লড়াই শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাস ও চেলসি

লড়াই শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাস ও চেলসি ক্লাব বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস এবং ইংলিশ ক্লাব চেলসি। শনিবার (২৮ জুন) শেষ ষোলোর প্রথম ম্যাচে পালমেইরাস ১-০ গোলে হারিয়েছে স্বদেশি ক্লাব বোতাফাগোকে। নক আউটের দ্বিতীয় ম্যাচে চেলসি ৪-১ গোলে হারায় পর্তুগালের ক্লাব বেনফিকাকে। ফিলাডেলফিয়ার লিংকন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ড স্টেডিয়ামে ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোল করতে পারেনি পালমেইরাস ও বোতাফাগো। নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকায় ম্যাচটি অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়ায়। সেখানে ১০০ মিনিটে গোল করেন বদলি হিসেবে খেলতে নামা পালমেইরাসের পলিনহো। ডান দিক থেকে বল নিয়ে বোতাফাগোর দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের ভেতর পলিনহোর দারুণ শটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পালমেইরাস। ১১৬ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় পালমেইরাস। ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন গুস্তাভো গোমেজ। শেষ পর্যন্ত পলিনহোর গোলে জয়ের স্বাদ নিয়ে শেষ আটের টিকিট পায় পালমেইরাস। ম্যাচ শেষে পালমেইরাস কোচ আবেল ফেরেইরা বলেন, ‘আমরা ভাল একটি ম্যাচ খেলেছি। পুরো ৯০ মিনিট এবং অতিরিক্ত সময়েও ভালো খেলেছে দল। জয়টা প্রাপ্য ছিল। জয়ের ধারা অব্যাহত রাখাই দলের মূল লক্ষ্য।’ এদিকে, চার্লটে নক আউটের দ্বিতীয় ম্যাচে চেলসি ও বেনফিকার মধ্যকার ম্যাচে প্রথমার্ধে কোন দলই গোল করতে পারেনি। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে প্রথম গোল পায় চেলসি। রিস জেমসের দুর্দান্ত ফ্রি কিকে ১-০ ব্যবধানের লিড ধরে রেখে জয়ের পথেই ছিল চেলসি। তবে ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় অর্থাৎ ৯২ মিনিটে জিয়ানলুকা প্রেস্টিয়ান্নি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বেনফিকা। ৯৫ মিনিটে চেলসির মালো গুস্তোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় বেনফিকা। পেনাল্টি থেকে ডি মারিয়া গোল করে ম্যাচে ১-১ সমতা ফেরান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে ড্র হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচটি। অতিরিক্ত সময়ের ১০৮ থেকে ১১৭ মিনিটের মধ্যে ৩ গোল করে জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসি। এ সময় দলের হয়ে গোল করেন ক্রিস্টোফার এনকুকু, পেদ্রো নেতো ও কিয়ারন ডিউসবুরি। আগামী শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাসের বিপক্ষে খেলবে চেলসি।
কষ্টের জয়ে শেষ ষোলোতে ইন্টার, বরুসিয়াও নকআউট পর্বে

কষ্টের জয়ে শেষ ষোলোতে ইন্টার, বরুসিয়াও নকআউট পর্বে ফুটবল রোমাঞ্চের আরেকটি পাতা যুক্ত হলো ক্লাব বিশ্বকাপে। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ইতালির জায়ান্ট ইন্টার মিলান শেষ মুহূর্তের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জায়গা করে নিলো নকআউট পর্বে। গোলশূন্য ৭০ মিনিটের পর হঠাৎ করেই বদলে গেল ম্যাচের মোড়। রিভার প্লেটের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে নাম লেখাল চ্যাম্পিয়নস লিগ রানার্সআপরা। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৬ মিনিটে রিভার প্লেটের লুকাস মার্টিনেজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশজনের দলে পরিণত হয় তারা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১৯ বছর বয়সী ফ্রান্সেসকো এসপোসিতো গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ৭২ মিনিটে। এটি ছিল ইন্টারের হয়ে তার মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম গোল, নতুন প্রতিভার ঝলক যেন অনিবার্য! দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বাস্তোনি। এরই মধ্যে রিভার প্লেটকে আরও বড় ধাক্কা দিয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন গঞ্জালো মন্তিয়েল। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা দলটি। এই জয়ে ইন্টার মিলান গ্রুপ-‘ই’ এর শীর্ষে থেকে জায়গা করে নিলো শেষ ষোলোয়। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ব্রাজিলিয়ান পাওয়ারহাউস ফ্লুমিনেজ। উল্লেখ্য যে, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে আসা ব্রাজিলিয়ান চারটি ক্লাবই জায়গা পেয়েছে নকআউটে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার সব ক্লাব এবার ছিটকে গেছে গ্রুপ পর্বেই। অন্যদিকে, জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডও নিশ্চিত করেছে শেষ ষোলোর টিকিট। উলসান এইচডির বিপক্ষে ড্যানিয়েল সেভেনসনের প্রথমার্ধের একমাত্র গোলই ছিল যথেষ্ট তাদের জয়ের জন্য। এই জয়ে গ্রুপ-‘এফ’ জয় করে তারা শেষ ষোলোতে মুখোমুখি হবে আটালান্টার।
প্রবাসীদের নিয়ে বাফুফের ট্রায়াল, থাকবে ক্লাবগুলোও

প্রবাসীদের নিয়ে বাফুফের ট্রায়াল, থাকবে ক্লাবগুলোও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আয়োজনে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী ২৭ থেকে ৩০ জুন অনুষ্ঠিত হবে প্রবাসী ফুটবলারদের জন্য বিশেষ ট্রায়াল প্রোগ্রাম ‘বিএফএফ নেক্সট গ্লোবাল স্টার’। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার লক্ষ্যে এই ট্রায়ালে অংশ নিতে ১৯টি দেশ থেকে আসছেন ৫১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার। এ উপলক্ষে আজ মহাখালীর রাওয়া ক্লাবের ঈগল হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাফুফে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সহ-সভাপতি ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদি, টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু, কামরুল হাসান হিলটন, সাঈদ হাসান কাননসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে জাহেদি জানান, হামজা চৌধুরী, সামিত সোম, ফাহমেদুল ইসলামের মতো তারকা প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ দলে খেলার পর অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের মধ্যে এখন দেশের হয়ে খেলার প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাদের সেই সুযোগ করে দিতেই বাফুফে আয়োজন করেছে ‘নেক্সট গ্লোবাল স্টার’ ট্রায়াল প্রোগ্রাম। তিনি আরও জানান, খেলোয়াড়দের আনতে বাফুফে কোনো অর্থ ব্যয় করেনি। বরং, তারা নিজেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজেদের খরচে বাংলাদেশে এসেছেন জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন নিয়ে। এই ট্রায়ালের মাধ্যমে জাতীয় দলের