ট— যেখানে গোলরক্ষক গোলপোস্ট ছেড়ে খেলায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন— এর শুরুটা গাত্তির হাত ধরেই হয়েছিল। তার সেই সময়ের সাহসী খেলার ধরণ আধুনিক ফুটবলের জন্য ছিল এক নতুন ধারা। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রথম শিরোপা জয়ের দলে মূল গোলরক্ষক হিসেবে তার জায়গা নিশ্চিত থাকলেও হাঁটুর চোটের কারণে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। গাত্তি ছিলেন শুধু একজন ফুটবলার নন— তিনি ছিলেন একজন স্পষ্টভাষী ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। একবার তিনি দিয়েগো মারাডোনাকে ঠাট্টা করে ‘গর্ডিতো’ (মোটা) বলেন। এর জবাবে পরের ম্যাচে মারাডোনা তার বিপক্ষে চারটি গোল করে দেন। এমন অনেক ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন গাত্তি, যা তাকে স্মরণীয় করে রেখেছে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে।  তার মৃত্যুতে বিশ্ব ফুটবল হারিয়েছে এক সাহসী, বৈচিত্র্যময় ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে, যিনি যুগ গড়েছেন নিজের মতো করে।

কাবাডি টেস্ট সিরিজে হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশ নারী দলের

কাবাডি টেস্ট সিরিজে হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশ নারী দলের শক্তিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে নেপাল নারী দল। এসএ গেমস ও এশিয়ান গেমসে নেপালের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ নারী দল।  এছাড়া শারীরিক গড়নেও এগিয়ে নেপাল দল। ম্যাচে এই সুবিধা বেশ ভালোভাবে কাজ লাগিয়েছে তারা। শেষ পর্যন্ত ৪১-১৮ পয়েন্টে বাংলাদেশকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় নেপাল। আগামীকাল একই ভেন্যুতে হবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। শুরু থেকেই পয়েন্ট বাড়িয়ে নিতে থাকে স্বাগতিক দল। বোনাস পয়েন্টে এগিয়ে যায় তারা। পাশাপাশি প্রথমার্ধে একটি লোনা পায় নেপাল। ১৮-৬ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে নেপাল। দ্বিতীয়ার্ধেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। একই ছন্দে খেলে ম্যাচ নিজেদের আয়ত্তে রাখে নেপাল। এই অর্ধে আরও দুটি লোনা পায় নেপাল। বাংলাদেশের এই পরাজয়ের জন্য ভ্রমণ ক্লান্তি ও ইনজুরিকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ দলের কোচ শাহনাজ পারভিন মালেকা। ‘আমরা গতকালই ঢাকা থেকে এখানে এসেছি। তাই সেভাবে বিশ্রামের সময় পাইনি। এছাড়া আমাদের দুই থেকে তিনজন খেলোয়াড় ইনজুরিতে আছে। এই ম্যাচ থেকে যে সমস্যাগুলো আমরা বুঝতে পেরেছি আশা করছি সেগুলো কাটিয়ে পরের ম্যাচগুলোতে আমরা ভালো কিছু করব। নেপাল নিয়মিত অনুশীলনে ছিল। কিন্তু আমরা ঈদের কারণে ছুটিতে গিয়েছিলাম। তাই আমাদের অনুশীলনের কিছুটা ঘাটতি ছিল। তবে আশা করছি আগামীকালের ম্যাচে আজকের তুলনায় অনেক ভালো খেলবে বাংলাদেশ দল।

অশ্রুসিক্ত চোখে আবারও মাঠ ছাড়তে হয়েছে নেইমারকে

অশ্রুসিক্ত চোখে আবারও মাঠ ছাড়তে হয়েছে নেইমারকে সান্তোসে আজ বিশেষ ম্যাচেই মাঠে নেমেছিলেন নেইমার। ক্লাবটির মাঠে নিজের ১০০তম ম্যাচ রাঙাতে শুরুর একাদশেই ছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। তবে এই উপলক্ষ রাঙানোর আগেই পুরোনো চোট ঝেঁকে বসল। অশ্রুসিক্ত চোখেই ছাড়তে হলো মাঠ। নেইমারের এই বিশেষ ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা কম ছিল না ভক্ত-সমর্থকদেরও। গ্যালারিতে তারা ভিড় করে এই ব্রাজিলিয়ানের ম্যাজিক দেখার জন্য। তবে আতলেতিকো মিনেইরোর বিপক্ষে নামার আগে দেখা যায় দুই উরুতেই টেপ পেচিয়েছেন তিনি। ৩৪তম মিনিটে গিয়ে খান বড় ধাক্কা। বাঁ উরুতে হাত রেখে খোড়াতে থাকেন তিনি। বদলির জন্য নির্দেশ করেন মাঠ থেকেই। তখন বসেই পড়েন তিনি।  এরইমধ্যে তার চোখ দিয়ে পানি গড়াতে দেখা যায়। ভক্তরাও নিশ্চুপ হয়ে পড়েন। তাকে সান্ত্বনা দিতে থাকেন গ্যালারি থেকেই। কিন্তু আর উঠতে পারেননি। দুজনের সহায়তায় কার্টে বসে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। সেসময় দর্শকরা বিপুল করতালিতে সাহস দেন নেইমারকে। পরে ডাগআউটে কাঁদতে দেখা যায় নেইমারকে। পায়ে বরফ লাগিয়ে বসে থাকেন তিনি। নেইমারের এই চোট নিত্যদিনে সঙ্গী। এই কারণেই আল হিলাল ছাড়তে হয়েছে তাকে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিজের শৈশবের ক্লাব সান্তোসের হয়ে মাঠে নামেন তিনি। এরপর টানা সাত ম্যাচ খেলেন এই ব্রাজিলিয়ান। গত ২ মার্চ করিঞ্চাসের বিপক্ষে চোটে পড়েন আবার। ছয় সপ্তাহ পর ফের মাঠে ফেরেন তিনি। তবে সুখকর হয়নি এবারের প্রত্যাবর্তনও। আনুষ্ঠানিকভাবে চোটের বিষয়ে এখনও জানা যায়নি কিছুই।