বোনমাতির জাদুতে ইউরোর ফাইনালে স্পেন

বোনমাতির জাদুতে ইউরোর ফাইনালে স্পেন আইতানা বোনমাতির অতিরিক্ত সময়ের চোখ ধাঁধানো এক গোলে ইউরো ২০২৫-এর ফাইনালে উঠেছে স্পেন। সেমিফাইনালে তারা ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে জার্মানিকে। ফলে ২০২৩ নারী বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে ইউরো ফাইনালেও—স্পেন বনাম ইংল্যান্ড। পুরো ৯০ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য থাকার পর ১১৩তম মিনিটে জাদুকরী এক টার্ন নিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন দুইবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী বোনমাতি। তারপর দারুণ এক ফিনিশে জার্মান গোলরক্ষক অ্যান-ক্যাথরিন বার্গারকে পরাস্ত করেন তিনি। শেষ দিকে মরিয়া আক্রমণ চালায় জার্মানি। তবে স্পেনের গোলরক্ষক কাতা কোল দুর্দান্ত এক ডাইভ দিয়ে লেয়া শুলারের শট ফিরিয়ে দেন এবং নিশ্চিত করেন স্পেনের প্রথম ইউরো ফাইনাল। ২০২৩ নারী বিশ্বকাপে ওলগা কারমোনার একমাত্র গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন। এবার সেই দুই দলের মধ্যে আবারও বড় মঞ্চে দেখা হচ্ছে। সেমিফাইনালে ম্যাচের প্রথমার্ধে স্পেন বলের দখল ধরে রাখলেও গোল পাননি, বরং ক্লারা বুল এবং জিওভানা হফম্যান কিছু দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন জার্মানির পক্ষে। দ্বিতীয়ার্ধে স্পেন আরও দাপট দেখালেও, ফ্রান্সের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ১০ জন নিয়ে ১০০ মিনিট খেলা জার্মান রক্ষণ একটুও ভাঙেনি। ৯০ মিনিটের শেষ মুহূর্তে ক্লারা বুলের ডিফ্লেক্টেড এক শট কোলের মাথার ওপর দিয়ে গোল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। কিন্তু সময়মতো সেটি ফিরিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক। এরপর কার্লোটা ওয়ামসারের শটও ঠেকিয়ে দেন অসাধারণ দক্ষতায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেন সেই খেলোয়াড়, যিনি টানা দুবার বিশ্বের সেরা হয়েছেন—আইতানা বোনমাতি। তার নিখুঁত টার্ন ও গোলেই ইউরোর ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে উঠলো লা রোহা।

সাফ অনূর্ধ্ব-২০এ সাগরিকার ৪ গোলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

সাফ অনূর্ধ্ব-২০এ সাগরিকার ৪ গোলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ‘এলেন, দেখলেন, জয় করলেন’। চিরকালীন প্রবাদটি মোসাম্মৎ সাগরিকার সঙ্গে সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক। নিষেধাজ্ঞার জন্য তিন ম্যাচ ছিলেন না। আজ অলিখিত ফাইনালে ফিরেই ৪ গোল করেছেন। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সে ৪-০ গোলে নেপালকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পাঁচ ম্যাচ শেষে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই ছিল। শীর্ষস্থান ধরে রাখতে আজ নেপালের বিপক্ষে অন্তত ড্র করতে হতো স্বাগতিকদের। সহজ সমীকরণ মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে নেপালকে ৪ গোল দিয়ে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। নেপাল দুই বার বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রানার্স আপ হয়েছে। সাগরিকা প্রথমার্ধে একটি এবং দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি গোল করেন। সাগরিকার এটি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। পরের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে এক গোল করছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে নেপালের ডিফেন্ডার সিমরানের সঙ্গে হাতাহাতি করে লাল কার্ড দেখেন। এতে পরের তিন ম্যাচ খেলতে পারেননি। আজ ফিরেই আবার হ্যাটট্রিক করলেন। সাগরিকার তিনটি গোলই বেশ বুদ্ধিদীপ্ত। ৮ মিনিটে মিডফিল্ড থেকে থ্রু বল পান সাগরিকা। নেপালের ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এগিয়ে যান বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড। নেপালের গোলরক্ষক বক্সের বাইরে এসে তাকে আটকাতে পারেননি। কোনাকুনি প্লেসিং শটে সাগরিকা বল জালে জড়ান। ৫২ মিনিটে বক্সের সামনে নেপালের তিন ডিফেন্ডারের মাঝে বল পান সাগরিকা। অসাধারণ দক্ষতায় বল রিসিভ করে খুব দ্রুত মুভ করে ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলেন। গোলরক্ষক পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসেন। তার নাগাল পাওয়ার আগেই বল জালে পাঠান কুশলী ফরোয়ার্ড। হ্যাটট্রিক পূর্ণ করতে বেশি সময় নেননি সাগরিকা। পাঁচ মিনিট পর বাংলাদেশ অর্ধ থেকে বাড়ানো এক লম্বা বলে সাগরিকা ডিফেন্ডারের সঙ্গে তাড়া করে পেয়ে যান। এবারও তিনি দারুণ দক্ষতায় বল জালে পাঠান চোখের পলকেই। গ্যালারীর সামনে গোল উদযাপন করেন। ৭৬ মিনিটে আবারো সাগরিকার গোল। এবার বলের যোগানদাতা মুনকি আক্তার। আজকের দিনটি পুরোটাই সাগরিকার। অলিখিত ফাইনালেল মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার চার গোলেই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন। নেপাল আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে থেকে সমতা এনেছিল। ঐ ম্যাচে বাংলাদেশের বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক পরিবর্তন করেছিলেন। এরপরই মূলত নেপাল খেলায় ফেরার সুযোগ পায়। আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের জালে বলই পাঠাতে পারেনি প্রতিপক্ষ। প্রথমার্ধে কয়েকটি সুযোগ পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে নেপালকে কোনো সুযোগই দেয়নি বাংলাদেশ।

