লুকিয়ে রাখা বাচ্চা এনে দিলে ২০ হাজার ডলার ভিক্ষা: তিশা

লুকিয়ে রাখা বাচ্চা এনে দিলে ২০ হাজার ডলার ভিক্ষা: তিশা ছোট পর্দার আলোচিত অভিনেত্রী তানজিন তিশা। কাজের বাইরেও নানা কারণে আলোচনায় থাকেন। শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর গুঞ্জনে একাধিকবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন। একাধিক গোপন বিয়ে, এক সন্তানের মা হয়েছেন— এমন খবরও পেয়েছেন তানজিন তিশা। চিত্রনায়ক জায়েদ খান সঞ্চালিত ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিয়ে ও সন্তান প্রসঙ্গে কথা বলেন তানজিন তিশা। গতকাল তানজিন তিশার বেশ কটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তাতে শিশুসন্তানের সঙ্গে দেখা যায় তাকে। দাবি করা হয়— “এই শিশু তানজিন তিশার।” এসব ছবি এখন অন্তর্জালে ভাইরাল। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে ক্ষোভ ঝারেন ৩২ বছর বয়সি তিশা। অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়া শিশুর পরিচয় দিয়ে এ স্ট্যাটাসে তানজিন তিশা বলেন, “অসভ্যদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ! যে অসভ্যরা আমার আদরের ভাগ্নে-ভাগ্নিকে নিয়ে তোলা ছবি; আমার লুকিয়ে রাখা সন্তান হিসেবে ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টালে নিউজ করে ২০ ডলার উপার্জনের জন্য!” ২০ হাজার ডলার ভিক্ষা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তানজিন তিশা বলেন, “সেই সব অসভ্যদের বলছি— এখন পর্যন্ত আমার লুকিয়ে রাখা যত বাচ্চাকাচ্চা আছে তাদের আমার কাছে পৌঁছে দিলে ২০ হাজার ডলার ভিক্ষা দিবো। যদি বাচ্চাকাচ্চাগুলোকে আমার কাছে পৌঁছাতে না পারিস তো? নিজ গালে, নিজ উদ্যোগে, জুতা মার তালে তালে।”

