মন দুয়ারী নাটক নাকি সিনেমা, নির্মাণের সময় ভাবিনি: জাকারিয়া সৌখিন

মন দুয়ারী নাটক নাকি সিনেমা, নির্মাণের সময় ভাবিনি: জাকারিয়া সৌখিন জাকারিয়া সৌখিন নির্মিত সময়ের আলোচিত একক নাটক ‘মন দুয়ারী’। নাটকটির চিত্রনাট্যও রচনা করেছেন এই পরিচালক। প্রধান তিন চরিত্র রূপায়ন করেছেন দিলারা জামান, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজনীন নিহা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় ১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের নাটক ‘মন দুয়ারী’। বড় ক্যানভাসে নির্মিত নাটকের গল্প পারিবারিক ক্লাইম্যাক্সে ভরা। পাশাপাশি চোখ ধাঁধানো অপরূপ সিনেমাটোগ্রাফি দর্শকদের চোখে স্নিগ্ধ অনুভূতি জাগিয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে দর্শক নাটকটিকে ‘সিনেমা’ বলছেন। অনেকে এটিকে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা বলছেন। কেউ কেউ দ্বিধা প্রকাশ করে বলছেন, “এটি নাটক নাকি সিনেমা?” দর্শকদের এসব প্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলেছেন জাকারিয়া সৌখিন। এ পরিচালক বলেন, “আমি আসলে গল্প বলার চেষ্টা করেছি। আমার ভেতরে জন্ম নেওয়া দৃশ্যগুলো ক্যামেরায় ধরেছি। চরিত্রের মাধ্যমে আমার ভেতরে কাজ করা আবেগটুকু ঢালার চেষ্টা করেছি। আমি নির্মাণের সময় একবারও ভাবিনি, এটি নাটক না সিনেমা। এটি সিনেমা হলে যাবে নাকি ইউটিউবে!”খানিকটা ব্যাখ্যা করে জাকারিয়া সৌখিন বলেন, “আমি চেয়েছি দুচোখ ভরে আমার গল্পটা সাজাতে। এখন দর্শকদের কাছ থেকে সিনেমার মন্তব্য পাই, তখন মনে হয় ভালোবাসা কখনো বিফলে যায় না। কারণ ভিউয়ের কথা না ভেবে গল্পটাকে ভালোবেসেই বলার চেষ্টা করেছি।” পরিবার, দেশ ও মানুষের গল্প পছন্দ করেন দর্শক। এ তথ্য উল্লেখ করে এই নির্মাতা বলেন, “আমাদের দর্শক বরাবরই আবেগপ্রবণ এবং ফ্যামিলি ওরিয়েন্টেড। এ কারণে তারা পরিবার, দেশ, মানুষের গল্প খুব পছন্দ করে। এর সঙ্গে সঠিক মিউজিক আর বাংলার রূপ ক্যামেরায় ধরতে পারলে তো কথাই নেই। আমি নিজেও এমন কাজ দেখতে খুব আরামবোধ করি। ‘মন দুয়ারী’ নাটকের মধ্যে এর সবকিছুই রাখার চেষ্টা করেছি। যাকে বলে ফুল প্যাকেজ। আমার মনে হয়, মানুষ এগুলোর সঙ্গে নিজে যুক্ত করতে পেরেছেন।” ভবিষ্যতে আরো বড় ক্যানভাসে গল্প বলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাকরিয়া সৌখিন বলেন, “এর আগে ‘পথে হলো দেরী’ বড় ক্যানভাসে নির্মাণ করেছিলাম। এবার ‘মন দুয়ারী’ বানালাম। দু’বারই মুক্তির আগে একটু ভয়ে ছিলাম। দু’বারই দর্শকদের ভালোবাসায় উতরে গেছি। ভবিষ্যতে আরো বড় ক্যানভাসে গল্প বলতে চাই। অবশ্যই সেটা পরিবার, দেশ ও সংগীতকে সঙ্গে রেখে।”মুক্তির চারদিনে ইউটিউবে ৯৯ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১ কোটি ভিউ পূর্ণ করবে। বর্তমানে ইউটিউবে বাংলাদেশ অংশের ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে রয়েছেন। সিএমভির ব্যানারে নাটকটি প্রযোজনা করেছেন এস কে সাহেদ আলী।
গোপনে বিয়ে সারলেন অভিনেত্রী নারগিস ফাখরি

গোপনে বিয়ে সারলেন অভিনেত্রী নারগিস ফাখরি বিয়ে করেছেন বলিউড অভিনেত্রী নারগিস ফাখরি। তবে, তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে আরও সপ্তাহখানেক আগে! শোনা যাচ্ছে, আমেরিকার এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছেন নারগিস; বর্তমানে স্বামীকে নিয়ে হানিমুন উদযাপনে ব্যস্ত তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, আমেরিকান ব্যবসায়ী টোনি বাগকে বিয়ে করেছেন নারগিস। ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারি হিলসের একটি বিলাসবহুল হোটেলে বসে তাদের বিয়ের আসর। খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতে বিয়ে সারেন তারা। এদিকে নারগিস তার ইনস্টাগ্রামে সুইজারল্যান্ড থেকে হানিমুনের ছবি শেয়ার করেছেন এবং টনির পোস্ট করা স্টোরিগুলোও শেয়ার করেছেন। এতে নিশ্চিত হওয়া যায়, তারা একসঙ্গেই রয়েছেন এবং একান্ত সময় কাটাচ্ছেন। ‘রকস্টার’ এবং ‘ম্যাড্রাস কাফে’র মতো ছবির মাধ্যমে পরিচিতি পান নারগিস ফাখরি। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে অভিনেত্রীর দূরত্ব বেড়েছে অনেকদিন ধরেই। পাড়ি দিয়েছেন মার্কিন মুলুকে। একটা সময় রণবীর কাপুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার। তারপর প্রায় পাঁচ বছর উদয় চোপড়ার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। সেই সময় যদিও সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি তিনি। পরে প্রেম ভাঙার পর সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন নার্গিস। বলা বাহুল্য, বহুবার মন ভেঙেছে তার! এবার বিয়ে করে সংসারী হলেন নারগিস।
সব যোগাযোগ বন্ধ রাখতে চান সামান্থা!

সব যোগাযোগ বন্ধ রাখতে চান সামান্থা! দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। তেলেগু এবং তামিল চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে খ্যাতি অর্জন করেছেন। পরবর্তীতে বলিউডে অভিষেক ঘটে। অভিনেতা নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে।সব কিছুর মাঝেও সামান্থা মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার পক্ষে। তিনি নিজের সঙ্গে সময় কাটাতেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। ফোন ছাড়াই নীরবে সময় কাটাতে পারেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি ‘নীরবতার সাধনা’ লেখা একটি কার্ডের ছবিও পোস্ট করেছেন। শেয়ার করে লিখেছেন, ‘তিন দিনের নীরবতা, না কোনও ফোন। না কারও সঙ্গে যোগাযোগ। কেবল নিজের সঙ্গে সময় কাটানো।’ অনেক নেটিজেনদের মধ্যেই এই প্রশ্ন যদি তিনি নীরবই থাকবেন বলে মনে করেন, তবে কেন তা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন কেন। এদিকে অভিনেত্রী তার ইনস্টাগ্রামে ধ্যানের একটি ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ধ্যান। যদি কোনও একটা জিনিস আমি মন থেকে চাই সেটা হলো ধ্যান। আমি চাই তোমরাও এই চেষ্টা করো। প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট ধ্যান করো।’ ‘যে ভাবেই হোক না কেন নীরবে বসে থাকো। তোমার শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মনোযোগ দাও। অথবা ইউটিউব দেখে ধ্যান করো। এর কোনও ঠিক বা ভুল নেই। শুধু মন দিয়ে ধ্যান করাটা খুব দরকার।’ সামান্থার কাছে ধ্যান জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। তিনি আরও লিখেছেন, ‘পৃথিবীতে যতই বিশৃঙ্খলা তৈরি হোক না কেন, আমি জানি আমার ভিতরে একটা শান্ত জায়গা রয়েছে। এবং সেটি একই রয়েছে। যখন তুমি নিজের বাড়ির পথ খুঁজে বের করতে শিখে যাবে, তখন বাইরের শব্দ তার নিয়ন্ত্রণ হারাবে। সেটাই চেষ্টা করে দেখুন।’
আজ এটিএম শামসুজ্জামানের প্রয়াণ দিবস

আজ এটিএম শামসুজ্জামানের প্রয়াণ দিবস বরেণ্য অভিনয়শিল্পী এটিএম শামসুজ্জামান ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পরপারে পাড়ি জমান। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই অভিনেতার আজ চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যুর আগে বেশ কয়েক বছর নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগেন এটিএম শামসুজ্জামান। প্রয়াণ দিবসে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও ভক্তরা। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজের মাধ্যমে তার রুপালি জগতে পদচারণা শুরু হয়। এরপর ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে আসেন এটিএম শামসুজ্জামান। ‘জলছবি’-তে প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্যকারের কাজ করেন। শতাধিক চিত্রনাট্যের কাহিনি লিখেছেন বরেণ্য এই অভিনেতা। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করলেও ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমনি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে দশর্কের কাছে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই গুণী অভিনয়শিল্পীকে। টেলিফিল্ম, নাটকসহ রূপালি পর্দার নানা শাখায় সগৌরবে বিচরণ করেছেন তিনি। নাসির উদ্দিন পরিচালিত ‘আলফা’ চলচ্চিত্রে সর্বশেষ অভিনয় করেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দায়ী কে?’ চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে পার্শ্ব-চরিত্রে সেরা অভিনেতার সম্মাননা অর্জন করেন। ‘জলছবি’, ‘যাদুর বাঁশি’, ‘রামের সুমতি’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ চলচ্চিত্রে তাকে কৌতুক চরিত্রে দেখা যায়। নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অভিনয় করেন এটিএম। খলনায়ক চরিত্রে অভিনীত তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো— ‘অশিক্ষিত’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘স্বপ্নের নায়ক’। এ ছাড়াও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘অনন্ত প্রেম’, ‘দোলনা’, ‘অচেনা’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘চোরাবালি’। শাবনূর-রিয়াজ অভিনীত ‘এবাদাত’ নামের চলচ্চিত্রে ২০০৯ সালে প্রথম পরিচালক হিসেবে কাজ করেন এটিএম। ১৯৪৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এটিএম শামসুজ্জামান। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার ভোলাকোটের বড়বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্র নাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পোগজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহীর লোকনাথ হাইস্কুলে। তার বাবা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন।
তৃতীয় সংসারও টিকলো না হৃদয় খানের

তৃতীয় সংসারও টিকলো না হৃদয় খানের দেশের সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় গায়ক হৃদয় খানের তৃতীয় সংসারেও ভাঙনের খবর মিলেছে। স্ত্রী হুমায়রার সঙ্গে একছাদের নিচে থাকছেন না হৃদয় খান। এই শিল্পীর পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, হৃদয়কে ডিভোর্স দিয়েছেন তার তৃতীয় স্ত্রী হুমায়রা। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি এই দম্পতি। গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের কয়েক বছর সংসার করলেও হৃদয় খানের আচরণ ও জীবনযাপনে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন হুমায়রা। বহুদিন ধরেই নাকি একছাদের নিচে থাকছেন না হৃদয় খান ও তার স্ত্রী হুমায়রা। গায়কের ওপরে নানা কারণে অতিষ্ঠ ছিলেন তিনি। যে কারণে এই শিল্পীকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। তবে বিচ্ছেদ হলেও পুরো বিষয়টি দুই পরিবারই গোপন রেখেছে। এমনকি বিচ্ছেদ নিয়ে হৃদয় খানও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, পুরো বিষয়টি ‘ব্যক্তিগত’ মন্তব্য করেই শেষ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, নিজের চেয়ে বয়সে বড় দেশের জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী সুজানা জাফরকে বিয়ে করে চারদিকে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন হৃদয় খান। ২০১৫ সালের ১ আগস্ট সুজানাকে বিয়ে করেন এই সংগীতশিল্পী। এরপর ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পারিবারিক আয়োজনে হুমায়রাকে বিয়ে করেন হৃদয় খান। কয়েক মাস পর রাজধানী একটি পাঁচ তারকা হোটেলে হৃদয় খান-হুমায়রার বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। হুমায়রার সঙ্গে এটি ছিল হৃদয় খানের তৃতীয় বিয়ে। এর আগে পূর্ণিমা আকতার নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন হৃদয়। সেই সংসারও বেশিদিন টেকেনি। এরই মধ্যে শোনা গেল তৃতীয় সংসারেও ভাঙনের খবর।
ভিকি-রাশমিকার জয়রথ চলছেই

ভিকি-রাশমিকার জয়রথ চলছেই রাশমিকা মান্দানা অভিনীত চলতি বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা ‘ছাবা’। লক্ষ্মণ উতেকার নির্মিত এই সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ভিকি কৌশল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের ৪ হাজার পর্দায় মুক্তি পায় এটি। মুক্তির আগেই বিতর্কে জড়ায় হিন্দি ভাষার ‘ছাবা’ সিনেমা। বাধ্য হয়েই আপত্তি ওঠা গানটি সিনেমা থেকে বাদ দেন নির্মাতারা। এসব বিষয় নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হওয়ার আগে থেকেই আলোচনায় এটি। মুক্তির পর দর্শক সমালোচকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। তবে শুরু থেকেই বক্স অফিসে সাড়া ফেলে সিনেমাটি। আয়ের গ্রাফ ওঠানামা করলেও ভিকি-রাশমিকার সিনেমাটি এখনো বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, ‘ছাবা’ পাঁচদিনে শুধু ভারতে আয় করেছে ১৯৮.৮৫ কোটি রুপি। বিদেশে আয় করেছে ৩০ কোটি রুপি। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২২৮.৮৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২০ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বেশি)। ‘ছাবা’ সিনেমার গল্প শিবাজির পুত্র ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের জীবনের ওপর ভিত্তি করে এগিয়েছে। ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের চরিত্রে ভিকি কৌশল ও মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের চরিত্র রূপায়ন করেছেন অক্ষয় খান্না। সম্ভাজি মহারাজের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাশমিকা মান্দানা। তা ছাড়াও অভিনয় করেছেন— আশুতোষ রানা, ডিয়ানা পেন্টি, দিব্যা দত্ত প্রমুখ। দীনেশ বিজন প্রযোজিত এ সিনেমা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪০ কোটি রুপি।
৪ দিনে রাশমিকা-ভিকি অভিনীত সিনেমার আয় ২৭৩ কোটি টাকা

৪ দিনে রাশমিকা-ভিকি অভিনীত সিনেমার আয় ২৭৩ কোটি টাকা রাশমিকা মান্দানা অভিনীত চলতি বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা ‘ছাবা’। লক্ষ্মণ উতেকার নির্মিত এই সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ভিকি কৌশল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের ৪ হাজার পর্দায় মুক্তি পায় এটি। মুক্তির আগেই বিতর্কে জড়ায় হিন্দি ভাষার ‘ছাবা’ সিনেমা। বাধ্য হয়েই আপত্তি ওঠা গানটি সিনেমা থেকে বাদ দেন নির্মাতারা। এসব বিষয় নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হওয়ার আগে থেকেই আলোচনায় এটি। মুক্তির পর দর্শক সমালোচকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। তা হলে বক্স অফিসে কেমন সাড়া ফেলেছে রাশমিকার এই সিনেমা? স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, ‘ছাবা’ চারদিনে শুধু ভারতে আয় করেছে ১৬৮.৬ কোটি রুপি। বিদেশে আয় করেছে ২৭ কোটি রুপি। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১৯৫.