না ফেরার দেশে ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালি জারিওয়ালা

না ফেরার দেশে ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালি জারিওয়ালা না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত মডেল ও অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালা। শুক্রবার (২৭ জুন) দিবাগত রাতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় তার, এরপর দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। জানা গেছে, হঠাৎ করে শেফালি অসুস্থতা বোধ করলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্বামী, অভিনেতা পরাগ ত্যাগী। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ১৯৮২ সালের ১৫ ডিসেম্বর গুজরাটের আহমেদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন শেফালি জারিওয়ালা। আহমেদাবাদেই প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য মুম্বাই পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। মাত্র ১৯ বছর বয়সে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন- মডেল হয়েছিলেন ‘কাঁটা লাগা’ মিউজিক ভিডিওতে। এই গান তাঁকে এতটাই জনপ্রিয়তা দিয়েছিল যে, তিনি ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন। রুপালি দুনিয়ায় যাঁরা কম বয়সেই নিজেদের জায়গা পাকা করে নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শেফালি। এক গানেই বদলে যায় তার ক্যারিয়ার। একাধিক টিভি শো-এ কাজ করেছেন। নাচের রিয়েলিটি শো ‘বুগি উগি’, ‘নাচ বালিয়ে ৫’ এবং ‘নাচ বালিয়ে ৭’-এ যোগ দিয়েছিলেন শেফালি। এর পাশাপাশি ‘বিগ বস ১৩’-এও অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ‘মুঝসে শাদি করোগি’ (২০০৪) এবং ‘হুডুগারু’ (২০১১) ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা গেছে শেফালিকে। সম্প্রতি একাধিক ওয়েব সিরিজেও দেখা গেছে। ‘শয়তানি রাশমেন’ নামে একটি শোয়েও কাজ করেছেন। কাজের বাইরে শেফালির ব্যক্তিগত জীবনও ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। ভালোবেসে সঙ্গীত পরিচালক হরমীত সিংয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন শেফালি। কিন্তু ২০০৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর তার জীবনে আসে অভিনেতা পরাগ ত্যাগী। ২০১৪ সালে সাত পাক ঘুরেন পরাগ এবং শেফালি। এরপর তারা মুম্বাইয়ে সংসার পাতেন।

কিংবদন্তি সৌরভের বাড়িতে নৈশভোজে সারা-আদিত্য

কিংবদন্তি সৌরভের বাড়িতে নৈশভোজে সারা-আদিত্য ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের কিংবদন্তি অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর জীবনী দেখা যাবে বড়পর্দায়। দীর্ঘদিন আলোচনায় ছিল মহারাজার বায়োপিকের পরিকল্পনা। জানা গেছে, সৌরভের বায়োপিকে দেখা যাবে সারা আলি খান-আদিত্য রায় কাপুরকে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সারা-আদিত্য জুটির নতুন সিনেমা ‘মেট্রো ইন দিনো’র প্রোমোশনের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন। ছবির প্রোমোশন শেষে রাতে সৌরভ গাঙ্গুলীর বাড়িতে জমে নৈশভোজ। মেনুতে ছিল মাছ, সঙ্গে আলুপোস্ত আর আমের বিশেষ আয়োজন। রাত সোয়া ৯টার দিকে, বেহালার বীরেন রায় রোডে সাংবাদিকদের ভিড়। বৃষ্টিও রুখতে পারেনি মিডিয়া কর্মীদের উৎসাহ। প্রথমে কালো গাড়িতে পৌঁছান সৌরভ। কিছুক্ষণ পরেই সাদা বিএমডব্লিউ চড়ে হাজির সারা-আদিত্য। গেটের সামনে নামার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ক্যামেরার ফ্ল্যাশ আর প্রশ্নের ঝড়। নৈশভোজ শেষে রাত ১১টার দিকে হাসিমুখে বেরিয়ে এলেন সারা আলি খান আর আদিত্য রায় কাপুর। সারা বললেন,দাদার বাড়ির রান্নার কথা তো আলাদা করে বলতেই হয়। আর পরিবারটাও ঠিক ততটাই অসাধারণ। দাদার কাছ থেকে শুনলাম আমার ঠাকুমা শর্মিলা ঠাকুর আর দাদু মনসুর আলি খানের স্মৃতির গল্প। বক্তব্যের ফাঁকে সৌরভের পাশে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আদিত্য। সৌরভের বাড়ির আড্ডায় কী কী গল্প হল? আদিত্য বললেন, “দাদা মানেই ক্রিকেট। তার মুখে ২২ গজের এত গল্প শুনলাম, শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠছিল।” তার কথা শেষ হওয়ার আগেই সারা হেসে যোগ করলেন, “আমার তো ক্রিকেট রক্তে। ঠাকুরদা ছিলেন ক্রিকেটার। আজ ইডেনে গিয়েছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা আমৃত্যু মনে থাকবে।” পরিচালক অনুরাগ বসুর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়েও দুই তারকার উচ্ছ্বাস। “অনুরাগদার মতো মাপের পরিচালক যখন আমাদের বেছে নিয়েছেন, সেটা বড় সম্মানের ব্যাপার,”—বললেন সারা আর আদিত্য। আড্ডার একপর্যায়ে উঠে এল সৌরভের আসন্ন বায়োপিক ‘মহারাজ’-এর প্রসঙ্গও। আদিত্য কি সুযোগ পেলে করবেন? হাসিমুখে সৌরভ জানালেন, “কাজ এগোচ্ছে। দেখা যাক, পরিচালক বিক্রম মোতওয়ানে কী বলেন।” আদিত্য জানালেন, “এই ছবির কথা আগেই শুনেছি। সুযোগ পেলে দারুণ লাগবে।” সারাও মিষ্টি হেসে জানালেন, “আমি তো আছিই!” গল্প শেষে রাতের শহরের বুকে দ্রুত ছুটল তাঁদের গাড়ি। সৌরভের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁরা রওনা দিলেন পরবর্তী গন্তব্যের দিকে।