তার সঙ্গে বিচ্ছেদ মেনেই নিতে পারছিলাম না-মিথিলা

তার সঙ্গে বিচ্ছেদ মেনেই নিতে পারছিলাম না-মিথিলা দেশের জনপ্রিয় তারকা জুটি রাফিয়াথ রশীদ মিথিলা ও তাহসান খান। ভালোবেসে ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল এ দম্পতির কোলজুড়ে আসে আইরা তাহরিম খান। দর্শকের কাছে তারকা দম্পতি হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন তারা। কিন্তু ২০১৭ সালে যৌথভাবে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এই যুগল। তাহসান-মিথিলার বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা দেশে আলোচনার বিষয়বস্তুতে রূপ নিয়েছিল। তাদের ভক্ত-অনুরাগীরা কোনোভাবেই এটা মেনে নিতে পারছিলেন না। বিচ্ছেদের পর কেটে গেছে আট বছর। তবে বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে কখনো কাদা ছোড়াছুড়ি করেননি তাদের কেউই। দীর্ঘ সময় পর সেই সময় নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন মিথিলা। একটি পডকাস্টে অতিথি হিসেবে হাজির হয়ে এ নিয়ে কথা বলেন এই অভিনেত্রী। মিথিলা বলেন, “যেকোনো বিচ্ছেদ বা যেকোনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া সহজ না, খুবই কঠিন। বন্ধু বা এটা যেকোনো ক্ষেত্রে হতে পারে। আমি তখন অনেক অল্পবয়সি এবং তরুণী মা। যেকোনো ভালো-মন্দ বিচার করব বা কোনো একটা সিদ্ধান্তে আসব, সেই শক্তি আমার ছিল না। কারণ আমার ১ বছরের একটা বাচ্চা। আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না, যেখানে নিজের জন্য কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।” মিথিলার জীবনে এই পরিবর্তন মেনে নেয়া কঠিন ছিল। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “২৩ বছর বয়স থেকে আমি আমার জীবনকে একভাবে ভেবে এসেছিলাম। হঠাৎ জীবনটা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমি আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সঙ্গে থেকেছি। একে তো আমার বাচ্চা আছে, তারপর জানলাম সেই জায়গাটা আমার ভবিষ্যত না। আমি তখন চাকরি করতাম। কিন্তু আমার একটা গাড়িও ছিল না। কিন্তু আমার তো অভ্যাস ছিল গাড়িতে করে বাইরে যাওয়ার, আমার বাচ্চার অভ্যাস ছিল গাড়িতে চড়ার।” নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার গুরুত্ব দিয়ে মিথিলা বলেন, “আসলে মেয়েদের নিজের জায়গা থাকে না। শ্বশুরবাড়ি আবার বাবার বাড়ি, থ্যাঙ্কফুলি এখন আমার নিজের জায়গা আছে। মেয়েদের সবার আগে যেটা দরকার সেটা হলো অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। এই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া জীবনের অন্য সব সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়।” বিবাহবিচ্ছেদের সময়ে অর্থনৈতিকভাবে মিথিলা অতটা সাবলম্বী ছিলেন না। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “এখন হয়তো মেয়েরা অনেক বেশি সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। কারণ এখন মেয়েরা অনেক বেশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাচ্ছে। আমাকে ছোটবেলা থেকে মা বলেছে, যা-ই করো নিজের পায়ে দাঁড়াবে। ফলে বিয়ের পরও আমি আমার পড়াশোনা, চাকরি সব চালিয়ে গেছি। তখন আমি অর্থনৈতিকভাবে অতটা স্বাধীন ছিলাম না যে, একা একা অতটা ভাবতে পারব, বাচ্চা মানুষ করতে পারব। সেটার জন্য সময় লেগেছে।” ২ বছর আলাদা থাকার পর বিবাহবিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন মিথিলা। এ অভিনেত্রী বলেন, “২০১৫ সালে আমরা সেপারেশনে গেছি, তারপরে আরো দু বছর গেছে। আমি অপেক্ষা করেছি, ভেবেছি যে এটা ঠিক হয়ে যাবে, ঠিক হয়ে যাবে। মানসিকভাবে এটা মেনেই নিতে পারছিলাম না। ২০১৭ সালে এসে সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে, আমাদের এই সম্পর্কটা আসলেই কাজ করবে না।” তাহসানের সঙ্গে সংসার ভাঙার পর ২ বছর একা ছিলেন মিথিলা। ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর কলকাতার পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে ঘর বাঁধেন মিথিলা। পেশাগত দায়িত্ব পালন ও স্বামী সংসার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিনেত্রী। মিথিলার সঙ্গে সংসার ভাঙার পর দীর্ঘদিন একা ছিলেন তাহসান খান। বিচ্ছেদের ৭ বছর পর ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদকে বিয়ে করেন। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা।

হলিউড ওয়াক অব ফেমে দীপিকা, তবে গুনতে হবে ১ কোটি

হলিউড ওয়াক অব ফেমে দীপিকা, তবে গুনতে হবে ১ কোটি লস অ্যাঞ্জেলেসের হলিউড বুলেভার্ডের একটি আইকনিক ওয়াকওয়ে হলো ‘হলিউড ওয়াক অব ফেম’, যেখানে ২৭০০টিরও বেশি তারা থাকে। প্রতিটি তারা একজন করে তারকাকে উৎসর্গ করা হয়। যেকোনো তারকা এর জন্য মনোনীত হতে পারেন। আনুষ্ঠিক মানদণ্ড না থাকলেও ওয়াক অব ফেমের তারকাদের জন্য এটি বড় সম্মান হিসেবে মনে করা হয়। এবার সেখানে জায়গা পাচ্ছেন দীপিকা পাড়ুকোন। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের হলিউড ওয়াক অব ফেমে নির্বাচিত হয়েছেন এই বলিউড অভিনেত্রী। এ বছরের তালিকায় দীপিকা ছাড়াও এমিলি ব্লান্ট, টিমোথি চালামেট, মারিও কোতিয়াঁ, স্ট্যানলি টুচি, রামি মালেক, র‍্যাচেল ম্যাকঅ্যাডামস, ডেমি মুর, ক্রিস কলম্বাস, টনি স্কট, গ্রেগ ড্যানিয়েলস, সারা মিশেল গেলাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হলিউড চেম্বার অব কমার্স, হলিউড ওয়াক অব ফেম পরিচালনাকারী সরকারি সংস্থা, প্রতিবছর ২০০ থেকে ৩০০ তারকা মনোনয়ন পায়। এরপর সংস্থার পক্ষ থেকে নিযুক্ত একটা নির্বাচন প্যানেল প্রতিবছর বেশ কয়েকজনকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ছবি, টেলিভিশন, সংগীত, রেডিও এবং লাইভ পারফরম্যান্সের জগতের শিল্পীদের সম্মানিত করা হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, তারকারা ওয়াক অব ফেমে ‘জায়গা কিনতে’ পারেন। প্রতিবছর একটি নির্বাচন প্যানেল নির্বাচন করে কাদের রাখা হবে এই তালিকায়। এরপর তারকাদের অর্থ ব্যয় করতে হয় তাদের কাঙ্ক্ষিত স্থান রাখার জন্য। অন্তর্ভুক্তি এবং নির্বাচনের জন্য কোনো ফি বা অর্থ দিতে হয় না। এটা হলিউড চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন প্যানেল সিদ্ধান্ত নেয়। তবে যাকে নির্বাচন করা হবে, তাকে ৮৫ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি টাকা) স্পনসরশিপ ফি দিতে হয়। এই বার্ষিক ফি ওই তারকাদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।

রজনীকান্তের সিনেমায় স্ট্রং অ্যান্ড ফিয়ারলেস আমির 

রজনীকান্তের সিনেমায় স্ট্রং অ্যান্ড ফিয়ারলেস আমির রজনীকান্তের আসন্ন সিনেমাতে আমির খানের অভিনয়ের খবর অনেক খবর আগেও পাওয়া গিয়েছিল। অবশেষে প্রকাশ্যে এলো সেই ছবিতে আমিরের ফার্স্ট লুক। ফার্স্ট লুকই যেন দর্শকদের উত্তেজনার পারদ অনেকটা বাড়িয়ে দিল। অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ‘কুলি’ ছবির ফার্স্ট লুকে একেবারে আলাদা মেজাজে দেখা যাচ্ছে ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ খ্যাত আমির খান। চোখে সানগ্লাস, মুখে চুরুট নিয়ে ধূমপান করছেন আমির। লুক দেখেই আন্দাজ করা যাচ্ছে ক্যামিও চরিত্র হলেও এটি গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্র। আমিরের এই লুক প্রকাশ্যে আসার পর তাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। সেই পোস্টে কেউ লিখেছেন, ‘বহু প্রতীক্ষিত চরিত্র।’, কেউ আবার লিখছেন, ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট লোকেশ কানাগরাজের ফ্রেমে। এটা একটা ড্রিম কম্বিনেশন।’ শোনা যাচ্ছে ৩৭৫ কোটি বাজেটের এই ছবিই নাকি হতে চলেছে এই বছরে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের সব থেকে বড় বাজেটের ছবি। পরিচালক লোকেশ কানাগরাজের পরিচালনায় ‘কুলি’ ছবিতে রজনীকান্ত, আমির খান ছাড়াও অভিনয় করছেন নাগার্জুনা, উপেন্দ্র, শ্রুতি হাসান প্রমুখ। আগামী ১৪ আগস্ট মুক্তি পাবে ছবিটি।