জন্য প্রতিভাবান প্রবাসী ফুটবলার বাছাই করা হবে। যারা ভবিষ্যতে হামজা বা সামিতদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এগিয়ে নিতে পারবে। তবে অংশগ্রহণকারী সবাইকে জাতীয় দলে নেওয়া সম্ভব হবে না। তাই বাফুফে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই ট্রায়ালে ক্লাবগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। যাতে তারা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের চিহ্নিত করে নিজেদের দলে ভেড়াতে পারে। শুধু ক্লাব নয়, দেশের সব ফুটবলপ্রেমীদের জন্যই ট্রায়ালটি সরাসরি মাঠে থেকে দেখার সুযোগ থাকবে বলেও জানায় বাফু
অনিশ্চয়তার মুখে ২০২৬ বিশ্বকাপে ইরানের অংশগ্রহণ

অনিশ্চয়তার মুখে ২০২৬ বিশ্বকাপে ইরানের অংশগ্রহণ ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে মাঠে দেখা যাবে ৪৮ দল। তার এশিয়ার শক্তিশালী দল ইরান ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে তাদের অংশগ্রহণ। কিন্তু মাঠের লড়াই জিতে বিশ্বকাপের টিকিট পেলেও এখন তাদের সামনে এক অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিপক্ষ রাজনীতি ও ভিসা জটিলতা। এই বিশ্বকাপ আয়োজন করবে তিনটি দেশ— যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। ফাইনালসহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রে। আর এখানেই শুরু হয়েছে সমস্যা। ওয়াশিংটনের কড়া ভিসা নীতি, সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা এবং ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্ব একত্রে জটিল করে তুলেছে ইরানের বিশ্বকাপ যাত্রা। চলতি বছরের মার্চে উজবেকিস্তানের সঙ্গে ড্র করে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ইরান। কিন্তু ভিসা না পেলে যুক্তরাষ্ট্রে নকআউট পর্বে খেলাই অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়াবে। এমন পরিস্থিতিতে ফিফা ও আয়োজকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। বিশ্বকাপের সূচি অনুযায়ী, ইরান যদি ‘গ্রুপ এ’-তে পড়ে, তাহলে প্রাথমিক ম্যাচগুলো হতে পারে মেক্সিকোতে। কিন্তু শেষ ষোলোতে গেলে ম্যাচ পড়বে যুক্তরাষ্ট্রে—যেখানে ভিসা পাওয়া দারুণ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে ইরানি খেলোয়াড়দের জন্য। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল আছে ১২টি দেশের ওপর, যার মধ্যে রয়েছে ইরান। যদিও ক্রীড়াজগতের জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, এখনো নিশ্চিত কিছু নয়। ইতিহাস বলছে, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক টানাপোড়েনে আগে রাশিয়া ও যুগোস্লাভিয়া যেমন নিষিদ্ধ হয়েছিল ইরানের ক্ষেত্রেও তেমন কিছু ঘটতে পারে কি না তা নিয়েই শঙ্কা ফুটবলমহলে। শুধু জাতীয় দল নয়, ভিসা সমস্যা তাড়া করছে ক্লাব ফুটবলেও। ইন্টার মিলানের ইরানি স্ট্রাইকার মেহদি তারেমি ক্লাব বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকলেও ভিসা জটিলতায় যুক্তরাষ্ট্রে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি। ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তা সত্ত্বেও তাকে তেহরান থেকে বের করে আনা যায়নি। এখনও পর্যন্ত ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো কিংবা মার্কিন প্রশাসন কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে বিশ্বকাপে ইরানের উপস্থিতি আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় বাড়ছেই।
