অনূর্ধ্ব-১৭ সাফে শুক্রবার মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত

অনূর্ধ্ব-১৭ সাফে শুক্রবার মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত গেল বছর ভারতের বিপক্ষে অনূর্ধ্ব–১৬ সাফের ফাইনাল হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল বাংলাদেশের। এবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সেই ভারত। প্রতিশোধের মাচ দিয়েই সাফের অনূর্ধ্ব-১৭ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় ভুটানের চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচ। এ মাসেই অনূর্ধ্ব-২০ সাফে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। সাফে প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশের সামনে ভারত বরাবরই অন্যরকম দল। খেলোয়াড়দের মধ্যেও কাজ করে বাড়তি চাপ। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল বললেন, ‘ভারতের বিপক্ষে খেললে একটু চাপ থাকে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। চাপ থেকে বেড়িয়ে স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে চাই। ’ প্রতিপক্ষের চাপ সামলানো গেলেও ভুটানের কন্ডিশন ভাবাচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। সেখানে মানিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ সময়ও পায়নি সাইফুল বারীর শিষ্যরা। সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক, কোচ দুজনেই কথা বলেছেন এ নিয়ে। অধিনায়কের কথায়, ‘ভুটানের আবহাওয়া বাংলাদেশ থেকে একটু ভিন্ন। এখানে ঠান্ডা পড়ছে, আর বাংলাদেশ আমরা গরমে অনুশীলন করে এসেছি। তবে এসবের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। ’টুর্নামেন্টে পা রাখার আগে কয়েক সপ্তাহ ক্যাম্প করার সুযোগ পেয়েছে তারা। সেটি অজানা থাকার কথা নয় বাংলাদেশ কোচের, ‘ভারতীয় টিমের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা তেমন কিছু জানি না। শুনেছি ইন্দোনেশিয়া, লাদাখে তারা অনুশীলন করেছে। তো টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ, আর সেটি যদি হয় ভারতের বিপক্ষে… তো এটা একটা বড় ব্যাপার। তাছাড়া তারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। আমার মনে হয় ছেলেরা এটা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। ’ এদিকে, ভারতীয় কোচ ইশফাক আহমেদ সমীহ করছেন বাংলাদেশকে। সেটি করাটাই যুক্তিযুক্ত। কেননা সাফের সব ক্যাটাগরি মিলিয়ে চারটি শিরোপা বাংলাদেশের দখলে। সাফ অঞ্চলে বাংলাদেশ যে শক্ত প্রতিপক্ষ সেটিই সংবাদ সম্মেলনে বলে গেলেন ইশফাক, ‘বাংলাদেশ অবশ্যই ভালো দল। সাফে তারা অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষ। বয়সভিত্তিক সাফে তারা সব বিভাগেই ভালো করছে। আমরা জানি বাংলাদেশকে হারানো মোটেও সহজ হবে না। এটা কঠিন ম্যাচ হবে, তবে আমরা তাদের মোকাবিলা করতে পেরে খুশি। প্রথম ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টে আমরা ভালো শুরু করতে চাই। আশা করি দর্শকরা একটা উপভোগ্য ম্যাচ দেখবেন। ’

আরও ৬ বছর রিয়ালেই থাকছেন লুনিন

আরও ৬ বছর রিয়ালেই থাকছেন লুনিন গত মৌসুমে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারের পাশাপাশি ইনজুরিতে পড়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের নিয়মিত গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। অনেকেই তখন ধারণা করেছিলেন বাজে মৌসুম যাবে তাদের। কিন্তু কোর্তোয়ার অভাব বুঝতে দিলেন না আন্দ্রে লুনিন।  ইউক্রেনের এই গোলরক্ষক একের পর এক সেভ দিয়ে নায়ক বনে গিয়েছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানে সবার ওপরে উঠে আসবে তার নাম। তাইতো লুনিনকে রেখে দিয়েছে রিয়াল। ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন তিনি। গতকাল এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে রিয়াল। মাত্র ১৯ বছর বয়সে রিয়ালের হয়ে যাত্রা শুরু হয় লুনিনের। যদিও প্রথম দুই মৌসুম তাকে ধারে পাঠানো হয় লেগানেস ও রিয়াল ভাইয়াদলিদে। পরে ২০২০-২১ মৌসুমে ফেরেন ক্লাবের হয়ে। তখনও খুব বেশি সুযোগ পাননি। কিন্তু গত মৌসুমে সুযোগ পান, আর জানান দেন নিজের যোগ্যতার। দলকে জেতান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।  রিয়ালের জার্সিতে এ পর্যন্ত ৪৮ ম্যাচের ১৬টিতে ক্লিন সিট রেখেছেন লুনিন। ইউরোপের সফলতম ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন দুইটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও দুইটি লা লিগাসহ মোট ১০টি শিরোপা।