 হৃদয় ভাঙলে আলমারি পরিষ্কার করি-আদিত্য রায় কাপুর

হৃদয় ভাঙলে আলমারি পরিষ্কার করি-আদিত্য রায় কাপুর বলিউড অভিনেতা আদিত্য রায় কাপুর। ক্যারিয়ারের ১ যুগ পার করেছেন এই অভিনেতা। এরই মধ্যে বেশ কটি সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। কাজের পাশাপাশি প্রেম জীবন নিয়ে বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন ৩৯ বছরের আদিত্য। আদিত্যর পরবর্তী সিনেমা ‘মেট্রো ইন দিনো’। এ সিনেমায় কথিত প্রেমিকা সারা আলী খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন তিনি। এটি পরিচালনা করেছেন অনুরাগ বসু। আগামী ৪ জুলাই মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এ উপলক্ষে সিনেমাটির টিম নিয়ে একটি পডকাস্টে হাজির হন আদিত্য। আর সেখানে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন এই নায়ক। এ আলাপচারিতায় সঞ্চালক আদিত্যর কাছে জানতে চান, কেউ হৃদয় ভাঙলে (প্রেম ভেঙে গেলে) কী করেন? জবাবে আদিত্য রায় কাপুর বলেন, “কেউ হৃদয় ভাঙলে আলমারি পরিষ্কার করি।” এ কথা শুনে সঞ্চালক জানতে চান, আপনার আলমারি কী অপরিষ্কার থাকে? এ কথা শুনে হাসতে থাকেন আদিত্যসহ অন্যরা। এ সময় সারা আলী খানের কাছেও একই প্রশ্ন রাখা হয়। তবে সাইফ আলী খানের কন্যা পরিষ্কার জানান, তার কখনো কেউ ভাঙেনি। মাঝে মধ্যে মন খারাপ হয়। একই প্রশ্ন রাখা হয় ‘মেট্রো ইন দিনো’ সিনেমার অন্যতম অভিনেত্রী কঙ্কনা সেন শর্মার কাছেও। কঙ্কনা সেন শর্মা বলেন, “সত্যি বলতে এসব আমি মনে রাখি না। কিছু সময় মন খারাপ থাকে। তখন পরিষ্কার করি। নিজেকে কোনো কাজে ব্যস্ত রাখি।”

পাকিস্তান বিতর্কে নাসিরুদ্দিন শাহ দিলজিতের পাশে

পাকিস্তান বিতর্কে নাসিরুদ্দিন শাহ দিলজিতের পাশে দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ ‘সর্দারজি ৩’ সিনেমায় একাধিক পাকিস্তানি শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করে ভারতীয়দের রোষানলে পড়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষমা চেয়েও রক্ষা পাননি তিনি। ভারতজুড়ে তার সিনেমা বয়কটের ডাক উঠেছে। বিশেষ করে পহেলগাঁম হামলার পর পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতীয় শোবিজে কাজ করতে দিতে নারাজ সবাই। এ কারণে নতুন সিনেমা নিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন দিলজিৎ। এর মাঝেই তার পাশে দাঁড়িয়ে রীতিমতো বোমা ফাটালেন নাসিরুদ্দিন শাহ। এ প্রমঙ্গে নাসিরুদ্দিন শাহের মন্তব্য, ‘আমি দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের পাশে রয়েছি। “জুমলা পার্টি”র লোকজন অপেক্ষাই করেছিল, কখন তাকে আক্রমণ করা যায়। ওই দলের লোকেরা হয়তো ভাবছে, অবশেষে দিলজিৎকে আক্রমণ করার জন্য কিছু একটা ইস্যু পাওয়া গেছে। তবে সিনেমার কাস্টিংয়ের দায়িত্ব তো দিলজিতের নয়, ওটা পরিচালকের। যাকে নিয়ে কেউ কথাই বলছেন না। পরিচালককে কেউ চেনেই না। আসলে দিলজিতের গোটা বিশ্বে খ্যাতি রয়েছে। তাই সবাই ওকে আক্রমণের জন্য বেছে নিয়েছে। তার মনে তো বিষ নেই। তাই সিনেমার অভিনেতাদের নিয়ে আগে থেকে ও কিছু ভাবেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা দিলজিতের বিরোধিতা করছে তারা চায়, যে প্রতিটি ভারতীয় তাদের পাকিস্তানি বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করুক। এই গুন্ডাদের মূল উদ্দেশ্য, ভারত-পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া। পাকিস্তানে আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন এবং কিছু প্রিয় বন্ধুবান্ধব আছেন। তাই কেউ আমাকে তাদের সঙ্গে দেখা করতে বা ভালোবাসা বিনিময়ে বাধা দিতে পারে না। এবং যারা আমাকে “পাকিস্তানে যাও” বলবেন, তাদের প্রতি আমার প্রতিক্রিয়া হল “আপনি কৈলাসে যান”।’ পহেলগাঁমে বৈসরন উপত্যকায় ধর্মের নামে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের ঘটানোর সন্ত্রাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নতুন করে ভারতের মনে ক্ষোভ-বিদ্বেষের সঞ্চার হয়েছে। যার কারণে রোষানলে পড়তে হচ্ছে পাকিস্তানি তারকাদেরও। প্রতিবেশী দেশের তারকাদের শোকপ্রকাশ দেখে নেটপাড়ার একাংশ কঠিন হৃদয়ের বলেও কটাক্ষ করেছেন। শুধু তাই নয়, বারবার বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে পাকিস্তানের কোনো শিল্পীকেই ভারতের আসতে দিতে নারাজ চলচ্চিত্র সংগঠনগুলো। জঙ্গিহামলার কারণে প্রতিবেশী দেশের শিল্পীরা যখন রোষানলে, তখন এমন আবহে পাকিস্তানের সুন্দরী হানিয়া আমিরের সঙ্গে পর্দায় রোম্যান্সে মজেছেন দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ। আর সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদে জ্বলে উঠেছিলেন নেটনাগরিকরা। এবার আপত্তি জানিয়েছে বিজেপিপন্থী চলচ্চিত্র সংগঠন। জানা গেছে, ‘সর্দার ৩’ সিনেমায় হানিয়া আমির, নাসির চিন্যোতি, ড্যানিয়েল খাওয়ার এবং সেলিম আলবেলার মতো একাধিক পাকিস্তানি তারকা রয়েছে। এ কারণেই দিলজিতের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে ওই চলচ্চিত্র সংগঠনগুলো ক্ষেপেছে।