৬ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বেশি)। ‘ছাবা’ সিনেমার গল্প শিবাজির পুত্র ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের জীবনের ওপর ভিত্তি করে এগিয়েছে। ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের চরিত্রে ভিকি কৌশল ও মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের চরিত্র রূপায়ন করেছেন অক্ষয় খান্না। সম্ভাজি মহারাজের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাশমিকা মান্দানা। তা ছাড়াও অভিনয় করেছেন— আশুতোষ রানা, ডিয়ানা পেন্টি, দিব্যা দত্ত প্রমুখ। দীনেশ বিজন প্রযোজিত এ সিনেমা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪০ কোটি রুপি।
এবার গায়ক পরিচয়ে আসছেন অক্ষয়

এবার গায়ক পরিচয়ে আসছেন অক্ষয় বলিউডে একটা সময় অক্ষয় কুমারের সিনেমা মানেই ২০০ কোটির ক্লাব। বক্স অফিসের খিলাড়ি ছিলেন অক্ষয়। কিন্তু কয়েক বছর ধরে হিটের মুখ দেখছেন না অভিনেতা, বরং সেই ‘বেলবটম’, ‘রামসেতু’, ‘রক্ষাবন্ধন’ ছবি থেকে ফ্লপের শুরু। মাঝে ‘ও মাই গড ২’ অল্প ব্যবসা করলেও কোটি কোটি টাকা রোজগারে ব্যর্থ অক্ষয়। সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া তার ‘খেল খেল মে’ ছবি সুপারফ্লপ! এমন পরিস্থিতিতে নতুন পরিচয়ে আসছেন অক্ষয়। সম্প্রতি এই অভিনেতা তার ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা গেছে, শিবলিঙ্গকে জড়িয়ে বসে রয়েছেন অক্ষয়। ছবি শেয়ার করে অভিনেতা লিখলেন, ওম নম শিবায়, মহাকালের শক্তি আর ভক্তি অনুভব করে নিন। জানা গেছে, অভিনয়ের পাশাপাশি এবার গায়ক হয়ে আসছেন অক্ষয়। নিজেই প্রকাশ্যে আনছেন গানের ভিডিও। আর খিলাড়ি কুমারের গানের যাত্রা শুরু শিব আরাধনার হাত ধরেই। তারই প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে আনলেন অক্ষয়। তার এই গানের অ্যালবামের নাম ‘মহাকাল চলো’। গানটিতে অক্ষয় ছাড়া আরো কণ্ঠ দিয়েছেন পলাশ সেন, বিক্রম।
নায়ক মান্না চলে যাওয়ার ১৭ বছর

নায়ক মান্না চলে যাওয়ার ১৭ বছর তিনি ছিলেন সিনেমা অন্তপ্রাণ মানুষ। সবসময় চিন্তা করতেন কীভাবে সিনেমাকে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়। তিনিই আইয়ূব বাচ্চুকে সিনেমার গানে নিয়ে এসেছিলেন ‘আম্মাজান’ সিনেমায়। জেমসকে দিয়ে সিনেমার জন্য গান করিয়ে দর্শকের নজর কাড়তে পানির নিচে করেছিলেন শুটিং। এভাবেই প্রতিনিয়ত চমক আর নতুনত্ব দিয়ে সিনেমাকে তিনি দর্শকপ্রিয় করে তুলতেন। তার ছিল সাবলীল অভিনয়ের যোগ্যতা, ভরাট কণ্ঠস্বর। সিনেমার পর্দায় নায়ক হয়ে তিনি নিপীড়িত, বঞ্চিত ও সাধারণ মানুষের পক্ষে লড়েছেন। প্রতিবাদের আওয়াজ তুলেছেন। তাই সাধারণ মানুষের কাছে তার জনপ্রিয়তা ছিলো শীর্ষে। বলছি প্রয়াত নায়ক মান্নার কথা। অমর নায়ক সালমান শাহের মৃত্যুর পর মান্নার অকাল প্রয়াণকেও এ দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য বিরাট ক্ষতি বলে মানা হয়। অনেকে বলে থাকেন এই দুই নায়ক অকালে চলে না গেলে ঢালিউডের ইতিহাসটা হয়তো অন্যরকম হতে পারতো। আজ নায়ক মান্নার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৭ বছর আগে ২০০৮ সালের আজকের দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি। সারাদেশ আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল শোকে। মৃত্যুর পর তাকে সমাধিস্থ করা হয় নিজ গ্রাম টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায়। সেখানেই মায়ের কবরের পাশে ১৭ বছর ধরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন মান্না। ১৯৬৪ সালের ১৪ এপ্রিল টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন মান্না। তার