মেসিকে তুলে নেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন স্কালোনি

মেসিকে তুলে নেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন স্কালোনি দল তখনও পিছিয়ে, গোলের খোঁজে মরিয়া আর্জেন্টিনা। ঠিক এমন এক মুহূর্তে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেওয়া হলো লিওনেল মেসিকে! কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে কোচ লিওনেল স্কালোনির এমন সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন অনেকেই। তবে ম্যাচ শেষে স্কালোনি জানালেন, সিদ্ধান্তটা একান্তই মেসির ইচ্ছে মতো হয়েছে। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আজ বাংলাদেশ সময় ভোরে নিজেদের মাঠে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে দলকে এগিয়ে দেন লুইস দিয়াস। ৭৮তম মিনিটে তখনও ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আর্জেন্টিনা, আর ঠিক তখনই মেসিকে তুলে এসেকিয়েল পালাসিওসকে মাঠে নামান স্কালোনি। সবচেয়ে বড় চমক ছিল এই বদলিতেই। চোট না থাকলে সাধারণত পুরো ম্যাচ খেলা মেসিকে এমন গুরুত্বপূর্ণ সময় তুলে নেওয়ায় প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে কোচ জানালেন, সিদ্ধান্তটি পুরোপুরি মেসির সম্মতিতেই। স্কালোনির ভাষ্য, ‘সে সাধারণত মাঠ ছাড়ে না। কিন্তু যখন দেখল আমরা দুটি পরিবর্তন আনছি, তখন সে নিজেই বলল, তাকে তুলে নেওয়াই ভালো হবে। তাই আমরা তাকে পরিবর্তন করি। না হলে আমি কখনোই এমন করতাম না। আপনারা জানেন, আমি এসব বিষয়ে কতটা গুরুত্ব দিই। ’মেসির মাঠ ছাড়ার তিন মিনিট পরই থিয়াগো আলমাদার দারুণ এক গোলে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত ১-১ ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল। গত মার্চে চোটের কারণে উরুগুয়ে ও ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলতে পারেননি মেসি। তবে ওই দুই ম্যাচ জিতে মূলপর্বের টিকিট নিশ্চিত করে নেয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই মাসের বাছাইপর্বে চিলির বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন তিনি। জাতীয় দলের দায়িত্ব শেষ করে এখন ক্লাব ফুটবলে মনোযোগ দেবেন ৩৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। বাংলাদেশ সময় আগামী রোববার সকালে আল আহলির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামি।
প্রাণান্তকর চেষ্টার পরও হারলো বাংলাদেশ

প্রাণান্তকর চেষ্টার পরও হারলো বাংলাদেশ এএফসি বাছাইপর্বের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলো বাংলাদেশ।ম্যাচের আগে বাংলাদেশের হামজা-সমিত-ফাহামেদুলরা যেমন আলোচনায় ছিলেন, ঠিক তেমনি স্বাগতিকদের জন্য ভয়ের কারণ ছিলেন সিঙ্গাপুরের ইখসান ফান্দি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সেই ফান্দি-ই দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করলেন। দীর্ঘদিন পর জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবল ফিরেছে। ঘরের মাঠে ফুটবল ফেরার ম্যাচে অবশ্য গত ৪ জুন ভুটানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে গড়বড় করে ফেললেন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। জাতীয় স্টেডিয়ামে যে ম্যাচটি নিয়ে ছিলো চরম উত্তেজনা, সেই ম্যাচটাই হেরে গেলো স্বাগতিকরা। আজকের এ ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের মাঝে উন্মাদনা ছিলো অনেক আগে থেকেই। কেননা, ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কিছুই বটে। কানাডা প্রবাসী সমিত সোমের অভিষেক হয়েছে এই ম্যাচে। অন্যদিকে হামজা চৌধুরী, ফাহামেদুল ইসলামের মতো খেলোয়াড় দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় রাতারাতি পাল্টে গেছে বাংলাদেশ দল। ক’দিন আগেও কী এত শক্তিশালী ছিলো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল, নিশ্চই না। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ দলে যোগ দেওয়ার পরেই যেনো দর্শকদের উন্মাদনা বেড়ে গেলো বহু গুণ। তারপর যোগ দিলেন ইতালির লিগে খেলা ফাহামেদুল ইসলাম ও কানাডার লিগে খেলা সমিত সোম। আর তার সঙ্গে সঙ্গে সমর্থকদের প্রত্যাশাও যেনো বেড়ে গেলো আরও কয়েকগুণ। তবে সমর্থকদের সেই প্রত্যাশায় যেনো গুড়ে বালি। বাংলাদেশের ফুটবল মাঠে এমন দৃশ্য ঠিক কবে দেখেছেন, হয়তো মনেও নেই। এত দর্শক সবশেষ কোন ম্যাচে হয়েছিলো, তাও হয়তো খেয়াল করতে পারবেন না। বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচে সমর্থকরা যে প্রত্যাশা নিয়ে এসেছিলেন মাঠে খেলা দেখতে, তাদের সেই প্রত্যাশা অবশ্য পূরণ হয়নি। সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। আবার দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও একটা গোল হজম করে স্বাগতিকরা। গ্যালারি তখন একেবারে নিশ্চুপ। সেই নিরবতা ভাঙলো ম্যাচের ৬৭ মিনিটে। দর্শকদের সে কি চিৎকার, একেবারে গলা ফাটানো। কারণটা হলো, হামজার বাড়ানো বল থেকে সিঙ্গাপুরের গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে গোল করেন রাকিব হোসেন। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছে সিঙ্গাপুর। বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগও তৈরি করেছে, তবে তা কাজে আসেনি। সময়ে সময়ে আবার বাংলাদেশও নাড়া দিয়েছে সিঙ্গাপুরের ঘরে। মাঝেমধ্যে ফাহামেদুল-সমিতরাও ভীতি ধরিয়েছেন প্রতিপক্ষের মনে। ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণে ঢুকে পড়ে সিঙ্গাপুর। গোলকিপার মিতুল বল ফিস্ট করতে গিয়ে পারেননি। বক্সের মধ্য থেকে হেড দিয়ে সিঙ্গাপুরের একজন বল দেন ডান দিকে। সেখান থেকে তিনি বল দেন বাঁ পাশে। শট নেন সিঙ্গাপুরের সং উই ইয়াং। হামজা চৌধুরী অনেক দূর থেকে দৌড়ে এসে গোল বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি। প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের ডেরায় বেশ কয়েকবার হানা দিয়েছিলো সমিত-ফাহামেদুলরা। তবে বাংলাদেশের আক্রমণের উৎস যেনো সমিত সোম। প্রথমার্ধে কমপক্ষে পাঁচটি আক্রমণের উৎস ছিলেন সমিত। কিন্তু তার দারুণভাবে বাড়ানো পাসগুলো কাজে লাগাতে পারেননি রাকিব-ফাহামেদুলরা। ম্যাচের ১৬তম মিনিটে বড় বাঁচা বেঁচে যায় বাংলাদেশ। সতীর্থের ক্রস থেকে দারুণ এক হেড করেছিলেন ইখসান ফান্দি। তবে পোস্ট ঘেঁষে সেটি বেরিয়ে যায়। খেলার প্রথম ২০ মিনিটে আক্রমণে এগিয়ে ছিলো বাংলাদেশ। ফাহামেদুল ইসলাম ও শাকিল আহাদ একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু রাকিব হোসেন কাজে লাগাতে পারেননি। পাল্টা আক্রমণে সিঙ্গাপুরও দুটি সুযোগ তৈরি করেছিলো। তারাও সুযোগ হাতছাড়া করেছে। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় সিঙ্গাপুর। দ্বিতীয় গোলটি করেছেন ইকসান ফান্দি। বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া সিঙ্গাপুরের এক ফরোয়ার্ডের শট বাংলাদেশের গোলকিপার মিতুল ঠেকালেও ভালোভাবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বক্সের মধ্যেই বল পেয়ে যান ফান্দি। দূরের পোস্টে তার নেওয়া শট ঠেকাতে পারেননি মিতুল মারমা। ৬৭ মিনিটে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরীর বাড়ানো বল পেয়ে সিঙ্গাপুরের গোলকিপারকে বোকা বানান রাকিব হোসেন। শেষ ১০ মিনিটে প্রতিপক্ষের ডেরায় একের পর এক আক্রমণ করেছে স্বাগতিকরা। হামজা-সমিতদের আক্রমণ ঠেকাতে রীতিমতো ঘাম ঝরেছে সফরকারীদের। তবে চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত সমতা ফেরাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় হামজাদের।