ভুটানের লিগে নতুন চ্যালেঞ্জে তহুরা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র

ভুটানের লিগে নতুন চ্যালেঞ্জে তহুরা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের দুই উদীয়মান তারকা তহুরা খাতুন ও শামসুন্নাহার জুনিয়র এবার পা রাখতে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলে। প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে কোনো লিগে অংশ নিতে ভুটানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তারা। ভুটানের নারী ফুটবল লিগে রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসির হয়ে মাঠে নামবেন এই দুই ফরোয়ার্ড। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের জার্সিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তহুরা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। সদ্য সমাপ্ত এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে দুজনেই ৩টি করে গোল করেছেন। তাদের এই উজ্জ্বল পারফরম্যান্সই হয়তো এনে দিয়েছে নতুন এই সুযোগ। বাংলাদেশও প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। ভুটানে রওনা দেওয়ার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে তহুরা লেখেন, ‘ভুটানের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছি। নতুন পথচলা শুরু হচ্ছে, সবাই দোয়া করবেন। ’ এ নিয়ে ভুটানের নারী লিগে খেলা বাংলাদেশি ফুটবলারের সংখ্যা দাঁড়াল ১২ জনে। প্রথম ধাপে সেখানে পাড়ি জমান জাতীয় দলের অভিজ্ঞ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও মাতসুশিমা সুমাইয়া। তারা বর্তমানে খেলছেন পারো এফসির হয়ে। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে যোগ দেন মারিয়া মান্দা, সানজিদা খাতুন, মাসুরা পারভীন, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার সিনিয়র ও কৃষ্ণা রানী সরকার। থিম্পু সিটি ক্লাবের হয়ে খেলছেন সানজিদা, মারিয়া ও শামসুন্নাহার সিনিয়র। অন্যদিকে, ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়ে মাঠে নামছেন রুপনা, মাসুরা ও কৃষ্ণা। ভুটানের বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করে চলেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন আরও দুই ফুটবলার—তহুরা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র।

ভুটান লিগে সাবিনা-ঋতুপর্ণাদের গোলবন্যা

ভুটান লিগে সাবিনা-ঋতুপর্ণাদের গোলবন্যা দেশের ফুটবলে নারী লিগ না হওয়ায় ভুটান লিগে খেলছেন একাধিক নারী ফুটবলার। যার মধ্যে পারো এফসি হয়ে সর্বোচ্চ ৪ জন ফুটবলার। প্রতি ম্যাচে প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসাচ্ছেন সাবিনা, ঋতুপর্ণা, সুমাইয়া, মনিকারা। সর্বশেষ গতকাল ফুন্টশোলিং হিরোস এফসি বিপক্ষে মাঠে নামে পারো এফসি। ম্যাচের ফুন্টশোলিং হিরোসের বিপক্ষে ২২-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাবিনা-ঋতুপর্ণারা। ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটে ঋতুপর্ণার গোলে গোল উৎসব শুরু করে পারো এফসি। প্রথমার্ধে দুই দলের স্কোর লাইন দাঁড়ায় ১২-০। বিরতির পর আরও ১০টি গোল হজম করে ফুন্টশোলিং হিরোস। সর্বোচ্চ ৭ গোল করে ম্যাচসেরা হন সাবিনা খাতুন। এছাড়াও ডাবল হ্যাটট্রিক করেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ঋতুপর্ণা চাকমা। সেইসঙ্গে ৪ টি গোল করেন সুমাইয়া এবং জোড়া গোল করেন মনিকা চাকমা।