পারিবারিক নাম এসএম আসলাম তালুকদার মান্না। নিজ এলাকায় স্থানীয় একটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করে ঢাকা কলেজে স্নাতকে ভর্তি হন মান্না। ১৯৮৪ সালে তিনি এফডিসির নতুন মুখের সন্ধান কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে আসেন। নায়করাজ রাজ্জাক মান্নাকে প্রথম চলচ্চিত্রে সুযোগ করে দেন। ‘তওবা’র মাধ্যমে সিনেমার জন্য প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। তবে তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘পাগলী’। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ চলচ্চিত্রে প্রথম একক নায়ক হিসেবে চম্পার বিপরীতে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়। তবে নায়ক মান্নার রাজত্বের শুরু আরও কিছু পরে। কাজী হায়াতের ‘তেজি’ সিনেমা সুপারহিট হওয়ার পর ঢালিউডে মূলত মান্না যুগের শুরু। এরপর একের পর এক ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে সেরা নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন মান্না। অভিনয় জীবনে তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন মান্না। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে- তেজি, শান্ত কেন মাস্তান, সিপাহী, যন্ত্রণা, অমর, পাগলী, ত্রাস, জনতার বাশা, লাল বাদশা, আম্মাজান, আব্বাজানা, রুটি, দেশ রী, অন্ধ আইন, স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ, অবুঝ শিশু, মায়ের মর্যাদা, মা-বাবার স্বপ্ন, হৃদয় থেকে পাওয়া ইত্যাদি। দেশের চলচ্চিত্র যখন অশ্লীলতার সংকটে পড়েছিল, তখন সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের অঙ্গীকার নিয়ে মান্না গঠন করেন ‘কৃতাঞ্জলী চলচ্চিত্র’ নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা। তার প্রযোজনায় তৈরি হয় ‘লুটতরাজ’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’সহ অনেক ব্যবসাসফল ও প্রশংসিত সিনেমা। ‘বীর সৈনিক’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন মান্না। বিমানবালা শেলি মান্নার সঙ্গে সুখী দাম্পত্য জীবন ছিলো মান্নার। তাদের একমাত্র পুত্রের নাম সিয়াম ইলতেমাশ। যুক্তরাষ্ট্রে সিনেমা নির্মাণের ওপর পড়াশোনা করছেন তিনি।
কনসার্ট স্থগিত হাসপাতালে শাকিরা

কনসার্ট স্থগিত হাসপাতালে শাকিরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরাকে। অসুস্থতার কারণে কনসার্ট স্থগিত করেছেন এই তারকা। শাকিরা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট দিয়ে অসুস্থতার খবর জানান। এ পোস্টে শাকিরা বলেন, “দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, গতকাল (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে পেটের সমস্যা নিয়ে জরুরি বিভাগে যেতে হয়। আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি আছি। আজকে মঞ্চে উঠতে না পেরে ভীষণ খারাপ লাগছে।” রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে পেরুর জাতীয় স্টেডিয়ামে শাকিরার কনসার্ট ছিল। দেশটির রাজধানীতে পরপর দুটো শো ছিল। অসুস্থতার কারণে দুটো শো স্থগিত করেছেন এই শিল্পী। তবে নতুন তারিখ নির্ধারণ নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ভক্তদের উদ্দেশ্যে শাকিরা বলেন, “পেরুতে আমার ভক্তদের সঙ্গে পুনরায় একত্রিত হওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।” ১৯৭৭ সালে কলম্বিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন পপ তারকা শাকিরা। গানের শিল্পী হয়েও মাত্র ৩৩ বছর বয়সে গোটা বিশ্বকে নাচান ‘ওয়াকা ওয়াকা’ গান দিয়ে। ফুটবল মাঠে সেই উন্মাদনার কথা এখনো ভোলেননি শাকিরা ভক্তরা।