যারা ইনসিকিউরড তারাই নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন বিক্রি করে : জয়া

যারা ইনসিকিউরড তারাই নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন বিক্রি করে : জয়া নিজের অভিনয় দিয়ে দুই বাংলার অগণিত দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন জয়া আহসান। আজ ঢাকায়, তো কাল কলকাতায়, এ যেন তার এখন চিরচেনা রুটিন। আজ জনপ্রিয় এ তারকার জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে ভক্ত-অনুরাগীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন জয়া। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভোলেননি তিনি। কাজ নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করলেও নিজের ব্যক্তিগত জীবন গোপন রাখতে চান। এটা তার সচেতন সিদ্ধান্ত বলেই জানিয়েছেন তিনি। জয়া আহসান বলেন, ‘একদমই আমার সচেতন সিদ্ধান্ত। আমি মনে করি, রিলেশনশিপ, ব্যক্তিগত বিষয় যত বেশি লোকের জানাজানি হবে—তত বেশি সম্পর্ক নষ্ট হয়, এটা আমার বিশ্বাস।’ জয়ার প্রেম নিয়েও প্রায়ই কথা উঠে, এমন প্রসঙ্গে অভিনেত্রী স্পষ্ট বললেন, ‘একা আছি কি না, এটা একমাত্র আমিই বলতে পারব। এটার উত্তর আমি দেব না, একা আছি কি নেই। কিন্তু দর্শক জয়া আহসানের যে ইমেজটা দেখে, তাতে তো ভালো লাগে। কারণ এ ইমেজটাই তো আমি তৈরি করতে চেয়েছিলাম। সেটাই আছে। আমি আমার ব্যক্তিগত জায়গায় অনুপ্রবেশ করতে দিতে চাই না আসলে। ব্যক্তিগত তো আসলে ব্যক্তিগত। ওটা আমার কাজের জীবনে কোনো উপকারে আসবে না। ’তাহলে কেন আমি তা খামোখা প্রকাশ করব? আমি শুধু কাজ দিয়ে দর্শকের খুব আগ্রহের জায়গায় রয়েছি। কাজ দিয়ে যারা আগ্রহের জায়গা নেই, কাজ নিয়ে যারা ইনসিকিউরড তারাই নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন, সংগ্রাম বিক্রি করে—সেগুলো আমার পছন্দ নয়। আমরা সেটা করার প্রয়োজন হয়নি।