ক্লাব বিশ্বকাপে ‘আর্জেন্টিনার জার্সি’ ভাইরাল কোরিয়ান ক্লাব

ক্লাব বিশ্বকাপে ‘আর্জেন্টিনার জার্সি’ ভাইরাল কোরিয়ান ক্লাব ক্লাব বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাবগুলো দুর্দান্ত খেলছে। ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোকে তারা নাকানি-চুবানি খাওয়াচ্ছে। তেমনি আজ উলসান হুন্দাইয়ের বিপক্ষে ৪-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে এসেছেন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। তবে এই ম্যাচে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল উলসানের জার্সি! দক্ষিণ কোরিয়ার ক্লাবটি এমন এক জার্সি পরে মাঠে নামে, যা দেখতে হুবহু আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের পরিচিত জার্সির মতো। ওই জার্সিতে ছিল পাঁচটি আকাশি নীল রঙের স্ট্রাইপ, যার পটভূমি সাদা। জার্সির হাতায় ছিল জার্মান ব্র্যান্ডের ক্লাসিক থ্রি স্ট্রাইপ ডিজাইন। পুরো দলের শর্টস ও মোজাও ছিল সাদা রঙের। সব মিলিয়ে পুরো জার্সিটিই যেন ছিল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জার্সির প্রতিরূপ! জার্সির এই আকস্মিক পরিবর্তন ঘিরে শুরু হয় আলোচনা, বিশেষ করে ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে জিন-হিউন লি এবং শেষ দিকের সময়ে উম ওন-সাং গোল করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেন উচ্ছ্বাসের বন্যা বইয়ে দেয় ভক্তরা। জার্সিটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার প্রধান কারণ ছিল, এই জার্সির সঙ্গে কোনো মিল নেই ক্লাবটির ঐতিহাসিক রঙের। ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দলটি নেমেছিল নীল-হলুদ রঙের জার্সিতে। ফলে হঠাৎ করে এমন সাদা-আকাশি রঙের জার্সি দেখে অবাক হয়ে যান আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। অনেকে মনে করেন, এটা যেন লাতিন আমেরিকার বিশ্বজয়ী দলের ছায়া। এদিকে ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে খেলায় উলসানের এমন জার্সি পরাকে ঘিরে তৈরি হয় নানারকম মিমস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ বলেন, ‘এ যেন আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল!’। আবার কেউ লিখেছেন, ‘কোরিয়ান স্কালোনেতা মাঠে নেমে গেছে!’
ক্লাব বিশ্বকাপ: ১০০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক লড়াই

ক্লাব বিশ্বকাপ: ১০০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক লড়াই ফিফার নতুন সংস্করণের ক্লাব বিশ্বকাপ যেন শুধু মাঠের লড়াই নয়, বরং এক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক মঞ্চ। গত মার্চে ফিফা ঘোষণা করে, এবারের ৩২ দল নিয়ে আয়োজিত ক্লাব বিশ্বকাপে বিজয়ী দল পাবে সর্বোচ্চ ১২৫ মিলিয়ন ডলার—অর্থাৎ মাত্র এক মাসের টুর্নামেন্টে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ! শুধু ম্যাচ জিতলেই মিলবে ২ মিলিয়ন ডলার। ‘অক্টাগনের ফুটবল বিভাগের প্রধান ফিল কার্লিং বলেন, ‘এটা এখনকার ফুটবলে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ যুদ্ধ—আন্তর্জাতিক ভক্ত ধরে রাখা এবং তাদের অর্থে পরিণত করা। ‘এই মুহূর্তে ফুটবলে ট্যালেন্ট মানে টাকা, টাকা মানে নজর, নজর মানে স্পনসর, স্পনসর মানেই ক্লাবের