ধানুশের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে মুখ খুললেন ম্রুণাল

ধানুশের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে মুখ খুললেন ম্রুণাল বলিউড অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুরের সঙ্গে দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ধানুশের প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বেশ কিছু দিন ধরেই। তাদের একাধিক ভিডিও ক্লিপ সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তারা। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন ম্রুণাল। গুঞ্জন সম্পর্কে অবগত ম্রুণাল ঠাকুর। শুরুতে এটিকে ‘মজা’ হিসেবে দেখেছেন এই অভিনেত্রী। ‘অনলি কলিউড’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্রুণাল ঠাকুর সম্পর্কের বিষয়ে বলেন, ধানুশ কেবল আমার ভালো বন্ধু। আপনার জন্যই কি ‘সন অব সরদার টু’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে চেন্নাই থেকে মুম্বাই উড়ে গিয়েছিলেন ধানুশ? এই প্রশ্নের উত্তরে ম্রুণাল ঠাকুর বলেন, ধানুশ ‘সন অব সরদার টু’ সিনেমার ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। এটাকে কেউ ভুলভাবে নেবেন না। কারণ উনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অজয় দেবগন। একাধিকবার একসঙ্গে দেখা গেছে ধানুশ ও ম্রুণাল ঠাকুরকে। তাদের সম্পর্কের ব্যাপারটি প্রথম নজরে পড়ে, যখন ম্রুণাল ঠাকুরের জন্মদিনের পার্টিতে যান ধানুশ। এ পার্টিতে পরস্পরের হাত ধরে ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়ে তাদের কথা বলতে দেখা যায়। এ মুহূর্তের ভিডিও ক্লিপ এখন অনলাইনে ভাইরাল। এরপর ম্রুণাল ঠাকুর অভিনীত ‘সন অব সরদার টু’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে অংশ নেন ধানুশ। সেখানেও একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায়। মূলত, তারপরই অনেকের মনে প্রশ্ন- তারা কি শুধুই বন্ধু, না কি এর চেয়েও বেশি কিছু? ম্রুণাল ‘বন্ধু’ বললেও এখনো নীরব ধানুশ। কিংবদন্তি তামিল অভিনেতা রজনীকান্তের বড় মেয়ে ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন ধানুশ। ২০০৪ সালে বিয়ে করেন তারা। এই দম্পতির দুই ছেলে যাত্রা ও লিঙ্গা রয়েছে। তবে ২০২২ সালের শুরুতে ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দেন ধানুশ-ঐশ্বরিয়া।
ডার্লিং’ সম্বোধন, সৎ মেয়ে সারার জন্মদিনে যা বললেন কারিনা

‘ডার্লিং’ সম্বোধন, সৎ মেয়ে সারার জন্মদিনে যা বললেন কারিনা সম্পর্কে সৎ মা হলেও সাইফ আলি খানের প্রথম দুই পক্ষের সন্তানের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খানের। যে কোনও উৎসব অনুষ্ঠানে নবাব বাড়ির সবাই একফ্রমে ‘হ্যাপি ফ্যামিলি’ হিসেবে ধরা দেন। সারা আলি খান এবং ইব্রাহিম আলি খানের সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক কারিনার। এবার সৎ মেয়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে আবেগঘন পোস্ট কারিনার। সাইফ-কারিনা দম্পতির দুই সন্তান জেহ এবং তৈমুর। সুপারস্টার নবাবের আগের পক্ষের ছেলে ইব্রাহিম ও মেয়ে সারা। সেই প্রেক্ষিতে জেহ এবং তৈমুরের বড় বোন সারা আলি খান। অভিনেত্রীকে বড় বোনের মতোই মানেন বাকি তিন ভাই। ভাইফোঁটা, রাখি হোক কিংবা পরিবারের কারও জন্মদিন, সারা পৌঁছে যান বান্দ্রার শদগুরু সরণে। সৎ ভাইদের সঙ্গে তার খুনসুটির মুহূর্ত একাধিকবার অনুরাগীদের