পুত্র সন্তানের বাবা হলেন অভিনেতা পরমব্রত

পুত্র সন্তানের বাবা হলেন অভিনেতা পরমব্রত পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। রবিবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তার স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী। মা ও নবজাতক দুজনেই সুস্থ রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পরমব্রত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরম-পিয়া দম্পতির এই খুশির খবরে ভক্ত ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। সহশিল্পী থেকে শুরু করে কাছের বন্ধুরা, সবার মুখে একটাই কথা, ‘পরম-পিয়া, তোমাদের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।’ এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে একটি আবেগঘন পোস্টে পরমব্রত জানিয়েছিলেন, তাদের সংসারে আসতে চলেছে নতুন অতিথি। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ঘরোয়া আয়োজনে খুব কাছের মানুষদের উপস্থিতিতে আইনি বন্ধনে আবদ্ধ হন পরম ও পিয়া। প্রেম নিয়ে বহু আলোচনার পর দুজনে তখন জানিয়েছিলেন, তারা ‘ভালো বন্ধু’। বিয়ের পরও সেই বন্ধুত্ব রয়ে গেছে অটুট। আর এবার তাদের বন্ধুত্বের সেই নীড়ে যোগ হলো এক নতুন প্রাণ এবং এক টুকরো ভালোবাসা।
বিয়েটা কি হয়েই গেল শ্রীলীলার?

বিয়েটা কি হয়েই গেল শ্রীলীলার? বলিউড অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান ও দক্ষিণি অভিনেত্রী শ্রীলীলা বেশ কিছুদিন ধরেই প্রেম বিতর্কের গুঞ্জন চলছে। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সয়লাব শ্রীলীলার গায়ে হলুদের ছবিতে। সোশ্যালে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবিতে দেখা গেছে, শ্রীলীলাকে হলুদ মাখাচ্ছেন একাধিক জন। নারী-পুরুষ উভয়ের হাত থেকেই হলুদ মাখছেন তিনি। মুখে নির্মল হাসি। নিজের সংস্কৃতি মেনে সেজেছেন নায়িকা। পরনে পেলব নীল আর ঘিয়ে রঙের মিলমিশে তৈরি শাড়ি। সঙ্গে হালকা গয়না, চুলে ফুল। সব মিলিয়ে ঝলমল করছেন তিনি। সামনে হলুদ, কুমকুম, পানপাতায় সাজানো একটি রেকাব। সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে তাঁর কপালের লাল টিপ আর সিঁথির সিঁদুর। ছবিগুলো নেটিজেনদের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি করেছে। ছবিগুলোতে ধরা পড়েছে অভিনেত্রীর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান! সাধারণত যা বিয়ের আগে হয়। এসব ছবি দেখেই চোখ কপালে সবার। সমাজমাধ্যমে প্রশ্নের বন্যা, কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গেই বিয়ে হচ্ছে নায়িকার? কার্তিক আরিয়ান-শ্রীলীলা কি সাত পাক ঘুরেই ফেললেন? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর হন্যে হয়ে খুঁজছে বলিউড এবং দুই তারকার অনুরাগীরা। অনুরাগ বসুর আগামী ছবিতে প্রথম জুটি বেঁধেছেন কার্তিক-শ্রীলীলা। প্রথম দিন থেকেই জুটির চাহিদা তুঙ্গে। তার ওপরে কার্তিকের মা হবু বউমার মধ্যে যা যা গুণ দেখতে চেয়েছেন সব কটিই নায়িকার মধ্যে রয়েছে! কার্তিকের বাড়ির একাধিক অনুষ্ঠানে দেখা গেছে শ্রীলীলাকে। ফলে গায়ে হলুদের ছবি ছড়াতেই হুলস্থূল শুরু। নিন্দুকেরা যদিও বলছেন, সবটাই নাকি নতুন ছবির প্রচারের স্বার্থে। না হলে ছবি শেষ হতে না হতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার মতো বোকামি করবেন না কার্তিক-শ্রীলীলা। কিছু অনুরাগীর দাবি, শ্রীলীলার জন্মদিন উপলক্ষে নাকি এই রীতি পালিত হয়েছে। তবে ইন্টারনেটে খুঁজলে জানা যাচ্ছে, নায়িকার জন্মদিন ১৪ জুন। ছবিতে দেখানো রীতির সঙ্গে কেউ কেউ উত্তর ভারতীয় রীতির মিল খুঁজে পেয়েছেন। আবার প্রশ্ন উঠছে, যদি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানই হয়, তবে সিঁথিতে সিঁদুর কেন? জন্মদিনের অনুষ্ঠানেই বা কেন সিঁদুর পরবেন নায়িকা? তবে অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, দক্ষিণী নারীর চুলে ফুলের সাজ আর অবিবাহিতদেরও কুমকুম বা সিঁদুর ব্যবহারের কথা। যদিও পুরো বিষয়টি ধোঁয়াশায় ঢাকা।
