সেমিফাইনালের আগে সুখবর আর্জেন্টিনার

সেমিফাইনালের আগে সুখবর আর্জেন্টিনার চলমান কোপায় অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে পা রেখেছে আর্জেন্টিনা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ কানাডা। এই ম্যাচে জয় পেলেই শিরোপার মঞ্চে পা রাখবে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আগামী ১০ জুলাই বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় আর্জেন্টিনা ও কানাডার সেমিফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে।কানাডার বিপক্ষে সাফল্য পেতে পুরোদমে অনুশীলনে ব্যস্ত আলবিসেলেস্তেরা। আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম টিওয়াইসি প্রকাশিত এক বার্তায় জানা যায় আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের অনুশীলনের সময় এমি মার্টিনেজ তার দলের সতীর্থ এবং আর্জেন্টিনার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন। তিনি বলেন, আরো একবার জয় তারপরই ফাইনাল।
আক্ষেপ নিয়ে টনি ক্রুসের বিদায়

আক্ষেপ নিয়ে টনি ক্রুসের বিদায় স্পেনের বিপক্ষে হেরে এবারের ইউরো মিশন শেষ হয়েছে জার্মানির। ঘরের মাঠে অন্যতম ফেভারিট হিসেবে খেলেও শিরোপা ঘরে তুলতে পারল না দলটি। সেই আক্ষেপ নিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন টনি ক্রুস। বিদায়ের দিনে অনেকটা আবেগজড়িত কণ্ঠেই জানিয়েছেন, আরেকটু থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে টনি ক্রুস বলেন, ‘আমরা যা করেছি তার জন্য গর্ববোধ করতে পারি। দলকে সাহায্য করতে পেরে আমি খুশি। আমার ধারণা, আমরা জার্মান ফুটবলকে আবারও আশা দেখিয়েছি এবং সময় যত এগিয়েছে দল হিসেবে আমরা তত ভালো হয়েছি। এই দলটা ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে। কিন্তু আজকে আমাদের অনেক মন খারাপ, কারণ আমরা আরেকটু সময় থাকতে চেয়েছিলাম।’ নিজের শেষ ম্যাচেও মাঠে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করেছেন ক্রুস। তার ট্যাকলেই ম্যাচের অষ্টম মিনিটে আহত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্প্যানিশ তারকা পেদ্রিকে। প্রতিপক্ষের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্ট্রাইকার লামিন ইয়ামালকেও আটকে রেখেছেন তিনি। তবে জার্মানির স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ১১৯তম মিনিটে করা মিকেল মোরেনোর গোল। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৫১ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় স্পেন। জার্মানি ওই গোল পরিশোধ করেছে ম্যাচ শেষের স্রেফ ১ মিনিট আগে। নির্ধারিত সময়ের খেলা ড্র হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে দানি ওলমোর দুর্দান্ত এক ক্রসে মাথা ছুঁয়ে গোল করেন স্পেনের মোরেনো। আর তাতেই ইউরো থেকে ছিটকে যায় জার্মানি। বিদায় হয়ে যায় টনি ক্রুসেরও।
ব্রাজিলের ম্যাচে আর্জেন্টিনার তিন রেফারি

ব্রাজিলের ম্যাচে আর্জেন্টিনার তিন রেফারি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মহাদ্বৈরথ যেন থামার নয়। ফুটবল মাঠে দুই দলের লড়াইয়ের ঝাঁজ ছড়িয়ে গেছে সর্বত্র। কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচেও থাকছে আর্জেন্টিনা! এই ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব থাকছেন তিনজন আর্জেন্টাইন রেফারি। ব্রাজিল-উরুগুয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচের অফিসিয়ালদের নাম প্রকাশ করেছে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল। তাতে দেখা যায়, ম্যাচের মূল রেফারিসহ তিনজনই আর্জেন্টাইন। আহামীকাল রোববার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও উরুগুয়ে। এই ম্যাচের জয়ী দল সেমি-ফাইনালে খেলবে কলম্বিয়া ও পানামার মধ্যকার ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে। চার কোয়ার্টার ফাইনালের শেষটিতে অ্যালেজিয়েন্ট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচে মূল রেফারি হিসেবে থাকছেন আর্জেন্টিনার দারিও হেরেরা। তার সহকারী হিসেবে থাকবেন আর্জেন্টিনার হুয়ান বেলাত্তি ও ক্রিস্টিয়ান নাভারো। চতুর্থ ও পঞ্চম রেফারি এল সালভাদরের ইভান বারটন ও নিকারাগুয়ার হেনরি পুপিরো। ব্রাজিলের ম্যাচে আর্জেন্টাইন রেফারি নিয়ে এতো আলোচনার অবশ্য কারণ আছে। এর আগে গ্রুপ পর্বে কলম্বিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টাইন রেফারি মাউরো ভিগলিয়ানোর ভুলে একটি পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছিল ব্রাজিল। মাউরো ভিএআরের দায়িত্বে ছিলেন। পরে ভুল স্বীকার করে নেয় কনমেবল।
ফাইনালের আগে আজ রাতে মুখোমুখি হবে স্পেন-জার্মানি

ফাইনালের আগে আজ রাতে মুখোমুখি হবে স্পেন-জার্মানি একদিকে স্পেন-জার্মানি অন্যদিকে পর্তুগাল-ফ্রান্স। ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে যেন ফাইনালের রোমাঞ্চ উপহার দিচ্ছে। আজ রাত ১০টায় স্টুটগার্টে স্বাগতিক জার্মানদের মুখোমুখি উড়ন্ত স্পেন। ম্যাচটি ঘিরে এরই মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। ইউরোপের দুই ফুটবল পরাশক্তির বহুল প্রতিক্ষীত এই ম্যাচটির দিকে চোখ থাকবে ফুটবল বিশ্বের। এই ম্যাচে জয়ী দল সেমিফাইনালে পর্তুগাল বনাম ফ্রান্সের মধ্যকার বিজয়ী দলের মোকাবিলা করবে। গ্রুপপর্বে তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে স্পেন। গত রোববার শেষ ষোলোর ম্যাচে তারা জর্জিয়াকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে শেষ আটে উঠেছে। এ নিয়ে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ ম্যাচে জয়ের ধারা ধরে রেখেছে স্পেন। লুইস ডি লা ফুয়েন্তের তারুণ্যনির্ভর দল আত্মবিশ্বাসী মনোভাব নিয়েই জার্মানির বিপক্ষে মাঠে নামতে যাচ্ছে। শেষ পাঁচটি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে এই প্রথম তারা শেষ আটের টিকেট পেয়েছে। এমনকী খোদ জার্মানির জসুয়া কিমিচ স্বীকার করেছে এবারের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দল হলো স্পেন। ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম স্থানে থাকা স্পেন ১৯৮৮ সালের পর জার্মানির বিপক্ষে শেষ ছয়টি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচের একটিতেও হারেনি। ছয়টি ম্যাচের তিনটিতে জয় ও তিনটি ড্র হয়েছে। ২০২২ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে এই দুই দলের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। স্পেনের একটি অভিশপ্ত রেকর্ড রয়েছে। ইউরো কিংবা বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে কখনই তারা স্বাগতিক দেশকে হারাতে পারেনি। ১৯৩৪ সালের পর থেকে এমন নয়টি ম্যাচেই প্রতিটিতেই তারা পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। এদিকে, ১৯৯৬ সালের পর প্রথম ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পথে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে স্বাগতিক জার্মানি। বিশ্বকাপে ১৪ বার ও ইউরোতে পাঁচবার মিলিয়ে সর্বমোট ১৯তম কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে মাঠে নামবে জার্মানি। বৈশ্বিক এই দুটি বড় টুর্নামেন্টে আর কোনো দল এতবার শেষ আটে খেলেনি। ইউরো ২০২৪’এ সবচেয়ে বেশী গোল (১০), সবচেয়ে বেশী আক্রমন (২৬৫), গোলের সবচেয়ে বেশী শট (৭১), গড়ে সর্বোচ্চ পজিশন (৬২%) নিয়ে শেষ আটে খেলতে নামবে জার্মানরা। তার ওপর বাড়তি অ্যাডভান্টেজ হিসেবে থাকছে স্বাগতিক সমর্থক। সব মিলিয়ে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সব ক্ষেত্রই প্রস্তুত আছ। এখন শুধু মাঠে নিজেদের প্রমাণের অপেক্ষা। ঘরের মাঠে শেষ আট ম্যাচে অবশ্য লা রোজাদের বিপক্ষে অপরাজিত রয়েছে জার্মাান। ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে এখনো কোনো স্বাগতিক দল বিদায় নেয়নি। আজকে ম্যাচে স্প্যানিশ বস ডি লা ফুয়েন্তে অপরিবর্তিত দল নিয়ে মাঠে নামার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ১৬ বছর বয়সী লামিন ইয়ামাল ও অ্যাথলেটিকো বিলবাও নিকো উইলিয়ামস তিন জনের আক্রমনভাগে অধিনায়ক আলভারো মোরাতার সঙ্গী হবে। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে পেড্রিকে ছাড়িয়ে ওলমো ও মিকেল মেরিনোর খেলার সম্ভাবনাই বেশী। তবে মূল একাদশে রড্রি ও ফাবিয়ান রুইজের সাথে পেড্রিও খেলতে পারেন। পায়ের ইনজুরি কাটিয়ে নাচো ফার্নান্দেজের দলে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। তাকে জায়গা দিতে সেন্ট্রাল ডিফেন্সে লি নরমান্ড অথবা অমারিক লাপোর্তের মধ্যে একজন বদলী বেঞ্চে চলে যাবেন। ফুল-ব্যাক হিসেবে মাঠে নামবেন ডানি কারভাহাল ও মার্ক কুকুরেলা। অন্যদিকে সেন্টার-ব্যাক জোনাথান টাহ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জার্মান দলে ফিরছেন। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে বাদ পড়েছিলেন লেফট-ব্যাক ম্যাক্সিমিলিয়ান মিটেলস্টাডে। কিন্তু ডেভিড রমকে ছাড়িয়ে তারই মূল দলে ফেরার সম্ভাবনা বেশী। আক্রমনভাগে লেরয় সানের পরিবর্তে ফ্লোরিয়ান রিটজ ফিরতে পারেন।
ব্রাজিলকে পেনাল্টি দেননি রেফারি, ভুল স্বীকার আয়োজকদের

ব্রাজিলকে পেনাল্টি দেননি রেফারি, ভুল স্বীকার আয়োজকদের কোপা আমেরিকার শেষ আট নিশ্চিত হয়েছে ব্রাজিলের। তবে কলম্বিয়ার সঙ্গে শেষ ম্যাচে ড্র করায় তারা এই পর্বে উঠেছে গ্রুপ রানার্স আপ হয়ে। কোয়ার্টার ফাইনালে সেলেসাওদের তাই মুখোমুখি হতে হবে উরুগুয়ের। কলম্বিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করার ম্যাচটিতে রেফারির একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়। ডিফেন্ডার দানিয়েল মুনেস বক্সের ভেতরে ফেলে দিয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে। কিন্তু সেটি পেনাল্টি দেননি রেফারি। ম্যাচের ৪২তম মিনিটের এই ঘটনায় পেনাল্টির জোরালো দাবি তুলেছিলেন ব্রাজিলের ফুটবলাররা। কিন্তু ভেনেজুয়েলার রেফারি হেসুস ভালেনজুয়েলা ফাউলের বাঁশি বাঁজাননি। ধরতে পারেননি ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির দায়িত্বে থাকা আর্জেন্টিনার মাউরো ভিগিলিয়ানোও। তাদের এই ভুল স্বীকার করে নিয়েছে কোপা আমেরিকার আয়োজক সংস্থা কনবেল। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘পেনাল্টি বক্সের ভেতরে ওই চ্যালেঞ্জে ডিফেন্ডার বলে পা ছুয়াতে পারেননি। এর ফল হিসেবে, তার কাজটা ঠিক হয়নি। রেফারি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে পারেননি ও খেলা চালিয়ে যেতে দিয়েছেন। ’ ‘ভিএআরও এটা বের করতে পারেনি যে ডিফেন্ডার বল ছুতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে বেপেরোয়াভাবে আঘাত করার আগে। এজন্য ভিএআরও ভুলভাবে মাঠের সিদ্ধান্তকে নিশ্চিত করেছে। ’ ওই সিদ্ধান্তে ব্রাজিলকে বেশ ভুগতে হয়েছে। ড্র করায় এখন গ্রুপ সি এর সেরা দল উরুগুয়ের বিপক্ষে কোয়ার্টারে লড়তে হবে তাদের। এ ম্যাচে তারা পাচ্ছে না ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকেও। ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে দলটির কোচ দরিভাল জুনিয়র বলেছেন, ‘এই ঘটনার পর আমরা গোল হজম করেছি। শুধু রেফারি আর ভিএআরই পেনাল্টি দেখেনি, যেটা নিশ্চিতভাবেই ছিল। ’