 পরের ম্যাচেও অনিশ্চিত মেসি

পরের ম্যাচেও অনিশ্চিত মেসি চোটের কারণে অনেক দিন ধরে খেলার বাইরে লিওনেল মেসি। তাই মাঠে ফিরতে মরিয়া তিনি। মায়ামির হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর ফিলাডেলফিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে খেলায় ফিরতে অনুশীলনে করে যাচ্ছেন তিনি। তবে এরমধ্যেই ফ্লু আক্রান্ত হয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা। গত কোপা আমেরিকার ফাইনালে গোড়ালির চোটে পড়েছিলেন মেসি। তবে চোট সেরে যাওয়ায় অনুশীলনে ফিরলেও এখনও মাঠে ফেরা হয়নি তার। তার মাঠে ফেরার তাগিদে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে ফ্লু। যে কারণে এখন একক অনুশীলন করছেন তিনি। গত সপ্তাহে শিকাগো ফায়ারের বিপক্ষে খেলার কথা থাকলেও আর মাঠে ফেরা হয়নি মেসির। তবে আগামী ম্যাচে তাকে পাওয়া না গেলেও ১৯ সেপ্টেম্বর পরের ম্যাচে আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে দেখা যেতে পারে। মায়ামি হেরাল্ড জানিয়েছে, চোট জনিত কোনো সমস্যা নেই মেসির। ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ায় আলাদা অনুশীলন করছেন তিনি। মেসি এমএলএসে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলে ১২ গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছে ১৩টি। এরমধ্যে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচও মিস করেছেন তিনি।

ইকুয়েডরের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় ব্রাজিলের

ইকুয়েডরের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় ব্রাজিলের ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইয়ে টানা চার ম্যাচ কেটেছে জয় শূন্য। এরপর কোপা আমেরিকাতেও সঙ্গী হয়েছে ভরাডুবি। ব্রাজিলের সময়টা বেশ খারাপ যাচ্ছিলো। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়ে সেই সময় পেছনে ফেলে জয়ের ধারায় ফিরলো দরিভাল জুনিয়রের দল। জয় পেতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে ব্রাজিলকে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের লড়াইয়ে তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে ইকুয়েডরকে। বাংলাদেশ সময় শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। ঘরের মাঠে তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় তারা। তবে রদ্রিগোর ফ্রি কিকে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে হেড লক্ষ‍্যে রাখতে পারেননি লুইস এইহিক। দ্বাদশ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে রদ্রিগোর শট ফেরান ইকুয়েডর গোলরক্ষক হেরমান গালিনদেস। গোলের নেশায় ক্ষুধার্ত হয়ে ওঠা ব্রাজিল একের পর এক আক্রমণ করে যেতে থাকে। তাতে ফল মেলে ৩০তম মিনিটে। লুকাস পাকেতার কাছ থেকে বল পেয়ে চমৎকার ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন রিয়াল তারকা রদ্রিগো। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেই ব্রাজিল বিরতিতে যাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছিলো। কিন্তু যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলেছিল ইকুয়েডর। বল পায়ে এগিয়ে যান কেভিন রদ্রিগেজ। তার পাস খুঁজে নেয় কেইসেদোকে। সামনে কেবল আলিসন। কেইসেদোর শট তিনি ঠেকালেও হাতে রাখতে পারেননি। ফিরতি শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন গাব্রিয়েল মাগালিয়াইস। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দারুণ জমে ওঠে ম‍্যাচ। ৬৫তম মিনিটে গতি ও পায়ের কারিকুরিতে ঝলক দেখান ভিনিসিউস। তবে তার শট সহজেই ঠেকান ইকুয়েডর গোলরক্ষক। এরপর নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা সময়ে একটি সুযোগ পায় ইকুয়েডর। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি তারা। এই নিয়ে ৭ ম‍্যাচে তৃতীয় জয় পেল ব্রাজিল। তাদের পয়েন্ট হলো ১০। পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে উঠে এলো পাঁচবারের বিশ্ব চ‍্যাম্পিয়নরা। সমান ম‍্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে নেমে গেল ইকুয়েডর। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় আছে বিশ্ব চ‍্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

