দুর্ঘটনায় হাড় ভেঙেছে বিখ্যাত পপ তারকা ফিলিক্সের

দুর্ঘটনায় হাড় ভেঙেছে বিখ্যাত পপ তারকা ফিলিক্সের গাড়ি দুর্ঘটনায় কে–পপ তারকা ফিলিক্সের একটি হাড় ভেঙে গেছে। শনিবার রাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন স্ট্রে কিডস গ্রুপের এই সদস্য। ফিলিক্সের এজেন্সি জেওয়াইপি এন্টারটেইনমেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রামে রয়েছেন তিনি। গান থেকে আপাতত দূরে থাকছেন এই তারকা। এজেন্সি জানিয়েছে, স্ট্রে কিডসের ফ্যান মিটিং শেষে ফেরার পথে ইনচনের ইয়াংজং আইল্যান্ডের ইন্সপায়ার রিসোর্টস কমপ্লেক্সের কাছে একটি শাটল বাসের সঙ্গে ফিলিক্সের কারের সংঘর্ষ হয়। জেওয়াইপি এন্টারটেইনমেন্ট লিখেছে, ‘দুর্ঘটনাটি খুব গুরুতর নয়। তবে তার হাতের হাড় ভেঙেছে। তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন।’ ফলে সব ধরনের কার্যক্রম থেকে দূরে থাকছেন ফিলিক্স। শুক্রবার থেকে ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে স্ট্রে কিডস। আজ রোববার আয়োজনের সমাপনী দিনে থাকতে পারছেন না ফিলিক্স। প্রায় ১১ মাস পর কোনো ফ্যান মিটিং করছে স্ট্রে কিডস। সামনে লাতিন অ্যামেরিকা, জাপান, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপে গ্রুপটির শো রয়েছে।
কাঞ্চনকে না পেলে বিয়েই করতাম না: শ্রীময়ী

কাঞ্চনকে না পেলে বিয়েই করতাম না: শ্রীময়ী ‘কৃষ্ণকলি’খ্যাত টেলিভিশন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান টলিউড অভিনেতা ও বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি, তা গড়ায় মামলা পর্যন্ত। সব বিতর্ক ও মানুষের সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শ্রীময়ীকে স্ত্রী হিসেবে ঘরে তুলেছেন ৫৪ বছরের কাঞ্চন মল্লিক। বিয়ের আগে সম্পর্কের কথা স্বীকারই করেননি শ্রীময়ী। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী জানান, কাঞ্চনকে না পেলে বিয়েই করতেন না তিনি। ব্যাপারটি খোলাসা করে শ্রীময়ী চট্টরাজ বলেন, “আমি কোনো দিন চাইনি আমাদের সম্পর্ক পরিণতি পাক। ও ভালো থাকুক এটাই চেয়েছিলাম। বিয়ে না হলেও একইভাবে বন্ধুত্ব রাখতাম। তবে আমি বিয়ে করতাম না।” স্ত্রীর এমন বক্তব্যে অভিভূত কাঞ্চন মল্লিক। আত্মপক্ষ সমর্থন করে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, “আমার জন্য ওর যা আত্মত্যাগ, তার চার আনাও আমার নেই।” কাঞ্চন-শ্রীময়ীর দাম্পত্য জীবন কেবল ভালোবাসায় ভরপুর, তা ঠিক নয় ঝগড়াও হয়। এ বিষয়ে শ্রীময়ী বলেন, “তার অভিমান একটু বেশি। তবে কাঞ্চন নাকি সেই অভিমান সামাল দিতে ঢাল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। বোঝার চেষ্টা করেন, এ কোন ঝড়র পূর্বাভাস।” মানুষ কাঞ্চন, স্বামী বা বাবাদ কাঞ্চন কেমন তাও ব্যাখ্যা করেছেন শ্রীময়ী। তার ভাষায়— “ছেলে হিসেবে কাঞ্চন একশোয় একশো। বাবা হিসেবে একশোয় আশি। স্বামী হিসেবে একশোয় চল্লিশ। প্রেমিক হিসেবে একশোয় আশি। তবে বলে দিই, বাবা হিসেবে আশি দিলাম তার একটাই কারণ। কাঞ্চনের সময় অনেক ব্যস্ততার মধ্যে কাটে। সারাদিন অনেক জায়গায় যেতে হয়। বহু কমিটমেন্ট থাকে। বাকি একদম পারফেক্ট।” গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৭ বছর বয়সি শ্রীময়ীকে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন কাঞ্চন। এরপর সামাজিক রীতি মেনে ২৬ বছরের ছোট শ্রীময়ীকে ঘরে তুলেন। গত বছরের ২ নভেম্বর কন্যাসন্তানের বাবা-মা হন এই দম্পতি।
বলিউড সুপারস্টার ভাইজানের প্রথম প্রেম ও ১৮ নারী