কমল হাসানের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ দৃশ্য’, মুখ খুললেন অভিরামী

কমল হাসানের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ দৃশ্য’, মুখ খুললেন অভিরামী বলিউডের পর্দায় কমবয়সী নায়িকাদের সঙ্গে বেশি বয়সের নায়কদের রোমান্স নতুন কিছু নয়। দক্ষিণী সিনেমাতেও এমন ট্রেন্ডিং দেখা যায়। আর এই কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন অভিনয়শিল্পীরা। এবার জনপ্রিয় খ্যাতনামা অভিনেতা কমল হাসান পড়লেন তোপের মুখে। সেই সঙ্গে সমালোচনার মুখে পড়েছেন দুই অভিনেত্রীও। যাদের একজন তৃষা কৃষ্ণান ও অপরজন অভিরামী। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে কমল হাসানের আসন্ন সিনেমা ‘ঠাগ লাইফ’। সিনেমাটির ট্রেলার নজর কেড়েছে দর্শকদের। ট্রেলারে কমল হাসানকে দুই নায়িকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে দেখা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে এমন রসায়ন। বিশেষ করে অভিরামী ও কমল হাসানের রসায়ন নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। বয়সের হিসেবে কমল হাসানের ৭১ বছরের বিপরীতে অভিরামীর বয়স ৪১ বছর। পিঙ্কভিলার প্রতিবেদন অনুসারে, বিতর্ক প্রসঙ্গে অভিরামী বলেন, ‘আজকাল জনসাধারণের সমালোচনা এড়ানো কঠিন। তবে বিতর্ক যাই হোক না কেন, তা ঘটতেই থাকবে। পরিচালক মণি রত্নমের দৃষ্টিভঙ্গি বা কাস্টিং পছন্দ নিয়ে প্রশ্ন তোলা কাজ নয় আমার।’ ভাইরাল চুম্বন দৃশ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে স্পষ্টভাবে তিনি বলেন, ‘এটি মাত্র তিন সেকেন্ডের। ট্রেলারে কেবল এটিই দেখানো হয়েছে, যা একটু বিভ্রান্তিকর। তবে আপনি যখন সিনেমাটি দেখবেন, তখন দৃশ্য এবং চুম্বনের দিকে যাওয়ার বিষয়টি বেশ উপভোগ করবেন। যা গল্পের সঙ্গে ভালোভাবে মানানসই। আমার কাছে মনে হয়, এটি নিয়ে এত আলোচনা হওয়া অপ্রয়োজনীয়।’ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘সম্ভবত প্রচারণা ও দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে দৃশ্যটি হাইলাইটস করা হয়েছে। অবশ্য এ ধরনের কৌশল ইন্ডাস্ট্রিতে এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে কোনো ধারণা করার আগে সবাইকে সিনেমাটি দেখার অনুরোধও জানান অভিরামী।’ মণি রত্নম পরিচালিত গ্যাংস্টার অ্যাকশন ড্রামাটিতে অভিনয় করেছেন কমল হাসান, সিলাম্বরসন, ত্রিশা কৃষ্ণান, সানিয়া মালহোত্রা, অভিরামী, অশোক সেলভান, ঐশ্বর্য লক্ষ্মী, জোজু জর্জ, নাসার, আলি ফজল, পঙ্কজ ত্রিপাঠি, রোহিত সরফ এবং ভাইয়াপুরি। সিনেমাটি আগামী ৫ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে।
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন পবনদীপ

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন পবনদীপ অবশেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পবনদীপ রাজন। গত ৯ মে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের কাছে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১২’-খ্যাত এই গায়ক। আজ হাসপাতাল থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। ফেরার সময় কিছু ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুরাগীদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ছবিতে তার হাতে এবং সারা শরীরে সেলাই ও কাটা দাগ দেখা যায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার পর পবনদীপের শরীরের একাধিক হাড় ভেঙে গিয়েছিল পাশাপাশি ছিল গুরুতর ক্ষত। তার অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক ছিল যে, ২৫ দিন চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এই সময়ে তাকে একাধিক জটিল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। প্রথম অস্ত্রোপচারটি টানা ছয় ঘণ্টা ধরে চলে, যেখানে চিকিৎসকেরা তার কিছু ভাঙা হাড় জোড়া লাগান। এরপর দিন চারেকের বিশ্রাম শেষে আইসিইউ থেকে তাকে ব্যক্তিগত কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। প্রথম অস্ত্রোপচারের ধকল সামলে ওঠার পর শরীরের বাকি ভাঙা হাড় জোড়া লাগানোর জন্য দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার করা হয়। পবনদীপের কঠিন সময়ে তার পাশে থাকার জন্য অনুরাগীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। যদিও তাকে আরও কতদিন চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। তবে তার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় ভক্তদের মনে স্বস্তি ফিরেছে।
আজ হুমায়ুন ফরীদির জন্মদিন

আজ হুমায়ুন ফরীদির জন্মদিন গুণী অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে বলা যায় তিনি খলনায়ক, তিনি নায়কের অধিক। আজ এই গুণী অভিনেতার জন্মদিন। ১৯৫২ সালের ২৯ মে ঢাকার নারিন্দায় জন্ম গ্রহণ করেন হুমায়ুন ফরীদি। তার বাবার নাম এটিএম নুরুল ইসলাম, মায়ের নাম বেগম ফরিদা ইসলাম। হুমায়ুন ফরীদি চার ভাই-বোনের মধ্যে ছিলেন দ্বিতীয়। ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তিনি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেন ১৯৭০ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে। ওই বছরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে ভর্তি হন স্নাতক করতে। পরের বছর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, পড়াশোনা ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন তিনি। স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক জীবন শুরু করেন হুমায়ুন ফরীদি। এখানেই তার অভিনয় প্রতিভার বিকাশ হয়েছিল। নাট্যকার সেলিম আল দীনের কাছে নাট্যতত্ত্বে দীক্ষা নেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই সদস্যপদ পান ঢাকা থিয়েটারের। এরপরর এই নাট্যদল থেকেই একের পর এক মঞ্চনাটক করেন হুমায়ুন ফরীদি। ঢাকা থিয়েটারের ‘শকুন্তলা’, ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসি’, ‘কীর্তনখোলা’, ‘কেরামত মঙ্গল’-এর মতো মঞ্চনাটকে অভিনয় করে নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়। আদায় করে নেন দর্শকের ভালোবাসা। হুমায়ুন ফরীদি অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ‘একাত্তরের যিশু’, ‘সন্ত্রাস’, ‘ব্যাচেলর’, ‘জয়যাত্রা’ ও ‘শ্যামলছায়া’ অন্যতম। বাণিজ্যিক ধারার সিনেমার খলনায়কের চরিত্র করে ব্যাপক খ্যাতি পান। ‘মাতৃত্ব’ সিনেমার জন্য ২০০৪ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান হুমায়ূন ফরীদি। এই অভিনয়শিল্পীর বলে যাওয়া কথাগুলোও মানুষের হৃদয়ে মোটা দাগ কাটে। দার্শনিকসুলভ সেই কথাগুলো আজ একবার স্মরণ করা যাক। ১. যদি তোমার সম্পর্কে মানুষ তোমার পেছনে কিছু বলে, জেনো তুমি কিছু একটা করছ, যা ওরা করতে পারছে না। মাথায় নিয়ো না। তোমার কাজ তুমি করে যাও মন দিয়ে। জয়ী হবে। ২. মৃত্যুর মতো এতো স্নিগ্ধ, এতো গভীর, সুন্দর আর কিছু নেই। কারণ, মৃত্যু অনিবার্য। তুমি যখন জন্মেছ, তখন তোমাকে মরতেই হবে। মৃত্যুর বিষয়টি মাথায় থাকলে কেউ পাপ করবে না। যেটা অনিবার্য, তাকে ভালোবাসাটাই শ্রেয়। মৃত্যুকে ভয় পাওয়াটা মূর্খতা। জ্ঞানীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করো, গ্রহণ করো, বরণ করে নাও। ৩. সুখী হওয়ার একটাই উপায়, কেউ কাউকে ঠকাবেন না—অবশ্যই সুখী হবেন। ৪. কিছু কিছু পরিবর্তন মানুষ নিজেই করে; আর কিছু কিছু পরিবর্তন মানুষের জীবনে আসে, যেটা সে কখনোই চায় না বা আশা করে না।