‘হেরা ফেরি থ্রি’-তে ফিরছেন বাবু ভাইয়া

‘হেরা ফেরি থ্রি’-তে ফিরছেন বাবু ভাইয়া বলিউডের বহুল প্রতীক্ষিত কমেডি ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘হেরা ফেরি থ্রি’–তে শেষ পর্যন্ত থাকছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ‘বাবু ভাইয়া’ চরিত্রে তাকে ছাড়া সিনেমার কল্পনাই যেন করতে পারছিলেন না ভক্তরা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পরেশ নিজেই নিশ্চিত করেছেন তার ফেরার কথা। পরেশ বলেন—“না, এখন আর কোনো সমস্যা নেই। সব জটিলতা মিটে গেছে। এমন একটি জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিতে আমাদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়। কারণ দর্শকদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে।” তিনি আরও জানান, “আগেও ছবিতে থাকার কথা ছিল, এখনও আছি। আমরা সবাই সৃজনশীল মানুষ— প্রিয়দর্শন, অক্ষয়, সুনীল— সবাই বহুদিনের বন্ধু। শুধু একটু সমন্বয়ের দরকার ছিল, সেটাও হয়ে গেছে।” এর আগে গুঞ্জন ওঠে, অক্ষয় কুমারের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘কেপ অফ গুড ফিল্মস’ ২৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে পরেশ রাওয়ালকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিল। যদিও অভিনেতা পরে ১১ লাখ টাকার সাইনিং অ্যামাউন্ট ফেরত দেন ১৫% সুদ-সহ। তখন অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, তিনি আর থাকছেন না সিনেমাটিতে। এদিকে, অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা-ও মন্তব্য করেন—“পরেশ রাওয়ালকে ছাড়া ‘হেরা ফেরি থ্রি’ কল্পনাই করা যায় না।” পরেশ রাওয়ালের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন ভক্তরা। একজন লেখেন, “আজকের সেরা খবর! হেরা ফেরি ৩ আসছে, আর বাবু ভাইয়াও ফিরছেন। অক্ষয়, সুনীল আর পরেশকে একসঙ্গে দেখার অপেক্ষা আর সহ্য হচ্ছে না!” এই ফ্র্যাঞ্চাইজির আগের দুই কিস্তি ‘হেরা ফেরি’ (২০০০) ও ‘ফের হেরা ফেরি’ (২০০৬) দর্শকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

‘বড্ড একা শাহরুখ, সঙ্গে শুধু নিজের ছায়া’-মন্তব্য জ্যাকির

‘বড্ড একা শাহরুখ, সঙ্গে শুধু নিজের ছায়া’-মন্তব্য জ্যাকির   বলিউডে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন শাহরুখ খান ও জ্যাকি শ্রফ। ‘কিং আঙ্কল’, ‘ওয়ান টু কা ফোর’, ‘দেবদাস’-সহ একাধিক ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন দুজন। তবে শুধু পর্দার বন্ধুত্ব নয়, বাস্তব জীবনেও একে অপরের প্রতি রয়েছে গভীর শ্রদ্ধা ও স্নেহ। সম্প্রতি বিকি লালওয়ানির সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে শাহরুখকে নিয়ে স্মৃতি মধুর মন্তব্য করলেন জ্যাকি। বললেন, “আমি ওকে প্রথম দেখি ‘কিং আঙ্কল’-এর সেটে। সে সময় আমার ছোট ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছিল। ওর মধ্যে ফোকাস ছিল, ক্যারিশমা ছিল, কাজের প্রতি নিষ্ঠা ছিল। কিন্তু সে ছিল একদম একা, নিঃসঙ্গ। আমি যেমন ছিলাম, সে-ও তেমনই ছিল। সেই নিঃসঙ্গতা আমার ভালো লেগেছিল।” জ্যাকি আরও বলেন, “একবার কেউ আমাকে বলেছিলেন, প্রত্যেক অভিনেতার একাকিত্ব অনুভব করা উচিত। আমি দেখেছিলাম, সে এক কোনায় একা বসে রয়েছে। সেই চেহারা, সেই আচরণ—সবটাই যেন নিজেকে একরকম গুটিয়ে রাখা। পরবর্তীতে ‘দেবদাস’-এর সময়ও ওর মধ্যে সেই একই ভাইব দেখেছি। আমার কাছে শাহরুখ তখনও আমার ছোট ভাইই ছিল।” সুপারস্টার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একরকম একাকিত্বও আসে—এমনটাই মনে করেন জ্যাকি শ্রফ। তার কথায়, “যখন কেউ এভারেস্টের চূড়োয় পৌঁছায়, তখন সেখানে থাকে শুধু নিজের ছায়া। ওপরে খুব নিঃসঙ্গ লাগে। শাহরুখও তেমন। বলিউডের শীর্ষে পৌঁছে বড্ড একা। যেন সঙ্গে শুধু নিজের ছায়া।” ২০১৪ সালে ফারাহ খানের ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’-এ ফের একসঙ্গে পর্দা ভাগ করেন জ্যাকি ও শাহরুখ। এবার শোনা যাচ্ছে, শাহরুখের আসন্ন ছবি ‘কিং’-এ ফের একসঙ্গে কাজ করতে পারেন তারা।

