বড় ব্যবধানে চিলিকে হারালো মেসিহীন আর্জেন্টিনা
বড় ব্যবধানে চিলিকে হারালো মেসিহীন আর্জেন্টিনা ইনজুরির কারণে লিওনেল মেসি ছিলেন না। ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দল থেকে বিদায় নিয়েছেন আনহেল দি মারিয়াও। আক্রমণভাগের দুই অগ্রসৈনিকের অনুপস্থিতির কারণে অবশ্য খুব একটা ভুগতে হয়নি আর্জেন্টিনাকে। আজ ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে চিলিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। বুয়েনস এইরেসের এন্তাদিও মাস মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের জয়ে গোল করেছেন আলেক্সিস মাক আলিস্তার, হুলিয়ান আলভারেজ এবং বদলি নামা পাওলো দিবালা। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার বল পেলেও তেমন একটা সুবিধা করতে পারছিল না আর্জেন্টিনা। তাদের বেশ কয়েকটি আক্রমণ প্রতিপক্ষের বক্সে গিয়ে প্রতিহত হয়। সুযোগ এসেছিল চিলির সামনেও। কিন্তু তাদের একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য নতুন রূপে দেখা দেয় আর্জেন্টিনা। ৯১তম মিনিটে গারনাচোর অ্যাসিস্টে বদলি হিসেবে নামা দিবালার গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয় আর্জেন্টাইনদের। এই জয়ে দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইয়ে ৭ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা। আগামী মঙ্গলবার কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা।
মোরসালিনের গোলেই জিতল বাংলাদেশ
মোরসালিনের গোলেই জিতল বাংলাদেশ ফিফা প্রীতি ম্যাচে ভুটানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন শেখ মোরসালিন। যদিও এরপর আর কোনো গোল হয়নি। তাই জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে ম্যাচের পাঁচ মিনিটেই গোল করে দলকে লিড এনে দিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলার শেখ মোরসালিন। অনেকটা সৌভাগ্যপ্রসূত গোলেই দলকে এগিয়ে দেন তিনি। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে করা রাকিবের ক্রস ফিস্ট করে ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করেন নেপালের গোলরক্ষক শেরিং ধেনদুপ। বল যেয়ে পড়ে মোরসালিনের পায়ে, সেখান থেকে বল জালে জড়াতে কোনও ভুল করেননি এই তরুণ তারকা। ১৮ মিনিটে সতীর্থের লং ক্রস গতি দিয়ে সাদউদ্দিনকে পেছনে ফেলে নিয়ন্ত্রণে নেন নিমা ওয়াংদি। কিন্তু তার শট পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন মিতুল মারমা। কর্নারে ইয়েশে গাইয়েতলসেনের হেড দূরের পোস্ট ঘেঁষে বরিয়ে যায়। বিরতির পর রাকিবের বদলি হিসেবে শাহরিয়ার ইমনকে নামান কোচ কাবরেরা। আর ভুটান নামে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে। ৫০ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে বাংলাদেশে জাল কাপায় ভুটান। তবে অফ সাইডের কারণে পরে গোল বাতিল হয়। বাকি সময়ে দুই দলই চেষ্টা করেছে, তবে কোনো দলই জালের দেখা পায়নি। ভুটানের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের দশম জয়। দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর।
ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই মেসি-রোনালদো
ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই মেসি-রোনালদো গত বুধবার রাতে ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’- এর পুরস্কার ব্যালন ডি’অর ২০২৪ এর ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০০৩ সালের পর প্রথমবার ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কেউই। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ব্যালন ব্যালন ডি’অরে আধিপত্য ছিল এই দুইজনের। গত ১৬ বছরের মধ্যে ১৩ বারই তারা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন পুরস্কারটা। তবে সময়ের পরিক্রমায় শেষ হতে যাচ্ছে মেসি-রোনালদোর আধিপত্য। দু’জনের কেউ এই বছরের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও জায়গা পাননি! মেসি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন রেকর্ড আটবার। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার পেয়েছেন রোনালদো। ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই দু’জনের বাইরে কেউ পুরস্কারটি জিততে পারেননি। ২০১৮ সালে লুকা মদ্রিচ মেসি-রোনালদোকে থামিয়ে হাতে নেন এই পুরস্কার। এবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের এই পুরস্কার জয়ের লড়াইয়ে আছেন বেশ কয়েকজন তরুণ ফুটবলার। এই তালিকায় এগিয়ে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, জুড বেলিংহাম ও ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হালান্ড। ব্যালন ডি’অরের জন্য ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা: জুড বেলিংহাম (রিয়াল মাদ্রিদ), রুবেন দিয়াস (ম্যানচেস্টার সিটি), ফিল ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি), ফেদেরিকো ভালভের্দে (রিয়াল মাদ্রিদ), এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), আর্লিং হালান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি), নিকো উইলিয়ামস (অ্যাটলেটিকো বিলবাও), গ্রানিত জাকা (বায়ার লেভারকুজেন), আর্তেম দোভিক (জিরোনা/রোমা), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), দানি ওলমো (লাইপজিগ/বার্সেলোনা), ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ (বায়ার লেভারকুজেন), মার্টিন ওডেগোর (আর্সেনাল), মাটস হুমেলস (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি), হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ), ডেকলান রাইস (আর্সেনাল), ভিতিনিয়া (পিএসজি), কোল পালমার (ম্যানচেস্টার সিটি/চেলসি), দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ), লামিনে ইয়ামাল (বার্সেলোনা), বুকায়ো সাকা (আর্সেনাল), হাকান কালহানোগলু (ইন্টার মিলান), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল), কিলিয়ান এমবাপে (পিএসজি/রিয়াল মাদ্রিদ), লাউতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান), অ্যাডেমোলা লুকম্যান (আতালান্তা), আন্টোনিও রুডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ), আলেক্স গ্রিমাল্দো (বায়ারলেভারকুজেন)।
হকির ওস্তাদ ফজলু আর নেই
হকির ওস্তাদ ফজলু আর নেই নাম হাজি মো. ফজলুল ইসলাম হলেও তাকে সবাই চেনেন ‘ওস্তাদ ফজলু’ নামে। বাংলাদেশের হকিতে যিনি পরিচিতি এক নাম। তিনি আজ চলে গেছেন না ফেরার দেশে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সাবেক এই হকি খেলোয়াড় মৃত্যুকালে স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। এমনিতে আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন। স্ট্রোক করার পর অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠে হকি অঙ্গনে ফিরেছিলেন। এবার আর ফেরা হয়নি। আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিজ বাসার বারান্দায় হঠাতই পড়ে যান। হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। ততক্ষণে সব শেষ। সকালেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি। বাংলাদেশের হকির পাইপলাইন ছিল বিকেএসপি ও পুরান ঢাকা। এই দুই জায়গা থেকেই মূলত হকি খেলোয়াড় উঠে আসত। পুরান ঢাকায় বছরের পর বছর হকি নিয়ে কাজ করেছেন ফজুল । অসংখ্য খেলোয়াড় তার হাতে তৈরি যারা এখন ও বিগত সময়ে জাতীয় দলে খেলেছেন।
