রূপের সমস্যায় যে কৌশল অবলম্বন করেন তামান্না

রূপের সমস্যায় যে কৌশল অবলম্বন করেন তামান্না ‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে ‘স্ত্রী ২’ সিনেমার ‘আজ কি রাত’ গান-সব খানেই দর্শক মাতিয়েছেন তামান্না ভাটিয়া। ভারতের আলোচিত এই অভিনেত্রীর মসৃণ ত্বক আর টানটান গড়ন নিয়ে সর্বক্ষেত্রে হয় আলোচনা। সম্প্রতি এই অভিনেত্রী নিজেই ফাঁস করেছেন তার রূপের এক গোপন সমস্যার কথা। এক সাক্ষাৎকারে তামান্না জানান, অন্যান্য মানুষের মতোই তারও মাঝেমধ্যে ব্রণ ওঠে। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তিনি এক অভিনব কৌশল অবলম্বন করেন, যা শুনে অনেকেই অবাক। তার এমন কাণ্ডের কথা শুনে অনেকের চোখ কপালে! অভিনেত্রী জানান, তিনি ব্রণের ওপর নিজের থুতু ব্যবহার করেন। তবে এর একটা বিশেষ নিয়ম আছে। তামান্নার কথা শুনে চমকে ওঠেন সঞ্চালক। তামান্না বলেন, যে কোন সময় থুতু লাগালেই হবে এমনটা নয়, ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম লালা লাগালেই বেশি উপকার মেলে। এই কৌশল যে শুধু তার ক্ষেত্রেই কাজ করেছে তা নয়, এমনটা তিনি নিজেও বিশ্বাস করেন। অতীতে ব্রণ কমাতে তিনি অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারের সঙ্গে মাটি মিশিয়েও ব্যবহার করেছেন। যদিও তামান্নার পরামর্শ, উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের ত্বক সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ সব ধরনের ত্বকের জন্য সব কৌশল যে সমান কার্যকরী নাও হতে পারে।
বাস্তবেও প্রেম করছেন ‘সাইয়ারা’ জুটি!

বাস্তবেও প্রেম করছেন ‘সাইয়ারা’ জুটি! সিনেমা হিট হলেই সেই জুটিদের নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। সে ঐশ্বরিয়া-অভিষেক, শহীদ-কারিনা হোক কিংবা রণবীর-দীপিকা থেকে সিদ্ধার্থ-কিয়ারা অনস্ক্রিনের রোমান্স সময়ের ফাঁক গলে কখন অফস্ক্রিনে ফুটে উঠবে, সেটা বলা দায়। এবার বলিউড পাড়ায় খবর, শুধু পর্দায় নয় আলোচিত ‘সাইয়ারা’ জুটির প্রেম নাকি ‘বাস্তব জীবন’-এও জমে ক্ষীর! একটি ভিডিওর মাধ্যমে এই গুঞ্জনের শুরু। কী এমন ছিল সেই ভিডিওতে? দেখা গেছে, পর্দার প্রেমিক অহন পাণ্ডের মায়ের সঙ্গে শপিং মলের এক বুটিকে নায়িকা অনীত পাড্ডা। সেখানে অবশ্য মধ্যমণি অহনও উপস্থিত ছিল। তাদের একসঙ্গে সেই বুটিক থেকে বেরতে দেখা যায়। তবে সেই ভিডিওর একটি দৃশ্য নিয়েই আলোচনা চলছে। দেখা যায়, অহন তার অনস্ক্রিন নায়িকা অনীতের হাত ধরতে গেলে তিনি লজ্জায় হাত সরিয়ে নিয়ে সোজা অভিনেতার মায়ের সঙ্গে হাঁটা শুরু করেন। ক্যামেরাবন্দি সেই মুহূর্ত নজর এড়ায়নি। অহন-অনীতের এই ‘লাজুক’ সমীকরণ কিংবা ‘প্রেম-প্রেম ভাব’ নজর এড়ায়নি অনুরাগীদের। পাশাপাশি বলিপাড়ায় গুঞ্জন, ‘সাইয়ারা’ জুটি নাকি বর্তমানে একে-অপরকে চোখে হারাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, মুক্তির পর থেকেই দর্শকের তুমুল ভালোবাসা পেয়েছে ‘সাইয়ারা’। সিনেমার গানের সঙ্গে রীতিমতো গলা মেলাতেও দেখা গেছে দর্শকদের। সিনেমাতে অহনের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। প্রথম সিনেমাতেই নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন নবাগত অহন। অন্যদিকে অনীতের অভিনয়ও মন জিতেছে দর্শকদের। সিনেমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ খ্যাত আমির খানও। সামাজিকমাধ্যমে তিনিও লেখেন, ‘অহন পাণ্ডে ও অনীত পাড্ডা তাদের প্রথম সিনেমাতেই নিজেদের অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করে দিয়েছেন। ’
হৃতিকের ছেলেকে পাপারাজ্জিদের তাড়া

হৃতিকের ছেলেকে পাপারাজ্জিদের তাড়া ধীর পায়ে হেঁটে গেট দিয়ে বের হচ্ছেন হৃতিক রোশানের কনিষ্ঠ পুত্র হৃদান রোশান। হঠাৎ খেয়াল করেন পাপারাজ্জিরা তার ভিডিও করছেন। তারপর দ্রুত পায়ে হাঁটতে থাকেন। লক্ষ্য তার পার্কিং করা গাড়ি। তা দেখে পাপারাজ্জিরা তাকে তাড়া করেন, তুমুল গতিতে দৌড়াতে থাকেন তারা। তা দেখে হন্তদন্ত হয়ে নিজের গাড়িতে উঠে দরজা বন্ধ করে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। কিশোর হৃদানের সঙ্গে পাপারাজ্জিদের এই আচরণ ভালোভাবে নেননি নেটিজেনরা। ক্ষোভ উগড়েছেন তারা। এটাকে ‘হেনস্তা’ বলে মন্তব্য করেছেন। একজন লেখেন, “এটা এক প্রকার ক্রাইম।” পুলিশের দৃষ্টি আর্কষণ করে একজন লেখেন, “পুলিশের উচিত এই ব্যাপারগুলোতে নজর দেওয়া। এভাবে মানুষকে তাড়া করে!” একই দাবি জানিয়ে অন্যজন লেখেন, “এভাবে স্টার কিডদের হ্যারাস করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় হয়েছে।” কটাক্ষ করে একজন লেখেন, “এদের কি লজ্জা করে না! হৃতিকের উচিত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া।” অন্যজন লেখেন, “প্রত্যেকে ক্যামেরা ফোন নিয়ে পাপারাজ্জিদের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটা ছোট ছেলেকে তাড়া করা, অভিনেত্রীদের পিছন থেকে ভিডিও করা, ক্লিপে নোংরা ভাষা ব্যবহার করা, হাসাহাসি করা। সময় এসেছে এসব বন্ধ করার!” সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর এখনো বিষয়টি নিয়ে কোনো বক্তব্য দেননি হৃতিক কিংবা তার প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খান। ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর ভালোবেসে ঘর বাঁধেন হৃতিক রোশান ও সুজান খান। ২০০৬ সালে জন্ম হয় এই দম্পতির প্রথম সন্তান হৃহানের। ২০০৮ সালে জন্মগ্রহণ করে তাদের দ্বিতীয় সন্তান হৃদান। কিন্তু এ জুটির চলার পথে ছন্দপতন ঘটে। ২০১৩ সাল থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন। ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের সময় সুজান ৪০০ কোটি রুপি খোরপোশ দাবি করেন। সর্বশেষ ৩৮০ কোটি রুপি গুণতে হয় হৃতিককে। সংসার ভেঙে গেলেও প্রায়ই দু’জন মিলে সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটান হৃতিক-সুজান। দুই পুত্রকে নিয়ে বিদেশে অবসর কাটাতেও দেখা গেছে। ২০২৫ সালকে স্বাগত জানাতে দুই পুত্র ও প্রাক্তন স্ত্রীকে নিয়ে দুবাইয়ে উড়ে গিয়েছিলেন হৃতিক।
মা হারালেন হলিউডের তারকা ব্র্যাড পিট

মা হারালেন হলিউডের তারকা ব্র্যাড পিট হলিউডের তারকা অভিনেতা ব্র্যাড পিটের মা মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অস্কারজয়ী এই অভিনেতার মা জেন এতা পিট। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এ খবর প্রকাশ করেছে। ব্র্যাড পিটের ভাতিজি সিডনি পিট ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দাদিকে হারানোর বার্তা জানিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি লেখেন, “আমার প্রিয় গ্র্যামি, জেন এতা, তোমাকে যেতে দিতে আমরা এখনই প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু এটা ভেবে ভালো লাগছে যে, তুমি এখন স্বাধীন। তুমি এখন গাইতে, নাচতে আর ছবি আঁকতে পারবে।” জেন এতার উদারতার কথা স্মরণ করে সিডনি পিট লেখেন, “যারা গ্র্যামিকে চিনতেন, তারা জানেন তার হৃদয় সবচেয়ে বড় ছিল। কোনো প্রশ্ন ছাড়াই সবাইকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতেন। তিনি আমাকে আঁকতে শিখিয়েছেন, শক্ত হতে শিখিয়েছেন, সদয় নেতৃত্ব দিতে শিখিয়েছেন, সবকিছুর মাঝেও যীশুকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন, আর সবচেয়ে ছোট জিনিসগুলোতেও আনন্দ খুঁজে নিতে শিখিয়েছেন। শুধু আমাদের হাসানোর জন্য সবচেয়ে মজার সব খেলা বানিয়ে ফেলতেন, আর ন্যায়পরায়ণতায় বিশ্বাস করতেন তিনি।” “আমরা তার ১৪ জন নাতি-নাতনি। সে সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারত, কখনো ক্লান্ত হতো না। তার ভালোবাসার কোনো সীমা ছিল না। তার ভালোবাসায়, যত্নে বেড়ে উঠতে পেরে আমরা সত্যিই সৌভাগ্যবান। আমি জানি জেন এতা আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই বেঁচে আছেন।” লেখেন সিডনি পিট। উইলিয়াম এলভিন পিট ও জেন এতা পিট দম্পতির তিন সন্তান। তারা হলেন—ব্র্যাড পিট, ডগলাস পিট ও জুলি পিট। সবার বড় ব্র্যাড পিট। হলিউডের দাপুটে অভিনেতা ব্র্যাড পিট অভিনয়ে আসলেও বাকি দুই ভাই-বোন এই অঙ্গনের মানুষ নন।
বেসিক ইনস্টিংক্ট- আইকন বানিয়েছে, তবে সম্মান দেয়নি: শ্যারন

বেসিক ইনস্টিংক্ট- আইকন বানিয়েছে, তবে সম্মান দেয়নি: শ্যারন ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বেসিক ইনস্টিংক্ট’-এর সেই বিখ্যাত জিজ্ঞাসাবাদের দৃশ্য এক রাতেই শ্যারন স্টোনকে আন্তর্জাতিক তারকা বানিয়েছিল। ক্যাথরিন ট্রামেল চরিত্রে তার দুর্ধর্ষ অভিনয় এখনো সিনেমা ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত। তবে সেই খ্যাতি শ্যারনের জন্য কতটা গর্বের ছিল, তা নিয়ে সম্প্রতি তিনি মুখ খুলেছেন এক বিস্ফোরক মন্তব্যে। এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে ৬৭ বছর বয়সী এই হলিউড অভিনেত্রী বলেন,’ওই দৃশ্যটা আমাকে আইকন বানিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সম্মান দেয়নি।’ তিনি আরও বলেন,’আবার কি এমন দৃশ্যে কাজ করতে চাইব? সত্যি বলতে, জীবনে সবকিছু আমাদের ইচ্ছেমতো হয় না। আমি আর কোনো ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ডের অংশ হতে চাই না।’ এই প্রথম নয়, ২০২১ সালে প্রকাশিত তার আত্মজীবনী ‘The Beauty of Living Twice’-এ শ্যারন স্টোন লিখেছিলেন, শুটিংয়ের সময় তাকে বলা হয়েছিল, অন্তর্বাস আলো প্রতিফলিত করছে, তাই খুলে ফেলতে হবে। কিন্তু পরে যখন প্রজেকশনে দৃশ্যটি দেখেন, তখন তিনি পলকে চড় মেরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন এবং আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে পরিচালক পল ভেরহোভেন বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। তার দাবি, শুটিংয়ের সময় কী হচ্ছে তা অভিনেত্রী জানতেন এবং সম্মতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু নতুন সাক্ষাৎকারে শ্যারন বলছেন, ‘ঠিক কী শুট হচ্ছে, সেটা নিয়ে তখন একটা ধোঁয়াশা ছিল। শুটিংয়ের পর পল নিজেও অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল, এমনকি দৃশ্যটা আমাকে দেখাতে ভয় পাচ্ছিল।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাইলেই দৃশ্যটি বাদ দেওয়ার আইনি অধিকার ব্যবহার করতে পারতাম, কিন্তু করিনি।’
একই দিনে দেশে আসছে ভয়ংকর দুই ভূতের ছবি

একই দিনে দেশে আসছে ভয়ংকর দুই ভূতের ছবি এখন সুপারহিরো, সিক্যুয়েল আর পুরোনো ছবির রিবুট দেখে দেখে হাঁপিয়ে উঠেছেন দর্শক, তখন হঠাৎ ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছে হরর বা ভৌতিক ঘরানার ছবি। সাম্প্রতিক সময়ে সারাবিশে^ই হরর ছবি নির্মাণের হার বেড়েছে। এ বছর এখনো পর্যন্ত হলিউডের ব্যবসাসফল ছবির তালিকায় হরর ছবির সংখ্যা উল্লেখ করার মতো। মার্কিন সংস্থা কমস্কোরের এক পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছর উত্তর আমেরিকার মোট টিকিট বিক্রির ১৭ শতাংশই এসেছে হরর ছবির হাত ধরে, যা ২০২৪ সালে ছিল ১১ শতাংশ; এক দশক আগেও যা ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। প্রযোজক, স্টুডিও প্রধান ও হলমালিকদের মতে, হরর সব সময়ই ছিল উদ্বেগ থেকে মুক্তির উপায়। আজকের দুনিয়ায় সেই মহামারির পরবর্তী ধাক্কা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আশঙ্কা, শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয় বা বর্ণবাদ হরর চলচ্চিত্রে জায়গা করে নিচ্ছে। হরর ছবির এই জয়রথে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও দুটি সিনেমা। ৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে মার্কিন হরর থ্রিলার ‘ওয়েপনস’। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে ছবিটি। সেই সাথে বাড়তি উপহার হিসেবে থাকছেও জনপ্রিয় তুর্কি হরর সিনেমা ‘সিকিন’ সিরিজের নতুন ছবি ‘সিকিন ৮’। এই ছবিটিও ৮ আগস্ট মুক্তি দিচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স। ‘ওয়েপনস’ জ্যাক ক্রেগার পরিচালিত আমেরিকান রহস্যময় হরর থ্রিলার সিনেমা ‘ওয়েপনস’। এতে অভিনয় করেছেন যশ ব্রুলিন, জুলিয়া গার্নার, ক্যারি ক্রিস্টোফার, অস্টিন আব্রামস, অ্যামি ম্যাডিগানসহ আরও অনেকে। মেব্রুক নামের একটি ছোট শহরে, একই ক্লাসের ১৭ জন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র এক রাতে ২.১৭ মিনিটের সময়ে একযোগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। শুধুমাত্র একজন, অ্যালেক্স লিলি পরের দিন স্কুলে উপস্থিত হয়। নিখোঁজ হওয়া শিক্ষার্থীদের খোঁজে নামে অভিভাবক, পুলিশ, শিক্ষকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এরমধ্যে কিছু অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা তাদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেয়। ছবিটি ছয়টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত। প্রতিটি অধ্যায়ভিত্তিক চরিত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে গল্প এগিয়ে যায়। প্রতিটি অধ্যায় একটি ছোট ঘটনার কিস্তিকে আলোচনায় নিয়ে আসে এবং চূড়ান্ত ক্লাইমেক্সের দিকে এগোতে গিয়ে ধ্বংসাত্মক ঘটনা উন্মোচিত করে। ওয়েপনস সবার কাছে ২০২৫ সালের অন্যতম সেরা হরর-থ্রিলার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আইএমডিবি, রোটেন টমেটোস ইতিমধ্যে ছবিটির ইতিবাচক সমালোচনা করেছে। ‘সিকিন ৮’ অন্যদিকে, তুর্কি ভাষার সুপারন্যাচারাল হরর সিনেমা ‘সিকিন ৮’। সিরিজের অষ্টম কিস্তি এটি। এই সিরিজের পূর্ববর্তী কিস্তি ‘সিকিন ৭’ গত বছরের ১৪ জুন মুক্তি পেয়েছে। এক বছর পর পর্দায় এসেছে নতুন কিস্তি। অ্যালপার মেস্তকি পরিচালিত ছবিটি তুরস্কে মুক্তির পর দর্শকদের কাছ থেকে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে। এতে একজন পুরুষ এবং তার পরিবারকে ভয়াবহ অতিপ্রাকৃত শক্তির দ্বারা অত্যাচারিত হতে দেখা যাবে, যা শুরু হয় যখন সে তার বৃদ্ধ মাতাকে বাসায় আনে। এই অংশে অরহান চরিত্রটিকে সিরিজের মূল নায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যিনি পূর্বের কিস্তিগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তবে প্রথম দুই কিস্তিতে কোনো নির্দিষ্ট হিরো বা ভিলেন ছিলো না বরং জাদুবিদ্যা ও কালো যন্ত্রণা প্রধান বিষয় ছিল, যা পরের কিস্তিতে বদলেছে বলে মনে হচ্ছে। ছবিতে জিন তত্ত্ব, ব্ল্যাক ম্যাজিক এবং পারিবারিক গোপন রহস্যের মিশ্রণ রয়েছে। প্রধান চরিত্র ফাতিহ নামে একজন মানুষ, যিনি তাঁর স্ত্রী বরনার অনুরোধে তাঁর বৃদ্ধ মা গুনহুলকে পরিবারের বাইরে বৃদ্ধাশ্রমে স্থানান্তর করেন। মা বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর, ঘরের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং ধীরে ধীরে অচেনা ও রহস্যময় ঘটনা বাড়তে থাকে। একটি শান্ত পরিবেশে অদ্ভুত শব্দ, ছায়া, এবং অতিপ্রাকৃত ঘটনা ফাতিহের পরিবারকে গ্রাস করে। ফাতিহের অনুশোচনায় ভরা মন একটি মানসিক ও পারিবারিক সংকটের মধ্যে পড়ে। ফাতিহ শেষ পর্যন্ত তার মাকে বাড়িতে ফেরায়, কিন্তু সেই মা একই ব্যক্তি নন। এরপর ঘটতে থাকে ভয়ঙ্কর সব ঘটনা।
অ্রনৈতিক অভিনয়, শ্বেতা মেননের বিরুদ্ধে মামলা

অ্রনৈতিক অভিনয়, শ্বেতা মেননের বিরুদ্ধে মামলা খ্যাতনামা মালয়ালম অভিনেত্রী শ্বেতা মেননের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে এর্নাকুলাম সেন্ট্রাল থানা। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বিষয়বস্তুযুক্ত চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন। আদালতের নির্দেশে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে, মামলাটি দায়ের করা হয়েছে অসামাজিক কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৫৬-এর ৩ ও ৫ নম্বর ধারা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ৬৭(এ) ধারা অনুযায়ী। সামনেই অ্যাসোসিয়েশন অব মালায়ালাম মুভি আর্টিস্টের নির্বাচন যেখানে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শ্বেতা। এমন সময় এই মামলা অভিনেত্রীকে বেশ বিপাকেই ফেলতে যাচ্ছে। গত বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে হেমা কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের পর অ্যাসোসিয়েশন অব মালায়ালাম মুভি আর্টিস্টের (এএমএমএ) প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেন বরেণ্য অভিনেতা মোহনলাল। এক বছর পর আগামী ১৫ আগস্ট সংগঠনটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শ্বেতা মেনন। অভিনেত্রীর সমর্থন সময়ের সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধরেই নেওয়া হয়েছে, প্রথমবারের মতো সংগঠনটি নারী সভাপতি পেতে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের কয়েক দিন আগে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অভিযোগকারী দাবি করেছেন, শ্বেতা অভিনীত সিনেমা ও বিজ্ঞাপনগুলো সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে জনপ্রিয়তা ও আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটির প্রাথমিক তদন্ত চলছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, তারা মামলাটি রুজু করেছে। পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখবে অভিযোগগুলি আদৌ প্রমাণিত হয় কি না। ১৯৯৪ সালে ‘ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া এশিয়া প্যাসিফিক’ খেতাব অর্জন করেন শ্বেতা মেনন। দুইবার কেরালা স্টেট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন এ অভিনেত্রী। মূলত, মালায়ালাম ও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন শ্বেতা। বলিউডে কাজ করেছেন সালমান খান, আমির খান, অজয় দেবগনের সঙ্গেও।
আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণ দিবস

আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণ দিবস ২২শে শ্রাবণ, শ্রাবণের ঘন কালো বারিশ ধারার মতো বাঙালির মনেও সেদিন ঝরেছিল বিষাদের বৃষ্টি। বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক কবিগুরু কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জীবনের শেষ প্রায় এক বছর সময় তার কেটেছিল রোগশয্যায়। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে ৭৫ বছর বয়সে মারা যান তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে ‘গুরুদেব’, ‘কবিগুরু’ ও ‘বিশ্বকবি’ অভিধায় ভূষিত করা হয়। কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতা সারদাসুন্দরী দেবী। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন পিতামাতার চতুর্দশ সন্তান। ১৮৭৫ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ মাকে হারান। শৈশবে রবীন্দ্রনাথ কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্ম্যাল স্কুল, বেঙ্গল অ্যাকাডেমি এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে কিছুদিন করে পড়াশোনা করেন। কিন্তু বিদ্যালয়-শিক্ষায় অনাগ্রহী হওয়ায় বাড়িতেই গৃহশিক্ষক রেখে তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। ১৮৭৮ সালে ব্যারিস্টারি পড়ার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে যান রবীন্দ্রনাথ। প্রথমে তিনি ব্রাইটনের একটি পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন। ১৮৭৯ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে আইনবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু সাহিত্যচর্চার আকর্ষণে সেই পড়াশোনা তিনি সমাপ্ত করতে পারেননি। ইংল্যান্ডে থাকাকালীন শেকসপিয়র ও অন্যান্য ইংরেজ সাহিত্যিকদের রচনার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় ঘটে। তার সর্বমোট লেখার সংখ্যা- ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ, ৯৫টি ছোটগল্প, ১৯১৫টি গান, ২০০০ চিত্রকর্ম। তার রচিত জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি যথাক্রমে ভারত প্রজাতন্ত্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। মনে করা হয় শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত শ্রীলঙ্কা মাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হয়ে লেখা হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি এশীয়দের মধ্যে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকারের ‘নাইট’ উপাধি লাভ করেন। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আন্তর্জাতিক পুরস্কার, রবীন্দ্র পুরস্কার, রবীন্দ্রসদন এবং অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থাপনা।
বক্স অফিসে আয় ৬৫৫ কোটি: কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন আহান-অনীত?

বক্স অফিসে আয় ৬৫৫ কোটি: কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন আহান-অনীত? নবাগত আহান পান্ডে ও অনীত পড্ডা অভিনীত ‘সাইয়ারা’ সিনেমা দর্শক-সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা কুড়াচ্ছে। মোহিত সুরি নির্মিত সিনেমাটি বক্স অফিসেও দারুণ সাড়া ফেলেছে। এতটাই ঝড় তুলেছে যে, অনেকেই হতবাক! যশরাজ ফিল্মস প্রযোজিত ‘সাইয়ারা’ সিনেমা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩ কোটি ২০ লাখ টাকা)। মুক্তির ১৮ দিনে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৪৭২ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৫৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার বেশি); যা বাজেটের ১ হাজার গুণের বেশি। ‘সাইয়ারা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ঠিক কত টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন আহান-অনীত—তা নিয়ে চর্চা চলছে নেট দুনিয়ায়। একটি সূত্র ইন্ডিয়া টুডে-কে জানিয়েছে, রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার সিনেমাটির জন্য দুজনেই ১৫-২০ লাখ রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০-২৭ লাখ টাকা) মধ্যে পারিশ্রমিক পেয়েছেন। তবে নতুন প্রকল্পে (সিনেমা) পারিশ্রমিকের এই অঙ্ক অনেকটাই বাড়বে। বলিউডের একজন সিনিয়র প্রোডাকশন এক্সিকিউটিভ বিষয়টি নিয়ে ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে কথা বলেছেন। শীর্ষস্থানীয় স্টুডিওগুলোর সঙ্গে তার কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। নবাগত তারকা জুটির কম পারিশ্রমিককে স্বাভাবিক বলে মনে করেন তিনি। খানিকটা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “একটি বড় ব্যানারে অভিষেক সিনেমার জন্য এমন পারিশ্রমিক স্বাভাবিক। কিন্তু সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পাওয়ায়, এখন নিঃসন্দেহে তারা অনেক বেশি পারিশ্রমিক দাবি করতে পারবেন।” নতুন সিনেমায় জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন আহান-অনীত। বৃদ্ধি পাচ্ছে পারিশ্রমিকও। তা জানিয়ে তিনি বলেন, “এই সিনেমার সাফল্য রাতারাতি দুটি নামকে বাজারে চাহিদাসম্পন্ন করেছে। পারিশ্রমিক পুননির্ধারণের জন্য আহান ও অনীত এখন অনেক শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। তাদের পরবর্তী সিনেমার প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে। নতুন সিনেমার জন্য ৩৫-৫০ লাখ রুপি পারিশ্রমিক নিতে পারেন তারা।” গত কয়েক বছরে যারা অভিষেকেই বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য পেয়েছেন, তাদের পারিশ্রমিক উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। যেমন: ‘ধড়ক’ সিনেমা মুক্তির পর শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুরের পারিশ্রমিক বেড়ে যায়। ‘সাইয়ারা’ সিনেমার পর আহান-অনীত একই পথে এগোচ্ছেন বলে মনে করছেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।
ক্যাপিটাল ড্রামায় আসছে ইয়াশ-নীহার ‘উইশ কার্ড’

ক্যাপিটাল ড্রামায় আসছে ইয়াশ-নীহার ‘উইশ কার্ড’ নতুন রোমান্টিক-কমেডি ধারার নাটক নিয়ে হাজির হচ্ছেন জনপ্রিয় নির্মাতা জাকারিয়া সৌখিন। তার রচনায় ও পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে ‘উইশ কার্ড’ নামের নতুন নাটক। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান ও নাজনীন নাহার নীহা। নাটকটির শুটিং শেষ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই, এখন চলছে সম্পাদনার কাজ। নির্মাতা জানিয়েছেন, আগামী ১৪ আগস্ট নাটকটি ক্যাপিটাল ড্রামা ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে। নাটকের কাহিনিতে দেখা যাবে, হৃদির (নীহা) বাবা বন বিভাগের কর্মকর্তা। নতুন এক এলাকায় বদলি হয়ে আসার পর হৃদি ভর্তি হয় স্থানীয় এক কলেজে। সেখানেই তার পরিচয় হয় কলেজের সবচেয়ে দুষ্টু ছাত্র সাদের (ইয়াশ) সঙ্গে। সাদের দুষ্টুমি, আর হৃদির শান্ত স্বভাব। এই বিপরীত মেরু চরিত্রের মধ্যে তৈরি হয় সম্পর্কের এক মজার রসায়ন। সাদ হৃদি প্রেমে পড়ে, কিন্তু হৃদি সরাসরি সাড়া না দিয়ে তাকে এক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। তাকে পেতে হলে পূরণ করতে হবে কয়েকটি ‘উইশ’। সাদ রাজি হয়ে যায় চ্যালেঞ্জে। তবে সেই রহস্যময় উইশগুলো কী? তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে নাটকটি মুক্তি পাওয়া পর্যন্ত। নাটকটি নিয়ে নির্মাতা জাকারিয়া সৌখিন বলেন,’ইয়াশের সঙ্গে এটিই আমার প্রথম কাজ। ও খুব মনোযোগী আর সিরিয়াস একজন অভিনেতা। আর নীহা তো আমার পুরোনো সহকর্মী, ওর সঙ্গে কাজ করাও দারুণ অভিজ্ঞতা।’ অভিনেতা ইয়াশ রোহান বলেন,”দারুণ এক এনার্জেটিক নাটক হতে যাচ্ছে ‘উইশ কার্ড’। সৌখিন ভাই প্রতিটি দৃশ্য খুব যত্ন নিয়ে করেছেন। দর্শকদের ভালো লাগবে আশা করি।” নায়িকা নাজনীন নীহা জানান,”সৌখিন ভাইয়ার সঙ্গে এটিই আমার চতুর্থ কাজ। এর আগে মনদুয়ারী, মেঘবালিকা ও লাভ রেইন নাটকে একসঙ্গে কাজ করেছি। দর্শকদের ভালো লাগবে বলে বিশ্বাস করছি, কারণ এই নাটকে আবেগ, হাসি, প্রেম সবকিছুই আছে।’ ‘উইশ কার্ড’ নাটকে রয়েছে একটি গান। এটি লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন এবং সুর-সংগীত করেছেন সাজিদ সরকার।