বলিউড সুপারস্টার ভাইজানের প্রথম প্রেম ও ১৮ নারী বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের প্রেমিকাদের নামের তালিকা অনেক দীর্ঘ। প্রেম যমুনায় ভেসে বেড়ালেও কারো সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হয়নি তার। মেঘে মেঘে বেলা অনেক গড়িয়েছে। বয়স ঊনষাট চললেও এখনো ব্যাচেলর সালমান খান। কী কারণে সংসারী হননি যদিও তা অজানা। শাহীন জাফরি সালমান খানের প্রথম প্রেমিকার নাম শাহীন জাফরি। মাত্র ১৯ বছর বয়সে এই মডেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সালমান। তাকে নিয়ে লেখা বই ‘বিং সালমান’-এ এই তথ্য উল্লেখ করেছেন লেখক জসিম খান। বলিউড সুপারস্টার অশোক কুমারের নাতনি শাহীন জাফরি। সালমানের সঙ্গে শাহীনের প্রথম দেখা কলেজে। তারা একই কলেজে পড়াশোনা করতেন। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব ও প্রেম। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পায় সালমানের প্রথম সিনেমা। তখন সংগীতা বিজলানির সঙ্গে দেখা হয় সালমানের। এ অভিনেত্রীকে দেখার পর তার দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এই তারকা। ফলে ভেঙে যায় শাহীন-সালমানের প্রেম। পার্সিস খামবাতা সালমান খান তার জীবনের প্রথম দিকে মডেল-অভিনেত্রী পার্সিস খামবাতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। আশির দশকের শেষের দিকে সালমানের সঙ্গে পার্সিসের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে এই সম্পর্ক খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি বলে জানা গেছে। ফারিয়া আলম সালমান খানের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ফারিয়া আলমের। ১৯৮৬ সাল সালমানের সঙ্গে প্রাক্তন ফুটবল দলের কর্মকর্তা ফারিয়া আলম সম্পর্ক জড়ান বলে গুঞ্জন রয়েছে। সেই সময়ে এই জুটির সম্পর্কের খবর বেশ মনোযোগ কেড়েছিল। শোনা যায়, সালমানের উঠতি ক্যারিয়ারে অনেক সাপোর্ট দিয়েছিলেন ফারিয়া। সংগীতা বিজলানি সালমানের প্রেমিকাদের তালিকায় আরো একটি আলোচিত নাম সংগীতা বিজলানি। শোনা যায়, এই অভিনেত্রীর সঙ্গে বিয়ের পরিকল্পনাও করেছিলেন সালমান। শুধু তাই নয়, বিয়ের কার্ডও ছাপা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিয়ে ভেঙে দেন সালমান। এরপর ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সংগীতা। সোমি আলী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত, বলিউড অভিনেত্রী সোমি আলীর সঙ্গে সালমানের প্রেমের কথা কারো অজানা নয়। আজও বিটাউনে কান পাতলেই তা শোনা যায়। সালমানের সঙ্গে সোমি আলী ১৯৯১ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সম্পর্কে ছিলেন তারা। এ জুটির প্রেমে খলনায়িকা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বরিয়ার। এক সাক্ষাৎকারে সোমি আলী জানান, সালমানের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভেঙেছিল ঐশ্বরিয়ার কারণেই। ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ঐশ্বরিয়া-সালমানের প্রেমের খবরও কারো অজানা নয়। ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার সেট থেকে তাদের প্রেমের সূচনা। তাদের নিয়ে বলিপাড়ায় অনেক চর্চা হয়েছে। কিন্তু এ সম্পর্ক এক সময় ভেঙে যায়। পরবর্তীতে অভিনেতা অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেন ঐশ্বরিয়া। স্নেহা উল্লাল ২০০৫ সালে ‘লাকি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন স্নেহা উল্লাল। সিনেমাটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন সালমান খান। স্নেহা দেখতে অনেকটা ঐশ্বরিয়ার মতো। বিশ্ব সুন্দরীর সঙ্গে প্রেম ভাঙার পর স্নেহাকে বলিউডে নিয়ে আসেন সালমান। বলিউডে পা রাখার পরই সালমানের সঙ্গে নাম জড়ায় স্নেহার। পরে এ অভিনেত্রী দাবি করেন— “সালমান খান তার বন্ধু।” ক্যাটরিনা কাইফ সালমানের জীবনে এসেছিলেন আরেক বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। ২০০৫ সালে ভাই সোহেল খানের প্রযোজনায় ব্যবসাসফল সিনেমা ‘ম্যায় নে পেয়ার কিউ কিয়া’ সিনেমায় সালমানের বিপরীতে অভিনয় করেন ক্যাটরিনা। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও তৈরি হয়। তবে একটা সময়ে গিয়ে এ প্রেম ভেঙে যায়। পরে আবারো সালমান-ক্যাটরিনাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়াতে শুরু করে। একসঙ্গে জুটি বেঁধে সিনেমাও করেন তারা। কিন্তু অভিনেতা ভিকি কৌশলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ক্যাটরিনা। কয়েক বছর আগে তারা বিয়ে করেন। এখন ভিকির ঘরণী ক্যাটরিনা। ব্রুনা আব্দুল্লাহ ব্রাজিলের মডেল-অভিনেত্রী ব্রুনা আব্দুল্লাহ। ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে প্রেম ভাঙার পর ব্রুনার সঙ্গে নাম জড়ায় সালমান খানের। এ জুটির সম্পর্ক নিয়ে নানা ফিসফাস যখন বলিপাড়ায় উড়ছে, তখন স্থানীয় মিডিয়া নজর বাড়ায় তাদের দিকে। কিন্তু এরপরই আলাদা হয়ে যান তারা। তাদের সম্পর্ক খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। জেরিন খান ‘বীর’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে অভিনেত্রী জেরিন খানের। এতে সালমান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। মূলত, ক্যাটরিনা অন্যের বাহুডোরে যাওয়ার পর তার মতো দেখতে জেরিন খানকে বলিউডে নিয়ে আসেন সালমান খানই। পরে এ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন সালমান খান। প্রাক্তন হলেও এখনো জেরিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক এই নায়কের। ক্লডিয়া সিসলা জার্মানির মডেল-অভিনেত্রী ক্লডিয়া সিসলা। বলিউডে ক্যারিয়ার গড়তে বেশ আগে ভারতে পাড়ি জমান এই অভিনেত্রী। ২০০৯ সালে বিতর্কিত টিভি রিয়েলিটি শো বিগ বসের তৃতীয় আসরে অংশ নেন তিনি। সালমান খানের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করার কারণে দীর্ঘদিন বলিপাড়ায় চর্চিত হয়েছেন। এ নিয়ে সালমান মুখ না খুললেও কথা বলেছেন ক্লডিয়া। গুঞ্জন উড়িয়ে এই অভিনেত্রী বলেছিলেন— “সালমান আমার প্রেমিক না, সে আমার খুব ভালো বন্ধু।” মেহেক চাহাল নরওয়ের নাগরিক মডেল-অভিনেত্রী মেহেক চাহাল। ২০১১ সালে বলিউডে কাজের উদ্দেশ্যে ভারতে পা রাখেন। টিভি রিয়েলিটি শো বিগ বসের পঞ্চম আসরে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে তার যাত্রা শুরু হয়। এ আসরের সঞ্চালক ছিলেন সালমান খান। সালমানের সঙ্গে যখন মেহেকের সাক্ষাৎ হয়, তখন তার বয়স ১৯ বছর। প্রথম সাক্ষাতে বিদেশিনীর সঙ্গে ফ্লার্ট করার চেষ্টা করেন সালমান। এরপর মেহেক-সালমানের প্রেম নিয়ে কম চর্চা হয়নি। হ্যাজেল কিচ ‘হ্যারিপটার’খ্যাত ব্রিটিশ অভিনেত্রী হ্যাজেল কিচ। ২০০৭ সালে প্রভাস অভিনীত তামিল ভাষার ‘বিল্লা’ সিনেমার মাধ্যমে ভারতীয় সিনেমায় অভিষেক ঘটে তার। ব্রিটিশ এই অভিনেত্রী ভারতে পা রাখার পর সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন সালমান খান। অনেকে সালমান খানকে তার ‘গডফাদার’ বলেন। ২০১১ সালে সালমানের সঙ্গে ‘বডিগার্ড’ সিনেমায় অভিনয় করেন হ্যাজেল। এ অভিনেত্রীর সঙ্গেও সালমানের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে জোরালো চর্চা হয়েছে। যদিও এ জুটি কখনো নীরবতা ভাঙেননি। এলি আব্রাহাম সুইডিশ-গ্রিক অভিনেত্রী এলি আব্রাহাম। বিতর্কিত টিভি রিয়েলিটি শো বিগ বসে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এই আসর সঞ্চালনা করেন সালমান খান। ২০১৩ সালে ‘মিকি ভাইরাস’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে তার। সালমান খানের সঙ্গে এ অভিনেত্রীর নাম জড়ায়। দীর্ঘ চর্চা হয়েছে এ জুটির প্রেম নিয়ে। এক সাক্ষাৎকারে এলি বলেছিলেন— ‘এ বিষয়ে আমি কোনো উত্তর দেব না।” ডেইজি শাহ সালমান খানের হাত ধরে বলিউডে অভিষেক ঘটে ডেইজি শাহর। ২০১৪ সালে ‘জয় হো’ সিনেমায় সালমানের সঙ্গে অভিনয় করেন তিনি। সিনেমাটিতে কাজ করতে গিয়ে তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এসব নিয়েই চর্চা শুরু হয় বলিপাড়ায়। আলোচনার মাঝে আলাদা হয়ে যায় তাদের দুটো পথ। তবে এই সম্পর্ক