ভয় দেখাতে আসছেন ভারতের ‘জাতীয় ক্রাশ’ রাশমিকা

ভয় দেখাতে আসছেন ভারতের ‘জাতীয় ক্রাশ’ রাশমিকা   ‘পুষ্পা’ সিনেমা দিয়ে রীতিমতো বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন রাশমিকা মান্দানা। বনে গেছেন ভারতের ‘জাতীয় ক্রাশ’। সেদিক থেকে এখন ক্যারিয়ারের বেশ সুসময় পার করছেন অভিনেত্রী। এরমধ্যেই এবার দিলেন নতুন খবর। হাজির হচ্ছেন নতুন সিনেমা নিয়ে, তবে একদমই ভিন্ন রূপে। সিনেমাটির নাম ‘মাইশা’। শুক্রবার সোশ্যালে ছবিটির ফার্স্ট লুক পোস্টার উন্মোচিত হয়েছে। যেখানে তাকে দেখা গেছে, একজন তীব্র, রুক্ষ, আহত কিন্তু অদম্য নারীরূপে। পোস্টারে রাশমিকার রক্তমাখা মুখ, এলোমেলো চুল, হাতে তলোয়ার-আর চোখে জ্বলছে যুদ্ধের আগুন। যেন প্রতিপক্ষকে ছিন্নভিন্ন করতে গর্জে উঠছেন। প্রযোজনা সংস্থা ইনস্টাগ্রামে ছবিটি প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছে, দৃঢ়তায় গড়া, অটল ইচ্ছাশক্তিতে ভরপুর, সে গর্জে ওঠে। এটা কেবল শোনার জন্য নয়, ভয় জাগানোর জন্য। রাশমিকা নিজেও ফার্স্ট লুক শেয়ার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “আমি সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের নতুন কিছু উপহার দিতে—ভিন্ন কিছু, দারুণ কিছু। আর ‘মাইশা’ ঠিক তেমনই এক প্রজেক্ট। এমন একটি চরিত্র, যা আগে কখনও করিনি। এমন এক জগৎ, যেটা আমিও আগে দেখিনি। এই চরিত্রটা তীব্র, রুক্ষ। আমি একদিকে নার্ভাস, অন্যদিকে অসম্ভব রোমাঞ্চিত। এটা কেবল শুরু…।” ‘মাইশা’ পরিচালনা করছেন রাওয়িনদ্রা পুল্লে। নির্মাতার ভাষ্য মতে, এটি হবে রাশমিকার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভিন্নধর্মী চরিত্রগুলোর একটি। আর এই প্রথমবার তিনি এককভাবে একটি ছবির প্রধান মুখ হিসেবে পর্দায় হাজির হচ্ছেন-যা তাঁকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। রাশমিকাকে সর্বশেষ দেখা গেছে সালমান খানের বিপরীতে ‘সিকান্দার’-এ। এ আর মুরুগাদোস পরিচালিত সেই ছবি বক্স অফিসে আশানুরূপ সাড়া ফেলতে পারেনি।