অর্থনৈতিক ক্ষমতা, চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো ঐতিহ্য না থাকলেও ক্লাব বিশ্বকাপে আমেরিকার মাটিতে নিজেদের দেখানোর এই সুযোগকে বড় ক্লাবগুলো হাতছাড়া করতে চায় না। জার্সি বিক্রি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ার বাড়ানো আর ডিজিটাল সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে ক্লাবগুলো নিজেদের আয়ের নতুন দ্বার খুঁজে পাচ্ছে। স্পোর্টস মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ টিম ক্রো বলেন, ‘এটা এখন আর ঐতিহ্যগত ভক্তদের মন জয় করার প্রশ্ন নয়, বরং নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছানোই মূল লক্ষ্য। ‘ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, শীর্ষ ২০ ক্লাব ২০২৩-২৪ মৌসুমে বাণিজ্যিক খাত থেকে মোট ৪.২ বিলিয়ন পাউন্ড আয় করেছে—যার মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদের আয় সর্বোচ্চ ৪১০ মিলিয়ন পাউন্ড। যুক্তরাষ্ট্রে এখনও লাখ লাখ মানুষ আছেন যাদের কোনো পছন্দের ফুটবল ক্লাব নেই। সেই বাজার দখলের এই সুবর্ণ সুযোগ মিস করতে চায় না রিয়াল মাদ্রিদের মতো ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো।আসলে যুক্তরাষ্ট্র হলো ২০ ট্রিলিয়ন ডলারের ইকোনমি। সেখানে একজন ফ্যান মানেই ভবিষ্যতের ক্রেতা, সাবস্ক্রাইবার এবং বিনিয়োগকারী। কেউ জানে না আগামী ১০ বছরে এই টুর্নামেন্ট কোথায় দাঁড়াবে। তবে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, পিএসজি’র মতো ক্লাব যখন এতটা সিরিয়াস, তখন এটা শুধু ‘গ্রীষ্মকালীন প্রীতি ম্যাচ’ নয়, বরং ফুটবলের ভবিষ্যতের বাণিজ্যিক রূপরেখার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।
অসুস্থ এমবাপ্পেকে রেখে শার্লটে গেল রিয়াল মাদ্রিদ

অসুস্থ এমবাপ্পেকে রেখে শার্লটে গেল রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। আজ রাতে শার্লটের ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে মেক্সিকান ক্লাব পাচুকার মুখোমুখি হবে লস ব্লাঙ্কোরা। এই ম্যাচকে সামনে রেখে ফ্লোরিডা ছেড়ে নর্থ ক্যারোলাইনার শার্লটে পৌঁছেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে শার্লটগামী এই বিমানে ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিছু দিন আগে পেটের পীড়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এমবাপ্পে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি তিনি। তাই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে ফরাসি তারকাকে রেখেই শালর্টে গেছেন দলের বাকিরা। বার্তা সংস্থা এএফপিকে রিয়ালের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এমবাপ্পের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে এএফপিকে রিয়ালের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘তার শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে। তবে সে রোববারের ম্যাচটি খেলতে সতীর্থদের সঙ্গে বিমান ভ্রমণ করবে না।’শুধু এমবাপ্পে নয় এই ম্যাচে ডিফেন্ডার দানি কারভাহালকেও পাচ্ছেন না রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করায় ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অনিশ্চিত কারভাহাল। আগামী বৃহস্পতিবার ফিলাডেলফিডায় অস্ট্রিয়ান ক্লাব রেড বুল সাল্জবুর্গের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। সেই ম্যাচে এমবাপ্পেকে পাওয়ার আশায় আলোনসো। সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল কোচ বলেন, ‘সে হাসপাতাল থেকে ফিরেছে। সেরে উঠছে এবং উন্নতি করছে। আমরা তাকে সাল্জবুর্গের বিপক্ষে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’