মন জয় করেছে। এদিকে পরিবারের বড় সন্তান অর্থাৎ একমাত্র কন্যা সারার জন্মদিনে সৎ মায়ের পক্ষ থেকে এলো দারুণ শুভেচ্ছাবার্তা। সাইফকে পাশে নিয়ে দুই সৎ সন্তান সারা-ইব্রাহিমের সঙ্গে এক অদেখা ছবি পোস্ট করেছেন কারিনা। সাদাকালো ফ্রেম হলেও সেই ছবিতে নজর কাড়ল সৎ মা কারিনার সঙ্গে তাদের মিষ্টি রসায়ন। ছবির ক্যাপশনে সারা আলি খানকে ‘ডার্লিং’ বলে সম্বোধন করেন করিনা। এই অভিনেত্রী লেখেন, শুভ জন্মদিন ডার্লিং সারা। জীবনের সেরা জন্মদিন কাটাও। অনেকটা ভালোবাসা রইল। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন সাইফ-অমৃতার প্রথম সন্তান সারা আলি খান। চলতি বছর ৩০-এ পা দিলেন নবাবকন্যা। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম পরিচিত মুখ তিনি। সারা আলি খানের সঙ্গে সৎ মা কারিনা কাপুর খানের সম্পর্ক কেমন? বলিপাড়ায় অনেক জল্পনাই শোনা যায়। কিন্তু নবাব পরিবার ঘনিষ্ঠরা জানেন, কারিনা এবং সারা দু’জনেই বুদ্ধিমতী। ওরা জানেন কীভাবে সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। এ প্রসঙ্গে বছর খানেক আগে নবাবকন্যা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, কারিনা ভীষণ পেশাদার এবং যেভাবে নিজের কাজ আর ব্যক্তিগত জীবন ব্যালেন্স করে চলেন, সেটা শেখার মতো। উনি আমাকে মাঝেমধ্যে নানা পরামর্শ দেন এবং আমি সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করি। কারিনার পরামর্শ মেন চলার কারণ হিসেবে সারা বলেছিলেন, উনি সফল অভিনেত্রী। আমাদের সম্পর্ক বরাবর বন্ধুত্বপূর্ণ। তার নেপথ্যে অবশ্য কারণ আছে। প্রথমত, কারিনা কোনওদিন আমার মা হয়ে ওঠার চেষ্টা করেননি এবং বাবাও কখনও জোর করে আমাদের ওপর সম্পর্কটা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেননি।
মারা গেছেন গায়ক আতিফ আসলামের বাবা

মারা গেছেন গায়ক আতিফ আসলামের বাবা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পাকিস্তানি গায়ক আতিফ আসলামের বাবা মারা গেছেন। তার বাবা মোহাম্মদ আসলাম গতকাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৭ বছর। পাকিস্তানের সংগীত অঙ্গন ও বলিউডের বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দেওয়া আতিফ আসলাম সামাজিকমাধ্যমে এক আবেগঘন পোস্টে বাবার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, আমার ‘আয়রন ম্যান’-কে শেষ বিদায়। ভালোবাসায় শান্তিতে থাকুন, আবু জি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। পোস্টের সঙ্গে তিনি বাবার সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৭৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ আসলাম দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন এবং কয়েক মাস আগে হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। গতকাল আসরের নামাজের পর লাহোরের ভ্যালেন্সিয়া টাউনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাবা হারানোর কথা ছড়িয়ে পড়লে বিনোদন জগতসহ আতিফের দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্ত শোক প্রকাশ করেছেন। শিল্পী, সেলিব্রিটি এবং ভক্তরা সামাজিকমাধ্যমে সমবেদনা জানাচ্ছেন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নবাজ শরিফও গভীর শোক প্রকাশ করে আতিফ আসলাম ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ও শক্তি দেওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন।