দক্ষিণী সিনেমায় যাত্রা করলেন হৃতিক

দক্ষিণী সিনেমায় যাত্রা করলেন হৃতিক দক্ষিণী সিনেমার উত্থান এখন আর নতুন কিছু নয়। ‘কেজিএফ’, ‘সালার’, ‘কান্তারা’র মতো ব্লকবাস্টার দিয়ে বলিউডকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে দক্ষিণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। এবার সেই সাফল্যের ধারায় পা রাখলেন হৃতিক রোশন। বুধবার হোম্বলে ফিল্মস অফিসিয়াল এক্স (টুইটার) হ্যান্ডেলে ঘোষণা করেছে, তাদের পরবর্তী প্রজেক্টে যুক্ত হচ্ছেন হৃতিক। পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘হৃতিক, যাকে সবাই গ্রিক গড বলেন। তিনি লক্ষ লক্ষ হৃদয়ের অধিপতি। হোম্বলে ফিল্মসের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। আমরা দর্শকদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা উপহার দেওয়ার স্বপ্ন দেখছি।’ প্রযোজনা সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিজয় কিরাগান্দুর জানিয়েছেন, ‘আমরা সবসময় এমন গল্প বলার চেষ্টা করি, যা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। হৃতিকের সঙ্গে আমাদের এই নতুন যাত্রা সেই লক্ষ্যেই এক বড় পদক্ষেপ।’ এই ঘোষণার পর থেকেই জল্পনা তুঙ্গে। কেউ বলছেন, ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার থ্রি’-তে যশের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন হৃতিক। কেউ বা মনে করছেন, ‘সালার’-এর নতুন কিস্তিতে দেখা যাবে তাকে। প্রসঙ্গত, হোম্বলে ফিল্মস এর আগে ‘কেজিএফ’ ও ‘কান্তারা’র মতো ছবি প্রযোজনা করেছে, যা বক্স অফিসে বিপুল সাফল্য পেয়েছে। ফলে এই প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে হৃতিকের চুক্তিকে তার ক্যারিয়ারের বড় মোড় বলেই মনে করছেন অনেকে। উল্লেখ্য, হৃতিককে আগামীতে দেখা যাবে ‘ওয়ার ২’ ছবিতে, যা মুক্তি পেতে চলেছে ১৪ আগস্ট। ছবিতে রয়েছেন কিয়ারা আদভানি ও জুনিয়র এনটিআরও।
বলিউড অভিনেতা মুকুল দেব আর নেই

বলিউড অভিনেতা মুকুল দেব আর নেই না ফেরার দেখে পাড়ি জমালেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা মুকুল দেব। শুক্রবার (২৩ মে) মৃত্যু হয় এ অভিনেতার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। হিন্দি, পাঞ্জাবি, দক্ষিণ ভারতীয় ছবি ও টেলিভিশনেরও জনপ্রিয় মুখ ছিলেন মুকুল দেব। শনিবার (২৪ মে) অভিনেতার মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মুকুল দেব। ভর্তি ছিলেন আইসিইউ-তে। মনোজ বাজপেয়ী টুইট করেন, ‘আমার এই মুহূর্তে ঠিক কী অনুভূতি হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। মুকুল ছিলেন আমার আত্মিক ভাই। শিল্পী হিসাবে ওর উষ্ণতা ও আবেগ ছিল অতুলনীয়। খুব তাড়াতাড়ি চলে গেল, খুব অল্প বয়সে। ওর পরিবারের এই ক্ষতিতে শোকাহত। প্রত্যেকের জন্য প্রার্থনা করছি। মিস ইউ মেরি জান… যতক্ষণ না আমাদের আবার দেখা হয়, ওম শান্তি।’ ‘সন অফ সর্দার’ সিনেমায় মুকুল দেবের সঙ্গে কাজ করা অভিনেতা বিন্দু দারা সিং মুকুলের মৃত্যুর খবরটি ইন্ডিয়া টুডে-কে নিশ্চিত করেছেন। তিনি শোকপ্রকাশ করে বলেন, ‘মুকুলকে আর বড় পর্দায় অভিনয় করতে দেখা যাবে না- এটা খুব কষ্টের। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই মুকুল নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিল। সে বাড়ি থেকে বের হতো না, বা কারও সঙ্গে দেখা করত না। শেষ কয়দিনে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তার ভাই ও যারা তাকে ভালোবাসতেন, তাদের প্রতি আমার সমবেদনা। মুকুল এক অসাধারণ মানুষ ছিলেন। আমরা সবাই তাকে ভীষণ মিস করব।’ মুকুলের বন্ধু এবং অভিনেত্রী দীপশিখা নাগপালও তার সঙ্গে একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে শ্রদ্ধা জানান। ইন্ডিয়া টুডে-কে তিনি বলেন, ‘মুকুল কখনোই নিজের অসুস্থতা নিয়ে কারও সঙ্গে কিছু বলত না। আমাদের একটা বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল, যেখানে আমরা প্রায়ই কথা বলতাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওর মৃত্যুর খবর পাই। তখন থেকেই ওর নম্বরে বারবার ফোন করছি, ভাবছি যদি ধরেই ফেলে!’ প্রসঙ্গত, মুকুল দেব-এর জন্ম ১৯৭০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এক পাঞ্জাবি পরিবারে। তিনি একজন ভারতীয় অভিনেতা ছিলেন যিনি হিন্দি, পাঞ্জাবি, তেলুগু, তামিল, কন্নড়, বাংলা এবং মালয়ালম ছবিতে অভিনয় করেছেন। আবার একই সঙ্গে টেলিভিশনেও কাজ করেছেন। ১৯৯৬ সালে টিভি সিরিজ ‘মুমকিন’ দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। আবার ওই একই বছর ‘দাস্তাক’ ছবিতে সুস্মিতা সেনের সঙ্গে অভিনয় করে তিনি বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। পরবর্তী সময়ে ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা’, ‘সন অফ সর্দার,’ ‘আর… রাজকুমার’, ‘ডন’ এবং ‘জয় হো’-র মতো ব্যবসাসফল ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। আবার তিনি ‘আওয়ারা’, ‘বচ্চন’, ‘সুলতান: দ্য স্যাভিয়ার’-এর মতো বাংলা ছবিতে জিৎ-এর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। দিল্লির সেন্ট কলম্বাস স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন মুকুল দেব। ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ অ্যাভিয়েশন থেকে বিমান চালনাও শিখেছিলেন তিনি। মুকুল ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা রাহুল দেবের ভাই।
আমি আর প্রসেনজিৎ যখন পর্দায় থাকি,সবকিছু ভুলে যাই

আমি আর প্রসেনজিৎ যখন পর্দায় থাকি,সবকিছু ভুলে যাই ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় জুটি প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এই জুটির প্রথম চলচ্চিত্র ‘নাগপঞ্চমী’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। তারপর অনেক জনপ্রিয় বাংলা সিনেমা উপহার দিয়েছেন রোমান্টিক এই জুটি। ২০০২ সালে এই জুটির অভিনীত ‘প্রতিহিংসা’ সিনেমা মুক্তি পায়। তারপর সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুই বদলে যায়। মাঝে ১৪ বছর একসঙ্গে কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি তাদের। দীর্ঘ ১৪ বছরের বিরতি ভেঙে ‘প্রাক্তন’ সিনেমার মাধ্যমে একসঙ্গে ফেরেন তারা। নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জি পরিচালিত এ সিনেমাটি ২০১৬ সালের ২৭ মে মুক্তি পায়। এ সিনেমা মুক্তির পর ভূয়সী প্রশংসা কুড়ান তারা। ‘প্রাক্তন’ মুক্তির পর আরো দুটো সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা। প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা অভিনীত ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ সিনেমা। ২০০০ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। এ সিনেমার ‘চোখ তুলে দেখো না’ গানটি এখনো দর্শক হৃদয়ে দোলা দেয়। ২৫ বছর পর ফের সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আগামী ৩০ মে কলকাতায় মুক্তি পাবে এটি। এ সিনেমা মুক্তির পর কীভাবে ২৫ বছর কেটে গেল, তা নিয়ে বিস্মিত ঋতুপর্ণা। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “আমার কাছে খুব বিস্ময়ের ব্যাপার, কীভাবে ২৫ বছর কেটে গেল বুঝতে পারলাম না। ২৫ বছর ধরে একটা সিনেমাকে আমরা বয়ে নিয়ে এসেছি। আজও সব বিয়েবাড়িতে এই গানটা বাজে। জীবনে কিছু জিনিস থেকে যায়।” ২৫ বছর কেটে গেলেও প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার রসায়ন এখনো তেমনি আছে। যদিও মাঝে দীর্ঘ সময় এ জুটিকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। তবে তাদের প্রত্যাবর্তন মাঝের বিরতি ভুলিয়ে দিয়েছে। ঋতুপর্ণা বলেন, “আমি আর প্রসেনজিৎ যখন পর্দায় থাকি তখন সবকিছু ভুলে যাই। আমাদের কাছে তখন ওই চরিত্রগুলোই বাস্তব হয়ে ওঠে। ওর বাইরে কোনো জীবন আছে, সেটা ভুলে যাই। আমাদের তখন ওই মুহূর্তগুলো হয়ে ওঠে আপসহীন।” রোমান্টিক সিনেমায় দারুণ জীবন্ত ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎ। এ জুটি অনেকগুলো রোমান্টিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। অভিনয় করতে গিয়ে কখনো পরস্পরের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েননি? এমন প্রশ্নের জবাবে ঋতুপর্ণা বলেন, “আমাদের কাছে প্রেমটা অন্যরকম। দু’জন দু’জনের প্রতি রয়েছে আস্থা, নির্ভরতা ও ভরসা। সেটা এতটা সুন্দর যে আমরা বছরের পর বছর কথা না বললেও সেই জায়গা রয়ে যাবে।” ভারতীয় বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের কাছে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির দর্শকপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। দীর্ঘ দিনের গুঞ্জন, ব্যক্তিগত জীবনে এ জুটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। সত্যি কী প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার মাঝে প্রেম ছিল বা আছে? গত বছর এই প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন তারা। প্রথমে এ প্রশ্নের উত্তর দেন প্রসেনজিৎ। তিনি বলেছিলেন, “আপনি বলতে পারবেন, উত্তম-সুচিত্রার কি প্রেম ছিল? কিছু জিনিস অজানা থাকুক। যখন আমরা থাকব না, তখনো যাতে এই আলোচনাটা চলে।” একই প্রশ্নের জবাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত তখনো রহস্য করে বলেছিলেন, “পরবর্তী প্রজন্মে যেন এটাই হাতড়ে যায়, ওদের মধ্যে কী ছিল!” ঋতুপর্ণার এ বক্তব্যের পর প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, “আসলে কিছু সম্পর্ক বিশ্লেষণের বাইরে; সেটাকে ওরকমভাবেই রাখা ভালো।” প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে আলাদা আলাদাভাবে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে ৫০টি সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন তারা। তাদের অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘অযোগ্য’। গত বছর মুক্তি পায় এটি।
গুরুতর অসুস্থ নুসরাত ফারিয়া চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে

গুরুতর অসুস্থ নুসরাত ফারিয়া চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে গেল রোববার (১৮ মে) সকালে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হন নুসরাত ফারিয়া। পরের দিন আদালত থেকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। তবে মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। কারাগার থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি এই অভিনেত্রী। তবে এই সময়ে যারা পাশে ছিলেন, তাদের উদ্দেশে ফেসবুক পেজের এক স্ট্যাটাসে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই নায়িকা। এরপর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে আবারও নিজের অনুভূতি তুলে ধরেন তিনি। এরপর ফারিয়ার আর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শুক্রবার (২৩ মে) এক ফেসবুক পোস্টে এ চিত্রনায়িকা জানিয়েছেন, তিনি গুরুতর অসুস্থ, চিকিৎসার অংশ হিসেবেই সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন। ফারিয়া লেখেন, আমি জানি, আপনারা অনেকেই আমার খোঁজ-খবর নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনাদের ভালোবাসা ও উদ্বেগ আমাকে সত্যিই ছুঁয়ে যাচ্ছে। তবে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, বর্তমানে আমি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি। চিকিৎসার অংশ হিসেবে এখন কিছু সময়ের জন্য বাইরের সঙ্গে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফোন ব্যবহারের ওপরও রয়েছে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা। যোগ করে ঢাকাই সিনেমার এই অভিনেত্রী লেখেন, এই পরিস্থিতিতে কারো সঙ্গে কথা বলতে না পারার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করি, আপনারা বিষয়টি বুঝবেন। আমি বিশ্বাস করি, এই কঠিন সময়টা দ্রুতই পেরিয়ে আবার সুস্থভাবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারব। গত কয়েকদিনকে দুঃসহ সময় উল্লেখ করে ফারিয়া লেখেন, গত কয়েকদিন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়। মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও সাহচর্য আমাকে এগিয়ে চলার শক্তি দিয়েছে। আপনাদের সকলের প্রতি- আপামর জনসাধারণ, প্রতি আমি হৃদয়ের গভীর থেকে কৃতজ্ঞ। গণমাধ্যমের বন্ধুদের ধন্যবাদ জানিয়ে এই চিত্রতারকা লেখেন, বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বন্ধুদের, যাদের মানবিকতা ও ইতিবাচক ভূমিকাটি এই সময়ে আমার জন্য ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক। আপনারা পাশে না থাকলে হয়তো এত দ্রুত নিজের ভেতরের সাহস খুঁজে পেতাম না। আমি আজীবন মনে রাখব এই ভালোবাসা ও নিরন্তর সহমর্মিতার কথা। সবার প্রতি রইল আন্তরিক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। খুব শিগগিরই আবার দেখা হবে। উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক (৩৫)। চলতি বছরের ৩ মে এনামুল হক ঢাকার সিএমএম আদালতে ২৮৩ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেন। মামলার দুই সপ্তাহ পর গ্রেপ্তার করা হয় নুসরাত ফারিয়াকে।
১৫ দিনে ওজন কমাতে পারি-ভালো আছি- ঐশ্বরিয়া

১৫ দিনে ওজন কমাতে পারি-ভালো আছি- ঐশ্বরিয়া একজন নারীর শরীরে মাতৃত্বের পর যে পরিবর্তন আসে, তা খুবই স্বাভাবিক। মা হওয়ার পর শরীরের গঠন বদলানো, ওজন বেড়ে যাওয়া- এসবকে এখনও অনেকেই নেতিবাচকভাবে দেখে থাকেন। সাধারণ নারী থেকে শুরু করে তারকারাও এর ব্যতিক্রম নন। সন্তান জন্মের পর থেকে প্রায়ই চেহারা আর গড়ন নিয়ে কটাক্ষের শিকার হয়ে আসছেন বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। বিশ্বসুন্দরী খেতাব জয়ী এই অভিনেত্রীকে গেল কয়েক বছর ধরেই সামাজিকমাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি, সাজপোশাক, এমনকি চুলের স্টাইল নিয়েও নানা রকম মন্তব্য শুনতে হয়েছে। অনেকেই বলছেন, মুখে ফোলাভাব এসেছে- অবধারিতভাবে ধারণা করছেন, হয়তো কোনও রকম অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। সম্প্রতি বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবে ঐশ্বরিয়ার উপস্থিতি নজর কেড়েছে। তার ঝলমলে লুক মুগ্ধ করলেও, ওজন নিয়ে বিদ্রূপ করতে ছাড়েননি অনেকেই। কারও মন্তব্য, ‘চেহারায় আগের সেই লাবণ্য নেই’, আবার কেউ লিখেছেন, ‘মুখ ফুলে গিয়েছে, আর ভালো লাগে না। ’ এসব নেতিবাচক মন্তব্য নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ঐশ্বরিয়া নিজেই। সরাসরি জানিয়ে দিলেন, “আমি মোটা হয়েছি তো আপনাদের কী সমস্যা হয়েছে? আমার চেহারা নিয়ে আপনাদের এত আগ্রহ কেন?” তিনি আরও বলেন, “এই মুহূর্তে আমি আমার মেয়ে আরাধ্যার বিষয়েই সবচেয়ে বেশি ভাবি। আমার ওজন নিয়ে আমি চিন্তিত নই। চাইলে ১৫ দিনের মধ্যেই ওজন কমিয়ে ফেলতে পারি। কিন্তু আমি যেমন আছি, তাতেই ভালো আছি। অন্যরা কী ভাবল, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। ” নিজের মত প্রকাশে দ্বিধাহীন এই অভিনেত্রী আরও একবার প্রমাণ করলেন, শরীর নয়, ব্যক্তিত্বই একজন নারীর সবচেয়ে বড় শক্তি।