বড় ব্যবধানে চিলিকে হারালো মেসিহীন আর্জেন্টিনা

বড় ব্যবধানে চিলিকে হারালো মেসিহীন আর্জেন্টিনা ইনজুরির কারণে লিওনেল মেসি ছিলেন না। ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দল থেকে বিদায় নিয়েছেন আনহেল দি মারিয়াও। আক্রমণভাগের দুই অগ্রসৈনিকের অনুপস্থিতির কারণে অবশ্য খুব একটা ভুগতে হয়নি আর্জেন্টিনাকে। আজ ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে চিলিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। বুয়েনস এইরেসের এন্তাদিও মাস মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের জয়ে গোল করেছেন আলেক্সিস মাক আলিস্তার, হুলিয়ান আলভারেজ এবং বদলি নামা পাওলো দিবালা। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার বল পেলেও তেমন একটা সুবিধা করতে পারছিল না আর্জেন্টিনা। তাদের বেশ কয়েকটি আক্রমণ প্রতিপক্ষের বক্সে গিয়ে প্রতিহত হয়। সুযোগ এসেছিল চিলির সামনেও। কিন্তু তাদের একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য নতুন রূপে দেখা দেয় আর্জেন্টিনা। ৯১তম মিনিটে গারনাচোর অ্যাসিস্টে বদলি হিসেবে নামা দিবালার গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয় আর্জেন্টাইনদের। এই জয়ে দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইয়ে ৭ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা। আগামী মঙ্গলবার কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা।  

মোরসালিনের গোলেই জিতল বাংলাদেশ

মোরসালিনের গোলেই জিতল বাংলাদেশ ফিফা প্রীতি ম্যাচে ভুটানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন শেখ মোরসালিন। যদিও এরপর আর কোনো গোল হয়নি। তাই জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে  ম্যাচের পাঁচ মিনিটেই গোল করে দলকে লিড এনে দিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলার শেখ মোরসালিন।  অনেকটা সৌভাগ্যপ্রসূত গোলেই দলকে এগিয়ে দেন তিনি। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে করা রাকিবের ক্রস ফিস্ট করে ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করেন নেপালের গোলরক্ষক শেরিং ধেনদুপ। বল যেয়ে পড়ে মোরসালিনের পায়ে, সেখান থেকে বল জালে জড়াতে কোনও ভুল করেননি এই তরুণ তারকা। ১৮ মিনিটে সতীর্থের লং ক্রস গতি দিয়ে সাদউদ্দিনকে পেছনে ফেলে নিয়ন্ত্রণে নেন নিমা ওয়াংদি। কিন্তু তার শট পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন মিতুল মারমা। কর্নারে ইয়েশে গাইয়েতলসেনের হেড দূরের পোস্ট ঘেঁষে বরিয়ে যায়। বিরতির পর রাকিবের বদলি হিসেবে শাহরিয়ার ইমনকে নামান কোচ কাবরেরা। আর ভুটান নামে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে। ৫০ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে বাংলাদেশে জাল কাপায় ভুটান। তবে অফ সাইডের কারণে পরে গোল বাতিল হয়। বাকি সময়ে দুই দলই চেষ্টা করেছে, তবে কোনো দলই জালের দেখা পায়নি। ভুটানের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের দশম জয়। দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর।

ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই মেসি-রোনালদো

ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই মেসি-রোনালদো গত বুধবার রাতে ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’- এর পুরস্কার ব্যালন ডি’অর ২০২৪ এর ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০০৩ সালের পর প্রথমবার ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কেউই। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ব্যালন ব্যালন ডি’অরে আধিপত্য ছিল এই দুইজনের। গত ১৬ বছরের মধ্যে ১৩ বারই তারা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন পুরস্কারটা। তবে সময়ের পরিক্রমায় শেষ হতে যাচ্ছে মেসি-রোনালদোর আধিপত্য। দু’জনের কেউ এই বছরের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও জায়গা পাননি! মেসি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন রেকর্ড আটবার। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার পেয়েছেন রোনালদো। ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই দু’জনের বাইরে কেউ পুরস্কারটি জিততে পারেননি। ২০১৮ সালে লুকা মদ্রিচ মেসি-রোনালদোকে থামিয়ে হাতে নেন এই পুরস্কার। এবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের এই পুরস্কার জয়ের লড়াইয়ে আছেন বেশ কয়েকজন তরুণ ফুটবলার। এই তালিকায় এগিয়ে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, জুড বেলিংহাম ও ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হালান্ড। ব্যালন ডি’অরের জন্য ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা: জুড বেলিংহাম (রিয়াল মাদ্রিদ), রুবেন দিয়াস (ম্যানচেস্টার সিটি), ফিল ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি), ফেদেরিকো ভালভের্দে (রিয়াল মাদ্রিদ), এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), আর্লিং হালান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি), নিকো উইলিয়ামস (অ্যাটলেটিকো বিলবাও), গ্রানিত জাকা (বায়ার লেভারকুজেন), আর্তেম দোভিক (জিরোনা/রোমা), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), দানি ওলমো (লাইপজিগ/বার্সেলোনা), ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ (বায়ার লেভারকুজেন), মার্টিন ওডেগোর (আর্সেনাল), মাটস হুমেলস (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি), হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ), ডেকলান রাইস (আর্সেনাল), ভিতিনিয়া (পিএসজি), কোল পালমার (ম্যানচেস্টার সিটি/চেলসি), দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ), লামিনে ইয়ামাল (বার্সেলোনা), বুকায়ো সাকা (আর্সেনাল), হাকান কালহানোগলু (ইন্টার মিলান), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল), কিলিয়ান এমবাপে (পিএসজি/রিয়াল মাদ্রিদ), লাউতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান), অ্যাডেমোলা লুকম্যান (আতালান্তা), আন্টোনিও রুডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ), আলেক্স গ্রিমাল্দো (বায়ারলেভারকুজেন)।

হকির ওস্তাদ ফজলু আর নেই

হকির ওস্তাদ ফজলু আর নেই নাম হাজি মো. ফজলুল ইসলাম হলেও তাকে সবাই চেনেন ‘ওস্তাদ ফজলু’ নামে। বাংলাদেশের হকিতে যিনি পরিচিতি এক নাম। তিনি আজ চলে গেছেন না ফেরার দেশে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।  সাবেক এই হকি খেলোয়াড় মৃত্যুকালে স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। এমনিতে আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন। স্ট্রোক করার পর অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠে হকি অঙ্গনে ফিরেছিলেন। এবার আর ফেরা হয়নি। আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিজ বাসার বারান্দায় হঠাতই পড়ে যান। হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। ততক্ষণে সব শেষ। সকালেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি।  বাংলাদেশের হকির পাইপলাইন ছিল বিকেএসপি ও পুরান ঢাকা। এই দুই জায়গা থেকেই মূলত হকি খেলোয়াড় উঠে আসত। পুরান ঢাকায় বছরের পর বছর হকি নিয়ে কাজ করেছেন ফজুল । অসংখ্য খেলোয়াড় তার হাতে তৈরি যারা এখন ও বিগত সময়ে জাতীয় দলে খেলেছেন।