নেইমার জাদুতেই ফ্লামেঙ্গোকে হারাল সান্তোস

নেইমার জাদুতেই ফ্লামেঙ্গোকে হারাল সান্তোস দীর্ঘদিন চোটের সঙ্গে লড়াই করে আবার মাঠে ফিরেছেন নেইমার। ফেরার আনন্দটা আরও বড় করলেন পুরনো ক্লাব সান্তোসের জার্সিতে নাটকীয় এক জয়ের নায়ক হয়ে। গতকাল রাতে ব্রাজিলিয়ান সেরি আ লিগে শীর্ষে থাকা ফ্লামেঙ্গোর বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পেয়েছে সান্তোস। আর ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেওয়া একমাত্র গোলটি এসেছে নেইমারের পা থেকে, ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে। ঘরের মাঠে গিলহারমের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে দুর্দান্ত টার্ন নেন নেইমার। তারপর যা করার, তা যেন তার পুরনো দিনের সেই ক্লাসিক নেইমার স্টাইলে; সোজা বল জালে। এই ম্যাচেই তৃতীয়বারের মতো শুরুর একাদশে খেলতে নামেন তিনি, ইনজুরির পর দীর্ঘ বিরতি শেষে। গত বছর অক্টোবরে উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বাঁ হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেলে মাঠের বাইরে চলে যান নেইমার। প্রায় এক বছর পর আবার মাঠে ফেরা তার জন্য যেমন কঠিন ছিল, তেমনি প্রত্যাবর্তনটাও হলো গৌরবের। ম্যাচ শেষে নেইমার বলেন, ‘আমি এখনো পুরোপুরি ফিট নই। তবে উন্নতি করছি। প্রতিটি ম্যাচেই আমি পুরো ৯০ মিনিট খেলতে চাই। সেটা করতে গেলে নিয়মিত ম্যাচ ও অনুশীলনের প্রয়োজন আছে। ’ সান্তোসের হয়ে জয়ের আনন্দ যতটা, প্রতিপক্ষ হিসেবে যে দলটিকে হারাল তারা, সেটিও কম নয়। কারণ, ফ্লামেঙ্গো এই মুহূর্তে লিগের সেরা দল। সমান ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে এখনো শীর্ষেই রয়েছে তারা। ১৩ ম্যাচ শেষে ১৪ পয়েন্ট পাওয়া সান্তোস উঠে এসেছে টেবিলের ১৩তম স্থানে।প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান রেখেই নেইমার বলেন, ‘ফ্লামেঙ্গো সত্যিই দুর্দান্ত দল। আক্রমণ-রক্ষণ দুই দিকেই তারা ভারসাম্য রেখে খেলে। তবে আজ আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, আমরা যেই অবস্থানে আছি, তার চেয়ে অনেক ভালো দল। ’দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে নেইমার ও তার ভক্তদের জন্য বড় স্বস্তির খবর।

ইউরোপ ছেড়ে মেসির দলে ডি পল

ইউরোপ ছেড়ে মেসির দলে ডি পল ইউরোপীয় ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) পা রাখছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পল। ৩১ বছর বয়সে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ ছাড়ছেন তিনি, যোগ দিচ্ছেন লিওনেল মেসির দল ইন্টার মায়ামিতে। দীর্ঘদিন ধরেই ডি পলকে দলে টানার চেষ্টা করছিল ইন্টার মায়ামি। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্যকে নিজেদের দলে নিচ্ছে ফ্লোরিডাভিত্তিক এই ক্লাব। ইএসপিএনের তথ্য অনুযায়ী, আপাতত ধারে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ডি পল। আগামী বছরের জুনে অ্যাতলেটিকোর সঙ্গে তার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তিনি স্থায়ীভাবে মায়ামির হয়ে খেলবেন। অ্যাতলেটিকো ডি পলের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করার সম্ভাবনা দেখাচ্ছে না। মূলত তার বয়স এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কারণেই তাকে ছাড়ার পথে হাঁটছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। এরই মধ্যে তারা ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় রেখেছে আরেক তরুণ আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার থিয়াগো আলমাদাকে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত চুক্তি করেছে আলমাদার সঙ্গে। একইসঙ্গে রিয়াল বেতিস থেকে মার্কিন মিডফিল্ডার জনি কার্ডোসোকেও দলে ভিড়িয়েছে তারা।অ্যাতলেটিকোর হয়ে ডি পল খেলেছেন ১৩৪টি ম্যাচ, গোল করেছেন ১১টি। ক্লাবটির মাঝমাঠে তার ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তবে থিয়াগো আলমাদা ও জনি কার্ডোসোর মতো তরুণদের আগমনে নতুন চেহারা পাচ্ছে সিমিওনের দল। ডি পলকে ছেড়ে দিয়ে লাভবান হবে কিনা, তা সময়ই বলে দেবে। ইন্টার মায়ামির জন্য ডি পল হতে পারেন বড় এক সংযোজন। মেসি, বুসকেটস, জর্দি আলবার মতো অভিজ্ঞদের সঙ্গে তার রসায়ন মাঠে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। শুধু বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থ হিসেবেই নয়, ব্যক্তিগতভাবেও মেসির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডি পলের আগমন ক্লাবের মাঝমাঠে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছে মায়ামি কর্তৃপক্ষ।