নিয়ে তাদের কেউই মুখ খুলেননি। অ্যামি জ্যাকসন ব্রিটিশ বংশোদ্ভুত ভারতীয় অভিনেত্রী অ্যামি জ্যাকসন। ২০১৬ সালে ‘ফ্রিকি আলী’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এটি প্রযোজনা করেন সালমানের খানের ভাই সোহেল খান। এ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে সালমান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে অ্যামির। এরপর এ জুটির অফ-স্ক্রিন রসায়ন নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা চর্চা হলেও মুখ খুলেননি তাদের কেউই। সামান্থা লকউড মার্কিন অভিনেত্রী সামান্থা লকউড। ‘হিরো’খ্যাত এ অভিনেত্রীর নামও জড়িয়েছে সালমান খানের সঙ্গে। ২০২২ সালে ৫৬তম জন্মদিন উদযাপন করেন সালমান খান। জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন সামান্থা। এ অনুষ্ঠানে তোলা সামান্থা-সালমানের বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই শুরু হয় এই যুগলের প্রেমের গুঞ্জন। বিষয়টি নিয়ে কখনো মুখ খুলেননি সালমান। তবে সামান্থা এক সাক্ষাৎকারে এই গুঞ্জন ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দেন। লুলিয়া ভান্তুর রোমানিয়ান মডেল-অভিনেত্রী লুলিয়া ভান্তুর। সালমানের জীবনে যতজন নারী এসেছেন, তার মধ্যে
হুমায়ুন ফরীদিকে হারানোর ১৩ বছর

হুমায়ুন ফরীদিকে হারানোর ১৩ বছর চলচ্চিত্র ও নাট্যাঙ্গনের শক্তিমান অভিনেতা ছিলেন হুমায়ুন ফরীদি। বসন্তের রঙে বিষাদ ছড়িয়ে না ফেরার দেশে চলে যান এই কিংবদন্তি। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুনে ৬০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। দেখতে দেখতে তার চলে যাওয়ার ১৩ বছর কেটে গেলো। তিন দশকেরও বেশি সময় মঞ্চ, টেলিভিশন আর চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রং ছড়িয়েছেন নন্দিত ও বরেণ্য এই অভিনেতা। হুমায়ুন ফরীদির দেহ বিদায় নিলেও তার স্মৃতি এখনও ভক্তদের চোখ অশ্রুসিক্ত করে। ১৯৫২ সালের ২৯মে ঢাকার নারিন্দায় জন্মেছিলেন হুমায়ুন ফরীদি। তার বাবার নাম এটিএম নুরুল ইসলাম, মায়ের নাম বেগম ফরীদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে ফরীদি ছিলেন দ্বিতীয়। ১৯৭০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেন চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে। একই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে ভর্তি হন স্নাতক করতে। পরের বছর ১৯৭১ সালে অংশ নেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেন হুমায়ুন ফরীদি। সেখানেই তার অভিনয় প্রতিভার বিকাশ ঘটে। সেলিম আল দীনের কাছে নাট্যতত্ত্বে দীক্ষা নেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই সদস্যপদ পান ঢাকা থিয়েটারের। এই নাট্যদল থেকেই ছড়িয়ে পড়তে থাকে তার অভিনয়ের রঙগুলো। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নাট্য সম্পাদক। ঢাকা থিয়েটারের ‘শকুন্তলা’, ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসি’, ‘কীর্তনখোলা’, ‘কেরামত মঙ্গল’র মতো মঞ্চনাটকে অভিনয় করে নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন ফরীদি। বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সদস্য হিসেবে গ্রাম থিয়েটারের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘নীল নকশার সন্ধ্যায়’ ও ‘দূরবীন দিয়ে দেখুন’ নাটকে অভিনয় করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’কে কানকাটা রমজান চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যান। তার পরিচালিত সর্বশেষ নাটক ‘তখন হেমন্ত’ এবং অভিনীত ‘পূর্ণ চাঁদের অপূর্ণতায়’। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের তালিকায় রয়েছে- ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’, ‘বকুলপুর কতদূর’, ‘দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা’, ‘একটি লাল শাড়ি’, ‘মহুয়ার মন’, ‘সাত আসমানের সিঁড়ি’, ‘একদিন হঠাৎ’, ‘অযাত্রা’, ‘পাথর সময়’, ‘দুই ভাই’, ‘শীতের পাখি’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘তিনি একজন’, ‘চন্দ্রগ্রস্ত’, ‘কাছের মানুষ’, ‘মোহনা’, ‘শৃঙ্খল’, ‘প্রিয়জন নিবাস’। তানভীর মোকাম্মেলের ‘হুলিয়া’ সিনেমার মধ্য দিয়ে হুমায়ুন ফরীদি বড় পর্দায় নাম লেখান। নব্বই দশকে বাণিজ্যিক সিনেমার পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘সন্ত্রাস’, ‘দিনমজুর’, ‘বীরপুরুষ’ ও ‘লড়াকু’ সিনেমাতে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপরেই দেশীয় চলচ্চিত্রে খল-নায়কের চরিত্র হিসেবে তিনি নন্দিত হন। শহীদুল ইসলাম খোকন ‘বিশ্বপ্রেমিক’, ‘অপহরণ’, ‘দুঃসাহস’সহ ২৮টি সিনেমার মধ্যে ২৫টিতেই রাখেন ফরীদিকে। এছাড়া হুমায়ুন ফরীদি ‘দহন’, ‘একাত্তরের যীশু’, ‘দূরত্ব’, ‘ব্যাচেলর’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘অধিকার চাই’, ‘ত্যাগ’, ‘মায়ের মর্যাদা’, ‘মাতৃত্ব’ ও ‘আহা!’র মতো অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। আশির দশকের শুরুর দিকে মিনুকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফাকে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন ফরীদি। ২০০৮ সালে সেই সম্পর্কেরও বিচ্ছেদ ঘটে।
সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদে আমার ছেলে অবসাদে চলে যায় : নাগার্জুন

সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদে আমার ছেলে অবসাদে চলে যায় : নাগার্জুন ছেলে নাগা চৈতন্যকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন দক্ষিণী তারকা নাগার্জুন। সামান্থা প্রভুর সঙ্গে চার বছরের দাম্পত্য ভেঙে যাওয়ার পর কেমন থাকবেন নাগা? এই প্রশ্নই দিনরাত ভাবাচ্ছিল তাকে। যদিও শোভিতার সঙ্গে নাগার দ্বিতীয় বিয়ের পর নিশ্চিন্ত বাবা। তবে প্রাক্তন বৌমা সামান্থাকে ছেলেকে অবসাদে ফেলে চলে যাওয়ার জন্য দোষারোপ করলেন দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেতা নাগার্জুন! সামান্থার সঙ্গে নাগা চৈতন্যের বিচ্ছেদের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোপের মুখে পড়তে হয় নাগাকে। বাবার দ্বিতীয় বিয়ের প্রসঙ্গ তুলে নাগার দ্বিতীয় বিয়ের কারণ খুঁজতে শুরু করে নেটাপাড়ার বাসিন্দারা। ২০১৭ সালে সামান্থাকে বিয়ের পর ২০২১-এ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন নাগা চৈতন্য। এই তারকা জুটি দু’জনে মিলেই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিচ্ছেদের সময় তারা জানান, দুজনের পথচলা আলাদা হয়ে গেলেও পরস্পরকে শ্রদ্ধা করবেন। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাগা চৈতন্য জানান, সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা সংবাদমাধ্যমে যেভাবে আলোচনা হয়, তাতে করে নিজেকেই অপরাধী মনে হয়। অভিনেতা সাফ জানান, ‘লোকে আমাদের বিচ্ছেদের বিষয়টাকে এমনভাবে দেখছে, যেন আমি একাই দোষ করেছি।’ নাগা চৈতন্যর এমন মন্তব্যের পর এবার ছেলের কথার রেষ টেনে নাগার্জুন জানালেন, সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নাগা অবসাদে ডুবে গিয়েছিল। দক্ষিণী জনপ্রিয় এই তারকা বলেন, ‘আমার ছেলেটা খুব দুঃখে ছিল। সে কারও কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে না। তবে বাবা হিসেবে আমি বুঝতাম। ও আসলে সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অবসাদে ডুবে গিয়েছিল। এখন ওকে ফের খুশি দেখে নিশ্চিন্ত।’এদিকে নাগার্জুনের এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি সামান্থার অনুরাগীরা। তারা এখনও অভিনেত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের জন্য নাগা চৈতন্যকেই দায়ী করছেন।
সালমানকে নিয়ে অ্যাটলির নয়া মিশন, বাজেট ৭০০ কোটি টাকা!