পা ভাঙতে হলে ভাঙুক, আমাকে ট্রফি জিততে হবে: রোনালদো

পা ভাঙতে হলে ভাঙুক, আমাকে ট্রফি জিততে হবে: রোনালদো চোখের জলে ভিজছে তার মুখ। আনন্দাশ্রু। উন্মাতাল, উচ্ছ্বাস, উৎসব সবই এই রাতে তার প্রাপ্য। সেই প্রাপ্যটাই জার্মানির আলিয়াঞ্জ এরিনায় বুঝে পেলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। স্পেনকে হারিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা জিতল পর্তুগাল। ২০১৯ সালে রোনালদো পেয়েছিলেন এই শিরোপা। ছয় বছর পর শিরোপা পুনরুদ্ধার। লম্বা সময় পর রোনালদোর ট্রফির আনন্দ। বয়স চল্লিশ পেরিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এমন সময়ে নিজে গোল করে শিরোপা জয়ের অবদানে শামিল হওয়ার আনন্দ, আবেগ, আতিশজ্য ছুঁয়ে যাচ্ছিল তাকে। চোখের জলের মতো অনুভূতি প্রকাশেও রোনালদো ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকে, ‘‘কী আনন্দ! এই প্রজন্মের জন্য এটা জরুরি ছিল, এই মানের একটি ট্রফি যাদের প্রাপ্য। আমাদের পরিবারের জন্যও.. আমার বাচ্চারা এসেছে এখানে, আমার স্ত্রী, ভাই, বন্ধুরা…।” ম্যাচের পুরোটা সময় মাঠে থাকতে পারেননি রোনালদো। ম্যাচের আগে খানিকটা অস্বস্তিও ছিল তার। কিন্তু সব পাশ কাটিয়ে সবুজ গালিচায় নেমে খেলেছেন সিআরসেভেন। গোল করেছেন। এই ফাইনাল ও শিরোপা তার কাছে কতটা অরাধ্য সেটা বোঝা গেল কথায়, ‘‘ম্যাচের আগে গা গরমের সময়ই কিছুটা অস্বস্তি ছিল। কিছুটা সময় খারাপ লাগছিল। তবে এটা জাতীয় দলের ম্যাচ। খেলার জন্য আমার পা ভাঙতে হলে ভাঙুক। আমাকে ট্রফি জিততে হবে, খেলতে হবে, নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিতে হবে। কারণ এটা আমার দেশের জন্য। আমরা মানুষ অল্প, কিন্তু উচ্চাকাঙ্ক্ষা অনেক বড়।’’ পর্তুগালের হয়ে তিনটি শিরোপা জিতেছেন রোনালদো। ২০১৬ ইউরোর পর ২০১৯ ও ২০২৫ নেশন্স লিগ। জাতীয় দলের জার্সিতে খেলা নিয়ে পর্তুগিজ সুপারস্টার বলেছেন, ‘‘পর্তুগালের কথা যখন হয়, এই অনুভূতিই বিশেষ কিছু। এই প্রজন্মের অধিনায়ক হতে পারা দারুণ গর্ব ও সম্মানের। জাতীয় দলের হয়ে কোনো শিরোপা জিততে পারা মানে সবসময়ই প্রাপ্তির চূড়া।” “পর্তুগালের জন্য কিছু জিততে পারা সবসময়ই স্পেশাল। ক্লাবের জয়ে অনেক ট্রফি জিতেছি, কিন্তু পর্তুগালের হয়ে জয়ের চেয়ে সুখের কিছু আর নেই। এজন্যই এই কান্না। দায়িত্ব পালন করেছ এবং এই আনন্দের সীমা নেই।” –যোগ করেন তিনি। চল্লিশেও রোনালদো অপ্রতিরোধ্য। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল তিনটি ম্যাচেই গোল করেছেন। পেশাদার ক্যারিয়ারে সহস্র গোলের রেকর্ড গড়ার ইচ্ছা তার। সেদিকে এগিয়েও যাচ্ছেন। ৯৩৮ তো হয়েই গেল। তবুও প্রশ্নটা বারবার এসেই যায়, কোথায় থামবেন? উত্তরটা বেশ পরিস্কার তার কাছে, “ভবিষ্যৎ ভাবনা চলতে থাকবে সংক্ষিপ্ত মেয়াদ ধরে। তবে আপাতত সময়টা বিশ্রামের। চোট নিয়ে খেলেছি এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, নিজেকে ঠেলে নিয়েছি সবটুকু… কারণ, জাতীয় দলের জন্য নিজেকে সর্বোচ্চটুকু চেষ্টা করতেই হবে।”
থাইল্যান্ডে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার চেষ্টা বাংলাদেশের