ভিনিকে হারিয়ে হতাশ ব্রাজিল কোচ

ভিনিকে হারিয়ে হতাশ ব্রাজিল কোচ এবারের কোপা আমেরিকায় দারুণ ছন্দে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালের আগে দুই হলুদ কার্ড দেখে ছিটকে গেছেন তিনি। তাই তাকে ছাড়াই শেষ আটের লড়াইয়ে নামতে হবে সেলেসাওদের। দলের সেরা তারকাকে এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হারানোয় হতাশ ব্রাজিলের কোচ দরিভাল জুনিয়র। আজ গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। আগের ম্যাচে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে জোড়া গোল করা ভিনি এই ম্যাচেও তেমন কিছুর পুনরাবৃত্তি ঘটানোর লক্ষ্যেই নেমেছিলেন। কিন্তু মাত্র সপ্তম মিনিটেই কলম্বিয়ার অধিনায়ক হামেস রদ্রিগেজকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। আগের ম্যাচেও হলুদ কার্ড দেখেছিলেন ভিনি। ফলে টানা দুই হলুদ কার্ড দেখার শাস্তিস্বরূপ কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি বেঞ্চে বসে দেখতে হবে তাকে। ভিনিকে ছাড়া যে শেষ আটের লড়াই কঠিন হবে, তা মানছেন ব্রাজিলের বিস্ময়বালক এনদ্রিক। ১৭ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার বলেন, ‘ভিনির মতো খেলোয়াড়ের বিকল্প পাওয়া কঠিন। তাকে ছাড়া খেলা কঠিন হবে। ‘ এনদ্রিকের সঙ্গে একমত দরিভালও। তবে ভিনির হলুদ কার্ড পাওয়া মানতে পারছেন না ব্রাজিল কোচ। তার মতে কার্ড দেখানোটা ছিল অদ্ভুত ঘটনা। তিনি বলেন, ‘ম্যাচের প্রথম চ্যালেঞ্জেই হলুদ কার্ড দেখানোটা অদ্ভুত ঘটনা। তারকা খেলোয়াড় ছাড়া খেলতে বলে অনেকে। এবার সেই মুহূর্ত চলে এসেছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সেরা খেলোয়াড়দের পাচ্ছি না। এর আগে নেইমারকে হারিয়েছি। তবে অন্যদের সামনে আসার সময় এটাই। ‘ আগামী ৭ জুলাই লাস ভেগাসে উরুগুয়ের বিপক্ষে শেষ আটের লড়াইয়ে নামবে ব্রাজিল।
কোপা আমেরিকার গ্রুপপর্ব শেষ, কোয়ার্টার ফাইনালের সূচি প্রকাশ

কোপা আমেরিকার গ্রুপপর্ব শেষ, কোয়ার্টার ফাইনালের সূচি প্রকাশ আজ ব্রাজিল-কলম্বিয়া ও কোস্টারিকা-প্যারাগুয়ের ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হলো কোপা আমেরিকার এবারের আসরের গ্রুপপর্বের খেলা। চারটি গ্রুপ থেকে আটটি দল জায়গা করে নিয়েছে শেষ আট তথা কোয়ার্টার ফাইনালে। দলগুলো হলো- আর্জেন্টিনা, কানাডা, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, উরুগুয়ে, পানামা, কলম্বিয়া ও ব্রাজিল। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হবে কোয়ার্টার ফাইনাল তথা সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াই। তার আগে চলুন দেখে নিই কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরের শেষ আটের সময়সূচি— কোয়ার্টার ফাইনালের সময়সূচি: তারিখ মুখোমুখি সময় (বাংলাদেশ) ৫ জুলাই আর্জেন্টিনা-ইকুয়েডর সকাল ৭টা ৬ জুলাই ভেনেজুয়েলা-কানাডা সকাল ৭টা ৭ জুলাই কলম্বিয়া-পানামা ভোর ৪টা ৭ জুলাই উরুগুয়ে-ব্রাজিল সকাল ৭টা কোয়ার্টার ফাইনাল শেষে আগামী ১০ জুলাই সকাল থেকে শুরু হবে সেমিফাইনালের লড়াই। ১১ জুলাই হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। আর ১৪ জুলাই সকালে হবে ফাইনালে। এরপর পর্দা নামবে কোপা আমেরিকার এবারের আসরের।
ইউরোতে লড়াইয়ের অপেক্ষা