আরচ্যারিতে বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়

আরচ্যারিতে বাংলাদেশের স্বর্ণ জয় এশিয়ান কাপ আরচ্যারিতে বাংলাদেশের আরচ্যার আব্দুর রহমান আলিফ স্বর্ণ জিতেছেন। ফাইনালে জাপানের মিয়াতা গাকুতোকে ৬-৪ সেট পয়েন্টে পরাজিত করেন আসিফ। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত আজ শুক্রবার (২০ জুন) রিকার্ভ পুরুষ ব্যক্তিগত ইভেন্টের প্রথম সেটে আলিফ ২৮ স্কোর করেন। তার প্রতিপক্ষ জাপানি আরচ্যার মিয়াতা করেন ২৭ পয়েন্ট। তাতে বাংলাদেশের আলিফ ২-০ সেট পয়েন্টে লিড পায়৷ দ্বিতীয় সেটে আলিফ ২৯ আর জাপানি আরচ্যার ২৮ করলে বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়ের সম্ভাবনা বাড়ে। পরের দুই সেটের একটি জিতলে শেষ সেট প্রয়োজন হতো না। বাংলাদেশের আরচ্যার আলিফ তৃতীয় ও চতুর্থ সেটে হেরে যান৷ মিয়াতার ২৮ ও ২৭ স্কোরের বিপরীতে আলিফ করেন ২৭ ও ২৬। ফলে ৪-৪ সেট পয়েন্টে সমতা আসে। পঞ্চম ও শেষ সেট শিরোপা নির্ধারণীতে পরিণত হয়। আলিফ শেষ সেটে ৩০ এর মধ্যে ২৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন। জাপানি আরচ্যার মিয়াতা ২৬ পয়েন্ট পেলে আলিফ শেষ সেট জেতেন৷ এতে ৬-৪ সেট পয়েন্টে রিকার্ভ পুরুষ ব্যক্তিগত ইভেন্টে বাংলাদেশের স্বর্ণ নিশ্চিত হয়। আলিফ বাংলাদেশের উদীয়মান রিকার্ভ আরচ্যার। বিকেএসপির এই আরচ্যার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলছেন কয়েক বছর যাবত। এশিয়ান কাপ আরচ্যারির স্বর্ণ জয় তার ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্য। তার আগে বাংলাদেশের রোমান সানা এমন কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন৷
বিশ্বকাপ স্বপ্ন থেমে গেছে, ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার ক্রীড়াঙ্গন

বিশ্বকাপ স্বপ্ন থেমে গেছে, ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার ক্রীড়াঙ্গন ওমানের বিপক্ষে ড্রয়ের মাধ্যমে শেষ হয়ে গেছে ফিলিস্তিনের বিশ্বকাপ ফুটবলের স্বপ্নযাত্রা। মাঠের লড়াইয়ের পরিসমাপ্তির সময় গাজায় মাটির নিচে চাপা পড়ে গেছে ক্রীড়াঙ্গনের ভবিষ্যৎ।যুদ্ধবিধ্বস্ত এই ভূখণ্ডের ক্রীড়াপ্রেমীদের মতে, তারা আবার মাঠে ফিরতে পারলেও তাতে লাগবে অন্তত এক দশক। খান ইউনুসে নিজের ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরের ভেতর ৭৫ বছর বয়সী শাকের সাফি হাত বুলিয়ে দেখছিলেন তার ছেলে মোহাম্মদের পুরনো ছবি। মোহাম্মদের হাতে গড়া জুনিয়র ফুটবল দলের ট্রফি, মেডেল, দলের হাডল করা মুহূর্তের ছবি—সব এখন স্মৃতিচিহ্ন, এক অসমাপ্ত স্বপ্নের নীরব সাক্ষী।২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর, ইসরায়েলি এক বিমান হামলায় নিহত হন মোহাম্মদ সাফি—একজন ফুটবল কোচ এবং শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক। গাজার স্কুল ও স্থানীয় ক্লাবে বছরের পর বছর ধরে কিশোর ফুটবলারদের গড়ে তুলেছিলেন তিনি। আল-আকসা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শারীরিক শিক্ষায় স্নাতক মোহাম্মদ ছিলেন দক্ষিণ গাজার আল-আমাল ফুটবল ক্লাবের প্রধান কোচ। ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সী খেলোয়াড়দের মাঝে তার সুনাম ছিল অপরিসীম।শাকের বলেন, “আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিলিস্তিনকে প্রতিনিধিত্ব করার। সে বিশ্বাস করত—খেলা তরুণদের হতাশা থেকে বের করে আনতে পারে। কিন্তু যুদ্ধ তার আগেই থামিয়ে দিল তাকে। ”মোহাম্মদের স্ত্রী নীরমীন ও তাদের চার সন্তান—শাকের জুনিয়র (১৬), আমির (১৪), আলমা (১১) ও তাইফ (৭)—আজ শূন্যতা আর কষ্ট নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। তাদের কাছে বাবার শেষ ফুটবল, কোচিংয়ের নোটবইই এখন একমাত্র সম্বল। ছোট্ট তাইফ যখন জিজ্ঞাসা করে, “আমাদের কাছ থেকে বাবাকে কেন কেড়ে নিল ওরা?” তখন মায়ের চোখে জল ঝরে।“সে রাজনীতিবিদ ছিল না, স্বপ্নবাজ ছিল,” বলেন নীরমীন। “আন্তর্জাতিক রেফারি হতে চেয়েছিল, মাস্টার্স করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাকে মেরে ফেলা হলো, কারণ সে ছিল জীবনের প্রতীক। ” খেলাধুলার বদলে এখন শুধু বেঁচে থাকার লড়াই, গাজায় যারা এখনও বেঁচে আছে, তাদের কাছে খেলাধুলা এখন বিলাসিতা। বেঁচে থাকাই এখন একমাত্র লক্ষ্য।২০ বছর বয়সী ইউসুফ আবু শাওয়ারিব, রাফাহর প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবের গোলরক্ষক। মে ২০২৪-এ নিজের ঘর ছেড়ে আশ্রয় নেন খান ইউনুস স্টেডিয়ামে—যেখানে একসময় খেলতেন ম্যাচ।আজ সে মাঠে নেই ফুটবলারের ছায়া, বরং সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শরণার্থীদের তাঁবু।“এই জায়গায় আমার কোচ আমাকে ম্যাচের আগে ব্রিফ করতেন। এখন আমি এখানে পানির জন্য অপেক্ষা করি, কিক অফের জন্য নয়,” বলেন ইউসুফ। আজ তার রুটিন কেবল মাঝেমধ্যে নিজের তাঁবুতে হালকা অনুশীলন। জার্মানিতে খেলার স্বপ্ন কিংবা খেলাধুলা নিয়ে উচ্চশিক্ষার চিন্তা—সব এখন অতীত।ধ্বংসের মাঝেও কিছু আশা টিকে আছে। ফিলিস্তিনের অ্যাম্পিউটি ফুটবল দলের প্রধান কোচ শাদি আবু আরমানা যুদ্ধের আগে ছয় মাসব্যাপী একটি প্রস্তুতিমূলক পরিকল্পনা করেছিলেন।তার ২৫ জন খেলোয়াড় ও পাঁচ সদস্যের কোচিং স্টাফ নিয়ে দলটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিল। ২০১৯ সালে তারা ফ্রান্সে অংশ নিয়েছিল, আবার ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ২০২৫ সালের অক্টোবরের জন্য পরিকল্পনা ছিল।“এখন তো একসঙ্গে জড়ো হওয়াটাই সম্ভব না,” বলেন শাদি। “সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে—হোম, মাঠ, গিয়ার, কিছুই নেই। খেলোয়াড়দের অনেকেই পরিবারের সদস্য হারিয়েছে, কেউ কেউ নিজের বাড়িও। ” তিনি বলেন, “যুদ্ধ থেমে গেলেও, আমরা যা হারিয়েছি তা ফিরিয়ে আনতে বছর লাগবে। এটা শুধু থেমে যাওয়া নয়, এটা একেবারে ‘মুছে ফেলা’। ফিলিস্তিন অলিম্পিক কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আসআদ আল-মাজদালাওয়ি বলেন, গাজার ক্রীড়াব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংসের পথে। কমপক্ষে ২৭০টি ক্রীড়া স্থাপনা আঘাতপ্রাপ্ত, যার মধ্যে ১৮৯টি সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং ৮১টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। “গাজার ক্রীড়া অবকাঠামোর প্রতিটি স্তরে হামলা হয়েছে—অলিম্পিক অফিস, ক্রীড়া ফেডারেশন, ক্লাব, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া কার্যক্রম—সবকিছু,” বলেন আল-মাজদালাওয়ি। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন আন্তর্জাতিক কারাতে চ্যাম্পিয়ন নাঘাম আবু সামরা, ১৯৯৬ সালের অলিম্পিকে পতাকা বহনকারী মাজেদ আবু মারাহিল, জাতীয় ফুটবল কোচ হানি আল-মাসদার এবং অ্যাথলেটিকস কোচ বিলাল আবু সামান। “এটা শুধু ক্ষতি নয়, এটা এক ধরনের নির্মূল প্রক্রিয়া,” বলেন আল-মাজদালাওয়ি। “প্রতিটি খেলোয়াড় ছিল একেকটি কমিউনিটির স্তম্ভ। তারা সংখ্যা নয়, তারা প্রতীক ছিল—আশা, ঐক্য ও সংগ্রামের প্রতীক। ” আন্তর্জাতিক সমাজের নীরবতা আর সহনীয় নয়, আল-মাজদালাওয়ির মতে, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংগঠনগুলো শুধু নীরবই নয়, বরং একপ্রকার দায় এড়িয়ে চলেছে। তিনি বলেন, “প্রাইভেটভাবে অনেকে সমবেদনা প্রকাশ করে, কিন্তু সিদ্ধান্তের স্তরে এসে ইসরায়েল যেন আইনের ঊর্ধ্বে। খেলাধুলার নিয়ম বা মানবাধিকার—সবই এখানে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। ” তিনি বলেন, “আমরা ১৯৯৪ সাল থেকে এই ক্রীড়া কাঠামো গড়ে তুলেছি। জ্ঞানের স্তর, পেশাদারি, অবকাঠামো—সব ছিল। এখন তা কয়েক মাসেই ধ্বংস হয়ে গেছে। ” যুদ্ধ এখনও চলছে। ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তবুও শাকের সাফি, ইউসুফ, শাদি—তারা সবাই বিশ্বাস করেন, একদিন খেলাধুলা আবার হয়ে উঠবে তাদের অস্তিত্ব, আশা আর জীবনের পরিচয়। “এখন তো শুধু কামনা করি, আগামীকাল যেন খাওয়ার কিছু পাই,” বলেন ইউসুফ। “যুদ্ধ শুধু মাঠ ভাঙেনি, আমাদের ভবিষ্যৎও গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ” তিনি যখন পোড়া স্টেডিয়ামের দিকে তাকান, তখন তা শুধুই সাময়িক আশ্রয় নয়—একটা জাতিগত ‘মুছে ফেলার’ প্রতীক।
ফিফা র্যাংকিংয়ে বড় লাফ বাংলাদেশের মেয়েদের

ফিফা র্যাংকিংয়ে বড় লাফ বাংলাদেশের মেয়েদের নারী ফুটবলের র্যাংকিং প্রকাশ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। যেখানে ৫ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। মার্চে প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে ১৩৩ নম্বরে ছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আজ প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে ১২৮ নম্বরে উঠে এসেছে পিটার বাটলারের শিষ্যরা। বাংলাদেশের মেয়েরা মে মাসে নারী ফিফা উইন্ডোতে জর্ডানে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেছে। স্বাগতিক জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ড্র করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যথাক্রমে ৩৯ ও ৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানকে রুখে দেওয়ায় বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং পয়েন্ট ১০৯২ থেকে বেড়ে ১০৯৯.৩৬ হয়েছে। এতেই ৫ ধাপ উন্নতি হয়েছে র্যাংকিংয়ে। নারী র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এবারের র্যাংকিংয়ে সর্বোচ্চ ৭ ধাপ উন্নতি হয়েছে মিশরের। সবচেয়ে বেশি ৫ ধাপ অবনমন সংযুক্ত আরব আমিরাতের। র্যাংকিংয়ের শীর্ষ পাঁচে আছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, জার্মানি, ব্রাজিল ও ইংল্যান্ড।চার ধাপ উন্নতি করে ব্রাজিলের মেয়েরা চার নম্বরে এবং এক ধাপ পিছিয়ে পাঁচে নেমেছে ইংল্যান্ড। দুই ধাপ পিছিয়ে জাপান সাত, এক ধাপ পিছিয়ে কানাডা আট এবং এক ধাপ এগিয়ে ফ্রান্সের মেয়েরা ১০ নম্বরে উঠেছে।