‘চুপিচুপি’ উইনার্স মেডেল পকেটে ঢুকিয়ে ভাইরাল ট্রাম্প

‘চুপিচুপি’ উইনার্স মেডেল পকেটে ঢুকিয়ে ভাইরাল ট্রাম্প ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে পিএসজিকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নতুন ফরম্যাটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি। মাঠের মতো স্টেজেও জমকালো ছিল উদযাপন। তবে সেই আনন্দঘন মুহূর্তে ঘটে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। চ্যাম্পিয়নদের মাঝে থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক উইনার্স মেডেল ‘চুপিচুপি’ নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নেন! সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে দেখা যায়, ট্রাম্প বিজয়ীদের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন, এবং হঠাৎ করেই একটি মেডেল নিজের পকেটে রেখে দিচ্ছেন। দেখে মনে হয় যেন তা কোনো খেলোয়াড়ের না বলেই নিয়ে নিচ্ছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের হাতে যে মেডেলটি গিয়েছে, সেটি ছিল চেলসির উইঙ্গার ননি মাদুয়েকের জন্য নির্ধারিত। কারণ পুরো দলের ট্রফি উদযাপনে শুধুমাত্র মাদুয়েকেই দেখা যায়নি। জানা গেছে, তিনি আগে থেকেই ক্যাম্প ছেড়েছেন আর্সেনালে যোগ দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে। এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে মজার হিসেবে দেখছেন, কেউ আবার এটিকে ‘অনিচ্ছাকৃত চুরি’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘উনি তো ট্রফিটাও রেখে দিয়েছেন, মেডেলটা নেবেন না?’ আরেকজন মজা করে বলেন, ‘ননি বুঝবেনই না যে মেডেলটা হোয়াইট হাউসে রয়ে গেছে!’ বিতর্ক আরও জমে ওঠে ট্রাম্পের আগের এক বক্তব্য ঘিরে, যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘আসল ট্রফিটা আমি ওভাল অফিসে রেখেছি, চেলসিকে দেওয়া হয়েছে রেপ্লিকা। ’

বাংলাদেশের এক ক্লাবের দলবদলে ফিফার নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশের এক ক্লাবের দলবদলে ফিফার নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশি ক্লাব ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের দলবদল কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত ফকিরেরপুল কোনো খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে পারবে না। বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই নির্দেশনা পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ফিফার এই নিষেধাজ্ঞা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে ক্লাবটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আলী। তিনি বলেন, ‘একজন খেলোয়াড়ের আর্থিক পারিশ্রমিক ইস্যুতে এটি হয়েছে। আমরা দ্রুত সেটি সমাধান করে আসন্ন মৌসুমের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চাই।’ গত মৌসুমে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের ফুটবল দলের ম্যানেজার ছিলেন পিপুল। তিনি ফিফার নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একজন উজবেক ফুটবলার ফকিরেরপুল ক্লাবে গত মৌসুমে এসেছিল। সেই ফুটবলারের পারিশ্রমিক নিয়ে আবেদন করেছি। সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় হয়তো ক্লাবের ওপর দলবদল নিষেধাজ্ঞা। তার পাওনা ও জরিমানা মিলিয়ে ২০ লাখ টাকার ওপর হতে পারে।’ কোচ-খেলোয়াড়দের দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি না হলে সংশ্লিষ্ট ক্লাব-ফেডারেশনের ওপর জরিমানা-নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে ফিফা। বিগত সময়েও বাংলাদেশের অনেক ক্লাব এ রকম ঘটনার শিকার হয়েছে। গত মৌসুমেই ফুটবলাঙ্গনে গুঞ্জন ছিল বসুন্ধরা কিংসের ওপরও এ রকম নিদের্শনা এসেছিল। যদিও বসুন্ধরা কিংস কিংবা বাফুফে এটি স্বীকার করেনি।