সালমানকে নিয়ে অ্যাটলির নয়া মিশন, বাজেট ৭০০ কোটি টাকা! ভারতের দক্ষিণী সিনেমার তারকা পরিচালক অ্যাটলি কুমার। ২০১৩ সালে তামিল ভাষার ‘রাজা রানি’ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে। নির্মাণ ক্যারিয়ারে বেশ কিছু সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তার মধ্যে অধিকাংশ সিনেমাই ব্যবসাসফল। এবার বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে নিয়ে নতুন মিশন শুরু করতে যাচ্ছেন অ্যাটলি। বলিউড হাঙ্গামা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘অ্যাটলি৬’ বা ‘এ৬’ সিনেমায় ভিন্ন একটি জগৎ তৈরি করার পরিকল্পনা করেছেন পরিচালক। ৫০০ কোটি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০০ কোটি ১৭ লাখ টাকার বেশি) বিশাল বাজেটে নির্মিত হবে সিনেমাটি। আর এতে অভিনয় করবেন সালমান খান ও রজনীকান্ত। এরই মধ্যে ভারতের এই দুই তারকার সঙ্গে কথাও বলেছেন পরিচালক অ্যাটলি কুমার। একটি সূত্র বলিউড হাঙ্গামাকে বলেন, “পুনর্জন্মের গল্প নিয়ে পিরিয়ড ড্রামা ঘরানার সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন অ্যাটলি কুমার। ‘এ৬’ সিনেমায় এমন একটি অদৃশ্য জগৎ তৈরির পরিকল্পনা করছেন, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। অ্যাটলির সঙ্গে নতুন কিছু আবিষ্কারের যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত সালমান খানও। সিনেমাটির জন্য ওজন কমাতে হবে সালমান খানকে এবং নির্দিষ্ট ধরণের শারীরিক গড়ন প্রয়োজন তার।” সালমান-রজনীকান্ত ছাড়া অন্য আর কে কে অভিনয় করছেন, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। তবে খুব শিগগির এ বিষয়ে জানা যাবে বলেও এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্মাণ ক্যারিয়ারে বেশ কিছু সিনেমা নির্মাণ করেছেন অ্যাটলি কুমার। তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো— ‘থেরি’, ‘মের্শাল’, ‘বিগিলি’, ‘জওয়ান’ প্রভৃতি।
শাকিব খানের পরিশ্রম অনুপ্রেরণা দিয়েছে: প্রভা

শাকিব খানের পরিশ্রম অনুপ্রেরণা দিয়েছে: প্রভা ‘‘আমি শাকিব খানের সঙ্গে একটা ফটোশুট করেছিলাম। উনি এত গুড লুকিং সামনাসামনি দেখতে! আমি তাকে বলেছিলাম ‘আপনি অনেক সুন্দর।’’-কথাগুলো বলেছেন আলোচিত অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছেন প্রভা। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তিনি। এই আয়োজনের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এই অভিনেত্রী। সেখানে তিনি ঢালিউড সুপারস্টারকে নিয়ে কথা বলেন। শাকিব খানের কাজ সেভাবে না দেখলেও সম্প্রতি পরপর তিনটি সিনেমা দেখেছেন প্রভা। বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি পরপর তিনবার তার সিনেমা দেখেছি। এরপর আমি উনার ভক্ত হয়ে গেছি। কারণ তার পরিশ্রমটা আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তুফান অবশ্যই, রাজকুমার দেখে মনে হয়েছে প্রচুর পরিশ্রম করেছে। দীর্ঘদিন ধরেই ছোট পর্দায় অভিনয় করছেন প্রভা। তার সমসাময়িক অনেকেই সিনেমায় কাজ করেছেন। এতদিনেও বড় পর্দায় কাজ না করার কারণ জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, সত্যি কথা বলতে আমার মনে হয়- সিনেমায় আমার ভাগ্য সহায় হয় না। যখন ব্যাটে-বলে মিলে যায় তারপর কেন জানি কাজটা আর হয় না। এভাবেই আমার পুরো জীবনটা গেছে। এখন আর তাই বলি না সিনেমা করব, যদি করি তখন তখন বলব। অভিনয়ের পাশাপাশি মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন প্রভা। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ‘দ্য মেকআপ একাডেমি’ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজও করছেন তিনি। তবে অভিনয়কে জীবনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চান তিনি। প্রভা বলেন, আমার ফার্স্ট ভালোবাসা অবশ্যই অভিনয়। যে কোনও ক্রিয়েটিভ কিছু আমার পছন্দ। আমি মেকআপ আর্টিস্ট এই মুহূর্তে। যে কোন মানুষকে দেখলে কথা বলার সময় তার স্ক্রিন দেখতে থাকি, কেমন। তার কোন সেডটা ভালো সেটা সারাক্ষণ মাথার মধ্যে ঘুরে। পর্দায় তারকাদের ঝলমলে জীবন উঠে আসলেও, ক্যামেরার পেছনে কষ্ট কম নয়। বিষয়টি তুলে ধরে প্রভা বলেন, আমি আমাদের কাজটাকে বলি, ‘নাইন টু ফরএভার জব’। কারণ নয়টার সময় শুটিংয়ে গেলে কখন বাসায় আসবেন তার গ্যারান্টি নাই। যারা বাইরে থেকে দেখে তারা ভাবে- এটা বিলাসবহুল জীবন! কোন কষ্ট নাই, শুধু মেকআপ দাও আর ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কিছু একটা কার্যক্রম করো। কিন্তু এটা অনেক কষ্টের এবং ধৈর্যের একটা কাজ। যখনই কষ্টের মূল্যায়ন করা হয় তখন আর একটু অনুপ্রাণিত হওয়া যায়। চলছে ভ্যালেন্টাইন উইক। এ কারণে ভালোবাসা নিয়েও কথা বলেন প্রভা। তার মতে ভালোবাসার সংজ্ঞা, যে মানুষটাকে আমি ভালোবাসবো তার প্রতি যথেষ্ট পরিমাণ সম্মান আর বিশ্বাস থাকবে।