রাজের বুকের বাঁ দিকটা চিনচিন-ঝিনঝিন কোনোটাই করে না

রাজের বুকের বাঁ দিকটা চিনচিন-ঝিনঝিন কোনোটাই করে না একসময় চুটিয়ে প্রেম করেছেন শুভ গাঙ্গুলি ও দেব। সেই প্রেম ভাঙার পর পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন শুভশ্রী। দেব নিজের জীবন জড়িয়েছেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রর সঙ্গে। দেব-শুভশ্রীর প্রেম ভাঙার পর মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল। পেশাগত কারণে ফের একমঞ্চে উপস্থিত হয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন এই যুগল। দেব-শুভশ্রী একমঞ্চে হাজির হওয়ার পর নেটিজেনরা দারুণভাবে চর্চায় মেতে ওঠেন। আক্রমণ করে মন্তব্য করেছেন রাজের প্রাক্তন স্ত্রী শতাব্দী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেন—“কিরে, কেমন লাগছে? আমারও ঠিক এরকমই লেগেছিল, ঠিক এইরকমই। বুঝলে তো? হিস্টোরি রিপিটস। বুকের বাঁ দিকটা চিনচিন করছে তো… আমারও করেছিল, ঠিক তেরো বছর আগে।” রাজের প্রাক্তন স্ত্রীর এই মন্তব্য নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সরব হয়েছেন শুভশ্রীর বড় বোন অভিনেত্রী দেবশ্রী গাঙ্গুলি। তার ভাষায়, “না, বুকের বাঁ দিকটা ওর চিনচিন, ঝিনঝিন কোনোটাই করেনি। ওর নাম রাজ চক্রবর্তী। উনি শুধু সফল পরিচালক, প্রযোজক বা বিধায়ক নন, সফল স্বামী এবং বাবাও। শুধুই নিজের নির্বাচনী এলাকার মানুষদের নয়, নিজের পরিবারেরও যত্ন নিতে জানেন। রাজ চেনেন তার অভিনেত্রী স্ত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলিকে।” এই দেখা সেই দেখা নয়! রাজ জানেন, একটা সিনেমা কীভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে হয়। রাজই তার স্ত্রীর সবচেয়ে বড় সমর্থক, উৎসাহদাতা, ‘চিয়ার লিডার’ বলেও জানান দেবশ্রী। শুভশ্রীর সবকিছুই জানেন দেবশ্রী। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, “আমি আমার ছোট বোনের জন্ম, বেড়ে ওঠা, ইন্ডাস্ট্রি জয় করা, দেবের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং মন ভাঙা—সবকিছুর সাক্ষী। আজ আমি খুব গর্ব করে, অহংকার করে বলি, শুভ শুধুই যে প্রত্যেক মুহূর্তে নিজেকে ভেঙেগড়ে দক্ষ অভিনেত্রী হয়েছে তা নয়। তারচেয়েও বড়, আমার বোন সাফল্যের শিখর ছুঁয়েও নিখুঁতভাবে নিজের সংসার, স্বামী-সন্তানের দেখভাল করছে। এই ভারসাম্য খুব কম মেয়ে রক্ষা করতে পারে।” দেব-শুভশ্রীর একমঞ্চে দাঁড়ানোর নেপথ্যে রয়েছেন রাজ ও রুক্মিণীর অবদান। তা উল্লেখ করে দেবশ্রী বলেন, “সে দিন নজরুল মঞ্চে ইতিহাস তৈরি হলো। তার নেপথ্যে শুধুই কি দেব বা শুভশ্রী? তা তো নয়। কী করে অস্বীকার করা যাবে তাদের জীবনসঙ্গীদের! তারা ভরসা রেখেছেন বলেই এই ‘ইতিহাস’ তৈরি হতে পারল। ভুলে যাবেন না, দেব-শুভশ্রী দু’জনেই পেশাদার। ওরা কাজ করে নিজের বাড়ি ফেরে। আমার বোন কারো বউ। দুই সন্তানের মা। দেব তেমনই কারো সন্তান, কারো প্রেমিক।” প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে দেবশ্রী গাঙ্গুলি বলেন, “আজ এই বয়সে এসে ওরা দু’জনেই জানে, কোথায় সীমা টানতে হয়। তাই রাজের বুকে চিনচিনে ব্যথা হয় না। বরং গর্বে বুক ফুলে ওঠে। ‘প্রাক্তন’ শব্দটা ভীষণ ভারী। সবার জন্যই। কিছু কিছু মানুষ সেই ভার সারা জীবন বহন করে চলে না। এটাও একটা ‘আর্ট’ মনে হয়। আবার নিজের জীবন নিজের মতো করে গুছিয়ে নেওয়াটাও তো এ রকম ‘আর্ট’ বা শিল্প। আপনারা কী বলেন?” শুভশ্রীর মানসিক পরিপক্কতার প্রশংসা করে দেবশ্রী বলেন, “তাহলে কি আমার বোন আগের তুলনায় অনেক সংযত? এখন আর আগের মতো নিজের আবেগ, অনুভূতি প্রকাশ করে না? আমি বলব, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেকোনো মানুষেরই বদল হয়। যদিও সবটাই নির্ভর করে সেই মানুষটার উপর। শুভ অবশ্যই নিজেকে সংযত করেছে। তাই বলে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে না, সে কথাই বা কী করে বলি? ও যে ভীষণ অনুভূতিপ্রবণ। এ প্রসঙ্গে নচিদার (নচিকেতা চক্রবর্তী) গানের কথায় বলতে হয়, ‘যার উষ্ণ আঁচে, ভালোবাসা বাঁচে…’। এখনো আমাদের দেখা হওয়ার পরে ও যেভাবে জড়িয়ে ধরে, মনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। আমার মনে হয় শুভ জানে, আবেগ, অনুভূতি— এগুলো কার কাছে প্রকাশ করবে।” খানিকটা ব্যাখ্যা করে দেবশ্রী বলেন, “আমি একে ঠিক বদল বলব না। শুভ আগের তুলনায় অনেক বেশি অভিজ্ঞ হয়েছে। নিজের জীবন দিয়ে সঠিকটা বেছে নিতে শিখেছে। সারাক্ষণ চেষ্টা করে, পৃথিবীর সমস্ত নেতিবাচকতা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে। আগের তুলনায় আরো আধ্যাত্মিক মনের হয়েছে। এটাও ওকে মাটির কাছাকাছি থাকতে সাহায্য করে। নিজের শিকড় শুভ কখনো ভোলে না। তাই হয়তো ঘরে-বাইরে আজ এত সফল। এটাও তো এক রকমের ‘আর্ট’!” রাজ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্বামী উল্লেখ করে দেবশ্রী বলেন, “এর জন্য রাজের ভূমিকা অনেক। একজন মেয়ের পরিবার এবং পেশা—দুটো দিকে ভারসাম্য রেখে চলা তখনই কঠিন, যখন নিজের জীবনের উপর তার কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সংযত, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন, স্বামী-সন্তান আর নিজের কাজের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা, সবটাই আমার ভগ্নিপতির মতো বর পেয়েছে বলেই শুভ পারে। সবকিছু দু’জনে ভাগ করে নেয়। আমি বাবা আমার জামাইকে নিয়ে একটু বেশিই পক্ষপাতদুষ্ট। আগেও বলেছি, এখনো বলি, আমার চোখে দেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্বামী রাজ চক্রবর্তী।”
এমপি প্রার্থী হলে সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: জয়

এমপি প্রার্থী হলে সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: জয় আলোচিত অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। নানা ইস্যুতে কথা বলে থাকেন তিনি। এবার সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন জয়। তার দাবি, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নিজের এলাকা থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে এমপি নির্বাচিত হবেন! এমনকি তার বিরোধী পক্ষের জামানতও বাজেয়াপ্ত হতে পারে। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে নিয়ে প্রকাশিত একটি সংবাদের ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে ক্যাপশনে এসব দাবি করেন জয়। তিনি বলেন, জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় আমাদের নুর ভাইকে। অবশ্যই উনি যদি ক্ষমতায় আসেন সবচেয়ে খুশি হব আমি। কারণ উনি প্রথম প্রতিবাদী ব্যক্তি, যিনি মানুষের কাছে সরল ইমেজ নিয়ে ভালোবাসার মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়েছেন। কিন্তু জনগণ সম্পর্কে কারো কোনো আইডিয়া নেই। আগামীবার কে যে ক্ষমতায় আসবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। সুস্থ নির্বাচন হলে তিনি এমপি নির্বাচিত হবেন জানিয়ে জয় বলেন, সুস্থ নির্বাচন হলে শতভাগ বিএনপি ছাড়া আর কারো কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আবার ঠিক উল্টাটাও হতে পারে। বিএনপি যা ভাবছে তার উল্টা ঘটনা ফুটে উঠতে পারে। এবং এ কথাও বলে দিলাম- আমার এলাকায় আমি যদি এমপি প্রার্থী হই, তাহলে সব দলের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন হলে। আর ১৬ বছরের মতো নির্বাচন হলে আমার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ভয় পাইয়েন না। কাউকে আন্ডারস্টিমিট কইরেন না। নিজের পরিবারের রাজনৈতিক প্রভাব প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন জয়। তিনি বলেন, আমার দাদা ওই এলাকার তিনবারের এমপি ছিলেন মুসলিম লীগের। আমার চাচা ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। আওয়ামী লীগের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ভোটে দাঁড়ানোর আগে আমার দাদিকে সালাম করতেন। আব্দুর রাজ্জাকও সালাম করতেন। বিএনপির কিরণও সালাম করতেন। এই সালাম ছাড়া কেউ আগাতে পারতেন না। আমাদের অনুমতি ছাড়া ওই এলাকায় কেউ এমপি হতে পারেন না। এটাই বাস্তবতা। হাহাহাহাহাহা। জয়ের এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে চর্চা চলছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে জয়ের মতো অনেকে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। অনেকে জয়কে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ তার কথার সমালোচনাও করেছেন।
ওয়েস্টার্ন আউটফিটে ফারিণ যেন আরও ক্যারিশম্যাটিক

ওয়েস্টার্ন আউটফিটে ফারিণ যেন আরও ক্যারিশম্যাটিক অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। খুব অল্প সময়েই নাটক, ওয়েব ফিল্ম, সিরিজে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন। বাংলা সিনেমা পাশাপশি কলকাতা বাংলা সিনেমায় হয়েছে অভিষেক। সাবলীল অভিনয় আর মিষ্টি হাসির অভিনেত্রী হিসেবেই পরিচিত ফারিণ। তার সাদামাটা সাজ, সাধারণ পোশাক আর ন্যাচারাল লুক বরাবরই দর্শকদের পছন্দের তালিকায়। তবে পশ্চিমা পোশাকেও কম যান না শোবিজের এই প্রিয় মুখ। ওয়েস্টার্ন আউটফিটে ধরা দিলেই যেন অন্য রকম মোহ ছড়িয়ে দেন তিনি। যেন পুরোদস্তুর গ্ল্যামার গার্ল! সামাজিকমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ওয়েস্টার্ন আউটফিটে তাসনিয়া ফারিণ যেন আরও বোল্ড আর ক্যারিশম্যাটিক। জানা যায়, ছবিগুলো তুলেছেন শোবিজের পরিচিত ফটোগ্রাফার রফিকুল ইসলাম (র্যাফ ক্লিক)। ছবিতে কালোতে সেজে যেন পুরোদস্তুর গ্ল্যামার গার্ল ফারিণ। সিকুইন সজ্জিত ক্রপ টপের সঙ্গে হাইওয়েস্ট বটম জুটি হয়েছে। সিকুইনের ঝলমলে শ্রাগটি একপাশে স্টাইল করে নিয়েছেন তিনি, যা পুরো লুকে টুইস্ট যোগ করেছে। কানে দুলছে সাদা পাথরের ঝুলন্ত দুল, খোলা চুলে মাথার ওপরে কালো চশমা। আর সফট গ্ল্যাম মেকআপে তার লুক হয়েছে সম্পূর্ণ। ২০১৭ সালে ‘আমরা আবার ফিরবো কবে’ নাটকে অভিনয় দিয়ে ছোট পর্দায় তার অভিষেক হয় ফারিণের। ছোট পর্দা পেরিয়ে এ পর্যন্ত ৩ টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এর মধ্যে ‘আরও এক পৃথিবী’ সিনেমা দিয়ে টালিউড অভিষেক হয়েছে তার। এরপর মুক্তি পায় তার সিনেমা ‘ফাতিমা’। সবশেষে গত ঈদে মুক্তি পায় তাসনিয়া ফারিণ অভিনীত সিনেমা ‘ইনসাফ’।
‘দুনিয়া বদলে দিয়েছ’, কার উদ্দেশে বললেন কিয়ারা?

‘দুনিয়া বদলে দিয়েছ’, কার উদ্দেশে বললেন কিয়ারা? সদ্য মা হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি। গত ১৫ জুলাই তার কোল জুড়ে এসেছে কন্যাসন্তান। অভিনেতা স্বামী সিদ্ধার্থ মলহোত্রার সঙ্গে জমিয়ে উপভোগ করছেন জীবনের এই নতুন অধ্যায়। মাতৃত্বের এই জার্নি যে তার কাছে কতটা উপভোগ্য তা মাঝেমাঝেই বুঝিয়ে দিচ্ছে তিনি। এবার সামাজিকমাধ্যমে আরও একটি পোস্ট শেয়ার করলেন অভিনেত্রী। সেই পোস্টে কিয়ারা লেখেন, ‘আমি তোমার ডায়াপার বদলাচ্ছি আর তুমি আমার গোটা দুনিয়াটাই বদলে দিয়েছ। ’বোঝার অপেক্ষা রাখে না, এই পোস্ট তার সন্তানকে নিয়ে শুরু হওয়া নতুন অধ্যায়কেই বোঝাতে চেয়েছেন কিয়ারা। মা হওয়ার পর ১ আগস্ট ছিল কিয়ারার প্রথম জন্মদিন। এদিন জীবনের ৩৪ বছরে পা রাখেন অভিনেত্রী। সেই অনুভূতিও নিজের সামাজিকমাধ্যম পাতার মাধ্যমে জানিয়েছিলেন। অভিনেত্রী সেদিন লিখেছিলেন, ‘আমার সর্বকালের সেরা জন্মদিন পালন করলাম। ’ ২০২৩ সালে বিয়ে করেন সিদ্ধার্থ ও কিয়ারার। চলতি বছরের শুরুতেই নতুন সদস্যের আগমনের খবর জানান এই দম্পতি। তারপর থেকেই সিড-কিয়ারার অনুরাগীরা সুখবরের অপেক্ষায় ছিলেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরই কাজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ-ঘরনি। এদিকে সামনেই মুক্তি পাবে কিয়ারার নতুন সিনেমা ‘ওয়ার টু’। মা হওয়ার পর তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত হতে চলেছে এটি। স্পাই ইউনিভার্সটিতে আরও আছেন হৃতিক রোশন ও জুনিয়র এনটিআর। আগামী ১৪ আগস্ট একসঙ্গে হিন্দি, তামিল, তেলেগু ভাষাতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
প্রেমের কথা স্বীকার জয়ার, নেই বিয়ের পরিকল্পনা

প্রেমের কথা স্বীকার জয়ার, নেই বিয়ের পরিকল্পনা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই নীরব থেকেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। নিজের সম্পর্ক কিংবা ভালোবাসার গল্প সবসময় আড়ালেই রেখেছেন। তবে এবার সেই নীরবতা ভাঙলেন ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’ খ্যাত এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি ভারতের গণমাধ্যম ইনডালজ এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়া জানিয়েছেন, বহু বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। তবে তার প্রেমিক মিডিয়া অঙ্গনের কেউ নন। জয়ার ভাষায়, ‘হ্যাঁ, আমার জীবনে একজন আছেন। আমরা বহু বছর ধরে একসঙ্গে আছি। তবে তিনি মিডিয়ার কেউ নন। ’ প্রেমিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে পার্টনার হওয়ার আগে বন্ধু হওয়াটা সবচেয়ে জরুরি। আজীবন সেই বন্ধুত্ব ধরে রাখতে পারাই আসল ব্যাপার। আমি অনেক ভ্রমণ করি, দীর্ঘ সময় শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকি-তবু তিনি কোনো অভিযোগ করেন না। বরং সবসময় আমাকে সমর্থন দেন। এই মানসিকতা সত্যিই বিরল। ’ তবে বিয়ে নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তার ভাষায়, ‘বিয়ে করে একসঙ্গে থাকার বিষয়টাকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু এখনই তেমন ইচ্ছা বা পরিকল্পনা নেই। বিয়ে নিয়ে আমার মধ্যে কিছুটা ভয়ও আছে, হয়তো আগের অভিজ্ঞতার কারণে। ’ জয়া আরও জানান, তিনি ও তার সঙ্গী দুজনেই ব্যক্তিগত জীবনকে আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন। শান্ত স্বভাব এবং ব্যক্তিগত পরিসরকে গুরুত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়েই সম্পর্কটি আরও গভীর হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত দুটি ছবি ‘ডিয়ার মা’ ও ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। এই দুটি ছবির প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি বর্তমানে কলকাতায়।
পাঞ্জাবি পরা ছেলেদের ভালো লাগে, বাংলাদেশি বিয়ে করতে চান রাশিয়ান মডেল

পাঞ্জাবি পরা ছেলেদের ভালো লাগে, বাংলাদেশি বিয়ে করতে চান রাশিয়ান মডেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল রাশিয়ান মডেল মনিকা কবির। জন্ম রাশিয়াতে হলেও এ মডেল বাংলা ভাষায় কথা বলেন। শাড়ি পরেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ রুশ তরুণী বাংলাদেশের ছেলে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। রাশিয়ান মডেল মনিকা কবির বলেন, ‘রাশিয়ার মস্কোতে আমার জন্ম। আমার বাবা ভারতীয় ও মা রাশিয়ান। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি বলে, শাড়ি পরি বলে অনেকে মনে করেন আমি বাংলাদেশি। আসলে তা নয়। আমার বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।’ তিনি বলেন, ‘যখন আমার ৫ বছর বয়স তখন আমি বাংলাদেশে এসেছিলাম। আমার বাবার ব্যবসা ছিল এখানে। এরপর আমি মার কাছে চলে যাই। রাশিয়ায় আমার মার কাছে গেলেও আমি বাংলা ভাষা ভুলিনি। বাবার কারণে ইন্ডিয়ার ভাষাও আমি জানি।’ এদেশের ভাষা, সংস্কৃতি ও মানুষকে ভালোবাসায় এ মডেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিয়ের জন্য রাশিয়া, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কোন দেশের ছেলেকে বেছে নেবেন তিনি। এর উত্তরে মনিকা বলেন, ‘আমার মা রাশিয়ান, আমার বাবা ভারতীয় হলেও আমার বাংলাদেশ ভালো লাগে। বিয়েটা আসলে মনের ওপর নির্ভর করে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, সব বাংলাদেশির মন ভালো নয়, সব ভারতীয়দের মন ভালো নয় আবার সব রাশিয়ানদের মন ভালো নয়। তাই বলবো, যার মন বেশি ভালো হবে তাকে বিয়ে করবো।’ বিয়ে প্রসঙ্গে এ মডেল আরও বলেন, ‘তবে আমার ইচ্ছা হয়তো বাংলাদেশে। কারণ এদেশের পাঞ্জাবি পরা ছেলেদের আমার অনেক ভালো লাগে। তবে বিয়ে যাকেই করি না কেন বাংলাদেশ, ভারত ও রাশিয়া- এ তিন দেশের পোশাক পরেই বিয়ে করার ইচ্ছা আছে।’ রাশিয়ান মডেল মনিকা কবিরের রুশ নাম মারিয়া ভ্যালিরিয়েভনা। ডাকনাম মনিশকা। লাতিন নাচে তিনি বেশ পারদর্শী। বাবার বিভিন্ন দেশে ব্যবসা থাকার কারণে ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন দেশে ঘুরেছেন। তাই রাশিয়ার ভাষা ছাড়াও বাংলা, হিন্দি, পোলিশ, তুর্কি, ইংরেজি এবং আজারবাইজানের ভাষা জানেন এ লাস্যময়ী সুন্দরী।
কারো সন্তানের জীবন কনটেন্ট তৈরির ‘আইটেম’ নয়: অপূর্ব

কারো সন্তানের জীবন কনটেন্ট তৈরির ‘আইটেম’ নয়: অপূর্ব প্রায় সাত মাস পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। দেশে ফিরেই একমাত্র সন্তান জায়ান ফারুক আয়াশকে দিতে চাইলেন এক অবিস্মরণীয় চমক। নিজের ঘরে ঢুকতেই অপূর্ব দেখেন, আয়াশ মিষ্টি ঘুমে আচ্ছন্ন। বাবার স্নেহমাখা স্পর্শে ঘুম ভাঙতেই চোখ মেলে দেখেন প্রিয় মানুষটিকে। মুহূর্তেই আবেগে ভেসে যায় ছোট্ট আয়াশের মুখ। বাবা-ছেলের সেই নিখাদ ভালোবাসার দৃশ্য ধরা পড়ে অপূর্বর ক্যামেরায়, যা তিনি শেয়ার করেন সামাজিকমাধ্যমে। কিন্তু সেই আবেগঘন ভিডিও নিয়েই শুরু হয় কিছু ভিত্তিহীন মন্তব্য ও নেতিবাচক আলোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন অপূর্ব। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই অভিনেতা বলেন, কিছু মানুষের সত্য-মিথ্যার বোধ নেই, ন্যূনতম সম্মানবোধও না। কিছু মানুষের গসিপ আর মিথ্যার কারখানা সমাজকে বিষাক্ত করে। আর কিছু গড়পড়তা মানুষরা, যাচাই না করেই শেয়ার করেন, রিঅ্যাক্ট দেন, ভুল বিচার করেন। সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের ভালোবাসা নিয়েও চলে নোংরা বিচার ও আজেবাজে কথাবার্তা। অপূর্ব বলেন, এটা শুধু লজ্জাজনকই নয়, চরম অমানবিকও। আর যারা এই কাজগুলো করেন তাদেরকে আমি কোনো জ্ঞান দিতে যাব না। কারণ যাদের পরিবার তাদের ভেতর কোন মূল্যবোধ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে, যাদের সমাজ মানবিকতা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদেরকে কোনো জ্ঞান দিয়ে লাভ হবে না। এরপর এই অভিনেতা আরও বলেন, যাদের মস্তিষ্ক, হৃদয়ে নেগেটিভিটির ক্যান্সার তাদেরকে, মা-বাবা তাদের সন্তানকে কতোটা ভালোবাসে সেটা প্রমাণ করার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ এই অভাগারা জানে না প্রতিটা বাবা-মায়ের কাছেই তাদের সন্তান জীবনের সবচেয়ে বড় অংশ। তার প্রতিটি হাসি, প্রতিটি কান্না, প্রতিটি অর্জন- সবকিছু তারা নিজের হৃদয়ে অনুভব করে। সন্তানের হাসি-কান্না তার প্রতিটা অনুভূতি পিতা-মাতার প্রতিটি দিনকে করে তোলে উজ্জ্বল ও অর্থবহ। তারা জানে না আপনি আপনার সন্তানকে যতটা ভালোবাসেন অন্য একজন পিতা-মাতাও তার সন্তানকে ঠিক ততটাই ভালোবাসেন। নিজেকে উত্তম আর অন্যকে অধম ভাবার মতন অসুস্থতা থেকে আপনারা দ্রুত সেরে উঠুন সেই প্রত্যাশা করি। সঙ্গে অপূর্ব যোগ করেন, আমার বা অন্য কারো সন্তান নিয়ে মনগড়া কোনো ভুল মন্তব্য করার আগে ভেবে নিন। আপনি যদি সত্য না জানেন, তবে নীরব থাকুন। কারণ কারো সন্তানের জীবন আপনার কনটেন্ট তৈরির ‘আইটেম’ নয়। ইতোমধ্যেই মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন বলেও জানান ‘বড় ছেলে’ খ্যাত এই অভিনেতা। তার কথায়, কিছু ভুঁইফোড়, নীচু মানসিকতার মানুষ ব্যস্ত অন্যের চরিত্র হননে! যারা এতোটাই নীচ যে পিতা-পুত্রের গভীর ভালোবাসার মধ্যেও অন্য কিছু খোঁজার চেষ্টা করেছেন। মিথ্যা তথ্য আর গাঁজাখুরি বানানো গল্পের আশ্রয় নিয়ে ভিউ পাওয়ার আশায় সাধারণের কাছে এমন কিছু পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যা দেখে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হোন আমার সন্তান ও আমার পরিবারের নামে! যারা চেষ্টা করেছেন সাংবাদিকতা নামক মহান পেশাকেও কলংকিত করতে এইসব হঠাৎ গজিয়ে ওঠা ইউটিউব চ্যানেল বা পেইজগুলো দিয়ে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ইতোমধ্যেই তিন জনকে শনাক্ত করে আনাও হয়েছে। বাকিদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে খুব শিগগিরই। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অপূর্ব। তিনি বলেন, এত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে ধন্যবাদ। সবাই মিলে একটা সুস্থ সমাজ গড়ে তুলি, বাংলাদেশকে এগিয়ে নেই। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে বিয়ে করেন অপূর্ব। সে সংসার ভেঙে গেলে ২০১১ সালে নাজিয়া হাসান অদিতিকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের সংসারে আয়াশ নামে এক পুত্রসন্তান রয়েছে। তবে এই সংসার ২০২০ সালে ভেঙে যায়। পরবর্তীতে অপূর্ব ও অদিতি দুজনেই বিয়ে করে আলাদা সংসার সাজিয়েছেন।