ক্যারিয়ারে সবচেয়ে খারাপ কোচের নাম জানালেন ডি মারিয়া
ক্যারিয়ারে সবচেয়ে খারাপ কোচের নাম জানালেন ডি মারিয়া আর্জেন্টাইন তারকা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া অনেক কোচের অধীনেই খেলেছেন। তাদের মধ্যে ভালো খারাপ থাকলেও খুব বাজে কেউ থাকতে পারে সেটা অকল্পনীয়। তবে ডি মারিয়া জানালেন, তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে খারাপ কোচ একজন আছেন, তিনি লুইস ফন গাল। সম্প্রতি ইএসপিএনকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মারিয়া। সেখানেই জানিয়েছেন, তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে খারাপ কোচ ফন গাল। ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলার সময় এক মৌসুম ফন গালকে কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন উইঙ্গার। তখনই অনুভব করেছেন ফন গালের দর্শন। যা তাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। ফন গালের ওপর ডি মারিয়া এতোটাই নাখোশ যে, খারাপের সার্টিফিকেট দিতে একবিন্দু দ্বিধা করেননি। ডি মারিয়ার ভাষায়, ‘সবচেয়ে বাজে কোচ হচ্ছে ফন গাল, এ বিষয়ে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন। যদি কোনো সন্দেহ থাকে তবে আমি বিষয়টা পরিষ্কার করে দিলাম।’ ক্যারিয়ারের সেরা কোচদের নিয়েও বলেছেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। ডি মারিয়ার ভাষায়, সেরা কোচ লিওনেল স্কালোনি। বিশ্বকাপজয়ী এ কোচকে ‘অন্যতম সেরাদের একজন’ বলেন তিনি। আর্জেন্টিনার প্রয়াত দুই কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলা ও ম্যারাডোনাকে তালিকায় রেখেছেন তিনি। ম্যারাডোনাকে নিয়ে ডি মারিয়া বলেন, ‘আমি তাকে কোচ হিসেবে দেখি না। সে আমার কাছে একজন বন্ধু, ভাই এবং বাবার মতো ছিল। আমাকে নিয়ে যত বেশি সমালোচনা হয়েছে, সে আমাকে তার চেয়ে বেশি সমর্থন দিয়েছে। আমি আগেও বলেছি, লিও সর্বকালের সেরা। কিন্তু ডিয়েগো হচ্ছে ডিয়েগো। আমার জন্য, আর্জেন্টিনার জন্য এবং বিশ্বের জন্য।’
৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ নুনিয়েস
৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ নুনিয়েস কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কলম্বিয়ান দর্শকদের সঙ্গে লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়ে ৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন উরুগুয়ের ফুটবলার দারউইন নুনিয়েস। শুধু তা-ই নয়, তাকে ২০ হাজার ডলার জরিমানাও করেছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল। নুনেস ছাড়াও উরুগুয়ের আরও দশ ফুটবলারকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। টটেনহামে খেলা উরুগুয়ের মিডফিল্ডার রদ্রিগো বেন্তাঙ্কুর নিষিদ্ধ হয়েছেন ৪ ম্যাচ। ৩ ম্যাচ করে নিষিদ্ধ হয়েছেন উরুগুয়ের তিন ডিফেন্ডার মাথিয়াস অলিভেরা, রোনালদ আরাউহো ও হোসে মারিয়া হিমিনেজ। বাকি ছয়জনকে শুধু জরিমানা করা হয়েছে। ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে কলম্বিয়া। ম্যাচের অনেকটা সময় একজন বেশি নিয়ে খেলেও হারের হতাশা গ্রাস করে ফেলে উরুগুয়ের ফুটবলারদের। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার পরপরই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন কলম্বিয়া-উরুগুয়ের ফুটবলাররা। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই বেশ কয়েকজন সতীর্থকে সঙ্গে নিয়ে গ্যালারিতে থাকা কলম্বিয়ান ভক্তদের ওপর চড়াও হন দারউইন নুনিয়েস। এমনকি হাতাহাতি করতেও দেখা যায় তাকে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই দৃশ্যটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ গ্রুপপর্বের দুই ম্যাচেই গোলের দেখা পেয়েছিলেন মিরাজুল ইসলাম। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও এই ফরোয়ার্ড ফ্রিকিকে করলেন চোখ ধাঁধানো গোল। বাংলাদেশের ব্যবধান বাড়ানোর গোলটাও করলেন তিনিই। এরপর নেপালের জালে বল পাঠালেন রাব্বী হোসেন রাহুল ও পিয়াস আহমেদ নোভা। আর তাতেই নেপালে আরেকবার উড়ল লাল-সবুজের পতাকা। স্বাগতিক দলকে ৪-১ গোলে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-২০ সাফের শিরোপা জিতল বাংলাদেশ। গত আসরে ফাইনালে স্বপন ভঙ্গ হলেও এবার শিরোপা নিয়েই ফিরছেন যুবারা। কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে আজ বুধবার বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। শুরুতেই দারুণ সুযোগ পেয়েও অবশ্য কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ফরোয়ার্ডরা। নেপালের রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে বল পেয়ে যান মিরাজুল ইসলাম, পাশেই ফাঁকায় থাকা রাব্বী হোসেন রাহুলের দিকে ঠেলে দেন মিরাজ, সেই বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়লেও রাহুল শট নেওয়ার আগেই তা ক্লিয়ার করে দেন নেপালের এক ডিফেন্ডার। নেপালও দ্রুত নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে হানা দেয় বাংলাদেশের রক্ষণে। অষ্টম মিনিটে গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফের দারুণ দক্ষতায় বেঁচে যায় বাংলাদেশ। বক্সের বেশ খানিকটা দূর থেকে নিরাজন ধামীর দূরপাল্লার শট লাফিয়ে হাতের ছোঁয়ায় বল বাইরে ঠেলে দেন আসিফ। ২১ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে নেপাল। বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে বক্সে ঢুকে পরেন নিরাজন, তাঁর বাড়ানো পাস একদম ফাঁকায় পেয়েও ঠিকমত শটই নিতে পারেননি অবিনাশ। এরপর ঢিমেতালে চলতে থাকে খেলা। বিরতিতে যাওয়ার আগেই বাংলাদেশ শিবিরে এগিয়ে যাওয়ার আনন্দের মুহূর্ত এনে দেন মিরাজুল ইসলাম। তাঁর ডান পায়ের চোখ ধাঁধানো ফ্রিকিক পোস্টে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মারুফুল হকের দল। দ্বিতীয়ার্ধে উজ্জীবিত ফুটবল খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ৫৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলও পেয়ে যায়। আসাদুল ইসলাম সাকিবের লং পাসে দূরের পোস্টে থাকা আসাদুল মোল্লার হেড পাস থেকে হেডেই লক্ষ্যভেদ করেন মিরাজুল। ম্যাচের ভাগ্য হেলে পড়ে বাংলাদেশের দিকে। আসরে মিরাজুলের এটি চতুর্থ গোল, যা সর্বোচ্চ। নেপালের ওপর চাপ ধরে রেখে ৭১ মিনিটে বাংলাদেশ পেয়ে যায় তৃতীয় গোল। মিরাজুলের বাড়ানো পাসে নিখুঁত ফিনিশিং করেন রাব্বী হোসেন রাহুল। ৮১ মিনিটে সামির তামাং জাল খুঁজে নিলে এক গোল পরিশোধ করে নেপাল। তাতে কিছুটা আশা দেখলেও স্বাগতিকরা আর পারেনি। বরং যোগ করা সময়ে রাহুলের ক্রসে পিয়াস আহমেদ নোভা বল জালে পাঠালে শিরোপা উদযাপনে মাতোয়ারা হয় বাংলাদেশের যুবারা।
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ দাপুটে পারফরম্যান্সে নেপালে চলমান সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে সে অনুসারে ব্যবধানটা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল, যা হয়নি। শ্রীলঙ্কাকে ২-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশি যুবারা ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালও নিশ্চিত করেছে। দুই ম্যাচই হেরে বিদায় নিয়েছে লঙ্কানরা। আজ (মঙ্গলবার) নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে পাসিং ফুটবল ও বল দখল সর্বত্র দাপট ছিল বাংলাদেশের। লাল-সবুজের প্রতিনিধি হয়ে ম্যাচের ১৮তম মিনিটে মিরাজুল ইসলাম এবং শেষদিকে আরেকটি গোল করেন পিয়াস আহমেদ নোভা। আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট হওয়ায় জয়ের ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেওয়া যায়নি। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের রেশ দেখা গেল এই ম্যাচেও। দলকে লিড এনে দেওয়া গোলের পর উদযাপনে নিহত মীর মুগ্ধ ও আবু সাঈদকে স্মরণ করেন গোলদাতা মিরাজসহ সতীর্থরা।