জীবন মৃত্যু’র সন্ধিক্ষণে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের শিল্পী

জীবন মৃত্যু’র সন্ধিক্ষণে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের শিল্পী জীবন মৃত্যু’র সন্ধিক্ষণে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। বর্তমানে হাসপাতালে ইনটেনসিভ থেরাপি ইউনিটে (আইটিইউ) চিকিৎসা চলছে তার। গেল কয়েক সপ্তাহ ধরেই এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ‘আমি বাংলায় গান গাই’র স্রষ্টা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্ত্রের অপারেশনের পর হার্ট অ্যাটাক হয় গায়ক প্রতুলের। পরে দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে অবচেতন অবস্থায় আছেন এ গায়ক। নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। আর সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তার খোঁজ নেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার নির্দেশে রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেন হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নেন। ইতোমধ্যেই প্রতুলের চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ড থেকে সোমবার রাতেও জানানো হয়েছে, আইটিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রখ্যাত গায়ক। কয়েকদিন আগেও হাসপাতালের বিছানা থেকে চিকিৎসকদের ‘আমি বাংলার গান গাই’ গেয়ে শোনান প্রতুল। সপ্তাহখানেক আগে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, হার্ট অ্যাটাকও হয়। পরে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয় তাকে। এ সময় ফুসফুসের সমস্যা শনাক্ত হয়। সেই সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া না ভাইরাস থেকে, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, ১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন প্রতুল। বাবা প্রভাতচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। দেশভাগের সময় পরিবারের সবাই ভারতে পাড়ি জমান। শৈশব কাটিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়। ছোটবেলা থেকেই নিজের লেখা গান সুর করতেন। তার অনেক অনবদ্য সৃষ্টির মধ্যে বিশেষভাবে সমাদৃত ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি।
অভিনয়ে নায়ক ইমনের স্ত্রী

অভিনয়ে নায়ক ইমনের স্ত্রী অনেক আগে বাস্তব জীবনে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন মডেল-অভিনেতা মামনুন ইমন। তার স্ত্রী আয়েশা ইসলাম আশা সবসময় শোবিজ অঙ্গন থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন। এবার নাম লেখালেন শোবিজে। ইমন তার স্ত্রী আশার সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করলেন। এর মাধ্যমে অভিনয়ে নাম লেখালেন আয়েশা। হারলেনের এই ওভিসির শুটিং সম্প্রতি শেষ হয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইমন বলেন, “এটি একটি অনন্য এবং স্মরণীয় অভিজ্ঞতা ছিল আমার জন্য। স্বামী-স্ত্রী মিলে কাজ করেছি। রোমান্টিক গল্পের বিজ্ঞাপন। আশা করছি, দর্শকদেরও এটি ভালো লাগবে।” স্বামী ইমনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আশা বলেন, “ইমন সাহস জুগিয়েছে তাই কাজটি করতে পারলাম। আমার জন্য এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। দেখার অপেক্ষায় আছি কেমন ফিডব্যাক আসে।” খুব শিগরি বিজ্ঞাপনটি দেশের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন ইমন। মামনুন ইমন তার ব্যক্তিগত জীবন গোপন রাখতে পছন্দ করেন। ২০০৮ সালে আয়েশাকে বিয়ে করেন তিনি। সাত বছর পর বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনেন তিনি।
অভিনয় ছেড়ে বিদেশে, কী বললেন পারসা ইভানা?

অভিনয় ছেড়ে বিদেশে, কী বললেন পারসা ইভানা? ছোট পর্দার অভিনেত্রী পারসা ইভানা। বিশেষ করে তরুণদের মাঝে তুমুল আলোচিত ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিক নাটক দিয়ে দারুণ খ্যাতি অর্জন করেছেন করেছেন তিনি। সেখানে ইভা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করে যাচ্ছেন। তবে সম্প্রতি একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেছিলেন পারসা ইভানা। সেখানে এই তারকা দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘যদি কখনও অভিনয় বন্ধ করে দেন তাহলে তার কোন বিষয় মিস করবে?’ এরপর থেকেই অনেকের প্রশ্ন, তাহলে কী অভিনয় ছেড়ে দেবেন পারসা ইভানা? প্রসঙ্গটি নিয়ে একটি টেলিভিশন টকশোতে কথা বলেন ছোট পর্দার এই অভিনয়শিল্পী। তার কথায়, অভিনয় ছাড়ার বিষয়টা ঠিক না, একটু আবেগের বসে বলেছিলাম। আমার কাছে মনে হয় একজন অভিনেত্রী খুব কম সুযোগ-সুবিধা পায়। খুব কম ভালো কাজের স্ক্রিপ্ট আসে আমার কাছে। যেহেতু আমার মা দেশের বাইরে থাকে, আম্মুরও ইচ্ছে আমি যাতে চলে যাই। কিন্তু আমি যাচ্ছি না, কারণ এই জায়গাটার প্রতি অনেক সফট কর্নার আছে। ওইটা চিন্তা করে আমি ইমোশনাল হয়ে যাই। যদি কখনও আমার অভিনয় ছেড়ে দিতে হয়, আমার মনে হয় অনেক বেশি ডিপ্রেশন পরে যাব। সেই অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ইভানাকে প্রশ্ন করেন- যদি কখনও অভিনয় ছেড়ে দেন সেক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো মিস করবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে পারসা ইভানা বলেন, শুটিং সেটে যাওয়া, স্ক্রিপ্ট পড়া, সহ-শিল্পীদের মিস করা, নির্মাতাদের মিস করা। আমার মনে হয় আমি অভিনয় ছাড়া কিছু পারি না। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন চরিত্রে পর্দায় নিজেকে মেলে ধরেছেস পারসা ইভানা। তবে তার ইচ্ছে বাস্তবধর্মী ও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে পর্দায় নিজেকে দেখার। এই অভিনেত্রী ভাষ্য, একটা সময় ইচ্ছা ছিল এ ধরণের কিংবা ওই ধরণের চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে ছোট পর্দায় অনেক চরিত্র এক্সপ্লোর করে ফেলেছি। তবে এখন যেসব কন্টেন্ট হচ্ছে দেশের বাইরে নেটফ্লিক্সে, অনেক রিয়েলিস্টিক কাজ হচ্ছে, আমি চাই এমন চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করতে। যেমন, আলিয়া ভাট গাঙ্গুবাই করেছিল। যদি কখনও সুযোগ পাই করা হবে। ব্যক্তিজীবনে অনেকটাই সাধারণ পারসা ইভানা। তার কথায়, আমি সাধারণ মানুষের মতো চলাচল করি। প্রতিদিন রিক্সা করে বের হয়ে ঘুরাফেরা করি, ঝালমুড়ি খাই, ফুচকা খাই। সাধারণ জীবন আমি খুব পছন্দ করি। এদিন রান্নায় কতটা পারদর্শী সে বিষয়েও কথা বলেন পারসা ইভানা। তিনি বলেন, আমার আম্মু অনেক ভালো রান্না করে। ছোটবেলা থেকেই যেখানেই বেড়াতে যেতাম, যার বাসায় হোক কারও হাতে রান্না খেতাম না। আম্মুকে বলতাম ‘তোমাকে রান্না করতে হবে, না হলে আমি যাব না’। এখনতো বড় হয়ে গেছি, অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। তবে সেই জায়গা থেকে রান্নার প্রতি আমার তেমন ফেসিনেশন নেই। সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয় না, হয়তো রান্নাটা আমার জন্য না। তবে আমার বন্ধুদের জন্য মাঝে মাঝে রান্না করি, তারা বলে ‘মজা হয়েছে’। আমার করা কালাভুনা বেশি ভালো হয়, একবার রোস্ট করেছিলাম সেটাও নাকি ভালো হয়েছিল। এদিকে, সবশেষ ‘প্রাকৃতজন’ নাটকে দেখা গেছে পারসা ইভানাকে। ভিকি জাহেদ পরিচালিত সাসপেন্স, থ্রিলারধর্মী এই এই নাটকে মিতা চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। এতে তার বিপরীতে জাকির চরিত্রে অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার। এর গল্পে দেখা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট করা একজন ব্যাচেলর চাকুরীজীবি জাকির। চট্টগ্রাম থেকে মিতা নামের এক অসহায় মেয়ে পালিয়ে আসে। এরপর পরিচয় হয় জাকিরের সঙ্গে। মেয়ের বিপদের কথা শুনে তাকে নিজের বাসায় থাকতে দেন। মেয়েটিকে পছন্দ করতে শুরু করে জাকির কিন্তু তার মাথায় সারাক্ষণ পরকীয়ার ভয় ভর করে থাকে। একটা সময়ে সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েটিকে বিয়ে করবে। এরপরই ঘটে এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এরপর নানা ঘটনায় এগিয়ে যায় নাটকটি।