থাইল্যান্ডে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার চেষ্টা বাংলাদেশের জর্ডানে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ করে গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কাগজ-কলমের শক্তিতে অনেক এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের বিপক্ষে ড্র করে ফিরেছে তারা। আগামীকাল থেকে আবারও অনুশীলন শুরু করবেন বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার। চলতি মাসে জুনের শেষ দিকে মিয়ানমারে নারী এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে খেলতে যাবে দল। ২৩ জুন শুরু হবে এশিয়ান কাপ বাছাই। বাংলাদেশ, বাহরাইন, তুর্কমেনিস্তান ও স্বাগতিক মিয়ানমারকে নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের খেলা শুরু হবে ২৯ জুন। প্রথম দিনই বাংলাদেশের ম্যাচ, প্রতিপক্ষ বাহরাইন। মিয়ানমারের এই গুরুত্বপূর্ণ মিশন সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্য আরও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করছে বাফুফে। আজ সেই আভাস দিয়ে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, আমরা চেষ্টা করছি মিয়ানমার যাওয়ার আগে দল থাইল্যান্ডে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নেইমার

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নেইমার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ব্রাজিলীয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়র। পরে পরীক্ষা করানো হয় তাকে। ক্লাবের চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর নিশ্চিত করে যে, তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরপরই তিনি সব ধরনের অনুশীলন ও কার্যক্রম থেকে দূরে আছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি বাড়িতে বিশ্রামে আছেন এবং তার চিকিৎসা চলমান রয়েছেন। এটি নেইমারের দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। এর আগে ২০২১ সালের মে মাসে পিএসজিতে খেলার সময়ও করোনা ধরা পড়েছিল তার। তখন চার মাস বিশ্রামের পর মাঠে ফিরেছিলেন ‘খুশি মনে’।
রোনালদোর শেষের গোলে জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনালে পর্তুগাল

রোনালদোর শেষের গোলে জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনালে পর্তুগাল প্রথমার্ধে নিষ্প্রভ পারফরম্যান্স, এরপর গোল হজম পিছিয়ে পড়া। সেখান থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পর্তুগাল। জার্মানির মাটিতে, তাদের সমর্থকদের সামনে ২-১ গোলে সেমিফাইনাল জিতে চমক দেখিয়েছে রবের্তো মার্তিনেসের শিষ্যরা। মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ফ্রান্সিসকো কন্সেইসাও ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোলে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় পর্তুগাল। দ্বিতীয়ার্ধের ৫১তম মিনিটে ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে নেন। তবে এর মাত্র সাত মিনিট পরেই বদলি হিসেবে নামা ফ্রান্সিসকো কন্সেইসাও নিজের দ্রুত গতির ড্রিবল ও চোখধাঁধানো শটে পর্তুগালকে সমতায় ফেরান। ২২ বছর বয়সী এই উইঙ্গার হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পর্তুগাল। ৬৩তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্দেসের পাস থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটি তার ১৩৭তম গোল, আর চলতি নেশন্স লিগে ৮ ম্যাচে ৭ম। এই জয়ে দীর্ঘদিনের অপেক্ষারও অবসান হয়েছে পর্তুগালের। ২০০০ সালের পর এই প্রথম কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে জার্মানিকে হারাতে সক্ষম হলো তারা। সেবার ইউরোর গ্রুপ পর্বে জার্মানিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিলেন সের্জিও কন্সেইসাও। এবার