ক্যারিয়ারে সবচেয়ে খারাপ কোচের নাম জানালেন ডি মারিয়া

ক্যারিয়ারে সবচেয়ে খারাপ কোচের নাম জানালেন ডি মারিয়া আর্জেন্টাইন তারকা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া অনেক কোচের অধীনেই খেলেছেন। তাদের মধ্যে ভালো খারাপ থাকলেও খুব বাজে কেউ থাকতে পারে সেটা অকল্পনীয়। তবে ডি মারিয়া জানালেন, তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে খারাপ কোচ একজন আছেন, তিনি লুইস ফন গাল। সম্প্রতি ইএসপিএনকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মারিয়া। সেখানেই জানিয়েছেন, তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে খারাপ কোচ ফন গাল। ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলার সময় এক মৌসুম ফন গালকে কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন উইঙ্গার। তখনই অনুভব করেছেন ফন গালের দর্শন। যা তাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি।  ফন গালের ওপর ডি মারিয়া এতোটাই নাখোশ যে, খারাপের সার্টিফিকেট দিতে একবিন্দু দ্বিধা করেননি।  ডি মারিয়ার ভাষায়, ‘সবচেয়ে বাজে কোচ হচ্ছে ফন গাল, এ বিষয়ে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন। যদি কোনো সন্দেহ থাকে তবে আমি বিষয়টা পরিষ্কার করে দিলাম।’ ক্যারিয়ারের সেরা কোচদের নিয়েও বলেছেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা।  ডি মারিয়ার ভাষায়, সেরা কোচ লিওনেল স্কালোনি। বিশ্বকাপজয়ী এ কোচকে ‘অন্যতম সেরাদের একজন’ বলেন তিনি। আর্জেন্টিনার প্রয়াত দুই কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলা ও ম্যারাডোনাকে তালিকায় রেখেছেন তিনি।  ম্যারাডোনাকে নিয়ে ডি মারিয়া বলেন, ‘আমি তাকে কোচ হিসেবে দেখি না। সে আমার কাছে  একজন বন্ধু, ভাই এবং বাবার মতো ছিল। আমাকে নিয়ে যত বেশি সমালোচনা হয়েছে, সে আমাকে তার চেয়ে বেশি সমর্থন দিয়েছে। আমি আগেও বলেছি, লিও সর্বকালের সেরা। কিন্তু ডিয়েগো হচ্ছে ডিয়েগো। আমার জন্য, আর্জেন্টিনার জন্য এবং বিশ্বের জন্য।’

৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ নুনিয়েস

৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ নুনিয়েস কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কলম্বিয়ান দর্শকদের সঙ্গে লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়ে ৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন উরুগুয়ের ফুটবলার দারউইন নুনিয়েস। শুধু তা-ই নয়,  তাকে ২০ হাজার ডলার জরিমানাও করেছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল। নুনেস ছাড়াও উরুগুয়ের আরও দশ ফুটবলারকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। টটেনহামে খেলা উরুগুয়ের মিডফিল্ডার রদ্রিগো বেন্তাঙ্কুর নিষিদ্ধ হয়েছেন ৪ ম্যাচ। ৩ ম্যাচ করে নিষিদ্ধ হয়েছেন উরুগুয়ের তিন ডিফেন্ডার মাথিয়াস অলিভেরা, রোনালদ আরাউহো ও হোসে মারিয়া হিমিনেজ। বাকি ছয়জনকে শুধু জরিমানা করা হয়েছে। ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে কলম্বিয়া। ম্যাচের অনেকটা সময় একজন বেশি নিয়ে খেলেও হারের হতাশা গ্রাস করে ফেলে উরুগুয়ের ফুটবলারদের। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার পরপরই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন কলম্বিয়া-উরুগুয়ের ফুটবলাররা। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই বেশ কয়েকজন সতীর্থকে সঙ্গে নিয়ে গ্যালারিতে থাকা কলম্বিয়ান ভক্তদের ওপর চড়াও হন দারউইন নুনিয়েস। এমনকি হাতাহাতি করতেও দেখা যায় তাকে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই দৃশ্যটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।