বার্সেলোনায় সম্ভাবনাময় উইঙ্গার রুনি

বার্সেলোনায় সম্ভাবনাময় উইঙ্গার রুনি বার্সেলোনায় নতুন তারকা। ১৯ বছর বয়সেই নজর কাড়া পারফরম্যান্সের সুবাদে সুইডিশ উইঙ্গার রুনি বার্দগিকে দলে ভিড়িয়েছে কাতালান ক্লাবটি। গতকাল এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে কোপেনহেগেনের এই তরুণ ফুটবলারকে চার বছরের চুক্তিতে দলে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্সেলোনা।কুয়েতে জন্ম নেওয়া বার্দগি খেলবেন ২০২৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। যদিও তার ট্রান্সফার ফি সম্পর্কে কিছু জানায়নি বার্সা কর্তৃপক্ষ। বার্দগি ২০২০ সালে এফসি কোপেনহেগেনের যুব দলে যোগ দেন এবং মাত্র দুই বছরের মাথায় জায়গা করে নেন মূল দলে। দ্রুতই তিনি হয়ে ওঠেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। মাঝখানে এক বছরের জন্য চোটে পড়লেও ফিরে এসে ফের নিজের দক্ষতার প্রমাণ রাখেন এই ডানপ্রান্তের গতি সম্পন্ন ফুটবলার। ইউরোপের সবচেয়ে প্রতিভাবান তরুণদের একজন হিসেবে ধরা হয় বার্দগিকে। কোপেনহেগেনের হয়ে তিনি ৮৪টি ম্যাচে মাঠে নেমে করেছেন ১৫ গোল, সঙ্গে রয়েছে একটি অ্যাসিস্ট। তার হাত ধরে ক্লাবটি জিতেছে তিনটি ডেনিশ লিগ ও দুটি ডেনিশ কাপ।

‘আমি বোকা’—পেদ্রোকে থাপ্পড় মারা নিয়ে এনরিকের স্বীকারোক্তি

‘আমি বোকা’—পেদ্রোকে থাপ্পড় মারা নিয়ে এনরিকের স্বীকারোক্তি ম্যাচ শেষ, তবু উত্তেজনার শেষ হয়নি। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসির কাছে ৩-০ গোলে হারার পর পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে জড়িয়ে পড়েন মারাত্মক এক বিতর্কে। চেলসির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রোকে ঘিরে ঘটে সংঘর্ষ, যার এক পর্যায়ে এনরিকে তার গলা চেপে ধরেন এবং মুখে থাপ্পড় দেন—এই দৃশ্য ধরা পড়ে ‘ডিএজেডএন’-এর ক্যামেরায়। ঘটনার পরপরই পিএসজির সহকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এনরিকে। ক্যামেরায় তার ঠোঁট পড়তে দেখা যায়, ‘আমি বোকা। ও দাঁড়িয়ে ছিল, আমাকে ধাক্কা দেয়। আমি ছুঁয়ে দিই, আর সে লাফিয়ে পড়ে। ’ পরবর্তীতে এনরিকে বলেন, ‘আমি আমার অনুভূতি লুকাই না। এটা এমন এক পরিস্থিতি, যা সবাই এড়াতে পারত। আমি শুধু উত্তেজনা থামাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্বীকার করছি—এটাই সবচেয়ে ভালো কাজ হয়নি। ’ঘটনার সূচনা হয় পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার সঙ্গে পেদ্রোর মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে। কথা কাটাকাটি শুরু হলে আশরাফ হাকিমি অঙ্গভঙ্গিতে বোঝান, পেদ্রো বেশি কথা বলছে। এর মধ্যেই এনরিকে ছুটে আসেন এবং ধাক্কাধাক্কির মাঝে প্রেসনেল কিম্পেম্বে তাকে ঠেকানোর চেষ্টা করলেও, তিনি থাপ্পড় মেরে বসেন পেদ্রোকে। ফিফার সম্ভাব্য শাস্তির মুখে এনরিকে ম্যাচ শেষে হলেও, মাঠে মারধরের জন্য ফিফার পক্ষ থেকে এনরিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং দ্রুতই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আল খেলাইফির সাফাই পিএসজি প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফি এনরিকেকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোচ বিশ্বের সবচেয়ে শৃঙ্খলাপরায়ণ ও সম্মানযোগ্য ব্যক্তি। তিনি শুধু বল নিতে গিয়েছিলেন এবং ধাক্কা খেয়েছেন। কোচদের প্রতিও সম্মান থাকা উচিত। ’