তারই ছেলে ফ্রান্সিসকো বড় মঞ্চে গড়ে দিলেন আরেক স্মরণীয় মুহূর্ত। ম্যাচের শেষ দিকে জার্মানি কিছুটা জোরালোভাবে ফিরে আসার চেষ্টা করে। নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট আগে দুর্দান্ত ডাবল সেভ করেন টের স্টেগেন, ঠেকান দিয়োগো জটা ও কন্সেইসাওয়ের শট। যোগ করা সময়েও জটার আরেকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক। তবু জয় আটকাতে পারেনি জার্মানিকে। পিএসজির হয়ে কয়েকদিন আগেই এই মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের আনন্দ পাওয়া চার পর্তুগিজ ফুটবলার এবার দেশের জার্সিতে আরেকটি ট্রফির দ্বারপ্রান্তে। আগামী রোববার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে ফ্রান্স ও স্পেন এর মধ্যকার জয়ী দল।
হাত দিয়ে গোল, লাল কার্ড দেখলেন নেইমার

হাত দিয়ে গোল, লাল কার্ড দেখলেন নেইমার সান্তোসের জার্সিতে মাত্র ৫ মাসের জন্য খেলতে এলেন। রোববার রাতে ছিল সান্তোসের জার্সিতে নেইমারের শেষ ম্যাচ; কিন্তু শেষ ম্যাচটাতে চরম বাজে এক কাজ করে তুমুল সমালোচিত ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। হাত দিয়ে গোল করতে গিয়ে লাল কার্ড দেখলেন তিনি। ইউরোপিয়ান মিডিয়াগুলো ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে অনেকটাই মজা করে তার হাত দিয়ে গোল করার ঘটনাকে উল্লেখ করছে। তারা লিখছে, ‘হ্যান্ড অব নেইমার’। মজা করে লিখলেও নেইমারের লাল কার্ড দেখার ঘটনা মজা ছিল না। হাত দিয়ে গোল করার ঘটনাটা ঘটেছে ব্রাজিলিয়ান লিগে বোটাফোগোর বিপক্ষে সান্তোসের ম্যাচে। ম্যাচের তখনও ১৫ মিনিট বাকি। দুই দলই তখন ছিল গোলশূন্য সমতায়। এ সময় ছোট বক্সের সামনে গোল দেয়ার চেষ্টা করছিলেন নেইমার। বল জালে প্রবেশ করছিলো, তখন এক ডিফেন্ডার চেষ্টা করছিলেন বলটার নিয়ন্ত্রন নিতে। বাতাসে ভেসে থাকা বল যেন ডিফেন্ডার নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারে, আচমকা হাত দিয়ে বলটিকে বোটাফোগোর জালে ঠেলে দেন নেইমার। সঙ্গে সঙ্গেই রেফারির চোখে পড়ে যায়। ম্যারাডোনার হাত দিয়ে গোল করার দৃশ্য রেফারিরা ধরতে পারেননি। তবে, নেইমারের দুর্ভাগ্য, রেফারি দেখে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে হলুদ কার্ড দেখান। একই ম্যাচের শুরুতেই আরও একটি হলুদ দেখেছিলেন তিনি। যার ফলে দুই হলুদ কার্ড সমান লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হলো নেইমার। এ ঘটনার চার মিনিট পর বোটাফোগো গোল করে এবং সান্তোসকে ১-০ গোলে হারায়। তবে ম্যাচের শুরু থেকেই বেশ রাগান্বিত মনে হচ্ছিল নেইমারকে। বোটাফোগোর সমর্থকরা একের পর এক দুয়ো ধ্বনিতে রাগিয়ে তুলেছিলেন তাকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি একটা গোল করব, তারপর ওদের সামনে যাব।’ নেইমারের রাগটা প্রতিফলিত হয় মাঠের খেলাতে। একটি ফাউলের জন্য হলুদ কার্ড পান তিনি। ফাউলটি করেছিলেন তার পুরনো সতীর্থ জাইরকে। এরপর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন নেইমার। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ১৬তম লাল কার্ড, আর সান্তোসের হয়ে পঞ্চম। পিএসজির হয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ লাল কার্ড দেখেছিলেন তিনি। ম্যাচের পর সমর্থকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করেন নেইমার। তিনি বলেন, ‘আমি একটা ভুল করেছি। প্লিজ ক্ষমা করে দিন।’
৫৫ বছরের অপেক্ষার অবসান, পিএসজি চ্যাম্পিয়ন

