তিনদিন শেষে শীর্ষে জাপান

তিনদিন শেষে শীর্ষে জাপান শুক্রবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে অলিম্পিক গেমস-২০২৪। ইতোমধ্যে তিনদিনের খেলা শেষ হয়েছে। তিনদিন শেষে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে আছে জাপান। দ্বিতীয় স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া এবং তৃতীয় স্থানে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জাপান ৪টি স্বর্ণ, ২টি রৌপ্য ও একটি ব্রোঞ্জসহ মোট ৯টি পদক জিতেছে। অস্ট্রেলিয়া ৪টি স্বর্ণ ও ২টি রৌপ্যসহ মোট ৬টি পদক জিতেছে। আর যুক্তরাষ্ট্র ৩টি স্বর্ণ, ৬টি রৌপ্য ও ৩ টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১২টি পদক জিতেছে। চতুর্থ স্থানে আছে আয়োজক ফ্রান্স। চলুন দেখে নিই তৃতীয় দিন শেষের অলিম্পিক গেমসের পয়েন্ট টেবিল।
প্যারিস অলিম্পিকে ধর্মীয় আবেগে আঘাতের অভিযোগ, ক্ষমা চাইলো আয়োজকরা

প্যারিস অলিম্পিকে ধর্মীয় আবেগে আঘাতের অভিযোগ, ক্ষমা চাইলো আয়োজকরা প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে মঞ্চস্ত করা হয়েছিল ‘দ্য লাস্ট সাপার’ নামের একটি প্যারোডি মূকনাট্য। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ধর্মীয় আবেগে আঘাতের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল ক্যাথলিক ও অন্যান্য খ্রিষ্টান গোষ্ঠী। অবশেষে বিতর্কের মুখে ক্ষমা চাইলো আয়োজকরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড্র্যাগ কুইন থিমে প্যারোডি প্রদর্শন করা হয়েছিল। যার থিম ছিল যিশুখ্রিষ্টকে নিয়ে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা ‘দ্য লাস্ট সাপার’। বাইবেলের বর্ণনা অনুযায়ী আঁকা ছবিতে দেখা যায়, ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার আগে যিশু তার রারোজন শিষ্যের সঙ্গে নৈশভোজ করছেন। কিন্তু মূকনাট্যে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। দেখানো হয়েছে ট্রান্সজেন্ডার মডেল ড্র্যাগ কুইন্স এবং একজন নগ্ন গায়ককে। যাকে তুলে ধরা হয়েছে গ্রিক দেবতা ডায়োনিসাসের আদলে। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ও নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। অলিম্পিক কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, খ্রিষ্ট ধর্মকে অপমান করেছে তারা। সমালোচনা করেছেন শীর্ষ খ্রিষ্ট ধর্মগুরুরাও। ফরাসি ক্যাথলিক চার্চ এই মূকনাট্যকে ‘খ্রিষ্ট ধর্মের উপহাসের দৃশ্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। টেসলা ও এক্স-এর মালিক ইলন মাস্ক অভিহিত করেছেন, ‘খ্রিষ্টানদের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজক’ হিসেবে। ইতালির মন্ত্রী পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাত্তেও সালভিনি ফরাসি জনগণের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘বিশ্বের কোটি কোটি খ্রিষ্টানকে অপমান করে অলিম্পিক উদ্বোধন করা সত্যিই একটি বাজে সূচনা। ‘ শো-টির শৈল্পিক পরিচালক থমাস জলি বলেছিলেন, তাদের এই মূকনাট্যের উদ্দেশ্য ধ্বংসাত্মক কিছু করা, উপহাস করা বা কাউকে আঘাত করার মতো কিছু ছিল না। বরং, তিনি এই শো-এর মাধ্যমে দিতে চেয়েছিলেন ভালোবাসার বার্তা। কিন্তু তাতে ক্ষোভ প্রশমন হয়নি। বিতর্ক থামাতে শেষে মাঠে নামতে হয়েছে আয়োজকদেরকেই। ২০২৪ অলিম্পিক গেমসের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক অ্যান ডেসক্যাম্পস সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতি অসম্মান দেখানোর উদ্দেশ্য ছিল না। সব সম্প্রদায়ের প্রতি সহনশীলতা দেখানোর চেষ্টা ছিল আমাদের। আমরা মনে করি, আমাদের লক্ষ্য ইর্জিত হয়েছে। কিন্তু যদি কোনো কারণে কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন, তবে আমরা সত্যিই দুঃখিত।
জমকালো উদ্বোধনীতে শুরু অলিম্পিক গেমস

জমকালো উদ্বোধনীতে শুরু অলিম্পিক গেমস এরপর বিশ্বকাপ জয়ী জিদানের হাতে সেটা ফেরত দেওয়া হয় এবং তিনি সেটা বহন করে নিয়ে যান ট্রোকাডেরোতে। সেটা দিয়ে হট এয়ার বেলুনে প্যারিস অলিম্পিকের মশাল প্রজ্বলন করেন ফরাসি জুডো গ্রেট টেডি রাইনার এবং স্প্রিন্টার ম্যারি-হোসে পেরেক। তারপর প্যারিসের আকাশে সেটি ওড়ানো হয়। এ সময় সিন নদীতে চলতে থাকে ২০৫টি দেশের অলিম্পিক কমিটির ডেলিগেশন ও অ্যাথলেটদের নৌ প্যারেড। তার পাশাপাশি চলতে থাকে গান, নাচ ও নানা শো। যার মাধ্যমে তুলে ধরা হয় স্পেনের ইতিহাস, ঐহিত্য, শিল্পকলা, ক্রীড়া ও নানাদিক। ১২টি সেগমেন্টে ২ হাজার আর্টিস্ট পারফর্ম করেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। আর সিন নদীর দুই তীরে বসে সেটা উপভোগ করেন ৩ লাখ ২০ হাজার দর্শক। এছাড়া প্রতিটি ভবনের ছাদ থেকে, জানালা দিয়ে উপভোগ করেন অনেকে। আর বিশ্বব্যাপী মিলিয়ন মিলিয়ন দর্শক দেখেন প্যারিস অলিম্পিকের জমকালো উদ্বোধনী। ২৬ জুলাই থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত প্যারিস অলিম্পিকে ৩২টি ক্রীড়ার মোট ৩২৯টি ইভেন্টে ১০ হাজার ৭১৪ জন অ্যাথলিট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মেসির কারণে চাকরি খোয়ালেন আর্জেন্টিনার ক্রীড়া কর্মকর্তা

মেসির কারণে চাকরি খোয়ালেন আর্জেন্টিনার ক্রীড়া কর্মকর্তা এনজো ফার্নান্দেজের বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় জড়িয়ে পড়লেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে ক্ষমা চাইতে বলে চাকরি হারালেন দেশটির ক্রীড়া কর্মকর্তা আন্ডার সেক্রেটারি অব স্পোর্টস জুলিও গারো। তাকে বরখাস্ত করেছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই। কোপা আমেরিকার ২০২৪ সালের আসরে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ ভিডিওতে এনজো ফার্নান্দেজকে বর্ণবাদী গান গাইতে দেখা যায়। তার সঙ্গে তাল মেলান সতীর্থরাও। সেই গানে ফ্রান্সকে নিয়ে অপমানজনক ও বর্ণবাদী ভাষা ছিল। যদিও এই ঘটনার সময় মেসি ছিলেন না। তাও ঘটনার জের ধরে মেসি ও আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়াকেও ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন গারো। তিনি বলেছিলেন, ‘জাতীয় দলের অধিনায়কের এ জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। এএফএ সভাপতিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত। এটা আমাদের গৌরবান্বিত দেশকে বাজে পরিস্থিতিতে ফেলেছে।’ এরপরই আর্জেন্টিনা সরকারের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে গারোকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট অফিস জানাচ্ছে যে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল কিংবা কোনো নাগরিক কী ভাববে, কী করবে, সেটা কোনো সরকার বলতে পারে না। এ কারণে জুলিও গারো আর্জেন্টিনার আন্ডার সেক্রেটারি অব স্পোর্টসের দায়িত্বে থাকছেন না।’ বরখাস্ত হওয়ার পর এক্সে করা পোস্টে গারো দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার কথা যদি কাউকে আঘাত করে, তাহলে দুঃখিত। এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। তবে আমি সব সময়ই যেকোনো ধরনের বর্ণবাদের বিরুদ্ধে থাকব।’ এর আগে টিম বাসে খেলোয়াড়দের উদ্যাপন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে লাইভ করছিলেন ফার্নান্দেজ, যেখানে ওই বর্ণবাদী গানটি শোনা যায়। ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল প্রতিপক্ষ ফ্রান্সকে নিয়ে গানটি বানিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। এ ঘটনায় অবশ্য ফার্নান্দেজ ক্ষমা চেয়েছেন। ক্ষমা চেয়েও অবশ্য পার পাচ্ছেন না ফার্নান্দেজ।
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র!

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র! সদ্য সমাপ্ত কোপা আমেরিকার ফাইনালের আগে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। যা ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজকদের বেশ শঙ্কায় ফেলেছে। উত্তর আমেরিকায় আসন্ন এই ফিফা বিশ্বকাপ আদৌ সফলভাবে আয়োজন সম্ভব কিনা, তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রোববার মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে কলম্বিয়া বনাম আর্জেন্টিনার মধ্যকার কোপার ফাইনাল ম্যাচটি সমর্থকদের উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে ৮২ মিনিটে দেরিতে শুরু হয়। এতে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছ। আয়োজকদের দাবি, টিকেটবিহীন সর্মথকরা এক পর্যায়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের জন্য জোড়াজুড়ি শুরু করলে প্রায় তিন ঘন্টা সকল গেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু যখন দেখা গেল এমন অনেকেই স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছে যাদের কাছে কোন টিকেট নেই তখন আয়োজকদের আর কিছুই করার ছিল না। আর এতেই স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। প্রচন্ড গরমে এ সময় অনেককেই অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা গেছে। ৬৫ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মায়ামির স্টেডিয়ামটির সবগুলো গেটে তখন হাজার হাজার সমর্থকদের ভিড় চোখে পড়েছে। হার্ড রক স্টেডিয়ামে ২০২৬ বিশ্বকাপের সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এবারের আয়োজক অন্য দুই দেশ হলো মেক্সিকো ও কানাডা। কোপা আমেরিকার আয়োজক দক্ষিণ আমেরিকান কনফেডারেশন কনমেবল। অন্যদিকে স্থানীয় আয়োজকদের সহায়তায় বিশ্বকাপ আয়োজন করে থাকে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রন সংস্থা ফিফা। যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় ও বর্তমানে ফক্স স্পোর্টস চ্যানেলের ফুটবল বিশেষজ্ঞ অ্যালেক্সি লালাস বলেছেন, ‘এটা মোটেই ভাল কোন লক্ষণ নয়। কনমেবলের জন্য বিষয়টি মোটেই ভাল হয়নি। কারণ ঘটনাটি আমাদের দেশে ঘটেছে। এখানেই আগামী দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বিশ্বকাপ আয়োজিত হতে যাচ্ছে।’ কোপা আয়োজনের ব্যাপারে ফিফার কোন ভূমিকা নেই। ফাইনালের এই ঘটনার পর ফিফার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রমতে জানা গেছে, এরই মধ্যে ফিফা যুক্তরাষ্ট্রের স্টেডিয়ামগুলোর নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। হার্ড রক স্টেডিয়ামের সাবেক এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা কখনই কাম্য নয়, সেটা যে ধরনের ম্যাচই হোক না কেন। প্রতিটি দর্শককে টিকেট পরীক্ষা করে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করানো উচিৎ ছিল। তিনি আরো বলেন, এই ম্যাচ দেখতে অনেক নারী ও শিশু এসেছিল। এমনও হয়েছে দুই হাজার ডলার ব্যয় করে টিকেট ক্রয় করেও তারা মাঠে প্রবেশ করতে পারেনি, যা খুবই দু:খজনক। ঘটনাটি কনমেবলের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর, একইসাথে হার্ড রক স্টেডিয়ামের জন্যও। এর আগে কলম্বিয়া ও উরুগুয়ের মধ্যকার শার্লটে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনাল ম্যাচেও বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা মাঠে নেমে পড়েছিল। উরুগুইয়ান খেলোয়াড়রা স্ট্যান্ডে গিয়ে কলম্বিয়ান সমর্থকদের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। তাদের দাবী স্ট্যান্ডে থাকা তাদের পরিবারের সদস্যদের কলম্বিয়ান সমর্থকরা হুমকি দিয়েছে। এর আগে ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সফলভাবে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল। কিন্তু তখনকার থেকে এবারের স্টেডিয়ামগুলোতে আসনসংখ্যা আনুপতিক হারে বেড়েছে। যে কারণে দর্শক সমাগমও এবার বেশি হবে। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশ্ন বাড়তে থাকায় আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
ইউরোর সেরা একাদশ প্রকাশ

ইউরোর সেরা একাদশ প্রকাশ জমজমাট লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসর। যেখানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে স্পেন। গত রোববার ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে রেকর্ড চতুর্থবারের মতো শিরোপা জেতে তারা। ইউরোর সেরা একাদশে স্পেনের খেলোয়াড়ই বেশি। ১১ জনের দলে ছয়জনই সুযোগ চ্যাম্পিয়ন দল থেকে পেয়েছে। ৪-৩-৩ ফর্মেশনে উয়েফা ইউরোর সেরা একাদশ প্রকাশ করেছে। সেরা একাদশের আক্রমণভাগে রয়েছে তরুণ ফুটবলারদের আধিপত্য। ১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল, ২২ বছর বয়সী নিকো উইলিয়ামস রয়েছেন আক্রমণভাগে। আক্রমণভাগের অন্যজন হলেন ২১ বছর বয়সী জার্মানির জামাল মুসিয়ালা। সেরা একাদশের মিডফিল্ডে যে তিনজন রয়েছেন তাদের সবাই স্পেনের ফুটবলার। টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়ী রদ্রির সঙ্গে আছেন দানি ওলমো ও ফাবিয়ান রুইজ। রক্ষণভাগে রয়েছেন কাইল ওয়াকার, উইলিয়াম সালিবা, ম্যানুয়েল আকাঞ্জি ও মার্ক কুকুরেল্লা। গোলরক্ষক হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন ফ্রান্সের মাইক মাইগনান। ইউরো ২০২৪-এর সেরা একাদশ: মাইক মাইগনান (ফ্রান্স), কাইল ওয়াকার (ইংল্যান্ড), উইলিয়াম সালিবা (ফ্রান্স), ম্যানুয়েল আকাঞ্জি (সুইজারল্যান্ড), মার্ক কুকুরেল্লা (স্পেন), রদ্রি (স্পেন), দানি ওলমো (স্পেন), ফাবিয়ান রুইজ (স্পেন), লামিনে ইয়ামাল (স্পেন), জামাল মুসিয়ালা (জার্মানি) ও নিকো উইলিয়ামস (স্পেন)
আনুষ্ঠানিকভাবে রিয়ালে যোগ দিলেন এমবাপ্পে

আনুষ্ঠানিকভাবে রিয়ালে যোগ দিলেন এমবাপ্পে অবশেষে অপেক্ষার অবসান। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে জড়ালেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। সান্তিয়াগো বার্নাবুতে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হল লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে ফরাসি এই তারকার পথচলা। এমবাপ্পেকে অভ্যর্থনা জানাতে এদিন প্রায় ৮০ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন। পাঁচ বছরের চুক্তি শেষে তিনি স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতেই দর্শকরা হাততালি দিয়ে এই ফরোয়ার্ডকে বরণ করে নেন। স্টেডিয়ামের ভেতর মাঠে তৈরি করা হয়েছিল নীল রঙের মঞ্চ। তার ওপরে সারি সারি করে রাখা রিয়ালের চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। দর্শক আসনে এমবাপ্পের মা ফাইজা লামারিকেও চোখ মুছতে দেখা যায়। সন্তানের এই অর্জনে আবেগ ভর করেছিল লামারির মনে। অনুষ্ঠানে এমবাপ্পে বলেন, ‘আমার জন্য আজকের দিনটি স্মরণীয়। ছোটকাল থেকে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। আজ আমি এখানেই। যেটার মানে আমার কাছে অনেক কিছু। ’এমবাপ্পে মঞ্চে ওঠার আগে রিয়াল সভাপতি বলেন, ‘রিয়ালের প্রতি নিঃশর্ত ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ। তোমার চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের কারণে ফ্রান্স থেকে হাজারো খুদেরা এসেছে। এসব দেখে খুব গর্ব লাগছে। কিলিয়ান, ঘরে তোমাকে স্বাগত, রিয়াল মাদ্রিদে স্বাগত।’
২ বছরের নিষেধাজ্ঞায় স্পেনের ফুটবল প্রধান

২ বছরের নিষেধাজ্ঞায় স্পেনের ফুটবল প্রধান গত রোববারই ইউরোর শিরোপা জিতেছিল স্পেন। এই আনন্দ খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না দেশটির ফুটবল প্রধানের জন্য। আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) সভাপতি পেদ্রো রোচাকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে স্পেনের প্রশাসনিক ক্রীড়া আদালত (টিএডি)। আগেই গুরুতর অসদাচরণের জন্য রোচার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল টিএডি। অবশেষে গতকাল রায় ঘোষণা করে আদালত। মূলত আরএফইএফ-এর ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে রোচার একমাত্র দায়িত্ব ছিল নতুন সভাপতি নির্বাচনের জন্য নির্বাচন পরিচালনা করা। অথচ তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সাধারণ সম্পাদক বেশ কয়েকজন সিনিয়রকে বরখাস্ত করেন। পাশাপাশি নিজের ক্ষমতার বাইরেও সিদ্ধান্ত নেন। যে কারণে এখন সভাপতি পদও থাকছে না তার। সঙ্গে গুণতে হবে ৩৩ হাজার ইউরো জরিমানাও। গত বছরের আগস্টে এক বিতর্কিত কাণ্ড করে বসেন সাবেক স্পেন ফুটবল প্রধান লুইস রুবিয়ালেস। মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে স্পেনের ফরোয়ার্ড জেনিফার এরমোসোর ঠোঁটে চুম্বন করে বসেন তিনি। পরবর্তীতে চাপের মুখে পড়ে করেন পদত্যাগ। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রোচা। গত এপ্রিলে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
মেসিকে ছাড়াই কাপ নিয়ে দেশে ফিরলেন দি মারিয়ারা

মেসিকে ছাড়াই কাপ নিয়ে দেশে ফিরলেন দি মারিয়ারা কোপা আমেরিকা জিতে দেশে ফিরেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। তবে এই বহরে ছিলেন না লিওনেল মেসি, এমিলিয়ানো মার্তিনেস, নিকোলাস তালিয়াফিকো, হুলিয়ান আলভারেস, নিকোলাস ওতামেন্দি ও জেরনিমো রুইয়ি। তারা প্রত্যেকেই রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। শেষের তিনজন অবশ্য যোগ দেবেন প্যারিস অলিম্পক গেমসে। চার্টার ফ্লাইটে করে সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় বুয়েনস আইরেসে পা রাখে লিওনেল স্কালোনির দল । তাদের বহন করে আনা বিমানে লেখা ছিল, ‘আমরা দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আসি। ‘ বিমান থেকে ট্রফি হাতে নিয়ে নামেন সহঅধিনায়ক আনহেল দি মারিয়া। তার পাশে ছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি ও আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ক্লদিও তাপিয়া। বিমানবন্দর থেকে এসেইসায় অবস্থিত লিওনেল মেসি এফএ ট্রেনিং ক্যাম্পের দিকে যায় পুরো দল। রাস্তার দুই প্রান্তে তাদের স্বাগত জানাতে ভিড় করেন হাজারো সমর্থক। আর্জেন্টিনায় এখন শীতের মৌসুম। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৫ ডিগ্রি। এমনকি বইছিল হিমশীতল বাতাসও। কিন্তু তা উপেক্ষা করে পতাকা হতে নিয়ে ফুটবলারদের অভিবাদন জানান শিশু থেকে বুড়োরা। সেই পতাকা বিক্রি হয়েছে প্রায় ৯০০ টাকায়। এছাড়া শিশুদের জন্য ২ হাজার ও প্রাপ্ত বয়স্কদের ২ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে জার্সি। গত রোববার কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ও রেকর্ড ১৬তম কোপার শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। ফাইনালে গোড়ালির চোটের কারণে ৬৫ মিনিটের বেশি খেলতে পারেননি মেসি। একটু সুস্থ হওয়ার পর পরিবার নিয়ে দেশে ফিরবেন তিনি। এদিকে পুরো দেশকে খুশির উপলক্ষ্য এনে দেওয়ায় ফুটবল দলকে রাষ্ট্রীয় বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি হাভিয়ের মিলেই। যদিও দি মারিয়ারা সেই আমন্ত্রণে যাবেন কি না, এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
চোট নিয়েও যেভাবে মার্তিনেসের গোল উদযাপন করলেন মেসি

চোট নিয়েও যেভাবে মার্তিনেসের গোল উদযাপন করলেন মেসি নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিটে হলো না কোনো গোল। তাই খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়ার সমানে সমানে লড়াই। টাইব্রেকারে যাওয়াটাই যখন নিয়তি মেনে নিয়েছিলেন অনেকে, ঠিক তখনই আর্জেন্টিনাকে আশার আলো দেখালেন লাউতারো মার্তিনেস। অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার আট মিনিট আগে তার গোলেই কোপা আমেরিকার শিরোপার ধরে রাখে আলবিসেলেস্তেরা। সেই গোলের সময় মাঠে ছিলেন না লিওনেল মেসি। ডাগআউটে থেকেই উদযাপন করতে দেখা যায় আর্জেন্টিনা অধিনায়ককে। গোল হওয়ার পর প্রথমে দুই হাত উঁচিয়ে ধরেন তিনি। এরপর চোট পাওয়া গোড়ালিতে খুব একটা ভর না করে আস্তে আস্তে হেঁটে কোচিং স্টাফের সদস্য রবের্তো আয়ালাকে আলিঙ্গন করেন এই ফরোয়ার্ড। ভাগাভাগি করে নেন আনন্দ। এরপর তাকে এসে জড়িয়ে ধরেন লো সেলসো, কিটম্যান মারিও দে স্তেফানো, ট্রেনার দাদি দি’আন্দ্রেয়া ও লুইস মার্তিন। মেসি মূল উদযাপনে যোগ দিতে না পারলেও লাউতারো ঠিকই এসেছেন তার কাছে। আলিঙ্গনের পর মেসিকে গোল উৎসর্গ করতে কোনো দ্বিধাবোধ করেননি এই ফরোয়ার্ড। গোড়ালিতে চোট পাওয়ার কারণে ফাইনালে পুরোটা সময় খেলতে পারেননি মেসি। প্রথমার্ধেই ব্যথা পেয়েছিলেন। লম্বা শুশ্রূষা নেওয়ার পর মাঠে নামেন। এরপর প্রথমার্ধের বাকি সময়টা খেলেছেন ঠিকঠাক। দলের সঙ্গে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন তিনি। কিন্তু এই দফায় লম্বা সময় মাঠে থাকতে পারেননি। কোনো রকম আঘাত ছাড়াই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ৬৫ মিনিটের দিকে মাঠ ছা]ড়তে হয় তাকে। মেসির জায়গায় নামেন নিকোলাস গনসালেস। মাঠ ছাড়ার সময়ই আবেগী হতে দেখা যায় মেসিকে। দুই হাতে মুখ ঢেকে রাখেন। এরপর বেঞ্চে বসে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় তাকে। মেসির পায়ে তখন বরফ দেওয়া ছিল।