এবার প্রসেনজিৎ, শ্রাবন্তী, দর্শনা একসঙ্গে

এবার প্রসেনজিৎ, শ্রাবন্তী, দর্শনা একসঙ্গে অফট্রাকের সিনেমাতে প্রসেনজিৎ এবং শ্রাবন্তী দুইজনই আগে কাজ করেছেন এবার যুক্ত হলো দর্শনা বণিকের নাম। এই ত্রয়ীকে দেখা যাবে ‘দেবী চৌধুরানি’ সিনেমাতে। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি ‘দেবী চৌধুরানি’ এর আগে ছোট পর্দা ও বড় পর্দা দুই মাধ্যমেই এসেছে। এবার নতুন করে বড় পর্দায় আনছেন পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র। সিনেমাটির শুটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য, ২৬ জুন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে তারই জন্মভিটায় সিনেমার প্রচারণা শুরু করে ‘দেবী চৌধুরানি’ টিম। ‘দেবী চৌধুরানি’ উপন্যাস অবলম্বনে প্রসেনজিৎ, শ্রাবন্তী, দর্শনাদের নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করেছেন পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র। এই সিনেমাতে ভবানী পাঠক চরিত্রে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। উপন্যাসের দুই অন্যতম চরিত্র নিশি হয়েছেন বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় ও সাগরের চরিত্রে অভিনয় করবেন দর্শনা বণিক। প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘সিনেমাটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই আমরা ভাবছিলোম এর প্রচার কবে থেকে শুরু করবো। আমার মনে হয়েছিল, এই দিনটা অর্থাৎ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা সাহিত্যেই তো শুধু নয়, বঙ্কিমবাবু তো পুরো দেশেরই সাহিত্য জগতে এক উজ্জ্বল নাম। আজকের দিনে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা মানুষের কাছে সিনেমার প্রচার শুরু করলাম।” পরিচালক শুভ্রজিৎ বলেন, ‘‘এটি বাংলার ইতিহাস নিয়ে তৈরি সিনেমা। ঐতিহাসিক চরিত্রগুলো জীবন্ত হয়ে উঠেছে সিনেমাতে।’’

কবে আসবে অজয়ের ‘দৃশ্যম থ্রি’