মায়োর্কার মাঠে পয়েন্ট খোয়াল রিয়াল
মায়োর্কার মাঠে পয়েন্ট খোয়াল রিয়াল মৌসুমের শুরুর ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদকে দেখা গেল অচেনা রূপে। বিবর্ণ এই দলের বিপক্ষে নিজেদের জাত চেনাল মায়োর্কা। শুরুতে রিয়াল এগিয়ে গেলেও বাকি সময়টা আধিপত্য বজায় রাখল স্বাগতিকরা। গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নদের রুখে দিয়ে আসর শুরু করল তারা। লা লিগায় গতকাল রাতে মায়োর্কার সঙ্গে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদ। রদ্রিগোর গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে মায়োর্কাকে সমতায় ফেরান ভেদাত মুরিচি। নিজেদের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে মায়োর্কা। পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত তারা। তবে বক্স থেকে নেওয়া দানি রদ্রিগেসের শট উড়ে যায়। ত্রয়োদশ মিনিটে উল্টো এগিয়ে যায় রিয়াল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র থেকে পাওয়া বল ডান পায়ের শটে জালে পাঠান রদ্রিগো। গোল পেয়ে রিয়াল মাদ্রিদ কিছুক্ষণ দাপট দেখালেও পরে তা আর ধরে রাখতে পারেনি। বিরতির পর ছন্দ খুঁজে পায় মায়োর্কা। এরই ধারাবাহিকতায় তারা এগিয়ে যায় ৫৩তম মিনিটে। রদ্রিগেসের কর্নার থেকে উড়ে আসা বল হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মুরিচি। ৬১তম মিনিটে ফের এগিয়ে যেতে পারত রিয়াল। তবে বক্স থেকে নেওয়া এমবাপ্পের শট ঠেকিয়ে দেন মায়োর্কা গোলরক্ষক। ৭০তম মিনিটে তিনি সুযোগ পান আবারও। তবে গোলরক্ষকের প্রচেষ্টায় রক্ষা পায় মায়োর্কা। শেষদিকে বড় ধাক্কা খায় রিয়াল। বাঁশি বাজার ঠিক পূর্বে অহেতুক ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ফেরলান্দ মেন্দি। লা লিগায় পরের ম্যাচে রিয়াল ভাইয়াদলিদের বিপক্ষে তাকে পাবে না লস ব্লাঙ্কোসরা।
আবারও বাফুফেকে জরিমানা ফিফার
আবারও বাফুফেকে জরিমানা ফিফার দ্বিতীয়বারের মতো ফিফার জরিমানার কবলে পড়তে হলো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে)। এবার মাঠে দর্শক অনুপ্রবেশের কারণে ১৫ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা হয়েছে বাফুফের। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২০ লাখ টাকা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। তিনি জানিয়েছেন, ‘ফিফার চিঠিটি আমরা কয়েকদিন আগেই পেয়েছি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে দর্শক প্রবেশের কারণে ১৫ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করেছে ফিফা। ’ গত ৬ জুন বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলার সময় একজন দর্শক মাঠে ঢুকে গিয়েছিলেন। ৮৮তম মিনিটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। ওই দর্শক মাঠে ঢুকে অস্ট্রেলিয়ান এক খেলোয়াড়কে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে দ্রুত মাঠ থেকে বের করে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। দর্শক উচ্ছৃঙ্খলা জরিমানা গোনা বাফুফের জন্য নতুন নয়। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও কাতারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের পর কয়েকজন দর্শক মাঠে প্রবেশ করায় ১৫ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করেছিল ফিফা।