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা যে দেশগুলো খেলছে এবারের আসরে, তাদের সবগুলোই উঠেছে নকআউট পর্বে। অঘটনের শিকার হয়ে কোনো দেশই বিদায় নেয়নি গ্রুপ পর্ব থেকে। এখন অপেক্ষা আসল লড়াইয়ের। জিতলে কোয়ার্টার ফাইনাল, হারলে বিদায়-এই সমীকরণ নিয়ে শনিবার শুরু হচ্ছে শেষ ষোলোর লড়াই। শুরুতেই পরীক্ষায় বসতে হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালি ও সাবেক চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক জার্মানিকে। রাত ১০ টায় বার্লিনে ইতালি খেলবে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এবং রাত ১টায় ডর্টমুন্ডে জার্মানির প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক। পরের দিন ভিন্ন ম্যাচে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড ও স্পেন। ইংল্যান্ড খেলবে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে এবং স্পেনের প্রতিপক্ষ এবারের ইউরোতে চকম দেখানো জর্জিয়া। গত ইউরোর ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইতালি ও ইংল্যান্ড। ওয়েম্বলিতে স্বাগতিকদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইতালি। এবার এই দুই দলের দেখা হতে পারে কোয়ার্টার ফাইনালেই; যদি তারা জিতে যায় নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচ। ইতালি ও ইংল্যান্ডের মধ্যে যারা শেষ ষোলো ও কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা টপকে যাবে, তারা সেমিফাইনালে পাবে রোমানিয়া, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া ও তুরস্কের কোনো দলকে। লড়াইটা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা অন্য সেমিফাইনালে। স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স, পর্তুগালের যেকোনো দুই দলের মধ্যেই হতে পারে আরেকটি সেমিফাইনাল। তবে জর্জিয়া, ডেনমার্ক, স্লোভেনিয়া ও বেলজিয়ামও হয়েতো ছেড়ে কথা বলবে না। জায়ান্টদের হারিয়ে তাদের কোনো দলও উঠে যেতে পারে সেমির লড়াইয়ে। অন্যদিকে সুইজারল্যান্ড ও স্লোভাকিয়ারও অঘটন ঘটানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ইতালি ও ইংল্যান্ডকে স্বস্তি দিতে চাইবে না তারাও। শেষ ষোলোর খেলা ২৯ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত। ৫ ও ৬ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনাল। দুটি সেমিফাইনাল ৯ ও ১০ জুলাই। ফাইনাল ১৫ জুলাই।
দুর্দান্ত গোলে জয় পেল মেসির দল

দুর্দান্ত গোলে জয় পেল মেসির দল চোট কাটিয়ে লিওনেল মেসি ফিরলেন। তবে ইন্টার মায়ামির খেলায় ধার ফিরল না। পুরো ম্যাচ খেলে মেসি রইলেন নিষ্প্রভ হয়ে। তার দল পারল না খুব একটা জ¦লে উঠতে। তবে শেষ সময়ে লিওনার্দো কাম্পানার দারুণ এক গোলে প্রত্যাশিত তিনটি পয়েন্ট তারা ঠিকই আদায় করে নিল। মেজর লিগ সকারের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে ডি. সি. ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারায় ইন্টার মায়ামি। বদলি হিসেবে মাঠে নামার কয়েক মুহূর্ত পরই জয়ের নায়ক হয়ে যান কাম্পানা। ৯০ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে দর্শনীয় গোলটি করেন একুয়েডরের তরুণ এই ফরোয়ার্ড। আগের ম্যাচে মেসিকে ছাড়া খেলতে নেমে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল মায়ামি। সেদিন দারুণ কিছু সেভ করে দলকে রক্ষা করার নায়ক গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডার এই ম্যাচেও অন্তত তিন দফায় দলকে উদ্ধার করেন সম্ভাব্য বিপদ থেকে। এই নিয়ে মৌসুমে চার ম্যাচে কোনো গোল হজম করলেন না ক্যালেন্ডার। হাঁটুর চোট কাটিয়ে মেসির ফেরার ম্যাচে বল পায়ে রাখার লড়াইয়ে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে ছিল মায়ামি। ম্যাচের ৬৭ শতাংশ সময় বল ছিল তাদের কাছেই। কিন্তু সেই দাপটের প্রতিফলন পড়েনি আক্রমণে। ধারাল আক্রমণ তারা খুব একটা করতে পারেনি। গোলে শট নেওয়ায় বরং এগিয়ে ছিল ডি. সি. ইউনাইটেডই। ১৫টি শট নেয় তারা গোলে, মায়ামি নিতে পারে ৮টি। চলতি লিগে এখনও পর্যন্ত ১০টি গোল করা ও লিগের সর্বোচ্চ ১২টি অ্যাসিস্ট করা মেসির জন্য এটি ছিল বিরল এক রাত, যেখানে প্রায় পুরোপুরিই আড়ালে পড়ে ছিলেন তিনি। আবহাওয়াও অবশ্য প্রতিকূল ছিল এ দিন। প্রচ- গরমের কারণে প্রথমার্ধে ‘হাইড্রেশন ব্রেক’ দিতে বাধ্য হন রেফারি। পরে তুমুল বৃষ্টির কারণে দুই দলেরই স্বাভাবিক খেলা ব্যাহত হয়। ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত যোগ করা হয় সাত মিনিট। এর তৃতীয় মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল ডি.সি. ইউনাইটেড। কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ান দাহোমির দুর্দান্ত এক শট ঝাঁপিয়ে পড়ে শেষ মুহূর্তে একটুর জন্য বাইরে পাঠাতেপারেন মায়ামির গোলকিপার ক্যালেন্ডার। কাম্পানাকে নামানো হয় যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটেই। পরের মিনিটেই তার সেই গোল। মাঝমাঠ থেকে দূরপাল্লার অসাধারণ এক বল বাড়ান সের্হিও বুসকেতস। বক্সের ঠিক মাথায় বাঁ পায়ে দারুণভাবে বলটি ধরে ডান পায়ের চোখধাঁধানো শটে বল জালে জমান কাম্পানা। এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে মেজর লিগ সকারের ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষস্থান ধরে রাখল মায়ামি। তবে তাদেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে সিনসিনাতির। ১৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩০। ডি.সি. ইউনাইটেড নবম স্থানে আছে ১৪ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে।
ইতিহাসের পাতায় ম্যানসিটির নাম

ইতিহাসের পাতায় ম্যানসিটির নাম বছর কয়েক আগেও হয়তো কেউ ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি এমনটা। ম্যানচেস্টার সিটিই যে এমন কীর্তি গড়বে সেটা তো আরও ভাবনায় আসার কথা নয়। কিন্তু সব ভাবনা দূরে ঠেলে টানা চতুর্থ লিগ শিরোপা ঘরে তুলেছে ম্যানসিটি। দলটির কোচ পেপ গার্দিওলার ভাবনাতেও এমন অবিশ্বাস্য কিছু ছিল না। ফরোয়ার্ড ফিল ফোডেনও তাই এমন সাফল্যে অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না। গতরাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট হামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে টানা চারটি লিগ শিরোপা জিতে নিয়েছে ম্যানসিটি। জিতলেই চ্যাম্পিয়ন এমন সমীকরণের ম্যাচ বলেই ইতিহাদের গ্যালারিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। দল বেঁধে ম্যাচজুড়ে দলকে সমর্থন দিয়েছেন ভক্তরা। এমন ম্যাচে জোড়া গোল করে আলো ছড়ানো ফিল ফোডেন তাই অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেছেন,’আমরা আজ যেটা করেছি, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা ভীষণ কঠিন। কোনো দল কখনই এটা (টানা চার লিগ শিরোপা জয়) পারেনি। ইতিহাসের বইয়ে নিজেদের নাম তুলেছি আমরা।’ গত সাত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির এটা ষষ্ঠ লিগ শিরোপা। পেপ গার্দিওলা যখন এই ক্লাবে আসেন তখন কেউ যদি তাকে বলতো, সিটি এমন কীর্তি গড়বে গার্দিওলা তাকে ‘পাগল’ বলেই অভিহিত করতেন। কিন্তু কয়েক বছর ঘুরতেই সেটা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। মাঠের লড়াই, খেলোয়াড় দলে টানাসহ সবদিক থেকেই ম্যানসিটি অন্যান্যের চেয়ে এগিয়ে ছিল বলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলছেন গার্দিওলা,’আমি নিশ্চিত আমাদের সমর্থক, আমাদের দল এখন সেরা। সংখ্যার দিক থেকে কেউই আমাদের চেয়ে ভালো ছিল না। যেমন গোল, পয়েন্ট, টানা চারটি লিগ ট্রফি। আমরা অবিশ্বাস্য কিছু করে ফেলেছি।’