কবে আসবে অজয়ের ‘দৃশ্যম থ্রি’ মালায়ালাম ভাষার বহুল আলোচিত সিনেমা সিরিজ ‘দৃশ্যম’। জিতু জোসেফ পরিচালিত এ সিরিজের প্রথম পার্ট মুক্তি পায় ২০১৩ সালে। দ্বিতীয় পার্ট মুক্তি পায় ২০২১ সালে। এ দুই পার্টে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন মোহনলাল। এ সিরিজের তৃতীয় পার্ট নির্মাণের কাজ চলমান। তৃতীয় কিস্তিতে থাকবেন মোহনলাল। জিতু জোসেফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২০১৫ সালে বলিউড পরিচালক নিশিকান্ত কামার ‘দৃশ্যম’ সিনেমা হিন্দি ভাষায় রিমেক করেন। হিন্দি ভাষার রিমেকে অভিনয় করেন অজয় দেবগন, টাবু, শ্রেয়া সরন, অক্ষয় খান্না। ৩৮ কোটি রুপি বাজেটের সিনেমাটি বক্স অফিসে আয় করেছিল ১১০ কোটি রুপি। এই সিরিজের দ্বিতীয় পার্ট ‘দৃশ্যম-টু’ রিমেক করেছেন পরিচালক অভিষেক পাঠক। অভিনয়শিল্পীরা অপরিবর্তিত রয়েছেন। সিনেমাটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৫০ কোটি রুপি। ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমাও বক্স অফিসে রাজত্ব করে। এটি আয় করে ৩৪৫ কোটি রুপি। এবার হিন্দি ভাষায় নির্মিত হতে যাচ্ছে ‘দৃশ্যম থ্রি’। পিঙ্কভিলা এ খবর প্রকাশ করেছে। একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “গান্ধী জয়ন্তী (মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন) দৃশ্যম ফ্যাঞ্চাইজির জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তাই ২ অক্টোবর ‘দৃশ্যম থ্রি’ সিনেমার যাত্রা শুরু করবেন। এটি একটি ম্যারাথন শিডিউল, মহারাষ্ট্রের রিয়েল লোকেশনে ৩ মাস ধরে শুটিং হবে। পাশাপাশি স্টুডিওতেও দৃশ্যধারণের কাজ হবে। অজয় দেবগনের শুটিং শিডিউল চূড়ান্ত করা হয়েছে।” মুক্তির তারিখ জানিয়ে সূত্রটি বলেন, “২০২৬ সালের গান্ধী জয়ন্তীতে (২ অক্টোবর) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘দৃশ্যম থ্রি’ সিনেমা। চিত্রনাট্যের কাজ শেষ। পরিচালক এখন সংলাপ নিয়ে কাজ করছেন। পুরো ‘দৃশ্যম’ পরিবার তৃতীয় কিস্তির জন্য পুনরায় একত্রিত হবে, যা বিজয় সালগাঁওকারের গল্পের সমাপ্তি ঘটাবে। এটি পরিচালনা করছেন অভিষেক পাঠক।” মালায়ালাম ভাষার ‘দৃশ্যম থ্রি’ সিনেমার শুটিং এখনো শুরু হয়নি। ফলে সংশয় দেখা দিয়েছে, এটি মালায়ালাম ভাষার ‘দৃশ্যম থ্রি’ সিনেমার রিমেক না কি মৌলিক গল্প। কেউ কেউ বলছেন, এটি মালায়লাম সিনেমার রিমেক। পাশাপাশি সময়ে মালায়ালাম ও হিন্দি ভার্সনের শুটিংয়ের পরিকল্পনা করেছেন তারা। সূত্রটি বলছেন, “আগামী জুলাই মাসে এ বিষয়ে চূড়ান্ত তথ্য জানতে পারব।”

মাতৃভূমিতে ফিরতে না পেরে কাঁদছেন জাফর পানাহি

মাতৃভূমিতে ফিরতে না পেরে কাঁদছেন জাফর পানাহি ইরানের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা ও স্বর্ণ পাম জয়ী জাফর পানাহি এখন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। ভিন দেশে থাকলেও তার মন পড়ে আছে নিজের যুদ্ধবিধ্বস্ত মাতৃভূমিতে। সিডনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে গিয়ে তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না—এই নির্মম বাস্তবতা জানিয়েছেন এক আবেগঘন ইনস্টাগ্রাম পোস্টে। এক প্রতিবেদনে জানা যায়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগমুহূর্তে সিডনির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন ইরানের ওই নির্মাতা। কিন্তু হঠাৎ করেই আকাশ ও স্থলপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি কার্যত নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সব পথ হারিয়েছেন। চার দিন আগে পোস্ট করা বার্তায় তিনি লিখেছেন, প্রতিদিন চেষ্টা করছি দেশে ফেরার। আমার পরিবার, বিশেষ করে আমার মায়ের কাছে যাওয়ার পথ খুঁজি। কিন্তু সব পথ যেন বন্ধ। যখন নিজের মানুষগুলো প্রতিদিন যুদ্ধের শিকার হচ্ছে, তখন নিজেকে ভীষণ অসহায় লাগে। তিনি বলেন, যখন কোনো জাতির ভবিষ্যৎ কয়েকজন ক্ষমতাধর ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী মানুষের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ে, তখন আমাদের হাতে থাকে কেবল ক্ষোভ, বেদনা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সত্য উচ্চারণের দায়িত্ব। জাফর পানাহি বরাবরই স্পষ্ট ভাষায় যুদ্ধ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তার সিনেমা যেমন ‘ট্যাক্সি তেহরান’, ‘নো বিয়ারস এবং ‘দিস ইজ নট আ ফিল্ম—সবগুলোতেই তিনি ব্যক্তি স্বাধীনতা, দমন-পীড়ন ও রাষ্ট্রীয় অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে অবস্থান নিয়েছেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহুবার রাষ্ট্রীয় চাপ, নিষেধাজ্ঞা ও গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। তবুও থেমে যাননি। এবার যুদ্ধের বাস্তবতায় তিনি নিজেই যেন আরেকটা ‘ছবির’ চরিত্র হয়ে উঠেছেন—যেখানে তিনি পরবাসে বন্দি, আর হৃদয় পড়ে আছে মায়ের কোলে ফিরতে না পারার যন্ত্রণায়।