৫৫ বছরের অপেক্ষার অবসান, পিএসজি চ্যাম্পিয়ন ইউরোপিয়ান ফুটবলের রাজসিংহাসনে আজ উঠল এক নতুন নাম। শতাব্দীর স্বপ্ন, অসংখ্য রাতের অপেক্ষা আর ভাঙা-গড়ার গল্প পেরিয়ে অবশেষে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) হাতে উঠল ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক, চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি। যেখানে পরিসংখ্যান নয়, লেখা হলো জীবন্ত ইতিহাস। আর সেই মহেন্দ্রক্ষণ হলো জার্মানির হৃদয়ে, মিউনিখের ঐতিহাসিক অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায়। ঠিক ৩০ বছর আগে এই শহরে ফরাসি ক্লাব মার্শেই ছুঁয়েছিল শ্রেষ্ঠত্বের চূড়া। এবার আরও জ্বলন্ত দাপট নিয়ে পিএসজি করল ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। গতকাল দিবাগত রাতে প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলের একপেশে ব্যবধানে হারিয়ে শুধু ট্রফিই নয়, জিতে নিল ট্রেবল জয়ের দুর্লভ সম্মান।
আজ মিউনিখে ইন্টার-পিএসজির মহাযুদ্ধ

আজ মিউনিখে ইন্টার-পিএসজির মহাযুদ্ধ ফুটবল দুনিয়ায় চলছে চ্যাম্পিয়নস লিগ বন্দনা। বাজছে মাঠের যুদ্ধের দামামা। একদিকে প্যারিস জায়ান্টদের আক্রমণভাগের ঘূর্ণিঝড়। অন্যদিকে ইন্টারের পরীক্ষিত রক্ষণভাগের দৃঢ়তা। ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে শিরোপার পরবর্তী কোথায়, মিলান নাকি প্যারিস। সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে রাতের শেষ প্রহর পর্যন্ত। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ৭০তম আসরের ফাইনাল আজ। ম্যাচটি জার্মানির মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনায় রাত ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনালে ইন্টারকে হতাশায় ডুবিয়ে শেষ হাসি হাসতে পারলে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম শিরোপা জয়ের পাশাপাশি নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ট্রেবল জিতবে পিএসজি।
সান্তোসে নেইমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা

সান্তোসে নেইমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের সান্তোসে থাকা-না থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। নেইমারের বাবা ও ম্যানেজার নেইমার সিনিয়র জানিয়েছেন, তার ছেলের বর্তমান চুক্তি ৩০ জুন শেষ হবে এবং তার আগ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। সম্প্রতি ব্রাগাঞ্জা পলিস্তায় সান্তোস বনাম লিপজিগের এক প্রীতি ম্যাচের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি নেইমারের চুক্তি, ভবিষ্যৎ এবং ক্লাবের বাস্তবতা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন। সান্তোসে পাঁচ মাসের সংক্ষিপ্ত মেয়াদে চুক্তি করে ফিরে আসা প্রসঙ্গে নেইমার সিনিয়র বলেন, “আমরা ঝুঁকি নিয়ে এসেছি। চাইলে তিন বছরের চুক্তি আদায় করা যেত। কিন্তু আমরা এসেছি ক্লাবকে সাহায্য করতে, বোঝা বাড়াতে নয়। ” তিনি দাবি করেন, নেইমারের উপস্থিতি ক্লাবের জন্য আয় ও স্পন্সরশিপ এনেছে, বাড়ায়নি ব্যয়। “কেউ যদি বলে নেইমার সান্তোসের আর্থিক ক্ষতি করেছে, সেটা ভুল,”— বলেন তিনি। তবে নেইমারকে ধরে রাখার বিষয়ে ক্লাবের অবস্থান স্পষ্ট নয় বলে জানালেন নেইমার সিনিয়র। “সান্তোস কি নেইমারকে রাখার মতো অবস্থায় আছে? ক্লাব কি চায় তাকে রাখতে? সিদ্ধান্তটা ক্লাবের। ” নেইমারের সাম্প্রতিক ইনজুরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকার কারণে কিছুটা মাংসপেশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যা স্বাভাবিক।বর্তমানে নেইমার সান্তোসের হয়ে মাঠে ফিরেছেন এবং জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত আরও দুটি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে।