সংবর্ধনা নিতে যমুনায় সাফজয়ী নারী ফুটবল দল

সংবর্ধনা নিতে যমুনায় সাফজয়ী নারী ফুটবল দল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে সংবর্ধনা গ্রহণ করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেছে সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। শনিবার ২ নভেম্বর সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলটি সকাল সাড়ে ১০টায় যমুনায় প্রবেশ করেন। বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। নেপালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ জিতে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেদিন সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের বরণ করে নিতে বাফুফে ভবনে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে অপেক্ষা করছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়। বিকেল ৪টায় বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে করে রওয়ানা দেওয়ার তিন ঘণ্টা পর বাফুফে ভবনে এসে পৌঁছায় সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা।
সাবিনাদের কোটি টাকা পুরস্কার দেবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

সাবিনাদের কোটি টাকা পুরস্কার দেবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের এক কোটি টাকা পুরস্কার দেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। আজ বাফুফে ভবনে এমন ঘোষণা দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আগামী শনিবার বেলা ১১টায় সাবিনা খাতুনের দলকে সংবর্ধনা দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। বাফুফে ভবনে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। দেশে ফেরার পর তাদের সংবর্ধনা দিতে আমি বাফুফেতে এসেছি। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় নারী ফুটবল দলের সঙ্গে দেখা করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা। আগামী শনিবার বেলা ১১ টায় তিনি তার বাসভবনে নারী ফুটবল দলকে দাওয়াত দিয়েছেন। জাতিকে সুন্দর এই বিজয় উপহার দেওয়ার জন্য নারী ফুটবল দলকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে ১ কোটি টাকা পুরস্কারের ঘোষণা করছি। ’’বিসিবিও একটি পুরস্কার ঘোষণা করেছে তাদের জন্য। আমরা তাদেরকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশবাসী ও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে। নেপালের স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সমর্থকদের সামনে সাহসীভাবে একটি বিজয় তারা বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে। এজন্য আবারও তাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। দেশবাসী তাদের যেভাবে বরণ করেছে সেজন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ‘ এদিকে গতকাল দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে আসরের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে মেয়েদের সাফের শিরোপা ধরে রাখে বাংলাদেশ। হিমালয়ের দেশে আবারও সফলতার খুঁটি গেড়ে তারা নিজেদের নিয়ে গেলেন অনন্য এক উচ্চতায়। আজ দেশে ফেরার পর ছাদখোলা বাসে করে বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবনে আসেন তারা।
আবারও নোপালকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

আবারও নোপালকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ হিমালয়ের পাদদেশে আবারও উড়লো বাংলাদেশের পতাকা। আরও একবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পরলো বাংলাদেশের মেয়েরা। অক্ষুন্ন রাখলো শিরোপা। আবারও সেই নেপালকে হারিয়ে। আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে ‘নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪’ এ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এমন জয়ে দুটি গোলই করেন ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা। এর আগে ২০২২ সালে এই নেপালকেই ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সাবিনা-তহুরারা। এবার তাদের ঝুলিতে উঠলো আরও একটি দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা। এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। তবে বিরতির পর পরই (৫২ মিনিটে) এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এ সময় আক্রমণে ওঠে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। নেপালের ডি বক্সের সামনে বল পেয়ে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তিনি বাড়িয়ে দেন সামনে থাকা তহুরা খাতুনকে। তহুরা বল বাড়িয়ে দেন ডি বক্সের ভেতরে। দৌড়ে গিয়ে সেটাতে কোনোরকমে ডান পা লাগিয়ে জালে পাঠিয়ে দেন ঋতুপর্ণা চাকমা। তাকে রুখতে আসা নেপালের গোলরক্ষক ও আরেকজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় সেখানেই ভূপাতিত হন। তবে বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি বাটলারের শিষ্যরা। ৫৬ মিনিটেই নেপাল ফেরায় সমতা। এ সময় মাঝমাঠের সামনে বল পেয়ে যান নেপালের প্রীতি রাই। তিনি চিকন করে বাড়িয়ে দেন সামনে থাকা আমিশা কারকিকে। তিনি বলকে অনুসরণ করে ঢুকে পড়েন ডি বক্সের মধ্যে। তখন তার সামনে ছিলেন কেবল বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। তাকে পরাস্ত করে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান আমিশা। ৬১ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল নেপাল। এ সময় সাবিত্রা ভান্ডারি বাংলাদেশের গোলররক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। দূরের পোস্টে তার নেওয়া শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে ৮১ মিনিটে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এ সময় বামদিকে থ্রো পায় বাংলাদেশ। থ্রো থেকে শামসুন্নাহার সিনিয়রের বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে যান ঋতুপর্ণা। একটু সামনে এগিয়ে বাম পায়ে লম্বা শট নেন। সেটি নেপালের গোলরক্ষক আনজিলার হাত ছুঁয়েও জালে প্রবেশ করে।
ভিনিসিউসকে টপকে ব্যালন ডি’অর জিতলেন রদ্রি

ভিনিসিউসকে টপকে ব্যালন ডি’অর জিতলেন রদ্রি ব্যালন ডি’অরের পুরস্কার নিয়ে এমন নাটকীয়তা নিকট অতীতে আর হয়নি। পুরস্কার বিতরণের কয়েক ঘণ্টা আগে শুরু হয় নাটকীয়তা, এর মাঝেই রিয়াল মাদ্রিদ ঘোষণা দেয় অনুষ্ঠান বয়কটের। আলোচনা-সমালোচনার ধাপ পেরিয়ে ঘোষণা হয় ২০২৪ সালের বর্ষসেরা ফুটবলারের নাম। তাতে রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিউস জুনিয়রকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো বর্ষসেরার খেতাব জিতে নিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি। সোমবার (২৮ অক্টোবর) প্যারিসে জমকালো অনুষ্ঠানে রদ্রির হাতে তুলে দেওয়া হয় ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’- এর এই সেরার পুরস্কার। রদ্রির হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন ১৯৯৫ সালের সেরা ফুটবলার জর্জ ওয়েহ। এর মধ্যে দিয়ে ফুরালো স্পেনের ছয় দশকের আক্ষেপ। সবশেষ ১৯৬০ সালে পুরস্কারটি জিতেছিলেন লুইস সুয়ারেজ। ব্যালন ডি’অরের এবারের তালিকায় ছিলেন না লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০০৩ সালের পর এবারই প্রথম সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন না এ দুজন। ফলে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিউস। গত মৌসুমে রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। সোমবার শুরু হয় নাটকীয়তা। ব্যালন ডি’অরের ১২ জনের একটি তালিকা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে সবার ওপরে দেখা যায় ভিনিসিউসের নাম। খানিক পরই জানা যায়, ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানের জন্য প্যারিসে যাচ্ছেন না রিয়াল মাদ্রিদের কেউ, কারণ ক্লাবটি বুঝতে পেরেছে, ভিনিসিউস নয়, বর্ষসেরার পুরস্কারটি পাচ্ছেন রদ্রি। রদ্রির পারফরম্যান্সও বেশ উজ্জ্বল ছিল গত মৌসুমে। সিটির টানা চতুর্থ প্রিমিয়ার লিগ জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। গত জুলাইয়ে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেনের শিরোপা জয়েও এই স্প্যানিয়ার্ড রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সিটির হয়ে ২০২৩-২৪ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫০ ম্যাচে ৯ গোল ও ১৪ অ্যাসিস্ট করেন। এদিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়েদের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আইতানো বনমাতি। গত মৌসুমে বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লিগা এফ, কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। স্পেনের নেশন্স লিগ জয়েও তার ছিল উল্লেখযোগ্য অবদান। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ২০২৩-২৪ মৌসুমে ২৬ গোল করার পাশাপাশি তিনি অ্যাসিস্ট করেন ১৮টি।
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-নেপাল

নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-নেপাল নারী সাফে গত ফাইনালের মতো এবারও প্রতিপক্ষ হিসাবে নেপালকে পেয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল রাতে কাঠমান্ডুতে নাটকীয় সেমিফাইনাল ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর সরাসরি টাইব্রেকিংয়ে নেপাল ৪-২ গোলে হারায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে। দুই দফায় খেলা বন্ধ ছিল। একবার লাল কার্ড ইস্যুতে। নেপালের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার রেখাকে লাল কার্ড দেখান ভুটানের রেফারি। এ নিয়ে ১০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। খেলা শুরু হলে নেপাল ১০ জন নিয়েই লড়াই করে গোল হজম করে। ৫২ মিনিটে ভারতের সঙ্গীতা গোল করেন, ১-০। গোলের পর কিকঅফ করেই গোল করে নেপাল। কিন্তু ভুটানি রেফারি ওম চোকি সেই গোল বাতিল করেন। প্রতিবাদে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। নেপালের ফুটবলাররা মাঠের সাইড লাইনে চলে যান। এ নিয়ে ৪০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। পরে নেপালের সিনিয়র কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে তাদের ফুটবলাররা গোল বাতিলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে খেলায় নামে। ৫ মিনিটের মধ্যে নেপাল গোল করে পুরো ম্যাচের নাটক বদলে দেয়।
প্রতিপক্ষের হামলায় ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সমর্থকের মৃত্যু

প্রতিপক্ষের হামলায় ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সমর্থকের মৃত্যু প্রতিপক্ষের হামলায় ব্রাজিলের এক ফুটবল সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। গেল রোববার সকালে ব্রাজিলের সাও পাওলোতে এই ঘটনা ঘটেছে। ওই সমর্থকরা যখন খেলা শেষে বাসে করে ফিরে যাচ্ছিলেন তখন রাস্তার পাশে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ওই হামলায় কমপক্ষে আরও ১২ জন আহত হয়েছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তি ক্রুজেইরো দলের সমর্থক ছিলেন। ওই দিন ক্রুইজেরো মুখোমুখি হয়েছিল অ্যাথলেটিকো পারানায়েন্সের। ম্যাচে ক্রুইজেইরো ৩-০ ব্যবধানে হার মানে। ম্যাচ শেষে ওই সমর্থক বাসে করে বেলো হরিজন্তেতে ফিরছিলেন। ব্রাজিলের ফেডারেল রোড পুলিশ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া সমর্থকের বয়স ৩০ বছর। এর বেশি তথ্য তারা দিতে পারেননি। একটি ভিডিওতে দেখা যায় বাসে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ক্রুইজের বেশ কিছু সমর্থক মাটিতে পড়ে আছেন। তাদের লাঠিসোটা দিয়ে পেটাচ্ছে অ্যাথলেটিকোর সমর্থকরা। এই ঘটনায় ক্রুজেইরো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশের পাশাপাশি এই হামলা ও হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। যদিও সাওপাওলো ভিত্তিক ক্লাব অ্যাথলেটিকো পারানায়েন্স এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি কিংবা মন্তব্য প্রকাশ করেনি।
ফাইনালে আবারও নেপালকে পেল বাংলাদেশ

ফাইনালে আবারও নেপালকে পেল বাংলাদেশ দুই বছর আগে অর্থাৎ ২০২২ সালের নারী সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। দুই বছর পর শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আবারও ফাইনালে উঠেছেন সাবিনা-তহুরারা। ফাইনালে আবারও সেই নেপালকে পেয়েছে তারা। রোববার (২৭ অক্টোবর) রাতে ঘটনাবহুল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে নেপালের মেয়েরা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হয়েছিল। অবশ্য নির্ধারিত সময় বললে ভুল হবে। ৯০ মিনিটের খেলা নানাকাণ্ডে আর ঘটনায় গড়িয়েছিল ১৭৫ মিনিট পর্যন্ত। যেটার শুরুটা হয়েছিল নেপালের একজন ফুটবলারের লাল কার্ড দেখা নিয়ে। সেটা আসলেই লাল-কার্ড পাওয়ার মতো ছিল কিনা সেটা নিয়ে প্রায় ১০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। এরপর একের পর এক কাণ্ডে ও ঘটনায় খেলা বন্ধ ও শুরু হতে থাকে। ৬২ মিনিটে ভারতের সঙ্গীতা বাসফোরি ডি বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। তবে ৮৮ মিনিটে নেপালের তারকা খেলোয়াড় সাবিত্রা ভান্ডারি পাল্টা আক্রমণে অসাধারণ গোল করে সমতা ফেরান। এই সমতা নিয়ে ১৭৫ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ যায়। এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ভারত তাদের প্রথম শট মিস করে। এরপর নেপালের গোলরক্ষক ভারতের চতুর্থ শট রুখে দিয়ে নেপালকে ৪-২ ব্যবধানের জয় এনে দেন। বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেপাল। বাংলাদেশের সামনে দ্বিতীয় শিরোপার হাতছানি। অন্যদিকে নেপালের সামনে প্রথম শিরোপা জয়ের।
ভুটানকে ৭ গোল দিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

ভুটানকে ৭ গোল দিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন এবারের আসরে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে জোড়া গোলে ম্যাচ জয়ের মধ্যমণি হয়ে উঠেছিলেন। সেমিফাইনালেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন। এবার করলেন হ্যাটট্রিক। তার হ্যাটট্রিকে তৃতীয়বারের মত নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দল। সপ্তম আসরের প্রথম সেমিফাইনালে আজ তারা হারিয়েছে ভুটানকে। সাফের আগের আসরের সেমিফাইনালে ভুটানকে পেয়েছিল বাংলাদেশ! সেবার তাদের পাত্তাই দেয়নি বাংলার বাঘিনীরা, প্রতিপক্ষকে আট উড়িয়ে দিয়েছিল। সেই স্মৃতি যেন আবারো কাঠমান্ডুতে ফেরাল লাল-সবুজের দল। এবার ৭-১ গোলের বিশাল জয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছে গেল বর্তমান শিরোপাধারীরা। ২০১৬ ও ২০২২ সালের আসরে ফাইনাল খেলেছিলো বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে রানার্স-আপ হলেও, ২০২২ সালে প্রথমবারের মত শিরোপা জিতেছিলো বাংলাদেশ।
মেসির গোল ছাড়াই জিতলো মিয়ামি

মেসির গোল ছাড়াই জিতলো মিয়ামি লিওনেল মেসি যেন স্বপ্নের ফর্মে। জাতীয় দল আর ক্লাব-টানা দুই ম্যাচে করেছেন হ্যাটট্রিক। ফলে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) প্রথম প্লে-অফে সবার চোখ ছিল আর্জেন্টাইন অধিনায়কের ওপর। এবার অবশ্য গোল পাননি মেসি। তবে দলের সেরা তারকার গোল ছাড়াই জিতেছে ইন্টার মিয়ামি। ঘরের মাঠে আটালান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে মিয়ামির জয় ২-১ গোলে। এতে করে এমএলএসে তিন ম্যাচের প্লে-অফ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল মেসির দল। দাপট দেখিয়ে খেলা ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই লুইস সুয়ারেজের গোলে এগিয়ে যায় মিয়ামি। ৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মেসির শট কোনোরকমে ঠেকান আটলান্টা গোলরক্ষক ব্রাড গুজান। ২৬ মিনিটে আবারও দুর্দান্ত সেভ করে মেসিকে গোলবঞ্চিত করেন তিনি। ৩৯ মিনিটে সাবা লবঝানিজের গোলে সমতা ফেরায় আটালান্টা। বিরতির পর জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে মিয়ামি। ৫২ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মেসি। তবে ৬০ মিনিটে জর্দি আলবার গোল আসে মেসির সহায়তায়ই। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিয়ামি।
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপে ৭ গোলে বাংলাদেশের কাছে হারলো ম্যাকাও

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপে ৭ গোলে বাংলাদেশের কাছে হারলো ম্যাকাও এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপে ম্যাকাওকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ। নুরুল হুদা ফয়সাল একাই করেন চার গোল। আজ নমপেনের প্রিন্স স্টেডিয়ামে ম্যাকাওয়ের জালে ৭ গোল উড়িয়ে দিয়েছেন সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। বিপরীতে একটি গোলও হজম করতে হয়নি। ম্যাচের ৪০ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন নুরুল হুদা ফয়সাল। সতীর্থের পাস ধরে বক্সে ঢুকে তিন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। পরে হ্যাটট্রিকের স্বাদও পান এই ফরোয়ার্ড। বিরতির পর ৬৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোহাম্মদ মানিক। ৭১ মিনিটে বাঁ প্রান্তের ক্রসে রিফাত কাজী কোনাকুনি শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। দুই মিনিট পরই ম্যাকওয়ের হয়ে আত্মঘাতী গোল ট্যাং টিন। বাকিটা সময় কেবল আধিপত্য দেখান ফয়সালই। বাকি তিনটি গোলই আসে তার কাছ থেকে। বড় জয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকলো বাংলাদেশ। বাছাইপর্বের দশটি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও সেরা পাঁচ রানার্সআপ দল আগামী বছর চূড়ান্ত পর্বে খেলবে। কম্বোডিয়ায় বাছাইপর্বে তিন ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৬। এর আগে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক কম্বোডিয়ার কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। ২৭ অক্টোবর আসরের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে তারা।