কন্যাসন্তানের মা হলেন স্বাগতা

কন্যাসন্তানের মা হলেন স্বাগতা প্রথমবারের মতো মা হয়েছেন অভিনেত্রী জিনাত শানু স্বাগতা। থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে জন্ম নিয়েছে তার কন্যাসন্তান। মা ও নবজাতক- দুজনেই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন স্বাগতা নিজেই। আজ রাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে মেয়ের একটি ছবি পোস্ট করেন স্বাগতা। সেখানে এই অভিনেত্রী লেখেন, মরিয়াম সর্বজয়া শানু আজাদ, পৃথিবীতে স্বাগতম। বিয়ের এক বছরের মাথায় মাতৃত্বের এই আনন্দ সংবাদ জানান তিনি গেল ফেব্রুয়ারিতে। শুরুতে বাংলাদেশের একাধিক হাসপাতালেই চিকিৎসা নেন স্বাগতা। কিন্তু নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা কম থাকায় চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে পাড়ি জমান থাইল্যান্ডে। সেখানে গিয়েও একাধিক হাসপাতাল ঘুরতে হয় তাকে। অবশেষে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে সফলভাবে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন স্বাগতা। এর আগেও সামাজিকমাধ্যমে তিনি জানিয়েছিলেন, আমি একটা মিশন নিয়ে থাইল্যান্ডে এসেছি। বাংলাদেশের অনেক ডাক্তার বলেছেন আমি ভুল করছি, কিন্তু আমি শেষ দিন পর্যন্ত চেষ্টা করব যেন স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম দিতে পারি। ২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রেমিক হাসান আজাদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন স্বাগতা। হাসান একজন সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও মিউজিক কম্পোজার। পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে লন্ডনে বসবাসরত হাসান একজন সফল ব্যবসায়ীও।

‘স্পাইডার ম্যান’ খ্যাত অভিনেতা জ্যাক বেটস মারা গেছেন

‘স্পাইডার ম্যান’ খ্যাত অভিনেতা জ্যাক বেটস মারা গেছেন ‘স্পাইডার ম্যান’ খ্যাত হলিউড অভিনেতা জ্যাক বেটস মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ১৯ জুন মারা গেছেন তিনি। মৃত্যুকালে এই অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। অভিনেতার ভাগ্নে ডিন সুলিভানের বরাত দিয়ে দ্য হলিউড রিপোর্টার জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার লস ওসোসে নিজের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জ্যাকের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই পাশ্চাত্য বিনোদন দুনিয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ২০০২ সালে সাম রাইমি পরিচালিত ‘স্পাইডার ম্যান’ সিনেমা কিশোরদের মনে নতুন করে জনপ্রিয় করেছিল ‘মাকড়সা মানুষ’কে। বড়রাও পছন্দ করেছিলেন সিনেমাটি। এতে ‘পিটার পার্কার’ বা ‘স্পাইডার ম্যান’-এর পাশাপাশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল আরও একটি চরিত্র ‘হেনরি বলকান’। এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জ্যাক বেটস। ১৯২৯ সালের ১১ এপ্রিল নিউ জার্সির জার্সি সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন জ্যাক বেটস। তার পুরো নাম জ্যাক ফিলমোর বেটস। তার নামের সঙ্গে ‘ফিলমোর’ জুড়ে থাকায় অভিনেতা প্রায়ই রসিকতা করতেন, তিনি নাকি ত্রয়োদশ মার্কিন রাষ্ট্রপতি মিলার্ড ফিলমোরের দূর সম্পর্কের আত্মীয়! মিয়ামিতে বেড়ে ওঠা বেটস নিউইয়র্ক সিটিতে যাওয়ার আগে মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ে থিয়েটার নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৫৩ সালে ‘রিচার্ড ৩’ দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু করেন। বেটসের জীবনের মোড় ঘোরে অ্যাক্টরস স্টুডিওর এর অডিশনে। বন্ধুর সঙ্গে তার সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ পরীক্ষক পরিচালককে এতটাই মুগ্ধ করেছিল যে তিন বছরের জন্য তিনি বৃত্তি দেন তাকে। এখানেই পরিচালক এলিয়া কাজান তাকে ‘ক্যাট অন আ হট টিন রুফ’, ‘সুইট বার্ড অফ ইয়ুথ’ এবং সত্তরের দশকের শেষের দিকে ‘ড্রাকুলা’য় অভিনয়ের জন্য মনোনীত করেন। বড়পর্দার পাশাপাশি ছোটপর্দায় ‘জেনারেল হসপিটাল’, ‘অল মাই চিলড্রেন’, ‘গাইডিং লাইট’ এবং ‘দ্য ইয়ং অ্যান্ড দ্য রেস্টলেস’র মতো অসংখ্য ধারাবাহিকে কাজ করে বেটস তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন।