গোপনে সিনেমার শুটিংও করেছিলেন সাকিব আল হাসান!

গোপনে সিনেমার শুটিংও করেছিলেন সাকিব আল হাসান! এক যুগ আগে ‘সব কিছু পেছন ফেলে’ নামের সিনেমা নির্মাণ শুরু করেন রাজিবুল হোসেন। শহরের পাঁচ তরুণ-তরুণীর গল্প নিয়ে নির্মিতব্য সিনেমাটিতে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের। অভিনয়ে অংশও নিয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। জানা যায়, পরবর্তী সময়ে সংবাদ প্রকাশ হলে অভিনয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন সাকিব। এতে বিপদে পড়েন পরিচালক, থেমে যায় শুটিং। শেষ পর্যন্ত সিনেমার কাজই বন্ধ করে দেন নির্মাতা। নির্মাতা জানান, সাকিবের মিথ্যাচারের কারণেই শেষ করা যায়নি সিনেমাটির কাজ। নির্মাতা রাজিবুল হোসেন বলেন, ‘সব কিছু পেছন ফেলে’ সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল অনেক স্বপ্ন নিয়ে। সাকিব আল হাসান শুটিং করেছেন, ক্যামেরার সামনে অভিনয় করেছেন, ক্ল্যাপস্টিক ও প্রফেশনাল রেকর্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে আমরা দৃশ্য ধারণ সম্পন্ন করি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি সিনেমায় অভিনয় করার বিষয়টি অস্বীকার করলে পুরো প্রজেক্টটা অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। এই নির্মাতা আরও বলেন, সাকিব আল হাসানের মিথ্যাচার নির্মাতা হিসেবে আমাকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তেমনি এটা ছিল একটি শিল্পভিত্তিক কাজের প্রতি তার অসম্মান। আমি চাইলে তাকে ছাড়া সিনেমাটি শেষ করতে পারতাম, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি একটি অসম্পূর্ণ সত্য দিয়ে পূর্ণ সিনেমা নির্মাণ করা যায় না। পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমার প্রযোজকও ছিলেন রাজিবুল হোসেন। স্পনসর করেছিল ফুজিফিল্ম বাংলাদেশ। তাদের মাধ্যমেই সাকিব এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হন বলে জানান নির্মাতা। শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার পরেও সাকিব আল হাসান কেন অস্বীকার করেন জানতে চাইলে নির্মাতা বলেন, প্রথম লটেই আমরা তাকে নিয়ে শুটিং করি। এরপর তার অভিনয় নিয়ে একটা সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর তিনি বেঁকে বসেন। কী কারণে তিনি এমনটা করেছেন তা আমার জানা নেই।   এত দিন পর কেন এই অভিযোগ- এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্মাতা রাজিবুল হোসেন বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে সাকিব আল হাসান কাজটি সে সময় ঠিক করেননি। এটা সবাইকে জানানোর জন্যই এ বিষয় নিয়ে কথা বলা। এ ছাড়া অনেকেই সিনেমা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে নানা কথা বলত। তাদের সত্যিটা জানানো দরকার।