দেব-শুভশ্রীকে একসঙ্গে দেখতে ১০ বছরের অপেক্ষা, অবশেষে সুখবর!

দেব-শুভশ্রীকে একসঙ্গে দেখতে ১০ বছরের অপেক্ষা, অবশেষে সুখবর! টালিউডের অন্যতম দর্শকপ্রিয় জুটি দেব-শুভশ্রী। তাদেরকে ফের পর্দায় দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় দর্শক; যার অবসান ঘটতে চলেছে অবশেষে। সামনেই মুক্তি পাচ্ছে টালিউড সিনেমা ‘ধূমকেতু’, সেখানেই দেখা যাবে এই জুটিকে। কৌশিক গাঙ্গুলী পরিচালিত এই সিনেমাটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল ঠিক এক দশক আগে! ২০১৫-র অক্টোবর মাসে শুটিং শুরু হয়। মাঝে কেটে যায় লম্বা সময়। এর মধ্যে পাল্টেছে সময়-পরিস্থিতিও। তারপরও দর্শকের আশা উড়ে যায়নি; এই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছেন দেব-শুভশ্রীর অনুগামীরা। তাই রো মাঝে-মধ্যেই ছবি নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়তেন সামাজিক মাধ্যমে। ‘ধুমকেতু’ ছবিতেই শেষ বার জুটি বাঁধেন দেব- শুভশ্রী। শোনা যায়, ছবির যাবতীয় কাজ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। শুধু দেবের ডাবিং বাকি ছিল। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে সেই ছবি এতদিন মুক্তি পায়নি। অবশেষে সেই প্রশ্নের উত্তর হিসেবে ছবির মুক্তির দিন ঘোষণা করেন দেব। জানান, আগামী ১৪ আগস্ট মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

শাহরুখের মান্নাতে বেআইনি কাজের অভিযোগ, প্রশাসনের হানা

শাহরুখের মান্নাতে বেআইনি কাজের অভিযোগ, প্রশাসনের হানা বলিউড তারকাদের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যেই নানা পদক্ষেপ নিয়ে থাকে মুম্বাই পৌর কর্তৃপক্ষ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা বেআইনি নির্মাণ করছেন বা পুরোনো ভবন সংস্কারের ক্ষেত্রে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই তালিকায় কঙ্গনা রানাওয়াত থেকে অমিতাভ বচ্চন, মিঠুন চক্রবর্তী— বাদ যাননি কেউই। এবার একই অভিযোগ বলিউড কিং শাহরুখ খানের দিকে। মুম্বাইয়ে শাহরুখ খানের বিলাসবহুল বাংলো ‘মান্নাত’-এ সংস্কার কাজ চলছে মাস কয়েক ধরেই। পরিবারসহ অন্যত্র উঠে গিয়ে বাংলো রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করেছেন বলিউডের বাদশাহ। কিন্তু মেরামতের কাজ করতে গিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে সংস্কারের নিয়ম লঙ্ঘন করে ফেলেছেন- এমনই অভিযোগ। এর জেরে গত শুক্রবার পরিবেশ দপ্তর ও পৌর কর্তৃপক্ষ যান ‘মান্নাত’ পরিদর্শনে। এ প্রসঙ্গে বনবিভাগের এক উচ্চপদস্থ কর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, বেআইনি সংস্কারের অভিযোগ পেয়েই দুই বিভাগ এক যোগে শাহরুখের বাংলোতে উপস্থিত হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দেবেন তারা। যদিও শাহরুখের কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন। তার এক আপ্ত সহায়ক জানিয়েছেন, সেখানে কোনো বেআইনি সংস্কার হচ্ছে না। নির্দেশিকা মেনেই যাবতীয় কাজ হচ্ছে।